09/08/2025
গলার কাঁটা নয়, গলার মালাও হতে পারে মীরসরাই ইকোনমিক জোন
প্রসঙ্গ: ২৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখে আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদন।
========================================
'ইকোনোমিক জোন' বাংলা প্রতিশব্দ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ইকোনমিক জোনের শব্দদ্বয়ের যে অন্তর্নিহিত বার্তা তা হল উৎপাদন চঞ্চলতা, অত্যাধুনিক মেশিনের ঝনঝনানি, যানবাহনের দৌরাত্ম, কলকারখানার ক্ষতিকারক বর্জ্য, অসংখ্য মানুষের আনাগোনা, সর্বোপরি প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপরীত ধর্মী একটা অবস্থান। এসব কিছু জেনেশুনেও মানুষ এই কার্যক্রম পরিচালনা করে এর অন্যতম কারণ হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। একটা জাতি যদি উন্নত জাতিতে রুপান্তরিত হতে চায় তাহলে তাকে কৃষির পাশাপাশি আনতে হবে শিল্প বিপ্লব। শিল্পের বিপ্লব ছাড়া আজকের পৃথিবীর কোন দেশেই টেকসই উন্নয়নে যেতে পারবেনা। যার কারনে পরিবেশের ক্ষতিসাধন জানা সত্ত্বেও যুগে যুগে মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির আশায় শিল্পের বিপ্লব সাধন করেছে। দেশে-দেশে, যুগে-যুগে এ শিল্প বিপ্লবের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটি দেশের যে অঞ্চলের শিল্প বিপ্লব হয় সে এলাকার মানুষই সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় জনগণের অপরিসীম ত্যাগ ও ক্ষতির উপর দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে পুরো জাতি, আর এই কার্যক্রম প্রচলিত আছে যুগ যুগ ধরে এবং সবাই এটাকে বৈধ হিসেবেই ধরে নিয়েছে। এ যেন স্থানীয়দের বলি দিয়ে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি কিনে নেয়ার একটা নিষ্ঠুর বৈধ নিয়ম।
২০১৬ সালে যখন মীরসরাই তে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠার প্রস্তাবনা আসলো তখন থেকেই আমি মীরসরাই এর মানুষকে এই শিল্প বিপ্লবের নেগেটিভ দিক থেকে কতটা মুক্তি দিতে পারি তা নিয়ে কাজ শুরু করি। আমার নিজের ব্যবসার কারণে বিভিন্ন দেশের শিল্পাঞ্চল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা রয়েছে পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের ইতিহাস এবং মেরিট-ডিমেরিট পর্যালোচনা করে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করি। আমার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের আলোকে বুঝতে পারলাম এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়, এর জন্য দরকার একটা অবকাঠামো।
সর্বপ্রথম মিরসরাই এসোসিয়েশনের 'হৃদয়ে মিরসরাই' নামে প্রকাশনায় 'মীরসরাই সমৃদ্ধি ও সংকট: উত্তরণে করণীয়' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আমি মীরসরাই এর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে সংলাপ করে তাদের নিয়ে নয়া দালান নামে একটি আঞ্চলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিই। মীরসরাইয়ের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা ইতিমধ্যে তাদের জ্ঞান ও প্রতিভা দিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে আলো ছড়িয়েছেন তাদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধ্যয়নরত মীরসরাইয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে গড়ে তুলি এই রিসার্চ টিম। এই টিমের প্রধান কাজ হলো সরেজমিনে গবেষণা করে সরকারের এই উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি সচল রেখে, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের আশু ক্ষতি লাঘব এবং স্থানীয়দের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করনে কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে উপস্থাপন করা। কারণ এখানে বেজা, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর বা অন্য কোন বিভাগে যারা কাজ করবে তারা সবাই বাইরের মানুষ, মীরসরাই বাসীর সমস্যা মীরসরাইয়ের মানুষ থেকে বেশি কেউ বুঝবে না অথবা বুঝলেও হয়তো বেশি গুরুত্ব দিবে না।
নয়া দালান মীরসরাই মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতিটা পয়েন্ট গবেষণা করে যাচাই-বাছাই করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে জমা দিয়ে শুধু ক্ষান্ত হয়নি সেগুলো বাস্তবায়নে ও মাস্টারপ্ল্যানে সংযুক্ত করণে যৌক্তিক চাপ প্রয়োগ করে চলেছে অদ্যাবধি।
শিল্প বিপ্লবের সুফল-কুফল দুটোই রয়েছে। এর সুফল স্থানীয় জনগণ সহ সমস্ত দেশের মানুষ উপভোগ করে, আর কুফল বা ক্ষতিকারক দিক বেশিরভাগ সময়ই ভোগ করতে হয় ইকোনমিক জোন যেখানে গড়ে উঠেছে সেখানকার স্থানীয় জনগণকে। স্থানীয় জনগণ তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে পুরো জাতিকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়। আর এই কাজে দেখা গেছে অনেক জায়গায় স্থানীয় জনগণের পূর্বপুরুষের ভিটা-মাটি, জমি-জমা সহ তাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব বিলীন হয়ে একাকার হয়ে যায়। রাষ্ট্র তখন তাদের এই হাহাকার দেখেও দেখে না কারণ সমষ্টিগত উন্নয়নে একটা ক্ষুদ্র জাতী বা গোষ্ঠীর সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই বলিদান গ্রহণযোগ্য। আর এই জায়গাটিতে আমি কাজ করেছি, কাজ করার চেষ্টা করেছি।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই ইকোনমিক জোন গড়ে উঠেছে আমার জন্মস্থান মীরসরাইতে, যার সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। আমার ভেতরটা চরম অস্থির হয়ে উঠে ইকোনমিক জোন হওয়ার কারণে মীরসরাইয়ের সুদীর্ঘ,সমৃদ্ধ পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি,কৃষ্টি ক্ষতির সম্মুখীন হবে, পরিবর্তিত হয়ে যাবে সমস্ত কাঠামো , আর এতে করে আমরা নিজ দেশে পরবাসী হচ্ছি কিনা তা আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবিয়েছে, অস্থির করে তুলেছে, আর এই ভাবনাই আমাকে পথ দেখিয়েছে। আমি অনুসন্ধান করতে লাগলাম কিভাবে সরকারের এই উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে মীরসরাই মানুষের স্বার্থ সন্নিবেশ করে ক্ষতি কমিয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এই কাজে সম্পৃক্ত হতে কেউ আমাকে বলেনি, আমার শৈশব বেড়ে ওঠা মীরসরাইয়ের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি প্রথম নির্ণয় করলাম ইকোনমিক জোনের কারণে মীরসরাইয়ের কোথায় কোথায় সমস্যা হতে পারে, সমস্যা চিহ্নিত করে এগুলোকে কিভাবে সহজভাবে মীরসরাইয়ের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রেখে সমাধান করা যায়, এই পথ বের করার জন্য শুরু করি রিসার্চ। নয়া দালানের উপদেষ্টা পরিষদ ও রিসার্চ টিমের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা গবেষণালব্ধ নতুন নতুন প্রস্তাবনা ও সমাধানের পথ আবিষ্কার করে বেজা, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ( UDD) ও সরকারের উচ্চ মহলে প্রতিবেদন আকারে জমা প্রদান করি। কিন্তু সেই পথ আমাদের জন্য মসৃণ ছিল না, শত বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে আমাদের। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী শ্রেণী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরদারি থাকা সত্ত্বেও মীরসরাই এর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার সংকল্প আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। যা আজ আপনারা একটি সুসংহত নয়া দালানকে দেখছেন।
বর্তমানে নয়া দালান মীরসরাই এর গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় শাখা গড়ে তুলে কাজ করছে। সরকার সারা বাংলাদেশের সকল উপজেলায় নয়া দালানের মত রিসার্চ সংস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করছে।
আসলে ইকোনমিক জোন মীরসরাইয়ের মানুষের গলার কাঁটা হবে নাকি গলার মালা হবে তা নির্ভর করছে আমাদের মীরসরাইয়ের সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশার মানুষের আচরণের উপর।
শুরুতেই বলেছি ইকোনোমিক জোন বা শিল্পাঞ্চল হলে স্থানীয় মানুষের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়,মীরসরাইও তার ব্যতিক্রম নয়। এর মধ্যে যে ক্ষতিগুলো হয়ে গেছে তা হল: আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া জমি-জমা হারিয়েছি, হারিয়েছি আমাদের কৃষির বিশাল ভান্ডার, প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে হরিণ সহ জীববৈচিত্র, গবাদি পশুর চারণভূমি, জেলেদের জীবিকা, ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস, মহিষের দুধ -দই, বিভিন্ন রকমের সাগরের মাছ, সর্বোপরি দেশের হাতেগোনা কয়েকটি ইলিশ প্রজনন স্থানের মধ্যে অন্যতম সাহেরখালী ইলিশ প্রজনন কেন্দ্র।
অনাগত দিনে আমরা আরো অনেক সমস্যায় পতিত হবো। মীরসরাইয়ের পশ্চিমাংশে উপকূলীয় বেড়ী বাঁধের পশ্চিম পাশে আড়াআড়িভাবে ৬-৭ ফুট উঁচু করে অপরিকল্পিত ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কারণে বৃষ্টির মৌসুমে মীরসরাই বাসি বন্যা কবলিত হবে যা বিগত বছরগুলোতে কিছুটা দৃশ্যমান হয়েছে। ভূগর্ভ থেকে উৎপাদন কাজে ব্যবহার করার জন্য পানি উত্তোলন করাতে সমস্ত মীরসরাই এর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, মিঠাপানির শূন্যতা দেখা দিবে, ভূমিকম্প ও ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকবে, অতিরিক্ত আরো প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের শিল্প জোনে সম্পৃক্ত হলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে, অপরিকল্পিত নগরায়ন, স্কুল কলেজ হাটবাজার কাঠামো বিঘ্নিত হবে, শিল্প ও মানব সৃষ্ট বর্জ্য পরিবেশ দূষণ করে জনজীবনকে বিষাক্ত করে তুলবে সর্বোপরি বাসযোগ্য থাকবে না মীরসরাই এর পরিবেশ। আর এসব কারণে মীরসরাইয়ের গণমাধ্যম ও সচেতন মহল মীরসরাই ইকোনমিক জোনকে মীরসরাই বাসীর গলার কাঁটা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
কিন্তু নয়া দালান টিম এইসব সমস্যার গভীরে প্রবেশ করে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যথাযথ রিসার্চ করে এসব সমস্যার সমাধানের পথ বের করে বেজা, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর (UDD) ও সরকারি উচ্চ মহলে প্রতিবেদন আকারে জমা দিয়েছে এবং আরও অনুসন্ধান চলমান রেখেছে। বেজাকে নয়া দালান প্রতিনিয়ত চাপে রেখেছে, গত এক বছরে আমি নিজে বেজার সাথে আট বার মিটিং করেছি এবং তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। নয়া দালান যে প্রস্তাবনা ও সমস্যা সঠিকভাবে উত্তরণের যে পথ দেখিয়েছ, তা বাস্তবসম্মত। বেজা আমাদের সাথে একমত হয়েছে। বেজার বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ মীরসরাইয়ের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রেখে মাস্টারপ্ল্যান রিভাইস করে বাস্তবায়নে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। সবচেয়ে সুখকর বিষয় নয়া দালানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হিসেবে মর্যাদা দিয়ে ইকোনমিক জোনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নয়া দালানের মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
নয়া দালান কর্তৃক দেওয়া প্রস্তাবনা গুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হলে মীরসরাই ইকোনমিক জোন মীরসরাই মানুষের গলার কাঁটা নয় গলার মালায় পরিণত হবে।
উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে বেজার কাছে নয়া দালানের প্রস্তাবনা সমূহ :
১. নতুন করে আর কোন কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করা। আবাসনের জন্য প্রস্তাবিত ৫ হাজার একর কৃষি জমি শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ ও বৃষ্টির মৌসুমে ওয়াটার রিটেনশন এরিয়া হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত রাখা।
২. প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বনায়ন করা, স্থিত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অভয়ারণ্য ঘোষণা করা।
৩. কৃষিজমি হারিয়ে বেকার হওয়া ও জেলে সম্প্রদায় কে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিয়ে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা।
৪. ইকোনমিক জোনের কার্যক্রম পুরনো বেড়িবাধের পশ্চিম পাশে সীমাবদ্ধ রাখা এবং বেড়িবাধ সড়ক সহ সমস্ত পূর্বাঞ্চল স্থানীয় জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
৫. প্রাকৃতিক খাল গুলোর পাশাপাশি আরো কমপক্ষে চারটি কৃত্রিম খাল খনন করে মীরসরাইকে বন্যা মুক্ত রাখা।
৬. উৎপাদনের কাজে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন না করে ফেনী নদী অথবা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তিন নদীর মোহনা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি নিয়ে আসা এবং মীরসরাই বাসীকে সে পানি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া।
৭. মীরসরাই ইকোনোমিক জোন কেন্দ্রীক অতিরিক্ত মানুষের চাপ কমাতে বহুমাত্রিক যানবাহন যেমন বাস, ট্রেন, মেট্রো, ওয়াটার বোর্ট সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার অত্যাধুনিকরণ।
৮. নতুন করে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ, হাট বাজার সম্প্রসারণ করা।
৯. মীরসরাই এর কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে অশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত, মধ্যমানের শিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত এই চার ভাগে ভাগ করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মোপযোগী করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
১০. আর এ সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য মীরসরাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (MDA) প্রতিষ্ঠা করা।
ইতিমধ্যে বেজা আমাদের অনেকগুলো প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং মাস্টারপ্ল্যান রিভাইস করে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : নতুন করে কোন জমি অধিগ্রহণ না করা এবং প্রস্তাবিত ৫ হাজার একর জমি ওয়াটার রিটেনশনের জন্য উন্মুক্ত রাখা, প্রতিটি রাস্তার দুপাশে কৃত্রিম খাল খনন, ভূগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলন না করে ফেনী নদী ও তিন নদীর মোহনা থেকে পানি সংগ্রহ করা, পুরাতন বেড়িবাধ ও সুপার ডাইক সড়কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা, মীরসরাই টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার টেন্ডার আহ্বান করা, জেগে ওঠা নতুন চরে ৪০ লাখ গাছ রোপন করে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে।
নয়া দালানের প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে, মীরসরাই ইকোনমিক জোন মীরসরাই বাসীর গলার কাঁটা না হয়ে গলার মালায় পরিণত হবে। আসুন সকলে মিলে সমস্যাকে সম্পদে পরিণত করি, অভিশাপকে আশীর্বাদে রুপান্তর করি। এর জন্য প্রয়োজন মীরসরাইয়ের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা।
ধন্যবাদ।
এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী
প্রধান উপদেষ্টা - নয়া দালান
ও পরিচালক এন্ড সিইও - ক্লিফটন গ্রুপ
পরিচালক - বিজিএমইএ