Pharmacist Yousuf Al Amin

Pharmacist Yousuf Al Amin Helpful Tips and Tricks for managing your medication.

নিজের পছন্দের লেখকের তালিকা ধরে পড়ে ফেলতে পারেন! অবসর সময়ে বাংলা সাহিত্য পড়ুন।❤১.মিছির আলি সিরিজ https://bdebooks.com/ge...
07/09/2022

নিজের পছন্দের লেখকের তালিকা ধরে পড়ে ফেলতে পারেন! অবসর সময়ে বাংলা সাহিত্য পড়ুন।❤

১.মিছির আলি সিরিজ
https://bdebooks.com/genre/misir-ali/
2.আনিসুল হক
https://bdebooks.com/genre/anisul-hoque/
৩.বেগম রোকেয়া
https://bdebooks.com/genre/begum-rokeya/
৪.আহমদ ছফা
https://bdebooks.com/genre/ahmed-sofa/
৫.সমরেশ মজুমদার
https://bdebooks.com/genre/samaresh-majumdar/
৬.ফেলুদা সিরিজ
https://bdebooks.com/genre/feluda/
৭.কাকাবাবু সিরিজ
https://bdebooks.com/genre/kakababu/
৮.শুভ্র সিরিজ
https://bdebooks.com/genre/shuvro/
৯.গোয়েন্দা সিরিজ
https://bdebooks.com/tin-goyenda-pdf-books/
১০.মাসুদ রানার ৪৫০+ বই
https://bdebooks.com/masud-rana-books/
১১.বঙ্কিমচন্দ্রের বই
https://bdebooks.com/genre/bankim-chandra-chattopadhyay/
১২.হুমায়ূন আহমেদের বই
https://bdebooks.com/genre/humayun-ahmed/
১৩.হুমায়ুন আজাদ
https://bdebooks.com/genre/humayun-azad/
১৪.ইমদাদুল হক মিলন
https://bdebooks.com/genre/imdadul-haq-milon/
১৫.জীবনানন্দ দাশ
https://bdebooks.com/genre/jibanananda-das/
১৬.কাজী নজরুল ইসলাম
https://bdebooks.com/genre/kazi-nazrul-islam/
১৭.মাইকেল মধুসূদন দত্ত
https://bdebooks.com/genre/michael-madhusudan-dutta/
১৮.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
https://bdebooks.com/genre/muhammed-zafar-iqbal/
১৯.তসলিমা নাসরিন
https://bdebooks.com/genre/taslima-nasrin/
২০.সৈয়দ শামসুল হক
https://bdebooks.com/genre/syed-shamsul-haque/
২১.তাহনিমা আনাম
https://bdebooks.com/genre/tahmima-anam/
22.কাশেম বিন আবু বকর
https://bdebooks.com/genre/kasem-bin-abubakar/
২৩.মুনীর চৌধুরী
https://bdebooks.com/genre/munier-choudhury/
২৪.আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
https://bdebooks.com/genre/akhtaruzzaman-elias/
২৫.জহির রায়হান
https://bdebooks.com/genre/zahir-raihan/
২৬.সুমন্ত আসলাম
https://bdebooks.com/genre/sumanto-aslam/
২৭.আল মাহমুদ
https://bdebooks.com/genre/al-mahmud/
২৮.সৈয়দ মুজতবা আলী
https://bdebooks.com/genre/syed-mujtaba-ali/
২৯.আহমদ শরীফ
https://bdebooks.com/genre/ahmed-sharif/
৩০.মানিক বন্দোপাধ্যায়
https://bdebooks.com/genre/manik-bandopadhyay/

Bangla PDF books of Misir Ali Books. Bengali pdf ebook download. All books of Misir Ali Books download in PDF file. Collection of pdf Bangla ebook. Bangla books of Misir Ali Books. Free download Misir Ali Books's book or read online.

11/11/2021

#টেলোজেন_ইফ্লুভিয়াম
একজন সুস্থ মানুষের মাথায় গড়ে এক থেকে দেড় লাখ চুল থাকে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। অন্তত পরপর তিন দিন। অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।

চুল পড়ার কারণ____

বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। যেমন, জিনগত কারণ বা জেনেটিক এন্ডজেনিক এলপেসিয়া ‘র কারণে চুল পড়লে তা ফেরত পাওয়া দুষ্কর । কিন্তু যদি তা টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম হয় যা কিছু সময়ের জন্য চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়, এ থেকে সহজেই পুর্বাবস্থায় ফেরত যাওয়া যায়।

১. প্রোটিন বা আমিষের অভাবঃ নতুন চুলের কোষ তৈরি হবার জন্য চুলের চাই পুষ্টি। চুলের জন্য প্রধান পুষ্টি হল আমিষ জাতীয় খাদ্য। যথেষ্ট পরিমাণ আমিষের অভাবে নতুন চুল গজাতে পারেনা। এর ফলে চুল পাতলা হয় ও কমে যায়।

২. খুশকি বা মাথার ত্বকের সোরিয়াসিসঃ মাথার ত্বক এর বিভিন্ন রোগ এবং খুশকির সমস্যা চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। জোরে চিরুনি দিয়ে আচড়ানো বা নখ দিয়ে চুলকানোর ফলে হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চুল পড়ে।

৩. শারীরিক ও মানসিক চাপঃ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও মানসিক চাপ এর ভেতর দিয়ে গেলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা এবং বিভিন্ন মেজর অপারেশন বা রোগের কারণে দ্রুত ওজন হ্রাস হয় ইত্যাদি কারণে চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে দেখা যায়।

৪. অটো ইমিউন রোগব্যাধিঃ লুপাস, রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, থাইরয়েড সমস্যা, সিকেল সেল এনিমিয়া, আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া ইত্যাদি রোগে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকে।

৫. চুল বাঁধার স্টাইলঃ বিভিন্নভাবে চুল বাঁধার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়, চুল দুর্বল হয়ে পড়ে । টাইট করে পনিটেইল করলে বা বেনি করলে চুল পড়ার হার বাড়তে পারে। আবার অনেকদিন ধরে একই হেয়ারস্টাইল চুল পড়া ত্বরান্বিত করে।

৬. হেয়ারস্টাইল এর ক্ষেত্রে উচ্চ তাপ এর ব্যবহার এবং রিবন্ডিংঃ উচ্চ তাপে ব্লো ড্রাই বা তাপ দিয়ে চুল সোজা করা বা কার্ল করলে চুল তার স্বাভাবিক লাবণ্য হারিয়ে শুষ্ক হয়ে ভেঙে যায়, এর ফলে চুল পড়ে যায়। এছাড়া রাসায়নিক ব্যবহার করে চুল রিবন্ডিং করলে চুল পড়ে যেতে দেখা যায়।

৭. কতিপয় ঔষধের ব্যবহারঃ কিছু কিছু ঔষধ সেবনের ফলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপজনিত রোগে ব্যবহৃত ঔষধ, এন্টি ডিপ্রেস্যান্ট জাতীয় ঔষধে চুল পড়তে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ঔষধেও চুল পড়তে পারে।

বিভিন্ন চিকিৎসায় রেডিয়েশনে চুল পড়তে দেখা যায়।

৮. সন্তান জন্মদানের পরঃ মায়েদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের আগে অর্থাৎ গর্ভকালীন সময়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। কারণ এসময় ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য থাকে। সন্তান জন্মানোর পর পর হরমোনের পরিমাণ কমে যেতে শুরু করে এবং চুলের বৃদ্ধি আগের তুলনায় কমে যায় ও চুল পড়া বাড়ে।

চুল পড়ার চিকিৎসাঃ

নারকেল

নারকেল তেলের কী কী গুণ আছে, তা তো আমরা সবাই জানি। তবে, অনেকেই আছেন যারা চুল পড়া শুরু হলে চুলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেন, যা একেবারেই উচিত নয়। কারণ নারকেল তেল চুলের সংখ্যায় বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে নারকেল তেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, খনিজ উপাদান এবং প্রোটিন থাকে, যা চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে পারে।

২. পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা চুল লম্বা হতে এবং কোলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। চুলের গোঁড়ায় পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।

৩. রসুন

পেঁয়াজের মতো রসুনেরও উচ্চমাত্রায় সালফার থাকে।কয়েকটি রসুন থেঁতো করে নিতে হবে। এবার তার মধ্যে নারকেল তেল ঢেলে কয়েক মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা করে মাথায় মালিশ করতে হবে। এটি ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

৪. হেনা

অনেকেই চুলে হেনা ব্যবহার করে থাকেন। হেনা মূলত চুলে রঙ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, হেনার আরও বহু গুণ রয়েছে। যেমন, হেনা চুলকে গোঁড়া থেকে শক্ত হতে সাহায্য করে।

৫. জবা

জবা ফুল চুলের জন্য দারুণ উপকারি। এটি চুলকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে, চুল সাদা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি, খুশকি দূর করে এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করে।কয়েকটি জবা ফুলের সঙ্গে তিলের তেল এবং নারকেল তেল মিশিয়ে বেঁটে নিতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় ভাল করে লাগাতে হবে।

৬. আমলকী

যাদের খুব চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্য আমলকী খুবই উপকারি। কারণ, আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।আমলকীর রস বা আমলকী গুঁড়ো লেবুর রসের সঙ্গে মেশাতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে না যাওয়া অবধি রেখে দিতে হবে।

৭. ডিম

ডিমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। যেমন- সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডাইন, জিঙ্ক এবং প্রোটিন। এই প্রতিটি উপাদানই চুল বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে সাহায্য করে।

৮।শল্য চিকিৎসার নানা পদ্ধতিঃবেশির ভাগ চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও একেবারে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ২-৫ শতাংশ মিনস্কিডিল ব্যবহার করে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ইদানীং চুল প্রতিস্থাপন করা হয়, কিন্তু এটি ব্যয়বহুল।

29/10/2021
15/10/2021
29/07/2021
বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে ন...
07/06/2021

বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।

সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্তু থাকে। মাটির কম্পন বুঝতে পারে। আপনি কতদূরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, সে বুঝতে পারে। পালিয়ে যায়।

বেলি, হাস্নাহেনার গন্ধে কখনো সাপ আসে না। কেউকেউ জীবদ্দশায় বেলি, হাস্নাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ দেখেছেন হয়তো। মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণশক্তি খুবই দূর্বল। সে গন্ধ পায় না। সুগন্ধি ফুলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয় বেশি। পোকা খেতে ব্যাঙ আসে। ব্যাঙ খেতে মাঝেমাঝে সাপ আসতে পারে। খাবার পর মানুষের মত সাপও ক্লান্ত হয়। মানুষ খাবারের পর যেমন আয়েশ করে ঘুমায় তেমনই সাপও বেলি-হাস্নাহেনার তলায় ঘুমুতে পারে। তবে এসব গাছ যদি বাড়ির ভেতর থাকে তবে সাপ কম আসে। কারণ মানুষের উপস্থিতি তারা ভয় পায়। তবে বাড়ির সাইডে, ঝোপঝাড়ে এমন গাছ থাকলে সাপ আসা স্বাভাবিক।

একটা সাপকে মারলে তার জোড়া সঙ্গী কখনোই আপনাকে খুঁজে দংশন করতে আসবে না। সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দূর্বল। সাপ বাংলা সিনেমার স্বর্পরাজ শাকিব খান কিংবা নাগিন মুনমুন নয় যে সঙ্গীহারার প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ নিম্নজাতের প্রাণি। এদের মধ্যে রিভেঞ্জ বলে কিছু নাই। কিন্তু একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, কারণ কী?
সিম্পল। মেটিং এর সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে কিংবা আশেপাশে গর্ত থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে চলে এসেছে।

ছোট সাপের বিষ নাই কথাটা ভুল। সাপের বাচ্চাও সাপ। কেঁচোর সমান একটা কেউটের কামড়ে আমার চোখের সামনে এক রোগীকে টানা ২৪ ঘণ্টা জীবনের সাথে ফাইট করতে হয়েছে। আইসিইউতে আমরা তিন ডাক্তার তার পাশে ২৪ ঘন্টা লড়েছিলাম। আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন থেকে শুরু করে একাধিকবার অ্যান্টি-ভেনম দিয়েছি। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছে। যাবার আগে আমাদের গালিগালাজ করে গেছে। আমরা নাকি তাকে অনেক দামী ঔষুধ দিয়েছি। সে জানে না, একডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১০ হাজার টাকা। লজিক্যালি লোকটার দোষ নেই। সে ছিল জেলে। দিনে হয়তো এক দেড়শ টাকা তার ইনকাম। রাতে যারা বাজার থেকে অন্ধকারে ঘরে ফেরে তাদের এবং জেলেদের সাপ বেশি কাটে। জেলেরা বর্ষায় রাতে আইল বরশি ফেলে, জাল ফেলে মাছ ধরে। নদী বা নালায় মাঝ ধরে। সাপ শুকনো ভেবে সেখানে থাকে। কামড় দেয়।

সিনেমা বলে, সাপ দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোলাঘরে হানা দেয়। ভুল কথা। এসব সাপ ক্ষেতের ব্যাঙ-পোকামাকড় খায়। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ দেখি, এরা আমাদের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারা উত্তম।

সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায় কথাটা ভুল। ভুলেও এই কাজ করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলেন তো বিষকে রক্তের সাথে নিজহাতে মিশিয়ে দিলেন।

দংশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে কথাটা ভুল। পায়ে কাটলে বিষ সেখানে। আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন? সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের পেশিগুলো টানটান হয়ে যায়। দাঁতের কাছেই থাকে বিষধর। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।

শক্ত করে বাঁধলে বিষ ছড়াতে পারে না এমন ধারনা ভুলে যান। আপনি নিজেও নিশ্চিত না সাপটা বিষধর ছিল কি না, তাহলে শক্ত করে বাঁধবেন কেন? অনেক ডাক্তার সাপে কাটার পর বাঁধতে নিষেধও করেন। কারণ এতে হিতে বিপরীত হয়।

ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিলা রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার লাগাতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, সুতলি, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। চিরতরে হাত বা পা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট্টু দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে?

সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন ঘটতে পারে।

সাপ কখন দংশন করে?

১। যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয় সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়। সব প্রাণিই এমন। মুরগীও মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোকর দেয়। সামনে সাপ পড়লে তাকে চলে যেতে দিন।

২। বর্ষাকাল মানেই হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী। বর্ষায় গর্তে পানি উঠে যায়। ফলে সাপ ডাঙ্গায়, শুকনো জায়গায় উঠে আসে। সেটা ক্ষেতের আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই আসতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে। জঙ্গলায় ভুলে তার শরীরে পা পড়লে কামড় দেয়।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা বসে থাকলে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝেমাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন না করে।

সব সাপ বিষাক্ত? বাংলাদেশে ৮০ ধরণের সাপ আছে। মাত্র ২৭ টা বিষাক্ত। অধিকাংশই সামুদ্রিক। মাত্র ৫/৬ প্রজাতি স্থলে আছে যারা বিষধর। আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। পানির সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত নয়। তবে সামুদ্রিক সাপ সবাই বিষাক্ত। যদি চেনেন তবে বলি গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া বিষাক্ত।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে? দংশন করেছে এমন মনে হবার পর যদি সরাসরি সাপ দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন সে আপনাকে দংশন করেছে।

একবার এক ছেলে হাসপাতালে আসল। মাটির ঘরে অন্ধকারে হেলান দিয়ে ছিল। পীঠে সাপ কেটেছে। সারাদিন হাসপাতালে আমাদের অবজারভেশনে ছিল। রাতে রিলিজের আগে খবর আসল, যেখানে হেলান দিয়ে ছিল, সেখানে কে যেন তারকাটা পুতে রেখেছিল। পীঠে লেগে তারকাটা দেয়ালে ঢুকে যায়। খোচা লাগাকে সাপে কাটা ভেবে সে হাসপাতালে আসে। ২৪ ঘণ্টা ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফেরে সুস্থ অবস্থায়।

বিষাক্ত সাপে কাটলে বোঝা বেশ সহজ।

১। শিকারি পশুর মত সাপের দুটো দাঁত বড় থাকে। বাঁকানো। দংশন করলে গভীর ক্ষত হয়। দুঁটো দাঁতের অস্তিত্ব থাকলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।

২। যদি অনেকগুলো দাঁত থাকে, সেখানে মাংস তুলে নিলেও ভেবে নিতে পারেন এটা ছাগলের মত। অনেক দাঁত কিন্তু বিষদাঁত নাই। আপনার কিছু হবে না।

৩। সাপের বিষ কয়েক ধরণের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে ঝিমঝিম লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে পারবে না। মুখে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি করতে পারে।

আরো নানাবিধ লক্ষণ আছে।

চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। কালোও হতে পারে। কিছু সাপের কামড়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে।

মাঝেমাঝে নির্বিষ সাপ কামড়েও মানুষ মারা যায়।কেন জানেন?
ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাক করে।

সাপের কামড়ে সিনেমায় গড়াগড়ি দেখেন, বিষের কারণে চেঁচামেচি দেখেন। এগুলো অভিনয়। সাপের বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে... এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।

চিকিৎসা?

একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে।
সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে। কাটবেন না ব্লেডে।
চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলে যান। যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না। সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।

সাপটাকে পারলে চিনে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে ধররতে যাবেন না। মেরেও ফেলার দরকার নাই।
মৃত সাপকে ধরতে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এরা মৃত্যুর ভান করে শুয়ে থাকতে পারে।

জীবিত ধরে ওঝার কাছে যাবেন, এমন চিন্তা থাকলেও ঝেড়ে ফেলুন। ওঝা সাপের বিষ নামাতে পারে না। ওঝারা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষাক্ত হলে একটা সময় বুঝতে পারে তখন নানা অজুহাত নাগ-নাগিনির কথা বলে এরা হাসপাতালে রোগী রেফার করে। আমরা হাসপাতালে অনেক পাই যারা একেবারে শেষ মুহুর্তে আসে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করে আসে।

বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটামাত্র পথ অনুসরণ করলে। সেটা হল - দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল যাবেন।

সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি বড় হাসপাতালে যান। রাসেল ভাইপার বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন। [রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে বিলুপ্ত সাপ। তবে রাজশাহীতে কয়েকবার নতুন করে পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে পাওয়া গেছে কিছুদিন আগে। বন্যার জল-স্রোতে এরা আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে দেশময়]

যদি বুঝে ফেলেন, সাপটা বিষধর নয়, তাহলে কী করবেন?

তবুও হাসপাতালে যাবেন। ভর্তি হয়ে প্রয়োজনে বিছানায় ২৪ ঘন্টা বসে থাকবেন। তবুও হাসপাতালে যাবেন।

[নোটঃ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। সাপ মারবেন না। সাপ বাস্তুতন্ত্রের অংশ। ঘরে সাপ পাওয়া গেলে স্নেক রেস্কিউয়ারকে জানাতে পারেন। ওঝাদের জানিয়ে পরিবেশ থেকে এসব সাপ বিলুপ্ত করবেন না। ওঝারা সাপ মেরে পুড়িয়ে তেল বানায়। সেই তেল বাত-ব্যাথা-সাপের বিষ নামানো-হারানো যৌবন পুনরুত্থান নামক নানাকিসিমের মিথ্যা চিকিৎসায় ব্যবহার করে। তাদের এই কাজ করতে দিবেন না। কারণ দিনশেষে সেই সাপের তেল হয়তো আপনার আত্মীয়ই কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে]

কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায়? সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এত দূর্বল যে ফুলের গন্ধেও আসে না, তাহলে কার্বলিকে সাপ পালাবে কে বলল আপনাকে? এসব সেইফটি এককালে প্রচলিত ছিল। এখন ব্যর্থ টোটকা।

বাড়িতে খড়ের গাদা, লাকড়ির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা লাকড়ি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে। রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও চেক করবেন। আলনার ভেতরে থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন।

বর্ষাকাল এসেছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতে আসতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদের সতর্ক করে রাখুন। গ্রামের আপন মানুষদের (বাবা-মা, বউ-বাচ্চা-বন্ধু) সাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন। সতর্ক থাকবেন-ভয় পাবেন না-অবহেলা করবেন না।

© ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

Book for Pharmacy student
02/05/2021

Book for Pharmacy student

World radio stations
27/04/2021

World radio stations

It’s just wow!!!

এটি অবিশ্বাস্য!

এই গুগল আর্থ মানচিত্রের সবুজ বিন্দুগুলি সারা বিশ্বের রেডিও স্টেশনগুলিকে উপস্থাপন করে। বিন্দুগুলির যে কোনও একটিতে ক্লিক করুন এবং আপনি তত্ক্ষণাত খুব ভাল অভ্যর্থনা সহ সেই স্টেশনটি শুনতে পাবেন। আপনারা যারা বহুভাষিক তিনি অবশ্যই এটি উপভোগ করবেন। :D

উপকেন্দ্রে ৫০ কেজির কম ওজনের মানুষ প্রবেশ নিষেধ। কেন?বিদ্যুৎকেন্দ্রতে এমন কিছু তার আছে যেগুলোতে লক্ষ লক্ষ ভোল্টেজ বিদ্যু...
13/04/2021

উপকেন্দ্রে ৫০ কেজির কম ওজনের মানুষ প্রবেশ নিষেধ। কেন?

বিদ্যুৎকেন্দ্রতে এমন কিছু তার আছে যেগুলোতে লক্ষ লক্ষ ভোল্টেজ বিদ্যুত প্রবাহিত হয়। আর যখন ঐগুলোর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ যায় তখন ঐ তারের নিচ দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরী হয়,যেটা ২০-২৫ ফিট দূর থেকেও মানুষকে আকর্ষন করে কাছে টেনে নেয়। এজন্যই কম ওজনসম্পন্ন (৫০ কেজির কম) লোকদের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ।

বিদ্যুৎ চলাচল করলে তারে চৌম্বকত্বের সৃষ্টি হয়। যেটাকে কাজে লাগিয়ে মোটর/জেনারেটরের আবিষ্কার। সাধারণত এই সব অঞ্চলে হাই-ভোল্টেজ কারেন্টের প্রবাহ থাকে। যার কারণে তাড়িৎ চৌম্বকত্ব অনেক হয়। তাই কম ওজনের কোন প্রানী গেলে সেটাকে আকর্ষণ করে টেনে নিতে পারে।

Substation এর সর্বত্র Electromagnetic Field আছে। আর সেটা উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষেত্রে এতোই তীব্র যে,পাওয়ার ট্রান্সমিশনের জন্য যে ক্যাবলসমূহ ব্যবহার করা হয় তা magnet field এর ন্যায় আচরণ করে। কোনো কম ভরের ব্যক্তি যদি সেখানে প্রবেশ করে,তবে তিনি চৌম্বক ক্ষেত্র কর্তৃক আকর্ষিত হতে পারে যার ফলে ব্যক্তির বৈদ্যুতিক শকে প্রাণনাশের আশংকা থাকে।😢

ঐখানে এত পরিমানে বিদ্যুৎ আকর্ষণ আছে যে , তার আসেপাশে বিদ্যুৎ পরিবাহী ব্যাক্তি বা বস্তু যদি ৫০ কেজির কম হলে টেনে নিয়ে কাছে নিয়ে বিদ্যুৎ আলিঙ্গন করবে এবং পুড়িয়ে ফেলবে তবে আপনি ৫০ কেজির বেশি হলে টানতে পারবে না কিন্তু ঐ আকর্ষনের প্রভাব বুঝতে পারবেন

Collected

কোকাকোলা থেকে সাবধানঃবিখ্যাত কোমল পানীয় কোকাকোলা। এটা শরীরের জন্য কত ক্ষতিকর তা বোঝাতে কোকাকোলার সাথে পয়সার বিক্রিয়া কিং...
06/04/2021

কোকাকোলা থেকে সাবধানঃ

বিখ্যাত কোমল পানীয় কোকাকোলা। এটা শরীরের জন্য কত ক্ষতিকর তা বোঝাতে কোকাকোলার সাথে পয়সার বিক্রিয়া কিংবা কোকাকোলা গরম করলে কী বিক্রিয়া হয়, তা নিয়ে বহু ভিডিও আমরা প্রায় সবাই দেখেছি। কিন্তু তারপরও কি কোকাকোলা খাওয়া একদিনের জন্য বাদ দিয়েছি আমরা?
মিষ্টি এই পানীয় আসলেই শরীরের ভেতরে কীভাবে কাজ করে তা জানতে বেশ কিছুদিন ধরে গবেষণা করেছেন ফার্মাসিস্ট নিরাজ নায়েক। আর তিনি যা পেয়েছেন সেটা সত্যিই চিন্তিত হওয়ার মতো।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি স্টার অনলাইন জানিয়েছে, কোকাকোলা খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এটি শরীরের মধ্যে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা একটি গ্রাফের মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছেন নিরাজ। সেখানে দেখা গেছে, প্রথম চুমুক দেওয়ার পর থেকে ৬০ মিনিট পর পর্যন্ত সাতটি ধাপে এই কোমল পানীয় শরীরের মধ্যে বিক্রিয়া করে।
একটি ৩৩০ মিলিলিটারে এক ক্যান কোকাকোলা পানের মাধ্যমে ১০ চা চামচ পরিমাণ চিনি সরাসরি আপনার শরীরে প্রবেশ করে। যা প্রতিদিন গ্রহণযোগ্য চিনির পরিমাণের মাত্রার প্রায় আড়াই গুণ।
এ বিষয়ে নিরাজ তাঁর নিজস্ব ব্লগে লিখেছেন, চিনির মাত্রাটা এতটা বেশি যে এটা সরাসরি গ্রহণ করলে যে কারো বমি পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোকাকোলার ভেতরে থাকা ফসফরিক এসিড এই অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদকে হালকা করে দেয় ফলে আরামসে পানীয়টি গলধঃকরণ করেন আপনি।
পুষ্টিবিদ ইলা এলার্ড মেট্রো ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘কোক সম্পর্কে এই ভয়ঙ্কর তথ্য আপনাকে চমকে দেবে। তবে এসব জানার কারণে উপকার যেটা হয়েছে সেটা হলো এখন থেকে কোকাকোলা পানের আগে সেটা ভেবে আপনি বিরত থাকবেন।’
শরীরের ভেতরে কোকাকোলার প্রতিক্রিয়া নিরাজ দেখিয়েছেন কয়েকটি ধাপে :

প্রথম ১০ মিনিট পরে : ১০ চা চামচ চিনি আপনার শরীরের ভেতরের ব্যবস্থাকে আঘাত করে। এটার অতিরিক্ত মিষ্টতার কারণে আপনি বমিও করে দিতে পারেন। কিন্তু এর রেসিপিতে থাকে ফসফরিক এসিড। আর এটাই অতিরিক্ত মিষ্টতা কমিয়ে দেয় যাতে আপনি এটা পান করতে পারেন।

২০ মিনিট পরে : আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় আর ইনসুলিনের বিস্ফোরণ ঘটে। প্রচুর পরিমাণ চিনি যকৃতের মধ্যে চর্বি তৈরি করে।

৪০ মিনিট পরে : এই সময়ের মধ্যে ক্যাফেইন পুরোপুরি শোষিত হয়ে যায়। আপনার রক্তচাপ বাড়তে থাকে। এতে করে আপনার যকৃত বা লিভারে আরো চিনি ঢুকে পড়ে।

৪৫ মিনিট পর : এই সময় আপনার শরীরের ডোপামিন উৎপাদন বেড়ে যায় এবং আপনার মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগায়। মাদক হেরোইন যেভাবে কাজ করে ঠিক সেভাবেই এটা আপনার ওপর কাজ করে।

৬০ মিনিট পর : আপনার শরীরের অন্ত্রের নিচের দিকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়া ও জিংকের সাথে বিক্রিয়া করে ফসফরিক এসিড। যা বিপাককে হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার চিনি ও কৃত্রিম চিনির কারণে রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
এই সময়ের পরে ক্যাফেইনের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য কাজ করতে শুরু করে। এর মানে এই সময় আপনার প্রসাবের বেগ আসে। অর্থাৎ এবার প্রসাবের মাধ্যমে আপনার শরীর ও হাড় থেকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, সোডিয়াম, ইলেকট্রোলাইট ও পানি বের হয়ে আসবে।
এ সময় আপনি খিটখিটে হয়ে যেতে পারেন। কারণ কোকের সঙ্গে আপনি যেটুকু পানি গ্রহণ করেছিলেন সেটুকুও আপনার শরীর থেকে বের হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ডেইলি স্টার অনলাইন কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের এক মুখপাত্র বলেন, ‘১২৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ আনন্দের সাথে কোকাকোলা পান করে আসছে। অন্য সব কোমল পানীয়র মতো এটাও পানের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুষম খাদ্য হিসেবে গ্রহণের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত।’

সংগ্রহঃ ntv news

হাসপাতাল গুলোর ICU তে যোগাযোগ করার ফোন নাম্বার গুলো...
16/01/2021

হাসপাতাল গুলোর ICU তে যোগাযোগ করার ফোন নাম্বার গুলো...

"চোখের পানি "কোনো সাধারন পানি নয় !! চোখের পানি নিয়ে উইলিয়াম ফ্রে নামে একজন বিজ্ঞানী প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করেছেন। গবেষণা শ...
05/12/2020

"চোখের পানি "
কোনো সাধারন পানি নয় !!

চোখের পানি নিয়ে উইলিয়াম ফ্রে নামে একজন বিজ্ঞানী প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করেছেন। গবেষণা শেষে তিনি বলেছেনঃ

"চোখের পানি কোনো সাধারণ কিছু নয়। এটি পানি, শ্লেষ্মা, তেল, ইলেক্ট্রোলাইট-এর এক জটিল মিশ্রণ।
এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, যা চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
এটি কর্নিয়াকে মসৃণ করে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
এটি কর্নিয়াকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ দেয়।
এটি চোখের জন্য ওয়াইপার হিসেবে কাজ করে, যা চোখকে ধুয়ে ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার করে।"
চোখের পানি যদি শুধুই পানি হতো, তাহলে তা ঘর্ষণের কারণে চোখ শুকিয়ে জ্বালা পোড়া করত। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হলে পানি শুকিয়ে জমে বরফ হয়ে যেত!
আবার চোখের পানি যদি শুধুই এক ধরনের তেল হতো, তাহলে তা চোখের ধুলাবালি পরিষ্কার না করে উলটো আরও ঘোলা করে দিত।
চোখের পানির মধ্যে প্রকৃতির লক্ষ উপাদান থেকে এমন বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার এক বিশেষ মিশ্রণ একই সাথে পরিষ্কার, মসৃণ এবং জীবাণু মুক্ত করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
চোখের পানির এই ব্যাপারটা চিন্তা করলেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মস্তক অবনত হয়ে যায়।
সুবহান'আল্লাহ্!
এক চোখের পানিতেই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কত-শত অনুগ্রহ দেখিয়েছেন, কত সুক্ষ্ম, কত পরিকল্পনা করে সৃষ্টি করেছেন!ভাবনার মোড়কে আটকানো অসম্ভব!

فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

"অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?"

|সূরাহ আর-রহমান,আয়াত-১৩|

Address

Mirpur

Telephone

+8801913191795

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pharmacist Yousuf Al Amin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Pharmacist Yousuf Al Amin:

Share