20/12/2023
লাইকোপোডিয়াম
★ লাইকোপোডিয়ামের মানসিক লক্ষনগুলি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য,
এরা নতুন বড় কাজের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে ভয় পায়, বলে -- এই কাজ মনে হয় আমি ঠিকমতন করতে পারবো, এটা মনে হয় আমি ঠিকমতন করতে পারবো না , এইরকম ভাবে, অথচ সে কাজটা ঠিকতন গুছিয়ে করতে পারে বা শেষ করে। এটাই লাইকোপোডিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য মানসিক লক্ষণ।
তাই মনে রাখতে হবে এরা নতুন কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে ভীষণ ভয় পায় এবং অনিচ্ছা প্রকাশ করে, সবসময় ভাবে ঠিকমতন সে করতে পারবে কি না! কোন ভুল হবে না তো?
কেন্টের রেপার্টরীতে ৯০ পাতার বামদিকের শেষে
একটা রুব্রিক আছে -- undertakes, lacks will power to undertaking anything , সেখানে ফসফরাস, পিকরিক এসিড এসব ঔষধের নাম থাকলেও লাইকোপোডিয়ামের নাম নেই, লাইকোপোডিয়াম অবশ্যই যোগ করতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে---
এইরকম হতাশ হয়ে পড়ে এবং সত্যিই কোন দায়িত্বপূর্ণ কাজ করতে পারে না ----- অরাম মেট, সোরিনাম।
আর লাইকোপোডিয়াম প্রথমে হতাশা প্রকাশ করে, ভয় পায়, কিন্তু সে কাজটি ঠিকমতন গুছিয়ে করতে পারে,
তাই পাবলিক প্লেসে বা সাধারণ স্থানে, অর্থাৎ বহুল জনসমাগমে বা লোকজনের সম্মুখে তারা উপস্থিত হতে ভয় পায়, নার্ভাস বোধ করে, কারন----নিজের প্রতি বিশ্বাস ও দৃঢ়তার অভাব, মানে আত্মবিশ্বাসের বড় অভাব।
লাইকোপোডিয়াম এ্যাডভোকেট তাই তার মক্কেলের মোকদ্দমার কাগজপত্র নিয়ে বিচারকের সামনে সওয়াল করায় অত্যন্ত অক্ষম মনে করে, ভয় পায়।
কোন বক্তা কোন পাবলিক জনসমাগমে বক্তৃতা দিতে উঠার আগে দুশ্চিন্তায় পড়েন, কি জানি, ঠিকমতন সব পয়েন্টগুলি গুছিয়ে বলতে পারবে কি না! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে অপারগ নয়, কেননা একবার আরম্ভ করলে সে খুবই নিপুন ও সুন্দর ভাবে তার বক্তব্য শেষ করতে পারে।
কেন নিপুন ও সুন্দরভাবে তারা কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে, কারণ তারা সাধারণত বুদ্ধিমান, মেধাবী, তাদের মেধা প্রখর।
★ লাইকোপোডিয়ামের আর একটা উল্লেখযোগ্য মানসিক লক্ষণ হলো---- তারা নির্জন বা জনপ্রিয়তাহীন ঘর বাড়ী বা জায়গা পছন্দ করেন, ভীত, তাই একা থাকতে আবার ভয় পায় , তার মানে তারা চায় তাদের অব্যবহিত নিকটে কেউ না কেউ থাকুক। সেইজন্য নিজের বিশেষ পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া তারা নতুন, বা বেশী লোকজনের সাথে মেলামেশা করতে পারে না, একটু অন্তর্মনা, একটু রিজার্ভড হয়।
★ তারা অতি অল্পেই বিচলিত হয়, অল্প ইমোশনেই কেঁদে ফেলে, যেমন---- বহুদিন পরে বাড়ীতে কোন আত্মীয়স্বজন আসলে দেখামাত্র জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে, বা তারা চলে যাওয়ার সময়ও ঐরকম ইমোশনালি কান্নাকাটি করে, ছেলেমেয়েরা ভাল রেজাল্ট করলে কেউ খুব প্রশংসা করলে আনন্দে কেঁদে ফেলে,
এইরকম ইমোশনাল বলে কেউ তাকে প্রশংসা করলে বা ধন্যবাদ দিলেও তারা কেঁদে ফেলে।
★ তাদের রাগ, ও জেদ আছে, আর থাকে সব ব্যাপারে কর্তৃত্ব করার মনোভাব, সে চায় -সে যা বলবে সবাই তার সেই কথা শুনবে, যাকে ইংরাজীতে বলা যেতে পারে Dictatorial Attitude .
★তার মানসিক লক্ষনগুলি সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে খুব বাড়ে, তখন তার মন মেজাজ খুব খারাপ থাকে। অবশ্য পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।
★ তারা একটু কৃপণ হয়, টাকা পয়সা বিশেষ খরচ করতে চায় না,
★ তারা একটু লোভী হয়, লোভী বলেই তো কৃপণ হয়, তার মানে টাকা পয়সা জমানোর লোভ। খাওয়ার দিকেও বড় লোভ, মনে হয় অনেক খাবে, তাকে বেশী করে খাবার দিক, বেশী খেতে সে পারে না, অল্প খেলেই পেট ভরে যায়, কারন--- তাদের লিভার ও গল ব্লাডারখুব দূর্বল বা কমজুরি থাকে --- মানে হেপাটো বিলিয়ারী সিস্টেম ঠিকমতন কাজ করে না।
★ কোষ্ঠবদ্ধতা, মল সবসময় শক্ত, বারবার বেগ হয় কিন্তু ঠিকমতন হয় না,
★ বিকালে সব রোগের বৃদ্ধি হয়, বিশেষ করে পেট ফাঁপা, বা গলা বুক জ্বালা, চোয়া ঢেঁকুর, পেটের অসস্তি, ইত্যাদি, বিকালের দিকে বৃদ্ধি হয়।
★ বেশীরভাগ রোগ শরীরের ডানদিকে হয়, বা ডানদিক দিয়েই আরম্ভ হয়,তারপর কখনওবা বাম দিকে যেতে পারে ,
★ গরম চা, গরম ভাত, গরম তরকারী খেতে চায়, মিষ্টি জাতীয় খাবারে বড্ড লোভ,
----- ব্যাস! লাইকোপোডিয়াম সিলেকশন করতে আর কিছু লাগবে না।