রোমান ভাই

রোমান ভাই পেইজ লাইক করুন,
আপনার সমস্যা কথা বলুন,
?
(2)

দ্রুত কনটেন্ট মনিটাইজেশন পেতে এই পোস্টে বেশি বেশি সাড়া দিয়ে আপনাদের এংগেজমেন্ট বাড়িয়ে নিন...!!🤷‍♂️❤️
04/09/2025

দ্রুত কনটেন্ট মনিটাইজেশন পেতে এই পোস্টে বেশি বেশি সাড়া দিয়ে আপনাদের এংগেজমেন্ট বাড়িয়ে নিন...!!🤷‍♂️❤️

আনিস ভাইয়ের বউটা না একেবারে যাচ্ছেতাই! সারাক্ষণ  বাসায় ক্যাচরমেচর করতেই থাকেন।  মহিলার কী বাজখাঁই গলারে বাবা!  আনিস ভাই ...
03/09/2025

আনিস ভাইয়ের বউটা না একেবারে যাচ্ছেতাই! সারাক্ষণ বাসায় ক্যাচরমেচর করতেই থাকেন। মহিলার কী বাজখাঁই গলারে বাবা! আনিস ভাই ক্যামনে যে এগুলা সহ্য করে, বুঝি না।

ঘরে ঢুকতেই গিন্নিকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললাম কথাটা।

লুবনা ওর হাতের কাজ থামিয়ে মুচকি হেসে বললো - নিজের চরকায় তেল দিন মশাই। অন্যের ঘরে আঁড়ি পাততে নেই।

আঁড়ি কেনো পাতবো... আমি কী ইতর বিশেষ প্রাণী নাকি? সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলাম, তখনই কানে এলো। তাছাড়া ভাবীর যেই মাইকের মতো গলা। আমার ধারণা রাস্তার ঐ মোড় থেকেও ওনার কন্ঠ শোনা যাবে।

লুবনা এবার রুষ্ট কন্ঠে বললো - তুমি যদি এভাবে আরো কিছুক্ষণ ভেজা কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে আমার শুকনো ফ্লোর কাদা কাদা করো, তাহলে কিন্তু আমার গলাও ঐ রাস্তার মোড় থেকে শোনা যাবে।
এহহেরে... আসলেই, কাপড় আর ছাতা চুইয়ে পানি পড়ে ঘরটা একেবারে ভিজে একাকার। অপরাধ স্বীকার করে দ্রুত ওয়াশরুমের দিকে ছুট লাগালাম।

আনিস ভাই আর আমি একই অফিসে চাকরি করি। তিনি আমার সিনিয়র, তবে আমাদের সম্পর্ক কখনোই সিনিয়র জুনিয়র না। তিনি আমাকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতোই স্নেহ করেন। আদর করে তুমি সম্বোধন করেন।
তাই যখন গ্রাম থেকে ফিরে বললাম
-ভাই একটা দূর্ঘটনা তো ঘটে গেছে! এবার বাড়ি গেলে সবাই মিলে জোরপূর্বক আমাকে কুরবানী করে দিয়েছে। বউ নিয়ে তো আর মেসে ওঠা যায় না। কম ভাড়ায় ছোট একটা ঘর লাগে। আপনার নলেজে এমন কোনো ঘরের খোঁজ কী আছে? থাকলে বলেন। সামনের সপ্তাহেই বউ নিয়ে আসতে চাই।

আনিস ভাই শুনে ভীষণ খুশি হলেন। পিঠ চাপড়ে বললেন
- বাহ দারুণ সুখবর। এবার যদি তোমার একটা গতি হয়। যে খরুচে হাত তোমার! বউ এসে টাইট দিলে যদি কিছু সঞ্চয় হয়।
এরপর আমাদের পিয়ন'কে কিছু টাকা দিয়ে বললেন - রমিজ মিয়া যাও তো মিষ্টি নিয়ে এসো। অফিসের সবাইকে আজ মিষ্টিমুখ করাবে আর বলবে মাহমুদ স্যারের একলা থেকে দোকলা হওয়ার খুশিতে এই মিষ্টি বিতরণ। বুজছো তো কী বলবা!

রমিজ মিয়া লাজুক মুখে মাথা নাড়েন - তিনি বুঝেছেন।

আনিস ভাই আমাকে ইঙ্গিত করে বললেন
-তার বাসার টপ ফ্লোরে দুই রুমের ছোট্ট ফ্ল্যাট আছে। বাড়িওয়ালা সদ্যই চুনকাম করে রেডি করেছেন। চাইলে আপাতত ওখানেই উঠতে পারো। টপ ফ্লোরে গরম একটু বেশি লাগবার কথা, তবে তুমি যে কম ভাড়ার কথা বললে, ঐটা ফুলফিল হবে আশাকরি। যদি ভালো না লাগে, পরে নাহয় অন্য কোথাও শিফট হয়ে যেও।

পরে আর শিফট হওয়া... এমন একজন ভালো মনের মানুষের সান্নিধ্যে থাকার সুযোগ পাওয়া গেলো, এইই আমার জন্য অনেক। দেরি না করে তখনই সম্মতি দিয়ে দিলাম। পরের সপ্তাহেই বাড়ি গিয়ে লুবনাকে নিয়ে এই বাসায় উঠে পড়লাম।

আনিস ভাইয়ের সহযোগিতায় সবকিছু সহজ হয়ে গেলো। নতুন সংসারের কেনাকাটা গোছগাছ সমস্ত ব্যবস্থা আনিস ভাই সাথে থেকে করে দিলেন। কোথায় রিজেনেবল প্রাইজে ভালো মানের জিনিস পাওয়া যাবে, সেই তথ্য পরামর্শ দিয়ে হেল্প করলেন। বৈষয়িক বিষয়ে ভাইয়ের অগাধ পাণ্ডিত্য দেখে আমি অভিভূত। এহেন কোনো সমস্যা নাই যার সমাধান আনিস ভাইয়ের কাছে নাই।

এই হলো আমাদের আনিস ভাই... একেবারে সহজ সরল মাটির মানুষ। পদের বড়াই নাই, আত্ম অহমিকা নাই, নিপাট ভদ্রলোক। অফিসে সবার কাছে তিনি একজন কোওপারেটিভ কলিগ এবং পরোপকারী বন্ধু। কিন্তু এমন একজন ভালো মানুষের কপালে কিনা জুটেছে ঝগড়ুটে ঘষেটি বেগম! ভাবতেই মনটা বিষাদে ভরে যায়।

এই সেদিনও আনিস ভাইয়ের সামনে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেলাম। ভাইয়ের বাসায় বসে একটা কাজ নিয়ে আলাপ করছিলাম। হঠাৎ ভেতর ঘর থেকে উচ্চ শব্দে চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে গেলো। কার উদ্দেশ্যে বিষোদগার ঠিক বোঝা গেলো না তবে ভয় হলো এই বুঝি ভাবী লাঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে আসেন আমাদের দিকে।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আনিস ভাইয়ের তাতে কোনো ভাবান্তর হলো না। কেবল মুচকি হাসলেন আর আমাকে অভয় দিয়ে বললেন - নো চিন্তা ইয়াং ম্যান। এই এক্ষুনি ঝড় থেমে যাবে। দাঁড়াও আসছি - এই বলে ভেতরে চলে গেলেন।
আমি আর দেরি করি না। পিঠ টান দিয়ে দিলাম চম্পট । বলা তো যায় না, ঝড়ের গতিপথ আজ কোন দিকে টার্ণ নেয়!

এরপর কয়েকদিন আমি আর আনিস ভাইয়ের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারি না। খুবই সংকোচ হয়। জানিনা বেচারা নিজেও হয়তো যথেষ্ট লজ্জা পেয়েছেন ঐদিনের ঘটনায়। আহারে.. কী দূর্ভাগা মানুষটা!

একদিন অফিস থেকে আর্লি বের হতে পারলাম। দুই ভাই গল্প করতে করতে বাড়ির পথ ধরেছি। পথিমধ্যে আনিস ভাই একটা রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে পড়লেন। বললেন চলো কিছু খাই।

হালকা স্ন্যাক্স আর কোল্ড কফি অর্ডার করে আয়েস করে বসে বললেন
-শোনো মাহমুদ, আজ তোমাকে একটা পুরোনো দিনের গল্প বলি। আমার লাইফের শুরুর দিককার ঘটনা।
লেখাপড়া শেষ করে সদ্য চাকরিতে ঢুকেছি। বেতন আর কতো! মা বাবা বাড়িতে থাকেন।ঢাকায় চিপা গলির ভিতর দুই রুমের বাসায় ভাইবোন নিয়ে একসাথে থাকি। ছোট তিন ভাইবোন আর তোমার ভাবী সবাই লেখাপড়া করছে। কেমন খরচ হতে পারে একবার ভাবো।
আমার একার রোজগারে ঢাকার বাসায় থাকা খাওয়া, ওদের পড়ার খরচ চালাই। বাড়িতে অবশ্য কিছু পাঠাতে হয় না, তবে কিছু আসেও না।

তোমার ভাবী নতুন বউ হয়ে এসেই ভারী একটা ফ্যাসাদে পড়ে গেলো। অতটুকু মেয়ে... খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে উঠে নামাজ পড়ে পাঁচজনের নাস্তা, টিফিন রেডি করতো। তারপর যার যার স্কুল কলেজে পাঠাতো। নিজেও গোছগাছ করে টাইমলি ভার্সিটি চলে যেতো।

বাসায় তখন ফ্রিজ ছিলো না। মেয়েটাকে কলেজ থেকে ফিরে আবার চুলার পিঠে বসতে হতো। ওর যখন এক্সাম চলতো, তখন সময় বাঁচাতে দিনের পর দিন আমরা সবাই মিলে শুধুমাত্র শুকনো পাউরুটি খেয়ে থেকেছি। মাঝেমধ্যে আমি আগেভাগে বাড়ি ফিরলে ডিম ভেজে নিতাম।
আমাদের কষ্টের কথা ভেবে তোমার ভাবী খালি প্যানা পাড়তো - আহারে আমার জন্য তোমাদের খাওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে তাই না! দৈনিক এই একই জিনিস কী খাওয়া যায়!

সে কোনোদিন নিজের আরাম আয়েসের কথা ভাবে নাই। একটা শখের কথা কখনো মুখ ফুটে বলে নাই। তার কন্ঠস্বর ছিলো এতই চাপা, এতই কোমল যে কথা বললে তার মুখের কাছে আমার কান এগিয়ে নিয়ে শোনা লাগতো। ছোট ননদ দেবরদের নিজের ভাইবোনের মতো আগলে রাখতো। তাদের বায়না আবদারে নিজেকে কার্পেটের মতো বিছিয়ে দিতো- আমি নিজ চোখে দেখেছি।

তারপর একদিন একে একে সবাই বিয়ে শাদি করে আলাদা হয়ে গেলো। আমাদের নিজেদের ঘরে দুটো সন্তান এলো। বাচ্চাগুলো ছিল খুবই দুরন্ত। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এমন অবস্থা। ওদের পেছনে ছুটতে ছুটতে আর চিল্লাতে চিল্লাতে ধীরে ধীরে তোমার ভাবীর গলার স্বর উচ্চ থেকে উচ্চতর হয়েছে।
আমিও পিছিয়ে ছিলাম না অবশ্য ( মুচকি হেসে), যত বয়স বাড়তে লাগলো আমিও কেমন যেনো ছেলে মানুষ হয়ে যেতে লাগলাম। এতো গোছালো স্বভাবের এই আমিই নিত্যনতুন অকাজ করার মাধ্যমে তোমার ভাবীর মেজাজ তিরিক্ষি হতে সাহায্য করতে লাগলাম। আগুনে ঘি ঢালা যাকে বলে আরকি।

শাওয়ার নিয়ে ভেজা চপচপে তোয়ালে নির্দিধায় বিছানার উপর ছেড়ে বেরিয়ে যেতাম বাইরে । অফিস ফেরত ঘামে জবজবা দুর্গন্ধযুক্ত শার্ট দিব্যি আলমিরাতে ফ্রেশ কাপড়ের সাথে মিলিয়ে রেখে দিতাম। বাথরুম কিংবা কিচেনের ট্যাপ পুরোপুরি বন্ধ না করেই বিন্দাস ঘুরে বেড়াতাম। বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ের কথা ভেবে ঘরের লাইট ফ্যান অযথা চালু রাখায় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো তোমার ভাবী। আমি থোড়াই কেয়ার করতাম। কতদিন যে ফোনালাপে মশগুল হয়ে চায়ের হাঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা করেছি, তার ইয়ত্তা নাই।

সেই দিনের ঘটনা বলি- আমি বেড রুমের ফ্লোরে বসে প্লাস্টিকের চাটাই এর উপর তোমার ভাবীর একটা সুতি শাড়ি ( হাতের কাছে আর কিছু পাইনি তাই) বিছিয়ে কাপড় আয়রন করছিলাম। ডোরবেলের শব্দ কানে আসতেই আয়রন শোয়ানো অবস্থায় রেখেই ছুটে গেলাম। তারপর তোমাকে পেয়ে সব ভুলে গল্পে মজে গেলাম। এর পরের ঘটনা তো তুমি সচক্ষেই দেখলে। তোমার ভাবী রেগে ফায়ার। তার কারন গরম আয়রনে চাটাইসহ তার শাড়ি পুড়ে ফ্লোর পর্যন্ত পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিলো।
ভাবো একবার, কী ভয়ানক বিপদ ঘটে যেতে পারতো সেদিন! পুরো বাড়ি আগুন ধরে যাওয়া অসম্ভব কিছু ছিল না। এখন বলো এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড দেখে কারো পক্ষে মেজাজ ধরে রাখা কী আদৌ সম্ভব?

আমি যে জেনে বুঝে তাকে খেপাই তা কিন্তু নয়। দিনদিন কেমন উদাসীন হয়ে যাচ্ছি। হয়তো বয়স বাড়ার সাথে ভীমরতিতে ধরেছে, অথবা তোমার ভাবীর বেশি যত্নে ছেলেপেলের সাথে আমিও উচ্ছন্নে গিয়েছি, হাহাহা!

লোকে শুধু তার মাইকের মতো গলার আওয়াজটাই শুনতে পায় কিন্তু আড়ালে থাকা অঘটনগুলোর খবর কেউ রাখে না। তবে স্বীকার করতেই হয় - মিরানার এই শাসন বারন, রাগ, মান অভিমান সবকিছুই আমি ভীষণ উপভোগ করি। যখন পারদের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়, সিমপ্লি একটা কাজ করি। জোর করে তার মাথাটা আমার বুকের মধ্যে চেপে ধরি। ব্যাস, খেল খতম!

আমার স্ত্রী আমার জীবনে এসেছে আল্লাহর এক অশেষ নেয়ামত রুপে। তার কাছে আমি কতোটা ঋণী তা কেবল আমিই জানি। আমার পুরো পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সন্তুষ্ট। আমার অবর্তমানে সবাইকে যেভাবে আগলে রেখেছে তা বর্ণনাতীত।
আমি নিশ্চিন্ত মনে অফিস করতাম, কোনো টেনশন নাই। কার বেতন বাকি পড়লো, কাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌঁড়াতে হবে, কার কাপড়টা পরার অযোগ্য হলো এই সবই তার জিম্মাদারিতে থাকতো।

এলোমেলো এই আমাকে সহ্য করে, বড় যত্নে সাতাশটি বছর আগলে রেখেছে আমার স্ত্রী। বাচ্চা দুটো মানুষের মতো মানুষ করেছে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় নয়, ধর্ম চর্চায়, মানবিকতায় আদর্শ মানুষ রুপে দুই দুইটা বাচ্চাকে তৈরি করা চাট্টিখানি কথা তো নয়। এই বিষয়ে আসলে আমার কোনো কন্ট্রিবিউশান নেই। অল ক্রেডিট গোজ টু হার। এ্যান্ড আই মিন ইট।

মিরানা আমার লাইফে মহান করুনাময়ের থেকে পাওয়া এক অমূল্য রত্ন। তাকে যত্ন না করে উপায় কী বলো?
সে আমার দুই সন্তানের মা। চিৎকার চেচামেচি করা তারই তো সাজে, তাই না!

আনিস ভাইয়ের সহজ সরল স্বীকারোক্তি, স্বচ্ছ স্ফটিকের ন্যায় জীবন দর্শন এবং সর্বোপরি ভাবীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর মমত্ববোধ আমাকে ভাবিয়ে তুললো। মানে সিরিয়াসলি... এভাবেও ভাবা যায়?
আনিস ভাইকে আমি আগেও ভীষণ পছন্দ করতাম কিন্তু আজকের পর তার প্রতি সম্মান বেড়ে গেলো অনেক অনেক উচ্চতায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এই সাদা মনের মানুষটিকে নেক হায়াত দান করুন। এই সুখী দম্পতির জন্য মন খোলা দোয়া রইলো।

(সমাপ্ত)

#-রতনে_করিয়ো_যতন
#-সাবিহা_জাহান

-- ভাবি দরজা বন্ধ করলেন কেনো। (আমি) -- আজ আমি তোকে একটা উপহার দিব,তাই।-- তাই, তা কি উপহার দিবে আমার প্রিয় ভাবি টা।-- তোক...
03/09/2025

-- ভাবি দরজা বন্ধ করলেন কেনো। (আমি)
-- আজ আমি তোকে একটা উপহার দিব,তাই।
-- তাই, তা কি উপহার দিবে আমার প্রিয় ভাবি টা।
-- তোকে এমন জিনিস দিব তুই কল্পনাও করতে পারবি না।
-- তাই বুঝি, আমার ভাবি তো দেখছি আমাকে অনেক ভালোবাসে।
-- হুম্ম। তার জন্যেই তো এই দিনটার অপেক্ষা।
-- ভাবি তাহলে তারা তারি দেন আমার আর তর সইছে না।
-- আরে দারাও দারাও এত তারা কিসের। তার আগে বল যেটা দিব সেটা কিন্তু কাউকে বলা যাবে না।
-- আচ্ছা ঠিক আছে।
-- এবার ভাবী তার কাপর খুলতে শুরু করতে ধরল।
-- আমি সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে বললাম ভাবি এটা কি করছেন।
-- তোকে আমি আমার সবচেয়ে বড় উপহার টা দিচ্ছি, কেন তুই নিবি না।
-- তাই বলে কাপর কেন খুলতেছেন।
-- আরে বাহ কাপড় না খুললে কিভাবে দিব।
-- ভাবি আপনি আসলে কি চাচ্ছেন বলুনত।
-- আমি চাচ্ছি তুই আমাকে আজ এমন কিছু দিবি যাতে আমি মা হতে পারি।
-- না ভাবি, এটা কখনই হতে পারে না, আমি ওই রকম ছেলে না ভাবি ।আপনি ভালো করেই জানেন। আর এটা আমি আপনার কাছে আশা করিনি আমি। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি , কিন্তু এভাবে নয়। একটা বোনের মত করে ভালোবাসি আপনাকে ।
-- আমি এত কিছু শুনতে চাইনা তোর কাছ থেকে৷ তুই আমার ইচ্ছা পুরন করবি কিনা বল।
-- না ভাবি, এটা আমি কখনই করতে পারব না। মরে গেলেও না। আপনার যা করার আছে আপনি করেন।
-- নিলয়, তুই কি ভুলে গেছিস। আমি যেটা চাই সেটা পেয়েই ছাড়ি। আর না পেলে আমি সব কিছু ছাড় খাড় করে দেই।
-- ভাবি আমি কোন কিছুর ভয় করিনা। আপনি নিশ্চয়ই ভালো ভাবে জানেন আমি এরকম কাজ কখনোই করবনা, মরে গেলেও না। হে ঠিক আছে, আমি একটু আধটু খারাপ কাজ করি। তাই বলে আমি এত বড় খারাপ কাজটা করতে পারব না।।।।।
-- চুপ, অনেক হয়েছে আমি শেষ বারের মত বলতে চাই আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যা।।। না হলে তোর কপালে দুঃখ আছে। তুই কিন্তু ভাল করেই জানিস আমি যত ভালো তত খারাপ। আর তুই বুঝার চেস্টা কর এতে দুইজনেরই ভালো, আমার সংসারটাও বেচে যাবে। আর তুই মজাও পাবি৷।। আর তুই যখন চাইবি আমার কাছে আসবি, বাধা দিব না।
-- ছি ভাবি ছি , আপনার এসব কথা বলতে একটুকুও লজ্জা লাগতেছে না। আপনি সংসার বাচানোর জন্য এটা করছেন, ছি । আপনার লজ্জা হওয়া উচিৎ। আপনার স্বামি আপনাকে কত ভালোবাসে আর আপনি, ছি। বাড়ির কেউ যদি এসব কথা জানতে পারে আমি,আপনি তখন তাদের সামনে মুখ দেখাব কিভাবে, ছি। (আমি আর সহ্য করতে পারলাম না।আমারি চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসল। )
,
,
আমি আর একটা কথাও না বলে কাদতে কাদতে দরজা খুলে বাইরে চলে আসলাম। আসলে আমার কিছু সয্য হচ্ছে না এখন। আমার প্রিয় ভাবিটা আমার সাথে এরকম করতে পারল। । আমারে নিজরই খুব লজ্জা হচ্ছে এখন।।।।
,
তিনি আমার নিজের ভাবি না। আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী। আমার কোন ভাই নাই, তাই চাচাত ভাই ভাবীদের খুব সন্মান দেই। নিজের মনে করি।।।কিন্তু আজ যা ঘটল, আমি নিজেকে এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।
,
আমি ওরকম ছেলে নই। আমি জানি একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কত কঠিন। এসব অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রতিদিন শুনা যায়। এসব অবৈধ সম্পর্কের ফলে আমাদের সমাজ আজ ধংসের পথে।
,
আমিও একটা মেয়েকে খুব ভালবাসি।তাই আমি জানি ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা কত কঠিন। তাই মেয়েদের খুব সম্নান দিয়ে চলি। আর এই সন্মান দেয়াটা আমার ভালোবাসার মানূষটিই আমাকে শিখিয়েছে।
,
সেই ভালোবাসার মানুষ টা আর কেউ নয় সেও আমার নিজের চাচাতো বোন রাইশা। সেও আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে।
,
আমি জানি ভাবীর এই চাওয়াটার কারন কি। ভাবির বিয়ে হয়েছে 4 বছর হল। এখনও তার কোন বাচ্চা হয় নি। তিনি অনেক ডাক্তারের সংগে যোগাযোগ করেছেন। তবুও কাজ হয়নি। সমস্যা টা নাকি আমার ভাইয়েরই। তাদের মধ্যে একটা মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এখন সেই সম্পর্ক টা তে ধিরে ধিরে ফাটল ধরতেছে,বেবি না হওয়ার জন্য।। কিন্তু ভাবি চায় না সেই ফাটল টা আরোও বড় হতে। তাই হয়ত আমাকে এভাবে নিয়ে গিয়ে এরকম করল। কিন্তু আমি এটা আশা করি নি ভাবির কাছ থেকে। বাসায় আজ কেউ নেই সবাই গেছে বিয়ে বাড়িতে, ভাবি আমাকে যেতে নিষেধ করেছিল তাই আমিও যাই নি। এখন বুঝলাম ভাবি আমাকে কেন যেতে দিল না। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা আমাকে দারুণ ভাবে আঘাত করছে ।
,
,
আমি বাসায় এসে সুয়ে সুয়ে ভাবতেছি, ভাবি আমার সাথে এটা কি করল৷ কেন করল। তার সাথে থাকা এত ভালো সম্পর্ক টা আজ শেষ হয়ে গেল।।।শেষ যদি এখানে হত, তবু্ও মনে হয় আমার জীবন টা ভালই যেত। কিন্তু এই ঘটনা টা এত বড় ভাবে গড়াবে আমি বুঝতে পারিনি।
,
বিকেলের দিক বাবা মা চাচা চাচি সবাই আসল বিয়ের দাওয়াত খেয়ে। সবাই একসাথে বাড়ির বাইরে বসে গল্প করতেছে, বাড়ির ভিতর খুব গরম।।আমিও তাদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি মন ভালো করার জন্য। আর মনে মনে ভাবতেছি ভাবিকে ভালো কিছু একটা উপহার দিব, আর তাকে আবার নতুন করে বুঝাব, যে আপনি যেটা করতেছেন সেটা সম্পুর্ণ ভুল।। এটা হয় না।তার আর আমার সম্পর্ক টা নতুন করে জোড়া লাগাব। কিন্তু সেই সুজুক টা আর পেতে দিল না।
,
,
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই, এমন সময় ভাবি কাদতে কাদতে আসল। এসে সবার সামনে কিছু ছেড়া জামা আর কাপর বের করে বলল, আমি নাকি তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছি। আমি তাকে বলেছি আমি তাকে মা বানাতে সক্ষম হব।আর যা যা মিথ্যা বলার ছিল সব বলে দিল।
,
,এদিকে সবাই তার কথা বিশ্বাস করে নিল। আমি বার বার বলছিলাম এসব মিথ্যে, এসব মিথ্যে। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করল না। কিভাবেই বা বিশ্বাস করবে, বিশ্বাস না করার অনেক কারন ছিল। তার মধ্যে একটি হল, একদিন আমি বন্ধুদের পাল্লায় পরে একটা মেয়েকে ইভটিজিং করেছিলাম ।তারপর মেয়েটি এসে আমার বাবাকে বলে দেয়,, সেদিন আব্বু আমাকে হেব্বি কেলানি দেয়। তখন থেকে আমি আব্বুর কালো তালিকায় পরে যাই।
আর তাছাড়া ভাবির সাথে আমার একটা মধুর সম্পর্ক ছিল। ভাবির কাছে আমি প্রিয় ছিলাম, এটা বাড়ির সবাই জানত। আর সেই প্রিয় মানুষ টা যদি এই ভাবে অভিযোগ করে তবে কে না বিশ্বাস করবে।।।।
,
তাই ভাবির বলা কথা গুলো আব্বু আম্মুরও বিশ্বাস হয়ে গেল। আমি হাজারো বার বললাম আমি এসব করিনি, উল্টো ভয়ে সব সত্যি বলে দিলাম, কিন্তু কেউ আমাকে বিশ্বাস করল না।
,
ভাইয়া আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে। আব্বু আছে বিধায় আমাকে কিছু বলতে পারতেছে না বা মারতে পারতেছে না।
,
সবাই সুধু আমার দিকে তাকিয়ে আছে, যেন আমার বলা কথা গুলো কেউ বিশ্বাসই করতে চাচ্ছে না।
,
অতঃপর বাবা এসে আমায় ঢাস ঢাস করে এলোপাথারি চর মারলেন।আমার মাথা ভন ভন করছিল। আমার মুখ দিয়ে আর কোন কথা বের হচ্ছিল না। আব্বু বললেন আজ থেকে তুই আমার ছেলে না এই মুহূর্তে আমার সামনে থেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যা। এসব ছেলেদের তো বাড়ি থেকে বের করে না দিয়ে পুলিশকে দেয়া উচিত। আবার অন্য কোন মেয়ের ক্ষতি করবে।,
আমি ভাবতে পারিনি আব্বু এরকম একটা কথা বলবে।
মুখ দিয়ে কথা বের হওয়া না সত্তেও বললাম বাবা আমি এসব করিনি।
কে তোর বাবা। খবরদার আমাকে আর বাবা বলবি না।
আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না। তুই এই মুহুর্তে আমার সামনে থেকে চলে যা না হলে এর ফল ভালো হবে না কিন্তু।
,
এবার আমি বাবা কে ছেড়ে মায়ের কাছে গেলাম,, মাও মুখ ফিরিয়ে নিল।। আমি মনে মনে বলতেছি মা তুমিও আমাকে বিশ্বাস করতে পারলে না ।।।এভাবে চাচা চাচি, ভাই বোন সবার কাছে গেলাম সবাই মুখ ফিরিয়ে নিল।
,
অবশেষে ভাবির কাছে গিয়ে বললাম, ভাবি এত বড় ভুলটা আপনি করতে পারলেন। আমার ভাবতেও খুব কষ্ট হচ্ছে।।
,
এত দিন জানতাম দেবর ভাবির জন্য মৃত্যু স্বরুপ(আল হাদিস)। আজ দেখলাম ভাবি দেবরের জন্য মৃত্যু স্বরুপ।
,
অতঃপর বাধ্য হয়ে রাস্তা ধরতে হল।।। রাস্তা দিয়ে হাটতেছি আর ভাবতেছি ভাবি এমনটা না করলেও পারত। তিনি তার ওয়াদা পুরন করেই ছারলেন।তিনি আবার প্রমান করে দিলেন তার চাওয়া পুরন না হলে তিনি সব কিছু ছাড় খার করে দেন।

যেখানে গল্প শেষ, সেখানেই শুরু অন্য এক ভালোবাসা… SNHO
,
সামনে দেখতে পেলাম রাস্তার ধারে রাইশা দারিয়ে আছে। দৌড়ে তার কাছে গেলাম তার হাত দুইটা ধরে কাদতে কাদতে বললাম তুই তো আমাকে বিশ্বাস করিস, তুই আমার আব্বু কে বুঝানা আমি কিছু করিনি। বলনা।
--বিশ্বাস, বিশ্বাস তো অনেক আগেই উঠেগিয়েছিল। যখন ভাবির সাথে তোর মেলামেশা দেখতাম। আর আজ তো নিজের চোখে দেখলাম।
-- এই পাগলি তুই এসব কি বলতেছিস। বলনা আমি এরকম না, বলনা।।।
-- ছি, তোর মত ছেলের মুখের দিকে তাকাতেই আমার লজ্জা হচ্ছে ছি.. আরে আমিতো তোর মত ছেলেকে ভালোবেসে ভুল করেছি। আমার কি কম ছিল যে তুই এই রকম একটা কাজ করলি, ছি।তোর যদি এতই ইচ্ছা ছিল, আমাকে বলতি বিয়ের আগে আমিই সব কিছু দিয়ে দিতাম।।৷ চলে যা আমার চোখের সামন থেকে।
-- তুইও আমাকে বিশ্বাস করতে পারলি নারে,,, এই ভালোবেসেছিলি আমায়।
,
এই বলে চলে আসলাম, দুই চোখের পানি ঝর ঝর করে পরতেছিল, চাইলেও আর আটকাতে পারছিলাম না। এখন রাস্তা মাপা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমার হাতে।।।
,
আছে নানুর বাড়ি আছে। কিন্তু এই মুখ নিয়ে আর নানুর বাড়ি যেতে চাই না। সেখানে গেলেও হাজার প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
,
পকেটে বেশি টাকা নেই, শুধু 500 টাকা আছে।সাথে ছোট মোবাইলটা নিয়ে এসেছিলাম, কোন sim ছিল না, শুধু গান সুনতাম।ভাবতেছি ঢাকা চলে যাব। একটা বাসে করে ঢাকায় চলে আসলাম।
ঢাকা যেতে যেতে সব টাকা শেষ হয়ে গেছে।
,
খুব খুদা লাগছে। পকেটে আর এক টাকাও নেই। অবশেষে পাশে থাকা পুকুরের পানি পান করলাম।।
,
জানি না জীবন এ কোন ভুল করেছিলাম, যার শাস্তি আজ পেতে হচ্ছে। চার দিক থেকে সব আতংক যেন আমাকে গ্রাস করে ধরেছে। আমার কিছু করার নেই,, কিছুই করার ছিলনা। আমি হয়ে গিয়েছিলাম নিরুপায়।
,
তার পরেও ভেবে ছিলাম সব কিছু একদিন ঠিক হয়ে যাবে।
এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্তের মাঝে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই,।
সকাল হয়ে গেছে। আমি এক মাঠের মাঝে সুয়ে ছিলাম। খুব খিদা লাগছে, এ খুধার ব্যাথা যেন সহ্য করার নয়।তার পরেও, একটু সকাল হতে আশে পাশে ইট ভাটা খুজতে লাগলাম। কিছু তো করতে হবে না করলে টাকা পাব কোথা থেকে। ,
,
ভাটার মেনেজারের সাথে কথা বললাম, তিনি আমাকে কাজে নিবেন না। অনেক জোড়া জুড়ি করার পর বলল যদি ভালো করে কাজ করতে পারি তাহলে টাকা দিবে আর না হলে দিবে না। আমি রাজি হয়ে গেলাম।
,
আমকে বলল ইট বানাতে হবে। কাজ শুরু করে দিলাম। ইট বানানো সহজ কাজ নয়। 50 টা ইট বানাতে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গেলাম। এই কয়টা ইট বানাতে বানাতে দুপুর হয়ে গেল।।
,
সবাই তাদের নিয়ে আসা খাবার খেতে গেল। আর আমি এদিকে বসে আছি। আমার বার বার মনে হচ্ছিল আমাকে কেউ একজন বলুক বাবা খাবার নিয়ে আসনাই। আসো আমারা ভাগাভাগি করে খাই। না, কেউ বল্লনা। আমি খুবই ক্লান্ত। অজ্ঞান হবার মত অবস্থা। তবুও কারো কাছে হাত পাততে ইচ্ছা করছে না। বার বার মনে হচ্ছিল, একটু কাদা খেয়ে নেই, কিন্তু তাও আমার দাড়া সম্ভব হল না। অবশেষে ইট তৈরিতে ব্যবহৃত পানি খেয়ে নিলাম।।।
,
সারাদিনে মাত্র 150 টা ইট বানালাম। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। মেনেজার সবাইকে 300 করে টাকা দিল। আমাকে 200 টাকা দিয়ে বলল কাল থেকে না আসতে। যে যার বাড়ি চলে গেল।
,
আমি একটা বাজারে গিয়ে 50 টাকার খাবার খেলাম। হাতে ফোস্কা পরেছে তাই খেতেও কষ্ট হচ্ছে।এখন বুঝতেছি জীবন কতটা কঠিন। আর 100 টাকা দিয়ে একটা sim কিনলাম। আর 50 টাকা রাখলাম ভবিষ্যতের জন্য।,
,
নতুন sim কিনে আমার এক বন্ধুকে ফোন দিলাম। যার বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশেই।আমার ছোট বেলার বন্ধু। একই সাথে পরি। তার নাম্বারে ফ্লাক্যিলোড দিতে দিতে তার নাম্বারটা মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল।
,
তাকে ফোন দিতেই, সে ফোন ধরল।।,
-- তাকে আমি সালাম দিলাম।
-- সে মনে হয় বুঝতে পেরেছিল,এটা আমি সাথে সাথে হাউ মাউ করে কেঁদে দিল। আর বলল আমি জানি তুই এরকম কাজ করবি না। কেমন আছিস রে।
(যেখানে কাঁদার কথা আমার, সেখানে সে কেঁদে দিল। আসলে বন্ধুর তুল্য কেউ হয় না।)
--আমি ভাল আছি রে তুই কেমন আছিস, বাড়ির সবাই কেমন আছে রে।
-- সবাই ভাল আছে রে। ওরা তো সুখে থাকবেই। এ তোর কাছে টাকা পয়সা আছে তো। ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করিস তো। টাকা লাগলে আমাকে বলিস বিকাশ করে দিব।
,
এবার আমিও সত্যি সত্যি কেঁদে দিলাম। সাথে সাথে ফোনটাও কেটে দিলাম।
,
বার বার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল, হে আল্লাহ আমার সাথেই কি এটা হওয়ার ছিল।
,
আজকের আকাশটা খুব খারাপ। বাতাস হচ্ছে। মনে হয় বৃষ্টি আসবে। তাই আজ মাঠ ছেড়ে অন্য কোথাও গেলাম ছাউনির মত কোন জায়গায়।
,
খুজতে খুজতে পেয়ে গেলাম, একটা বিল্ডিং। নতুন
বিল্ডিং হচ্ছে এর কাজ চলতেছে। সেখানে সুয়ে পরলাম। রাতে হেব্বি বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ সারারাত মশার জন্য ঘুমাতে পারলাম, না।
,
পরের দিন সকাল হতেই আবার কাজ খুজতে গেলাম। আজ আর কাজ পেলাম না। ভাবতেছি এই 50 টাকা ভাড়া দিয়ে একটা রিকশা চালাবো। কিন্তু আমি তো রিকশা চালাতে পারি না। তারপর অন্য কাজ খুজার চেষ্টা করলাম৷ কিন্তু আজ আর পেলাম না।
,
অতঃপর ওই 50 টাকার কিছু টাকা দিয়ে খুদা নিবারন করলাম। এখানে আমার কষ্ট দেখার মত কেউ নেই।
সবাই চলে নিজের গতিতে।
,
এভাবেই চলল এক বছর।
এই এক বছরে সামান্য তম পরিবর্তন বা উন্নতি হল না, আমার দিন দিন যেন অবনতিই হচ্ছে। আগের থেকে খুব কালো হয়ে গেছি।। প্রতিদিন পুকুর নদীর ময়লা পানিতে গোসল করতে হয়।।।।জামা কাপর ছিল না যে কাপড় বদলাবো। গায়েই কাপড় শুকাতে হয়।
যার ফলে শরিরে ঘা হয়েছে অনেক জায়গায়। কিছু করার ছিল না আমার। কারো বাসায় আশ্রয় ও পাই নি।। কাজের লোক হিসেবে ও অনেকে রাখেনি।
,
,
মাঝে মাঝে ঘায়ের ঔষধ খেতে গিয়ে টাকা শেষ হয়ে যায়।
,
প্রায় বন্ধুটার সাথে কথা হয়। তাকে বলতে নিশেধ করেছিলাম যেন বাড়ির কেউ না জানে তার সাথে আমার কথা হয়। সে আমাকে বলে, বাড়ির কেউই নাকি আমার কথা তোলে না। এটা শুনতে আমার খুব কষ্ট হয়। বুকটা ফেটে যায়। ,
,
আজ বিকালে আমাকে আমার বন্ধু ফোন দিয়ে বলল আজ নাকি রাইশার বিয়ে। কথাটা শুনা বুকটা কেপে উঠল। আমাকে ছাড়া ভালোই আছে পাগলিটা। আজ সে অন্য কারো হবে। ভাবতেই চোখ বেয়ে পানি পরল। কিছুই করার নেই আমার। তার পরেও বন্ধুর কাছ থেকেই এক প্রকার জোড় করেই নিলাম ভাবির নাম্বার টা। শুনেছি ভাবি নাকি এখনও ভাইয়ের সাথেই থাকে ওই বাড়িতে, ওই ঘটনার পর থেকে নাকি ভাইয়া তাকে আরও আপন করে নিছে। যদিও এখনও তাদের বাচ্চা হয়নি।।
,
,
মোবাইলে টাকা নেই, আমি তিন দিন থেকে কাজে যেতে পারিনি। খুব অসুস্থ আমি। এখনও আমাকে রাস্তার ধারে থাকতে হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেছে।আমার হাতে 20 টা টাকা , ভাবতেছি এই টাকা দিয়ে খুদা নিবারন করব নাকি ফ্লাক্সি লোড দিব। এপাশে আমি খুধায় কাতর আর অপাশে রাইশা আর পরিবার হারানো ব্যাথা। তার পরেও খুদার ব্যাথা কে চাপা দিয়ে মোবাইলে টাকা ঢুকালাম
,
,
রাত আট টার দিকে,
আমি এক খোলা মাঠের মধ্য খানে বসে আছি। হয়ত বিয়ে শুরু হয়ে গেছে। হয়ত ভাবি আজ খুব ব্যাস্ত রাইশাকে সাজাতে।। তার পরেও ফোন দিলাম, সেই প্রিয় ভাবিটাকে।।। কয়েকবার ফোন দিতেই ফোন ধরল।।।
,
-- কেমন আছেন ভাবি।।।(আমি)
-- কে বলছেন।?
-- এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন ভাবি।
-- কে নিলয়।।।
-- হ্যা ভাবি। কেমন আছেন।।
-- সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে বলল , নিলয় তুই এখন কই,, তোকে আমি অনেক কষ্ট দিছি। আমি অনেক ভুল করেছি তুই ফিরে আয়।।। আমি আমার পাপ সবার সামনে বলেদিব, তুই ফিরে আয়।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোকে না দেখে।।আমি রাগের বসে এসব করে ফেলেছি।।। তুই চলে আয়।।।( ভাবি কাদতে কাদতে বলতেছেন)
-- সেই সুজুক আর নাই ভাবি। ভাবি আমি তিন ধরে না খেয়ে আছি ভাবি। ভাবি আর মনে হয় না আমি বাচব ।।। খুব কষ্ট হচ্ছে ভাবি। খুব কষ্ট হচ্ছে।
-- তুই তাড়াতাড়ি বল কোথায় আছিস, আমি তোকে গিয়ে নিয়ে আসব তারাতাড়ি বল।
--ভাবি আমি অনেক বহুদূরে আছি ভাবি। আর কিছুক্ষণের মধ্যে মনে হয় অজানা দেশে চলে যাব। ভাবি আমি সয্য করতে পারছিনা ভাবি। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন ভাবি। ভাবি আমি আপনাকে এখনও ভালোবাসি একটা বোনের মত করে। কেন জানি না আপনার প্রতি আমার ঘৃণা টা আসে নি ভাবি। ভাবি আমার জীবনের শেষ ইচ্ছাটা রাখবেন ভাবি।
-- আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না। শুধু বল কোথায় আছিস।
-- ভাবি সেটা জেনে আর কি হবে ভাবি। বলেন না আমার ইচ্ছা টা পুরন করবেন কিনা।
-- বল।(কেঁদে কেঁদে)
--ভাবি আমার আব্বু আম্মুকে বলবেন আমাকে যেন ক্ষমা করে দেয়।।আর আমার ঘরের পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে একটা উপহার রেখেছিলাম রাইশা কে দেয়ার জন্য কিন্তু তা আর দিতে পারিনি, জানি না ওটা এখন আছে কিনা। ওটা পাইলে রাইশাকে দিয়ে দিয়েন, বলার দরকার নেই কে দিছে।। আর সত্যটা গোপন রাখিয়েন,আমাকে ভালোবাসার খাতিরে । কাউকে বলিয়েন না, এটা বললে আপনার জীবনটাও নষ্ট হয়ে যাবে।ভাবি পারলে আমার ভুল ত্রুটি গুলো কক্সমা করে দিয়েন। আর পারলে সবাইকে আমার অগ্রিম মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে দিয়েন। ভালো থাকিয়েন
,
ঠিক সেই মুহুর্তে মোবাইল বন্ধ হয়ে গেল, চার্য শেষ। জীবনের তো সব শেষ হয়ে গেছে আর তুই বাকি থাকিস কেন।।
অনেক কান্না করেছি, এখন অনেক ঘুম পাচ্ছে আমার, এ ঘুম যেন আর জাগার নয়। এই ঘুম যেন জীবনের শেষ ঘুম। এখন কেন যানি মরতেও ভয় হচ্ছে, যানি না পরকালে আল্লাহ আমার জন্য কোন শাস্তি অপেক্ষা করে রাখছে। তার তো কোন গোলামিই করি নাই।তারপরেও চোখকে আটকে রাখতে পারলাম, জানি না পরের দিন এই চোখ দুটো খুলবে কি না।।।।
চলবে…………♥♥♥
গল্প:- বিবেক
প্রথম পর্ব
লেখক :- কাব্য আহম্মেদ..

সহবাস করতে চাইলে স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন? যে ভুলের আগুনে আপনার সাজানো সংসার ছাই হয়ে যেতে পারে!রাত গভীর। আপন...
01/09/2025

সহবাস করতে চাইলে স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন?
যে ভুলের আগুনে আপনার সাজানো সংসার ছাই হয়ে যেতে পারে!

রাত গভীর। আপনার স্বামী ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে বিছানায় এল। ভালোবাসার উষ্ণতা চেয়ে আপনার দিকে হাত বাড়াল, আর আপনি? ঝটকা মেরে তার হাতটা সরিয়ে দিলেন! ঘৃণা আর বিরক্তিতে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে ফিরে শুলেন। তার সমস্ত আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা আর পৌরুষকে এক মুহূর্তে পায়ের তলায় পিষে দিয়ে আপনি ঘুমের ভান করলেন।

বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, এই দৃশ্যটা আপনার শোবার ঘরে কতবার অভিনীত হয়েছে? সামান্য ঝগড়া, ছোট কোনো চাহিদা পূরণ না হওয়া, বা নিছকই 'মুড নেই'—এই অজুহাতগুলোকে অস্ত্র বানিয়ে আপনি আপনার স্বামীকে কত রাত ফিরিয়ে দিয়েছেন? আপনি হয়তো ভাবছেন, "বেশ করেছি! ও আমার কথা শোনে না, আমিও ওর কথা শুনব না।"

বোন, আপনি আসলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছেন। আপনি সহবাসকে ব্যবহার করছেন স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার একটা মাধ্যম হিসেবে, তার পৌরুষকে অপমান করার একটা বিষাক্ত তীর হিসেবে। আপনি শোবার ঘরকে বানিয়ে ফেলেছেন একটা যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে আপনার শরীরটাই আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কিন্তু আপনি ভুলে যাচ্ছেন, যে পুরুষ যুদ্ধে বারবার হারে, সে একদিন সেই যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে নতুন সাম্রাজ্যের সন্ধান করে।

আপনি কি বিছানায় জ্যান্ত লাশ?

স্বামী যখন আপনাকে কাছে টানে, আদর করতে চায়, তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কী হয়? আপনি কি একটা পাথরের মূর্তির মতো চুপচাপ শুয়ে থাকেন? তার ছোঁয়ায় আপনার শরীরে কোনো স্পন্দন জাগে না, আপনার মুখ থেকে কোনো শীৎকারের শব্দ বের হয় না, আপনার চোখ দুটো বন্ধ থাকে নির্লিপ্ততায়। সে যখন জিজ্ঞেস করে, "তোমার কেমন লাগছে?", আপনার উত্তর আসে না। আপনার শরীরটা তার নিচে পড়ে থাকে, কিন্তু আপনার মন থাকে হাজার মাইল দূরে।

আপনি কি কখনো নিজে থেকে তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন? ভালোবেসে একটা চুমু খেয়েছেন? তার শরীরের বোতাম খোলার জন্য অধীর হয়েছেন? উত্তর যদি 'না' হয়, তাহলে আপনি শুধু তার স্ত্রী নন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় শাস্তি।

একজন পুরুষ তার স্ত্রীর মধ্যে শুধু একজন সেবাদাসীকে খোঁজে না, সে তার মধ্যে একজন প্রেমিকাকে খোঁজে, একজন কামার্ত সঙ্গিনীকে খোঁজে, যার শরীরের আগুনে সে পুড়ে খাঁটি হতে চায়। আপনি যখন মরা মাছের মতো বিছানায় পড়ে থাকেন, তখন আপনি তাকে শারীরিক তৃপ্তির বদলে মানসিক যন্ত্রণা দেন। আপনি তাকে বুঝিয়ে দেন, এই সম্পর্কটা তার জন্য একটা বোঝা, একটা রুটিনমাফিক অত্যাচার।

আপনার মতো স্ত্রী যার কপালে জোটে, সে দ্বিতীয় বিয়ে করবে না তো কী করবে?

ভাবুন তো একবার, আপনার স্বামী হয়তো আপনার সব চাহিদা পূরণ করার জন্য দিনরাত গাধার মতো খাটছে। সে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না, কোনো পরকীয়ায় জড়ায় না, আপনার আর আপনার সংসারের প্রতি সে সৎ। কিন্তু দিনের শেষে সে যখন আপনার কাছে একটু ভালোবাসা, একটু উষ্ণতা চাইতে আসে, আপনি তাকে ফিরিয়ে দেন।

তাহলে সে কেন আপনার জন্য এত কিছু করবে? কেন আপনার শাড়ি-গয়নার খরচ জোগাবে? কেন আপনার বাপের বাড়ির আবদার মেটাবে? সে তো আপনাকে ভালোবাসে, আপনার কাছ থেকে মানসিক শান্তির পাশাপাশি শারীরিক সুখও চায়। আপনি যদি তার সবচেয়ে মৌলিক, সবচেয়ে আদিম চাহিদাটাই পূরণ করতে না পারেন, তাহলে কোন অধিকারে আপনি তার কাছ থেকে বাকি সবকিছু আশা করেন?

আপনার হয়তো মাঝে মাঝে সহবাসের ইচ্ছা করে না, শরীর ক্লান্ত থাকে। কিন্তু আপনার স্বামীর কি প্রতিদিন সকালে উঠে কাজে যেতে ইচ্ছা করে? তারও তো মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সব ছেড়েছুঁড়ে শুয়ে থাকতে। কিন্তু সে পারে না, কারণ তার কাঁধে আপনার আর আপনার সংসারের দায়িত্ব। ঠিক সেভাবেই, আপনার ইচ্ছা না করলেও মাঝে মাঝে স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে, তার ভালোবাসার খাতিরে নিজেকে সঁপে দেওয়াটা আপনার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

সহবাস ঝগড়া মেটানোর সবচেয়ে মিষ্টি প্রতিশোধ!

আপনারা স্বামী-স্ত্রী, আপনাদের মধ্যে ঝগড়া হবেই। কিন্তু বুদ্ধিমান নারীরা সেই ঝগড়াকে বিছানায় নিয়ে যায় না, বরং বিছানাকে ব্যবহার করে ঝগড়া শেষ করার জন্য। ভেবে দেখুন, দিনের বেলার সমস্ত রাগ, অভিমান রাতের বেলা তীব্র শরীরী মিলনের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেল—এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে? সহবাস হলো সেই জাদুকরী আঠা যা দুটো ভাঙা মনকে আবার জুড়ে দেয়। আপনাদের দূরত্বের বরফ গলিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী উষ্ণতা হলো যৌনতা।

যে নারী এই অস্ত্র ব্যবহার করতে জানে, তার সংসারে তৃতীয় কেউ ঢোকার সাহস পায় না। কারণ সে জানে, কীভাবে তার পুরুষকে নিজের মধ্যে বেঁধে রাখতে হয়।

বরং আপনার যদি কোনো বড় আবদার থাকে, কোনো কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে স্বামীকে সহবাসে এমন সুখ দিন যা সে আগে কখনো পায়নি। নতুন নতুন কৌশলে তাকে পাগল করে দিন। তাকে এমন চরম তৃপ্তি দিন যে সে ঘোরের মধ্যে থাকবে। তারপর দেখুন, সেই সুখের ঘোরে সে আপনার যেকোনো আবদার পূরণ করতে এক পায়ে খাড়া থাকবে। যে নারী স্বামীকে যৌনসুখের স্বর্গে পৌঁছে দিতে পারে, স্বামী তাকে বাস্তব জীবনে রানী করে রাখে।

একজন নারীই পারে চল্লিশটা নারীর সুখ দিতে!

একটা কথা মনে গেঁথে নিন, যে নারী নিজের স্বামীকে বিভিন্ন আসনে, বিভিন্ন ভঙ্গিমায়, নানা ধরনের দুষ্টুমিতে ভরিয়ে দিয়ে চরম সুখ দিতে পারে, সেই স্বামীর বাইরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একজন দক্ষ ও প্রেমময়ী স্ত্রী একাই তার স্বামীকে চল্লিশটা নারীর সমান আনন্দ দিতে পারে। সে যদি আপনার শরীরেই সব ধরনের স্বাদ, সব ধরনের উত্তেজনা খুঁজে পায়, তাহলে সে কেন অন্য হরিণীর পেছনে ছুটবে? সে তো আপনার মাঝেই পুরো জঙ্গলটা পেয়ে যাচ্ছে!

সময় থাকতে নিজেকে বদলান। একজন বিরক্তিকর 'বউ' থেকে তার রাতের কল্পনার 'রানী' হয়ে উঠুন।

আসুন, আজ রাত থেকেই শুরু হোক নতুন অধ্যায়:

কথার আগুন: দিনের বেলায় তাকে একটা দুষ্টু মেসেজ পাঠান। যেমন: "আজ রাতে তোমার জন্য একটা নতুন খেলা অপেক্ষা করছে।" বা "আজ তোমাকে অন্যভাবে ভালোবাসব।" এই ছোট একটা লাইনই তার মাথার মধ্যে সারাদিন আপনার চিন্তা ঢুকিয়ে দেবে।

অপ্রত্যাশিত ছোঁয়া: সে যখন টিভি দেখছে বা মোবাইলে ব্যস্ত, পেছন থেকে গিয়ে আলতো করে তার ঘাড়ে চুমু খান। তার কানের কাছে ফিসফিস করে বলুন, "তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।" জামার ভেতর দিয়ে তার বুকে বা পিঠে হাত বুলিয়ে দিন। এই অতর্কিত আক্রমণ তাকে মুহূর্তেই উত্তেজিত করে তুলবে।

দৃষ্টির জাদু: তার চোখের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিন। কামনার দৃষ্টিতে তাকে আপাদমস্তক দেখুন। আপনার চোখের ভাষাই তাকে বুঝিয়ে দেবে যে আপনি তাকে কতটা চান।

শব্দের ব্যবহার: মুখ বন্ধ করে থাকবেন না। শীৎকার করুন। তার কানে কানে বলুন, "উফফ, কী আরাম!" বা "তোমার মতো করে কেউ পারে না।" তার পৌরুষের প্রশংসা করুন। বলুন, "তুমিই সেরা।" এই কথাগুলো তার জন্য ভায়াগ্রার চেয়েও বেশি শক্তিশালী।

সক্রিয় হন: শুধু শুয়ে থাকবেন না। আপনিও উদ্যোগ নিন। তাকে চুমু খান, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আদর করুন। তার চুলের মুঠি আলতো করে ধরুন, পিঠে নখের আঁচড় দিন। বুঝিয়ে দিন যে আপনিও এই খেলাটা খেলতে ভালোবাসেন।

নতুনত্বের স্বাদ দিন: প্রতিবার একই ভঙ্গিমায় মিলিত না হয়ে নতুন কিছু চেষ্টা করুন। তাকে বলুন, "চলো আজ নতুন কিছু করি।" আপনার এই আগ্রহই তাকে দ্বিগুণ উত্তেজিত করবে।

আলিঙ্গন ও আদর: কাজ শেষ হলেই তাকে ছেড়ে দূরে সরে যাবেন না। তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকুন। তার বুকে মাথা রাখুন, চুলে বিলি কেটে দিন। এই মুহূর্তের নীরবতাই হাজারটা ভালোবাসার কথা বলে দেয়।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা: তাকে বলুন, "আজকের রাতটা অসাধারণ ছিল।" বা "তোমাকে পেয়ে আমি খুব সুখী।" তার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করুন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে আপনাকে আরও বেশি ভালোবাসবে।

ছোট্ট যত্ন: তার জন্য এক গ্লাস জল নিয়ে আসুন। বা একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছে দিন। এই ছোট ছোট যত্নগুলোই বুঝিয়ে দেয় আপনি শুধু তার শরীরকে নয়, তাকেও ভালোবাসেন।

শেষ প্রশ্নটা আপনার কাছেই। আপনি কি স্বামীর কাছে একজন বোঝা হয়ে থাকবেন, যার শরীরটা পাওয়ার জন্য তাকে যুদ্ধ করতে হয়? নাকি সেই নারী হয়ে উঠবেন, যার শরীরের মায়ায়, আদরের নেশায় সে বারবার বাঁধা পড়তে চায়?

সিদ্ধান্ত আপনার। হয় নিজের সংসারকে বাঁচান, নয়তো নিজের ইগোর আগুনে তিলে তিলে তাকে ছাই হয়ে যেতে দেখুন।
সংগৃহীত

লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করে অন্যদেরও পড়তে দিন।
🌸 আপনার একটুখানি শেয়ার হয়তো কারও হৃদয়ে ছুঁয়ে যাবে।
📌 ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

জানিনা কার সন্তান আমার পেটে, স্বামী নাকি দেবরের!আমার নাম লিমা। সারাদিন একা একা থাকি আর এসব ভাবি। আমি আসলেই কার সন্তান পে...
31/08/2025

জানিনা কার সন্তান আমার পেটে, স্বামী নাকি দেবরের!
আমার নাম লিমা। সারাদিন একা একা থাকি আর এসব ভাবি। আমি আসলেই কার সন্তান পেটে নিয়ে চলাফেরা করছি। দয়া করে আমার পরিচয় সকলের সামনে তুলে ধরবেন না। কারন, আমি আমার সংসারকে অনেক ভালোবাসি।আমার বিয়ে হয়েছে আড়াই বছর আগে। তখন আমি মাত্র এস এস সি পাশ করি। শশুর বাড়ির লোকজন খুব ভালো। তারা সকলেই আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার শশুর বাড়ির কারো ইচ্ছে নেই আমি আরও বেশী লেখাপড়া করি।

আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। আমার স্বামী ছিল অশিক্ষিত। আমি বেশিদুর লেখাপড়া করলে হয়তো তাকে ছাড়তে পারি এই ভয়ে আর একটি কারন হলো তারা কখনই আমাকে চাকুরী করতে দেবে না আর কলেজটিও ছিল আমার শশুর বাড়ি থেকে অনেক দুরে।যাই হোক মূল কথায় আসা যাক। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ির সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে, আদর করে। আমার দুটি দেবর আছে তারা একজন আমার সমবয়সী এবং অন্যজন ১০ম শ্রেণীতে পড়ে। একজনের নাম সুমন আর অন্য জনের নাম সুজা।

সুমন শহরে থেকে লেখাপড়া করে আর সুজা বাড়িতেই থাকে। সুমন বাড়িতে আসলে একসাথে লুডু খেলা হয়। অনেক মজা হয়। এভাবে বছর খানেক কাটে। এদিকে, সুমন এইচ এসসি পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে এসেছে। সবাই মিলে সব সময় হাসাহাসিতেই কাটে।

একদিন আমাদের এক দুর আত্মীয়ের কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। সেখানে সবাই চলে যায়। বাড়িতে শুধু আমি থাকি। এদিকে, সুমন তার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল। সে কারনে সবাই যাওয়ার কিছু পরেই সুমন বাসায় চলে আসে। আসার পর বাড়িতে কেউ নেই শুনে যেন তার ঈদ লাগে। তখন বুঝতে পারিনি বাসায় একা শুনে তার এতো আনন্দ কেন? রুমে গিয়ে লুডু খেলতে বসেছি দুজনে।

সুমন শুধু মিথ্যে করে নিচ্ছিল, আমি তাই তার গালে একটা চিমটি কাটলে সে আমাকে জাপটে ধরে। আমি তখনও মনে করেছি এটা ইয়ার্কি; করছে। কিন্তু সে আমার উপর থেকে এক চুলও নড়ছে না। মেয়ে মানুষ আর কতক্ষন একটি ছেলের কাছে টিকতে পারবো?

সে খুব পরিচিত হওয়ায় এক পর্যায়ে আমিও সায় দিলাম। আমার দেবর সুমনের সাথে আমার শা;রীরি;ক সম্পর্ক হয়ে গেল। এরপর দুপুরের খাবারের পর সে আবারও একবার এসব করল আমার সাথে। আমি আর তাকে বাধা দিইনি। আমাকেও অনেক ভলো লেগেছিল।

এরপর থেকে সে যখনই সুযোগ পেত তখনই এসব করত আমার সাথে। এভাবে চলে প্রায় দুই মাস। এরপর সুমনের রেজাল্ট হয় এবং সে আবার শহরে চলে যায়। তারপর ২-৩মাস পর বুঝতে পারি যে আমি প্রেগনেন্স হয়ে পড়িছি। এখন আমার ছয় মাস চলছে। সেই মূহুর্ত গুলো আমার এখন সারাক্ষন মনে পড়ে। আসলে আমার পেটের এই বাচ্চাটি কার?

আমি মানসিকভাবে খুবই সমস্যায় রয়েছি। এসব কথা কখনও কারো সাথে শেয়ার করার আস্থা আমি পাই না। কথাগুলো বলার আমার একটাই উদ্দেশ্য আমার মতো খেলার ছলে এসব যেন আর কেউ না করে। এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিন

( ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক )

Address

Mirpur
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রোমান ভাই posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram