Lamia Homeo Health Care

Lamia Homeo Health Care জটিল ও পুরাতন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহন করে সুস্থ থাকুন।

20/12/2023

লাইকোপোডিয়াম
★ লাইকোপোডিয়ামের মানসিক লক্ষনগুলি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য,
এরা নতুন বড় কাজের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে ভয় পায়, বলে -- এই কাজ মনে হয় আমি ঠিকমতন করতে পারবো, এটা মনে হয় আমি ঠিকমতন করতে পারবো না , এইরকম ভাবে, অথচ সে কাজটা ঠিকতন গুছিয়ে করতে পারে বা শেষ করে। এটাই লাইকোপোডিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য মানসিক লক্ষণ।
তাই মনে রাখতে হবে এরা নতুন কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে ভীষণ ভয় পায় এবং অনিচ্ছা প্রকাশ করে, সবসময় ভাবে ঠিকমতন সে করতে পারবে কি না! কোন ভুল হবে না তো?
কেন্টের রেপার্টরীতে ৯০ পাতার বামদিকের শেষে
একটা রুব্রিক আছে -- undertakes, lacks will power to undertaking anything , সেখানে ফসফরাস, পিকরিক এসিড এসব ঔষধের নাম থাকলেও লাইকোপোডিয়ামের নাম নেই, লাইকোপোডিয়াম অবশ্যই যোগ করতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে---
এইরকম হতাশ হয়ে পড়ে এবং সত্যিই কোন দায়িত্বপূর্ণ কাজ করতে পারে না ----- অরাম মেট, সোরিনাম।
আর লাইকোপোডিয়াম প্রথমে হতাশা প্রকাশ করে, ভয় পায়, কিন্তু সে কাজটি ঠিকমতন গুছিয়ে করতে পারে,
তাই পাবলিক প্লেসে বা সাধারণ স্থানে, অর্থাৎ বহুল জনসমাগমে বা লোকজনের সম্মুখে তারা উপস্থিত হতে ভয় পায়, নার্ভাস বোধ করে, কারন----নিজের প্রতি বিশ্বাস ও দৃঢ়তার অভাব, মানে আত্মবিশ্বাসের বড় অভাব।
লাইকোপোডিয়াম এ্যাডভোকেট তাই তার মক্কেলের মোকদ্দমার কাগজপত্র নিয়ে বিচারকের সামনে সওয়াল করায় অত্যন্ত অক্ষম মনে করে, ভয় পায়।
কোন বক্তা কোন পাবলিক জনসমাগমে বক্তৃতা দিতে উঠার আগে দুশ্চিন্তায় পড়েন, কি জানি, ঠিকমতন সব পয়েন্টগুলি গুছিয়ে বলতে পারবে কি না! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে অপারগ নয়, কেননা একবার আরম্ভ করলে সে খুবই নিপুন ও সুন্দর ভাবে তার বক্তব্য শেষ করতে পারে।
কেন নিপুন ও সুন্দরভাবে তারা কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে, কারণ তারা সাধারণত বুদ্ধিমান, মেধাবী, তাদের মেধা প্রখর।
★ লাইকোপোডিয়ামের আর একটা উল্লেখযোগ্য মানসিক লক্ষণ হলো---- তারা নির্জন বা জনপ্রিয়তাহীন ঘর বাড়ী বা জায়গা পছন্দ করেন, ভীত, তাই একা থাকতে আবার ভয় পায় , তার মানে তারা চায় তাদের অব্যবহিত নিকটে কেউ না কেউ থাকুক। সেইজন্য নিজের বিশেষ পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া তারা নতুন, বা বেশী লোকজনের সাথে মেলামেশা করতে পারে না, একটু অন্তর্মনা, একটু রিজার্ভড হয়।
★ তারা অতি অল্পেই বিচলিত হয়, অল্প ইমোশনেই কেঁদে ফেলে, যেমন---- বহুদিন পরে বাড়ীতে কোন আত্মীয়স্বজন আসলে দেখামাত্র জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে, বা তারা চলে যাওয়ার সময়ও ঐরকম ইমোশনালি কান্নাকাটি করে, ছেলেমেয়েরা ভাল রেজাল্ট করলে কেউ খুব প্রশংসা করলে আনন্দে কেঁদে ফেলে,
এইরকম ইমোশনাল বলে কেউ তাকে প্রশংসা করলে বা ধন্যবাদ দিলেও তারা কেঁদে ফেলে।
★ তাদের রাগ, ও জেদ আছে, আর থাকে সব ব্যাপারে কর্তৃত্ব করার মনোভাব, সে চায় -সে যা বলবে সবাই তার সেই কথা শুনবে, যাকে ইংরাজীতে বলা যেতে পারে Dictatorial Attitude .
★তার মানসিক লক্ষনগুলি সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে খুব বাড়ে, তখন তার মন মেজাজ খুব খারাপ থাকে। অবশ্য পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।
★ তারা একটু কৃপণ হয়, টাকা পয়সা বিশেষ খরচ করতে চায় না,
★ তারা একটু লোভী হয়, লোভী বলেই তো কৃপণ হয়, তার মানে টাকা পয়সা জমানোর লোভ। খাওয়ার দিকেও বড় লোভ, মনে হয় অনেক খাবে, তাকে বেশী করে খাবার দিক, বেশী খেতে সে পারে না, অল্প খেলেই পেট ভরে যায়, কারন--- তাদের লিভার ও গল ব্লাডারখুব দূর্বল বা কমজুরি থাকে --- মানে হেপাটো বিলিয়ারী সিস্টেম ঠিকমতন কাজ করে না।
★ কোষ্ঠবদ্ধতা, মল সবসময় শক্ত, বারবার বেগ হয় কিন্তু ঠিকমতন হয় না,
★ বিকালে সব রোগের বৃদ্ধি হয়, বিশেষ করে পেট ফাঁপা, বা গলা বুক জ্বালা, চোয়া ঢেঁকুর, পেটের অসস্তি, ইত্যাদি, বিকালের দিকে বৃদ্ধি হয়।
★ বেশীরভাগ রোগ শরীরের ডানদিকে হয়, বা ডানদিক দিয়েই আরম্ভ হয়,তারপর কখনওবা বাম দিকে যেতে পারে ,
★ গরম চা, গরম ভাত, গরম তরকারী খেতে চায়, মিষ্টি জাতীয় খাবারে বড্ড লোভ,
----- ব্যাস! লাইকোপোডিয়াম সিলেকশন করতে আর কিছু লাগবে না।

20/12/2023

কয়েকটি সাধারণ চর্মরোগের কথা ও তাদের প্রতিকার
★ খুশকি -- এটি একটি প্রদাহহীন খোসা উৎপাদক চর্মরোগ, সাধারণত মাথায় হয়। মাথা পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার রাখলেও রোগ আটকানো যায় না। যেহেতু এটা একটা নিরন্তর প্রসেস, তাই প্রসেস বন্ধ করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অতি উত্তম ,
★ দাদ --এটি ত্বকের গোলাকৃতি প্রদাহ, মাঝখানটা পরিষ্কার থাকে, কিন্তু বাইরের দিকটা অর্থাৎ বলয়টা আস্তে আস্তে ছড়াতে থাকে । চিকিৎসা শাস্ত্রে একে আগে বলা হতো রিংওয়ার্ম, এখন বলা হয় টিনিয়া। অপরিচ্ছন্নতা থেকেই সাধারণত এই রোগ হয় , তাই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, পরিচ্ছন্ন ও শুকনো কাপড় চোপড় ব্যবহার করতে হবে, বেশি ভিজে কাপড়ে থাকলে, বা চটচটে ঘাম বিভিন্ন জায়গায় জমতে থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মলম দিয়ে সারানোর চেষ্টা করা বড় বিপদজনক। রোগ তো সারেই না, উপকারের থেকে অপকারের সম্ভাবনা বেশি।
★ হাজা ---একটি ছত্রাক জাতীয় রোগ। ছত্রাকটির নাম ক্যানডিডা এ্যালবিকানস। যারা খুব বেশি জল ঘাঁটে, তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।এই জন্য যারা জল নিয়ে বেশি কাজ করে তাদের এই রোগ বেশি হয়, যেমন- যারা বাড়ি বাড়ি বাসন ধোয়া বা ঘর মোছার কাজ করে, যারা মাছের ব্যবসা করে, এবং বর্ষাকালে কৃষকরা যখন মাঠে কাজ করে, তাদের বেশি হয়। অকুপেশন অর্থাৎ পেশা পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না যাদের, তাদের এই রোগ সারানো খুব সমস্যা হয়।
★ ইন্টারট্রিগো --- হাজা যখন দুই আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে হয়, তখন তাকে ইন্টারট্রিগো বলে।
★ ছুলি ----এটিও একটি ছত্রাক জাতীয় রোগ । সাধারণত গ্রীষ্মকালে এবং বর্ষাকালে বেশি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গায়ে ঘাম বসে হয়, কারণ ঘামের মধ্যে যেসব কেমিক্যালস থাকে, তা চামড়ার উপরে রিয়াকশন করে। টেরিলিন,টেরিকটন, বা আজকাল বহুল প্রচলিত যেসব সিনথেটিক জামা প্যান্ট তৈরি হচ্ছে তাতে শরীরের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা ঘাম শোষিত বা এ্যাবজর্ব হয় না, এবং তা চামড়ার উপরের অংশে জমে যায় এবং ছুলি রোগের সৃষ্টি হয়। সেইজন্য সুতির জামা কাপড় পরা সব থেকে ভালো। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাঁচ নেই, বা সময় পায়, তারা দুই বা তিন বার গা ধুতে পারলে ছুলি বা অন্যান্য অনেক চর্মরোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারে।
★ ব্রন ---বয়সন্ধিকালে এ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের প্রভাবে শরীরের চামড়ার মধ্যে থাকা সিবাসিয়াস গ্রন্থিগুলির কার্য ক্ষমতা বেড়ে যায় , গ্রন্থিগুলির অতিক্ষরণ হয়, এই ক্ষরনের নাম সিবাম। এই সিবাম যখন গ্রন্থী মুখে আটকে যায়, তখন গ্রন্থিমুখগুলি বেলুনের মত ফুলে ওঠে, এই ফুলে ওঠাকে ব্রন বলে । কখনো কখনো এখানে ব্যাকটেরিয়ারও সংক্রমণ হয় , তখন ব্রনগুলি সাংঘাতিক খারাপ হয়ে যায়। ব্রণের মুখ যখন পুরোপুরি বন্ধ থাকে, তখন ভিতরে যে সাদা সিবাম জমে থাকে তা উপর থেকে দেখতে সাদা লাগে, একে বলা হয় হোয়াইট হেড , আর যখন মুখ খুলে যায়, ভিতরের জমা সিবাম কিছুটা বেরিয়ে আসে,বাইরের হাওয়া বা জীবানুর সংস্পর্শে ব্রণের মুখটা কালো হয়ে যায়, তাকে বলা হয় ব্ল্যাক হেড।

07/12/2023

এসো, চা পান করতে করতে কয়েকটি মানসিক লক্ষন জানা যাক ---

* মনে করে তাকে কেউ ভালবাসে না ---অরাম, নেট্রাম মিউর,

* যে প্রেম টেঁকানো যাবে না, যে বিয়ে হবে না, সব জেনেশুনে বুঝে সেই প্রেমই করতে চায়, যেমন--অন্য ধর্মের মেয়ে বা ছেলের সাথে, বিবাহিত পুরুষের সাথে, বাড়ীর ড্রাইভারের সাথে -- নেট্রাম মিউর,

* একা থাকতে চায়, একা থাকলে ভাল লাগে বা ভাল বোধ করে ----

শারীরিক কারনে---জেলস,
মানসিক কারনে --সিপিয়া,

* রেগে গেলে পাগলের মতন আচরন করে -- ক্যামোমিলা,

* অসভ্য, ইতরের মতন সব কথার উত্তর দেয়, কথাবার্তার মধ্যে কোন শালীনতা থাকে না --- ক্যামোমিলা,

* রেগে গেলে শরীর কাঁপতে থাকে --স্টাফিসেগ্রিয়া

* ক্ষমা? ক্ষমা করার কোন প্রশ্নই ওঠে না --- নাইট্রিক এ্যাসিড

21/11/2023

একজন মহিলা কখন সিপিয়া হয়,

এক সিপিয়া মহিলার আত্মজীবনী,

ফেসবুকে একটি ডিভোর্সের ছোট গল্প পড়েছিলাম, নায়িকা ডিভোর্স চাইছিলো, সেই থিমটাকে মডিফাই করে আমি লিখলাম -
" সিপিয়া "।

" আমি কিভাবে সিপিয়া হলাম বলুন তো?

আমার আজকের দৈন্য দশা দেখে আমাকে সিপিয়া বলছেন আপনারা, কিন্তু কেন, কিভাবে আমি সিপিয়া হলাম তা কি জানেন আপনারা ?

বিগত পঁচিশ বছরের প্রত্যেকটা দিন আমার কেটেছে কষ্ট, গ্লানি, চোখের জল, আর অমানসিক শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে।

কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব দিয়ে প্রেম আসে আমার জীবনে। দীর্ঘ সাত আট বছরের প্রেমের পরে আমাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। বিয়ের পরেই দেখলাম আমার স্বামীর সেই প্রেমিক সত্ত্বাটি আস্তে আস্তে একেবারে হারিয়ে গেলো।

সে আমাকে তার মায়ের সাথে আপোষ করে চলার শিক্ষা দিতে থাকে, মায়ের অর্ডার মতন চলতে বলে, তার রোজকার জীবনের বহু কাজ আমার উপরে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে স্বামী হওয়ার মজা লুটতে সে শুরু করে।

শাশুড়ি অর্থাৎ আমার স্বামীর মায়ের কাছে আমাকে রোজ অতি তুচ্ছ তুচ্ছ কারণে হেনস্থা আর অপমান হতে হয়েছে বারবার। আমার শাশুড়ি সবসময় আমাকে গিনিপিগ বানিয়ে মজা লুটেছেন, তবুও স্বামীকে কাছে পাবার লোভে তার দেওয়া সমস্ত গ্লানি আমি হাসি মুখে মেনে নিয়েছিলাম।

সব সময় চেয়েছিলাম আমার স্বামীর মধ্যে যে প্রেমিক মানুষটি আছে সে অন্ততঃ তার প্রেম দিয়ে আমাকে ভরিয়ে রাখবে।

আমি একটা চাকরি পেলাম, কিন্তু যতই অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হই না কেন, প্রেম তো আর বাজারে বিকোয় না যে অর্থ দিয়ে কিনে নেবো। তাই নিজের উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে, সংসারে নিজেকে মানিয়ে, স্বামীর মায়ের সামনে নিজেকে চরম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ দিয়েও আমি আমার স্বামীর প্রেম পেতে চেয়েছিলাম, মন পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি তা পাইনি, কোনদিনও পাইনি।

আমিই সেই ব্যর্থ প্রেমিকা। যে তোমাদের আজকের সিপিয়া।

আমার কলেজ জীবনের সেই ভালোবাসার প্রেমিক কবরে চাপা পড়ে তৈরী হলো এক নতুন মানুষ --
যে বাবা মায়ের ভালো সন্তান, যে ভালো দাদা, যে ভালো বাবা, ভালো বন্ধু, অফিসের ভালো বস। শুধু হতে পারলো না সে আমার ভাল প্রেমিক, যে প্রেমিক সে আগে ছিলো!

আমি বেশী প্রতিপত্তি চাইনি, অর্থবান প্রেমিকও চাইনি, শুধু একজন প্রেমিককে চেয়েছিলাম , যার হৃদয়টা হবে অনেক বড় আর তা তোলা থাকবে শুধু আমার জন্য। কিন্তু কিছুই হয়নি, বিশ্বাস করুন আপনারা, কিছুই আমি পাইনি।

আমি সেই মানুষটার ভালোবাসার বাঁধনে পড়ে তার সন্তানের মা হলাম। সংসার, সন্তান, চাকরি, সবকিছু সামলাতে গিয়ে যখন আমি প্রতিদিন প্রতি ক্ষনে নাজেহাল, আমার শাশুড়ি মায়ের গঞ্জনায় যখন প্রতিদিন আমি অতিষ্ঠ, তখন আমার প্রেমিককে শুধু একটু পাশে চেয়েছিলাম, যে আমার পিঠের ব্যথায় তার হাতটা পিঠে বুলিয়ে দেবে, যে অফিস শেষে তার ক্লান্ত শরীরটা নিয়েই আমার ক্লান্ত শরীরের পাশে দাঁড়িয়ে বলবে -- চলো, আজ দুজনে মিলে বাকি কাজগুলো সেরে ফেলি। আমি মানা করলেও সে বলবে, ক্লান্ত তো দুজনেই, অফিস তো দুজনেই করেছি, তাহলে ঘরের সব কাজ তুমি একা করবে কেন?

আমি চেয়েছিলাম সেই প্রেমিককে যে তার মায়ের গঞ্জনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, -- এর থেকে বেশি কিছু নিরুপমা করতে পারবে না। তুমি ওকে এভাবে অপমান করবে না মা!
চেয়েছিলাম সে বলবে,
মা, তুমি ভুলে যেওনা, নিরুপমা শুধু আমার স্ত্রী নয়, সে আমার ভালোবাসার সাথী, আমাদের পরিবারের একজন ।

কিন্তু সে বলেনি, কোনদিনও বলেনি, আমার হয়ে একটি কথাও সে তার মাকে বা অন্য কোথাও খরচ করেনি।

বরং বাচ্চা হওয়ার পরে যখন আমার শরীরের, পেটের চামড়ায় স্ট্রেচের দাগ পড়েছে, পেটটা মোটা হয়েছে, বাচ্চার জন্য রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখের কোনে কালি পড়েছে, তখন আমার সেই কুশ্রী চেহারাটাকে সে অবজ্ঞা করতে শুরু করেছিল। তার কাছে সে সময় চড়া রঙ মাখা তার অফিসের বান্ধবীটির দুঃখ ছিল সবথেকে বেশি দামি। অফিসের পরেও বাড়ি ফিরে তার সাথে চলতো ফোনে বহুক্ষণ ধরে বার্তালাপ। আমি সব দেখেও চুপ থাকতাম। বেশী কিছু বলার সাহস আমার ছিল না। শুধু নীরবে কেঁদেছি রাতের পর রাত।

বহুবার আমার স্বামীর কাছে কাকুতি মিনতি করে বলেছি -- আমি তোমার প্রেমিকা হতে চাই, ঠিক কলেজ জীবনে যেমনটি ছিলে তেমনটি! কিন্তু আমার স্বামী তখন অন্য মহিলার মধ্যে তার প্রেমিকা খুঁজতে ব্যস্ত ছিলো।

তবুও আমি আমার স্বামীকে ছেড়ে কোথাও যাইনি , বুকের মধ্যে পাথর চাপা দিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম -- যদি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকটাকে আবার একদিন ফিরে পাই! এই আশাতেই আমি বহুদিন বুক বেঁধেছিলাম!

মেয়েকে নিয়ে আমি তখন আলাদা হতে পারতাম, কিন্তু হইনি। কারণ, আমি চাইনি, আমার সন্তান তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক।

যদি আমি আমার প্রেম, ভালোবাসাকে তার মতই অপমান করতাম, ভালবাসাকে বেচে আসতাম অন্য কোনো পুরুষের কাছে, তাহলে তার কেমন লাগতো বলুনতো! সে কোনোদিন আমার জায়গায় তাকে বসিয়ে ভাবেনি, আমার কষ্টটা কোথায়! বরং আমার কিঞ্চিৎ প্রতিবাদ তার পৌরুষকে নাড়িয়ে দিতো!

আমার সিঁথিতে এক চিলতে করুণার সিঁদুর দিয়েছে বলে সে বহুবার অতি সহজে বলতে পেরেছে --
বৌ, বৌয়ের মতন থাকবে! বেশী মাতব্বরী করতে এসো না!

হ্যাঁ, বৌ,
শুধু বৌ হয়েই বেঁচে থাকতে হয়েছে আমায়, আমি প্রেমিকা হতে পারিনি। একমাত্র মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব একা বয়ে চলেছি নীরবে, নিঃশব্দে।

যতই কষ্ট হোক না কেন আমার দুঃখের কথা আমার ব্যথার কথা, আমার হৃদয় মোচড়ানো বেদনার কথা আমি মুখ ফুটে কাউকে কোনদিনও বলিনি, বলতে পারিনি।

আমার সকল সময়ের, সকল ব্যাপারে, সকল অনুরোধের একটাই উত্তর এসেছে-- -- হবে না, পারবো না!

আমার স্বামীর জীবনটা ছিল তার একার , একেবারে ব্যক্তিগত!
সে বিবাহিত হয়েও বিনা নোটিসে বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়তো ভ্রমণের পথে, রাতের পর রাত আড্ডা দিয়ে মধ্য রাতে বাড়ী এসেছে নির্দ্বিধায়। কখনো জানতে চায়নি, কোন ব্যাপারে আমার কোন কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা! তার জীবনটা বরাবর ছিলো যেন তার একান্ত নিজস্ব, একেবারে ব্যক্তিগত।

আমি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে স্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছি, তেইশ বছর ধরে মায়ের ভূমিকা পালন করেছি, সন্তানের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছি, সাবলম্বী করে দিয়েছি।

আমি নিজের জীবনকে শূণ্য করে সবার জীবনকে পরিপূর্ণ করেছি।

কিন্তু বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি -- কিছুই না, কিছুই পাইনি। বরং প্রতিক্ষনে আমার ভিতরের প্রেমিকাকে একটু একটু করে মরতে দেখেছি৷ অবসাদে, নিঃশব্দে তাকে হু হু করে কাঁদতে দেখেছি। সেই প্রেমিকাকে আমি বাঁচাতে পারিনি, কোনভাবেই বাঁচাতে পারিনি!

কিন্তু আমার মধ্যে যে ক্ষয়িষ্ণু প্রেমিকাটি বেঁচে আছে এখনও, তাকে আমি পূর্ণরূপে বাঁচতে দিতে চাই, তার জীবনে যত শূণ্যতা আছে, তাকে তৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই, তাই আমি আজ সকল বন্ধন থেকে মুক্ত হতে চাই। সংসারের সব মেকি সম্পর্ক থেকে দূরে, অনেক দূরে চলে যেতে চাই আমি।

আমি জানি আমার স্বামী আমাকে ছাড়তে চান না, কারণ, দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে আমার সেবা পাওয়া তার অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে, আমি আজ তার একটা দৈনন্দিন জীবনের হাতিয়ার, সে জানে আমি তার বড় অবলম্বন, বলতে পারেন অন্ধের যষ্ঠীর মতো। কিন্তু অন্ধের যষ্ঠীর প্রয়োজন হয় তার পথ চলতে, যষ্ঠী তার ভালোবাসা হতে পারেনা। আমার স্বামীর কাছেও আমি ঠিক তাই। আজ আমি তার একাকিত্ব জীবনের প্রয়োজন মাত্র , তার ভালোবাসার মানুষ নই।

তাই আমি এখন ইচ্ছামতন ভোরের সূর্য্য দেখতে চাই, ইচ্ছামতন পড়ন্ত দুপুর অব্দি বিছানার আলিঙ্গনে জড়িয়ে থাকতে চাই। আমি সারারাত জেগে ডায়েরির মধ্যে কলম নিয়ে মুখ লুকোতে চাই, লিখে রাখতে চাই মনের সব অভিব্যক্তি। পরেরদিন সকালবেলায় উঠে কাউকে চা জলখাবার দেবার তাড়া আমাকে জোর করে ঘুমের কোল থেকে তুলুক তা আর চাই না, কারুর সুখী করার দায়বদ্ধতা এখন আমি আর নিতে চাই না। আমি স্বাধীন হতে চাই।

এক জন মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে, আমৃত্যু শুধু দান করেই যাবো, পাবো না কিছুই, তা হতে পারে না।

আমার বাকী জীবনে একাকীত্ব উপভোগ করার অধিকার কোন পুরুষ বা কোন সমাজ কেড়ে নিতে পারে না।

তাই, বাঁধনমুক্ত হয়ে জীবনের শেষ কটা বছর নিজের মতো করেই আমি বাঁচতে চাই, জীবনের সব ব্যর্থতা আর শুন্যতাকে পিছনে ফেলে, জীবনের সব পিছু টান থেকে সরে এসে মুক্ত আকাশের বিহঙ্গের মতন স্বাধীনভাবে আমি বিচরণ করতে চাই।

আমার দীর্ঘদিনের দুর্দশার অভিব্যক্তিকে তোমরা সিপিয়া মহিলা বলে আখ্যায়িত করতে চাইছো। তা করো, আমি সিপিয়া হয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চাই। তাতে আমার কোন দুঃখ নেই, কোন ক্লেশ নেই "।

লেখা:

09/08/2023

#ওষুধ_ছাড়াই_পিরিয়ডের_ব্যথায়_প্রশান্তি_পাবার_৫টি_উপায়

প্রচন্ড পেট ব্যাথা! পিরিয়ড হলেই পেট ব্যথার যন্ত্রণায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যায় অনেক মেয়েরই। ক্লাস, ঘুম, বাসা, টিভি দেখা কোনো কিছুই যেন ভালো লাগে না মাসিকের ব্যাথা শুরু হলে। আবার অনেকেই বলেন যে মাসিকের ব্যথায় খুব ঘনঘন ব্যথার ওষুধ খাওয়াও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে? কি করলে কিছুটা প্রশান্তি পাওয়া যাবে পিরিয়ডের সময়ে? আসুন জেনে নেয়া যাক মাসিকের ব্যথায় প্রশান্তি পাওয়ার ৫টি সহজ উপায়।

1. গরম সেঁক

মাসিকের সময় প্রচন্ড তলপেট ব্যথা হয়। আর এই তলপেট ব্যথায় গরম পানির সেঁক নিলে পেট ব্যথায় বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং কিছুটা কম অনুভূত হয় ব্যথা। তাই গরম পানির সেঁক দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ। যে কোনো ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন এই হট ওয়াটার ব্যাগ। গরম পানি ভরে নিলেই সেঁক দেয়া যায় এই হট ওয়াটার ব্যাগ গুলোতে। এছাড়াও ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় গরম করেও সেঁক দেয়া যায়।

2. মনোযোগ সরিয়ে নিন
পেট ব্যথা শুরু হলে কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। যখন পেট ব্যথা হয় তখন অফিসের কাজ কিংবা ফেসবুকিং করা শুরু করে দিন। মুভিও দেখতে পারেন। ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা বলতে বলতে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই মনোযোগ অন্য দিকে সরে যাবে এবং পেট ব্যথা কম মনে হবে।

3. ভিটামিনযুক্ত খাবার
মাসিকের ব্যথা কমাতে কিছু বিশেষ ভিটামিনের ভূমিকা আছে। আর তাই যারা মাসিকের সময় পেট ব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন তারা সবসময় ভিটামিন ই যুক্ত খাবার (চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, বাঁধাকপি, আম ইত্যাদি), ভিটামিন বি৬ (ভাত, মাছ,ওটমিল, কলা ইত্যাদি), ভিটামিন বি১ (ডিম, মাছ, সবুজ সবজি, গম ইত্যাদি) খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো খেলে পেশীর সংকোচনজনিত মাসিকের ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।

4. সুবিধাজনক অবস্থানে শুয়ে থাকুন

মাসিকের সময় বিভিন্ন অবস্থানে শুয়ে থাকলে অনেক সময় আরাম পাওয়া যায় কিছুটা। এই অবস্থা এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। তবে সাধারণত পাশ ফিরে শুয়ে হাঁটু ভাজ করে বুকের কাছাকাছি এনে শুয়ে থাকলে সাময়িক প্রশান্তি পাওয়া যায়।

5. ম্যাসাজ
মাসিকের সময় শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নিন ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে অথবা ম্যাসাজে অভিজ্ঞ কারো কাছে। কারণ মাসিকের সময় পুরো শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নিলে শরীর শিথিল থাকে এবং তলপেট ব্যথা কিছুটা কম হয়। ফলে মাসিকের সময় প্রশান্তি পাওয়া যায়।

এডিস মশা নিধন করুন, ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করুন
09/08/2023

এডিস মশা নিধন করুন, ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করুন

19/07/2023

সচরাচর ব্যবহৃত ০৩ টি স্যালাইনের ব্যাখ্যা।

Dextrose = গ্লুকোজ, শর্করা, শক্তি

১) Normal Saline = যখন কোন পানিতে ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকবে সেটাকেই normal saline বলা হয়

২) DA = Dextrose in Aqua( পানি)। যখন শুধু পানির মধ্যে dextrose থাকবে সেটাকে। সেটা সর্বোচ্চ ২৫ পর্যন্তও থাকতে পারে

৩) DNS = Dextrose in normal Saline. যখন নরমাল স্যালাইনের মধ্যে Dextrose থাকবে সেটা DNS. 5% বা ১০% থাকতে পারে।

এখন কোনটা কোন ধরনের প্যাশেন্টকে দেওয়া হয়?

আমাদের শরীরে মিনারেলের গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন ঃ ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ক্লোরিন, ফসফরাস, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি। এর মধ্যে, অন্যান্য মিনারেল ছাড়া সাময়িকভাবে বাচতে পারলেও, সোডিয়াম ক্লোরাইডের অতিরিক্ত অভাবে আমাদের নরমাল ফিজিওলজিকাল সিস্টেম অচল হয়ে পরবে!! মৃত্যুও হতে পারে!!

১) Normal Saline = যখন পেশেন্ট তরল ও কঠিন উভয় খাবারই খেতে পারবে কিন্ত যেকোন কারনে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড দেহ থেকে বের হয়ে গেছে। যেমন ঃ Diarrhoea, অতিরিক্ত ঘাম

২) DA = যখন শুধু তরল খাবার খেতে পারবে, কঠিন পারবে না৷ ফলে, তরল খাবারের মাধ্যমে মিনারেলের চাহিদা পূরন হলেও, শক্তি সরবরাহ করার জন্য Dextrose দিতে হবে। যেমন ঃ রোড এক্সিডেন্ট বা সিভিয়ার ইনজুরি।

DNS = যখন মুখে কোন কিছুই খেতে পারবে না। তাই তাকে বাচিয়ে রাখার জন্য dextrose + সোডিয়াম ক্লোরাইড সরবরাহ করতে হবে। অন্যান্য মিনেরেলের সাময়িক ঘাটতি সে মুকাবেলা করতে পারলেও NaCl এর ঘাটটি মোকাবেলা করতে পারবে না। যেমন ঃ GIT disease and Surgery

Collected

16/07/2023

ব্লাড প্রেশার সম্পর্কে সবার যা জেনে রাখা দরকারঃ-✅
🔶১) সিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০ মি.মি পারদ বা তার কম এবং ডায়াস্টলিক চাপ ৮০ মি.মি পারদ অথবা তার কম হলো স্বাভাবিক রক্ত চাপ।

🔶২) সিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০-১৩৯ মি.মি এবং ডায়াস্টলিক চাপ ৮০-৮৯ মি.মি পারদ হচ্ছে প্রি-হাইপারটেনশন। এ সমস্ত ব্যক্তি যে কোন সময় উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে।

🔶৩) সিস্টোলিক রক্তচাপ উভয় বাহুতে ১৪০ মি.মি পারদ অথবা উপরে থাকে বা ডায়াস্টলিক চাপ ৯০ মি.মি পারদ অথবা উপরে থাকে,তাহলে তার উচ্চ রক্ত চাপ বলে।

🔶৪) সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০মি.মি পারদ অথবা কম থাকে বা ডায়াস্টলিক চাপ ৬০ মি.মি পারদ অথবা কম থাকে, তাহলে তাকে নিম্নরক্ত চাপ (Hypotension) বলে।

⏺️কিছু টিপসঃ-✅

🔶১) কখনোই একবার মাত্র রক্তচাপ মেপে উচ্চ রক্তচাপ বলা যাবে না। প্রতিদিন কমপক্ষে দু’বার করে মোট ৭ দিন প্রথম দিনের প্রথম রিডিংটা বাদ দিয়ে বাকিগুলো গড় করে যদি ১৪০/৯০ মি.মি পারদ বা তার বেশি হয় তাহলে উচ্চ রক্তচাপ বলা যাবে।

🔶২) চা-কফি পান করার পর, ব্যায়ামের পর, খাদ্যগ্রহণ বা ধূমপান করার পর বা খুব অস্থিরতার সময় রক্তচাপ না মাপাই ভালো।

🔶৩) হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন অর্থাৎ কিছু রোগীর হাসপাতালে কিংবা চেম্বারে আসলে দুঃচিন্তা বা উদ্বেগে প্রেশার বেশি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রেশার স্বাভাবিক থাকে। এদের ক্ষেত্রেও বাসায় ৭ দিন প্রেশার মাপতে বলতে হবে। রোগী আসার পর সাথে সাথে প্রেশার না মেপে কিছুক্ষণ পর মাপতে হবে।

🔶৪) প্রেশার মাপার সময় রোগী কোন কথা বলবে না। উত্তেজিত হওয়া যাবে না।

🔶৫) প্রেশার মাপার সময় প্রসাব চেপে রাখা যাবে না এতে রিডিং ভুল আসবে।

🔰আশা করি এই লেখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। উপরের তথ্যগুলো আমাদের সবারই মাথায় রাখা উচিত।✅☺️

15/07/2023

🙂ধরুন আপনার বাবার রক্তশূন্যতা। হিমোগ্লোবিন কমে গেছে। জরুরী রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হবে। আপনার বাবা আর আপনি দুজনেই একই রক্তের গ্রুপ।

😑ধরা যাক বি" পজিটিভ। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বাবার জন্য রক্ত দেবেন। এবং সেটা করাই স্বাভাবিক।

আপনি বাবাকে রক্ত দিলেন। বাবা একটু সুস্থ। আপনার বেশ ভাল লাগছে। নিজেকে পরিতৃপ্ত মনে হচ্ছে।

১০-১৪ দিন পর আপনার বাবার জ্বর এলো। সাথে আবার রক্ত শূন্যতা, জন্ডিস,ডায়রিয়া,ত্বকে ফোস্কা।
ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো গেলো না।

হঠাৎ এমন অসুস্থ হবার কারণটাও খুঁজে পাওয়া গেলো না।

বিষয়টি ভাবুন....

😢আপনজনের রক্ত পরিসঞ্চালন করার পর TA-GVHD হতে পারে। খুব কম সংখ্যক হয় কিন্তু হলে শতকরা ৯৫ ভাগ মৃত্যু হার। রোগীকে ফিরিয়ে আনা যায় না।

তবে ইরেডিয়েটেড করে রক্ত দিলে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা সবখানে নেই।

অতএব আপনজন ডোনার না হওয়াটাই শ্রেয়। যেমন বাবা,মা, ভাই,বোন,ছেলে,মেয়ে।

-------

☺️স্ত্রীর রক্তশূন্যতা। রক্ত লাগবে। আপনি স্বামী। খুব ভালবাসেন স্ত্রীকে। যেহেতু রক্তের গ্রুপ এক,তাই আপনিই রক্ত দিলেন।

এবার আপনার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। বাচ্চাটা বেড়ে উঠছে জঠরে।

আপনি জানেনও না আপনার দেওয়া রক্তের অন্য কোনো এন্টিজেনের বিরূদ্ধে এন্টিবডি তৈরী হয়ে আছে আপনার স্ত্রীর শরীরে। প্লাসেন্টা দিয়ে সেই এন্টিবডি বাচ্চার শরীরে যাচ্ছে এবং লোহিত রক্ত কণিকা ভাঙছে।
এটা হিমোলাইটিক ডিজিজ অব নিউবর্ন।

বাচ্চা প্রসবের পর তার এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশন লাগছে। বাচ্চাটাকে নিয়ে টানাটানি চলছে।

অতএব প্রজনন বয়সে স্বামী স্ত্রীকে রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকাই উপায়।

-----
আপনি জানেনও না আপনার শরীরে থ্যলাসেমিয়া নামক অসুখের জিন আছে। কারণ আপনি মাইনর বা ট্রেইট। আপনার বিয়ের সময় অবশ্যই যার সাথে বিয়ে তার থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা জেনে নিন। কারণ আপনার একটু রক্তশূন্যতা হওয়ায় পরীক্ষায় পাওয়া গেছে আপনি এই জিন বহন করছেন।

বিপদটা কোথায়?

আপনি এবং আপনার স্ত্রী দুজনই যদি এই জিন বহন করেন তবে বংশধরেরা এটা পাবে। এবং কেউ না কেউ হয়তো রোগটাকে নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে।
তাকে ৩/৪ মাস পর পর রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হবে। তার সাথে আরো কত বিষয় জড়িত!

-----
😴 রক্তপরিসঞ্চালন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরী। এটা কোনো টনিক নয়, স্যালাইনও নয়।
শরীরের জীবিত কোষ প্রতিস্থাপন।

নানানরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া রক্ত পরিসঞ্চালন থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। আরো অনেকভাবে চিকিৎসা করা যায়।

©ফারহানা ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
মহাখালী, ঢাকা
ডিএমসি কে -৪১

12/07/2023

অনেকেই হোমিও ঔষধ খেতে চায় না এই ভেবে যে এ ঔষধ খেয়ে রোগ সারতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারনা।
করোনার মতো প্যান্ডেমিক সিচুয়েশনে ও যখন মানুষ কোন সমাধান পাচ্ছিল না তখন হোমিও ঔষধ গ্রহন করে মানুষ সুস্থ হয়ে সকলেই হোমিও নির্ভর হয়ে পড়েছিল এটা আমাদের অজানা নয়।
কারো কোনো রোগ হলে মানুষ প্রথমেই হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করে না বরন যখন অন্য কোন কুল কিনারা থাকে না সর্বশেষে আসে হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করতে আর তখন তো সময় বেশি লাগবেই রোগটা যে আপনার শরীরে বাসা বেঁধে বসেছে। কিন্তু শুরুতেই যদি সে হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করত তাহলে খুব অল্প সময়েই সুস্থ হয়ে যেত।
অনেকে আছে একেবারে কুল কিনারা হারিয়ে এসে তখন ও ধৈর্য ধারন করতে চান না। তাড়া দিতে থাকেন কেন জলদি সুস্থ হচ্ছেন না কিন্তু শুরুতেই যদি হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করতেন তাহলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতেন। অন্য দিকে এলোপ্যাথিতে বলা চলে যত দিন বেঁচে আছেন ততদিনই ঔষধ খেয়ে যেতে হবে তা খেতে ধৈর্য হারান না।
তাই সকলের উচিত শুরুতেই হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করা। আর সব শেষে আসলেও একটু ধৈর্য ধারন করে ঔষধ খাওয়া ইনশাআল্লাহ সুস্থ হবেন।
হোমিও ঔষধ গ্রহন করুন সুস্থ থাকুন।

10/07/2023

রক্ত বা রক্তের কোনো বিশেষ উপাদান দরকার হলে তা অন্য একজনের কাছ থেকে নিতে হয়। একসময় রোগীর নিকটাত্মীয়কে ডোনার বা রক্তদাতা হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হতো। ধারণা করা হতো, নিকটাত্মীয় যেমন মা–বাবা, ভাইবোন বা সন্তানের রক্তই সবচেয়ে নিরাপদ। তবে এখন চিকিৎসাবিজ্ঞান ওই ধারণা থেকে দূরে সরে এসেছে।

ট্রান্সফিউশন–অ্যাসোসিয়েটেড গ্রাফট–ভার্সাস–হোস্ট ডিজিজ বা টিএ-জিভিএইচডি রক্ত পরিসঞ্চালনজনিত বিলম্বিত একটি প্রতিক্রিয়া। এটির হার অনেক কম (০.১ থেকে ১ শতাংশ)। তবে এর প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি থাকে।

নিকটাত্মীয়ের রক্ত পরিসঞ্চালন করা হলে দাতার রক্তের লিম্ফোসাইট রোগী বা গ্রহীতার বিভিন্ন কোষকে আক্রমণ করে, যেমন ত্বক, অস্থিমজ্জা বা রক্তনালি। দাতার লিম্ফোসাইট গ্রহীতার শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১২ দিনের মাথায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রক্ত গ্রহীতার শরীরে প্রথমে লাল লাল চাকা ও দানা দেখা দেয়। এরপর জ্বর, পাতলা পায়খানা, এরপর রক্তমিশ্রিত মল ও পেটে তীব্র ব্যথা হয়।

আগে রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সচেতন না থাকলে রোগটি শনাক্ত করা মুশকিল। ৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রক্তের সব কণিকার সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। এসব উপসর্গ দেখা দেওয়ার এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রোগীর মৃত্যু ঘটে।

সচরাচর কাদের এ রোগ হয়
যাদের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।

নিকটাত্মীয় রক্তদাতা হলে এইচএলএ অ্যান্টিজেনের তারতম্যের কারণে।

কীভাবে শনাক্ত করা যায়
সন্দেহ হলে ত্বকের বায়োপসি, বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জা পরীক্ষা, লিভার বায়োপসি, রোগীর লালা, ত্বকের কোষ থেকে মলিকুলার পরীক্ষা করে রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।

কাদের রক্ত না নেওয়া উচিত
টিএ-জিভিএইচডি প্রতিরোধে নিকটাত্মীয়ের রক্ত পরিসঞ্চালন নিরুৎসাহিত করা ভালো। মা–বাবা, ভাই–বোন ও সন্তানের রক্ত না নেওয়া উচিত। এ ছাড়া নিকটাত্মীয় বা ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ; যেমন আপন চাচা, ফুপু, খালা ও মামার রক্তও না নেওয়া ভালো।

কখন নিকটাত্মীয়ের রক্ত নেওয়া যাবে
যদি নিকটাত্মীয় দাতার রক্ত বা রক্তের উপাদান গামা রেডিয়েশনের মাধ্যমে পরিসঞ্চালন করা হয়, তাহলে রক্তের লিম্ফোসাইটগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। তবে এ ধরনের যন্ত্র ও সুবিধা বাংলাদেশে খুবই কম।

ডা. ফারহানা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা

10/07/2023

হোমিও ঔষধ কেন খাবেন?

কারণ, এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় একিউট রোগ ছাড়া কোন ক্রনিক রোগই নির্মূল হয় না। উল্টো সারা জীবন ধরে ঔষধ খেয়ে যেতে বলে। এক সময় দেখা যায় অন্য কঠিন কোন রোগ ও সৃষ্টি করে বসে আমাদের অজান্তেই । সাথে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় তো রয়েছেই।

কিন্তু দক্ষ হোমিও চিকিৎসক দেখিয়ে উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে ক্রনিক রোগে আশানুরূপ ফল পাবেন যা এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।

আর তাই এলোপ্যাথির ওপর নির্ভর না হয়ে হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করে সুস্থ থাকুন।

28/05/2023

#জ্বর_নিয়ে_সচেতনতা_প্রয়োজন

১. যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা ১০২/১০৩°f আসতে পারে এবং কমলে, ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরেরবেলাতেই বা পরের দিন জ্বর কেনো কমছে না, অস্থির হওয়া যাবে না।

২. একদিনে জ্বর কমিয়ে দেয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায় যা অনেকসময় প্রকাশ পেতে ৩দিনও লেগে যায়।

৩. জ্বর হলে বাচ্চা খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিবে, বড়রাও দেয়। এই অরুচির প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নাই। সবার মতো আপনাকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প অল্প করে পানি তরল জাউ স্যুপ শরবত বা বাচ্চা যেটা খেতে চায় ( এমন কিছু দিবেন না যা আবার বমি, পাতলা পায়খানা ঘটায়) তাই খাওয়াবেন। প্রসাব যেন অন্তত ৪ বার হয়। মুখে একদমই খেতে না পারলে, প্রসাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিচুনি হলে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

৪. হালকা জ্বরে ( ১০০ থেকে ১০২°) গা মুছে দিবেন, মুখে ঔষধ খাওয়াবেন। একবার ঔষধ খাওয়ানোর পর আবার সিরাপ দিতে অন্তত ৪/৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। আর সাপোসিটারী দিতে হলে অন্তত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

৫. বেশী জ্বরে ( ১০২° F এর উপরে গেলে) তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর প্রয়োজন হলে সাপোসিটার ব্যবহার করতে পারেন (যদিও এটা বাচ্চাদের জন্য অস্বস্তিকর), এতে জ্বর সাময়িকভাবে হয়তো ১০২ এর নিচে নামতে পারে তবে পুরোপুরি যাওয়ার সম্ভাবনা কমই ১ম তিনদিনে। একটা সাপোসিটারী দেয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকটা সাপোসিটারী দিতে পারবেন না। তবে ৪/৬ ঘন্টা পর সিরাপ দিতে পারেন।

৫. জ্বরের ঔষধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে, এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে এমন না। ভাইরাসের পরিমানের উপর, কতদিন এরা এক্টিভ থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে।

৬. জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর চেয়ে বাচ্চার যত্ন নিন, ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন। ভালো ঘুমাতে দিন, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও তাকে ঘুম ভাঙিয়ে জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর দরকার নাই।

৭. থার্মোমিটার দিয়ে মেপে জ্বর ১০০ বা বেশী পেলেই জ্বরের ঔষধ খাওয়াবেন। গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগা, জ্বর ৯৮, ৯৯° ; জ্বরের আগে শীত শীতভাব, অস্থির করা জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর কোন কারণ হতে পারে না।

৮. বাচ্চাদের এসিডিটি কম হয়, তাই একদম সম্ভব না হলে, খালিপেটে জ্বরের ঔষধ দিতে পারবেন।

৯. জ্বর হলে বাচ্চা এক আধটু বমি হতে পারে, কিছু জ্বরের ঔষধেও বাচ্চাদের বমি হয়। এসব ক্ষেত্রে বমির ঔষধ লাগে না, প্রয়োজনে জ্বরের ঔষধ পাল্টান। ঔষধ খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে বমি করলে ১৫/২০ মিনিট পর আবার ঔষধটটুকু খাওয়াতে হবে।

আপনার শিশুকে সাবধানে রাখুন ও সবাই সুস্থ থাকুন।

13/05/2023

কিছু জানা বিষয় মনে রাখতে হবে.....

1.👤গর্ভাবস্থার সময় -280 দিন
2.👤নতুন জন্মের শিশুর গড় ওজনের - 2.6কেজি
3.👤নবজাত শিশুর হাড় সংখ্যা - 300
4.👤প্রাপ্তবয়স্কের হাড় সংখ্যা - 206
5.👤পাঁজর সংখ্যা -24 (12 জোড়া)
6.👤মুখে হাড় সংখ্যা -14
7.👤বুকে হাড় সংখ্যা - 25
8.👤পায়ে হাড় সংখ্যা(একটি পা) - 30 (Femur (1)
Tibia and fibula (1,1) Tarsals (7)
Metatarsals(5) Phalanges(14) Patella (1)
9.👤প্রতিটি কব্জিতে হাড় সংখ্যা - 8
10.👤হাতের হাড় সংখ্যা (একটি হাত)- 30-(Humerus (1) Radius(1) Ulna(1) Carpals (8) Metacarpals(5) Phalanges(14)
11.👤প্রতিটি মানুষের প্রতিটি কানের হাড় সংখ্যা -3
12.👤পেশী সংখ্যা - 639
13.👤মানুষের বাহুতে পেশী সংখ্যা -72
14.👤বৃহত্তম কোষ - স্নায়ু কোষ
15.👤মস্তিষ্কের বৃহত্তম অংশ - সেরিব্রাম
16.👤বৃহত্তম এবং শক্তিশালী হাড়- Femur(থাই)
17.👤ছােট হাড়- স্ট্যাপিস(কান)
18.👤দুধের দাঁতের সংখ্যা -20
19.👤কিডনি সংখ্যা - 2
20.👤হৃদয়ে চেম্বার সংখ্যা - 4
21.👤বৃহত্তম গ্রন্থি - লিভার
22.👤ছােট কোষ- রক্তকোষ
23.👤স্বাভাবিক রক্তচাপ - 120/80(systolic/diastolic)
24.👤এক মিনিটের মধ্যে পালস হার -72 বার
25.👤শারীরিক তাপমাত্রা - 36.9°C (98.4 F)
26.👤গড় রক্তের পরিমাণ - 4-5 লিটার
27.👤দেহের রক্তের PH মান -7.4
28.👤লোহিত রক্ত কণিকার গড় আয়ু - 120 দিন
29.👤শ্বেতকণিকা গড় আয়ু- 1-15 দিন
30.👤অনুচক্রিকা গড় আয়ু- 5-10 দিন
31.👤মানব কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা - 46(23 জোড়া)
32.👤প্রথম স্থানান্তরিত অঙ্গ-বৃক্ক (kidney)
33.👤চোখের কর্ণিয়াতে কোনাে রক্ত সরবরাহ হয় না। চোখের কর্ণিয়া সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
34.👤ক্যামেরার পরিভাষায়, মানুষের চোখ 576 মেগাপিক্সেলের.
35.👤আঙুলের ছাপ কোন সময় থেকে তৈরি হয়? মাত্র 3 মাস বয়সে। তাও ভ্রুণ অবস্থায়।
36.👤মস্তিষ্ক কত দ্রুত স্নায়ুতে অনুভূতি প্রেরণ করে জানেন? 274 কিমি প্রতি ঘণ্টা।
37.👤মানুষ কখনােই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারে না।
38.👤পৃথিবীতে মানুষ একমাত্র চিৎ হয়ে ঘুমােয়।
39.👤তেষ্টা পাওয়া মানে - শরীর 1 শতাংশ জল ইতিমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে।
40.👤একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে 6 ঘন্টা করে ঘুমালে সে যদি 50 বছর বাঁচে তবে তার জীবনের 12.5 বছর ঘুমের মধ্যেই কাটায়।
41.👤জীবদ্দশায় এক জন মানুষ কত তথ্য মনে রাখতে পারেন? প্রায় 150 লক্ষ কোটি।
42.👤মানুষের মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি হার্ডড্রাইভে 4 টেরাবাইট সমান।
43.👤গড়ে 90% মানুষই তাদের স্বপ্নের কথা ভুলে যায়।
44.👤আপনি না খেয়ে মরার আগে না ঘুমিয়ে মারা যেতে পারেন। একজন মানুষ টানা 10 দিন না ঘুমালে মারা যেতে পারে।
45👤জিহ্বায় প্রায় 8000 স্বাদ রয়েছে। এর প্রতিটিতে 100টির মতাে কোষ থাকে যা খাবারের স্বাদ পেতে সহায়তা করে!
46.👤ঠোঁটের ছাপ, জিভের ছাপ, আঙুলের ছাপের মতই, একজন মানুষের ঠোটের ছাপ অন্য আরেকজন মানুষের ঠোঁটের ছাপের সাথে কখনােই মিলবে না।
47.👤মানুষের মুখের লালায় ওপিওরফিন নামে এক পেনকিলার পাওয়া যায়, যেটা মরফিনের থেকে 6 গুণ বেশি শক্তিশালী।
48.👤বাম-হাতের মানুষদের চেয়ে ডান-হাতের মানুষরা বেশি দিন বাঁচে।সাধারণত বাঁ-হাতির সংখ্যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত বাঁ-হাতিরা বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। ক্রিস এমসি ম্যামস ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে প্রকাশিত । ১৯৮৯ এবং ১৯৯১ সালে প্রকাশিত দুটি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে বলা হয়েছিল, বাঁ-হাতিদের জীবনকাল ডানহাতিদের চেয়ে কম হয়। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা এই কথাটি নাকচ করে দিয়েছেন।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মগ্রহণকারী বেশির ভাগ শিশুই বাঁ-হাতি হয়। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের সময় সন্তানের অবস্থান এবং প্রিম্যাচিউর (অর্থাৎ ২৪ সপ্তাহের আগে এবং জন্মগত ওজন ১.৫ কেজির কম হলে) হলে বামহাতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মা-বাবা দুজন বাঁ-হাতি হলে সন্তানদের শুধু শতকরা ২৬ জন বাঁ-হাতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
49.👤মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের জিভে স্বাদকোরক কম থাকে।
50.👤যখন একটি কাশি দেয়া হয় তখন এটার গতিবেগ থাকে ঘন্টায় 60 মাইল। একটি হাঁচির গতিবেগ সর্বোচ্চ 100 মাইল পর্যন্ত হতে পারে।
51.👤নিজের নাক টিপে ধরে রেখে গুন গুন করা অসম্ভব
52.👤একজন মহিলা গড়ে প্রতিদিন 7000 টি শব্দ বলেন। যেখানে পুরুষরা মাত্র 2000 এর কিছু বেশি শব্দ বলেন।
53.👤দেহের বৃহত্তম পেশি গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস
54.👤দেহের দীর্ঘতম পেশি সারটোরিয়াস
55.👤দেহের ক্ষুদ্রতম পেশি স্টেপিডিয়াস
56.👤দীর্ঘতম ধমনী অ্যাওর্টা
57.👤দীর্ঘতম স্নায়ু সায়াটিক স্নায়ু
58.👤বৃহত্তম অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থাইরয়েড
59.👤ক্ষুদ্রতম অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি পিনিয়াল বডি
60.👤বৃহত্তম পৌষ্টিক গ্রন্থি যকৃৎ
61.👤বৃহত্তম লসিকা গ্রন্থি প্লিহা
62.👤বৃহত্তম লালাগ্রন্থি প্যারোটিড গ্রন্থি
63.👤মানুষের মুখ থেকে পেটে খাবার যেতে লাগে মাত্র 7 সেকেন্ড।
64.👤স্বাভাবিক একজন মানুষ দৈনিক ছ'বার মূত্রত্যাগ করেন।
65.👤মানবদেহের সকল স্নায়ুর মোট দৈর্ঘ্য 45 কিলোমিটার।
66.👤পৌস্টিকনালীর দৈর্ঘ্য 9 মিটার।
67.👤জন্ম থেকেই মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের চোখের কর্ণিয়ার আকৃতি একই যা বৃদ্ধি পায় না।
কিন্তু মানুষের নাক এবং কানের বৃদ্ধি বন্ধ হয় না।
68.👤মানুষের হাতের নক, পায়ের নকের থেকে 4 গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
69.👤মানব শরীরে একমাত্র দাঁতের ক্ষয়পূরণ হয় না। শরীরে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে তার 99% এর অবস্থান দাঁতে।
70.🗣️মানুষের মাথার খুলি ২৯টি হাড় দিয়ে গঠিত(Cranium - 8 Face - 14 Hyoid - 1 Ossicles (ear bones) -6)
71.🗣️মানুষের শরীরে ৯টি জায়গায় pulse দেখা যায় ।(bracial-কনুই, carotid-গলায়,apical- হৃত্পিণ্ড(বুকে), radial- হাতে, Femoral- থাই, temporal- কপালে, popliteal-হাটুতে, posterior tibia- পায়ে, dorsalis pedis- পায়ের পাতায় ।

ভালো লাগলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন 😊

(Collected)

Address

House-08, Road-08, Block-C, Pallabi
Mirpur
1216

Telephone

+8801790664666

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lamia Homeo Health Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Lamia Homeo Health Care:

Share