Dr. Akhter Uz Zaman Sajib

Dr. Akhter Uz Zaman Sajib নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও রোগ বিষয়ে তথ্য এবং অনলাইনে চিকিৎসা নিতে পেজ ফলো করুন।

08/08/2025
সন্তানকে বুদ্ধিমান করে তোলার জন্য পিতামাতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ১০টি কার্যকর কৌশল দেওয়া হলো:১. বই পড়ার অভ্...
08/08/2025

সন্তানকে বুদ্ধিমান করে তোলার জন্য পিতামাতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ১০টি কার্যকর কৌশল দেওয়া হলো:

১. বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

বিভিন্ন বয়স উপযোগী গল্প, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষার বই সন্তানকে দিন। এতে শব্দভাণ্ডার বাড়ে, কল্পনাশক্তি ও চিন্তার গভীরতা বাড়ে।

২. প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিন

সন্তান যখন কিছু জানতে চায়, বিরক্ত না হয়ে সুন্দরভাবে উত্তর দিন। এতে তার কৌতূহল ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ে।

৩. শেখার পরিবেশ তৈরি করুন

বাসায় পড়াশোনা ও সৃজনশীল কাজের জন্য নিরিবিলি একটি পরিবেশ তৈরি করুন। প্রযুক্তিকে সীমিত রেখে বাস্তব শেখাকে উৎসাহিত করুন।

৪. খেলনার মাধ্যমে শেখানো

শিক্ষামূলক খেলনা যেমন পাজল, লেগো, রুবিক কিউব, মেমোরি গেম শিশুর বুদ্ধি, যুক্তি ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়।

৫. নিয়মিত গল্প বলুন ও আলোচনা করুন

রাতের বেলা ছোট ছোট নৈতিক শিক্ষা সম্পন্ন গল্প বললে ভাষা দক্ষতা ও ভাবনার গভীরতা বাড়ে।

৬. নিজে উদাহরণ হোন

আপনি যেমন আচরণ করবেন, সন্তানও তা শিখবে। শৃঙ্খলা, মনোযোগ, জিজ্ঞাসু মন—এসব গুণ নিজের মধ্যে আনলে সন্তানও তা অনুসরণ করবে।

৭. সঙ্গী নির্বাচন ও সময়ের মান বজায় রাখুন

সন্তান কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, তা লক্ষ্য করুন। ভালো পরিবেশ ও সঙ্গ তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক।

৮. শারীরিক ও মানসিক খেলা

দৌড়, দাবা, ক্যারাম, বা অন্য বুদ্ধির খেলা শেখালে মন ও শরীর দুটোই সচল থাকবে।

৯. সঙ্গতিপূর্ণ প্রশংসা করুন

অতিরিক্ত বা অপ্রাসঙ্গিক প্রশংসা নয়, বরং তার চেষ্টার জন্য উৎসাহ দিন। এতে আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ বাড়ে।

১০. নিয়মিত পারিবারিক আলোচনা ও মতামত চাওয়া

পারিবারিক আলোচনায় তাকে মতামত দিতে বললে সে দায়িত্বশীলতা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করে।

CP

🛡️ শিশুর প্রয়োজনীয় টিকা: কখন, কোনটা, কেন – সব বাবা-মায়ের জানার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য💁‍♀️প্রতিটি শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের জন...
07/08/2025

🛡️ শিশুর প্রয়োজনীয় টিকা: কখন, কোনটা, কেন – সব বাবা-মায়ের জানার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য💁‍♀️

প্রতিটি শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য টিকা একটি অপরিহার্য সুরক্ষা। অনেক বাবা-মা বুঝে উঠতে পারেন না—কোন বয়সে কোন টিকা দিতে হয়, কোনগুলো খুব জরুরি, আবার কোনগুলো ঐচ্ছিক।

আজকে আমরা জেনে নিই, নির্ভরযোগ্য মেডিকেল গাইডলাইন ও বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী টিকা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য:

✅ সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়া হয় এমন টিকা (EPI – Expanded Programme on Immunization):

🗓️ বয়স👉 💉 টিকার নাম 🛡️👉 কী রোগ থেকে সুরক্ষা

জন্মের সাথে সাথে👉 BCG + OPV-0 👉টিবি, পোলিও

৬ সপ্তাহ👉 Pentavalent-1 + OPV-1 + PCV-1 + Rota-1👉 ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস B, হিব, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া

১০ সপ্তাহ👉 Pentavalent-2 + OPV-2 + PCV-2 + Rota-2 (পূর্বের টিকার দ্বিতীয় ডোজ)

১৪ সপ্তাহ👉 Pentavalent-3 + OPV-3 + PCV-3 (তৃতীয় ডোজ)

৯ মাস👉 MR-1👉 হাম ও রুবেলা

১৫ মাস👉 MR-2 👉হাম-রুবেলার দ্বিতীয় ডোজ

💁‍♀️ এই ১১টি ডোজ সরকারিভাবে সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বয়স অনুযায়ী অবশ্যই টিকাগুলো দেবেন। কোনোভাবে অবহেলা করবেন না।

💉 বেসরকারি/ঐচ্ছিক টিকা (শিশুর নিরাপত্তা আরও বাড়ায়):

টিকার নাম 👉বয়স 👉সুরক্ষা 👉দরকার কতটা?

Hepatitis B👉 জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে 👉লিভারের সংক্রমণ ✅ 👉গুরুত্বপূর্ণ

Influenza👉 ৬ মাস+👉 ফ্লু 👉 মাঝারি

Rotavirus 👉৬-১০ সপ্তাহ👉 ডায়রিয়া👉 ভালো হবে

Chickenpox (Varicella) 👉১ বছর👉 চিকেনপক্স 👉 ঐচ্ছিক

Typhoid 👉২ বছর👉 টাইফয়েড 👉 ঐচ্ছিক

HPV (মেয়েদের জন্য) 👉৯–১৪ বছর 👉সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার 👉✅ খুবই গুরুত্বপূর্ণ

MMR👉 ৯/১৫ মাস👉 হাম, মাম্পস, রুবেলা
👉 MR থাকলে দরকার হয় না

অতি গুরুত্বপূর্ণ টিকাসমূহ (না দিলেই মারাত্মক ঝুঁকি):

✅ BCG

✅ Pentavalent Series

✅ OPV (পোলিও)

✅ MR

✅ PCV (নিউমোনিয়া)

✅ HPV (মেয়েদের জন্য)

না দিলেও বড় সমস্যা না এমন টিকা:💁‍♀️

Chickenpox

Influenza

Typhoid

Hepatitis A

তবে শিশু যদি বারবার অসুস্থ হয় বা স্কুল/ডে-কেয়ারে থাকে, তখন এই টিকাগুলো শিশু ডাক্তারের সাথে কথা বলে দেবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রিয় বাবা-মা, মনে রাখুন:💁‍♀️

✅ সময়মতো টিকা দিলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
✅ টিকা দেওয়া মানে শুধু নিজ শিশুকে নয়, পুরো সমাজকেই সুরক্ষিত রাখা।
✅ টিকার পর হালকা জ্বর বা ব্যথা হলে ভয় পাবেন না, তবে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

❤️ আপনার সন্তান, আমাদের ভবিষ্যৎ।
তাকে সুস্থ রাখতে সময়মতো টিকা দিন, সঠিক তথ্য জানুন, অন্যদেরও জানান।

আমাদের সন্তানরা সুস্থ থাকুক❤️
ধন্যবাদ 🙏
ShebikAmit

একই মাসে দুইবার মা! বিরল শারীরিক অবস্থার কারণেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন আরিফা সুলতানা!ঘটনাটি ২০১৯ সালের। যশোরের ২০ বছর ব...
06/08/2025

একই মাসে দুইবার মা! বিরল শারীরিক অবস্থার কারণেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন আরিফা সুলতানা!

ঘটনাটি ২০১৯ সালের। যশোরের ২০ বছর বয়সী তরুণী আরিফা সুলতানা এমন এক বিরল চিকিৎসাজনিত ঘটনায় পড়েন, যা শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

সবকিছু স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জন্ম দেন একটি পুত্রসন্তানের। সন্তান জন্মের পর সবাই ভেবেছিল মা ও নবজাতক এখন বিশ্রামে যাবেন এক প্রশান্ত সময়ে। কিন্তু ২৬ দিন পেরোতেই আচমকা শুরু হয় তীব্র পেটব্যথা—আরও একবার প্রসববেদনা। পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে এমন এক সত্য জানতে পারেন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি—আরিফা আবারও মা হতে যাচ্ছেন! এবং এবার যমজ সন্তান—একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।

চিকিৎসকরা জানান, আরিফার শরীরে ছিল একটি 'দ্বৈত জরায়ু', যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় "Uterus Didelphys"—একটি অত্যন্ত বিরল শারীরবৃত্তিক অবস্থা। এই অবস্থায় নারীর শরীরে দুটি আলাদা জরায়ু গঠিত হয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ২,০০০ জন নারীর মধ্যে একজনের এমন জরায়ু থাকতে পারে। কিন্তু উভয় জরায়ুতে একই সময়ে গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে প্রায় ২৫,০০০ জনে একজনের ক্ষেত্রে।

আরিফা কখনো গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাননি, ফলে প্রথম সন্তানের জন্মের সময় দ্বিতীয় গর্ভের অস্তিত্ব জানা সম্ভব হয়নি। যখন দ্বিতীয়বার প্রসবব্যথা শুরু হয়, তখনই ধরা পড়ে দ্বিতীয় জরায়ুতে গর্ভধারণের বিষয়টি। এরপর সফল সিজারিয়ানের মাধ্যমে যমজ সন্তানের জন্ম হয়—কোনো জটিলতা ছাড়াই।

এই ঘটনা শুধু চিকিৎসাবিদ্যার চোখে বিস্ময়কর নয়, বরং এক প্রাকৃতিক অলৌকিকতার নিদর্শনও বটে। একই নারীর শরীরে, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে, দুটি আলাদা জরায়ু থেকে জন্ম নেয় তিনটি শিশু—এমন ঘটনা বিশ্বজুড়েই হাতে গোনা কয়েকটির মধ্যে একটি।

চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো চিকিৎসা না পেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত। কিন্তু ভাগ্যক্রমে মা ও তিন শিশুই সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, নারীর শরীর এক অভাবনীয় জটিলতা ও সম্ভাবনার আধার। আরিফা সুলতানার ঘটনাটি আজও চিকিৎসাশাস্ত্রে এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ হয়ে রয়েছে।

- সাইকোলজিক্যাল পাওয়ার

"২ বছরের বাচ্চা খেতে চায় না? বাইরের খাবারেই কি রুচির সর্বনাশ?"আপনার বাচ্চা খেতে চায় না? ২ বছরের শিশুর রুচি কমে গেছে?চিন্...
06/08/2025

"২ বছরের বাচ্চা খেতে চায় না? বাইরের খাবারেই কি রুচির সর্বনাশ?"

আপনার বাচ্চা খেতে চায় না? ২ বছরের শিশুর রুচি কমে গেছে?
চিন্তা না করে আগে কারণটা জানুন। বাইরের খাবার, প্রসেসড ফুড ও অন্যান্য ছোট ছোট ভুল আমাদের অজান্তেই শিশুর খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে।
এই ভিডিওতে জানুন:
👉 শিশুর রুচি কমে যাওয়ার আসল কারণ
👉 বাইরের খাবারের প্রভাব
👉 কী করবেন, কী করবেন না
👉 কবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

#শিশুররুচি
#ডাঃসজীব

#দুইবছরেরবাচ্চা

📍Dr. Akhter Uz Zaman Sajib
🕗 প্রতিদিন রাত ৮টা – ৯টা
🏥 খান ফার্মেসি, শিয়া মসজিদের ঢালে, মোহাম্মদীয়া হাউজিং, মিনাবাজারের বিপরীতে, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
📞 01987782653 (WhatsApp + Bkash)
🌐 অনলাইনে দেখানোর জন্য ইনবক্স করুন।

ইউটিউব লিংক -

আপনার বাচ্চা খেতে চায় না? ২ বছরের শিশুর রুচি কমে গেছে?চিন্তা না করে আগে কারণটা জানুন। বাইরের খাবার, প্রসেসড ফুড ও অন...

বয়স ভেদে বাচ্চাদের সাথে কেমন আচরণ করবেন।
05/08/2025

বয়স ভেদে বাচ্চাদের সাথে কেমন আচরণ করবেন।

সেই ৩ আগস্ট ২০২০ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল।এই ৫ বছরে আমাদের পরিণত ছোট্ট পরিবার। ❤️❤️❤️শুভ বিবাহ বার্ষিকী আমার প্রিয় সহ...
05/08/2025

সেই ৩ আগস্ট ২০২০ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল।
এই ৫ বছরে আমাদের পরিণত ছোট্ট পরিবার। ❤️❤️❤️
শুভ বিবাহ বার্ষিকী আমার প্রিয় সহধর্মিনী কে - Mahfuza Rahman

04/08/2025

লিঙ্গ উত্থাজনিত সমস্যা ও দ্রুত বীর্যপাত : লজ্জা নয়, চিকিৎসা নিন!

বাংলাদেশে অনেক পুরুষই ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশনের মতো সমস্যায় ভোগেন, কিন্তু লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।
এই ভিডিওতে জানুন এই সমস্যাগুলোর কারণ, সমাধান এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

#যৌনস্বাস্থ্য #ডাঃসজীব #পুরুষস্বাস্থ্য #চেম্বারমোহাম্মদপুর #গোপনসমস্যা

📍 চেম্বার:
Dr. Akhter Uz Zaman Sajib
প্রতিদিন রাত ৮টা – ৯টা
খান ফার্মেসি, শিয়া মসজিদের ঢালে, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড, মিনাবাজার এর বিপরীতে, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

মোবাইল -
01987782653
(হোয়াটস অ্যাপ+বিকাশ),

01670448812
(হোয়াটস অ্যাপ).

📞 যোগাযোগ করতে ইনবক্স করুন বা ফেসবুক পেজে (Dr. Akhter Uz Zaman Sajib) এ মেসেজ দিন।

ইউটিউব লিংক -
https://youtube.com/shorts/Z2YeGcgnl8I?si=U2iP1a5-T7w-DSsh

হার্টে ব্লক হয়েছিল...গিয়েছিলেন দেবি শেঠির কাছে। যদিও কথিত আছে ওনার টীম কেবল অপারেশন করেন, উনি করেন না। যা হোক অপারেশন হল...
03/08/2025

হার্টে ব্লক হয়েছিল...
গিয়েছিলেন দেবি শেঠির কাছে। যদিও কথিত আছে ওনার টীম কেবল অপারেশন করেন, উনি করেন না।
যা হোক অপারেশন হলো।
সফল অপারেশন। দেখতে দেখতে দেশে ফেরার সময় হয়ে গেল।সম্ভবত অপারেশন এর ৮ম দিন।।
এমন সময় পায়ে একটু ব্যথা, ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। দুই পায়েই। প্রথটায় কেউই পাত্তা দেননি। যখন দিলেন ততক্ষণে অনেক দেরি।
পায়ে সাডেন ব্লক হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।Acute Limb ischemia.
সিদ্ধান্ত দেয়া হলো, ডান পা হাটুর নিচে আর বাম পায়ের পাতার গোড়ালির সামনে থেকে কেটে ফেলতে হবে!
রোগীর মেয়ে নিজেও ডাক্তার। বিষয়টা মেনে নিতে পারলেন না। পারবেন কি করে! এসেছেন হার্টের বাইপাস করতে, এখন দুই পা হারানোর ঝুঁকি।
একটা কমপ্লেইন লিখে সরাসরি দেশে ফিরে এলেন।
দেশে ফিরে আমাদের আন্ডারে ভর্তি হলেন। মেডিকেল বোর্ড করলাম। চিকিৎসা শুরু হলো।
না...
পা আর কাটতে হয়নি। তবে পায়ের পাতার কিছু অংশ দু পাশেই হারাতে হয়েছে।
তবুও তিনি মহাখুশি। কারণ তার চাওয়া ছিল কষ্ট হলেও নিজের পায়ে হাটতে চান।
রোগীরা ব্যথা পায়, ডুকরে কাঁদে, নীরবে কাঁদে। আমার এই রোগীর কান্নার শব্দ শুনি নাই। নীরবে শুধু অশ্রু ঝরাতে দেখেছি।
দুটো পা হারাতে হবে এটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। কেউই পারা কথা না।
আজ এসেছিলেন প্রায় ৫ বছর পরে। নিজ পায়ে হেটে। সংগী এই বিশেষ জুতা। নিজের বিজনেস নিজেই দেখভাল করছেন। স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করছেন। এতেই যেন শান্তি তার।
গল্পটা আগেই লিখতে পারতাম। রোগী, রোগীর লোকের ভিডিও আগেই আপলোড করতে পারতাম। কিন্তু সাহস পাইনাই। সত্যি বলতে আগ্রহ পাইনি।
দেবি শেঠির কাছে বাইপাস অপারেশন করতে যেয়ে পা হারিয়ে এসেছেন এমন সংবাদ মার্কেট পাবেনা। মানুষ খাবেনা।
ভুল আমাদেরও হয়। হয় জটিলতা। তবে সবচেয়ে বেশি হয় সফলতা বা সাকসেস।
এই সাকসেস এর খবরগুলো এদেশে মার্কেট পায় না। যতটা মার্কেট পায় ভুল চিকিৎসার তকমা পাওয়া বেশিরভাগ জানা জটিলতাগুলো।
চিকিৎসা মানেই কেবল চিকিৎসক নয়। চিকিৎসক কেবল অন্যতম একটা উপাদান। প্রয়োজন দক্ষ নার্স থেকে শুরু করে সকল স্বাস্থ্য সেবক। সবার উপরে প্রয়োজন গুড গভার্নেস যেখানে স্বাস্থ্য খাত অগ্রাধিকার পাবে।
দেশের মানুষ দেশেই চিকিৎসা নিতে চায়। দেশি মুরগী, দেশী পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনে বেশি দামে নিতে চায়।
দরকার শুধু তাদের আস্থার জায়গাটা তৈরি করা। এই জায়গাটা তৈরি করতে আন্তরিকতার সাথে সকলের এগিয়ে আসা জরুরি।
শুধুমাত্র চিকিৎসকের উপর অঙ্গুলি তুলে নিজের দায় শোধ করা যায় না।

©️Dr. Saklayen Russel
(সংগৃহীত)

বিবাহিত জীবনে একজন পুরুষের চাওয়া-পাওয়া খুবজটিল কিছু নয়। অধিকাংশ সময়েই এগুলো মুখে আসেনা, বড় কোনো চাহিদার রূপ নেয় না...
03/08/2025

বিবাহিত জীবনে একজন পুরুষের চাওয়া-পাওয়া খুব
জটিল কিছু নয়। অধিকাংশ সময়েই এগুলো মুখে আসে
না, বড় কোনো চাহিদার রূপ নেয় না, কিন্তু ভেতরে জমে
থাকে গভীরভাবে। পুরুষের ভালোবাসা শব্দে প্রকাশ পায়
না, যেমন তার চাওয়াগুলোও আসে নিঃশব্দে—হৃদয়ের

ভেতর থেকে, ছোট ছোট মুহূর্তের মাধ্যমে। সমাজ, সংসার,
কর্মক্ষেত্র—সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে হাঁটা পুরুষটির কাছে
স্ত্রীর কাছ থেকে চাওয়াগুলো আসলে খুবই সূক্ষ্ম, কিন্তু
অসাধারণভাবে আবেগময়।
সে চায়, দিনের শেষে কেউ তার অপেক্ষায় থাকুক। অফিস
থেকে ফিরেই দরজা খুলে যেন একটা চেনা গন্ধে মাখামাখি
হয়ে উঠুক চারপাশ—সেই ঘ্রাণ হয়তো রান্নাঘর থেকে আসা
ভাতের গন্ধ, বা স্ত্রীর চুলে লেগে থাকা নারকেল তেলের
ঘ্রাণ। সে চায়, কেউ এক কাপ চা এগিয়ে দিক, কোনো কথা
না বলে পাশে বসে থাকুক, কেবল চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে
দিক—“আমি জানি তুমি ক্লান্ত।” পুরুষটি জানে, এই এক
কাপ চা-ই সারাদিনের সমস্ত ধকল ভুলিয়ে দিতে পারে।

পুরুষেরা চায় প্রশংসা, যদিও সেটা তারা মুখ ফুটে বলে
না। কিন্তু স্ত্রীর মুখে একটি ছোট্ট কথা—“তুমি কত কষ্ট
করো আমাদের জন্য”, অথবা “তুমি ছাড়া আমি এত কিছু
পারতাম না”—এই একবাক্যই তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস
ফিরিয়ে দেয়। কখনো কখনো স্ত্রী রেগে যায়, অভিমান
করে মুখ গোমড়া করে বসে থাকে। কিন্তু সেসব অভিমানেও
থাকে এক মিষ্টি প্রেম—একটা মুঠোফোনের বার্তায় লেখা
থাকে, “তাড়াতাড়ি বাসায় এসো, রাগ তো চা বানিয়ে
ঠান্ডা করে ফেলেছি।” এই অভিমান, এই মিষ্টতা, পুরুষটি
আজীবন লালন করে হৃদয়ের গভীরে।
সকালবেলা অফিসে বের হবার সময়ের মুহূর্তটাও তার খুব
প্রিয়। স্ত্রীটি এসে শার্টের কলার ঠিক করে দেয়, বোতাম
লাগিয়ে দেয় নিঃশব্দে। তার নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায় স্বামীর
গলার নিচে। সদ্যস্নাত চুলের গন্ধে মোহিত হয়ে পড়ে সে।
আর তখনই যেন অনুভব করে, এই ছোট্ট মুহূর্তে পৃথিবীর
সমস্ত প্রেম তার জীবনে একত্র হয়েছে। এ এক অনুপম
ছোঁয়া, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়।
আরো এক জিনিস পুরুষেরা চায়—ভরসা। এমন একজন
মানুষ, যার সামনে নিজের দুর্বলতাগুলো খুলে ধরতে পারে।
যে শুনবে, পাশে থাকবে, বিচার করবে না। স্রেফ বলবে
—“সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি।” এই "আমি আছি"
কথাটা পুরুষের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আশ্বাস। কারণ
বাইরে সে হয়তো শক্ত, সাহসী, দায়িত্ববান; কিন্তু ভেতরে সে
ঠিক একজন মানুষ, যে চায় একটু নির্ভরতা, একটু আশ্রয়।

লাশটা জাপানের স্টুডেন্ট আপনের,গত কয়েকদিন আগে ১৫ দিন  না খেতে পেয়েই মারা গেছে।সেই গল্পই বলবো  ৩ বছর আগে ইন্জিনিয়ারিং পড়ত...
01/08/2025

লাশটা জাপানের স্টুডেন্ট আপনের,গত কয়েকদিন আগে ১৫ দিন না খেতে পেয়েই মারা গেছে।সেই গল্পই বলবো ৩ বছর আগে ইন্জিনিয়ারিং পড়তে জাপানে যায় আপন। লেখাপড়া শেষ দিকে এগোচ্ছিলো কিন্তু শেষ দিকে University বেতন দিতে পারছিলেন না কারণ বাবা মাও টাকা দিচ্ছিলেন না । এরপর এভাবে ৩-৪ চললো আসতে আসতে বন্ধু সহপাঠীরাও দূরে সরে যাচ্ছিলো প্রতিবেশিরাও এগিয়ে আসেন নি শেষ মেষ গত ১১ জুন তার বাসার বিদ্যুৎ পানিও বন্ধ করে দেয় বাসার মালিক কারণ টাকা দিতে পারে নি। এভাবে সে বাসায় বন্ধি হয় বাইরে বের হতো না কারণ টাকা নেই। সীম কার্ড এর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া যোগাযোগ বন্ধ। এরপর আশেপাশের মানুষ রা চিন্তায় বন্ধুরাও তার খোজ পাচ্ছে না। আশেপাশের মানুষ তার বিষয় জানতো তাই রেগুলার কেউ না কেউ খাবার দিয়ে গেছে দরজার সামনে কিন্তু ততক্ষণে আপন পৃথিবীতে নেই। কিন্তু তার এক বন্ধু সিদ্ধান্ত নেয় গত ২৯ জুন রবিবার ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ডাকবে।
এরপর ২৯ জুন সকালে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয় ১৮ দিন একটা ছেলে না খেয়ে মারা গেলো মানুষ খোজও নিলো না বন্ধু পরিবার. উন্নত রাষ্ট্রের আড়ালে জাপানের এই কর্ম কান্ড দেখে হতাশ । তার লাশ খুব শিগগিরই দে-শ আসবে । ঘটনা টা সারাজীবন মনে থাকবে
ফেসবুকে এক ভাইয়ের পোস্ট।

তিনটি ষাঁড় ছিল – সাদা, কালো এবং লাল। তারা সারাদিন একসাথে থাকত, জঙ্গলে চড়ে বেড়াত। একদিন সিংহ কালো ও লাল ষাঁড়কে ডেকে বলল...
01/08/2025

তিনটি ষাঁড় ছিল – সাদা, কালো এবং লাল। তারা সারাদিন একসাথে থাকত, জঙ্গলে চড়ে বেড়াত। একদিন সিংহ কালো ও লাল ষাঁড়কে ডেকে বলল, "তোমরা যদি আমাকে সাদা ষাঁড়টিকে খেতে বাধা না দাও, তাহলে আমি তোমাদের কোনো ক্ষতি করব না।"

ষাঁড় দুটি স্বার্থপরের মতো সিংহের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল। তখন সিংহ নির্বিঘ্নে সাদা ষাঁড়টিকে খেয়ে ফেলল।

কিছুদিন পর সিংহ ফিরে এসে কালো ষাঁড়কে বলল, "যদি লাল ষাঁড়টিকে খেতে বাধা না দাও, তাহলে তোমার কোনো ক্ষতি করব না।" কালো ষাঁড়টি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইল, যখন তার দ্বিতীয় সঙ্গীকে সিংহ খাচ্ছিল।

সর্বশেষ যখন আরেকদিন সিংহ ফিরে এলো, তখন তাকে প্রতিরোধ করার মতো আর কেউ ছিল না৷ নিজের ভুল বুঝতে পেরে কালো ষাঁড় তখন আপন মনে বলেছিল, "আমাকে তো সেদিনই খেয়ে ফেলা হয়েছিল, যেদিন সাদা ষাঁড়টিকে খাওয়া হয়!"

শিক্ষা: বন্ধুর বিপদে পাশে না দাঁড়ালে আপনার পরিণতি হবে বন্ধুর চেয়েও ভয়াবহ।

Address

বেড়িঁ বাঁধ ৪ রাস্তার মোড়, মোহাম্মদপুর বসিলা রোড।
Muhammadpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Akhter Uz Zaman Sajib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Akhter Uz Zaman Sajib:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram