
06/05/2025
ECZEMA (একজিমা):
একজিমা একটি দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ যা চুলকানি, লালচেভাব, শুষ্কতা ও ফুসকুড়ি দ্বারা চিহ্নিত হয়। এটি একটি অ-সংক্রামক রোগ যা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায় না ।
একজিমার প্রকারভেদ:
১. এটোপিক ডার্মাটাইটিস: সবচেয়ে সাধারণ ধরন, যা প্রায়ই শিশুদের মধ্যে দেখা যায়
২. কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস: রাসায়নিক বা অ্যালার্জেন সংস্পর্শে হলে হয়
৩. ডিসহাইড্রোটিক একজিমা: হাত ও পায়ের তালুতে হয়
৪. নিউমুলার একজিমা: মুদ্রার আকৃতির গোল দাগ দেখা যায়
৫. সেবোরহিক ডার্মাটাইটিস: মাথার তালু ও মুখে হয়
কারণ:
একজিমার সঠিক কারণ অজানা, তবে নিম্নের কারণগুলো ভূমিকা পালন করে:
- জিনগত প্রবণতা: পরিবারে অ্যাটোপিক রোগ (হাঁপানি, অ্যালার্জি) থাকলে ঝুঁকি বাড়ে
- ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা: অতিসক্রিয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে
- ত্বকের বাধাজনিত ত্রুটি: ত্বক তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না
- পরিবেশগত ট্রিগার:
- শুষ্ক আবহাওয়া
- রাসায়নিক পদার্থ (সাবান, ডিটারজেন্ট)
- অ্যালার্জেন (ধুলো, পরাগ)
- মানসিক চাপ
- কিছু খাবার (ডিম, দুধ, বাদাম)
লক্ষণসমূহ:
একজিমার প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- তীব্র চুলকানি যা রাতে আরও খারাপ হতে পারে
- লালচে, শুষ্ক ত্বক
- ফোসকা যা ফেটে গেলে তরল বের হতে পারে
- ত্বক ফেটে যাওয়া ও ব্যথা
- দীর্ঘস্থায়ী স্ক্র্যাচিংয়ের ফলে ত্বক পুরু হয়ে যাওয়া
শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে লক্ষণের ভিন্নতা দেখা যায়। শিশুদের সাধারণত মুখে, গালে একজিমা হয়, অন্যদিকে বড়দের হাত-পায়ে বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসা:
হোমিওপ্যাথিতে একজিমার চিকিৎসা রোগীর উপসর্গ, শারীরিক গঠন, মনের অবস্থা, এবং রোগের প্রকৃতি অনুসারে নির্ধারিত হয়।
প্রতিরোধ:
একজিমা প্রতিরোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ত্বক সবসময় আর্দ্র রাখুন
- মৃদু, সুগন্ধিমুক্ত সাবান ব্যবহার করুন
- সুতি কাপড় পরুন ও আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
- ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়, তাই সঠিক ওষুধ নির্বাচন এবং ডোজ নির্ধারণের জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।