Happy Soul

Happy Soul Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Happy Soul, Health & Wellness Website, Mirpur.

Happy Soul is dedicated to supporting students' mental wellbeing through accessible counseling, expert guidance and engaging awareness initiatives—helping young minds thrive with care and understanding.

📨 happysoul.community@gmail.com

আমরা প্রতিদিনই অনুভূতি, আবেগ ও মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হই। এই অনুভূতিগুলোকে শনাক্ত করা, প্রকাশ করা এবং বুঝত...
26/04/2025

আমরা প্রতিদিনই অনুভূতি, আবেগ ও মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হই। এই অনুভূতিগুলোকে শনাক্ত করা, প্রকাশ করা এবং বুঝতে পারা আমাদের মানসিক সুস্থতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেদের আবেগ চেনেন না, প্রকাশ করতে পারেন না কিংবা সেগুলোর অর্থ বুঝতে অপারগ হন। এই অবস্থাকে বলা হয় অ্যালেক্সিথাইমিয়া (Alexithymia)।

# অ্যালেক্সিথাইমিয়া কী?
অ্যালেক্সিথাইমিয়া একটি সাইকোলজিকাল কন্ডিশন যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের আবেগ চিহ্নিত করতে এবং তা অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে সক্ষম নয়। এই শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে – 'a' অর্থ ‘অনুপস্থিত’, 'lexis' অর্থ ‘শব্দ’ এবং 'thymos' অর্থ ‘আবেগ’। অর্থাৎ, “অভিব্যক্তির জন্য শব্দের অভাব”।

# সাধারণ লক্ষণসমূহ:
১. নিজের আবেগ বোঝার অসুবিধা:
ব্যক্তি বুঝতেই পারেন না তিনি কেমন অনুভব করছেন। দুঃখ, রাগ, ভয় বা আনন্দ—এসব আবেগের পার্থক্য করা তাদের জন্য কষ্টকর।

২. আবেগ প্রকাশে সীমাবদ্ধতা:
তাদের মুখে, চোখে বা দেহভাষায় খুব কম আবেগ প্রকাশ পায়। অন্যরা তাদের 'ঠাণ্ডা' বা 'অবিবেচক' মনে করতে পারেন।

৩. আবেগভিত্তিক সম্পর্ক গড়তে অসুবিধা:
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বা সংবেদনশীল যোগাযোগে তারা অস্বস্তি বোধ করেন। প্রেম, বন্ধুত্ব বা পরিবারে আন্তরিকতা গড়ে তোলাও কঠিন হয়।

৪. বডি-সিম্পটম বা শারীরিক উপসর্গে আবেগ প্রকাশ:
অনেক সময় আবেগ চেপে রাখার ফলে সেই আবেগ শরীরের মাধ্যমে প্রকাশ পায়—যেমন বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা ইত্যাদি।

# কারণসমূহ:
অ্যালেক্সিথাইমিয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে:
১. জেনেটিক বা নিউরোলোজিক্যাল ফ্যাক্টর:
মস্তিষ্কের ইন্সুলা এবং অ্যামিগডালা অংশের কার্যকারিতায় সমস্যা থাকলে আবেগ চেনার ও প্রকাশের প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

২. শৈশবের ট্রমা বা অবহেলা:
যাদের শৈশবে মানসিক নির্যাতন, উপেক্ষা বা আবেগ ও অনুভূতির অব্যক্ততা ছিল, তারা বড় হয়ে আবেগ নিয়ে কাজ করতে অসুবিধা অনুভব করেন।

৩. মানসিক রোগের সহাবস্থান:
অ্যালেক্সিথাইমিয়া অনেক সময় ডিপ্রেশন, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD), অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের সাথেও সহাবস্থান করে।

# প্রভাব:
অ্যালেক্সিথাইমিয়া থাকলে সম্পর্ক তৈরি ও বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যক্তি নিজের আবেগ না বোঝায় সিদ্ধান্তগ্রহণেও ভুল হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি হতাশা, একাকিত্ব এবং আত্মসম্মানহীনতা তৈরি করতে পারে।

# চিকিৎসা ও সমর্থন:
এই অবস্থার সরাসরি কোনো ওষুধ নেই, তবে নিচের থেরাপিগুলো কার্যকর হতে পারে:
১. সাইকোথেরাপি:
বিশেষ করে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT), ডায়ালেক্টিক্যাল বিহেভিয়ার থেরাপি (DBT) এবং ইমোশন ফোকাসড থেরাপি (EFT) কার্যকর।

২. মাইন্ডফুলনেস ও আবেগ চর্চা:
দিনের শেষে নিজের আবেগ কী ছিল তা লিখে রাখা, শরীরের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা এবং ধীরে ধীরে ভাষায় প্রকাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে।

৩. পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন:
পরিবার বা ঘনিষ্ঠজনদের বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি একজন অ্যালেক্সিথাইমিক ব্যক্তিকে আবেগ চর্চায় সহায়তা করতে পারে।

অ্যালেক্সিথাইমিয়া একধরনের 'অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা' যা বাহ্যিকভাবে খুব একটা চোখে পড়ে না; কিন্তু অন্তর্গতভাবে মানসিক শান্তি ও সম্পর্কের গভীরতাকে ব্যাহত করে। যত দ্রুত এটি চিহ্নিত ও গ্রহণ করা যাবে, ততই উন্নয়নের পথ খুলে যাবে। আমরা যদি সমাজ হিসেবে আবেগ প্রকাশকে দুর্বলতা না ভেবে মানসিক পরিপক্বতার অংশ হিসেবে বিবেচনা করি, তবে এমন অনেক মানুষের জন্য জীবন আরও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।

নার্সিসিজম (Narcissism) বা নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটির বৈশিষ্ট্য হলো নিজের প্রতি অতিরিক্ত মুগ্ধতা, প্রশংসা চাওয়া এবং অন...
22/04/2025

নার্সিসিজম (Narcissism) বা নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটির বৈশিষ্ট্য হলো নিজের প্রতি অতিরিক্ত মুগ্ধতা, প্রশংসা চাওয়া এবং অন্যের অনুভূতির প্রতি অভাবনীয় অনাগ্রহের মিশ্রণ। এই বৈশিষ্ট্য দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

# নার্সিসিজম কী?
নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার (NPD) হলো একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যেখানে ব্যক্তি:
১. নিজের কৃতিত্ব অত্যধিক মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করে
২. অন্যের চেয়ে নিজেকে বিশেষ ও আলাদা ভাবতে চেষ্টা করে
৩. সহজেই সমালোচনা বা পরামর্শে রেগে যায়
৪. অন্যের অনুভূতির প্রতি সহানুভূতি কম অনুভব করে

# নার্সিসিস্ট চিনতে পাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো
১. অতিমাত্রায় গ্র্যান্ডিওসিটি (Grandiosity):
নার্সিসিস্টেরা প্রায়ই তাদের কৃতিত্ব, ক্ষমতা বা সৌন্দর্যের অতিরঞ্জিত চিত্র আঁকে এবং বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যহীন উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।

২. প্রশংসার প্রবল আকাঙ্ক্ষা:
গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় অনুভব করতে তারা নিরন্তর বাহ্যিক সাড়াশব্দ বা স্বীকৃতি পেতে চায়। প্রশংসা না পেলে হতাশা অনুভব করে।

৩. সমালোচনা সহ্য করতে পারে না:
সামান্য সমালোচনা বা পরামর্শও তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে মেনে নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়।

৪. সহানুভূতির অভাব:
দীর্ঘ আলোচনায় বা প্রয়োজনের সময়ও তারা অন্যের দুঃখ-বেদনা বুঝতে বা সহমর্মিতা দেখাতে অনীহা প্রকাশ করে।

৫. সম্পর্ককে ব্যবহার করার খারাপ প্রবণতা:
ব্যক্তিগত ও কাজের সম্পর্ককে স্বার্থপর দৃষ্টিতে দেখে, প্রয়োজন পড়লে অন্যকে ব্যবহার করে বা অনুভূতিগত দূরত্ব বজায় রাখে।

# নার্সিসিজম কেন বিপজ্জনক?
১. সম্পর্কের বিক্ষোভ:
স্বার্থপর আচরণের কারণে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে; পরিবার এবং বন্ধুত্ব টিকতে পারে না।

২. মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি:
ডিপ্রেশন, এঙজাইটি বা হতাশার মাত্রা বেড়ে যায় যখন প্রত্যাশিত প্রশংসা পূরণ হয় না। দীর্ঘমেয়াদে মানসিক অবসাদ তৈরি হতে পারে।

৩. কর্পোরেট বা কাজের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব:
দলগত কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা, কর্তৃত্বপ্রিয় মনোভাব এবং অন্যের পরিশ্রমের ন্যায্য স্বীকৃতি না দেয়ার ফলে কর্মক্ষেত্রে বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

# নার্সিসিস্টিক প্রবৃত্তির উৎপত্তি ও কারণ
১. শৈশবকালীন অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা:
অনেক সময় অতিরিক্ত প্রশংসা বা অসম্মান—দুইয়েরই চরম অভিজ্ঞতা—শৈশবে নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে।

২. পারিবারিক পরিবেশ:
অনুকম্পাহীন বা অত্যধিক মনোযোগের ঘাটতি পরিবারে নার্সিসিস্টিক বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি করতে পারে।

৩. সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা:
আজকাল সামাজিক মিডিয়ায় নিজেকে বিভিন্ন ফিল্টার ও ধাঁধাঁর মাধ্যমে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া, সেলফি সংস্কৃতি সম্প্রসারণে নার্সিসিস্টিক প্রবৃত্তি ত্বরান্বিত হচ্ছে।

# নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের চিকিৎসা ও পরামর্শ
১. সাইকোথেরাপি (Psychotherapy)
কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT) ও ম্যাসেট্রিটি থেরাপি (MBT) সহ বিভিন্ন পদ্ধতি আত্মসমালোচনা ও সহানুভূতি বিকাশে সাহায্য করে।

২. আত্ম-সচেতনতার চর্চা:
দৈনন্দিন জীবনে ম্যাইন্ডফুলনেস, ধ্যান বা জার্নালিং-এর মাধ্যমে নিজের আবেগ ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করা আবশ্যক।

৩. সমর্থন গ্রুপ ও পরামর্শ সেবা:
কাউন্সেলিং সেন্টার, অনলাইন থেরাপি প্ল্যাটফর্ম বা সহনুভূতিশীল সমর্থন গোষ্ঠীতে যুক্ত হয়ে উন্নতি সম্ভব।

# নার্সিসিজম প্রতিরোধ ও সমাধান:
১. সঠিক আত্মমূল্যায়ন:
নিজের যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা বাস্তবসম্মতভাবে মেনে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

২. সহমর্মিতা অনুশীলন:
প্রতিদিন কারো প্রতি ছোট্ট দয়া বা অনুপ্রেরণা দেখানোর অভ্যাস রাখতে হবে। এটি হৃদয়ে আন্তরিকতা বাড়ায়।

৩. সমালোচনা থেকে গড়ে তোলা শিক্ষা:
নিন্দা ও পরামর্শকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না ধরে, নিজেকে উন্নতি করার সুযোগ হিসেবে দেখুন।

নার্সিসিজম শুধু নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের একটি দিক নয়, এটি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সময়মতো এর লক্ষণগুলো বুঝে সহায়তা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি আত্মজ্ঞান ও সহানুভূতির চর্চা একজনকে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং মানসিকভাবে ভালো থাকতে সহায়তা করে।

তুচ্ছ কথায় রেগে যাচ্ছো? হালকা তর্কেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ছো? সবাই বলছে: "তুমি আগের মতো শান্ত নেই", "তোমার ধৈর্য কমে গেছে!" আর ...
19/04/2025

তুচ্ছ কথায় রেগে যাচ্ছো? হালকা তর্কেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ছো? সবাই বলছে: "তুমি আগের মতো শান্ত নেই", "তোমার ধৈর্য কমে গেছে!" আর তুমি নিজেই ভাবছো—"আমি কি বদলে যাচ্ছি?"

না, তুমি খারাপ হয়ে যাচ্ছো না। তুমি হয়তো কোনো কারণে মানসিক চাপে আছো। রাগ সব সময় রাগ নয়, হতে পারে Silent Cry For Help. আমাদের মস্তিষ্ক যখন দীর্ঘদিন মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা বা ক্লান্তির ভার বইতে থাকে—তখন সেটা সরাসরি কান্না বা দুর্বলতার মাধ্যমে না বের হয়ে রাগের রূপ নেয়।

• একটু লক্ষ করো:
– পড়াশোনার চাপ?
– ঘুম ঠিকমতো হচ্ছে না?
– পরিবার বা সম্পর্কের টানাপোড়েন?
– নিজের লক্ষ্য বা ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা?
এই সব কিছুর পেছনে লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য চাপই তোমার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করছে।

• রাগকে চিনতে হবে, অন্যথায় সেই রাগই তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই:

১. নিজেকে প্রশ্ন করো:
"আমি কি সত্যি রেগে গেছি, নাকি আমি ভেতরে কষ্ট পাচ্ছি?"

২. রাগ উঠলে একটু থেমে যাও:
মুখে কিছু বলার আগে ১০ পর্যন্ত উল্টোদিক দিক থেকে গুনো। অর্থাৎ, ১০,৯,৮,৭.... এভাবে। এক গ্লাস পানি খাও অথবা স্থান পরিবর্তন করো। এই বিরতি তোমাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে।

৩. লিখে ফেলো রাগের কথা:
কাগজে লিখে ফেলো তোমার রাগ, হতাশা, কষ্ট। সেটাকে প্রকাশ করো, ছুঁড়ে ফেলো— কিন্ত মানুষের মুখে নয়, কলমে।

৪. পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম:
ঘুম বঞ্চিত হলে আমাদের ধৈর্য অনেক কমে যায়। চেষ্টা করো প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে।

৫. কাউকে খোলাখুলি বলো:
ভরসা করা একজন বন্ধু বা কাউন্সিলরকে খুলে বলো—"আমি সবসময় এমন ছিলাম না, কিন্তু ইদানীং আমি রেগে যাচ্ছি, কারণ…"

রাগকে দমন না করে, বুঝে নেওয়াই হলো শক্তি। যদি তুমি রেগে যাও, তার মানে তুমি দুর্বল নও—তুমি মানুষ। তবে সেই রাগটা কোথা থেকে আসছে, সেটা বুঝে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ। মন ভালো থাকলে, মেজাজও ভালো থাকে। নিজের মনের যত্ন নাও।

তোমার রাগ কি আসলে মানসিক চাপ থেকে আসছে? আজ থেকেই বোঝার চেষ্টা করো, নিজের পাশে থাকো।

✨ EID MUBARAK 🌙✨May Allah accept your prayers, fasting and good deeds. On this blessed day, may your heart be filled wit...
30/03/2025

✨ EID MUBARAK 🌙✨
May Allah accept your prayers, fasting and good deeds. On this blessed day, may your heart be filled with peace, your home with joy and your life with countless blessings.Wishing you a blessed Eid with your loved ones✨

আত্মহত্যা করার প্রবণতা আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উদ্বেগজনক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। আঁচল ফাউন্ডেশনের এক রিপোর্ট মতে...
22/03/2025

আত্মহত্যা করার প্রবণতা আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উদ্বেগজনক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। আঁচল ফাউন্ডেশনের এক রিপোর্ট মতে, ২০২৪ সালে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলো। পড়াশোনার ও ক্যারিয়ারের চাপ, পারিবারিক প্রত্যাশা, সম্পর্কের জটিলতা এবং একাকীত্বের মতো কারণগুলো শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে ভেঙে দিতে পারে। অনেক সময় তারা এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নিজের ক্ষতি বা আত্মহত্যার চিন্তায় আক্রান্ত হয়। তবে এটি কোনো সমস্যার সমাধান নয় বরং একটি সাময়িক আবেগের ফলাফল।

# আত্মহত্যা করার প্রবণতার কারণ:
১. অতিরিক্ত একাকীত্ব ও হতাশা:
অতিরিক্ত একাকীত্ব ও দীর্ঘস্থায়ী হতাশা একজন শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। বিশেষ করে পরিবার বা বন্ধুদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় মানসিক সমর্থন না পেলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

২. পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের চাপ ও ব্যর্থতার ভয়:
পড়াশোনা নিয়ে অতিরিক্ত চাপ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করা বা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার ভয় অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৩. পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা:
পারিবারিক কলহ, সম্পর্কের টানাপোড়েন, বুলিং, যৌন বা মানসিক নির্যাতন শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে, যা আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।

৪. মানসিক অসুস্থতা (যেমন বিষণ্নতা ও উদ্বেগ):
দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্নতা, অস্থিরতা, অবসাদ এবং মানসিক ব্যাধি আত্মহত্যার একটি বড় কারণ। মানসিক অসুস্থতা অবহেলা করলে তা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।

৫. সামাজিক মিডিয়া ও ভার্চুয়াল জগতের নেতিবাচক প্রভাব:
সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা, সেখানে নেতিবাচক মন্তব্য পাওয়া, নিজের জীবনের সাথে অন্যের তুলনা করা ইত্যাদি মানসিক চাপ তৈরি করে, যা আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়াতে পারে।

# আত্মহত্যার লক্ষণ
আত্মহত্যার ঝুঁকি আছে এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়—
১. অত্যধিক হতাশা ও নিরাশা প্রকাশ – ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করা।
২. নিজেকে মূল্যহীন ভাবা – মনে করা যে কেউ তাদের ভালোবাসে না বা প্রয়োজনীয় মনে করে না।
৩. আচরণগত পরিবর্তন – বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা, মজার কাজগুলোতে আগ্রহ হারানো।
৪. ঘুমের সমস্যা – খুব বেশি ঘুমানো বা অনিদ্রায় ভোগা।
৫. হঠাৎ করে সম্পত্তি বা প্রয়োজনীয় জিনিস অন্যদের দিয়ে দেওয়া – এটি আত্মহত্যার আগে দেখা যায়।
৬. আত্মহানিকর কথা বলা – "আমার আর থাকার দরকার নেই," "সবাই ভালো থাকবে যদি আমি না থাকি" ইত্যাদি বলা।

# সমাধান ও করণীয়:
১. পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগিতা:
পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা যদি কোনো শিক্ষার্থীর মধ্যে এসব লক্ষণ দেখে, তবে তাকে সময় দেওয়া এবং তার সাথে এ ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলা জরুরি। তার মনের কথা জেনে তাকে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেয়া প্রয়োজন।

২. মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ তৈরি করা:
বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র থাকা উচিত, যেখানে শিক্ষার্থীরা কাউন্সেলিং নিতে পারে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের খোলামেলা আলোচনা বা কথা বলার ক্ষেত্র তৈরি হবে। যেকোনো মানসিক সমস্যা তারা আরো দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

৩. পড়াশোনার ব্যাপারে ভারসাম্য আনা:
শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভালো ফলাফলের জন্য চাপ না দিয়ে তাদের মানসিক সুস্থতার বিষয়েও খেয়াল রাখা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া ও তারাও যে ভালো ফলাফল আনতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের উৎসাহ দেয়া উচিত।

৪. সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক কনটেন্ট বা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে তা এড়িয়ে চলা উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তার পাশাপাশি অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবনের তুলনা কমাতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধুমাত্র তাদের সুখের মূহুর্তটাই দেখানোর চেষ্টা করে তবে তাদের জীবনেও আপনার মতো দু:খ-কষ্ট রয়েছে। তাই হতাশ না হয়ে নিজের জীবনের সুখগুলোর প্রতি নজর দিন।

আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়, বরং এটি মানসিক কষ্টের একটি চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া, আবেগগুলো শেয়ার করা এবং প্রয়োজন হলে সাহায্য চাওয়া খুবই জরুরি। অভিভাবক, শিক্ষক ও বন্ধুদেরও উচিত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা, তাদের অনুভূতি বোঝা এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া।

মানসিক চাপ থাকলে নির্ভয়ে কথা বলুন, সহায়তা নিন। জীবন মূল্যবান, নিজেকে ভালোবাসুন!

You are not alone in your struggles—there’s always someone who cares. Speaking up about your feelings can bring relief a...
13/03/2025

You are not alone in your struggles—there’s always someone who cares. Speaking up about your feelings can bring relief and support. Contact "Happy Soul" for a safe space to share.

Overthinking বা অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। যেহেতু সাধারণত আমরা নেতিবাচক ব...
11/03/2025

Overthinking বা অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। যেহেতু সাধারণত আমরা নেতিবাচক বিষয় নিয়েই বেশি চিন্তা করতে থাকি, এটি আমাদের চিন্তাশক্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও এটি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।

# অতিরিক্ত চিন্তার মানসিক প্রভাব:
১. উদ্বেগ ও বিষণ্নতা: অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের মস্তিষ্কে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে জড়িত নিউরোট্রান্সমিটারগুলির ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়।

২. স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের সমস্যা: অতিরিক্ত চিন্তা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে, ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সমস্যা হয়। এতে দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনে অসুবিধা দেখা দেয় এবং কর্মদক্ষতা হ্রাস পায়।

৩. মেজাজের পরিবর্তন ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা: অতিরিক্ত চিন্তা মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, রাগ, অধৈর্যতা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে অসুবিধার কারণ হতে পারে। এতে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং ব্যক্তিগত জীবনে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।

# অতিরিক্ত চিন্তা কমানোর পেশাদারী উপায়:
১. সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিং: পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সহায়তায় সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং সেশন অতিরিক্ত চিন্তা কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়তা করে। এতে নেতিবাচক চিন্তার ধরণ পরিবর্তন এবং স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা কৌশল শেখা যায়।

২. মেডিটেশন ও মাইন্ডফুলনেস চর্চা: নিয়মিত মেডিটেশন ও মাইন্ডফুলনেস চর্চা মস্তিষ্ককে শান্ত করে এবং বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে, ফলে অতিরিক্ত চিন্তা কমে যায়।

৩. শারীরিক ব্যায়াম ও সুস্থ জীবনধারা: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং মেজাজ উন্নত করে। সুস্থ জীবনধারা, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. সময় ব্যবস্থাপনা ও কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ: সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা এবং কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ মানসিক চাপ কমাতে এবং অতিরিক্ত চিন্তা এড়াতে সহায়তা করে। এতে দৈনন্দিন জীবনে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং আমাদের জীবনে মানসিক প্রশান্তি ও সুস্থতা বজায় রাখতে পারি।

আত্মশুদ্ধির এই পবিত্র রমজান মাসে আমাদের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক শুদ্ধতা ও ভালোবাসা। সৃষ্টিকর্তার রহমত আমাদের আলিঙ্গন কর...
01/03/2025

আত্মশুদ্ধির এই পবিত্র রমজান মাসে আমাদের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক শুদ্ধতা ও ভালোবাসা। সৃষ্টিকর্তার রহমত আমাদের আলিঙ্গন করে রাখুক প্রতিটি মূহুর্ত। সকলকে জানাই পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা।

"ইশ! কেউ যদি আমার মনের কথাগুলো যত্ন নিয়ে শুনতো! আমার কঠিন সময়গুলোতে কেউ যদি আমার পাশে থাকতো। তাহলে কতই না ভালো হতো!" ত...
08/02/2025

"ইশ! কেউ যদি আমার মনের কথাগুলো যত্ন নিয়ে শুনতো! আমার কঠিন সময়গুলোতে কেউ যদি আমার পাশে থাকতো। তাহলে কতই না ভালো হতো!"

তোমারও কি এমন মনে হয়েছে কখনো না কখনো? তাহলে আমরা চাই তোমাদের কথাগুলো শুনতে, তোমাদের মনের মতো করে আমাদের প্ল্যাটফর্ম সাজাতে। আমরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে চাই এবং তোমাদের মতামত নিতে চাই।

তোমার মতামত দিতে ক্লিক করো এই গুগল ফর্ম লিংকে
👉 https://forms.gle/1c4mQNHrqYXTNxbD7

✨তোমার অনুভূতিগুলো মূল্যায়িত হোক Happy Soul এর সাথে✨

Fear of failure often prevents us from pursuing our goals, but it is in trying that we find growth. Without attempting, ...
25/01/2025

Fear of failure often prevents us from pursuing our goals, but it is in trying that we find growth. Without attempting, we deny ourselves the chance to learn and improve. The greatest obstacle is not making mistakes, but never challenging ourselves to begin with.

*Picture Collected from Internet*

আমাদের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে; বিশেষ করে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ারের পথে, মানসিক চাপ একটি সাধারণ সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। কখন...
18/01/2025

আমাদের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে; বিশেষ করে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ারের পথে, মানসিক চাপ একটি সাধারণ সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। কখনো পরীক্ষার চাপ, কখনো পরিবারের প্রত্যাশা আবার কখনো নিজের লক্ষ্য পূরণের দুশ্চিন্তা—এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মানসিক চাপ আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। কিন্তু কিছু সঠিক উপায় অবলম্বন করে এই মানসিক চাপ মোকাবিলা সম্ভব। যা আমাদের মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

— মানসিক চাপ মোকাবেলায় ৫ টি পরামর্শ:
১. সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করুন:
বাস্তবসম্মত একটি সময়সূচি তৈরি করুন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজগুলো করুন। বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন এবং ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ করুন। দেরী না করে সময়মতো কাজ শুরু করুন এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করুন। বিভিন্ন পরিকল্পনা করার জন্য প্ল্যানার বা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা শেষ মুহূর্তের চাপ কমায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

২. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখুন:
পুষ্টিকর খাবার খান, পানি পান করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। স্ট্রেসের সময় জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত শরীরচর্চা; যেমন: হাঁটা বা যোগব্যায়াম, আপনার মানসিক শক্তি বাড়ায়।স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মোকাবিলায় শরীরকে শক্তি যোগায়। মনে রাখবেন, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

৩. বিরতি নিয়ে কাজ করুন:
পড়াশোনা বা কাজের ডেস্ক থেকে কিছুক্ষণ দূরে গিয়ে নিজের পছন্দের কাজ করুন। যেমন: গান শোনা, আঁকা, বা গেম খেলা। ছোট বিরতি মনকে সতেজ করে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে বার্নআউট হতে পারেন, তাই ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। এমনকি ১০ মিনিটের জন্য বাইরে হাঁটা আপনার মানসিক স্বচ্ছতা এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখুন:
প্রতিদিন একটি কৃতজ্ঞতা তালিকা তৈরি করুন এবং আপনার জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো লিখুন। নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করুন এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মানসিক চাপ কমিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। মনে রাখুন, প্রতিটি সমস্যা সমাধানের একটি উপায় আছে।

৫. নিজের জন্য সময় বের করুন:
নিজের পছন্দের কাজের জন্য সময় দিন। যেমন: বই পড়া, বাগান করা বা সিনেমা দেখা। এটি আপনার মনকে শান্ত করতে এবং আত্মতৃপ্তি দিতে সাহায্য করবে। নিজের জন্য সময় বের করা মানে আত্ম-উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া। এটি আপনাকে জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার সুখী সময়গুলো মানসিক চাপ দূর করতে কার্যকর।

এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি সহজেই আপনার মানসিক চাপ মোকাবেলায় কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনার যেকোনো সহায়তায় "Happy Soul" আছে আপনার সাথে। প্রয়োজনে ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে।

Seperation Anxiety তথা বিচ্ছেদ এর উৎকণ্ঠা শুধুমাত্র শিশুদের ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সমস্যা নয়। সাধারণত ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ...
11/01/2025

Seperation Anxiety তথা বিচ্ছেদ এর উৎকণ্ঠা শুধুমাত্র শিশুদের ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সমস্যা নয়। সাধারণত ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা তাদের পরিচিত যত্নশীলদের ও ভালোবাসার মানুষ কিংবা বস্তু থেকে পৃথক হলে কান্নাকাটি করে দুঃখ প্রকাশ করে, কিন্তু বর্তমানে এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং সম্পর্ক, কাজ এবং মানসিক সুস্থতার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

— মনস্তত্ত্বের মূলভিত্তিঃ
Separation Anxiety বা পৃথকীকরণ উদ্বেগের উৎপত্তি তত্ত্ব প্রথম জন বোভলির মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, শিশুর এবং যত্নশীলদের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন এই সম্পর্কের ক্ষতি হয়, উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে, এটি সাধারণত সময়ের সাথে কমে যায়, তবে যাদের নিরাপদ সংযুক্তির অভাব থাকে, তারা সাধারণত স্থায়ী উদ্বেগের শিকার হতে পারে।

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, শিশুকালে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতার ভয় এবং উদ্বেগ দীর্ঘস্থায়ী হয়। আধুনিক জীবনে, এই উদ্বেগ শুধু মানুষের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং ডিজিটাল যোগাযোগ এবং কাজের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে।

— প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এর জটিলতাঃ
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মাঝে বিচ্ছিন্নতার ভয় এবং উদ্বেগ অতিমাত্রায় কাজ করে। বিশেষ করে ডিজিটাল এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কিত। "ডিজিটাল পৃথকীকরণ উদ্বেগ" বা প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্নতার ভয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেখায় যে উদ্বেগ শুধু মানুষের সম্পর্কের সীমাবদ্ধ নয় বরং তা অতিক্রম করে গিয়েছে। এই উদ্বেগ সাধারণত জেনারালাইজড অ্যানজাইটি ডিজঅর্ডার (GAD) এবং বিষণ্ণতার মতো শর্তগুলির সঙ্গেও সম্পর্কিত।

— পৃথকীকরণ উদ্বেগের স্নায়ুবিজ্ঞানঃ
গবেষণা দেখিয়েছে যে, পৃথকীকরণ উদ্বেগ মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা এবং প্রিফ্রন্টাল কোর্টেক্স অঞ্চলে সক্রিয় হয়, যা ভয় এবং আবেগীয় নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, এই উদ্বেগের একটি জেনেটিক উপাদানও রয়েছে, যেখানে উদ্বেগজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকা ব্যক্তিরা আরও বেশি সম্ভাব্যভাবে পৃথকীকরণ উদ্বেগে আক্রান্ত হন।

— চিকিৎসা এবং টিকে থাকার কৌশলঃ
পৃথকীকরণ উদ্বেগের জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হল কগনিটিভ-বিহেভিওরাল থেরাপি (CBT) এবং এর সম্পর্কিত নানা ঔষধ। এছাড়া, মাইন্ডফুলনেস অভ্যাস যেমন: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং গ্রাউন্ডিং কৌশলের মত পরীক্ষিত কৌশল রয়েছে, যা উদ্বেগের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এটি শরীরের চাপ প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উক্ত সেবা সমূহ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্ট এর কোন বিকল্প নেই।

— উপসংহারঃ
পৃথকীকরণ উদ্বেগ শুধু শিশুদের সমস্যা নয়- এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও থাকতে পারে এবং আমাদের সম্পর্ক এবং পৃথিবীকে বোঝার উপায়ে প্রভাব ফেলতে পারে। এর মনস্তত্ত্ব এবং স্নায়ুবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়গুলো বোঝা চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই উদ্বেগের শিকার হন, তবে সহায়তা নেওয়ার মাধ্যমে মানসিকভাবে আরো সুস্থ জীবনযাপন এবং উদ্বেগের সঙ্গে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করার পথে এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ।

মাহদিয়া মানার ইসলাম মাসুরা
(Mental Health First-Aider)
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মনোবিজ্ঞান বিভাগ

Address

Mirpur

Opening Hours

Monday 10:00 - 22:00
Tuesday 10:00 - 22:00
Wednesday 10:00 - 22:00
Thursday 10:00 - 22:00
Friday 10:00 - 22:00
Saturday 10:00 - 22:00
Sunday 10:00 - 22:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Happy Soul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Happy Soul:

Share