18/06/2025
অক্সিজেনের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে মাস্ক, বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি!
আমাদের শরীরের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নিয়মিতভাবে বের হয়ে যায় বিভিন্ন উপায়ে। সাধারণত চারটি পথ রয়েছে—মল, মূত্র, ঘাম এবং নিঃশ্বাস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর পদার্থ বের হয় নিঃশ্বাসের মাধ্যমেই—বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইড। অথচ সারাদিন মাস্ক পরে থাকলে এই প্রাকৃতিক নিঃসরণ প্রক্রিয়াটিই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে!
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার নামে সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহারের প্রচার চলছে। কিন্তু বাস্তবে মাস্ক পরে থাকা মানেই আরও বড় ঝুঁকি। কারণ, যেসব ক্ষতিকর জীবাণু সাধারণভাবে নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যেত, সেগুলো মাস্কে আটকে আবার শ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভেতরে ফিরে যাচ্ছে। এতে শরীরে জমছে বিষাক্ত গ্যাস, কমছে অক্সিজেনের প্রবাহ—ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
আবার দেখা যায়, মাস্ক পরে দীর্ঘক্ষণ থাকা যায় না—কারণ এক ধরনের হাঁপ ধরে যায়। কারণটা সহজ—শরীর থেকে বের হওয়া দূষিত বাতাস মাস্কের মধ্যে আটকা পড়ে আবার শরীরেই ফিরে যাচ্ছে। অথচ এসব নিয়ে কেউ কথা বলছে না, পাছে না জানি মাস্কের বাজার মন্দা হয়ে যায়!
আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি অত্যন্ত নিখুঁত। নাকের ভেতরে চার স্তরের প্রাকৃতিক ছাঁকনি রয়েছে, যা জীবাণুকে আটকে রাখে। তাছাড়া যারা সুন্নত মোতাবেক দাড়ি রাখেন, সেটাই এক ধরনের প্রাকৃতিক মাস্কের কাজ করে—ধুলাবালি বা জীবাণু সহজে নাক-মুখে প্রবেশ করতে পারে না। অথচ অনেকে অযথা সারাক্ষণ মাস্ক পরে থেকেও আরও বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
আরো মজার বিষয়, মাস্ক অনেকেই সঠিকভাবে পরিধান করেন না। কখনও গলায় ঝুলিয়ে, কখনও থুতনিতে রেখে আবার মুখে দেন, এর ফলে জীবাণুর সংক্রমণ বরং আরও বেড়ে যায়।
এদিকে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে কার্যকর জীবাণুনাশক উপাদান হচ্ছে মাটি। অথচ বিজ্ঞাপনের কারণে সবাই সাবানের পেছনে ছুটছে, যাতে সাবান কোম্পানিগুলো.... ফুলে-ফেঁপে ওঠে!
অনেকেই যখন বলেন, মাস্ক পরে থাকার ফলে শরীরের স্বাভাবিক রেচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, অক্সিজেনের স্বাভাবিক প্রবাহ কমে যায়—তখন এটাকে কেউ কেউ গুজব বলে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা তো চোখের সামনে—অতিরিক্ত মাস্ক ব্যবহারে শরীরে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি দেখা দিচ্ছে। এটাই কি প্রমাণ নয়?
আসলে আমাদের উচিত সচেতন থাকা। অপ্রয়োজনে মাস্ক পরে থাকা নয় বরং পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত ওজু করা, দাড়ি রাখা, শরীয়তের নির্দেশনা মানা—এতেই প্রকৃত নিরাপত্তা রয়েছে।
যারা এটা পড়লেন দেখেন যা ভালো মনে করেন, কারণ প্রতিটি ভীতি নিজেকে সুরক্ষার জন্য।
ইউনানি চিকিৎসক মো: আব্দুল আজিজ