28/09/2024
#রুকইয়াহ_শিক্ষার_অনলাইন_ফ্রি_ক্লাসঃ
#প্রথম_পর্ব_৩য়_ক্লাস>
সিলেবাস তৈরির তারিখঃ ১০ জুলাই, ২৪ খ্রি.
সৌজন্যেঃ রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প গ্রুপ
প্রশিক্ষকঃ ………………………. .
——————
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা সাঈয়িদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাঈন।
——————
৩. #রুকইয়ার_গুরুত্ব_ও_প্রয়োজনীয়তা।
ক. #রুকইয়ার_গুরুত্বঃ
রুকইয়াহ হচ্ছে জীবন চলার পথে… অনাকাংখিত সমস্যার কারনে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বারবার বাঁধাগ্রস্থ (রোগ বা ক্ষতিগ্রস্থ) হলে, সেই বাঁধাগুলো বদ-নজর, যাদুটোনা ও জ্বিন সমস্যার কারনে হয়ে থাকলে, তা দূর করে দিয়ে আবার সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে (আগের অবস্থানে) ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে (অর্থাৎ সুস্থতা এবং সুন্দর জীবনের জন্যই রুকইয়াহ)।
খ. #রুকইয়ার_প্রয়োজনীয়তাঃ
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, প্যারানরমাল (বদ-নজর -যাদু-টোনা-জ্বিনের আছর সংক্রান্ত)সমস্যার কারনে জীবনের অধিকাংশ সময়ই অস্বাভাবিক- অসহ্য দুঃখকষ্টে পড়ছেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিফল হয়েই ফিরতে হচ্ছে, ভালো কিছুই হচ্ছেনা, সবকিছুতেই বাঁধা বিপত্তি, বিয়েতে বাঁধা, বাচ্চা না হওয়া, সংসারে অশান্তি, স্বাস্থের অবনতি, লাগাতার অসুস্থতা, তাহলে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে, সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠে সুস্থতা লাভের জন্য রুকইয়ার আমল করা শুরু করুন।
৪. #রুকইয়ার_সাথে_হিজামাও_গুরুত্বপূর্ণ।
ক. #হিজামা_কী?
হিজামা অন্যতম একটি সুন্নাহ সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, যা বিজ্ঞান সম্মত একটি গ্রহণযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার মধ্যে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে, এই পদ্ধতি ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসারও অন্তর্ভুক্ত, যাকে বাংলায় শিঙ্গা এবং ইংরেজিতে Cupping Therapy ও বলা হয়, ইউনানীতে হাজামাৎ আর আয়ুর্বেদিকে রক্তমোক্ষণ নামে বেশ পরিচিত।
খ. #হিজামার_পদ্ধতিঃ
এই চিকিৎসা ব্যবস্থা বহু প্রাচীণ, আগে বাঁশ কিংবা প্রাণীর শিং ব্যবহার করে এই চিকিৎসা করা হতো, কিন্তু বর্তমানে শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে সাধারণত গ্লাস কিংবা প্লাস্টিক কাপের সাহায্যে রক্ত বের করে ফেলে দেয়া হয়, এর দ্বারা ভেতরের দূষিত রক্ত দূর হয়ে যায়, যার ফলে মানুষ প্রশান্তি অনুভব করে।
গ. #কেনো_হিজামা_করাবেন?
সুস্থ লোকেরাও হিজামা করাতে পারেন, এতে সুস্থতার সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে, আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান, তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান, তেমনিভাবে নজর / জ্বিন / যাদু / সিহর / ওয়াসওয়াসা বা অন্যান্য শারিরীক- মানসিক- আধ্যাত্মিক রোগের জন্য হিজামা করাবেন, তাহলে রোগ থেকে মুক্তিও পাবেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হবে ইনশাআল্লাহ।
ঘ. #গ্রহণযোগ্য_ও_উত্তম_চিকিৎসা_পদ্ধতিঃ
শরিয়াহ সম্মত (কুরআন-সুন্নাহ মুতাবেক) চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পদ্ধতি সমূহের মধ্যে রুকইয়াহ ও হিজামা অন্যতম, কারন ইসলামী শরিয়তে চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে উত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে “রুকইয়াহ ও হিজামা”, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে আজামাঈন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) ও যুগে যুগে সালাফে-সালেহীনগণ খুবই গুরুত্বের সাথে এ পদ্ধতি গ্রহন করেছেন।
ঙ. #হিজামা_মুলত_কি?
মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতার জন্য প্রাচীন ও সুন্নাহ সম্মত এক চিকিৎসা ব্যবস্থার নাম।
চ. #রুকইয়ার_সাথে_হিজামার_সম্পর্কেঃ
বদনজর / জ্বিন / যাদু / সিহর / ওয়াসওয়াসা বা অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য রুকইয়ার সাথে সাথে হিজামাও খুবই গুরত্বপূর্ণ কার্যকরী ভুমিকা রাখে, তাই রুকইয়ার সাথে হিজামার সম্পর্ক অনেকটা পরিপূরকভাবে জড়িত।