23/10/2015
পিরিয়ড কতিপয় সতর্কতাঃ
আমাদের দেশে মেয়েদের ১১-১২ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়। এ সময়ে আপনার কন্যাসন্তানকে পিরিয়ড সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিন। কারও ১৮ বছর বয়সেও পিরিয়ড না হলে তখন তাকে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। প্রতি ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে দু’একদিন আগে-পরে হতে পারে। ৪০-৪৫ বছর বয়সে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়।
যৌবন শুরুর প্রথম দিকে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। এমনকি দু’তিন মাস পর পরও হতে পারে। পুরোপুরি ম্যাচিউর না হওয়ার কারণে এরকম হয়। এতে ভয়ের কিছু নেই। চার-পাঁচ দিনের বেশি স্রাব হলে, রক্তের সঙ্গে ডেলা বের হলে, দিনে পাঁচ-ছয়টার বেশি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হলে এবং এ সমস্যা পরপর দু’তিন মাসিকে ঘটলে একে অতিরিক্ত রক্তস্রাব বলে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পিরিয়ডের সময় পাঁচ টেবিল চামচের বেশি রক্তস্রাব হলে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন বেরিয়ে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এ সময় কচুশাক, কাঁচা কলা, বেগুন, সবুজ শাকসবজি, গরুর মাংস, যকৃত, ডিমের কুসুম ইত্যাদি আয়রণসমৃদ্ধ খাবার এবং প্রচুর পানি পান করা উচিত।
পিরিয়ডকালীন বিষণ্ন্নতা কমানোর জন্য কলে ছাঁটা চালের ভাত, ডিম, নানারকম বাদাম, বাঁধাকপি, সয়াবিন, মাছ, মাংস, যকৃত ইত্যাদি ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। পেটের ব্যথা কমাতে এবং শরীরের পানির মাত্রা ঠিক রাখতে ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, কলা ইত্যাদি ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাবেন। বিষণ্ন্নতা ও শরীরের আড়ষ্টতা কমাতে দুধ, ছানা, পনির, সয়াবিন, সূর্যমুখী ইত্যাদি ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাবেন।