Farjana Sharmin

Farjana Sharmin I am A Physiotherapy Doctor,completed my graduation from DU(CRP,BHPI).Successfully worked at BRAC an

04/07/2025

আজ কথা বলব খুবই উপকারী,পুষ্টিসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর একটি সবজি নিয়ে যেটা এখন বাজারে সহজলভ্য। যদিও খুবই অবহেলিত একটি সবজি আমার মনে হয়, বেশিরভাগ মানুষ আমরা সবজিটা খেতে পছন্দ করি না,এমনকি আমি নিজেও পছন্দ করতাম না।পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবচেয়ে ভালো সবজির মধ্যে এমন একটি সবজি যার মধ্যে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান গুলো খুব সুন্দর ভাবে দেওয়া আছে প্রকৃতিগতভাবেই।

আমি বলছি কাঁকরোলের কথা।কাঁকরোল আমরা সাধারণত সিদ্ধ করে,ভাজি করে বা রান্না করে খেতে পারি।এখন প্রথমে বলবো কাঁকরোল এর মধ্যে কি কি উপাদান আছেঃ-

কাঁকরোলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি,মিনারেল,ফাইবার,কার্বোহাইড্রেট,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন,আয়রন,জিংক,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,প্রোটিন,ফলিক অ্যাসিড,সেলেনিয়াম, লুটেইন,জেনান্থিন,লাইকোপিন,মিনারেল ইত্যাদি।

এখন জানবো আমরা কেন কাঁকরোল খাব বা কাঁকরোল খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবেঃ-

ক্যান্সারঃ কে প্রতিহত করতে কাঁকরোলের অনেক বড় ভূমিকা আছে কারণ কাঁকরোল এর মাঝে এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন আছে যেটা ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি কে প্রতিহত করে যার ফলে ক্যান্সার টাকে বাড়তে দেয় না।

অ্যানিমিয়াঃ মহিলাদের জন্য কাঁকরোল অনেক বেশি দরকার কারণ মহিলারা সাধারণত অ্যানিমিয়া রোগে ভুগে থাকে যেহেতু কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিড এইজন্য অ্যানিমিয়া প্রতিহত করতে কাঁকরোল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রেঃ কাঁকরোলের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে কারণ কাঁকরোল এর মধ্যে যে খাদ্য উপাদান গুলো আছে এগুলো রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে তাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেঃ কাঁকরোল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য খুব বড় ভূমিকা পালন করে।

চোখের জন্য উপকারিতাঃ চোখ ভালো রাখার জন্য যে উপাদানগুলো দরকার যেমন ভিটামিন,বিটা ক্যারোটিন এগুলো প্রচুর পরিমাণে কাঁকরোল এর মধ্যে বিদ্যমান এজন্য এটা চোখের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি।

হার্ট অ্যাটাকে সম্ভাবনা কমানোর ক্ষেত্রেঃ কাঁকরোলের মাঝে আছে লাইকোপেন নামক এক ধরনের উপাদান যেটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

তারুণ্য ধরে রাখতেঃ কাঁকরোল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন,আলফা ক্যারোটিন,লুটেইন ভিটামিন সি,প্রোটিন যেটা অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়।

ডিপ্রেশন প্রতিহত করতেঃ সেলেনিয়াম,মিনারেল ভিটামিন নার্ভাস সিস্টেমের কে অনেক ভালো রাখে এবং যেটা ডিপ্রেশন কমাতে অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন।

ওজন কমাতেঃ এক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর ফাইবার যেটা শরীরে ফ্যাট বার্ন করতে অনেক ভালো কাজ করে।এজন্য এটা ওজন কমানোর জন্য খুব ভালো একটি খাদ্য উপাদান হতে পারে।

©️Farjana Sharmin Sonia.

#ফিজিওথেরাপি

22/06/2025

‼️বয়স ৪০ এর কোটায় হলে মহিলাদের কি কি বিষয়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে❓

৪০ বছর বয়সের পর মহিলাদের দেহে অনেক ধরণের শারীরিক ও হরমোনগত পরিবর্তন শুরু হয় যা ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই বয়সে কিছু বিশেষ স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নিয়মিত নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।নিচে বিস্তারিতভাবে জানানো হলো:

1️⃣ হরমোনের পরিবর্তন ও মেনোপজ প্রস্তুতি:-

৪০-এর পর থেকে পেরিমেনোপজ শুরু হতে পারে, যা মেনোপজের পূর্ববর্তী সময়। এই সময় হরমোন (বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন) কমতে থাকে।এর ফলে দেখা দিতে পারে:অনিয়মিত পিরিয়ড,গরম অনুভব (hot flashes),ঘুমের সমস্যা,মুড সুইং।এইজন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পর্যাপ্ত ঘুম,স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং প্রয়োজনে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

2️⃣ হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন (Osteoporosis প্রতিরোধ):-

ইস্ট্রোজেন কমে গেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।এইজন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে,দিনে অন্তত ১৫/২০ মিনিট রোদে থাকা,নিয়মিত ব্যায়াম করলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।এছাড়া কোন জয়েন্টে ব্যথা বা অন্য কোন সমস্যায় অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছে দেখাবেন।

3️⃣ হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়:-

মেনোপজের পর নারীদের হার্ট অ্যাটাক বা উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বাড়ে।এইজন্য রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা,কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া,প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম,ধূমপান ও অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলা উচিৎ।

4️⃣ ওজন নিয়ন্ত্রণ ও বিপাক হ্রাস:-

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের মেটাবলিজম কমে যায়,ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।এইজন্য পরিমিত ক্যালোরি ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া,চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানো,নিয়মিত শরীরচর্চা (কার্ডিও + স্ট্রেংথ ট্রেনিং) করার অভ্যাস রাখতে হবে।

5️⃣ মানসিক স্বাস্থ্য ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট:-

হরমোন পরিবর্তনের কারণে উদ্বেগ, হতাশা বা মন খারাপ থাকতে পারে।মেডিটেশন,ইয়োগা,গভীর শ্বাস প্রশ্বাস অনুশীলন এবং অবশ্যই নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী ইবাদত করলে এইসব সমস্যায় কম ভুগবেন।

6️⃣ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:-

৪০ বছর পার হলে কিছু রুটিন চেকআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ।যেমন:প্যাপ স্মিয়ার (৩ বছরে একবার) সার্ভিকাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং,
মেমোগ্রাম (২ বছরে একবার) স্তন ক্যান্সার শনাক্তে,ব্লাড সুগার (ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং),
লিপিড প্রোফাইল (কোলেস্টেরল লেভেল দেখার জন্য),থাইরয়েড ফাংশন (হরমোনের ভারসাম্য দেখার জন্য),ভিটামিন-ডি লেভেল টেস্ট।

7️⃣ ঘুম ও পানি পান:-

প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

8️⃣ পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন:-

বেশি করে শাকসবজি, ফল, বাদাম, মাছ খান,কম তেলে রান্না করা খাবার গ্রহণ করুন,আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনে গুরুত্ব দিন।

৪০ পেরোনো মানেই বয়স বেড়ে যাওয়া নয় বরং নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার সময়।আপনি যদি এই সময় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলেন তবে ৫০/৬০ বছর বয়সেও আপনি থাকবেন সুস্থ ও আত্মবিশ্বাসী।
সর্বোপরি,নিজেকে ভালোবাসুন নিজেকে ভালো রাখুন তাহলেই আপনি আপনার আশেপাশে প্রিয় সবাইকে ভালো রাখতে পারবেন এবং যার ফলে আপনি নিজেও ভালো থাকবেন।সব কাজের ফাঁকে নিজের জন্য প্রতিদিন আলাদা করে অন্তত ১ ঘন্টা সময় রাখুন যেই সময়টা শুধু আপনার,যা ভালো লাগে সেটাই করবেন।

©️ Farjana Sharmin Sonia

(CRP,DU),MPH(NSU).
MD and Chief physiotherapist.
Prince Physiotherapy and Health Care Center.
H/N-24,R/N-1,Block-kha,Shekertek,Mohammadpur.
Mobile No- 01400400037.

#ফিজিওথেরাপি

01/06/2025

"Calf Muscle Cramp"

কাফ মাসেল ক্রাম্প কি:-

কাফ মাসেল ক্র্যাম্প (Calf Muscle Cramp) হলো হঠাৎ করে পায়ের পেছনের নিচের অংশের পেশিতে ব্যথাযুক্ত ও অনিচ্ছাকৃত সংকোচন।এটি সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং পরে আক্রান্ত অঞ্চলে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

✅কারণসমূহ:-

কাফ মাসেল ক্র্যাম্পের সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:

1️⃣পেশির অতিরিক্ত ব্যবহার বা ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা ব্যায়াম করার ফলে পেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

2️⃣ডিহাইড্রেশন (জলশূন্যতা): শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে পেশির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।

3️⃣ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি: পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পেশির সংকোচনে প্রভাব ফেলে।

4️⃣গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তন ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে পেশিতে চাপ পড়ে।

5️⃣বয়সজনিত পরিবর্তন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেশির নমনীয়তা কমে যায়।

6️⃣নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ডায়ুরেটিক ওষুধ পেশির ক্র্যাম্পের কারণ হতে পারে।

7️⃣কোমড়,হাঁটু ব্যথার সমস্যা থাকলে কাফ মাসেল ক্রাম্প হতে পারে।

✅তাৎক্ষণিক প্রতিকার:-

ক্র্যাম্প হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে পারেন:

1️⃣পেশি স্ট্রেচিং: পায়ের আঙুলগুলো শরীরের দিকে টেনে আনুন এবং পা সোজা রাখুন।

2️⃣ম্যাসাজ: আক্রান্ত পেশিতে হালকা ম্যাসাজ করুন।

3️⃣তাপ বা ঠান্ডা প্রয়োগ: হিটিং প্যাড বা বরফের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

4️⃣হাঁটা বা দাঁড়ানো: পেশি সচল রাখতে হালকা হাঁটা বা দাঁড়ানো সহায়ক।

5️⃣ব্যথানাশক ওষুধ: প্রয়োজনে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন সেবন করতে পারেন।

✅প্রতিরোধের উপায়:-

ক্র্যাম্প প্রতিরোধে নিচের অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন:

1️⃣পর্যাপ্ত পানি পান: প্রতিদিন ৬–৮ গ্লাস পানি পান করুন, বিশেষ করে ব্যায়ামের আগে ও পরে।

2️⃣নিয়মিত স্ট্রেচিং: ব্যায়ামের আগে ও পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে পেশি স্ট্রেচ করুন।

3️⃣ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ খাবার: পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন কলা, পালং শাক, বাদাম ইত্যাদি খান।যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা ডাবের পানি খেতে পারেন আর যাদের হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা নেই তারা স্যালাইন খাবেন।

4️⃣ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল সীমিত করুন: এই উপাদানগুলো ডিহাইড্রেশন বাড়াতে পারে।

5️⃣উপযুক্ত জুতা পরিধান: পায়ের সাপোর্টযুক্ত আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন।

✅কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি:-

নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

1️⃣ক্র্যাম্প ঘন ঘন বা দীর্ঘস্থায়ী হলে।

2️⃣ক্র্যাম্পের সাথে পায়ে ফোলা, লালচে ভাব বা অসাড়তা অনুভূত হলে।

3️⃣ক্র্যাম্পের কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হলে।

4️⃣ক্র্যাম্পের সাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন দুর্বলতা বা ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে।

সাধারণত, কাফ মাসেল ক্র্যাম্প ক্ষণস্থায়ী এবং নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে উপরের প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এর পুনরাবৃত্তি কমানো সম্ভব। যদি সমস্যা অব্যাহত থাকে, তবে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।



©️

22/03/2025

⁉️ডিস্ক প্রলাপ্স জনিত/PLID এর কারণে কোমরে ব্যথা।

আজ আমরা আলোচনা করব কোমর ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ নিয়ে যার নাম হচ্ছে ডিস্ক প্রলাপ্স জনিত কারণে কোমরে ব্যথা। এই ধরনের ব্যথা সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। যেকোন মানুষ যেকোন সময়ে এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।ডিস্ক প্রলাপ্স হলে সাধারণত ব্যথা কোমরে থাকে অথবা দুই পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এর সাথে থাকে অবশ ভাব,ঝিন ঝিন ভাব,মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি।

✅ডিস্ক প্রলাপ্স কি-

আমাদের কোমরে মেরুদন্ডের এখানে ৫ টি হাড় থাকে। এই প্রত্যেকটি হাড়ের মাঝখানে জেলির মত একটা কুশন থাকে যার নাম হচ্ছে ডিস্ক। এটি পিচ্ছিল জাতীয় এক ধরনের অংশ যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের সব ওজন এক হাড় থেকে অন্য হাড়ে সঞালিত হয়।কোনো কারণে যদি এই ডিস্ক তার জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় তাহলে তার আশেপাশের নার্ভ এবং মেরুরজ্জু তে চাপ দিয়ে রাখে যার ফলশ্রুতিতে কোমরে এবং এক পায়ে অথবা দুই পায়ে ব্যথা এবং এর সাথে অন্যান্য উপসর্গ থাকতে পারে।

✅ডিস্ক প্রলাপ্স নিরাময়ে করনীয়-

ডিস্ক প্রলাপ্স হওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্রামে চলে যেতে হবে এবং অতি সত্ত্বর একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে । একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীকে পুরোপুরি ভাবে অ্যাসেসমেন্ট করে তার রোগ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।এক্ষেত্রে ডিস্ক প্রলাপ্স হলে সাধারণত নিম্নোক্ত চিকিৎসা গুলা একজন ফিজিওথেরাপিস্ট দিয়ে থাকেন-

❇️ম্যানুয়াল থেরাপি-

ডিস্ক প্রলাপ্স এর সবচেয়ে কার্যকর থেরাপি হচ্ছে ম্যানুয়াল থেরাপি।এটা একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট নিজে হাতে রুগীকে কিছু ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করিয়ে থাকেন যাতে ডিস্কটাকে তার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় এবং এর সাথে সাথে আরও কিছু ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন যার ফলশ্রুতিতে এই ডিস্ক প্রলাপ্স পরবর্তীতে আর যাতে সমস্যা সৃষ্টি না করে।

✴️ইলেকট্রো থেরাপি-

ইলেকট্রোথেরাপির মধ্যে উল্লেখযোগ্য থেরাপি হলো হিট দেওয়ার বিভিন্ন মাধ্যম যেমন IRR,SWD, MWD, HEATING PADইত্যাদি। এছাড়াও ব্যথা নিরাময়ের জন্য কিছু ইলেক্ট্রো থেরাপি দেওয়া হয় এবং এর সাথে ও নার্ভ এর ফাংশন কে আবার সচল করার জন্য কিছু মেশিন ব্যবহার করা হতে পারে যেমন TENS, Nerve stimulator, IFT, UST ইত্যাদি।

✅পরিশেষে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ডিস্ক প্রলাপ্স এর রোগীকে কিছু নিয়ম কানুন দিয়ে থাকেন এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম,চলাফেরা এবং বসার কিছু নিয়ম কানুন ও দিয়ে থাকেন এবং সাথে অবশ্যই লাম্বার করসেট অথবা কোমরের সাপোর্ট ব্যবহার করতে হবে,পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিস্ট এর শিখানো কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বাসায় করতে হবে।
সবাই সুস্থ থাকুন,হাসিখুশি থাকুন।
ধন্যবাদ।

©️Farjana Sharmin Sonia.

BPT(CRP,DU),MPH(NSU).
MD and Chief Physiotherapist.
Prince Physiotherapy and Health Care Center.
H/n-24,R/n-1,block-kha,Shekerter,Mohammadpur.
Mobile No-01400400037.

19/03/2025

মাসের পর মাস রোগীর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন কিন্তু আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না?এমন কি হয়েছে??কখনো কি ভেবে দেখেছেন এটার কারণ কি??কেন রোগী ভালো হচ্ছে না কিংবা চিকিৎসাটা ফলপ্রসূ হচ্ছে না⁉️

আমার প্র্যাকটিস জীবনের প্রথম থেকেই এমন অনেক রোগী পেয়েছি যারা অনেক জায়গা থেকে চিকিৎসা নেয় এবং এসে যেটা প্রথমে বলে "ম্যাডাম অনেকদিন ধরে ফিজিওথেরাপি নিচ্ছি কিন্তু কাজ হয় না অর্থাৎ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় তারা ফল পাচ্ছে না,তাদের শুধু টাকাটাই নষ্ট হচ্ছে এবং সময় নষ্ট হচ্ছে"
এমন কেন হয়??আমি সেসব রোগীকে ভালোমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কয়েকটা কারণ এখান থেকে খুজে পেলাম...

🔸প্রথমতঃ ডায়াগনোসিস অর্থাৎ রোগ নির্ণয় করতে না পারার ও দক্ষতার অভাব।

🔹দ্বিতীয়তোঃ রুগীকে রোগ সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধারণা না দেওয়া এবং চিকিৎসা কিভাবে কাজ করছে তার সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা।

🔸তৃতীয়তঃ সঠিক চিকিৎসা না দেওয়া,যেখানে রোগ নির্ণয় করতে পারা যায় না সেখানে চিকিৎসা সঠিক না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

🔹আরেকটা কারণ হলোঃ উপসর্গ দেখেই রোগীর চিকিৎসা করা অর্থাৎ কোনো রোগী যখন এসে বললো "হাঁটুতে ব্যথা" সাথে সাথে আমাদের মাথায় যেটা ঢুকে যায় হ্যাঁ হাটুতে অস্টিওআথ্রাইটিস জনিত ব্যথা।যার কারণে সেখানে রোগ নির্ণয় ভুল হয়ে যায়,হাঁটুতে ব্যথা শুধুমাত্র হাঁটুর সমস্যার জন্যই হতে পারে না, ব্যথা কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকেও আসতে পারে এটা মাথায় না রেখে চিকিৎসা করা।রোগ নির্ণয় ভূল করলে এক্ষেত্রে তো ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কাজ করবেনা।

মনে রাখবেন গাছের গোড়া কে বাদ দিয়ে যতই ডাল-পালার পরিচর্যা করেন না কোনো কাজ হবে না, একসময় গাছ মারা যাবে।তেমনি রোগের চিকিৎসা করতে হলে,রোগের উৎস এবং রোগ নির্ণয় করাটা সবচেয়ে জরুরি।উপসর্গ দেখেই যদি চিকিৎসা করেন সেখানে নিজের ও রোগীর এবং নিজের পেশার জন্য খারাপ ছাড়া ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

পরিশেষে বলব,ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা আমার চোখে এক ধরনের ম্যাজিক্যাল চিকিৎসা কিন্তু যে কোনো জাদুকেই দর্শকের কাছে সুচারুরূপে উপস্থাপন ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য এর উপাদান এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর দক্ষতার অনেক দরকার।।
সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ্ হাফেজ।

©️Farjana Sharmin Sonia.

BPT (CRP,DU),MPH(NSU).
MD and Chief physiotherapist.
Prince Physiotherapy and Health Care Center.
H/N-24,R/N-1,Block-kha,Shekertek,Mohammadpur.
Mobile No- 01400400037.

#ফিজিওথেরাপি

16/03/2025

গত ২/৩ দিন আগে একজন বাচ্চা রোগী রিসিভ করলাম।ওর সমস্যাটা জন্মগত আঘাতজনিত কারণে হয়েছে আর কিছুটা রেয়ার কন্ডিশন।

জন্মের সময় ওর ডান হাতের বাহুতে রগ পেচিয়ে যায় যার ফলে ওর নার্ভ ইঞ্জুরি হয়ে যায় এবং আক্রান্ত হাতটি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়।

১ বছর বয়সে ডাক্তার সার্জারী করে দেন।এবং এরপর ডাক্তার রোগীকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জন্য রেফার করে দেন।

এখন রোগীর বয়স সাড়ে ৩ বছর অথচ এখনো তেমন কোন উন্নতি নেই বাচ্চাটার হাতের।এসেসমেন্ট করে দেখলাম বাচ্চাটার wrist drop,spasticity,muscle weakness,ROM অনেক কম এবং fine motor activities একদম নেই।

রোগীর বাবা মা বললো,আমরাতো ম্যাডাম ফিজিওথেরাপি করাচ্ছি।বললাম CRP তে দেখিয়েছেন কখনো?বললো,যাদের কাছে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিয়েছে তারা CRP এর।কি চিকিৎসা দিয়েছে শুনলাম..৩০ মিনিট IRR অর্থাৎ হিট।বললাম CRP থেকে গ্রাডুয়েশন করা কোন ফিজিওথেরাপিষ্ট কোনদিন এই চিকিৎসা দিবে না।চেম্বার এড্রেস আর নাম শুনে চিনলাম ডিপ্লোমা করা ফিজিওথেরাপিস্ট তাও CRP এর গেট দিয়েও জীবনেও এরা ঢুকে নাই।রোগীকে বললাম আপনারা ভুল জায়গায় গিয়েছেন এতোদিন আর একজন ডিপ্লোমা পাশ করা ফিজিওথেরাপিস্ট একজন গ্রাডুয়েশন করা ফিজিওথেরাপিস্ট এর অধীনে কাজ করে।

কি আফসোসের বিষয়!!এটা একটা জনসচেতনতামূলক পোস্ট।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেওয়ার আগে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে তারপর চিকিৎসা নিন।
ধন্যবাদ।

☑আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা:-

বাসা নং: ২৪,রোড নাম্বার: ১,ব্লক-খ,শেকেরটেক,মোহাম্মদপুর,ঢাকা।
মোবাইল নং:
01400400037.

©️Farjana Sharmin Sonia.

MD and Chief Physiotherapist
BPT(CRP,DU),MPH(NSU).
Prince Physiotherapy and Health Care Center(PPHC)
Mohammadpur.

#ফিজিওথেরাপি

12/03/2025

আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।
আজ কথা বলব পায়ের পাতার ব্যথার অন্যতম একটি কারণ নিয়ে অর্থাৎ প্লান্টার ফাসাইটিস/ Plantar Fascitis নিয়ে।

অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বিছানা থেকে পা ফেলে দাঁড়াতে গেলেই পায়ের পাতায় এবং গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন।এই ব্যথার জন্য অনেকাংশেই দায়ী প্লান্টার ফাসাইটিস/Plantar Fascitis নামের রোগ।

🔹প্লান্টার ফাসাইটিস/ Plantar Fascitis কি:-

আমাদের পায়ের তলায় গোড়ালি থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত শক্ত একটা টিস্যু থাকে এই টিস্যুকেই বলা হয় প্লান্টার ফাসা আর কোন কারনে যদি এই প্লান্টার ফাসাতে কোন ইনফ্লামেশন বা ক্ষত হয় সে ক্ষেত্রে আমরা একে বলি প্লান্টার ফাসাইটিস।প্ল্যান্টার ফাসাইটিস হলে সাধারণত পায়ের তলায় দাঁড়ানো এবং হাঁটার সময় তীব্র ব্যথা হয়,গোড়ালি লাল হয়ে যেতে পারে,ফোলা থাকতে পারে।

🔸কেন হয়:-

★সাধারণত যারা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করে তাদের হতে পারে।

★বয়সজনিত কারণে হতে পারে।

★আঘাত জনিত কারণে হতে পারে।

★ওজন বেশি থাকার জন্য হতে পারে।

★স্নায়ুতন্ত্রের কোন সমস্যার জন্য হতে পারে।

★শক্ত জুতা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে এ সমস্যা হতে পারে।

★ডায়াবেটিস এবং হরমোনাল কোন সমস্যার জন্য হতে পারে।

🔹এই ব্যথা হলে কি করবেন:-

★প্রথমেই অবশ্যই একজন গ্রাডুয়েশন করা ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে দেখাবেন (আমি ব্যক্তিগতভাবে বলব সিআরপি/CRP থেকে পাশ করা কোন ফিজিওথেরাপিস্ট কে দেখাবেন)।এরপর উনি আপনাকে অ্যাসেসমেন্ট করে চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।

★ডাক্তারের পরামর্শ মতো ব্যথার জন্য কিছু ওষুধ খেতে পারেন যদিও এইসব ব্যথার জন্য যতটা সম্ভব ব্যথা নাশক ঔষধ না খাওয়ায় ভালো।

★এর পাশাপাশি বাসায় বিশ্রাম নিবেন।

★নরম এবং আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করবেন খুব বেশিক্ষণ দাঁড়ানো পরিহার করবেন।

★ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ মত গরম অথবা ঠাণ্ডা সেঁক দিতে পারেন সাথে কিছু স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেনদেনিং থেরাপি করতে পারেন।

★অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

★ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

✅মনে রাখবেন এই সমস্যা দেখা দিলেই অতি দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এর পরামর্শ নিন এবং ব্যথা মুক্ত জীবন যাপন করুন।
ধন্যবাদ।

☑️আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা:-

বাসা নং: ২৪,রোড নাম্বার: ১,ব্লক-খ,শেকেরটেক,মোহাম্মদপুর,ঢাকা।
মোবাইল নং:
01400400037.

©️Farjana Sharmin Sonia.

MD and Chief Physiotherapist
BPT(CRP,DU),MPH(NSU).
Prince Physiotherapy and Health Care Center(PPHC)
Mohammadpur.

05/03/2025

আসসালামু আলাইকুম।
সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সেবা নিতে চাইলে নিচে উল্লেখ করা কার্ডের নাম্বারে যোগাযোগ করবেন অথবা সরাসরি কার্ডে উল্লেখ করা ঠিকানায় যোগাযোগ করবেন।

রমজানে আমরা বিকাল ৪টা-৫:৩০টা এবং সন্ধ্যা ৭টা - রাত ১০:০০টা পর্যন্ত আমাদের চেম্বারে চিকিৎসা সেবা চালু রেখেছি।

সবাইকে ধন্যবাদ।
সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন।

Address

Muhammadpur

Opening Hours

Monday 10:00 - 22:00
Tuesday 10:00 - 22:00
Wednesday 10:00 - 22:00
Thursday 10:00 - 22:00
Saturday 10:00 - 22:00
Sunday 10:00 - 22:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Farjana Sharmin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share