Dr. Kanak Jyoti Mondal

Dr. Kanak Jyoti Mondal MBBS, BCS(Health), MS(Biotechnology and Genetic Engineering), MRCP(UK), FCPS(Medicine),MD(Cardiology)
(1)

ফ্যাটি লিভার কি আসলেই ভালো হয়? সত্যটা জানুন – দেরি না করে এখনই নিজেকে বদলান!!! প্রতিদিনই কেউ না কেউ আল্ট্রাসোনোগ্রাফির র...
11/07/2025

ফ্যাটি লিভার কি আসলেই ভালো হয়? সত্যটা জানুন – দেরি না করে এখনই নিজেকে বদলান!!!

প্রতিদিনই কেউ না কেউ আল্ট্রাসোনোগ্রাফির রিপোর্ট হাতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে বলেন—
“ডাক্তার সাহেব, রিপোর্টে লেখা আছে ফ্যাটি লিভার। এটা কি ভালো হবে?”
এই প্রশ্নটা প্রতিদিন শত শত রোগী জিজ্ঞেস করছেন। আর উত্তর হচ্ছে—হ্যাঁ, ফ্যাটি লিভার ঠিক করা সম্ভব!

ফ্যাটি লিভার কী?
ফ্যাটি লিভার হলো আপনার লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়া। একটা সুস্থ লিভারে স্বাভাবিকভাবে ৫% পর্যন্ত চর্বি থাকতে পারে। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের চেয়ে বেশি চর্বি জমে, তখন সেটা ফ্যাটি লিভার হয়।

বাংলাদেশে কতটা ভয়াবহ এই রোগ?
বাংলাদেশে প্রতি ৩ জনে ১ জন মানুষের লিভারে চর্বি জমে আছে। শহরে এ হার ৪০% পর্যন্ত।
এর পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো—
অস্বাস্থ্যকর খাবার
মোটা হয়ে যাওয়া
একটানা বসে কাজ করা
ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়
ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল

ফ্যাটি লিভার কেন বিপজ্জনক?
শুরুতে লক্ষণ না থাকায় রোগীরা ভাবেন—এতে কিছুই হয় না।
কিন্তু সত্য হলো:
২০–৩০% রোগীর লিভারে Inflammationশুরু হয় (NASH)
তার মধ্যে ২০–২৫% মানুষের Cirrhosis হয়
Cirrhosis মানে লিভার ধ্বংস হয়ে যাওয়া—এটি permanent
শেষমেশ লিভার ক্যান্সার বা লিভার ফেইলিওর পর্যন্ত গড়াতে পারে

তবে এখানেই আশার কথা যে ফ্যাটি লিভার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে পুরোপুরি ভালো হয়ে যেতে পারে!

ফ্যাটি লিভার দুই অবস্থায় থাকে:
Reversible (বদলানো যায়):
NAFL (Simple fatty liver): এ অবস্থায় শুধুমাত্র চর্বি জমে, কোন ক্ষতি হয় না। এই সময় দ্রুত পদক্ষেপ নিলে চর্বি গলে যায়, লিভার আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫% পর্যন্ত!

Irreversible (বদলানো যায় না): যদি আপনি কিছুই না করেন, ফ্যাটি লিভার থেকে Cirrhosis হয়ে যায়। Cirrhosis মানে লিভার permanently damaged. এ অবস্থায় কেবল নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ভালো করা যায় না।

ফ্যাটি লিভার Reverse করার ৮টি কার্যকর উপায়
1. ওজন কমানো – প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
Goal: সার্বিক ওজনের ৭–১০% কমানো
প্রতিদিন ৩০–৪৫ মিনিট হাঁটুন
BMI ২৫ এর নিচে রাখুন

2. ডায়েট পরিবর্তন
বর্জন করুন: চিনি, সফট ড্রিংক, চিপস, পিজ্জা, ভাজা খাবার, প্রসেসড ফুড
গ্রহণ করুন: শাকসবজি, ফলমূল (কম মিষ্টি), বাদাম, ওটস, ব্রাউন রাইস, মাছ

3. মদ্যপান পুরোপুরি বন্ধ করুন
যেকোনো লিভার রোগে অ্যালকোহল ভয়ংকর ক্ষতিকর

4. ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
প্রতিদিন রক্তে glucoseও লিপিড নিয়ন্ত্রণ করুন
ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ চালিয়ে যান

5. স্ট্রেস কমানো
অতিরিক্ত মানসিক চাপ লিভার ফাংশনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
মেডিটেশন, সঙ্গীত, বই পড়া উপকারী

6. পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার মেটাবলিজম ঠিক রাখে

7. পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরের টক্সিন পরিষ্কারে সাহায্য করে

8. কফি খাওয়ার সুবিধা
গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ২–৩ কাপ ব্ল্যাক কফি (চিনি ছাড়া) ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে

সময় কত লাগবে ?
প্রথম ৬ মাসে সঠিক নিয়মে চললে অর্ধেক রোগীর চর্বি হ্রাস পায়
১ বছর পরে সম্পূর্ণ লিভার নরমাল হয়ে যেতে পারে

সুস্থ লিভারের জন্য সচেতন হোন এখনই! ফ্যাটি লিভার আসলেই Reversible রোগ—যদি আপনি সময়মতো ধরতে পারেন এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনেন।
ডায়েট, ওজন, হাঁটা, ঘুম—সব মিলিয়ে আপনার হাতেই আপনার লিভারের চাবিকাঠি।
゚viralシ

Liver  সুস্থ রাখতে  এই খাবারগুলো রোজ খান!আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  অঙ্গের একটি হলো লিভার বা যকৃত। এটি শরীরের প্...
10/07/2025

Liver সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো রোজ খান!

আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি হলো লিভার বা যকৃত। এটি শরীরের প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে, প্রতিদিন আমাদের রক্ত থেকে হাজারো বিষাক্ত উপাদান ছেঁকে ফেলে।
তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, অধিকাংশ মানুষ লিভারকে যত্ন করার কথা একেবারেই ভাবেন না—যতক্ষণ না এটি বিকল হতে শুরু করে! বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস, সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার—এই সব রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই প্রয়োজন সচেতনতা।এবং এই সচেতনতার শুরু হোক আপনার প্লেট থেকে!

লিভারের প্রধান কাজগুলো:
রক্ত পরিষ্কার করা
হজমে সহায়তা
চর্বি ও শর্করার বিপাক
প্রোটিন synthesis
ওষুধ ও টক্সিন নিষ্ক্রিয় করা
সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা
ভিটামিন ও খনিজ storage.

তাই যদি লিভার খারাপ হয়ে যায়, আপনার পুরো শরীরই সমস্যায় পড়বে।

লিভার ভালো রাখতে প্রয়োজন খাবারের পরিবর্তন। খাবারই লিভার সুস্থ রাখার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আপনি যদি প্রতিদিন সঠিক খাবার খান, তবে আপনার লিভার নিজে থেকেই নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবে।
লিভার বান্ধব সেই খাবারগুলোর তালিকা ও গুণাগুণ:

১. সবুজ শাকসবজি (Leafy Greens)
যেমন:
পালংশাক
মুলাশাক
কলমিশাক
মেথি
বাঁধাকপি
ব্রকোলি

কেন উপকারী:
সবুজ শাকে থাকে উচ্চমাত্রার antioxidants, fiber, chlorophyll এবং glucosinolates, যা লিভার থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

🔹 শাকসবজি চর্বি জমা প্রতিরোধ করে
🔹 NAFLD রোগীদের জন্য দারুণ কার্যকর
🔹 ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়

দৈনিক অন্তত ১ বাটি রান্না করা সবজি রাখুন খাবারে।

২. রসুন (Garlic)
🔬 রসুনে থাকে Allicin ও Selenium, যা লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়া শক্তিশালী করে।

🔹 রসুন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়
🔹 ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে
🔹 রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
প্রতিদিন সকালে ১–২ কোয়া কাঁচা রসুন খেলে উপকার পাবেন (ডাক্তারের পরামর্শে)।

☕ কফি (চিনি ছাড়া)
বিশ্বজুড়ে গবেষণায় দেখা গেছে, কফি লিভার ফাইব্রোসিস, সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কফিতে থাকে polyphenols ও diterpenes, যা লিভারের প্রদাহ কমায়।
প্রতিদিন ১–২ কাপ ব্ল্যাক কফি উপকারী (চিনি ছাড়া)।

৪. লেবু ও লেবু পানি (Lemon and Lemon Water)
লেবুতে থাকে Vitamin C, যা লিভার এনজাইমকে সক্রিয় করে।
🔹 এটি টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে
🔹 লিভারের ক্ষতিকর রেডিক্যাল দূর করে
🔹 Bile উৎপাদন বাড়ায়

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা লেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।

৫. বেরি জাতীয় ফল (Berries)
যেমন:
ব্লুবেরি
স্ট্রবেরি
ব্ল্যাকবেরি
এই ফলগুলোতে থাকে anthocyanins, যা লিভারের কোষকে রক্ষা করে।

🔹 ফ্যাটি লিভার রোগে বিশেষ উপকারী
🔹 Inflammation কমায়
🔹 লিভার fibrosis প্রতিরোধ করে

সপ্তাহে ২–৩ বার বেরি জাতীয় ফল খাওয়া ভালো।

৬. ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ (Omega-3 Rich Fish)
যেমন:

সার্ডিন
ম্যাকেরেল
স্যামন
টুনা

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।

🔹 ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়
🔹 Inflammation হ্রাস করে
🔹 ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়

👉 সপ্তাহে ২ দিন এই মাছগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৭. মিষ্টি আলু (Sweet Potato)
🔬 এতে রয়েছে beta-carotene ও fiber, যা লিভার বান্ধব।

🔹 রক্তে glucose নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
🔹 ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কার্যকর

সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো, ভাজা নয়।

৮. বাদাম ও বীজ (Nuts & Seeds)
যেমন:
আখরোট
আমন্ড
চিয়া সিড
ফ্ল্যাক্স সিড
সূর্যমুখীর বীজ

এদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর vitamin E, omega-3, polyunsaturated fats।

🔹 ফ্যাটি লিভার ও প্রদাহ কমায়
🔹 লিভার এনজাইম ঠিক রাখতে সহায়তা করে
দৈনিক ১ মুঠ বাদাম খেতে পারেন।

৯. অ্যাভোকাডো (Avocado)
এতে রয়েছে glutathione, যা লিভার থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

🔹 ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়
🔹 ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সহায়ক

তবে পরিমাণে কম খেতে হবে, কারণ এতে ফ্যাট বেশি।

১০. হলুদ ও আদা (Turmeric & Ginger)
হলুদে থাকে curcumin, যা লিভার ডিটক্সে সাহায্য করে। আদাতে থাকে gingerol, যা প্রদাহ হ্রাস করে।

🔹 লিভারের প্রতিরক্ষায় কার্যকর
🔹 হজম শক্তি বাড়ায়
🔹 ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে

হলুদ ও আদা দিয়ে রান্না করুন, অথবা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

১১. হোল গ্রেইন (Whole Grains)
যেমন:
ওটস
ব্রাউন রাইস
লাল আটার রুটি

🔹 ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
🔹 রক্তে চিনি কমায়
🔹 ফ্যাট জমা কমায়

প্রতিদিন অন্তত ১ বেলার খাবারে হোল গ্রেইন রাখুন।

১২. গ্রিন টি (Green Tea)
গ্রিন টিতে রয়েছে catechins, যা লিভার ফ্যাট কমায় এবং কোষ রক্ষা করে।

🔹 ফ্যাটি লিভারে অত্যন্ত কার্যকর
🔹 ওজন কমাতে সহায়ক

দিনে ১–২ কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করুন।

১৩. পেঁপে, আপেল ও ডালিম (Papaya, Apple & Pomegranate)
🔹 পেঁপে হজমে সহায়ক
🔹 আপেলের pectin লিভারের বর্জ্য দূর করতে সহায়তা করে
🔹 ডালিমে antioxidants যা কোষ রক্ষা করে

প্রতিদিন ফল খান। ফল জুস নয়, আসল ফল।

লিভারের জন্য ক্ষতিকর খাবার (যা এড়িয়ে চলবেন):
🚫 অতিরিক্ত তেল/চর্বি
🚫 ফাস্ট ফুড, বার্গার, পিজা
🚫 মিষ্টি জাতীয় খাবার, সফট ড্রিংকস
🚫 অতিরিক্ত লবণ
🚫 প্রসেসড মাংস (সসেজ, স্যালামি)
🚫 অ্যালকোহল
🚫 ওষুধের অপব্যবহার (পেইন কিলার, স্টেরয়েড)

জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনুন:
✔️ প্রতিদিন ব্যায়াম করুন (৩০ মিনিট)
✔️ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
✔️ পর্যাপ্ত পানি পান করুন
✔️ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
✔️ রাত জেগে থাকা এড়িয়ে চলুন
✔️ স্ট্রেস কমান

🔚 উপসংহার:
লিভার ভালো থাকলে পুরো শরীর ভালো থাকবে।লিভার রোগ নীরবে আসে, কিন্তু ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই এখনই সচেতন হোন।

আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ২–৩টি লিভারবান্ধব খাবার যোগ করুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও চিকিৎসকের পরামর্শ—এই তিনেই লুকিয়ে আছে একটি সুস্থ লিভার এবং দীর্ঘ জীবন।
#লিভারবান্ধব_খাবার ゚viralシ

নবজাতকের Jaundice – কখন স্বাভাবিক, কখন বিপদের ইঙ্গিত?প্রতি বছর লাখ লাখ শিশু জন্মের পরপরই মুখে হলুদ রঙ নিয়ে পৃথিবীতে আসে।...
09/07/2025

নবজাতকের Jaundice – কখন স্বাভাবিক, কখন বিপদের ইঙ্গিত?

প্রতি বছর লাখ লাখ শিশু জন্মের পরপরই মুখে হলুদ রঙ নিয়ে পৃথিবীতে আসে। অনেক মা-বাবা প্রথমে ভয় পেয়ে যান – “বাচ্চার চোখ-মুখ তো হলুদ! এটা কি jaundice?” হ্যাঁ, এটি জন্ডিস – তবে সব সময় ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

নবজাতকের জন্ডিস কতটা common?
নবজাতকের জন্ডিস বেশ common একটি condition। পরিসংখ্যান বলছে:
সম্পূর্ণ মেয়াদে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের প্রায় ৬০%-এর এবং
অকাল (preterm) নবজাতকদের প্রায় ৮০%-এর মধ্যে জন্মের প্রথম ১ সপ্তাহে কোনো না কোনো পর্যায়ের জন্ডিস দেখা যায়।

এটি সাধারণত জন্মের ২য় বা ৩য় দিন শুরু হয়, ৪-৫ দিনের মাথায় সবচেয়ে বেশি হয় এবং ৭–১০ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই কমে যায়।

তবে সব ক্ষেত্রেই যে এটি স্বাভাবিক, তা নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি জটিলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

নবজাতকের জন্ডিস কীভাবে হয়?
যখন রক্তে বিলিরুবিন নামক একটি পদার্থ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখনই জন্ডিস হয়। বিলিরুবিন হলো এক ধরণের হলুদ pigment, যা রক্তের লাল কণিকা ভেঙে গেলে তৈরি হয়। এটি স্বাভাবিকভাবে লিভার দ্বারা প্রক্রিয়াজাত হয়ে মল-মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু নবজাতকের লিভার এখনো পুরোপুরি পরিপক্ব নয়, ফলে সে এই বিলিরুবিন ঠিকমতো বের করতে পারে না। তাই তা রক্তে জমে গিয়ে চোখ, মুখ ও ত্বকে হলুদ রঙ দেখা দেয়।

নবজাতকের জন্ডিসের কারণসমূহ
1.Physiological Jaundice:
এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়
জন্মের ২–৩ দিনের মধ্যে শুরু হয়
সাধারণত ১ সপ্তাহের মধ্যে কমে যায়
কোনো চিকিৎসা না করলেও সেরে যায়

2.Pathological Jaundice:
যখন জন্ডিস স্বাভাবিক সময়ের বাইরে হয়, মাত্রা বেশি থাকে, বা ২ সপ্তাহ পরেও থাকে, তখন এটি অসুবিধাজনক বা বিপজ্জনক হতে পারে।সম্ভাব্য কারণ:

অপরিপক্বতা (Prematurity): লিভার বেশি অপরিণত থাকে
রক্তের গ্রুপের অমিল (ABO or Rh incompatibility): মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপে মিল না থাকলে রক্তকণিকা ভেঙে যায়
জন্মগত infection (Congenital infection)
লিভারের রোগ বা এনজাইমের সমস্যা
মূত্র/মলের নির্গমন কম হওয়া: বাচ্চা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রস্রাব ও পায়খানা না করে, বিলিরুবিন জমে যেতে পারে

কোন লক্ষণগুলোতে সতর্ক হবেন?
১. মুখ, চোখ, বুক ও পেটে হলুদ ভাব
২. বাচ্চা কুঁকড়ে থাকে, অতিরিক্ত ঘুমায়, দুধ খেতে চায় না
৩. বাচ্চা চোষে না, কেঁদে উঠে না বা বেশি নিস্তেজ থাকে
৪. জন্মের প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জন্ডিস দেখা যায়
৫. জন্ডিস বুকের নিচে বা পায়ে পর্যন্ত ছড়ায়
৬. মল সাদা বা ধূসর, প্রস্রাব গাঢ় হলুদ
৭. জন্ডিস জন্মের ২ সপ্তাহ পরেও রয়ে যায়
৮. খিঁচুনি বা হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া

এইসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সব নবজাতকের জন্ডিসে চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। তবে বিলিরুবিন মাত্রা বেশি হলে চিকিৎসা অবশ্যই জরুরি।
সানলাইট থেরাপি (Sunlight Therapy):
এই পদ্ধতিটি এখনো গ্রামবাংলায় অনেক ব্যবহার হয়, তবে সতর্কভাবে করতে হয়।
কীভাবে করবেন:

সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত নরম রোদে বাচ্চার জামাকাপড় খুলে পরিষ্কার চাদরের ওপর রাখতে হবে। প্রতি ১৫ মিনিটে বাচ্চাকে পিঠ ও পেট উল্টে দিতে হবে, চোখে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। দিনে ৩০–৪৫ মিনিট যথেষ্ট। সরাসরি তীব্র রোদে রাখা যাবে না এবং ️ শীত বা গরমে বাচ্চা ঠাণ্ডা/গরমে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

জন্ডিসের complication কী হতে পারে?
যদি চিকিৎসা না করা হয় বা দেরি হয়, তাহলে বিলিরুবিন মস্তিষ্কে জমে গিয়ে "Kernicterus" নামে এক ভয়ানক অবস্থা তৈরি করতে পারে।
Kernicterus-এ যা হতে পারে:
খিঁচুনি
মানসিক বিকাশে সমস্যা
শ্রবণশক্তি হ্রাস
পক্ষাঘাত
চিরজীবনের জন্য মস্তিষ্কের ক্ষতি

এজন্যই চিকিৎসা বিলম্ব না করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কখন হাসপাতালে যাবেন?
🔴 জন্ডিস জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হলে
🔴 বাচ্চা খুব নিস্তেজ বা দুধ খেতে চায় না
🔴 জন্ডিস পায়ে পর্যন্ত ছড়ায়
🔴 জন্ডিস ২ সপ্তাহ পার হয়ে গেছে
🔴 খিঁচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে
🔴 কোনো ঘরোয়া চিকিৎসায় ভালো না হলে

নবজাতকের জন্ডিস – অধিকাংশ সময় normal। তবে কিছু সময় এটি বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে। তাই জন্ডিস হলেই ভয় পাবেন না, তবে বিলম্ব করবেন না।

এই পোস্টটি সকল নতুন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানু-নানির সঙ্গে শেয়ার করুন – তাদের জ্ঞানের একটি হাতিয়ার হতে পারে।

09/07/2025

Singapore এর light and water show - "Wings of Time"

Singapore গেলে যেটা miss করবেন না

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Saiful Islam Babu, Rokia Begom, Hamida Hamu, Milon Khan
09/07/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Saiful Islam Babu, Rokia Begom, Hamida Hamu, Milon Khan

Depression একটি  নীরব ঘাতক বিষণ্ণতা বা Depression একটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা শুধু দুঃখ বা খারাপ লাগার অনুভূতি ...
08/07/2025

Depression একটি নীরব ঘাতক

বিষণ্ণতা বা Depression একটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা শুধু দুঃখ বা খারাপ লাগার অনুভূতি নয়। এটি একটি serious medical condition যা মানুষের চিন্তা, অনুভূতি ও দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণ ও মধ্যবয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

বিষণ্ণতার প্রাদুর্ভাব
বিষণ্ণতা বিশ্বব্যাপী একটি common মানসিক রোগ। WHO-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ২০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ১ জন বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। নারীদের মধ্যে বিষণ্ণতার হার পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশে প্রায় ৪.৬% মানুষ ডিপ্রেশন বা উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছে (জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ২০১৯)। বিষণ্ণতার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে, যা ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ।

কেন বিষণ্ণতা বাড়ছে?

নগরায়ণ ও একাকীত্ব
অর্থনৈতিক চাপ ও বেকারত্ব
সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা
ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার ও সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব

বিষণ্ণতা কেন হয়?
বিষণ্ণতা শুধু মনোরোগ নয়, এর শারীরিক ভিত্তিও আছে। মস্তিষ্কের কেমিক্যাল ইমব্যালান্স, জিনগত প্রবণতা ও পরিবেশগত কারণ একত্রে কাজ করে। সেরোটোনিন, নোরেপিনেফ্রিন ও ডোপামিনের অভাব: এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলো মুড রেগুলেশন করে। এর ঘাটতি হলে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেসে মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসের ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্মৃতি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে।

বিষণ্ণতার কারণ কি?
বিষণ্ণতা একক কোনো কারণে হয় না, বরং জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক কারণের সমন্বয়ে তৈরি হয়।

জৈবিক কারণ:
জিনেটিক্স: পরিবারে বিষণ্ণতার ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
হরমোনের পরিবর্তন: প্রেগন্যান্সি, মেনোপজ বা থাইরয়েড সমস্যা ডিপ্রেশন ট্রিগার করতে পারে।
মস্তিষ্কের গঠন: প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স ও অ্যামিগডালার কার্যকারিতায় পরিবর্তন।

মনস্তাত্ত্বিক কারণ:
ট্রমা বা শৈশবের নির্যাতন
দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস
নেতিবাচক চিন্তার প্যাটার্ন

সামাজিক ও পরিবেশগত কারণ:
সম্পর্কের সমস্যা বা ডিভোর্স
আর্থিক সংকট
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

বিষণ্ণতার লক্ষণ কি কি??
বিষণ্ণতা শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রকাশ পায়।

মানসিক লক্ষণ:
প্রায়ই দুঃখবোধ বা খালি মনে হওয়া
আগে যা enjoy করতেন, তাতে আগ্রহ হারানো
অপরাধবোধ বা অসহায়ত্বের অনুভূতি
মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা
মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা

শারীরিক লক্ষণ:
ক্লান্তি ও শক্তির অভাব
ঘুমের সমস্যা (অতিরিক্ত ঘুম বা অনিদ্রা)
ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস
মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা

⚠️যদি এই লক্ষণগুলো টানা ২ সপ্তাহ বা তার বেশি থাকে, তাহলে ডাক্তারের সাহায্য নিন।

ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বিষণ্ণতার প্রভাব
বিষণ্ণতা শুধু ব্যক্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, তার পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও সমাজেও প্রভাব ফেলে।

ব্যক্তিগত জীবন:
কাজে productivity কমে যায়
সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়ে
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অনীহা
মাদকাসক্তি বা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ

সামাজিক প্রভাব:
পরিবারে অশান্তি
কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি বা দক্ষতা হ্রাস
আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি

বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায়
বিষণ্ণতা চিকিৎসাযোগ্য। সাহায্য নিলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।
চিকিৎসা পদ্ধতি:
সাইকোথেরাপি
ওষুধ (এন্টিডিপ্রেসেন্টস)
লাইফস্টাইল পরিবর্তন: ব্যায়াম, ধ্যান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

আপনি কীভাবে সাহায্য করতে পারেন?
প্রিয়জনকে শুনুন, Judge করবেন না
Professional help নিতে উৎসাহিত করুন
Positive পরিবেশ তৈরি করুন

বিষণ্ণতা কোনো দুর্বলতার লক্ষণ নয়। এটি একটি রোগ, যার চিকিৎসা আছে। লজ্জা বা ভয় কাটিয়ে উঠুন, সাহায্য নিন।

"আপনি একা নন, সাহায্য পাওয়া সম্ভব।"



সবাইকে শেয়ার করার অনুরোধ রইল—একটি শেয়ার অনেক জীবন বাঁচাতে পারে।

সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, তিলের তেল, ঘি, মার্জারিন – কোনটা খাবেন?রান্নার তেল আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্...
07/07/2025

সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, তিলের তেল, ঘি, মার্জারিন – কোনটা খাবেন?

রান্নার তেল আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু কোন তেল সবচেয়ে ভালো? সয়াবিন তেল নাকি সরিষার তেল? ঘি নাকি মার্জারিন?

১. বিভিন্ন তেলের প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য

(ক) সয়াবিন তেল (Soybean Oil)

সয়াবিন তেল উদ্ভিজ্জ তেলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (PUFA) যেমন ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ, তবে ওমেগা-৩ খুব কম থাকে।

স্মোক পয়েন্ট: ~230°C (রিফাইন্ড)
ট্রান্স ফ্যাট: কম, তবে উচ্চ তাপমাত্রায় বারবার ব্যবহার করলে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়।
হজমশক্তি: সহজে হজম হয়, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
লিপিড প্রোফাইল: LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) কমায়, কিন্তু অতিরিক্ত ওমেগা-৬ ইনফ্লামেশন বাড়াতে পারে।

(খ) সরিষার তেল (Mustard Oil)

বাংলাদেশ ও ভারতে সরিষার তেলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এটি মনোআনস্যাচুরেটেড (MUFA) ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (PUFA) সমৃদ্ধ।

স্মোক পয়েন্ট: ~250°C (অনরিফাইন্ড)
ট্রান্স ফ্যাট: প্রাকৃতিকভাবে শূন্য, তবে ভাজার সময় তৈরি হতে পারে।
হজমশক্তি: হজমে সহায়ক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।
লিপিড প্রোফাইল: HDL (ভালো কোলেস্টেরল) বাড়ায়, LDL কমায়।

(গ) তিলের তেল (Sesame Oil)

এটি উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তেল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

স্মোক পয়েন্ট: ~210°C (অনরিফাইন্ড), ~230°C (রিফাইন্ড)
ট্রান্স ফ্যাট: কম, তবে গরম করলে কিছুটা তৈরি হয়।
হজমশক্তি: হজমে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
লিপিড প্রোফাইল: LDL কমায়, হার্টের জন্য ভালো।

(ঘ) ঘি (Ghee)

ঘি স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, তবে এতে বিউটিরিক অ্যাসিড রয়েছে যা গাট হেলথের জন্য ভালো।

স্মোক পয়েন্ট: ~250°C
ট্রান্স ফ্যাট: প্রাকৃতিকভাবে নেই, তবে অতিরিক্ত গরম করলে ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়।
হজমশক্তি: হজমশক্তি বাড়ায়, আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়।
লিপিড প্রোফাইল: HDL বাড়ায়, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে LDL বাড়তে পারে।

(ঙ) মার্জারিন (Margarine)

এটি একটি প্রক্রিয়াজাত উদ্ভিজ্জ তেল, হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাট থাকতে পারে।

স্মোক পয়েন্ট: ~150-170°C (প্রকারভেদে)
ট্রান্স ফ্যাট: উচ্চমাত্রায় থাকতে পারে (হাইড্রোজেনেটেড হলে)।
হজমশক্তি: হজমে সমস্যা করতে পারে, প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করে।
লিপিড প্রোফাইল: LDL বাড়ায়, হার্টের জন্য ক্ষতিকর।

২. স্মোক পয়েন্ট (ধোঁয়া উঠার তাপমাত্রা) কেন গুরুত্বপূর্ণ?

রান্নার সময় তেলের স্মোক পয়েন্টের চেয়ে বেশি তাপ দিলে ক্ষতিকর যৌগ (অ্যাক্রোলেইন, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন) তৈরি হয়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

উচ্চ স্মোক পয়েন্ট তেল (ঘি, সরিষার তেল): ডিপ ফ্রাইং ও উচ্চতাপে রান্নার জন্য ভালো।
মধ্যম স্মোক পয়েন্ট তেল (সয়াবিন, তিলের তেল): সাধারণ রান্নার জন্য উপযুক্ত।
নিম্ন স্মোক পয়েন্ট তেল (অলিভ অয়েল এক্সট্রা ভার্জিন, মার্জারিন): সালাদ বা লো-হিট রান্নার জন্য ভালো।
৩. ট্রান্স ফ্যাটের প্রভাব

ট্রান্স ফ্যাট হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি LDL বাড়ায় ও HDL কমায়। মার্জারিন ও হাইড্রোজেনেটেড তেলে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে। প্রাকৃতিক তেলে সাধারণত ট্রান্স ফ্যাট নেই, তবে বারবার গরম করলে তৈরি হয়।

৪. হজমশক্তির উপর প্রভাব

ঘি ও সরিষার তেল: হজমে সহায়ক, গ্যাস্ট্রিক কমায়।
সয়াবিন ও তিলের তেল: সাধারণত হজম হয়, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে।
মার্জারিন: হজমে বাধা দেয়, গাট ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতি করে।
৫. লিপিড প্রোফাইল ও হার্ট হেলথ

HDL (ভালো কোলেস্টেরল): ঘি, সরিষার তেল, তিলের তেল HDL বাড়ায়।
LDL (খারাপ কোলেস্টেরল): মার্জারিন ও রিফাইন্ড তেল LDL বাড়ায়।
ট্রাইগ্লিসারাইড: অতিরিক্ত তেল ব্যবহার ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায়।
৬. কোন তেল কখন ব্যবহার করবেন?

ডিপ ফ্রাইং: ঘি বা সরিষার তেল (উচ্চ স্মোক পয়েন্ট)।
সাধারণ রান্না: সয়াবিন বা তিলের তেল।
সালাদ বা লো-হিট: অলিভ অয়েল বা ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল।
এড়িয়ে চলুন: মার্জারিন ও হাইড্রোজেনেটেড তেল।

সবচেয়ে ভালো হয় বিভিন্ন তেল পালা করে ব্যবহার করা। সরিষার তেল ও ঘি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে পরিমিত পরিমাণে। মার্জারিন ও প্রক্রিয়াজাত তেল এড়িয়ে চলুন।

সুস্থ থাকুন, সচেতন হোন!

゚viralシ

যারা weight loss করতে চান Intermittent fasting নিয়ে লেখাটা পড়তে পারেন ।
06/07/2025

যারা weight loss করতে চান Intermittent fasting নিয়ে লেখাটা পড়তে পারেন ।

Intermittent fasting নিয়ে এতো আলোচনা কেন???

Twitter ( now X) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বিখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, Jack Dorsey এর মতে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং তার শরীর ও মনের উপর positive impact ফেলেছে। এটা তাকে আরও ফোকাসড এবং উদ্যমী করে তুলেছে। তাহলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আসলে কী? এবং কেন এর এত জনপ্রিয়তা?

Intermittent fasting (ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং) কী?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল খাওয়ার সময়কে সীমিত করে দেওয়া। সহজভাবে বলতে গেলে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার খাওয়া এবং বাকি সময় উপবাস থাকা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খেতে পারবেন, এবং তারপরে বাকি সময় উপবাসে থাকতে হবে। আবার অনেকে ১৬ ঘণ্টা উপবাস রেখে বাকি ৮ ঘণ্টা খেয়ে থাকেন।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কেন করবেন?
১. ওজন কমানো সহজ করে
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার সময় আপনার শরীর চর্বি পোড়াতে শুরু করে, কারণ আপনার শরীরে কম খাবার প্রবেশ করে। ফলে ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকরী হতে পারে।

২. ইনসুলিন sensitivity বাড়ায়
যারা ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন resistance জনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ভালো হতে পারে। উপবাস থাকার সময় আপনার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা কমে, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আসে।

৩. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
Fasting এর সময়ে আপনার মস্তিষ্কে নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টরের মাত্রা বাড়ে, যা স্মৃতিশক্তি এবং ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে। জ্যাক ডরসির মতে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং তাকে আরও সৃজনশীল ও মনোযোগী করে তুলেছে।

৪. হার্টের জন্য ভালো
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৫. জীবনকাল বৃদ্ধি করতে পারে
বিজ্ঞানীরা বলেন, উপবাস থাকার ফলে শরীরের কোষগুলি মেরামত করার সময় পায়। এই প্রক্রিয়াকে অটোফ্যাগি বলা হয়, যা দীর্ঘায়ুতে ভূমিকা রাখতে পারে।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কীভাবে শুরু করবেন?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করার জন্য আপনাকে ধীরে ধীরে এগোতে হবে। প্রথমে ১২ ঘণ্টা উপবাস করার চেষ্টা করতে পারেন, এরপর ধীরে ধীরে তা ১৬ ঘণ্টায় নিয়ে যেতে পারেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক বা কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ডায়েট শুরু করবেন।

উপসংহার
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আপনার শরীর এবং মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ভিন্ন ফলাফল দিতে পারে। তাই সঠিক পরামর্শ নিয়ে এবং ধৈর্য সহকারে শুরু করলে এর সুফল পেতে পারেন।


Fatty liver (ফ্যাটি লিভার) কী?লিভার বা যকৃৎ হলো শরীরের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি এবং এটি আমাদের দেহে প্রায় ৫০০টির বেশি গুরুত্বপূ...
06/07/2025

Fatty liver (ফ্যাটি লিভার) কী?
লিভার বা যকৃৎ হলো শরীরের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি এবং এটি আমাদের দেহে প্রায় ৫০০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে ফ্যাটি লিভার একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে?

ফ্যাটি লিভার কী?
ফ্যাটি লিভার এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে। একটি সুস্থ লিভারে স্বাভাবিকভাবেই সামান্য কিছু চর্বি থাকতে পারে। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের ৫% বা তার বেশি চর্বি হয়ে যায়, তখন তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।

এটি প্রধানত দুই ধরনের হয়:
NAFLD (Non-Alcoholic Fatty Liver Disease): মদ্যপান না করেও যাদের লিভারে চর্বি জমে, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এটাই সবচেয়ে বেশি common।
AFLD (Alcoholic Fatty Liver Disease): অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হয়।

NAFLD আবার দুই ধাপে ভাগ করা যায়:

Simple fatty liver (NAFL): চর্বি জমে, কিন্তু inflammation বা লিভার কোষ ক্ষয় হয় না।
NASH (Nonalcoholic steatohepatitis): চর্বি জমার পাশাপাশি inflammation হয়, যা লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভার কতটা common?
বিশ্বজুড়ে ২৫–৩০% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। বাংলাদেশে শহরাঞ্চলে এই হার আরও বেশি।এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০–৪০% মানুষ কোনো না কোনোভাবে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত।

প্রাথমিক লক্ষণসমূহ – কীভাবে বুঝবেন?
ফ্যাটি লিভার সাধারণত নীরব ঘাতক। অনেক সময়ই কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে কিছু কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

লক্ষণসমূহ:
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
ডান পাঁজরের নিচে ভারী অনুভূতি বা অস্বস্তি
হজমে সমস্যা, পেট ফেঁপে থাকা
মলের রঙ পরিবর্তন
অল্প কাজেই হাঁপিয়ে যাওয়া
কিছু ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
ত্বক ও চোখের সাদা অংশে হালকা হলদে ভাব (জন্ডিস – পরবর্তী স্টেজে)

ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি থাকে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে:
Obesity/ওজন বেশি (BMI>25)
যাদের কোমরের মাপ বেশি (পুরুষ >৪০ ইঞ্চি, মহিলা >৩৫ ইঞ্চি)
ডায়াবেটিস
উচ্চ কোলেস্টেরল/ট্রাইগ্লিসারাইড
উচ্চ রক্তচাপ
Insulin resistance
অলস জীবনযাপন (sedentary lifestyle)
অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড ও চর্বিযুক্ত খাবারের গ্রহণ
মদ্যপান
স্টেরয়েড বা কিছু ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার
কিছু জেনেটিক কারণেও হতে পারে

প্রতিরোধে করণীয়: কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
প্রসেসড ফুড, চিনি, ফাস্ট ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন
হোল গ্রেইন, সবজি, ফলমূল বেশি খান
লবণ ও চর্বি কম খান
জলখাবারে তেল ও ভাজাভুজি পরিহার করুন
গ্রিন টি, মেথি, কালোজিরা, লেবু পানি সহায়ক হতে পারে
পরিমাণমতো পানি পান করুন

শারীরিক পরিশ্রম:
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা/ব্যায়াম করুন
ওজন কমান ধীরে ধীরে – বছরে ৭–১০% ওজন কমলে NAFLD উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়
সিঁড়ি ব্যবহার করুন, গাড়ির পরিবর্তে হাঁটা বেছে নিন

নেশা ও ওষুধ:
মদ্যপান পুরোপুরি বন্ধ করুন
নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
লিভারে ক্ষতিকর ওষুধ যেমন স্টেরয়েড, পেইন কিলার, হেপাটোটক্সিক ড্রাগস এড়িয়ে চলুন

ঘুম ও স্ট্রেস:
পর্যাপ্ত ঘুম দিন (৬–৮ ঘণ্টা)
মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন/ইয়োগা করুন

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
নিচের যেকোনো উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

হঠাৎ জন্ডিস
পেট ফুলে যাওয়া (ascites)
বমি, ক্লান্তি, স্মৃতি সমস্যা
রক্তপাত, মল কালো রঙের হয়ে যাওয়া

পরিবারের সবাইকে জানা জরুরি
পরিবারের যেসব সদস্য ডায়াবেটিস, Obesity বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাদের ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ফ্যাটি লিভার সম্পূর্ণভাবে ভালো করা সম্ভব

ফ্যাটি লিভার একসময় নিরীহ মনে হলেও, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।তবে ভালো খবর হলো—এই রোগ প্রতিরোধযোগ্য এবং প্রাথমিক অবস্থায় সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।তাই এখনই সময়—আপনার খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন ও নিয়মিত পরীক্ষা দিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখুন।

পোস্টটি শেয়ার করুন, যেন আপনার বন্ধু, পরিবার ও পরিচিতজনরাও সচেতন হতে পারেন।
আপনার কোনো উপসর্গ থাকলে এখনই নিকটস্থ হেপাটোলজিস্ট বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।


゚viralシ

আপনার যদি ডায়েবেটিস থাকে এবং চোখে দেখতে সমস্যা হয় তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই ...............আজ আমরা আলোচনা করবো Diabet...
05/07/2025

আপনার যদি ডায়েবেটিস থাকে এবং চোখে দেখতে সমস্যা হয় তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই ...............
আজ আমরা আলোচনা করবো Diabetic Retinopathy নিয়ে—এটি ডায়াবেটিসের একটি ভয়াবহ জটিলতা, যা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়। অনেকেই এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন নন, ফলে সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়ায় অনেকে চিরতরে অন্ধ হয়ে যান।

১. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কী?
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হলো ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, যা Diabetic patient দের দৃষ্টিশক্তি হারানোর অন্যতম প্রধান কারণ। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়:

*নন-প্রলিফারেটিভ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (NPDR): প্রাথমিক পর্যায়, রেটিনায় রক্তক্ষরণ ও ফ্লুইড জমা হয়।

*প্রলিফারেটিভ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (PDR): অ্যাডভান্সড পর্যায়, নতুন অস্বাভাবিক রক্তনালি তৈরি হয়, যা রেটিনা ডিটাচমেন্ট ও গ্লুকোমা ঘটাতে পারে।

২. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির প্রাদুর্ভাব
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর তথ্য অনুযায়ী:ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৩৫% রোগীর ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থাকে।১০% রোগীর দৃষ্টিহীনতার ঝুঁকি থাকে।টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ২০ বছরের মধ্যে ৯০% রোগীর রেটিনোপ্যাথি হয়।টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ২০ বছরের মধ্যে ৬০% রোগীর রেটিনোপ্যাথি দেখা দেয়।বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের হার বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিও উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩. ডায়াবেটিসের সময়কাল ও রেটিনোপ্যাথির সম্পর্ক
ডায়াবেটিস যত দীর্ঘস্থায়ী হবে, রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকি তত বেশি।৫ বছরের কম ডায়াবেটিস: রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকি কম (১০-২০%)।১০ বছর ডায়াবেটিস: ৫০-৬০% রোগীর রেটিনোপ্যাথি হয়।২০ বছর বা তার বেশি: ৮০-৯০% রোগী আক্রান্ত হন।টাইপ-১ ডায়াবেটিসে রেটিনোপ্যাথি দ্রুত হয়, অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ধীরে ধীরে দেখা দেয়।

৪. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কেন হয়?
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মূল কারণ হলো দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তে শর্করা (হাইপারগ্লাইসেমিয়া), যা রেটিনার রক্তনালিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

কীভাবে ক্ষতি হয়?
মাইক্রোভাসকুলার ড্যামেজ:
# উচ্চ শর্করা রক্তনালির প্রাচীরকে পুরু ও দুর্বল করে।
# কৈশিকনালি ফুটো হয়ে রেটিনায় রক্ত ও ফ্লুইড জমা হয় (এডিমা)।
# ইস্কেমিয়া (রক্তের অভাব):
# রক্তনালি বন্ধ হয়ে রেটিনায় অক্সিজেনের ঘাটতি হয় (হাইপক্সিয়া)।
# শরীর নতুন অস্বাভাবিক রক্তনালি তৈরি করে (নিওভাসকুলারাইজেশন), যা রেটিনা ছিড়ে যায়।

ম্যাকুলার এডিমা:

রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ (ম্যাকুলা) ফুলে গিয়ে কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নষ্ট করে।

৫. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণঃ
প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে, কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে:

# অস্পষ্ট দৃষ্টি

# অন্ধকার দাগ দেখা (ফ্লোটার্স)

# রাতকানা সমস্যা

# রঙের পার্থক্য বুঝতে অসুবিধা

# হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হারানো

৬. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধের উপায়
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধযোগ্য, যদি সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়:

ক) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
HbA1c ৭% এর নিচে রাখুন (ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড)।

নিয়মিত ব্লাড সুগার মনিটর করুন।

খ) রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
BP ১৩০/৮০ mmHg এর নিচে রাখুন।

LDL কোলেস্টেরল ১০০ mg/dL এর নিচে রাখুন।

গ) নিয়মিত চোখের পরীক্ষা
টাইপ-১ ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস ধরা পড়ার ৫ বছর পর থেকে বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করুন।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস ডায়াগনোসিসের সময়ই প্রথম চোখ পরীক্ষা করুন, তারপর বছরে একবার।

গর্ভবতী ডায়াবেটিক নারী: গর্ভাবস্থায় প্রতি ৩ মাসে চোখ পরীক্ষা করুন।

ঘ) স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন (রক্তনালির ক্ষতি বাড়ায়)।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন (BMI ১৮.৫-২৪.৯ এর মধ্যে রাখুন)।

চোখের সুরক্ষা: UV রশ্মি থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

শেষ কথাঃ সচেতনতাই মুক্তি
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধযোগ্য, কিন্তু একবার দৃষ্টিশক্তি চলে গেলে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। তাই:
✅ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
✅ নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করুন
✅ লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না

একটি শেয়ার অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে! এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন, যাতে সবাই ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি সম্পর্কে সচেতন হয়।

স্ক্যাবিস (Scabies) বা ভিজে চুলকানি কি? কেন হয়? প্রতিকারের উপায়ই বা কি?স্ক্যাবিস (Scabies) একটি অত্যন্ত সংক্রামক চর্মরোগ...
05/07/2025

স্ক্যাবিস (Scabies) বা ভিজে চুলকানি কি? কেন হয়? প্রতিকারের উপায়ই বা কি?

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি অত্যন্ত সংক্রামক চর্মরোগ, যা স্ক্যাবিস মাইট (Sarcoptes scabiei) নামক পরজীবীর কারণে হয়। এটি ত্বকের সংস্পর্শে বা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র (যেমন: কাপড়, তোয়ালে, বিছানা) ব্যবহারের মাধ্যমে ছড়ায়। সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, শরনার্থী শিবির ও কমিউনিটি লিভিং স্পেসে। এই পোস্টে স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব, কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও জটিলতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব ও সাম্প্রতিক বৃদ্ধির কারণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ৩০ কোটি মানুষ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, বিশেষ করে:

*ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা (যেমন: ঢাকার বস্তি, ক্যাম্প)

*শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে (দুর্বল ইমিউনিটি থাকায়)

*শরণার্থী শিবির ও গণবসতি (স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির অভাব)

স্ক্যাবিস বাড়ার প্রধান কারণগুলো:

অপরিচ্ছন্নতা ও ভিড়: স্ক্যাবিস দ্রুত ছড়ায় যেখানে মানুষ ঘনিষ্ঠভাবে বসবাস করে।

সচেতনতার অভাব: অনেকেই স্ক্যাবিসের প্রাথমিক লক্ষণ চিনতে পারেন না, ফলে রোগ ছড়ায়।

ভুল চিকিৎসা: স্ক্যাবিসকে প্রায়ই অ্যালার্জি বা একজিমা ভেবে ভুল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন: উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে মাইট দ্রুত বংশবিস্তার করে।

স্ক্যাবিসের লক্ষণ (Symptoms)
স্ক্যাবিস মাইট ত্বকের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে এবং ডিম পাড়ে, যা তীব্র চুলকানি ও র্যাশের কারণ হয়। লক্ষণগুলো সাধারণত ২-৬ সপ্তাহ পরে দেখা দেয় (আগে আক্রান্ত হলে ১-৪ দিনেই)।

প্রধান লক্ষণ:
✔ তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বা গরম পানিতে গোসলের পর
✔ লাল দানা/ফুসকুড়ি (হাতের আঙুলের ফাঁক, কব্জি, কোমর, নিতম্ব, বগল, যৌনাঙ্গে)
✔ ছোট সাদা বা ধূসর রেখা (মাইটের সুড়ঙ্গ)
✔ পুঁজ বা ঘা (চুলকানির ফলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে)

স্ক্যাবিসের চিকিৎসা (Treatment)
স্ক্যাবিস সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য, তবে সঠিক ওষুধ ও সতর্কতা প্রয়োজন।

১. মেডিকেল চিকিৎসা:
ডাক্তারের পরামর্শমত চিকিৎসা নিতে হবে।

২. বাড়ির সদস্যদের চিকিৎসা:
স্ক্যাবিস দ্রুত ছড়ায়, তাই সবাইকে একসাথে চিকিৎসা নিতে হবে, এমনকি লক্ষণ না থাকলেও।

৩. পরিবেশ পরিষ্কার করা:
আক্রান্তের কাপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর গরম পানি (৬০°C+) ও ডিটারজেন্টে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।

যা ধোয়া সম্ভব নয় (যেমন: ম্যাট্রেস), তা প্লাস্টিকে মুড়ে ৩-৭ দিন রেখে মাইট মেরে ফেলুন।

স্ক্যাবিস প্রতিরোধের উপায় (Prevention)
✔ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করুন।
✔ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন: হাত মেলানো, একই বিছানায় শোয়া থেকে বিরত থাকুন।
✔ কাপড় ও বিছানা পরিষ্কার রাখুন: স্ক্যাবিস মাইট বাইরে ২-৩ দিন বাঁচে, তাই নিয়মিত ধোয়ার অভ্যাস করুন।
✔ শিশুদের বিশেষ যত্ন: স্কুল বা daycare-এ স্ক্যাবিস ছড়ালে শিশুকে সাময়িকভাবে আলাদা রাখুন।

স্ক্যাবিসের জটিলতা (Complications)
যদি স্ক্যাবিস সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে নিম্নলিখিত সমস্যা দেখা দিতে পারে:

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন (Impetigo): চুলকানির ফলে ত্বকে ঘা ও পুঁজ হয়।

একজিমা: দীর্ঘমেয়াদী স্ক্যাবিসে ত্বক মোটা ও ফেটে যায়।

গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস: কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সামাজিক সমস্যা: স্ক্যাবিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেকসময় সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।

স্ক্যাবিস নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা (Myths vs. Facts)
❌ ভুল: স্ক্যাবিস শুধু অপরিচ্ছন্ন মানুষের হয়।
✅ সত্য: যেকোনো স্বচ্ছল ব্যক্তিও স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হতে পারেন।

❌ ভুল: স্ক্যাবিস পশু থেকে ছড়ায়।
✅ সত্য: মানুষের স্ক্যাবিস মাইট পোষা প্রাণীর শরীরে বাঁচে না।

❌ ভুল: স্ক্যাবিস নিজে নিজে সেরে যায়।
✅ সত্য: চিকিৎসা না নিলে স্ক্যাবিস দীর্ঘস্থায়ী হয় ও ছড়ায়।

স্ক্যাবিস একটি কষ্টদায়ক কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য রোগ। সঠিক সময়ে লক্ষণ চিনে চিকিৎসা নিলে এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখলে এটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ স্ক্যাবিসের লক্ষণ দেখেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা করান।

゚viralシ

Address

Muhammadpur

Telephone

+8801735278899

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Kanak Jyoti Mondal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Kanak Jyoti Mondal:

Share