Mirsarai Economic Zone

Mirsarai Economic Zone Mirsarai Economic Zone is an industrial economic zone currently under development in Mirsarai Upazila, Chittagong on the bank of Sandwip channel.

It is being developed on an area of 35,000 acres and is governed by Bangladesh Economic Zones Authority. The BSMSN Master Plan sets out: i) land uses, ii) access and transport networks, iii) precinct boundaries and characteristics, iv) zoning and permitted uses, v) development guidelines, and iv) environmental and green resilient rules to follow when implementing the zone. The BSMSN site has been divided into 12 separate precincts, which have their own land uses. Although specific plots have not been assigned in the master plan (except for within the industrial areas), it is intended that real estate projects following the designated/assigned land uses and design guidelines will be constructed over time and sold/leased at competitive market rates. The precincts, (their land use and size) for BSMSN are identified below.

গলার কাঁটা নয়, গলার মালাও হতে পারে মীরসরাই ইকোনমিক জোনপ্রসঙ্গ: ২৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখে আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদন। ======...
09/08/2025

গলার কাঁটা নয়, গলার মালাও হতে পারে মীরসরাই ইকোনমিক জোন
প্রসঙ্গ: ২৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখে আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদন।
========================================
'ইকোনোমিক জোন' বাংলা প্রতিশব্দ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ইকোনমিক জোনের শব্দদ্বয়ের যে অন্তর্নিহিত বার্তা তা হল উৎপাদন চঞ্চলতা, অত্যাধুনিক মেশিনের ঝনঝনানি, যানবাহনের দৌরাত্ম, কলকারখানার ক্ষতিকারক বর্জ্য, অসংখ্য মানুষের আনাগোনা, সর্বোপরি প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপরীত ধর্মী একটা অবস্থান। এসব কিছু জেনেশুনেও মানুষ এই কার্যক্রম পরিচালনা করে এর অন্যতম কারণ হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। একটা জাতি যদি উন্নত জাতিতে রুপান্তরিত হতে চায় তাহলে তাকে কৃষির পাশাপাশি আনতে হবে শিল্প বিপ্লব। শিল্পের বিপ্লব ছাড়া আজকের পৃথিবীর কোন দেশেই টেকসই উন্নয়নে যেতে পারবেনা। যার কারনে পরিবেশের ক্ষতিসাধন জানা সত্ত্বেও যুগে যুগে মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির আশায় শিল্পের বিপ্লব সাধন করেছে। দেশে-দেশে, যুগে-যুগে এ শিল্প বিপ্লবের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটি দেশের যে অঞ্চলের শিল্প বিপ্লব হয় সে এলাকার মানুষই সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় জনগণের অপরিসীম ত্যাগ ও ক্ষতির উপর দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে পুরো জাতি, আর এই কার্যক্রম প্রচলিত আছে যুগ যুগ ধরে এবং সবাই এটাকে বৈধ হিসেবেই ধরে নিয়েছে। এ যেন স্থানীয়দের বলি দিয়ে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি কিনে নেয়ার একটা নিষ্ঠুর বৈধ নিয়ম।
২০১৬ সালে যখন মীরসরাই তে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠার প্রস্তাবনা আসলো তখন থেকেই আমি মীরসরাই এর মানুষকে এই শিল্প বিপ্লবের নেগেটিভ দিক থেকে কতটা মুক্তি দিতে পারি তা নিয়ে কাজ শুরু করি। আমার নিজের ব্যবসার কারণে বিভিন্ন দেশের শিল্পাঞ্চল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা রয়েছে পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের ইতিহাস এবং মেরিট-ডিমেরিট পর্যালোচনা করে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করি। আমার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের আলোকে বুঝতে পারলাম এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়, এর জন্য দরকার একটা অবকাঠামো।
সর্বপ্রথম মিরসরাই এসোসিয়েশনের 'হৃদয়ে মিরসরাই' নামে প্রকাশনায় 'মীরসরাই সমৃদ্ধি ও সংকট: উত্তরণে করণীয়' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আমি মীরসরাই এর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে সংলাপ করে তাদের নিয়ে নয়া দালান নামে একটি আঞ্চলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিই। মীরসরাইয়ের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা ইতিমধ্যে তাদের জ্ঞান ও প্রতিভা দিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে আলো ছড়িয়েছেন তাদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধ্যয়নরত মীরসরাইয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে গড়ে তুলি এই রিসার্চ টিম। এই টিমের প্রধান কাজ হলো সরেজমিনে গবেষণা করে সরকারের এই উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি সচল রেখে, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের আশু ক্ষতি লাঘব এবং স্থানীয়দের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করনে কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে উপস্থাপন করা। কারণ এখানে বেজা, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর বা অন্য কোন বিভাগে যারা কাজ করবে তারা সবাই বাইরের মানুষ, মীরসরাই বাসীর সমস্যা মীরসরাইয়ের মানুষ থেকে বেশি কেউ বুঝবে না অথবা বুঝলেও হয়তো বেশি গুরুত্ব দিবে না।
নয়া দালান মীরসরাই মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতিটা পয়েন্ট গবেষণা করে যাচাই-বাছাই করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে জমা দিয়ে শুধু ক্ষান্ত হয়নি সেগুলো বাস্তবায়নে ও মাস্টারপ্ল্যানে সংযুক্ত করণে যৌক্তিক চাপ প্রয়োগ করে চলেছে অদ্যাবধি।
শিল্প বিপ্লবের সুফল-কুফল দুটোই রয়েছে। এর সুফল স্থানীয় জনগণ সহ সমস্ত দেশের মানুষ উপভোগ করে, আর কুফল বা ক্ষতিকারক দিক বেশিরভাগ সময়ই ভোগ করতে হয় ইকোনমিক জোন যেখানে গড়ে উঠেছে সেখানকার স্থানীয় জনগণকে। স্থানীয় জনগণ তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে পুরো জাতিকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়। আর এই কাজে দেখা গেছে অনেক জায়গায় স্থানীয় জনগণের পূর্বপুরুষের ভিটা-মাটি, জমি-জমা সহ তাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব বিলীন হয়ে একাকার হয়ে যায়। রাষ্ট্র তখন তাদের এই হাহাকার দেখেও দেখে না কারণ সমষ্টিগত উন্নয়নে একটা ক্ষুদ্র জাতী বা গোষ্ঠীর সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই বলিদান গ্রহণযোগ্য। আর এই জায়গাটিতে আমি কাজ করেছি, কাজ করার চেষ্টা করেছি।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই ইকোনমিক জোন গড়ে উঠেছে আমার জন্মস্থান মীরসরাইতে, যার সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। আমার ভেতরটা চরম অস্থির হয়ে উঠে ইকোনমিক জোন হওয়ার কারণে মীরসরাইয়ের সুদীর্ঘ,সমৃদ্ধ পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি,কৃষ্টি ক্ষতির সম্মুখীন হবে, পরিবর্তিত হয়ে যাবে সমস্ত কাঠামো , আর এতে করে আমরা নিজ দেশে পরবাসী হচ্ছি কিনা তা আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবিয়েছে, অস্থির করে তুলেছে, আর এই ভাবনাই আমাকে পথ দেখিয়েছে। আমি অনুসন্ধান করতে লাগলাম কিভাবে সরকারের এই উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে মীরসরাই মানুষের স্বার্থ সন্নিবেশ করে ক্ষতি কমিয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এই কাজে সম্পৃক্ত হতে কেউ আমাকে বলেনি, আমার শৈশব বেড়ে ওঠা মীরসরাইয়ের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি প্রথম নির্ণয় করলাম ইকোনমিক জোনের কারণে মীরসরাইয়ের কোথায় কোথায় সমস্যা হতে পারে, সমস্যা চিহ্নিত করে এগুলোকে কিভাবে সহজভাবে মীরসরাইয়ের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রেখে সমাধান করা যায়, এই পথ বের করার জন্য শুরু করি রিসার্চ। নয়া দালানের উপদেষ্টা পরিষদ ও রিসার্চ টিমের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা গবেষণালব্ধ নতুন নতুন প্রস্তাবনা ও সমাধানের পথ আবিষ্কার করে বেজা, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ( UDD) ও সরকারের উচ্চ মহলে প্রতিবেদন আকারে জমা প্রদান করি। কিন্তু সেই পথ আমাদের জন্য মসৃণ ছিল না, শত বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে আমাদের। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী শ্রেণী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরদারি থাকা সত্ত্বেও মীরসরাই এর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার সংকল্প আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। যা আজ আপনারা একটি সুসংহত নয়া দালানকে দেখছেন।
বর্তমানে নয়া দালান মীরসরাই এর গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় শাখা গড়ে তুলে কাজ করছে। সরকার সারা বাংলাদেশের সকল উপজেলায় নয়া দালানের মত রিসার্চ সংস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করছে।
আসলে ইকোনমিক জোন মীরসরাইয়ের মানুষের গলার কাঁটা হবে নাকি গলার মালা হবে তা নির্ভর করছে আমাদের মীরসরাইয়ের সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশার মানুষের আচরণের উপর।
শুরুতেই বলেছি ইকোনোমিক জোন বা শিল্পাঞ্চল হলে স্থানীয় মানুষের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়,মীরসরাইও তার ব্যতিক্রম নয়। এর মধ্যে যে ক্ষতিগুলো হয়ে গেছে তা হল: আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া জমি-জমা হারিয়েছি, হারিয়েছি আমাদের কৃষির বিশাল ভান্ডার, প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে হরিণ সহ জীববৈচিত্র, গবাদি পশুর চারণভূমি, জেলেদের জীবিকা, ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস, মহিষের দুধ -দই, বিভিন্ন রকমের সাগরের মাছ, সর্বোপরি দেশের হাতেগোনা কয়েকটি ইলিশ প্রজনন স্থানের মধ্যে অন্যতম সাহেরখালী ইলিশ প্রজনন কেন্দ্র।
অনাগত দিনে আমরা আরো অনেক সমস্যায় পতিত হবো। মীরসরাইয়ের পশ্চিমাংশে উপকূলীয় বেড়ী বাঁধের পশ্চিম পাশে আড়াআড়িভাবে ৬-৭ ফুট উঁচু করে অপরিকল্পিত ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কারণে বৃষ্টির মৌসুমে মীরসরাই বাসি বন্যা কবলিত হবে যা বিগত বছরগুলোতে কিছুটা দৃশ্যমান হয়েছে। ভূগর্ভ থেকে উৎপাদন কাজে ব্যবহার করার জন্য পানি উত্তোলন করাতে সমস্ত মীরসরাই এর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, মিঠাপানির শূন্যতা দেখা দিবে, ভূমিকম্প ও ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকবে, অতিরিক্ত আরো প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের শিল্প জোনে সম্পৃক্ত হলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে, অপরিকল্পিত নগরায়ন, স্কুল কলেজ হাটবাজার কাঠামো বিঘ্নিত হবে, শিল্প ও মানব সৃষ্ট বর্জ্য পরিবেশ দূষণ করে জনজীবনকে বিষাক্ত করে তুলবে সর্বোপরি বাসযোগ্য থাকবে না মীরসরাই এর পরিবেশ। আর এসব কারণে মীরসরাইয়ের গণমাধ্যম ও সচেতন মহল মীরসরাই ইকোনমিক জোনকে মীরসরাই বাসীর গলার কাঁটা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
কিন্তু নয়া দালান টিম এইসব সমস্যার গভীরে প্রবেশ করে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যথাযথ রিসার্চ করে এসব সমস্যার সমাধানের পথ বের করে বেজা, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর (UDD) ও সরকারি উচ্চ মহলে প্রতিবেদন আকারে জমা দিয়েছে এবং আরও অনুসন্ধান চলমান রেখেছে। বেজাকে নয়া দালান প্রতিনিয়ত চাপে রেখেছে, গত এক বছরে আমি নিজে বেজার সাথে আট বার মিটিং করেছি এবং তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। নয়া দালান যে প্রস্তাবনা ও সমস্যা সঠিকভাবে উত্তরণের যে পথ দেখিয়েছ, তা বাস্তবসম্মত। বেজা আমাদের সাথে একমত হয়েছে। বেজার বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ মীরসরাইয়ের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রেখে মাস্টারপ্ল্যান রিভাইস করে বাস্তবায়নে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। সবচেয়ে সুখকর বিষয় নয়া দালানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হিসেবে মর্যাদা দিয়ে ইকোনমিক জোনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নয়া দালানের মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
নয়া দালান কর্তৃক দেওয়া প্রস্তাবনা গুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হলে মীরসরাই ইকোনমিক জোন মীরসরাই মানুষের গলার কাঁটা নয় গলার মালায় পরিণত হবে।
উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে বেজার কাছে নয়া দালানের প্রস্তাবনা সমূহ :
১. নতুন করে আর কোন কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করা। আবাসনের জন্য প্রস্তাবিত ৫ হাজার একর কৃষি জমি শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ ও বৃষ্টির মৌসুমে ওয়াটার রিটেনশন এরিয়া হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত রাখা।
২. প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বনায়ন করা, স্থিত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অভয়ারণ্য ঘোষণা করা।
৩. কৃষিজমি হারিয়ে বেকার হওয়া ও জেলে সম্প্রদায় কে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিয়ে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা।
৪. ইকোনমিক জোনের কার্যক্রম পুরনো বেড়িবাধের পশ্চিম পাশে সীমাবদ্ধ রাখা এবং বেড়িবাধ সড়ক সহ সমস্ত পূর্বাঞ্চল স্থানীয় জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
৫. প্রাকৃতিক খাল গুলোর পাশাপাশি আরো কমপক্ষে চারটি কৃত্রিম খাল খনন করে মীরসরাইকে বন্যা মুক্ত রাখা।
৬. উৎপাদনের কাজে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন না করে ফেনী নদী অথবা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তিন নদীর মোহনা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি নিয়ে আসা এবং মীরসরাই বাসীকে সে পানি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া।
৭. মীরসরাই ইকোনোমিক জোন কেন্দ্রীক অতিরিক্ত মানুষের চাপ কমাতে বহুমাত্রিক যানবাহন যেমন বাস, ট্রেন, মেট্রো, ওয়াটার বোর্ট সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার অত্যাধুনিকরণ।
৮. নতুন করে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ, হাট বাজার সম্প্রসারণ করা।
৯. মীরসরাই এর কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে অশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত, মধ্যমানের শিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত এই চার ভাগে ভাগ করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মোপযোগী করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
১০. আর এ সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য মীরসরাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (MDA) প্রতিষ্ঠা করা।
ইতিমধ্যে বেজা আমাদের অনেকগুলো প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং মাস্টারপ্ল্যান রিভাইস করে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : নতুন করে কোন জমি অধিগ্রহণ না করা এবং প্রস্তাবিত ৫ হাজার একর জমি ওয়াটার রিটেনশনের জন্য উন্মুক্ত রাখা, প্রতিটি রাস্তার দুপাশে কৃত্রিম খাল খনন, ভূগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলন না করে ফেনী নদী ও তিন নদীর মোহনা থেকে পানি সংগ্রহ করা, পুরাতন বেড়িবাধ ও সুপার ডাইক সড়কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা, মীরসরাই টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার টেন্ডার আহ্বান করা, জেগে ওঠা নতুন চরে ৪০ লাখ গাছ রোপন করে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে।
নয়া দালানের প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে, মীরসরাই ইকোনমিক জোন মীরসরাই বাসীর গলার কাঁটা না হয়ে গলার মালায় পরিণত হবে। আসুন সকলে মিলে সমস্যাকে সম্পদে পরিণত করি, অভিশাপকে আশীর্বাদে রুপান্তর করি। এর জন্য প্রয়োজন মীরসরাইয়ের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা।
ধন্যবাদ।
এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী
প্রধান উপদেষ্টা - নয়া দালান
ও পরিচালক এন্ড সিইও - ক্লিফটন গ্রুপ
পরিচালক - বিজিএমইএ

দেশের ২য় বৃহত্তর মেরিন ড্রাইভ সড়ক তৈরি হবে . ফেনী - মিরসরাই - সীতাকুণ্ড জুড়ে
11/06/2025

দেশের ২য় বৃহত্তর মেরিন ড্রাইভ সড়ক তৈরি হবে . ফেনী - মিরসরাই - সীতাকুণ্ড জুড়ে

04/05/2025
কেমন হবে ২০৫০ সালের মিরসরাই ইকোনোমিক জোন? Mirsarai Economic zone in 2050?By 2050, the Mirsarai Economic Zone—now officia...
30/04/2025

কেমন হবে ২০৫০ সালের মিরসরাই ইকোনোমিক জোন? Mirsarai Economic zone in 2050?
By 2050, the Mirsarai Economic Zone—now officially known as the National Special Economic Zone (NSEZ)—is envisioned to be a transformative, self-sustaining industrial city and one of the largest economic zones in Southeast Asia. Spanning over 33,000 acres across Mirsarai and Sitakunda in Chattogram and Sonagazi in Feni, the NSEZ is being developed under the Bangladesh Economic Zones Authority (BEZA) to serve as a global manufacturing and logistics hub
Industrial and Economic Landscape
The NSEZ is projected to host a diverse range of industries, including:​

Ready-made garments (with a 500-acre zone dedicated to BGMEA)
Automobile assembly and electric vehicle (EV) manufacturing
Pharmaceuticals and chemicals
Agro-processing and food industries
Shipbuilding and light engineering
Electronics and renewable energy technologiesThe zone aims to create employment opportunities for approximately 1.5 million people and generate exports worth $25 billion annually.

Infrastructure and Connectivity
By 2050, the NSEZ is expected to feature:​

Integrated transport networks, including seaports, railways, and highways
A multimodal logistics hub to streamline supply chains
Advanced utility services, including dedicated power plants and water treatment facilities
Smart city elements, such as digital infrastructure and automated systems​

These developments are designed to enhance the zone's competitiveness and attract both domestic and foreign investment. ​
Sustainable and Smart Development
Sustainability is a core focus of the NSEZ's long-term plan. Initiatives include:​summit.bida.gov.bd+1pppo.gov.bd+1pppo.gov.bd

Installation of a 250 MW solar power plant utilizing floating, rooftop, and ground-mounted panels
Implementation of green zones and dedicated effluent treatment facilities
Adoption of renewable energy solutions for cleaner production​summit.bida.gov.bd

These efforts align with Bangladesh's commitment to low-carbon development and environmental stewardship. ​
Urban and Social Infrastructure
The NSEZ is planned to be more than just an industrial hub; it aims to be a comprehensive urban center featuring:

Residential areas with modern amenities
Educational institutions, including schools and universities
Healthcare facilities and hospitals
Recreational spaces, such as parks and tourist centers

This holistic approach is intended to improve the quality of life for residents and workers, fostering a vibrant community within the zone.
Challenges and Outlook
Despite its ambitious plans, the NSEZ faces challenges, including:​

Ensuring adequate utility services, such as gas and water supply
Attracting and retaining skilled labor
Realizing proposed investments and maintaining investor confidenceAddressing these issues will be critical to achieving the NSEZ's vision by 2050. ​

In summary, the Mirsarai Economic Zone is poised to become a cornerstone of Bangladesh's economic development, integrating industrial growth with sustainable urban living to create a dynamic and resilient economic ecosystem by mid-century.
২০৫০ সালেরমধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই এবং সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী জুড়ে ৩৩,০০০ একরেরও বেশি জমি জুড়ে, এনএসইজেডটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর অধীনে একটি বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
শিল্প ও অর্থনৈতিক ভূদৃশ্য
এনএসইজেডে বিভিন্ন ধরণের শিল্পের আয়োজন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে:

তৈরি পোশাক (বিজিএমইএ-র জন্য ৫০০ একর এলাকা নিবেদিত)
অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন (EV) উৎপাদন
ওষুধ ও রাসায়নিক
কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ এবং খাদ্য শিল্প
জাহাজ নির্মাণ এবং হালকা প্রকৌশল
ইলেকট্রনিক্স এবং নবায়নযোগ্য শক্তিপ্রযুক্তি

এই অঞ্চলটির লক্ষ্য হল প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং বার্ষিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করা।
অবকাঠামো এবং সংযোগ
২০৫০ সালের মধ্যে, NSEZ-তে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে:

সমুদ্রবন্দর, রেলপথ এবং মহাসড়ক সহ সমন্বিত পরিবহন নেটওয়ার্ক
সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুগম করার জন্য একটি মাল্টিমডাল লজিস্টিক হাব
উন্নত ইউটিলিটি পরিষেবা, যার মধ্যে রয়েছে ডেডিকেটেড পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং জল পরিশোধন সুবিধা।
স্মার্ট সিটির উপাদান, যেমন ডিজিটাল অবকাঠামো এবং স্বয়ংক্রিয়সিস্টেম

এই উন্নয়নগুলি অঞ্চলের প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি এবং দেশীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
টেকসই এবং স্মার্ট উন্নয়ন
এনএসইজেডের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো টেকসইতা। উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে:

ভাসমান, ছাদ এবং মাটিতে মাউন্ট করা প্যানেল ব্যবহার করে ২৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন
সবুজ অঞ্চল এবং নিবেদিতপ্রাণ বর্জ্য পরিশোধন সুবিধা বাস্তবায়ন
পরিচ্ছন্নউৎপাদনের

এই প্রচেষ্টাগুলি কম কার্বন উন্নয়ন এবং পরিবেশগত তত্ত্বাবধানের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
নগর ও সামাজিক অবকাঠামো
এনএসইজেড কেবল একটি শিল্প কেন্দ্রের চেয়েও বেশি কিছু হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে; এটি একটি বিস্তৃত নগর কেন্দ্র হওয়ার লক্ষ্য রাখে যার মধ্যে রয়েছে:

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ আবাসিক এলাকা
স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং হাসপাতাল
বিনোদনমূলক স্থান, যেমন পার্ক এবং পর্যটনকেন্দ্র

এই সামগ্রিক পদ্ধতির লক্ষ্য হল বাসিন্দা এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, যা অঞ্চলের মধ্যে একটি প্রাণবন্ত সম্প্রদায় গড়ে তুলবে।
চ্যালেঞ্জ এবং দৃষ্টিভঙ্গি
উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও, NSEZ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যার মধ্যে রয়েছে:

গ্যাস এবং জল সরবরাহের মতো পর্যাপ্ত ইউটিলিটি পরিষেবা নিশ্চিত করা
দক্ষ শ্রমিক আকর্ষণ এবং ধরে রাখা
প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বাস্তবায়ন এবং বিনিয়োগকারীদেরআস্থা

২০৫০ সালের মধ্যে NSEZ-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই সমস্যাগুলির সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠবে, যা শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে একটি গতিশীল এবং স্থিতিস্থাপক অর্থনৈতিক বাস্তুতন্ত্র তৈরির জন্য টেকসই নগর জীবনযাত্রার সাথে শিল্প প্রবৃদ্ধিকে একীভূত করবে।

মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। ৫৫ সদস্যের বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিদল...
07/04/2025

মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। ৫৫ সদস্যের বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিদল আজ সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পৌঁছেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ঢাকায় শুরু হওয়া ৪ দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে আসা যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০ টি দেশের অর্ধশতাধিক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে আসেন।

জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব অধ্যয়ন করছে বেজাবাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEZA) চট্টগ...
21/03/2025

জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব অধ্যয়ন করছে বেজা
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEZA) চট্টগ্রামে অবস্থিত তার প্রধান অর্থনৈতিক অঞ্চল (EZ) এর আশেপাশের একটি বিশাল অঞ্চল জুড়ে সামাজিক ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।

চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজীতে ৩৩,০০০ একর জমি জুড়ে বিশাল শিল্প নগরী উন্নয়নের প্রভাব বোঝার জন্য এটি একটি বৃহৎ গবেষণা পরিচালনা করছে, যা জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এনএসইজেড) নামে পরিচিত।

'আঞ্চলিক পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্যায়ন (RESA)' শীর্ষক এই গবেষণায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।

এই লক্ষ্যে, বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে খসড়া ফলাফল ভাগ করে নেওয়ার জন্য BEZA একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের SDG বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং BEZA নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম হুমায়ুন কবির।

লামিয়া মোর্শেদ বলেন, এনএসইজেডের উন্নয়ন ১১টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এর জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বলেন, তারা সমন্বিত শিল্পায়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি তৈরি করছেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ সুরক্ষার একটি মডেল হবে।

তিনি আরও বলেন, এনএসইজেডের উন্নয়ন সফল হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

এনএসইজেড উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, চলমান গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব চিহ্নিতকরণ ও বিশ্লেষণ করা এবং এনএসইজেডের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত সমাধান বা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করা।

তিনি বলেন, কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদনটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সকলের মতামতের জন্য BEZA ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হবে।

মিরসরাইয়ে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়বে বেজাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চল চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়ে...
05/11/2024

মিরসরাইয়ে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়বে বেজা
দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চল চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়ে সেখানকার পতিত জমি ব্যবহারের কথা ভাবছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ও বেজার নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠা করা।'

বেজা ইতোমধ্যে কারখানার জন্য ১৫৬ বিনিয়োগকারীর মধ্যে ১৬ হাজার ৮০০ একর জমির প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ একর বরাদ্দ দিয়েছে।

পরিকল্পনা অনুসারে, অর্থনৈতিক অঞ্চলটির ৫৫ শতাংশ বা নয় হাজার ২৪০ একর জমিতে কারখানা হবে। আরও ২৫ শতাংশ বা চার হাজার ২০০ একর জমিতে রাস্তা, ইউটিলিটি, হ্রদ ও গাছপালা থাকবে। বাকি ২০ শতাংশ হ্রদ ও বনায়নের জন্য খালি থাকবে।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা পর্যায়ক্রমে উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনা হয়ে গেলে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভাবব।'
কারখানার জন্য যে তিন হাজার ৮৪০ একর জমি আছে এর একটি অংশে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়ে তোলা হতে পারে।
'প্রায় ১৫ বছর ধরে জমি অব্যবহৃত রেখে লাভ নেই' উল্লেখ করে আশিক চৌধুরী বলেন, 'পরিকল্পনাটি ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।'

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও একটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারবে। বহুপাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হবে বলেও জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

বিষয়টি এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে এবং খরচ এখনো ধরা হয়নি। বেজা আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক করতে চায়।

এ ছাড়াও, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব সোলার প্যানেল বসাতে পারবেন বলেও জানান আশিক চৌধুরী।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে চাপ দেওয়া হবে তা বেজা প্রথমে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করব।'

'একইভাবে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করব। বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখতে পারেন এমন সৎ ও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে চাই। এমন প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না যা পূরণ সম্ভব নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'অর্থনৈতিক অঞ্চলের চারপাশে নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। ২০২৮ সাল থেকে বিনিয়োগকারীরা এখানে বিদ্যুৎসহ সব ইউটিলিটি নিতে পারবেন।'

'বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের কারখানা কোথায় করা যেতে পারে এর পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরব। এ জন্য আমি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের মতো সৎ ও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে চাই।'

03/10/2024

আলহামদুলিল্লাহ, ড্রোন কারখানা হবে মিরসরাইতে ইকোনোমিক জোন এ,যা আমাদের মিরসরাই বাসির জন্য হবে গর্বের বিষয়।

অপরূপ সৌন্দর্যের মিরসরাইপাহাড়-সমুদ্র বেষ্টিত এই উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট যেন সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে পর...
14/09/2024

অপরূপ সৌন্দর্যের মিরসরাই
পাহাড়-সমুদ্র বেষ্টিত এই উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট যেন সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে পর্যটকদের বরণ করতে
এখানে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প, দেশের ৬ষ্ঠ সেচ ও প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প মুহুরি প্রজেক্ট, আট স্তর বিশিষ্ট জলপ্রপাত খৈয়াছড়া ঝরনা, রূপসী ঝরনা।
আরও আছে বাওয়াছড়া প্রকল্প, বোয়ালিয়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, ডোমখালী সমুদ্র সৈকত, হিলসডেল মাল্টি ফার্ম, আরশিনগর ফিউচার পার্ক ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বসুন্ধরা পয়েন্ট।
ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির অতি কাছাকাছি যে যেতেই হবে। অপার সৌন্দর্যমন্ডিত প্রকৃতির সঙ্গে এবার ঈদে তাই এখানকার মুখরিত জনপদ হয়ে উঠবে আরও মুখর।
মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া পাহাড়িয়া এলাকায় যুগ যুগ ধরে ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে। সবুজ শ্যামল পাহাড়িয়া লেকে পাখিদের কলতানে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা সকলের পরান জুড়িয়ে যাবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় কমলদহ বাজার থেকে থেকে ২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত এ ঝর্ণা দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ স্থানে ছুটে আসে শত শত পর্যটক।
প্রকৃতির আরেক নাম মুহুরি। যেখানে আছে আলো-আঁধারের খেলা। মুহুরির চর, যেন মিরসরাইয়ের ভেতর আরেক মিরসরাই।
চিকচিকে বালিতে জল আর রোদের খেলা চলে সারাক্ষণ। সামনে পেছনে, ডানে-বামে কেবল সৌন্দর্য আর সুন্দরের ছড়াছড়ি। মুহুরির প্রকৃতির ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত স্মৃতিরা যেন হারিয়ে যাওয়ার নয়।
বায়ান্ন বাঁকের বড়দারোহাট-বেড়িবাঁধ সড়ক অতিক্রম করে দেখা মিলবে বিশাল সমুদ্র সৈকতের। শোনা যাবে সাগরের গর্জন। দখিনা মিষ্টি হাওয়ায় শরীর টা শীতল হয়ে যাবে। উত্তরে দুচোখ যতটুকু যাবে দেখা মিলবে সৈকতের, দক্ষিণে কেওড়া গাছের সবুজ বাগান। পশ্চিমে শুধু সাগর আর সাগর। ঘাটে রয়েছে সারি সারি ডিঙ্গি নৌকা
দূর থেকে দেখা যায় প্রায় পাহাড়সম বাঁধ। উভয় পাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। বাঁধের ধারে অপেক্ষমাণ সারি সারি ডিঙি নৌকো আর ইঞ্জিনচালিত বোট। ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লেক কেবল সুভা ছড়ায়।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের আরেক নাম বড় কমলদহ রূপসী ঝর্ণা। দুই পাশে সুউচ্চ পাহাড়। সাঁ সাঁ শব্দে উঁচু পাহাড় থেকে অবিরাম শীতল পানি গড়িয়ে যাচ্ছে ছড়া দিয়ে।
প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ।
প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি সেতুবন্ধন করে, সবুজের চাদরে ঢাকা বনানী রূপের আগুন ঝরায়, যেখানে প্রকৃতি খেলা করে আপন মনে, ঝুম ঝুম শব্দে বয়ে চলা ঝরনাধারায় গা ভিজিয়ে মানুষ যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ থেকে নিজেকে ধুয়ে সজীব করে তুলছে খৈয়াছড়া ঝরনায়।

গ্রিন বিল্ডিং বনাম গ্রিন ওয়াশিংগ্রিন বিল্ডিং, টেকসই বা পরিবেশ বান্ধব বিল্ডিং নামেও পরিচিত, কাঠামো তৈরির অনুশীলনকে বোঝায...
15/05/2024

গ্রিন বিল্ডিং বনাম গ্রিন ওয়াশিং
গ্রিন বিল্ডিং, টেকসই বা পরিবেশ বান্ধব বিল্ডিং নামেও পরিচিত, কাঠামো তৈরির অনুশীলনকে বোঝায় এবং একটি বিল্ডিংয়ের জীবনচক্র জুড়ে পরিবেশগতভাবে দায়ী এবং সম্পদ-দক্ষ প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করার অনুশীলনকে বোঝায়, সিটিং থেকে ডিজাইন, নির্মাণ, অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার, এবং ধ্বংস. গ্রিন বিল্ডিংয়ের লক্ষ্য হল মানব স্বাস্থ্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্মিত পরিবেশের সামগ্রিক প্রভাব হ্রাস করা।
অন্যদিকে, গ্রিনওয়াশিং হল একটি প্রতারণামূলক বিপণন বা জনসংযোগের অনুশীলন যা কোম্পানিগুলি নিজেদের পরিবেশ বান্ধব বা সামাজিকভাবে দায়ী হিসাবে চিত্রিত করার জন্য ব্যবহার করে যখন, বাস্তবে, তারা তাদের পরিবেশগত প্রভাব কমাতে বা তাদের সামাজিক দায়িত্ব উন্নত করার জন্য অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় না। এতে ভোক্তাদেরকে বিভ্রান্ত করে বিশ্বাস করে যে একটি কোম্পানির পণ্য বা অনুশীলনগুলি আসলে তার চেয়ে বেশি টেকসই বা পরিবেশ বান্ধব।

বিশেষ করে টেক্সটাইল ও আরএমজি সেক্টরে বাংলাদেশ গ্রিন বিল্ডিং মুভমেন্ট খুবই শক্তিশালী। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সেরা LEED গ্রীন বিল্ডিং এর আবাসস্থল (এসএম সোর্সিং, 106 পয়েন্ট সহ LEED প্লাটিনাম) এবং বিশ্বের সেরা 10 টি LEED প্লাটিনাম প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে শীর্ষ 9টি বাংলাদেশে রয়েছে।

USGBC LEED হল অত্যন্ত ব্যাপক টেকসই চেকলিস্ট যা গত 30 বছরে বিকশিত হয়েছে এবং বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় গ্রীন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম হয়ে উঠেছে। যেকোনো উন্নয়নের টেকসই অনুশীলনের মানদণ্ড হিসেবে LEED-এর বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশ্বের 183টি দেশ ও অঞ্চলে LEED প্রত্যয়িত প্রকল্প রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্প কার্বন নির্গমন, শক্তি এবং জল খরচ এবং পরিবেশ এবং জল দূষণের অন্যতম প্রধান উত্স। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং কার্বন নিঃসরণ পরিবর্তন ও কমানোর লড়াইয়ে, ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লক্ষণীয় ব্যবস্থার কথা বলছে এবং সাপ্লাই চেইন হিসেবে বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরকে এর অংশ হতে হবে এবং হতে হবে।

এই কারণে, বাংলাদেশ থেকে আরএমজির ক্রেতারা LEED সার্টিফাইড প্রকল্পকে উৎসাহিত করে এবং অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন ও অনুশীলনকে উৎসাহিত করে, যেমন "টেকসই পুনঃঅর্থায়ন" খুব কম হারে (5%) এবং কর্পোরেট রেট ডিসকাউন্ট (2%)। আজ অবধি (23.03.2024) বাংলাদেশে 792টি প্রকল্প USGBC-তে নিবন্ধিত এবং এর মধ্যে 239টি প্রত্যয়িত (87টি প্লাটিনাম, 133টি গোল্ড, 15টি সিলভার এবং 4টি 3.23.2024 তারিখে প্রত্যয়িত)।

ক্রেতাদের স্থায়িত্ব অগ্রাধিকার সন্তুষ্ট করতে, পছন্দগুলি পেতে, কম খরচে তহবিল বা কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়ের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে, বেশ কয়েকটি প্রকল্প LEED সার্টিফিকেশন অনুসরণ করছে। দুর্ভাগ্যবশত, এর মধ্যে খুব কম কিছু না করেই শোভাকর উদ্দেশ্যে LEED শংসাপত্র অনুসরণ করছে এবং একে 'গ্রিনওয়াশিং' বলা হয়।

LEED গ্রিন বিল্ডিং কনসেপ্ট যখন সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়, তখন এটি অনুসরণের মতো প্রকল্পগুলিতে উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করতে পারে; -

বিল্ডিং নির্মাণ খরচ 2% থেকে 5% হ্রাস করুন (নতুন বিল্ডিং)
বিল্ডিং চলমান খরচ হ্রাস
নির্মাণ সময় 20% থেকে 30% কমিয়ে দিন
প্রতিস্থাপন খরচ হ্রাস
বিনিয়োগ বা ঋণের খরচ 5% থেকে 7% কমিয়ে দিন
কর্পোরেট ট্যাক্স 2% হ্রাস করুন
কম কার্বন নির্গমন এবং উচ্চতর গ্রহণযোগ্যতার সাথে বৈশ্বিক সুবিধা
কম শক্তি, জল এবং সম্পদ খরচ সহ পরিবেশগত সুবিধা
স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতার জন্য "অভ্যন্তরীণ পরিবেশগত গুণমান" উন্নত করুন
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সাথে বিপণনের সুবিধাগুলি উন্নত করুন
ESG রিপোর্টিংয়ের সাথে কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং উন্নত করুন
ব্যাপক টেকসই অনুশীলনের সাথে ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি উন্নত করুন


“যদি আমরা LEED গ্রিন বিল্ডিং ধারণাগুলি বাস্তবসম্মত উপায়ে বুঝতে পারি, তবে খরচ কোন সমস্যা নয়। আমরা যদি অর্থপূর্ণভাবে খরচ এবং সুবিধাগুলি বিশ্লেষণ করি, তাহলে আমরা দেখব LEED গ্রিন বিল্ডিং কস্ট লিস তারপরে নিয়মিত বিল্ডিং এবং কোম্পানিগুলির জন্য উল্লেখযোগ্য লাভ তৈরি হবে।"

আমরা যদি এটি সঠিকভাবে করি তবে ক্রেতাদের বেশি অর্থ প্রদান করতে হবে না। কারণ আমরা ইতিমধ্যেই শক্তি, জল, সম্পদ, প্রতিস্থাপন খরচ, ঋণের খরচ সঞ্চয় করছি এবং উন্নত অভ্যন্তরীণ পরিবেশের সাথে আমাদের উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং টার্নওভারের হার হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে, 'গ্রিনওয়াশিং' এর মাধ্যমে LEED সার্টিফিকেট অর্জন করা উপরের সমস্ত সুবিধা তৈরি করবে না এবং আমরা অভিযোগ করতে পারি যে 'ক্রেতারা বেশি অর্থ প্রদান করেন না'।

গ্রিনওয়াশিং পরিবেশগত দাবির প্রতি ভোক্তাদের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাদের জন্য সচেতন পছন্দ করা কঠিন করে তুলতে পারে। ভোক্তাদের পক্ষে কোম্পানিগুলির পরিবেশগত দাবিগুলিকে সমালোচনামূলকভাবে মূল্যায়ন করা এবং সেই দাবিগুলিকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের সন্ধান করা গুরুত্বপূর্ণ৷ উপরন্তু, সংস্থা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি গ্রিন ওয়াশিং প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে এবং বিভ্রান্তিকর বিপণন অনুশীলনের জন্য কোম্পানিগুলিকে দায়বদ্ধ রাখতে পারে।
সংক্ষেপে, যদিও "সবুজ" স্বচ্ছতা, মূর্ত কর্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি দ্বারা চিহ্নিত পরিবেশগত টেকসইতার দিকে প্রামাণিক প্রচেষ্টাকে বোঝায়, "সবুজ ধোয়া" প্রকৃত প্রতিশ্রুতি বা অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ ছাড়াই পরিবেশ বান্ধব দেখানোর প্রতারণামূলক বা ভাসাভাসা প্রচেষ্টাকে বোঝায়।

বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টর বেশিরভাগই ইউরোপীয় ক্রেতাদের উপর নির্ভরশীল এবং তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম ও প্রবিধান মেনে চলে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন 'গ্রিনওয়াশিং' অনুশীলনের মোকাবিলা করার উদ্যোগ নিয়ে কথা বলছে এবং টেকসই অনুশীলনের স্বচ্ছতা এবং যাচাইযোগ্য প্রমাণের জন্য জিজ্ঞাসা করছে।

2022 সালের মার্চ মাসে, ইউরোপীয় কমিশন সবুজ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য ইইউ ভোক্তা নিয়মগুলি আপডেট করার প্রস্তাব করেছিল। 2023 সালের সেপ্টেম্বরে, পার্লামেন্ট এবং কাউন্সিল আপডেট করা নিয়মগুলির উপর একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছেছে।

MEPs 2024 সালের জানুয়ারীতে চুক্তিটি অনুমোদন করেছিল, তারপরের মাসে কাউন্সিল দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল। ইইউ দেশগুলির কাছে তাদের জাতীয় আইনে আপডেটটি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য 24 মাস সময় রয়েছে।

সুতরাং, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে এবং যা আসছে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের আরও ভাল (ডিজিটাল) শক্তি এবং জল খরচ নিরীক্ষণ ব্যবস্থা, আরও ভাল টেকসই অনুশীলনের পরামিতি, আমাদের সামগ্রিক কার্বন পদচিহ্নগুলি হ্রাস করার জন্য উদ্ভাবনী ধারণা এবং আমাদের দাবিগুলি যাচাই করার জন্য ডকুমেন্টেশন থাকতে হবে।

"সবুজ হয়ে যাও, এটি লাভ তৈরি করে"

জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান প্রায় শতকরা ৩২ এবং মোট শ্রমশক্তির শতকরা ২০ ভাগ। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণ...
30/04/2024

জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান প্রায় শতকরা ৩২ এবং মোট শ্রমশক্তির শতকরা ২০ ভাগ। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও রফতানি আয় বৃদ্ধিতে শিল্প খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে শিল্পোন্নয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সেই শিল্পকে হতে হবে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব। শিল্পের জন্য কোনো কৃষিজমি বিনষ্ট করা যাবে না। বনভূমি ধ্বংস করা যাবে না। জীববৈচিত্র্য নষ্ট করা যাবে না। মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দদূষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের জীবনকে বিপন্ন করে তোলা যাবে না। শিল্পে ব্যবহৃত জ্বালানি হবে নাবয়নযোগ্য আর উৎপাদিত পণ্যও হবে পরিবেশবান্ধব। যেহেতু বাংলাদেশ একটি জনবহুল কৃষিপ্রধান দেশ, তাই এদেশের শিল্প-কারখানা হওয়া উচিত শ্রমঘন ও কৃষিভিত্তিক।

শিল্পায়ন সরকারের অগ্রাধিকার হলেও বর্তমান সরকার পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো ধরনের শিল্পায়নের পক্ষে নয়। এজন্য সবুজ শিল্পায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় ইতোমধ্যে সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারকারী শিল্পোদ্যোক্তাদের কর রেয়াতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন শিল্পনীতিতে পরিবেশবান্ধব শিল্প উদ্যোগের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা বৃদ্ধির সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিল্প-কারখানায় ইটিপি ব্যবহার করা হয় না। শিল্প কারখানার তরল বর্জ্য নদী-নালা, খাল-বিলে নিক্ষেপ করা হয়। শিল্পবর্জ্য দ্বারা আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পানি পোস্তগোলা ও ফতুল্লার ৫৩টি কারখানা এবং হাজারীবাগের ১৫১টি চামড়া শিল্প দ্বারা দূষিত হচ্ছে। চামড়া শিল্পের বর্জ্যে সালফিউরিক অ্যাসিড, ক্রোমিয়াম, অ্যামোনিয়াস সালফেট, ক্লোরাইড ও ক্যালসিয়াম অক্সাইড থাকে। এগুলো চুয়ানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূগর্ভের পানিতে মিশে মাটির ওপরের ও নিচের উভয় পানির উৎসকে দূষিত করে। ট্যানারির দুর্গন্ধ আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অন্তত ২৯টি শিল্প-কারখানা টঙ্গী অঞ্চলের তুরাগ নদ এবং ৪২টি বৃহৎ শিল্প শীতলক্ষ্যা নদীতে বর্জ্য নিক্ষেপ করে।

খুলনার শিল্পনগরের বেশ কয়েকটি শিল্প ও দিয়াশলাই কারখানা রূপসা নদীতে বর্জ্য নিক্ষেপ করে দূষণ ঘটাচ্ছে। খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল, হার্ডবোর্ড মিল, গোয়ালপাড়া তাপ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খালিশপুরের পাট ও লোহা শিল্প-কারখানাগুলো তাদের উৎপাদিত যাবতীয় বর্জ্য ভৈরব নদে ফেলছে। খুলনার নিউজপ্রিন্ট মিল ঘণ্টায় প্রায় ৪৫০০ ঘনমিটার বর্জ্য মিশ্রিত পানি ভৈরব নদে ফেলে।

চট্টগ্রামের কালুর ঘাট, নাসিরাবাদ, পতেঙ্গা, কাপ্তাই, ভাটিয়ারি, বাড়বকুণ্ড, ফৌজদারহাট, ষোলশহরে প্রায় ১৪০টিরও বেশি শিল্পকারখানার বর্জ্য কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরে নিক্ষিপ্ত হয়। চট্টগ্রামে ১৯টি চামড়া শিল্প, ২৬টি বস্ত্র শিল্প একটি তেল শোধনাগার, একটি টিএসপি সার-কারখানা, দুটি রাসায়নিক কারখানা, পাঁচটি মাছ প্রক্রিয়াকরণ করাখানা, দুটি সিমেন্ট কারখানা, একটি পেপার রেয়নমিল, একটি ইস্পাত মিল, দুটি সাবান কারখানা, দুটি কীটনাশক কারখানা, চারটি রঙের কারখানা ও প্রায় ৭৫টি অন্যান্য কারখানা একইভাবে পরিবেশ দূষণ করে নগরবাসীর জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে তুলছে।

প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জে দেশের ৯৫ ভাগ নিট ও বস্ত্র কারখানা অবস্থিত। ইটিপি না থাকায় এসব কারখানার বর্জ্যে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদীর পানি ভয়াবহ আকারে দূষিত হচ্ছে। এছাড়া গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভার এবং ঢাকার তৈরি পোশাকের বর্জ্য পড়ছে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা এবং বংশী নদীতে। শিল্প কারখানার তরল বর্জ্যরে কারণে কীভাবে দূষিত হচ্ছে খাল-বিলের পানি, নষ্ট হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্য ও সহায়সম্পদ, তা ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের পেছনের কয়েকটি গ্রামের অবস্থা থেকেই বোঝা যায়। ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের পেছনে কাইচবাড়ি, নলাম, ডগরতলী ও নতুনপাড়া নামে চারটি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামের লোকসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ইপিজেডের পেছনে রয়েছে একটি খাল। খালটি গিয়ে মিশেছে কন্ডাবিলে। খাল থেকে কন্ডাবিল প্রায় ৮০০ গজ দূরে। কন্ডাবিলের পানি মিশেছে বংশী নদীতে। খাল ও কন্ডাবিল মিলে এই চার গ্রাম। এসব গ্রামের ঘরের চাল, বেড়ার টিন, বিল্ডিংয়ের রড়ের অংশ, মোবাইল ফোনের চার্জারের পিন, বাইসাইকেল সব কিছুইতেই ধরছে মরিচা। বছর না ঘুরতেই ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে ঘরের টিন। খোসপাঁচড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। সেখানকার মানুষের ধারণা, গ্রামের পাশের খাল দিয়ে বয়ে যাওয়া তরল শিল্পবর্জ্যরে প্রভাবেই তাদের এই দুঃসহ অবস্থা। খালের পানি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, শিল্পবর্জ্যরে কারণে খালের পানির দূষণ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পানিতে মিশে থাকা সালফায়েড বাষ্পীয় রূপ নিয়ে টিন বা লোহা জাতীয় সামগ্রীতে মরচে ধরাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণের যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে এলাকার মানুষের যকৃৎ ও কিডনি আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া ওই সব গ্রামের ফসল এবং খাওয়ার পানিও নিরাপদ নয়।

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ নগরে বসবাস করবে। নগরবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে শিল্পপণ্যের চাহিদা। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় পরিবেশবান্ধব শিল্পপণ্যের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর, পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। পরিকল্পিত নগরায়ণ ও সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদারকরণের জন্য বাংলাদেশ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে শিল্পদূষণ থেকে পরিবেশ ও নগর সুরক্ষায় প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে যে কর্ম-পরিকল্পা উপস্থাপন করা করেছে, সেই আলোকে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, পরিবহন এবং শিল্প খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে জ্বালানি সাশ্রয় ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে ইতোমধ্যে ৪০ লাখ বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। শিল্প-কারখানার উৎপাদন বাড়াতে ক্লিনার প্রোডাকশন সিস্টেম চালুর পাশাপাশি সব শিল্পপার্কে ও ইপিজেডে গ্রিন সেল চালু করা হচ্ছে।

পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মোহিতের বক্তব্য হলো সবুজ শিল্পের জন্য ব্যবসায়ীদের আরও বেশি করে কর দিতে হবে। যাতে এই অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। বর্তমান রাজস্ব আয় দিয়ে সবুজ শিল্পায়নের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। আমাদের জমির স্বল্পতা রয়েছে। এজন্য সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপন করলে ইটিপিসহ সবুজ শিল্পায়নের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যে শিল্পনীতি অনুমোদন করা হয়েছে তাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকার সবুজ শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় নানা ধরনের ইনসেনটিভ সহায়তা দেবে। সবুজ শিল্পায়নের স্বার্থে সাভারে চামড়া কারখানা স্থানান্তর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবুজ কারখানা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল হতে বার্ষিক ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু সবুজ কারখানা তৈরিতে ব্যয় বেশি, তাই এই ঋণের সুদের হার কমাতে হবে। পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক না বসানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শতকরা দুইভাগ সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান সংগঠনটি। এ ছাড়া গ্রিন ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠনের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, এ ফান্ডে অর্থ রাখলে কর ছাড়ের সুবিধা দিতে হবে।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ভবিষ্যতের শিল্প হবে পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করেই উদ্যোক্তাদের শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিনিয়োগ করতে হবে। এজন্য শুধু নীতিগত সহায়তাই নয়, সরকারকে আর্থিক সহায়তার হাতও বাড়িয়ে দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের বাজেটেও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া উচিত। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশীয় শিল্পের যেসব খাত পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সংবেদনশীল, সেসব শিল্প-মালিকদের ইটিপি স্থাপনে উৎসাহ এবং পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পরিবেশ হানিকর শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সব ধরনের পণ্যের ওপর ১ শতাংশ হারে পরিবেশ সুরক্ষা সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করা হয়।

অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে চীনের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এ অবস্থার অবসানে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কার্বন নিঃসরণের ওপর শুল্ক আরোপ করবে চীন। ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এ নীতি। নীতি অনুযায়ী, প্রতি ইউনিটে বায়ুদূষণের জন্য ১ দশমিক ২ ইউয়ান করে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে শিল্প-কারখানাগুলোর। একইভাবে পানিদূষণে ১ দশমিক ৪, কয়লাভিত্তিক দূষণে ৫ ইউয়ান এবং প্রতিটন বর্জ্যরে কারণে ১ হাজার ইউয়ান করে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া শব্দদূষণের কারণেও গুনতে হবে শুল্ক। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এদেশটির সরকার বায়ুদূষণ কমানো, ফসলি জমি রক্ষা এবং পানিদূষণ রোধের ব্যাপক চেষ্টা করেও বারবারই ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে করনীতিতে পরিবর্তন এনে শিল্প-কারখানার ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। চীনে বায়ুদূষণের কারণে প্রতিদিন ৪০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। পরিবেশদূষণের কারণে সম্প্রতি চীনে ১৭ হাজার শিল্প-করাখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের শিল্পদূষণ রোধে চীনের ন্যায় শুল্ক আরোপের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন। অন্যথায় পরিবেশদূষণের ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে বাংলাদেশের বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনাগুলো কোনো কাজেই আসবে না এবং ব্যর্থ হবে টেকসই শিল্প উন্নয়ন।

Address

National Special Economic Zone, Ichakhali
Mirsarai
4324

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mirsarai Economic Zone posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Mirsarai Economic Zone:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram