13/05/2025
থাইরয়েড রোগীদের খাদ্যতালিকা নির্ভর করে রোগের ধরনের উপর (হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম)। কিছু সাধারণ নির্দেশনা নিচে দেওয়া হলো:
# # # **হাইপোথাইরেডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি)**
1. **গয়ট্রোজেনযুক্ত খাবার সীমিত করুন**:
- **যেমন**: কাঁচা বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, সয়াবিন, শালগম, মুলা, আখরোট।
- **টিপ**: রান্না করলে গয়ট্রোজেনের প্রভাব কমে, তাই সেদ্ধ বা ভাপে রান্না করে খান।
2. **সোয়া প্রোডাক্ট**:
- সয়া দুধ, টোফু ইত্যাদি অতিরিক্ত এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলি থাইরয়েড ওষুধের শোষণে বাধা দিতে পারে। ওষুধ খাওয়ার ৩-৪ ঘণ্টা পর সোয়া খান।
3. **আয়োডিনের ভারসাম্য**:
- **হাশিমোটো থাইরয়েডাইটিস** থাকলে অতিরিক্ত আয়োডিন (সামুদ্রিক মাছ, আয়োডিনযুক্ত লবণ) এড়িয়ে চলুন।
- আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে সামুদ্রিক খাবার খান।
4. **প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি**:
- হাইপোথাইরয়েডিজমে ওজন বাড়তে পারে, তাই চিনি, মিষ্টি, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
5. **ফাইবারের মাত্রা**:
- অতিরিক্ত ফাইবার (যেমন: ওটস, শস্য) ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে। ওষুধ খাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর ফাইবার খান।
---
# # # **হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য)**
1. **আয়োডিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন**:
- সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক শৈবাল, আয়োডিনযুক্ত লবণ, দুধ (কিছু দেশে দুধে আয়োডিন যোগ করা হয়)।
2. **ক্যাফেইন ও উত্তেজক পদার্থ**:
- কফি, এনার্জি ড্রিংক, চা কম খান। এগুলি হৃদস্পন্দন ও অস্থিরতা বাড়ায়।
3. **মসলাযুক্ত ও গরম খাবার**:
- অতিরিক্ত মসলা শরীরের তাপ বাড়িয়ে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
4. **অ্যালকোহল ও ধূমপান**:
- থাইরয়েডের লক্ষণ (যেমন: কাঁপুনি, হৃদস্পন্দন) বাড়াতে পারে।
---
# # # **সাধারণ পরামর্শ**:
- **ওষুধের সময়**: লেভোথাইরক্সিন (হাইপোথাইরয়েডিজমের ওষুধ) খালি পেটে খান। ক্যালসিয়াম/আয়রন সাপ্লিমেন্ট বা অ্যান্টাসিডের সাথে অন্তত ৪ ঘণ্টা ব্যবধান রাখুন।
- **পুষ্টিকর খাবার**: সেলেনিয়াম (ব্রাজিল নাট, ডিম), জিঙ্ক (মাংস, বীজ), এবং আয়রনযুক্ত খাবার (পালং শাক, মসুর ডাল) উপকারী।
- **ব্যক্তিগতকৃত ডায়েট**: থাইরয়েড রোগের কারণ ও লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে, তাই একজন **পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের** পরামর্শ নিন।
সব সময় মনে রাখুন, সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাপনের মাধ্যমে থাইরয়েড রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।