Raqi HM Rokan sarkar

Raqi HM Rokan sarkar Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Raqi HM Rokan sarkar, Addiction Treatment Center, Mirpur, Dhaka, Mirpur.
(2)

রাসূল (সাঃ) নির্দেশিত চিকিৎসা পদ্ধতির আলোকে জ্বীন,জাদু ও বদনজর,বিয়ে বন্ধ, বাচ্চা কনসিভ না হওয়া, মিসকারেজ,অনিয়মিত পিরিয়ড সহ যাবতীয় রোগব্যাধির রুকইয়া ট্রিটমেন্ট করা হয়।

02/08/2025
শ্বাসকষ্টের কার্যকরী রুকইয়াহবুকে ডান হাত রেখে সূরা ফালাক ও সূরা নাস ১৫ মিনিট পড়বেন। তারপর বুকে ফুঁ দিবেন। পানিতে ফুঁ দ...
01/08/2025

শ্বাসকষ্টের কার্যকরী রুকইয়াহ

বুকে ডান হাত রেখে সূরা ফালাক ও সূরা নাস ১৫ মিনিট পড়বেন। তারপর বুকে ফুঁ দিবেন। পানিতে ফুঁ দিয়ে খাবেন এবং মাঝেমধ্যে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুই বার করে এভাবে রুকইয়াহ করবেন। ১৫-২০ দিন এভাবে রুকইয়াহ করলে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

বদনজরের সেলফ রুকইয়াহএকেবারেই সহজ। মৌলিক কাজ মাত্র দুটি। ১. অডিও শোনা২. রুকইয়াহ গোসল করা। প্রথমে নিচের লিংক থেকে ১ ও রাতে...
30/07/2025

বদনজরের সেলফ রুকইয়াহ
একেবারেই সহজ। মৌলিক কাজ মাত্র দুটি।
১. অডিও শোনা
২. রুকইয়াহ গোসল করা।
প্রথমে নিচের লিংক থেকে ১ ও রাতে ঘুমের আগে ৮ নং অডিও শুনবেন।
ruqyahbd.org/d
১ নং অডিও শোনার পর রুকইয়াহ গোসল করবেন।
=======================================
রুকইয়াহ গোসলের নিয়ম হচ্ছে, এক বালতি পানি টয়লেটের বাহিরে এনে তাতে দুই হাত চুবিয়ে নিচের আয়াতগুলো পড়বেন।
১)প্রথমে নামাজের দুরুদ (আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা..)-- ৭ বার
২) সুরা ফাতিহা--৭ বার
৩) আয়াতুল কুরছি--৭ বার
৪) সূরা ইখলাস--৭ বার
৫) সূরা ফালাক-- ৭ বার
৬) সূরা নাস-- ৭ বার
৫) শেষে আবার দুরুদ শরীফ-- ৭ বার
প্রত্যেকটা ৩ বা ৫ বা ৭ বার করে পড়বেন। তারপর হাত উঠাবেন। তারপর গোসল করবেন। যত বেশি পড়বেন, ততই উত্তম।
=======================================
এছাড়া প্রতিদিন পূর্ণ সুস্থতার নিয়তে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সূরা ইখলাস,
নাস ও সূরা ফালাক পড়বেন।
বি:দ্র:
=> ৭ থেকে ১০ দিন রুকইয়াহ করলেই সমস্যা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
.
=> ঠিকমতো সাজেশন ফলো করলে ইনশাআল্লাহ বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। আল্লাহ সমস্যাগুলো দূর করে দিবেন।
=> আপনারা নামাজ ও পর্দায় সর্বোচ্চ ‍গুরুত্ব দিতে হবে।
=> হারাম থেকে ‍দূরে থাকতে হবে।
=> প্রাথমিকভাবে অডিও শুনলে শরীরে একটু ইফেক্ট দেখা যেতে পারে। যেমন প্রচুর ঘুম, হাত পা হালকা ব্যাথা, ঘাম হওয়া ইত্যাদি। কুরআনের তিলাওয়াতের প্রভাবে সমস্যা কেটে যাচ্ছে বলেই এমন ইফেক্ট অনুভূত হয়। কয়েকদিন গেলে সমস্যা কেটে যাবে। আর কোনো ইফেক্ট অনুভূত হবে না। তখন ধরে নিবেন আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন। কাজেই রুকইয়াহ অফ করবেন না।
=> তাবিজ থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আগে নষ্ট করে নিবেন। তাবিজে যাদু থাকে। এসব ব্যবহারের জন্য তাওবাহ করবেন।
.
https://www.facebook.com/groups/759341137812035/permalink/876580716088076/

বদনজরের লক্ষ্মণ সমূহঃ১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..৩। প্রায়সময় কাজে মন ...
30/07/2025

বদনজরের লক্ষ্মণ সমূহঃ

১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।
ইত্যাদি
, উল্লেখিত বিষয়গুলো এমন না যে শুধু বদনজরের কারণেই এসব হয়, অন্য কারণেও হতে পারে। তবে এরমাঝে কয়েকটা থাকলে আপনি ধরে নিতে পারেন! তবে জাদুর লক্ষ্মণের সাথে বদনজরের অনেক মিল আছে!
এক্ষেত্রে অবশ্যই রুকইয়া করে সমস্যার বিষয় নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা করবেন।
মনে রাখবেন- "চিকিৎসা নিতে যতো দেরি- ততো বেশি ক্ষতি"

ঘরে দুষ্ট জ্বীন থাকার ১০টি লক্ষণ১. হঠাৎ করে ঘরের পরিবেশ ভারী হয়ে যাওয়া২. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অহেতুক ঝগড়া-বিবাদ৩. মাঝ...
30/07/2025

ঘরে দুষ্ট জ্বীন থাকার ১০টি লক্ষণ

১. হঠাৎ করে ঘরের পরিবেশ ভারী হয়ে যাওয়া
২. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অহেতুক ঝগড়া-বিবাদ
৩. মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া, দুঃস্বপ্ন বা ভয় পাওয়া
৪. ঘরে আজান বা কুরআন তেলাওয়াত চলাকালীন অশান্তি সৃষ্টি
৫.ঘরের নির্দিষ্ট কোন জায়গা সবসময় ঠাণ্ডা বা গা ছমছমে অনুভব হওয়া
৬. ইলেকট্রনিক ডিভাইস বারবার নষ্ট হওয়া বা বিকল হয়ে যাওয়া
৭. ছোট বাচ্চাদের অস্বাভাবিক কান্না বা ভয় পাওয়া
৮. অদৃশ্য আওয়াজ বা পায়ের শব্দ শোনা
৯. খাবারে পচন, গন্ধ বা অদ্ভুত স্বাদ হয়ে যাওয়া
১০. বারবার বিপদ, রোগ বা ব্যবসায় ক্ষতি ঘটতে থাকা

সমাধান:

ঘরে নিয়মিত সুরাহ বাকারাহ তেলাওয়াত

ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি

সকাল-সন্ধ্যার যিকর

ইসলামি রুকইয়াহ (সুন্নাহ অনুযায়ী) করানো

বিশেষ সতর্কতা
যদি এ রকম আলামত অনেকগুলো মিলে যায়, তবে বিশেষজ্ঞ রুকইয়াহ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিয়ে বন্ধের জাদুর কিছু লক্ষ্মণ  যা জানা জরুরি ১. ব্যক্তিগত লক্ষণ:বিয়ের প্রসঙ্গ আসলেই মন খারাপ হয়ে যাওয়া বা অস্বস্তি লাগা...
30/07/2025

বিয়ে বন্ধের জাদুর কিছু লক্ষ্মণ যা জানা জরুরি

১. ব্যক্তিগত লক্ষণ:

বিয়ের প্রসঙ্গ আসলেই মন খারাপ হয়ে যাওয়া বা অস্বস্তি লাগা।

অজানা কারণে বিয়ের প্রতি প্রচণ্ড অনীহা বা ভয় কাজ করা।

মনে অকারণে বিয়ে করতে না চাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত হওয়া।

বারবার বিয়ে পাকা হওয়ার পরও নানা অজুহাতে ভেঙে যাওয়া।

বিয়ের প্রস্তাব আসলে শরীরে অস্থিরতা বা মাথা ব্যথা অনুভব করা।

২. স্বপ্নের মাধ্যমে লক্ষণ:

বারবার কালো ছায়া, ভয়ংকর প্রাণী (যেমন সাপ, বিড়াল, কুকুর) দেখা।

অন্ধকার জায়গা বা কবরস্থান সম্পর্কিত স্বপ্ন দেখা।

একই ব্যক্তি বা কোনো অপরিচিত মানুষের দ্বারা ভয় দেখানোর স্বপ্ন দেখা।

কেউ যেন বাঁধা দিচ্ছে বা দম বন্ধ করে দিচ্ছে এমন অনুভূতি হওয়া।

৩. শারীরিক লক্ষণ:

নিয়মিত মাথাব্যথা, বিশেষ করে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে বেশি হওয়া।

শরীরে অকারণে ক্লান্তি, দুর্বলতা, অলসতা অনুভব করা।

প্রচণ্ড বিষণ্ণতা বা হতাশা অনুভব করা।

শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা, বিশেষ করে পিঠ, ঘাড়, বা কাঁধে ভারী ভাব লাগা।

৪. সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা:

বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়ে যাওয়া।

কোনো কারণ ছাড়াই প্রস্তাবকারী বা পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া।

হঠাৎ করে ব্যক্তির প্রতি লোকজনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

যাদুর কমন লক্ষণসমূহঃ==================(০১) ঘাড়ে, পিঠের উপরের অংশে ব্যথা।(০২) মেরুদন্ডের নিচের দিকে ব্যথা।(০৩) প্রায় সময়ই...
30/07/2025

যাদুর কমন লক্ষণসমূহঃ
==================
(০১) ঘাড়ে, পিঠের উপরের অংশে ব্যথা।
(০২) মেরুদন্ডের নিচের দিকে ব্যথা।
(০৩) প্রায় সময়ই শরীরে জ্বরজ্বর ভাব থাকা।
(০৪) চোখের অবস্থার অস্বাভাবিকতা।
(০৫) পেটে বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে।
(০৬) ঋতুস্রাবের অস্বাভাবিকতা (কম/বেশি, প্রচন্ড যন্ত্রণা ইত্যাদি)।
(০৭) পুরুষদের প্রস্রাবে সমস্যা (Infection)।
(০৮) তীব্র মাথা যন্ত্রণা, ঔষধে তেমন কাজ হয় না।
(০৯) শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা।
(১০) রুচি ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, সর্বদা পেট ভরাভরা অনুভব।
(১১) প্রায় সময়ই বমিবমি ভাব।
(১২) প্রচন্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
(১৩) পেটে কোনো সমস্যা/অসুখ আছে, টেস্টে ধরা পড়ে না।
(১৪) স্বামী/স্ত্রী/পরিবার/সমাজের প্রতি প্রচন্ড বিতৃষ্ণা/বিরক্তি অনুভব।
(১৫) বিকেলে/সন্ধ্যার দিকে প্রচন্ড বিষন্নতা, মেজাজ খারাপ থাকা।
(১৬) মাথা সবসময় ভারী হয়ে থাকা।
(১৭) মাথায় প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব।
(১৮) প্রচন্ডভাবে ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
(১৯) ইবাদত বন্দেগীতে প্রচন্ড অনীহা, অস্বস্তি।
(২০) ইবাদত বন্দেগীতে সমস্যার বৃদ্ধি।
(২১) কোনো রোগ দীর্ঘ্য-চিকিতসায়ও ভালো না হওয়া।
(২২) শরীরে (ঘামে) পোড়া-পোড়া গন্ধ।
(২৩) ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া।
(২৪) ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা।
(২৫) স্বপ্নে কোনো কিছু খাওয়া।
(২৬) স্বপ্নে কোনো কিছুতে ধাওয়া করা (হিংস্র প্রাণী ইত্যাদি)।
(২৭) স্বপ্নে গোরস্থান বা কোনো নির্জন স্থানে নিজেকে বারবার দেখা।
(২৮) স্বপ্নে নিজেকে পুকুর, খাল, নদী, সমুদ্র ইত্যাদিতে নামতে দেখা। ইত্যাদি।

রাক্বী এইচ এম রোকন উদ্দিন
রুকইয়া কনসালটেন্টঃ
আশ শিফা রুকইয়া এন্ড হিজামা সেন্টার
01775503070

রিযিকের সমস্যা দূর করার ইফেক্টিভ রুকইয়াহপর্ব ২🔹 রুকইয়াহ গোসল ও ওয়ার্ম-আপ:🛁 রুকইয়াহ গোসলের নিয়ম👉 সময়: ফজরের পর মাসনূন...
30/07/2025

রিযিকের সমস্যা দূর করার ইফেক্টিভ রুকইয়াহ

পর্ব ২

🔹 রুকইয়াহ গোসল ও ওয়ার্ম-আপ:

🛁 রুকইয়াহ গোসলের নিয়ম
👉 সময়: ফজরের পর মাসনূন আযকার ও আমল শেষে রুকইয়াহ'র গোসল টি করবেন। তবে দিনের অন্য যেকোনো সময়ও করতে পারেন। (যখন একান্ত সময় পাবেন)

👉 প্রস্তুতি: একটি বালতিতে পানি নিয়ে দুই হাত কনুই বা কব্জি পর্যন্ত ডুবিয়ে নিচের আয়াত ও সূরাগুলো প্রতিটা ৩ বার করে পড়ুন:

1. দরুদ শরীফ
2. সূরা ফাতিহা
3. আয়াতুল কুরসি
4. সূরা ইখলাস
5. সূরা ফালাক
6. সূরা নাস
7. দরুদ শরীফ

সম্ভব হলে সূরা হাজ্জ্ব ৪৫ ও সূরা তাকভীর ১-৪ নং আয়াত যুক্ত করে নিবেন।

📌 এরপর হাত উঠিয়ে পানি ওপর তিনবার ফুঁ দিন এবং গোসলের জন্য বিসমিল্লাহ বলে ডেকে রেখে দিন।

---

🔸 🏃 এরপর গোসলের আগে সুস্থতার নিয়তে ১৫-২০ মিনিট ওয়ার্ম-আপ ব্যায়াম ( Warm-up Exercise) করুন যেন শরীর ঘামে। যেমন: ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। দড়ি লাফ পুশ-আপ, দৌড়ানো বা ট্রেডমিল, হালকা চেইন আপ ইত্যাদি। এক বা একাধিক যেকোনো ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়া অন্য কোনো ব্যায়ামও করতে পারেন।

👉 চাইলে শীতের কাপড় পরে নিতে পারেন ঘাম বাড়াতে।

---

🔹 🚿 এরপর রেডি করে রাখা রুকইয়াহর পানি দিয়ে গোসল করে নিন। সুস্থতা, রিযিকে বাধা ও বাধার সকল কারণ দূর হওয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের নিয়ত করে গোসল করুন।

---

🎧 রুকইয়াহ অডিও শোনা:

আমাদের Sunnah Cure BD ইউটিউব চ্যানেল থেকে খালিদ আল হিবশী ও আবু মুহাম্মদ ইরাকী রাহি. দুজনের দুটি অডিও শুনবেন।

রুকইয়াহ শোনার নিয়ম:
প্রতিদিন অন্তত ২ বার এই অডিওটি শুনুন – ইয়ারফোন লাগিয়ে, চোখ বন্ধ করে, সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে, সুস্থতার ও রিযিকের সকল বাধা দূর হওয়ার নিয়তে শুনবেন।

সম্ভব হলে সকাল ও রাতে শুনবেন। প্রতিটা দুইবার করে শোনা সম্ভব না হলে একবার করে শুনবেন। একাটা সকালে আরেকটা রাতে। কিংবা আপনার সুবিধা অনুযায়ী সময়।

📎 অডিও লিংক কমেন্টে দেওয়া আছে।

---

🕌 পাশাপাশি ৩টি আমল চালু রাখুন প্রতিদিনঃ

1. ❖ ১০০০ বার করে ইস্তিগফার (যেমন- আস্তাগফিরুল্লাহ)

2. ❖ ১০০০ বার করে দুরুদ শরীফ (যেকোনো দরুদ)

3. ❖ সামর্থ্যানুযায়ী নিয়মিত সদকা (অল্প হলেও হোক। যেমন- ডেইলি ২ টাকা)

আরো কিছু করণীয়:
কুরআন হাদীসে বর্ণিত আরো কিছু কাজ করুন।

সকালবেলা ঘুমাবেন না।
যথাসময়ে নামাজ পড়ুন।
অলসতা পরিহার করুন।
আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখুন।
তাকওয়া অবলম্বন করুন।
তাওয়াক্কুল ঠিক রাখুন।
পাপাচার মুক্ত থাকুন।
বৈধ উপায়ে উপার্জন করুন।
খেয়ানত করবেন না।

👉 যারা এই পদ্ধতি নিয়মিত অনুসরণ করবেন, তাদেরকে অনুরোধ থাকবে— অভিজ্ঞতা ও ফলাফল জানাতে ভুলবেন না।

---

⚠️ জেনে রাখুন: চারটি জিনিস রিযিককে বাধাগ্রস্ত করে –
১. সকালে ঘুমানো
২. নামাযে অবহেলা
৩. অলসতা
৪. খেয়ানত করা

📚 রেফারেন্স: ইবনু কায়্যিম (রহ.) — যাদুল মা'আদ ৪/৩৭৮

---

🟩 আল্লাহ আমাদের সকলের হালাল রিযিকের দ্বার খুলে দিন, আমাদের অন্তরকে শুদ্ধ করুন, এবং শরয়ি উপায়ে সাহায্য প্রাপ্তির তাওফীক দান করুন। আমীন।

জিনের সমস্যায় সেলফ রুকইয়াহ----[ক]রুকইয়ার নিয়ম-কানুন আলোচনার আগে আমাদের জানার বিষয় হল, জিনের সমস্যার জন্য সেলফ রুকইয়াহ কর...
12/07/2025

জিনের সমস্যায় সেলফ রুকইয়াহ
----
[ক]
রুকইয়ার নিয়ম-কানুন আলোচনার আগে আমাদের জানার বিষয় হল, জিনের সমস্যার জন্য সেলফ রুকইয়াহ করা যায় কি না?
উত্তর হল, হ্যাঁ যায়। প্রচুর মানুষ নিজে নিজে রুকইয়াহ করেই সুস্থ হয় আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে বিষয়টা খুব কষ্টকর হয়ে যায়, এই কারণে আমরা যদি আন্দাজ করতে পারি জিনের সমস্যা আছে, তখন সরাসরি কাউকে দিয়ে রুকইয়াহ করাতে পরামর্শ দিই।

যাহোক, আজকের বিষয় হল, একজন জিন আক্রান্ত রোগী বা রোগীর পরিবার কি কি কাজ করতে পারে, যদি তাঁরা রুকইয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞ কাউকে অথবা কোন পেশাদার রাক্বি খুঁজে না পায়।

১. প্রথমে জানা উচিত, ‘যারা রাক্বি, তাঁরা অন্য গ্রহের কেউ না, তাঁরাও আপনার মতই মানুষ। আপনি যদি জানেন কিভাবে রুকইয়াহ করতে হয়, তাহলে চেষ্টা করলে আপনিও অন্যের জন্য রুকইয়াহ করতে পারবেন।’ সুতরাং আপনার প্রথম করনীয় হল, জিনের রুকইয়াহ করার নিয়মকানুন, সরাসরি রুকইয়ার পর সেলফ রুকইয়াহ হিসেবে কি কি করনীয় - এই বিষয়গুলো আমাদের সাইট/ ফেসবুক গ্রুপ/বই থেকে ভালভাবে পড়ে নিন। এরপর নিজের পরিবারের অসুস্থ ব্যক্তির রুকইয়াহ করার চেষ্টা করুন। (দেখুন- https://ruqyahbd.org/blog/category/jinn-possession )
২. নিকটস্থ মসজিদ বা মাদরাসায় গিয়ে কথা বলুন, কোন উস্তায, সিনিয়র ছাত্র অথবা ইমাম-মুয়াযযিন সাহেব সময় দিতে পারবে কি না। একজন হাফেজ বা আলেমকে যদি আপনি রুকইয়ার নিয়মকানুনগুলো বুঝিয়ে বলতে পারেন, বই বা ওয়েব থেকে পড়াতে পারেন, তাহলে তাঁর জন্য বিষয়টা বেশ সহজ। এছাড়া অনেকে পড়া শুদ্ধ না হওয়ার কারণে পুরাপুরি ফায়দা পায়না, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ আলেমদের গিয়ে বলা যায় ‘এই এই আয়াতগুলো পড়ে একটু পানিতে ফুঁ দিয়ে দিলে ভাল হত’।
রোগীদের অনেকে এটা নিয়মিত করেনও। প্রয়োজনে কিছু হাদিয়া-তোহফা দিলেন, উনাদেরও ভাল লাগলো। আপনি এটা আশা রাখতেই পারেন, আপনার এলাকার পরিচিত আলেমরা রুকইয়াতে অনেক দক্ষ না হলেও প্রফেশনাল রাকিদের চেয়ে আন্তরিক হবেন ইনশাআল্লাহ। যদি পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু টাকা নেয়ও, প্রফেশনালদের মত অত বেশি নিবে না।
৩. এরপরের কাজগুলো নিজেদের। রোগীর নিজের সাধ্যমত সেলফ রুকইয়াহ করা, আর সম্ভব হলে পরিবার লোকেরা মাঝেমধ্যে সরাসরি রুকইয়াহ করা। (প্রয়োজনে রুকইয়াহ করার ক্ষেত্রে নিয়মিত কারও সাথে পরামর্শ করতে পারেন। আর সেলফ রুকইয়ার গাইডটা ঠিক করে নিতে পারেন।)
--
[খ]
সেলফ রুকইয়াহ হিসেবে কি কি করা যায়?
এক কথায় বললে, সরাসরি জিনের রুকইয়ার পরের যে পরামর্শগুলো দেয়া আছে, সেসব করতে পারেন। অথবা “সার্বজনীন পূর্ণ রুকইয়াহ গাইড” লেখাটা ফলো করতে পারেন। (দেখুন- https://ruqyahbd.org/blog/305 )
ওই পরামর্শগুলো হচ্ছে -

১. প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব রুকইয়াহ শোনা। কমপক্ষে ৩ ঘন্টা। যার মাঝে থাকবে-“সূরা বাকারা এবং ৮ সূরার রুকইয়াহ (সূরা ইয়াসীন, সফফাত, দুখান, জিন, যিলযাল, ইখলাস, ফালাক এবং নাস), সূরা আলে ইমরান, তাওবাহ, কাহাফ, মারইয়াম, হা-মীম সাজদা (ফুসসিলাত), আর-রহমান, মুলক, তাকউইর, ইনফিতার, বুরুজ, ত্বরিক, আ‘লা এবং শেষ ১৫টি সূরা।”
লাভার জিন-টাইপের সমস্যা হলে বা জিন সেক্সুয়ালি টর্চার করলে সেক্ষেত্রে এই সূরাগুলোর সাথে “রুকইয়াহ যিনা, সূরা ইউসুফ এবং সূরা নূর” শোনা উচিত। আর কিছুদিন “আসক্ত বা বশ করার জাদু” এর রুকইয়াহ করা উচিত।
রুকইয়ার অডিও পাওয়া যাবে - https://ruqyahbd.org/download লিংকে।
কোরআনের অন্যান্য সুরার অডিও পাবেন - https://www.mp3quran.net/eng/shur লিংকে।
২. এর পাশাপাশি যতটুকু সম্ভব তিলাওয়াত করা। কেউ যদি ঠিকমত রুকইয়াহ শুনতে না পারে, সেক্ষেত্রে নিজে নিজে তিলাওয়াত করা ৪৫মিনিট থেকে একঘন্টা। এবং এর মাঝে সূরা বাকারা বেশি বেশি পড়া উচিত, সম্ভব হলে সুরা বাকারার ৮০টি থেকে ১০০টি আয়াত (পারলে আরও বেশি) পড়া উচিত। এছাড়া চাইলে সূরা ইয়াসীন, সফফাত, দুখান, মূলক, জিন- এসবও পড়তে পারেন। উল্লেখিত সুরাগুলো পড়া অতিরিক্ত কঠিন হলে প্রতিদিন ইখলাস, ফালাক, নাস এবং আয়াতুল কুরসি বারবার পুনরাবৃত্তি করেও রুকইয়াহ করতে পারেন।
৩. রুকইয়ার আয়াত, দোয়া, দরুদ ইত্যাদি পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন পান করা, গোসল করা। এরকমভাবে চাইলে মধু কালোজিরাতে ফুঁ দিয়েও খেতে পারেন। অলিভ অয়েলে ফুঁ দিয়ে মাথায় বা ব্যথার যায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। - এই সবগুলো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রেই নিয়ত করবেন “আল্লাহ যেন এই জ্বিন শয়তানের সমস্যা থেকে আরোগ্য দেয়। হিফাজত করে। আগামীতে যেন আর আক্রমন করতে না পারে।” ইত্যাদি ইত্যাদি।
৪. এই দুআটা ফজরের পর ১০০ বার পড়া।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদ, ওয়াহুওয়া 'আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
- উল্লেখিত কাজগুলো অন্তত দেড় মাস চালু রাখা। এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল :
৫. সকালে সূরা ইয়াসীন এবং রাতে সূরা মুলক পড়া। যদি পড়তে না জানে তাহলে তিলাওয়াত শোনা। ঘুমের সমস্যা থাকলে, রাতে ঠিকমত ঘুম না হলে ঘুমের আগে ৮ সূরার রুকইয়াহ শুনতে পারেন।
৬. পুনরায় শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমের আগের মাসনূন আমলগুলো খুব গুরুত্বের সাথে করা। অল্প হলেও প্রতিদিনই করা। এটা কখনও বাদ না দেয়া। মেয়েরা পিরিয়ডের সময়ে মাসনুন আমলগুলো সময় মত করবেন, অবহেলা করবেন না।
মাসনুন আমল বলতে হিফাজতের আমলগুলো যেমন, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস-এর আমল করা, ওযু করে ঘুমানো, ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসী পড়া ইত্যাদি। (একটু পরে লিংক দেয়া হয়েছে)
৭. খাওয়াদাওয়া, ঘরে প্রবেশ, কাপড় পরিবর্তন সহ সকল ভালো কাজে বিসমিল্লাহ বলার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৮. বাড়িতে প্রতি ৩ দিনে একবার সূরা বাকারা তিলাওয়াত করা। নিজে তিলাওয়াত করতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে করানো, একান্ত অপারগ হলে অডিও প্লে করে শোনা। কয়েকমাস পর্যন্ত নিয়মিত এই আমলটা অব্যাহত রাখা।
৯. ফরজ ইবাদাতে কোনোপ্রকার অবহেলা করা উচিত না। যতই কষ্ট হোক সঠিক সময়ে নামাজ পড়া উচিত। রোগী মেয়ে হলে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পর্দা করা। আর পুরুষ হলে সবসময় জামাতে নামায পড়া। সমস্যা ভালো হওয়া পর্যন্ত, পারতপক্ষে রাতে একা একা না ঘুমানো। বিয়ের উপযুক্ত হলে যতদ্রুত সম্ভব, বিয়ে করে ফেলা।
১০. গানবাজনা, নাটক-সিনেমা ইত্যাদি হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকা। ভালো লোকদের সাথে ওঠাবসা করা, মন্দ লোকদের সঙ্গ ত্যাগ করা।

[গ]
ওপরের সাজেশন একটু কঠিন হলেও যদি ঠিকমত অনুসরণ করা হয়, তবে ইনশাআল্লাহ অনেক উপকার হবে। সংক্ষেপে এর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বলে দিই, চেষ্টা করবেন অন্তত এগুলো ঠিক রাখতে -
ক. হিফাজতের মাসনুন আমল করা। বিশেষত সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমের আগের যিকরগুলো। ফরজ ইবাদাতগুলো অবশ্যই করা, যতই কষ্ট হোক। (বেসিক মাসনুন আমল দেখুন - https://facebook.com/groups/ruqyahbd/permalink/940739892779997/ এই লিংকে)
অসুস্থতার কারণে যিকর বা সালাত সঠিক সময়ে করতে না পারলে সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই আদায় করে ফেলা উচিত।দাঁড়িয়ে না পারলে বসে, বসে না পারলে শুয়ে হলেও পড়তে হবে। নামাজের পরও হিফাজতের যিকর করতে দেরি করা উচিত না, তখন শয়তান সুযোগ পেয়ে যায়।
খ. ‘সুস্থতার নিয়তে’ রুকইয়ার দোয়া এবং আয়াতগুলো নিয়মিত তিলাওয়াত করা, তিলাওয়াত শোনা। নিজের তিলাওয়াতের তালিকার মাঝে সকালে সুরা ইয়াসিন, রাতে মূলক, দিনের অন্যান্য সময় সুরা বাকারা রাখুন। প্রতি ২-৩দিনের মাঝে সুরা বাকারা একবার শেষ করার চেষ্টা করুন। এছাড়া রুকইয়ার কমন আয়াতগুলোও পড়তে পারেন। ( https://ruqyahbd.org/ayat পেজের ‘কমন রুকইয়ার আয়াত এবং দোয়া’ পিডিএফটা দেখে বা প্রিন্ট করে পড়তে পারেন)
এছাড়া আপনি রুকইয়ার আয়াত পড়া বা শোনার সময় শয়তান জ্বলে-পুড়ে যাওয়ার নিয়ত করতে পারেন, শরির থেকে যেন বের হয়ে যায়, আর প্রবেশ করতে না পারে এরকম নিয়ত করতে পারেন। রুকইয়ার ক্ষেত্রে নিয়তটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা মাথায় রাখবেন।
গ. অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে না পারলে অন্তত প্রতি সপ্তাহে কয়েকদিন রুকইয়ার গোসল করা। ফলে দ্রুত সুস্থতা পাওয়া যাবে, আর অডিও শোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হবে।
এক্ষেত্রে বদনজরের গোসলের মত (এক বালতি পানিতে হাত রেখে ৭বার করে দরুদ, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস, শেষে আবার দরুদ পড়ে গোসল করা) অথবা অন্য যেকোনো নিয়মে রুকইয়াহ গোসল করা যেতে পারে। গোসলের সময় "জিনের সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য করছি" এরকম নিয়ত করবেন।
ঘ. একমাস পরপর ৭দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ করতে পারেন। (লিংক https://ruqyahbd.org/detox )। তবে ডিটক্স রুকইয়ার জিনিসপত্র ম্যনেজ করা, তৈরি করা অতিরিক্ত কষ্টকর হলে আরবি মাসের মাঝের ও শেষদিকে ৩-৪দিন করে বরই পাতার গোসল দিতে পারেন।
ঙ. বেশি বেশি ইস্তেগফার, মাঝেমাঝে সাদকাহ করে দোয়া করা, তাহাজ্জুদ পড়ে পড়ে দোয়া করা। এসবও উপকারী হবে এবং অন্যান্য কাজকে সহজ করবে ইনশাআল্লাহ।

এছাড়া আপনার সমস্যা অনুযায়ী অভিজ্ঞ কারও সাথে সামনাসামনি কথা বলে বা রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপে পোস্ট করে সেলফ রুকইয়ার প্রেসক্রিপশন বানিয়ে নিতে পারেন। কিছু জিজ্ঞেস করার থাকলে উনার থেকে ক্লিয়ার হয়ে নিলেন।
[ঘ]
রোগীর ওপর জিন আসর হলে পরিবারের লোকেরা যদি কি করবে বুঝতে না পারে, রুকইয়ার ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ হয়, তাহলে আপাতত সমাধান হিসেবে রোগীর পরিবাররা কানের কাছে আজান দিতে পারে বারবার। আযানের রুকইয়ার অডিওটা শোনাতে পারেন (ডাবল আজানের রেকর্ডটা এরকম অবস্থায় বেশি উপকারী দেখা গেছে, অডিও ডাউনলোড পেজের শেষদিকে পাবেন। কেউ কেউ ধমকের স্বরে রুকইয়াটা উপকারী বলেছে, তবে এটা আমার ভালো লাগে না তিলাওয়াতের স্বাভাবিকতা নষ্টের জন্য, কেউ শুনতে চাইলে অডিও ডাউনলোড সেকশনের ২য়-পেজে পাবেন)। আর রুকইয়ার পানি তৈরি করা থাকলে সেটা মিশিয়ে গোসল দিয়ে দিতে পারে, বা পরিবারের কেউ একজন পানিতে হাত রেখে দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, চারকুল (সুরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস) শেষে আবার দরুদ – সব ৭বার পড়ে এই পানি দিয়ে রোগীকে গোসল করিয়ে দিতে পারে, পানিতে হাত রাখা বেশি কষ্টকর হলে এগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে পারে। তাহলে অবস্থা কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
রুকইয়াহসহ সবধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই পরিবারে কেউ যদি সাপোর্ট দেয়ার মত, খোঁজখবর নেয়ার মত থাকে, তাহলে সবচেয়ে ভাল হয়। আর যদি হেল্প করার মত পরিবারে কেউই না থাকে, তবুও রুকইয়াহ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সাহস রাখতে হবে। দৃঢ় মানসিকতার হতে হবে। বেহুশ হয়ে গেলেও ভয় পাব না, আজ জিনের একদিন কি আমার একদিন, এরকম শক্ত মনোভাব নিয়ে শুরু করতে হবে। ভঙ্গুর এবং ধারালো জিনিসপত্র ঘর থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। বিছানায় বসে তেলাওয়াত করতে হবে বা অডিও শুনতে হবে, যেন বেহুশ হয়ে শুয়ে পড়লে ব্যথা না লাগে। আর এরকম ক্ষেত্রে চাইলে নাগালের বাইরে কোথাও গোপন ক্যামেরা রাখা যেতে পারে ভিডিও চালু করে। যাতে প্রয়োজনে জ্ঞান হারানোর পর কি হয়েছিল দেখা যায়।
[ঙ]
সেলফ রুকইয়াহ করতে গিয়ে কি কি প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে? সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
জিন সংক্রান্ত সমস্যায় মানুষ রুকইয়াহ করতে ভয় পায় মূলত একটা কারণে। জিন যদি আসর করে বসে!! এই ভয়ে মানুষ রুকইয়াহ করে না। জাদুর সমস্যায় আক্রান্ত অনেকেও এই ভয়ে রুকইয়াহ করে না। রুকইয়াহ সেন্টারে দেখা যায়, অনেকের সমস্যা খুবই কম ছিল, অল্প কদিন রুকইয়াহ করলেই ভাল হয়ে যাবে এমন। তবুও অহেতুক ভয় পেয়ে রুকইয়াহ করেনি, সমস্যা জমিয়ে রেখে রেখে বাড়িয়েছে।
জেনে রাখা ভালো, যাদের জিন-জাদুর সমস্যা কম কিংবা মধ্যম মাত্রায়, সাধারণত তাঁরা নিজে নিজে রুকইয়াহ করলে জিন আসর করেনা। আর যাদের সমস্যা অনেক বেশি, কিংবা আগেও অনেকবার জিনের আসর হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত নিজে রুকইয়াহ করলেও আসর হতে দেখা যায়, তবুও সেটা সরাসরি অন্য কেউ রুকইয়াহ করার তুলনায় অনেক কম। আর এদের ক্ষেত্রে রুকইয়াহ না করলে এমনিতেই যেকোনো সময় আসর হতে পারে, কারণ এদের শরীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক দুর্বল থাকে।
তিলাওয়াত করার আগে আয়াতুল কুরসি তিনকুল পড়ে শরির মুছে নিতে পারেন এই নিয়তে, যেন শয়তান রুকইয়ার সময় আপনার ওপর সওয়ার হতে না পারে। আর আপনি যদি এভাবে শক্ত মানসিকতা নিয়ে জমে বসেন যে, আমার ওপর কিছুতেই জিনকে প্রভাব বিস্তার করতে দিব না, তাহলে আপনি জিনের রোগী হলেও এই সময় সহজে আপনার ওপর জিন আসর করতে পারবে না।
যাহোক, যাদের সমস্যা অনেক বেশি, তাঁরা রুকইয়াহ শুনতে বা পড়তে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন, জিন আসর করতে পারে, সেক্ষেত্রে ভয় পাওয়া যাবে না। চেষ্টা করতে হবে তিলাওয়াত চালিয়ে যাওয়ার। অনেক সময় গলায় চাপ দিতে পারে, সেক্ষেত্রে রুকইয়ার পানি হাতের কাছে রাখবেন, পানি খেয়ে নিবেন। অজ্ঞান হয়ে যেতে লাগলে পানি ছিটা দিবেন বা স্প্রে করবেন। আতরে ফুঁ দিয়ে রাখবেন, সেটার ঘ্রাণ নিবেন। এভাবে আস্তে আস্তে আপনার সচেতনতা এবং নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে আর শয়তান দুর্বল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর এই সময় যদি আশেপাশে কেউ থাকে, পরিবার বা সহপাঠী বন্ধুরা সহায়তা করে, তাহলে বিষয়টা আরও সহজ হবে। সম্ভব হলে আপনার আশেপাশের মানুষদের জিনের সাথে কথোপকথনের বিষয়টা বুঝিয়ে বলবেন, যেন জ্বিন কিছু বললে তারা ঘাবড়ে না যায়, জিনকে উলটা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে রাখে।
নিজে নিজে রুকইয়াহ করতে থাকলে শয়তান আরেক যায়গায় আক্রমণ করতে পারে, সেটা হল স্বপ্ন। এজন্য ঘুমের আগের আয়াতুল কুরসি, তিনকুল, ঘুমের দোয়া এসব পড়বেন তো অবশ্যই, দোয়ার বই থেকে বা মাসনুন আমল অ্যাপ থেকে আরও বেশি করে কিছু যিকর করার অভ্যাস করবেন। ওযু করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। ঘুমের মাঝে খারাপ স্বপ্ন দেখলে “আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রজীম” পড়ে বামে তিনবার হালকা থুতু ফেলবেন। এছাড়া ঘুমের মাঝে বারবার ভয় পেলে এই দোয়াটা আগে-পরে কয়েকবার পড়ার অভ্যাস করতে পারেন-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهٖ وَشَرِّ عِبَادِهٖ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ
(অর্থ বা উচ্চারণ দরকার হলে মাসনুন আমল অ্যাপ বা হিসনুল মুসলিম দেখুন)।

রুকইয়ার পানি হাতের কাছে রাখবেন, স্বপ্নে শয়তান কিছু খাইয়েছে মনে হলে উঠে দ্রুত বিসমিল্লাহ বলে রুকইয়ার পানি খাবেন। ঘুমানোর সময় এই নিয়ত করে ঘুমাবেন, শয়তানকে ঘুমের মাঝে পাই তাহলে পিটিয়ে সোজা করে ফেলব, তাহলে আশা করা যায় স্বপ্নে ওরকম অবস্থায় সেন্স থাকবে। যদি স্বপ্নের মাঝে সেন্স থাকে, আর শয়তানকে দেখেন তবে আয়াতুল কুরসি বা ওপরের দোয়াটা পড়বেন তার ধ্বংসের নিয়তে। কোন কিছুর প্রলোভন দেখালে পাত্তা দিবেন না।
খবিস আসক্ত জিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় জিনটা রোগীর ওপর জাদু করে রাখে, ফলে রোগী ওই জনের ওপর দূর্বলতা অনুভব করে(!!) মন থেকে চাইতে পারে না যে শয়তান দূর হোক। এরকম ক্ষেত্রে রোগীকে কিছুক্ষণ বুঝিয়ে সুঝিয়ে এরপর রুকইয়াহ শুরু করতে হবে, আর বশ করা যাদুর রুকইয়াহ করতে হবে কিছুদিন। স্বপ্নের মধ্যে যদি *ক্সুয়ালি হ্যারাজমেন্ট করছে মনে হয়, তবে এবিষয়ক লেখাটা ফলো করতে পারেন।
অনেক সময় জিন খুব ভায়োলেন্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে রোগীকে ভালোভাবে ধরে সংক্ষিপ্ত 'আয়াতুল কিতালের' পিডিএফটা দেখে কিছু আয়াত পড়ে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। অথবা অন্তত কানের কাছে সুরা নিসা ৭৬নং আয়াতটা বারবার পড়লেও তাৎক্ষনিক ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ।
----------------
* এব্যাপারে আপনাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও কমেন্টে বলতে পারেন।
* তিলাওয়াতের সুবিধার জন্য ‘রুকইয়ার আয়াত’ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। রুকইয়ার আয়াত সংক্রান্ত বইয়ের কাজও শেষ দিকে, দোয়া করবেন আল্লাহ যেন দ্রুত প্রকাশ করার তাওফিক দেন। আমিন।

16/05/2025

মুখের জড়তা বা তোতলানো সমস্যা থাকলে জিহ্বার নীচে বা জিহ্বায় ধরে বা নীচে তিন আঙ্গুল রেখে আয়াত আর দোয়া গুলো বেশি বেশি পড়ুন।

সম্ভব হলে এই গুলো দ্বারা পানি পড়া তৈরি করে কুলি করুন বেশি বেশি।

‎১/ সূরা ফাতিহা
‎بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿١﴾ اَلْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿٢﴾ اَلرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ﴿٤﴾ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴿٥﴾ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ ﴿٦﴾ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ﴿٧﴾

‎(১) শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (২) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। (৩) যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। (৪) যিনি বিচার দিনের মালিক। (৫) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। (৬) আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, (৭) সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

‎২/ সূরা ত্বহার আয়াত নং ২৫-২৮

‎رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي ﴿٢٥﴾ وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي ﴿٢٦﴾ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي ﴿٢٧﴾ يَفْقَهُوا قَوْلِي ﴿٢٨﴾

‎নিম্নের অংশ টুকু বেশি বেশি পড়ুন👇
‎(وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي)

‎(২৫) সে বলল, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন’ (২৬) ‘এবং আমার কাজ সহজ করে দিন, (২৭) ‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন- (২৮) যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’।

‎৩/ দোয়া দুটি বেশি বেশি পড়ুন

‎َاَللّٰٓهُمّٰ حُلَّ كُلَّ عُقْدَ الْعَيْنِ وَالْحَاسِدَ وَالْسِحْر ِمنَ الْجِنِّ الۡفَهۡمِ وَالۡلِسَانِ الۡمُتَمۡتِمۡ

‎হে আল্লাহ আপনি মুখে থাকা জ্বীনের বদ নজর,হিংসা, যাদু এবং জিহ্বায় থাকা সমস্ত বাধা গুলো খুলে দিন যা আমার জড়তার বাধা তৈরি করে।

‎َاَللّٰٓهُمّٰ يُحْرَقْ وَدَمَّرْ حُلَّ كُلَّ عُقْدِ الْعَيْنِ وَالْحَاسِدَ وَالْسِحْرَ ِِِمنَ الْجِنِّ الۡفَهۡمِ وَالۡلِسَانِ الۡمُتَمۡتِمۡ

‎হে আল্লাহ আপনি মুখে থাকা জ্বীনের বদ নজর,হিংসা, যাদু গুলো জ্বালিয়ে দিন এবং জিহ্বায় থাকা সমস্ত বাধা ধ্বংস করে দিন এবং খুলে দিন যা আমার জড়তার বাধা প্রধান করে।

‎بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ حَاسِدٍ، اَللَّهُ يَشْفِيكْ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيْكَ

‎বিসমিল্লা-হি আর্‌ক্বীক, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীক, মিন শার্‌রি কুল্লি নাফসিন আউ আ'ইনিন ‘হা-সিদিন, আল্লা-হু ইয়াশফীক, বিসমিল্লা-হি আর্‌ক্বীক


‎৪/ সূরা ফালাক

‎بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
‎قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾

‎বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। (২) মিন শাররি মা- খালাক্ব। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা- ওয়াক্বাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা- হাসাদ

‎এই অংশে বেশি বেশি পড়ুন
‎وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
‎ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

‎উক্ত আয়াত ও দোয়া গুলো আপনি নিজের জড়তার জন্যে খুব বেশি বেশি পড়ুন, কোন নির্দিষ্ট সময় নেই আপনি যখন ইচ্ছে আমল করতে পারেন।

‎যথা সম্ভব রাক্বি দ্বারা চিকিৎসা নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন
‎জাযাকাল্লাহ আল্লাহ
‎পোস্ট উপকারী মনে হলে শেয়ার করে দিতে পারেন।

Address

Mirpur, Dhaka
Mirpur

Telephone

+8801975503070

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi HM Rokan sarkar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram