মা ফিজিওথেরাপি এন্ড হোম সার্ভিস

  • Home
  • Bangladesh
  • Monipur
  • মা ফিজিওথেরাপি এন্ড হোম সার্ভিস

মা ফিজিওথেরাপি এন্ড হোম সার্ভিস Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মা ফিজিওথেরাপি এন্ড হোম সার্ভিস, Medical and health, Gazipur Sadar , Gazipur Dhaka, Monipur.

অত্যাধুনিক ইলেকট্রোথেরাপি মেশিন ও অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করা হয়।বি.দ্র: বয়স্ক ও প্যারালাইসিস রোগীদের বাসায় গিয়ে ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করা হয়।
01312-464477( imo/what'sapp)

PLID বা ডিস্ক প্রলাপ্স জনিত কোমর ব্যথা। কোমর ব্যথা হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে সময় কম ক...
22/09/2025

PLID বা ডিস্ক প্রলাপ্স জনিত কোমর ব্যথা। কোমর ব্যথা হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে সময় কম কাজ বেশি করতে হবে। তাই কখনো কখনো সামনে ঝুঁকে ভারী ওজন তুলতে গিয়ে, পা পিছলে পড়ে এমনকি সামনে ঝুঁকে জুতার ফিতে বাঁধতে গিয়েও আপনি কোমর ব্যথা পেতে পারেন।
কোমর ব্যথা অনেক কারনে হয়। তবে PLID জনিত কোমর ব্যথাই সবচেয়ে বেশি। গবেষনায় দেখা গেছে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি কোমর ব্যথার মূলকারণ PLID
PLID মানে Prolapse Lumbar Intervertebral Disc. অর্থাৎ আমাদের পিঠ বা কোমর অনেকগুলো ছোট ছোট হাড় নিয়ে গঠিত, যাকে আমরা কশেরুকা বা ভাট্রিবা বলি!! এই ভাট্রিবাগুলোর মাঝখানে একধরনের কার্টিলেজ থাকে, যা শক্তও না আবার নরমও নয় অনেকটা পিচ্ছিল ও জেলী টাইপ যাকে আমরা ইন্টারভাট্রিবাল ডিস্ক বলি।
অনেক সময় বিভিন্ন আঘাতজনিত কারনে কিংবা হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি জনিত কারনে এই ইন্টারভাট্রিবাল ডিস্ক বের হয়ে এসে নার্ভে চাপ দেয়। ফলে কোমরে ব্যথা হয়, অনেক সময় এই ব্যথা পায়ের থোড়ার নিচ পর্যন্ত চলে যায়!! পা ঝিন ঝিন করে, অবশ অবশ লাগে। দাঁড়িয়ে থাকলে এবং হাঁটতে গেলে বেশি কষ্ট হয় কখনও আবার রোগী বসতেও পারেনা। অনেক সময় এই ব্যথা কোমরে না থেকে সরাসরি পায়ে চলে যায়!!! মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেক রোগীর কোমর বাঁকা হয়ে যেকোন একদিকে সরে গেছে না বাঁকা হয়ে গেছে অর্থাৎ shift হয়ে গেছে।

যদি কারো কোমর বাঁকা ( shift) হয়ে যায়। তবে এই বাঁকা কোমর সোজা না হলে অর্থাৎ শিফট কারেকশন না হলে ব্যথা কখনই ভাল হবে না।। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়াল টেকনিক এবং রোগীর পজিশন কারেক্ট করে বাঁকা কোমর খুব সহজে সোজা করে ঠিক করে থাকেন।

কোমর ব্যথার জন্য সারাবিশ্বে জনপ্রিয় চিকিৎসা হল ফিজিওথেরাপি । অনেকেই হঠাৎ করেই সার্জারির মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটা নিয়ম আছে, কোমর ব্যথার সার্জারির আগে অবশ্যই একজন মাস্কুলোস্কেলেটাল বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের লিখিত অনুমতি নিতে হয়। অর্থাৎ উনি এসেসমেন্ট বা ফিজিওথেরাপি দিয়ে দেখছেন,, রোগী ফিজিওথেরাপি দিয়ে ভাল হবে না। সার্জন তখন চিন্তা করবে,, তার সার্জারি লাগবে কি না!!

আমি মনে করি আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও সার্জারির করার আগে অবশ্যই একাধিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে লিখিত পরামর্শ নিন।

ফিজিওথেরাপি অনেক বড় এবং অত্যাধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের হাতই পারে আপনাকে অপারেশন ছাড়া PLID এর সমস্যা থেকে মুক্ত করতে। সোজা কথা একজন ভাল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করালে PLID জনিত কোমর ব্যথা ভাল হওয়া কোন ব্যাপারই না! ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাসের মধ্যেই অধিকাংশ PLID জনিত কোমর ব্যথা সম্পূর্নভাবে ভাল হয়ে যায় সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে। সারা বিশ্বেই শককরা ৯৭ থেকে ৯৮ ভাগ PLIDরোগী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় ভাল হয়। তাই কোমর ব্যথার রোগীদের বলব, অযথা হতাশার দরকার নেই। সঠিকভাবে চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।
নিয়মিত কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়াম করলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি সারা জীবন ব্যথা মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

Epulis (এপুলিস) লক্ষণসমূহ:এপুলিস হলো দাঁতের মাড়িতে সৃষ্ট একটি অস্বাভাবিক টিউমার সদৃশ ফোলা (gum swelling), যা সাধারণত be...
21/09/2025

Epulis (এপুলিস) লক্ষণসমূহ:
এপুলিস হলো দাঁতের মাড়িতে সৃষ্ট একটি অস্বাভাবিক টিউমার সদৃশ ফোলা (gum swelling), যা সাধারণত benign (অক্ষতিকর) হয়ে থাকে।
🔹 সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
দাঁতের মাড়িতে ছোট বা বড় ফোলা/গুটি
ফোলার রং লালচে, গোলাপি বা বেগুনি হতে পারে
মাড়ি সহজে রক্তপাত হওয়া
চিবানোর সময় অস্বস্তি বা ব্যথা
দাঁতের চারপাশে মাড়ি ঢেকে যাওয়া
কখনও কখনও দাঁতের ঢিলা হয়ে যাওয়া বা দাঁত সরানো
ধীরে ধীরে আকারে বড় হওয়া
মুখে ফোলা থাকার কারণে হাসতে বা খেতে অসুবিধা
👉 এপুলিস সাধারণত ক্যান্সার নয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ ফোলাটা অন্য কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে।
সংগৃহীত

টনসিলাইটিস কি, কেন হয়, চিকিৎসায় করনীয় কি?জিহ্বার পেছনে, আলজিহ্বার নিচে গলার দুইপাশে লালবর্ণের গোলাকার মাংসপিণ্ড দুটির না...
21/09/2025

টনসিলাইটিস কি, কেন হয়, চিকিৎসায় করনীয় কি?
জিহ্বার পেছনে, আলজিহ্বার নিচে গলার দুইপাশে লালবর্ণের গোলাকার মাংসপিণ্ড দুটির নাম টনসিল৷ টনসিলের ইনফেকশন বা প্রদাহকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় টনসিলাইটিস বলে। সব বয়সের নারী-পুরুষের এই সমস্যা হতে পারে তবে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়৷
টনসিলের কাজ :
টনসিলের বিশেষ কাজ হলো মুখগহ্বর দিয়ে অন্ত্রে বা পেটে জীবাণু প্রবেশ করতে না দেয়া। এছাড়া এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অংশ নেয়৷
কেন হয়?
ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণের কারণে টনসিল প্রদাহ হয়ে থাকে। বেশির ভাগ টনসিল প্রদাহ দেখা দেয় স্যাঁতস্যাঁতে ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ও অতিরিক্ত গরমে, ঋতু পরিবর্তনের সময়। বারবার সর্দিলাগার প্রবণতা, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্বল্পতা, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি কারণে হতে পারে। যাদের শরীরে ঠাণ্ডা ও গরম প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ভাইরাস সংক্রমণে তারা বেশি আক্রান্ত হয়।
লক্ষনঃ
টনসিল প্রদাহে বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পায়। গলা ব্যথা, কোন কিছু খেতে বা গিলতে কষ্ট। অনেক সময় গ্রন্থি ফুলে যায়৷ কোন কোন সময় গলার স্বর ভারি হয়ে আসে। টনসিল বড় হয়ে শ্বাসনালি সংকোচিত হলে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয়। ঘুমের মধ্যে হা করে মুখে শ্বাস নেয়, ঘুমে নাক ডাকা। শ্বাস-প্রশ্বাসে দুর্গন্ধ। মুখ দিয়ে লালা বের হয়। শিশুদের খাদ্যে অনীহা ও কান্নাকাটি করা। খাবারে রুচি কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। জ্বর ও জ্বর সহ মাথা ব্যথা। জটিল অবস্থায় কানে, মাড়িতে ব্যথা হতে পারে। টনসিলে পুঁজ সৃষ্টি হয়৷
চিকিৎসাঃ
অাধুনিক এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে টনসিল প্রদাহ দূর করার চেষ্টা করা হয়৷ বারবার অাক্রান্ত হলে টনসিল অপারেশনই (টনসিলেকটমি) এর একমাত্র চিকিৎসা৷
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
হোমিওপ্যাথিতে টনসিল প্রদাহের অপারেশন ব্যতীত স্থায়ী চিকিৎসা রয়েছে৷ যদিও লক্ষনসাদৃশ্যে ঔষধ নির্বাচন করবেন অাপনার চিকিৎসক তবে ব্যক্তিগত চিকিৎসায় Cal Carb Phytolacca, Baryta Carb, Baryta Mur দিয়ে অনেক রোগীকেই অারোগ্য হতে দেখেছি৷ সহজেই ঠান্ডায় অাক্রান্ত হয় এমন বাচ্চাদের Baryta Carb, Tuberculinum সহ লক্ষনভিত্তিক অন্যান্য ঔষধ প্রয়োগে ঘনঘন ঠান্ডা লাগার প্রবনতা দূর হয় ও টনসিল প্রদাহ অার হতে দেয়না৷
সতর্কতাঃ
টনসিল প্রদাহ প্রতিরোধে চিকিৎসার পাশাপাশি নিম্নোক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে৷
* পুষ্টির অভাবে হলে খাদ্যে পুষ্টি ঘাটতি পুরন করতে হবে৷
* টনসিল প্রদাহে তরল ও উঞ্চ আহার গ্রহণ করতে হবে৷
* অাহার গ্রহণের পর প্রতিবার দাঁতসহ মুখগহ্বর ব্রাশ দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
* তীব্র গরম এবং তীব্র শীত দুটোই এড়িয়ে চলতে হবে৷
* আইসক্রিম, ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানীয়, রোদ বা গরম থেকে এসেই ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।
* প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে৷
* তীব্র প্রদাহকালীন সময়ে বিশ্রামে থাকতে হবে৷
* লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানি দিয়ে বারবার গড়গড়া করতে হবে।
* গলা ব্যাথা থাকলে পুদিনা পাতা দিয়ে রং (র') চা খাওয়া যেতে পারে৷ পুদিনা পাতা গলা ব্যাথায় খুবই কার্যকরী৷
* গলায় ঠাণ্ডা লাগা থেকে বিরত থাকতে হবে, গলা ও কান কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে৷

ডাঃ শামীম হোসেন
BHMS (১ম স্থান), পি জি টি (অাকুপ্রেশার) এক্স হাউজ ফিজিশিয়ান,
সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা৷

21/09/2025

কোন এক দাওয়াতে এক ভাবী গল্প করছিলেন যে, “এক মহিলা যখন তার Husband রাগ হয় তখন তিনি আয়াতুল কুরসি পড়েন আর তার স্বামী বিড়াল হয়ে যান “।তখন আর এক ভাবী বললেন," ভাবী - আয়াতুল কুরসি পড়লে উনার স্বামী বিড়াল হন না বরং ঐ মহিলার সাথের শয়তানটা পালিয়ে যায়” । ভাবীদের এই কথোপকথন আমাকে ভীষন ভাবে অনুপ্রানিত করেছিল।
তার পর থেকে আমি আমার জীবনে আয়াতুল কুরসি পড়ার প্র্যাকটিস করা শুরু করলাম । যখন ই বাসায় কেউ রাগ হতো আমি আয়াতুল কুরসি পড়তে থাকতাম । আলহামদুলিল্লাহ এখন এটা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে এবং এতে অনেক শান্তি এসেছে । এক বোনকে যখন আমি এটা বললাম তখন তিনি হেসে বললেন, “রাগের সময় তো আয়াতুল কুরসি মনে আসে না “। তাকে চেষ্টা করে দেখার জন্য বললাম যে পরে অভ্যাসে পরিনত হবে । আপনি যখন আয়াতুল কুরসি বা অন্য কোন দোয়া পড়ার কথা ভাববেন, তখন কোন কঠিন যুক্তিটা দিয়ে অন্যকে হারানো যায় সে কথা টা আপনার মাথায় আসবে না । এতে ঝগড়াও অনেকটা কমে যাবে । এছাড়াও আমি একটি হাদীস কিচেনের দরজায় লিখে রেখেছিলাম — “যখন তুমি চুপ করে থাকবে ফেরেশতারা তোমার হয়ে উত্তর দিবেন “। আপনাদের নিশ্চয় এই হাদীসটা জানা আছে! “হযরত আবূ হুরায়রা ( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ( দঃ) এর উপস্থিতিতে এক ব্যক্তি হযরত আবু বকর ( রাঃ) - কে গালাগালি করল। নবী করীম ( সাঃ) ও আবু বকর ( রাঃ) উভয়ে নীরব রইলেন। লোকটি গালাগালি থাকলে আবু বকর ( রাঃ) উত্তর দিলেন। তখন নবীজি ( সাঃ) উঠে চলে গেলেন। তারপর আবু বকর ( রাঃ) তাঁর সাক্ষাৎ করে বললেন - ইয়া রাসূলুল্লাহ ( দঃ)! সে আমাকে গালি দিলো, আর আমি নিরব রইলাম। আর যখনই আমি উত্তর দিলাম, আপনি চলে এলেন। এর কারণ কি? নবী করীম ( সাঃ) বললেন - যখন তুমি নিরব ছিলে ফেরেশতারা তোমার পক্ষ থেকে উত্তর দিচ্ছিলো। আর যখনই কথা বললে, ফেরেশতারা চলে গেল আর শয়তান এসে বসলো। তাই আমি শয়তানের সাথে থাকতে অপছন্দ করলাম।
এই হাদীসটি আমার আম্মা আমাকে সব সময় মনে করিয়ে দিতেন । আর বলতেন, “কেউ কিছু বললে চুপ করে থাকবে বোবার কোন শত্রু নাই” । একদিন আমার স্বামীর কথার উত্তর দিতে গেলে আমার ৭ বছরের মেয়ে বলে, “মা! তুমি কেনো বাবার কথার উত্তর দিচ্ছ? তুমি না এখানে লিখে রেখেছো যে,চুপ করে থাকলে ফেরেশতারা তোমার হয়ে উত্তর দিবে “। সে দিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ওর জন্য অনেক দোয়া করেছি হাদীসটা মনে করিয়ে দেবার জন্য । এর ৯ বছর পর আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুল থেকে এসে যখন বললো -“মা! সামিরার মন খুব খারাপ কারন ওর বাবা মা অনেক ঝগড়া করছে । আমি বলেছি আমার মা আমার বাবা রাগ করলে কোন উত্তর দেয় না, চুপ করে দোয়া পরে” ।ঐ দিন প্রশান্তিতে মনটা ভরে গিয়েছি্‌ মনে মনে আয়াতুল কুরসি আর বিড়াল হওয়া গল্প বলা ভাবীদের জন্য দোয়া করেছি । আপনিও আজই আয়াতুল কুরসি পড়ার অভ্যাস করুন, দেখবেন ফল ইন শা আল্লাহ পাবেনই ।
অনেকেই ভাবতে পারে তারমানে কেউ অন্যায় ভাবে কিছু করলে বা বললে চুপ থাকবো নাকি ? অন্যায় কে বাধা দেওয়া তো মু'মিন এর কাজ। " মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীরা একে অপরের হিতাকাংখী বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে আর অসৎ কাজে বাধা দেয়।[সূরা তাওবাহ, আয়াত - ৭১]
কিন্তু উপরের আবু বকর ( রাঃ) ঘটনাটা দিয়ে বোঝানো হয়েছে রাগ এর নিয়ন্ত্রণ ও এর ফজিলত। কেউ যখন রাগ করে কথা বলে তখন তার কথার মাঝে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমন কথা সে বলে ফেলতে পারে যাতে তার যবানের হিফাজত ও আমল কে নষ্ট করে ফেলে। তাই কেউ খারাপ কিছু বললে রাগ করে তার উত্তর না দিয়ে চুপ থাকা ভালো। ফেরেশতারা আপনার হয়ে তাকে উত্তর দিয়ে দিবে।
Ismat Nayara

ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। এর অভাবে শরীরে নানা ধরনের রোগ ও সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে ভিটাম...
21/09/2025

ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। এর অভাবে শরীরে নানা ধরনের রোগ ও সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে ভিটামিন ডি-এর অভাবে যে প্রধান রোগগুলো হতে পারে তা দেওয়া হলো:

✅ হাড় ও দাঁতের সমস্যা

⭐রিকেটস (শিশুদের হাড় বাঁকা হওয়া বা নরম হয়ে যাওয়া)
💥অস্টিওমালেশিয়া (প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া)
🎇অস্টিওপোরোসিস (হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, সহজে ভেঙে যাওয়া)

দাঁতের দুর্বলতা ও ক্ষয়

✅ পেশীর সমস্যা

পেশীতে ব্যথা ও দুর্বলতা
সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া

✅ ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া

বারবার সর্দি-কাশি, ইনফেকশন হওয়া
ক্ষত সেরে উঠতে দেরি হওয়া

✅ মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যা

ডিপ্রেশন বা মুড ডিসঅর্ডার
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ কমে যাওয়া

✅ অন্যান্য ঝুঁকি

ডায়াবেটিস টাইপ–২ এর ঝুঁকি বাড়া
হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি
অটোইমিউন ডিজিজের (যেমন মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস) সম্ভাবনা

✨সহজভাবে বললে, ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়, পেশী, দাঁত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের দেশে এখনও অনেক জায়গায় রক্ত সংরক্ষণের জন্য Domestic বা Coca-Cola টাইপের রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসব ফ্...
21/09/2025

আমাদের দেশে এখনও অনেক জায়গায় রক্ত সংরক্ষণের জন্য Domestic বা Coca-Cola টাইপের রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসব ফ্রিজে যে সেন্সর থাকে তা মূলত cooling coil-এর কাছে বসানো থাকে। ফলে এগুলো আসলে ফ্রিজের ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা প্রদর্শন করে, ব্লাড ব্যাগের আসল তাপমাত্রা নয়।

আবার এই তাপমাত্রা cooling coil-এর কাছে এক রকম হলেও দরজার কাছে অন্য রকম হয়। কারণ দরজা খোলা মাত্রই বাইরের তাপমাত্রার সাথে ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা মিশে যায়। তাই ফ্রিজ ৪ ডিগ্রি দেখালেও, দরজার কাছে রাখা ব্যাগের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে—এটি একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা।

এসব ফ্রিজে যখন ব্লাড ব্যাগ সংরক্ষণ করা হয় তখন cooling coil-এর কাছে রাখা ব্যাগ ও দরজার কাছে রাখা ব্যাগের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য থেকে যায়। এর কারণ হলো—ব্লাড ব্যাগকে নতুন তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে ১৫–২০ মিনিট সময় লাগে। আর এই সময়টাই ব্যাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লাড ব্যাগে যে CPDA-1 থাকে, তার মধ্যে—

Citrate ক্যালসিয়ামকে bind করে coagulation cascade বন্ধ রাখে।

Phosphate buffer হিসেবে কাজ করে এবং pH স্বাভাবিক রাখে।

Dextrose RBC-কে শক্তি জোগায়।

আর Adenine RBC-তে ATP বজায় রাখে।

কিন্তু যদি দরজার কাছে রাখা ব্যাগের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে উঠে যায় (যেমন—ব্যাগ খুঁজতে সময় নেওয়া বা বারবার দরজা খোলা-বন্ধ করার কারণে), তখন platelets metabolically active হয়ে glucose খরচ করতে থাকে এবং ধীরে ধীরে pH কমে যায়। এর ফলে coagulation factors সক্রিয় হয়ে fibrinogen থেকে fibrin-এ রূপান্তরিত হয়। তখন ব্যাগের ভেতরে fibrin strands বা clumps দেখা দেয়।

সমস্যাটা কোথায়? একবার fibrin তৈরি হলে তা জীবাণুর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এমন রক্ত দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, কারণ রোগীর জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার clumps তৈরি হলে transfusion-এর সময় রোগীর শরীরে DIC-এর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে—যেটি ট্রান্সফিউশনের কারণে হয়েছে তা বোঝার উপায় থাকে না। এ কারণেই এমন রক্ত ব্যবহার না করার নিয়ম রয়েছে।

যারা রোগীর পাশে কাজ করেন, বিশেষ করে ওয়ার্ডে, তাদের জন্য খুব জরুরি বিষয় হলো—ব্লাড ব্যাগ হাতে পাওয়ার পর একবার প্লাজমার দিকে ভালো করে তাকানো। যদি সাদা সুতোর মতো fibrin strand বা জমাট বাঁধার কোনো চিহ্ন দেখা যায়, তবে অবশ্যই ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতা নিতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে—আমাদের দেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে blood bank refrigerator কিনতে পারে না। কারণ এগুলো দেশের বাইরে থেকে আনতে হয়। যদি দেশে উৎপাদন করা যেত, তবে সহজলভ্য হতো। তবুও সমাধান সম্ভব—এসব সংগঠন চাইলে সরকারি ব্লাড ব্যাংকের ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারে একটি পৃথক ডাটাবেজের মাধ্যমে।

আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি—সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলের ইমারজেন্সি এবং রুটিন কাজের জন্য ব্যবহৃত রক্তের একটি বড় অংশ আসে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। তাই সরকার চাইলে তাদের জন্য সরকারি ব্লাড ব্যাংকের ফ্রিজ ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ থাকলে এবং দেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের ফ্রিজ তৈরি করতে সক্ষম, তাদের সম্পৃক্ত করলে ভবিষ্যতে দেশেই নিরাপদ রক্ত সংরক্ষণের প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব হবে।

© ডা: আশরাফুল হক

 #গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): আপনার মনের সব প্রশ্নের সহজ উত্তর এ সব দ্বিধার অবসান!⁉️💡✅💚সাধারণ বুকজ্বালা...
20/09/2025

#গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): আপনার মনের সব প্রশ্নের সহজ উত্তর এ সব দ্বিধার অবসান!⁉️💡✅💚

সাধারণ বুকজ্বালা ভেবে যে সমস্যাটিকে আপনি বছরের পর বছর ধরে এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেটি হয়তো তার চেয়েও বেশি কিছু। চলুন, আজ গোয়েন্দার মতো প্রশ্ন আর উত্তরের মাধ্যমে GERD-এর রহস্য ভেদ করি এবং এর থেকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করি।

প্রশ্ন📗১: আমার তো শুধু ভারী বা ঝাল খাবার খেলেই বুক জ্বলে। এটাই কি GERD⁉️🤔
উত্তর🍀: না, সব বুকজ্বালা GERD নয়!
খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি বা বুকজ্বালা হতেই পারে। কিন্তু যদি এই সমস্যাটি আপনার পিছু না ছাড়ে এবং সপ্তাহে দুই বা তারও বেশি দিন ধরে আপনাকে ভোগায়, তবে একে সাধারণ সমস্যা ভাবার ভুল করবেন না। তখনই একে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) বলা হয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, নিছক সাময়িক অস্বস্তি নয়।

প্রশ্ন📗২: আচ্ছা, বুঝলাম। কিন্তু পাকস্থলীর অ্যাসিড কেন বারবার খাদ্যনালীতে ফিরে আসে? সমস্যাটা কোথায়⁉️🚧
উত্তর🍀: সহজ কথায়, আপনার খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর মাঝখানের "প্রবেশদ্বার" বা ভালভটি দুর্বল হয়ে গেছে। এই ভালভটির নাম লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিংটার (LES)। এর কাজ হলো খাবারকে পাকস্থলীতে যেতে দেওয়া, কিন্তু অ্যাসিডকে ওপরে আসতে বাধা দেওয়া। যখন এই প্রবেশদ্বারটি ঢিলে হয়ে যায় বা ঠিকমতো বন্ধ হয় না, তখনই পাকস্থলীর শক্তিশালী অ্যাসিড উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে এবং আপনার বুকে ও গলায় জ্বালাপোড়া তৈরি করে।

প্রশ্ন📗৩: GERD-এর লক্ষণ কি শুধু বুকজ্বালা আর টক ঢেকুর? নাকি আরও কিছু আছে⁉️🧐
উত্তর🍀: চমৎকার প্রশ্ন! অনেকেই GERD-এর নীরব লক্ষণগুলো চিনতে পারেন না। বুকজ্বালা ছাড়াও নিচের সমস্যাগুলো GERD-এর কারণে হতে পারে:
🔸অকারণে কাশি: বিশেষ করে রাতের বেলা বা শোয়ার পর শুকনো কাশি।
🔸গলার স্বর বসে যাওয়া বা গলা খসখসে হয়ে যাওয়া।
🔸গলায় কিছু আটকে আছে এমন অস্বস্তিকর অনুভূতি।
🔸ঢোক গিলতে কষ্ট বা ব্যথা হওয়া।
🔸ঘন ঘন গলা পরিষ্কার করার প্রবণতা।
🔸অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া।
🔸দাঁতের ক্ষয় বা মুখে দুর্গন্ধ হওয়া।
আপনি যদি এগুলোর কোনোটিতে ভোগেন, তবে এর পেছনের কারণ GERD হতে পারে!

প্রশ্ন📗৪: তাহলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী? জীবনভর কি শুধু অ্যান্টাসিড খেয়েই কাটাতে হবে⁉️💊
উত্তর🍀: একদমই না! অ্যান্টাসিড হলো আগুন নেভানোর জন্য এক গ্লাস পানি, কিন্তু আগুনের উৎস বন্ধ না করলে তা আবার জ্বলবেই। GERD থেকে স্থায়ী মুক্তির জন্য আপনাকে আগুনের উৎস, অর্থাৎ রোগের মূলে কাজ করতে হবে। এর জন্য রয়েছে একটি "লাইফস্টাইল-ফার্স্ট" অ্যাপ্রোচ ও সঠিক খাবার-দাবার-পানীয় এবং ন্যাচারাল মেডিসিন।

🎯 মিশন GERD কন্ট্রোল: আপনার ৫টি অব্যর্থ কৌশল⏺️🚩
✅💚খাবারের প্লেট সাজান নতুন করে 🥗: ভাজা-পোড়া, অতিরিক্ত চর্বি, ঝাল, কফি, চকলেটকে বিদায় জানান। খাদ্যতালিকায় যোগ করুন কলা, শসা, ওটস, আদা এবং সবুজ শাকসবজি।
✅💚খাওয়ার অভ্যাসে আনুন পরিবর্তন 🕒: একবারে পেট পুরে না খেয়ে, অল্প পরিমাণে বারে বারে খান। খাওয়ার সাথে সাথে পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর করুন।
✅💚‘স্মার্ট স্লিপিং’ অভ্যাস করুন 🛌: খাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান। বিছানার মাথার দিকটা ৬-৮ ইঞ্চি উঁচু করে দিন। এতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিই অ্যাসিডকে নিচে রাখতে সাহায্য করবে।
♦️❌বদভ্যাসকে ‘না’ বলুন 🚭:
ধূমপান এবং মদ্যপান আপনার LES ভালভকে আরও দুর্বল করে দেয়। আজই এগুলো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিন।
✅💚ওজন কমান ও ফিট থাকুন 🏃‍♂️:
পেটের অতিরিক্ত চর্বি পাকস্থলীর উপর চাপ তৈরি করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে GERD-এর উপসর্গ নাটকীয়ভাবে কমে আসে।

🌟✨যখন জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনেও পুরোপুরি কাজ হয় না, তখন চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু ন্যাচারাল ওষুধ দিতে পারেন যা অ্যাসিড উৎপাদন কমায় এবং খাদ্যনালীকে সেরে ওঠার সুযোগ দেয়।

শেষ কথা🌿
GERD আপনার জীবনের আনন্দ কেড়ে নেওয়ার জন্য আসেনি। এটি বরং একটি সতর্কবার্তা যে, আপনার শরীরে এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সঠিক জ্ঞান ও কয়েকটি স্মার্ট অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনিই হতে পারেন আপনার স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রক। তাই আর দ্বিধা নয়, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং বুকজ্বালাহীন এক স্বস্তির জীবনে ফিরে আসুন। 💚

©️ তথ্য সংকলন ও পরিমার্জনে-
Muhammad Nasim Hossain
Natural Lifestyle & Naturopathy Specialist- (Asad Holistic Health
Center), Dhaka

♦️কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হলে কী করবেন?বিভিন্ন কারনে মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। তবে সাধারণত জ্ঞান হারানোর আগে আক্রান্ত ব্যক্...
20/09/2025

♦️কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হলে কী করবেন?
বিভিন্ন কারনে মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। তবে সাধারণত জ্ঞান হারানোর আগে আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয় বলতে পারে। যেমন : চিন্তাশূন্যতা (চঞ্চলতা), দুর্বলতা, বমিভাব, চামড়া বিবর্ণ হওয়া এবং চটচটে ভাব।
যদি কোন ব্যক্তি জ্ঞান হারাবে বোধ করে, তখন অবশ্যই কিছু প্রাথমিক করা যেতে পারে। যেমন: সামনের দিকে ঝুঁকে পড়া, মাথাটা মুড়ে হাঁটুর দিকে নিয়ে যাওয়া। কারন মাথা বুকের নীচে যাওয়ায়, মস্তিষ্কের দিকে রক্তবাহিত হবে।
কোন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গেলে কিছু বিষয় মনে রাখা দরকার। যার মাধ্যমে তাঁকে দ্রুত সুস্থ্য করে তোলা যেতে পারে। যেমন : মাথা নীচে রেখে পাদুটো একটু উঁচু করে শুইয়ে রাখুন। আঁটোসাটো জামাকাপড় ঢিলা করে দিন।
মুখ ও ঘাড়ে ঠান্ডা এবং ভেজা কাপড় লাগান। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে, ঐ অবস্থায় রাখার পর জ্ঞান ফিরে আসবে। রোগীর পরিচয় জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হোন যে জ্ঞান পুরো ফিরে এসেছে। পরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে একজন ডাক্তারকে দেখানো সবসময়েই সবথেকে ভালো।

সংগৃহীত

 #জরায়ুমুখ_ক্যান্সারঃ_ভয়াবহতা_ও_বাস্তবতা_রোগ থেকে মুক্তির পথে হাঁটছি তো? অথবা_মায়ের_জন্য_পদযাত্রারোগী কথন কেউ পড়ুক আর ন...
20/09/2025

#জরায়ুমুখ_ক্যান্সারঃ_ভয়াবহতা_ও_বাস্তবতা_রোগ থেকে মুক্তির পথে হাঁটছি তো? অথবা_মায়ের_জন্য_পদযাত্রা

রোগী কথন কেউ পড়ুক আর না পড়ুক আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকে লিখি। লিখতেই থাকব। আরেকটি কথা, আমার এ লেখার উদ্দেশ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাউকে পারদর্শী করে তোলা নয়, সেটার জন্য বই আছে, নির্দিষ্ট সেক্টর আছে। আমি বরঞ্চ সেইটুকু করতে চাই, যেটুকু জানলে আমরা সচেতন হতে পারব এবং সংশ্লিষ্ট রোগের ভয়াবহতা কিছুটা হলেও কমাতে পারব।

আজকে আমরা কথা বলব জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে। অনেকদিন আগে এ রোগের সচেতনতার জন্য একটি রেলি হয়েছিল, নাম ছিল মায়ের জন্য পদযাত্রা। সেই যাত্রায়ই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এ ব্যাপারে কিছু লেখার। মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে আসুন একটা গল্প শুনি-

আছিয়া বিবি। বয়স ৫৫বছর। সহজ সরল এক গ্রামীন নারী। সাত সাতটি সন্তানের মা। ১৩ বছর বয়সে বধু হন। চৌদ্দ বছর বয়সে মা। স্বামী ট্রাক ড্রাইভার। সুঠাম, প্রানবন্ত, সহাস্যমুখ তবে একটু এদিক ওদিক যাবার দোষ আছে। অবশ্য এমন দোষে আছিয়া বিবি তেমন গা করেনা। করেই বা কি করবে?? পুরুষ মানুষের এমন একটু আধটু দোষ মনে কয় জায়েজ আছে। তারপরও একটা দীর্ঘশ্বাস ঠিকই বুক চিড়ে বেড়িয়ে আসে।

কিছুদিন হয় আছিয়া বিবির যখন তখন মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যায়। সাথে ময়লা ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব। শরীরের ওজনও দিনদিন কমছে। দুর্বল লাগে। স্বামী সহবাসে রক্ত যায় দেখে ওসব বাদ দিয়েছে অনেক কাল। তয় রোজ রোজ রক্ত গেলে নামাজ রোযায় সমস্যা দেখে ডাক্তার দেখাতে আসছে

আহারে মা তুমি যদি জানতে কী রোগ তোমার শরীরে বাসা বেঁধেছে?

উপরের গল্পে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো জরায়ুর ক্যান্সারজনিত যতগুলো রিক্স ফ্যাক্টর আছে তার সবগুলোই আছিয়া বিবির আছে। কিন্তু ব্যাথা নাই দেখে সে এর ভয়াবহতা বুঝতে পারছে না। ফলে ভয়ানক দেরী হয়ে যায়, তখন আর তেমন কিছু করার থাকে না।

আসুন জরায়ু ক্যান্সারজনিত প্রাইমারী কিছু জেনে নেই।

* জরায়ুমুখ ক্যান্সার কি?

: নারীর জরায়ুর মুখকে সার্ভিক্স বলে। এখানের ক্যান্সারকে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বা জরায়ুমুখের ক্যান্সার বলে। বাংলাদেশে এটা গাইনীকলোজিক্যাল ক্যান্সারজনিত মাতৃ মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারন। প্রথম কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সার। প্রতি লাখে ২৯.৭ জনের হয়। তারমধ্যে অর্ধেকই মারা যায়।

* কারা বেশি ঝু্ঁকিতে আছে

- এইচপিভি নামক ভাইরাস ইনফেকশন- ৯৯%
- পারসোনাল হাইজিন না মেনে চলা
- অসচ্ছলতা
- যৌণ বাহিত রোগ
- স্বামী, ট্রাক ড্রাইভার বা শিপিং অথবা ডে লেবার
- বহুগামিতা ( স্বামী /স্ত্রী উভয়ের জন্য প্রযোজ্য)
- স্বামীর প্রথম স্ত্রী সার্ভিক্যাল ক্যান্সারে মারা যাওয়া।

* লক্ষনঃ
- দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব
- অনিয়মিত রক্তস্রাব
- সহবাস পরবর্তী রক্তস্রাব
- ৩৫ এবং ৫৫ বছর বয়সে বেশি হয়

জরায়ু যদিও ফেমিনিন অঙ্গ তবে এর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ যে এইচপিভি ভাইরাস তা কিন্তু ছড়ায় পুরুষদের মাধ্যমে। কাজেই নারী পুরুষ সবাইকেই সচেতন হতে হবে এর থেকে বাঁচতে। একজন নারী কেবলমাত্র একজন নারীই নয়; সে কারো বোন; কারো প্রেয়সী, কারো স্ত্রী এবং অতি অবশ্যই কারো না কারো মা। আসুন মায়ের জীবন রক্ষায় একসাথে হাঁটি...

চিকিৎসা -১)
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে শতভাগ চিকিৎসা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন স্ক্রিনিং পদ্ধতি আছে। তারমধ্যে পেপস স্মেয়ার, ভায়া অন্যতম। প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর করতে হয়।

চিকিৎসা -২)
যাদের জরায়ু এর মুখে ক্যান্সার/ ইউরিন ইনফেকশন সহ আরও বড় ধরণের রোগে আক্রন্ত হয়ে গিয়েছেন এবং দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা নেওয়ার পরেও ভালো হচ্ছেন না। তাদের জন্য স্থায়ী চিকিৎসা ফুড সাপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে শতভাগ নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী।
এটাতে পরিপূর্ণ এবং স্থায়ীভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রয়োজনে whatsapp করুন
01730-663430
Dr.Ammar Hossain

 # # #হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সচেতনতা  # # #বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৬ কোটি মানুষ হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগ...
20/09/2025

# # #হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সচেতনতা # # #

বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৬ কোটি মানুষ হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে।
বাংলাদেশেও শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত।

হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ:

1️⃣ বংশগত কারণ (পরিবারে এ রোগ থাকলে ঝুঁকি বেশি)
2️⃣ ধুলাবালি, ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাসে অ্যালার্জি
3️⃣ ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপান
4️⃣ ঘরের ভেতর ফাঙ্গাস, কার্পেট, পশুপাখির লোম
5️⃣ বায়ু দূষণ, কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া
6️⃣ সংক্রমণ (সর্দি-কাশি, ফ্লু, ভাইরাস সংক্রমণ)
7️⃣ অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা
8️⃣ নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ওষুধে অ্যালার্জি
9️⃣ হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন (শীত-গরম)
🔟 শিশুকালে অপর্যাপ্ত বুকের দুধ খাওয়া
1️⃣1️⃣ স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন
1️⃣2️⃣ বেশি পরিমাণ কেমিক্যাল, সুগন্ধি বা কীটনাশকের সংস্পর্শ

প্রতিরোধের উপায়:

✅ ধূমপান ও ধোঁয়ার পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন
✅ নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন, বিশেষ করে ধুলাবালি বা ঠান্ডা বাতাসে বের হলে
✅ ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন, বিছানার চাদর/কার্পেট নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন
✅ ঠান্ডা পানি ও আইসক্রিম পরিহার করুন
✅ হঠাৎ ঠান্ডা-গরম পরিবেশে যাওয়া এড়িয়ে চলুন
✅ অ্যালার্জি তৈরি করে এমন খাবার চিনে রাখুন ও তা এড়িয়ে চলুন
✅ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন (শাকসবজি, ফলমূল, ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার)
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও গরম পানি/ভেষজ চা খেতে পারেন
✅ নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন (ডাক্তার অনুমতি সাপেক্ষে)
✅ সংক্রমণ হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন
✅ মানসিক চাপ কমান, নিয়মিত বিশ্রাম নিন
✅ শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করুন
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

হাঁপানিতে উপকারী খাবার (যা খাওয়া উচিত):

✅ আপেল, কমলা, পেয়ারা, আঙুর – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
✅ গাজর, পালং শাক, ব্রোকলি – ভিটামিন C ও বেটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ
✅ মধু – শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে
✅ আদা ও হলুদ – প্রদাহ কমায়
✅ বাদাম ও মাছ (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড) – শ্বাসনালীকে শক্তিশালী করে
✅ কুসুম গরম পানি – কফ নরম করতে সাহায্য করে

🚫 হাঁপানিতে ক্ষতিকর খাবার (যা এড়িয়ে চলা উচিত):

❌ ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম
❌ অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার
❌ প্রক্রিয়াজাত খাবার (ফাস্ট ফুড, চিপস, সফট ড্রিংকস)
❌ কোল্ড ড্রিঙ্কস ও ক্যানজাত খাবার
❌ যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে (ডিম, দুধ বা সামুদ্রিক খাবার – রোগীভেদে ভিন্ন হতে পারে।
মনে রাখবেন:

হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ, সঠিক যত্ন ও চিকিৎসায় সুস্থ থাকা সম্ভব।
দেরি না করে সময়মতো চিকিৎসা নিন।
ঔষধ পরিচিতি ও ব্যবহার

🩺 হায়াটাস হার্নিয়া (Hiatus Hernia): পাকস্থলীর অস্বাভাবিক স্থানচ্যুতি – সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসায় মুক্তির পথ ✅🌿💚আমাদের পরিপ...
20/09/2025

🩺 হায়াটাস হার্নিয়া (Hiatus Hernia): পাকস্থলীর অস্বাভাবিক স্থানচ্যুতি – সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসায় মুক্তির পথ ✅🌿💚
আমাদের পরিপাকতন্ত্র জটিল এবং সূক্ষ্ম গঠনের মাধ্যমে কাজ করে। অনেক সময় পাকস্থলীর একটি অংশ ডায়াফ্রামের (Diaphragm) ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে ওপরে উঠে এসে খাদ্যনালীতে চাপ সৃষ্টি করে—এই অবস্থাকেই বলা হয় হায়াটাস হার্নিয়া। এটি সাধারণ গ্যাস্ট্রিক সমস্যার মতো মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে জটিল রোগের কারণ হতে পারে।
💢♦️ হায়াটাস হার্নিয়া কী? 🚨
হায়াটাস হার্নিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর উপরের অংশ ডায়াফ্রামের হায়াটাস ছিদ্র দিয়ে বুকে উঠে আসে।
🔸 সাধারণত খাদ্যনালী ডায়াফ্রামের এই ছিদ্র দিয়ে পাকস্থলীতে যুক্ত হয়।
🔸 যখন পাকস্থলী সেই ছিদ্র দিয়ে সরে আসে, তখন অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বুকজ্বালা ও হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
🔸 এটি দুই ধরনের হতে পারে:
1️⃣ Sliding Hiatus Hernia – পাকস্থলী ও খাদ্যনালী একসাথে ওপরে উঠে আসে (সবচেয়ে সাধারণ)।
2️⃣ Paraesophageal Hiatus Hernia – পাকস্থলীর একটি অংশ খাদ্যনালীর পাশে উঠে আসে (কমন নয় কিন্তু গুরুতর হতে পারে)।
💢🚩 হায়াটাস হার্নিয়ার কারণসমূহ 🤔🔍
এর সঠিক কারণ সবসময় জানা যায় না, তবে ঝুঁকির কিছু বিষয় হলো:
🔻স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন
🔻 গর্ভাবস্থা (শরীরের অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি পায়)
🔻 দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মলত্যাগ
🔻 দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা হাঁচি
🔻 ভারী জিনিস ওঠানো বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম
🔻 জন্মগতভাবে ডায়াফ্রামের দুর্বলতা
💢🥵 হায়াটাস হার্নিয়ার লক্ষণসমূহ 🚩
সব ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে সাধারণত দেখা যায়—
⏺️ বুকজ্বালা (Heartburn)
⏺️ এসিড রিফ্লাক্স (অ্যাসিড উপরে উঠে আসা)
⏺️ বুক বা গলার মধ্যে টক স্বাদ অনুভূত হওয়া
⏺️ বুকে বা উপরের পেটে ব্যথা
⏺️ ঢেকুর ওঠা ও গ্যাস জমা
⏺️ খাওয়ার পর পেট ভারী লাগা
⏺️ গুরুতর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা বুকে চাপ লাগা
💢🧪 রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষা 🧫
চিকিৎসকরা নিম্নলিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে হায়াটাস হার্নিয়া নির্ণয় করতে পারেন:
🔬 এক্স-রে (Barium swallow test): খাদ্যনালীর এক্স-রে করে পাকস্থলীর অবস্থান দেখা।
🔬 এন্ডোস্কোপি: ক্যামেরার সাহায্যে খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর ভেতর দেখা।
🔬 ম্যানোমেট্রি টেস্ট: খাদ্যনালীর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
🔬 pH টেস্ট: পাকস্থলীর অ্যাসিড কতটা উপরে আসছে তা যাচাই করা।
💢 🍀 চিকিৎসা ও প্রতিকার 🌱
🚩 (অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা)
✅ Proton Pump Inhibitors (PPI): যেমন Omeprazole, Pantoprazole – অ্যাসিড কমায়।
✅ H2 Blockers: যেমন Famotidine – অ্যাসিড নিঃসরণ কমাতে সহায়ক।
✅ Antacids: অস্থায়ীভাবে বুকজ্বালা ও অস্বস্তি কমাতে ব্যবহৃত।
✅ Surgery (Nissen Fundoplication): গুরুতর ওষুধ-প্রতিরোধী ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার।
📗 ✅ ন্যাচারাল ও লাইফস্টাইল ব্যবস্থাপনা 🌿
👉 খাবারের নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত, ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার।
👉 ছোট ছোট ভাগে খাবার খাওয়া: একসাথে বেশি না খেয়ে দিনে বারবার অল্প করে খাওয়া।
👉 শোবার আগে খাবার না খাওয়া: অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করা।
👉 বিছানার মাথা উঁচু করে শোয়া: এসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধে সহায়ক।
👉 ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্থূলতা হায়াটাস হার্নিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
👉 ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা।
👉 স্ট্রেস কমানো: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও পর্যাপ্ত ঘুম।
✨ আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার, মিরপুর-১০। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ-এর তত্ত্বাবধানে এখানে হায়াটাস হার্নিয়া রোগের জন্য প্রাকৃতিক ও আধুনিক চিকিৎসার সমন্বিত ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
🔸 তাঁর গবেষণালব্ধ ন্যাচারাল মেডিসিন ও সঠিক লাইফস্টাইল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসিড রিফ্লাক্স ও হায়াটাস হার্নিয়ার মূল কারণ নিরাময়ের লক্ষ্যেই কাজ করছে এই কেন্দ্র।
🌿 শেষ কথা
হায়াটাস হার্নিয়া সবসময় প্রাণঘাতী নয়, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী অ্যাসিড রিফ্লাক্স, আলসার বা খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
👉 তাই বুকজ্বালা বা এসিড রিফ্লাক্স বারবার হলে অবহেলা না করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
সচেতনতা, সঠিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হায়াটাস হার্নিয়া থেকে মুক্তির মূল চাবিকাঠি।
💚 পাকস্থলীর যত্ন নিন, এসিড রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং প্রাকৃতিক জীবনের পথে এগিয়ে চলুন।
©️ তথ্য সংকলন ও পরিমার্জনে—

 #থাইরয়েড নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ-(পরিবারের সহমর্মিতাই থাইরয়েড রোগীর বড় শক্তি")থাইরয়েড মূলত দুই প্রকারের হতে পারে— হ...
19/09/2025

#থাইরয়েড নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ-
(পরিবারের সহমর্মিতাই থাইরয়েড রোগীর বড় শক্তি")

থাইরয়েড মূলত দুই প্রকারের হতে পারে— হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম।
এটি এমন এক সমস্যা, যা বাইরে থেকে সহজে বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতর থেকে মানুষের জীবনকে ভয়াবহভাবে নষ্ট করে দেয়।

থাইরয়েড সমস্যার সাধারণ উপসর্গসমূহঃ-

ঘন ঘন মুড সুইং হওয়া, হঠাৎ রেগে যাওয়া।

শরীরে সবসময় ক্লান্তি থাকা, অথচ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া।

মাথা ঘোরা, হাত-পা কাঁপা।

চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা।

শরীরের বিভিন্ন স্থানে অকারণ ব্যথা।

ভুলে যাওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া।

কখনও ওজন বেড়ে যাওয়া, আবার কখনও কমে যাওয়া।

খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আসা।

চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

মন খারাপ থাকা, আনন্দ না পাওয়া।

বাইরে থেকে দেখলে এগুলোকে অনেকেই “অলসতা” মনে করে, কিন্তু আসলে এগুলো হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর প্রভাব।

সামাজিক ভুল ধারণাঃ-

অনেক সময় আশেপাশের মানুষ ভাবে—

“হাঁটাচলা তো ঠিকই করছো, কষ্ট কোথায়?”

“কম খাও, বেশি হাঁটো, সব ঠিক হয়ে যাবে!”

কিন্তু তারা বোঝে না যে, হাইপোথাইরয়েডিজমে মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায়, ঘুমের চক্র নষ্ট হয়, এমনকি মানসিক শক্তিও অনেক কমে যায়।

বিদেশে বনাম আমাদের সমাজঃ-
উন্নত দেশগুলোতে থাইরয়েড রোগী থাকলে পরিবারের সদস্যদেরও কাউন্সেলিং করানো হয়—

রোগীর সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে

কী খাওয়া যাবে আর কী যাবে না

মানসিকভাবে কিভাবে সাপোর্ট দিতে হবে

কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ পরিবারে মুডসুইং বা ডিপ্রেশনকে “ঢং” বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে রোগীরা শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ে।

করণীয়ঃ-
থাইরয়েড একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলেও সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা নিলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
তাই পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমাজের সবার উচিত—

রোগীকে বোঝা

সহমর্মিতা দেখানো

সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত চেকআপে উৎসাহিত করা

মনে রাখবেন, থাইরয়েড শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাই রোগীর পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় সহায়তা।
সংগৃহীত

Address

Gazipur Sadar , Gazipur Dhaka
Monipur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মা ফিজিওথেরাপি এন্ড হোম সার্ভিস posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram