Urologist-BD- Tajkera Sultana

Urologist-BD- Tajkera Sultana MBBS 1999, FCPS surgery 2007,MS urology 2014,works at Shsmch as A/P Urology. Dr tajkera Sultana Chowdhury passed her MBBS 1999.

She obtained her fellowship on FCPS surgery July 2007 and get MS urology July 2014. She is regular member of Americana Urology Association (AUA), Bangladesh Association of Urological Surgeons (BAUS) and Society of Surgeon of Bangladesh.

পিত্তথলীতে পাথর কেন হয়?পিত্ত থলীতে পাথর হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। চারপাশের অনেকের এই অভিজ্ঞতার কথা বলতে শুনা যায়। এই...
21/08/2025

পিত্তথলীতে পাথর কেন হয়?
পিত্ত থলীতে পাথর হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। চারপাশের অনেকের এই অভিজ্ঞতার কথা বলতে শুনা যায়। এই পাথর কি সত্যি সত্যিই পথের কুড়িয়ে পাওয়া নুড়ি পাথরের মতো। না কি অন্য কিছু। আর কিভাবে এই পাথর সৃষ্টি হয়।
পিত্ত থলীর পাথর আসলে ছোট ছোট বালুর দানার মতো থেকে শুরু করে মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানা দার বস্তু। যা বিভিন্ন রঙের আর বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটা নির্ভর করে কি পদার্থ দিয়ে পাথরটা তৈরি তার উপর। কোলেস্ট্রল , বিলুরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রনে তৈরি এই পাথর গুলো। যা পিত্ত রসের সঙ্গে মিশানো অবস্থায় থাকে। হালকা বাদামী , কুচ কুচে কালো বা সাদাটে রঙের হতে পারে। পেটের ডান দিকে যকৃতির পিছনে ও তলার দিকে থাকে পিত্ত থলী। পিত্ত রস তৈরি করাই এর প্রধান কাজ। চর্বি জাতীয় খাবার হজম করতে পিত্ত রস দরকার হয়। নানা কারনে পিত্ত থলীতে বিভিন্ন পদার্থ অতিরিক্ত জমে গিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে।

যাদের পিত্ত পাথর বেশি হয়: ওজন আধিক্য ব্যক্তিদের পিত্ত থলীতে পাথর বেশি হতে দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই প্রবনতা অনেক বেশি থাকে। এছাড়া,
• ৪০ এর বেশি বয়স,
• জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি খাওয়া,
• অতিরিক্ত চর্বি যুক্ত খাবার গ্রহন ইত্যাদি এই ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।
রোগের লক্ষণ: পিত্ত থলীতে পাথর হলে এতে প্রদাহ হয়। যাকে কোলেসিটাইসিস বলা হয়। তখন উপর পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা মিনিট খানেক থেকে ঘন্টা খানেক স্থায়ী হতে পারে। ব্যথা পেটের পিছন দিকে , কাধের মাঝ বরাবর এমন কি বুকের ভিতরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ধীরে ধীরে। সেই সঙ্গে বমি ভাব বা বমি , হালকা জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পাথর পিত্ত থলী থেকে বেরুতে গিয়ে পিত্ত নালীতে আটকে যায়। তখন বিলুরুবিনের বিপাক ক্রিয়া যাবার পথ বন্ধ হয়ে জন্ডিস ও হতে পারে। রোগ নির্নয়ের জন্য এই সব উপসর্গের পাশাপাশি আল্টাসনোগ্রাফিই যথেষ্ট। পাথরের অবস্থা জানতে বা বের করতে ডাক্তারের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তবে পেটের আলসার ও যকৃতের কোন সমস্যা এমন কি হৃদরোগের ও কাছা কাছি ধরনের ব্যথা ও হতে পারে। তাই এ গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। আআজকাল লেপরসকপিক সার্জারির মাধ্যমে সহজেই রোগ নিরাময় করা সম্ভব।
নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








কিডনি রোগীরা যা খাবেন নাপানি খেতে হবে পরিমিত। প্রতিদিনের পস্রাবের পরিমানের ওপর নির্ভর করবে কতটুকু পানি রোগী খেতে পারবেন।...
19/08/2025

কিডনি রোগীরা যা খাবেন না
পানি খেতে হবে পরিমিত। প্রতিদিনের পস্রাবের পরিমানের ওপর নির্ভর করবে কতটুকু পানি রোগী খেতে পারবেন।
১. কিডনি রোগী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম প্রভৃতি প্রাণীজ আমিষ সীমিত পরিমাণে খাবেন। রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিন, শরীরের ওজন, ডায়ালাইসিস করেন কিনা, করলে সপ্তাহে কয়টা করেন তার ওপর নির্ভর করবে প্রতিদিন কত গ্রাম প্রোটিন খাবেন তার পরিমাণ।
২. উদ্ভিজ প্রোটিন বা দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন যেমন-ডাল, মটরশুটি, সিমেরবীচি যে কোন বীচি ডায়েট চার্টে থাকবে না।
৩. যে সমস্ত- সবজি খাবেননা: ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর, ঢেঁড়শ, শিম, বরবর্টি, কাঠালের বীচি, শীমের বীচি, মিষ্টি কুমড়ার বীচি, কচু, মূলা এবং পালং, পুঁইশাক ইত্যাদি।
৪. ফলের ক্ষেত্রেও আছে নানান রকম নিষেধাজ্ঞা। প্রায় সব ফলেই সোডিয়াম পটাশিয়ামের আধিক্য আছে বলে কিডনি রোগীদের জন্য ফল খাওয়া একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। বিশেষ করে আঙ্গুর, কলা, ডাবের পানি। অল্প পরিমাণে আপেল এবং পেয়ারা তুলনামূলক নিরাপদ।
নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








Medical Center

বেশ কিছুদিন আগে সিংগাপুর জেনারেল হাসপাতালে একমাস ব্যাপি ইউরোলজি বিভাগে একমাস ব্যাপি রেসিডেন্সি পোগ্রামে অংশ গ্রহন করি। এ...
19/08/2025

বেশ কিছুদিন আগে সিংগাপুর জেনারেল হাসপাতালে একমাস ব্যাপি ইউরোলজি বিভাগে একমাস ব্যাপি রেসিডেন্সি পোগ্রামে অংশ গ্রহন করি। এই এটাচমেন্ট এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউরোলজি শৈল্য চিকিৎসা বিষয়ক কি কি নুতন টেকনিক ও যন্ত্রের ব্যবহার যোগ করছে তার বিষয়ে হাতে কলমে শিখে আমাদের দেশে তার বাস্তবায়ন করা। যাতে করে আমাদের দেশের পেশেন্টরা এর সুফল ভোগ করতে পারে।
নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








গত বছরের বন্যা দূর্গত এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
17/08/2025

গত বছরের বন্যা দূর্গত এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।

কর্মজীবনে চিকিৎসক হিসেবে আপডেট থাকতে দরকার নিয়মিত প্রশিক্ষণ। সরকারি ভাবে প্রফেশনাল উন্নতির জন্য সীমিত সুযোগের কারনে বাধ...
17/08/2025

কর্মজীবনে চিকিৎসক হিসেবে আপডেট থাকতে দরকার নিয়মিত প্রশিক্ষণ। সরকারি ভাবে প্রফেশনাল উন্নতির জন্য সীমিত সুযোগের কারনে বাধ্য হয়ে নিজ প্রচেষ্টায় দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হায়দরাবাদ এর এআইজি ইনস্টিটিউটে সংক্ষিপ্ত রেসিডেন্সি শেষ করে সার্টিফিকেট গ্রহনের কিছু ছবি পেইজের সম্মানিত পাঠকদের সৌজন্যে পোষ্ট করা হয়েছে।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী,
এমবিবিএস, এফসিপিএস জেনারেল সার্জারি, এমএস ইউরোলজি।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৬ষ্ঠ তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। এপয়নটমেনট নিতে ফোন করুন 01921503847 ও 01989997180 এই নম্বরে দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। চেম্বার লোকেশনঃ https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9






"অনিচ্ছাকৃত মূত্রস্রাব একটি নিরাময় যোগ্য মেয়েলি সমস্যা ও তার সমাধান"এটি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স (Urinary incontinence) ন...
17/08/2025

"অনিচ্ছাকৃত মূত্রস্রাব একটি নিরাময় যোগ্য মেয়েলি সমস্যা ও তার সমাধান"
এটি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স (Urinary incontinence) নামেও পরিচিত। এ অবস্থায় ব্যক্তি মূত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। এমনকি সাধারণ হাঁচি বা কাশি দেওয়ার ফলেও হঠাৎ করে মূত্রত্যাগ করে ফেলে বা মূত্রত্যাগের চাপ অনুভব করে। এই সমস্যার কারণে দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের অস্বস্থিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে অভ্যাসগত বিভিন্ন পরিবর্তন ও চিকিৎসার সাহায্যে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
হাঁচলে বা কাশলে প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। প্রস্রাব পেলেই তাড়াতাড়ি টয়লেটে ছুটতে হয়। তা সত্ত্বেও মাঝে মাঝে কাপড় ভিজে যায়। অনেক মহিলাই এই বিরক্তিকর সমস্যার মুখোমুখি হন। পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি অন্তত কুড়ি শতাংশ মহিলাই ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স বা প্রস্রাব ধরে রাখার অক্ষমতায় ভোগেন। এ ভাবে বাঁচা সত্যিই দুর্বিসহ। বাইরে বেরনোই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটি যেহেতু কোনও মারণব্যাধি নয়, তাই চিকিৎসার গরজ অনেকেই করেন না। তাছাড়া ব্যাপারটা অস্বস্তিকর বলে অনেকেই ব্যাপারটা চেপেও রাখেন। কারও সঙ্গে এটা আলোচনাও করেন না। বয়স বাড়তে থাকলে মেনোপজের কাছাকাছি সময় এসে গেলে ইউরিন ধরে রাখার অক্ষমতা বাড়ে। তবে এই সমস্যা শুধু যে বয়স্কদের হয়, তা কিন্তু নয়।
কেন এ রকম হয়ঃ
নর্ম্যাল ডেলিভারি হলে এ রকম হতে পারে। তবে ভাববেন না, সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে এমনটা আর হবে না। যে মহিলার সন্তান হয়নি, তাঁরও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স দুই রকম। আর্জ ইনকন্টিনেন্স আর স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স। আর্জ ইনকন্টিনেন্স থাকলে পেশির দেওয়ালের সক্রিয়তা কমে যায়। তার জন্য প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সে শারীরিক কসরত করলেই প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। যেমন, হাসলে কাশলে এমনকি দৌড়ালেও ইউরিন বেরিয়ে আসতে পারে।
চিকিৎসাঃ
দিনে কত বার টয়লেটে যেতে হচ্ছে, রাতে ক’বার উঠতে হয়- এসবের ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। এর কার্যকরী চিকিৎসা হল মূত্রাশয় বা ব্লাডারের উপযুক্ত ট্রেনিং।
এতে দিনে কয় বার প্রস্রাব করলেন, তা নোট করতে বলা হয়। আর সবচেয়ে কম কত সময় প্রস্রাব না করে থাকতে পারেন তা-ও বলা হয়। এটা চিকিৎসার প্রথম অবস্থা। এর পর রোগীকে বলা হয়, চেষ্টা করুন বেগ এলেও কিছুক্ষণ প্রস্রাব না করে থাকতে। যিনি তিরিশ মিনিট প্রস্রাব ধরে রাখতে পারেন, তাঁকে বলা হয় ৩৫ মিনিটের আগে কোনও মতেই বাথরুম যাওয়া হবে না। কাপড় ভিজলেও না। নিষ্ঠুর শোনালেও এর উদ্দেশ্য আদতে মনের জোড় বাড়ানো। দুই-চার দিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। ৯০% মহিলারই আর কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না।
তবে ওষুধ প্রয়োগ করেও ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব। এই ধরনের সমস্যা হলে মানসিক ভারসাম্য অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। পারিবারিক ও কাজের ক্ষতি হয়। এ সব ক্ষেত্রে যোগাসন, সাইকোথেরাপি এবং হিপনোসিসও ভাল ফল দিতে পারে।
পেলভিক ফ্লোরের পেশির দুর্বলতার জন্যই যেহেতু এ রকম সমস্যা হতে পারে, তাই পেশির জোর বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে চেষ্টা করা হয় মূত্রথলি বা ব্লাডারের সাপোর্ট দেওয়া। পেলভিক ফ্লোরের এক্সারসাইজ শেখাবেন এক জন অভিজ্ঞ ফিজিয়োথেরাপিস্ট। যে পেশিগুলোর সংকোচন শেখানো হয়, সেগুলি আসলে মূত্র ত্যাগের মাঝখানে প্রয়োজনে মূত্রত্যাগ বন্ধ করতে পারে। অল্প স্বল্প ইউরিন ইনকন্টিনেন্স থাকলে তা সারাতে এই পেলভিক ফ্লোরের পেশির এক্সারসাইজের জুড়ি নেই। যতক্ষণ ব্যায়াম, তত ক্ষণ ভাল থাকবেন। বন্ধ করলেই পেশির টানটান ভাব কম। উপসর্গ আবার ফিরে আসবে।
তবে ব্যায়ামে সমাধান না হলে সার্জারির দরকার হয়। একই উদ্দেশ্য সাধন সম্ভব টেনশন ফ্রি ভ্যাজাইনাল টেপ-এ। এতে ভ্যাজাইনা দিয়ে একটি পাতলা টেপ প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। তা প্রস্বাবের থলি বা ব্লাডারকে ওপরের দিকে টেনে তোলে। যার ফলে হাঁচলে কাশলে বা কোনও রকম পেটে চাপ পড়লেও প্রস্রাবের থলির মধ্যে যে প্রেসার আছে, তা প্রস্রাবের রাস্তায় চলে আসতে পারে না। কারণ তাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এখন অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোলোজেন জাতীয় ইনজেকশন দিয়ে ইউরেথ্রার কোষ কলাকে সাপোর্ট দেওয়া হয়।
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স থাকলে কী করবেন?
সারা দিনে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা কমাতে হবে।
ক্রনিক কাশিতে ভুগলে সমস্যা বাড়ে। ফলে সেটা কমাতে হবে।
মোটা হয়ে যাওয়া ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্সের অন্যতম কারণ।
সবথেকে বড় কথা, এই সমস্যা তৈরি হলে তা চেপে না রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তাতেই সমস্যা মিটবে।
তাই যেসব মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা থাকে তারা নিজেদের মধ্যে চেপে না রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালেই আপনি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স রোগের চিকিৎসা নিতে পারেন। এজন্যে লজ্জার খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন এবং গোপন শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করুন।
নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








আপনি কি জানেন কিছু কিছু অসুখ যেমন  #প্রস্রাবে ইনফেকশন,  #জ্বালাপোড়া,  #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা,  #পস্রাবের সাথে ...
16/08/2025

আপনি কি জানেন কিছু কিছু অসুখ যেমন #প্রস্রাবে ইনফেকশন, #জ্বালাপোড়া, #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #পস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, #মুত্রথলির বা মূত্রনালীর পাথর শুধু কি ছেলেদের হয়? জী হাঁ ঠিক ধরেছেন অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ মা বোনেরাও কিন্তু একই ঝুঁকির আওতায়। উল্লেখিত বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম #মহিলা #ইউরোলজিস্ট

নিম্নে উল্লেখিত সার্জারি বা চিকিৎসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
১) #পস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, #জ্বালা পোড়া, #রক্ত যাওয়া #মূত্রাশয় সংক্রমণে বা #পস্রাব লিকেজ সংক্রান্ত চিকিৎসা করা হয়।
২) যন্ত্রের সাহায্যে(PCNL, ESWL and icpl methods ) #মুত্রাশয়, #কিডনী, ও #পিত্ত থলিতে পাথর অপসারণ।
৩ #)মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, #মলদ্বার স্পিঙ্কটার(sphincter) আঘাত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সার্জারি করা হয়।
৪) #লেপরস্কপিক ও এন্ডোস্কোপিক সার্জারি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








Medical Center

ফেলে আসা সোনালী দিন গুলো ভাবছিলাম নিজের বিষয়ে অনেকদিন কিছু বলা হয় না দেখতে দেখতে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মজীবনের পঁচিশ ...
14/08/2025

ফেলে আসা সোনালী দিন গুলো
ভাবছিলাম নিজের বিষয়ে অনেকদিন কিছু বলা হয় না দেখতে দেখতে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মজীবনের পঁচিশ বছর পার করে আসলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রফেশনাল ডিগ্রীটাকে এমবিবিএস বলা হয় তবে বাংলাদেশে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে গেলে আরো কিছু অতিরিক্ত যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা তথা মন মানসিকতার ও পরিবর্তন হয়ে গেছে তবে এর জন্য একটি রেফারেল সিস্টেম তৈরি না হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ভাবে জনসাধারণের চাহিদা তারা সবচেয়ে বড় ডাক্তার যিনি যেই রোগের চিকিৎসা প্রদানের জন্য আছেন তার সাথে কনসাল্ট করবেন। সমস্যা হচ্ছে ডাক্তার যত পপুলার হবে তার রুগীর সংখ্যা বাড়বে ততটা রোগীর প্রতি প্রপার মনোযোগী হওয়া আর সম্ভব হয় উঠে না। সাধারণ জিপি প্রাক্টিস থেকে শুরু করে জটিল সব রোগে সবাই চায় সবচেয়ে সিনিয়র মোস্ট ডাক্তারের পরামর্শ নিতে।
আমার প্রথম প্রফেশনাল ডিগ্রীর পর জেনারেল সার্জারিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করলাম। যেহেতু উন্নত বিশ্বের সার্জারি ও মেডিসিন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার পরে যারা আরো বেশি দক্ষতা অর্জন করতে চায় তাদেরকে আরো বেশি ন্যারো ডিসিপ্লিন খুঁজতে নিতে হয় তাই আমিও নিজেকে এভাবে তৈরি করতে গিয়ে দেখলাম ইউরোলজিতে আগে কখনো কোনো মহিলা ডাক্তার উচ্চ ডিগ্রি নিতে আগ্রহ ছিল না তাই আমি ইউরোলজিতে আমার প্রফেশন সুইচ করার চিন্তা করি। এটা পরবর্তীতে আমার ইন্টার্ন শেষ হবার পরবর্তী ধাপগুলোতে যখন পোস্ট গ্রাজুয়েট পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য যে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের দরকার ছিল তখন একটা স্বল্পমেয়াদি এটাচমেন্ট ছিল বাংলাদেশের বিখ্যাত ইউরোলজিস্ট প্রফেসর আব্দুস সালাম আব্দুস সালাম আরে প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে।
ইউরোলজিতে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের এই যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। কেননা যেহেতু দীর্ঘ সময়ে এই ডিসিপ্লিনে কোন মহিলা বিশেষজ্ঞ তৈরি হয় নাই তাই আমার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি এত সহজ ছিল না। এই যাত্রায় যেমন ছিল একজন লিজেন্ডারি ইউরোলজি প্রফেসরের সাহায্য সহযোগিতা ও সমর্থন একইভাবে কোর্স লেভেলে এর বিপরীত টাও আমাকে সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক সময় মনে হতো উচ্চতর ডিগ্রিটা সম্ভবত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় থেকে অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে। এরই ফলশ্রুতিতে সব রকমের প্রস্তুতি ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও একটা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে অর্থাৎ বিভাগীয় প্রধান রিটারমেন্টে যাওয়ার পর আমার উচ্চতর ডিগ্রিটা হাসিল করতে পেরেছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আমার পথচলা কে সহজ দেয়ার জন্য। পরবর্তী বিষয়টা ছিল আরো ভয়ংকর যেহেতু আমার সার্জারি ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল তাই ইউরোলজি ডিসিপ্লিন এর প্রবিনদের সমর্থন পাওয়া অনেক কঠিন ছিল এবং হাতে কলমে কাজ শেখার সুযোগ প্রায় শূন্য ছিল। বাধ্য হয়ে নিজের প্রচেষ্টায় কোন রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেয়েও দেশের বাইরে স্বনামধন্য ইউরোলজিস্টদের সান্নিধ্যে থেকে স্বল্পমেয়াদী বেশ কিছু রেসিডেন্সির কোর্স এর মাধ্যমে ইউরোলজি বিষয়ে চিকিৎসা প্রদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার প্রয়োগের সুযোগ পাই। এই সুযোগ্য মূলত দুইভাবে এসেছে তা হচ্ছে স্বল্পমেয়াদি রেসিডেন্সি কোর্স আর অপরটি হচ্ছে বিভিন্ন ছোট ছোট কনফারেন্স লাইভ সার্জারি ডেমোনস্ট্রেশন এবং বিভিন্ন দেশে ওয়ার্কশপে যোগদানের মাধ্যমে।
আমার এই ক্ষুদ্র কর্মজীবনে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে অনেকগুলো জেলা ও বিভাগীয় শহরে এবং ঢাকার বড় বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার তথা বেসরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার সুযোগ হয়েছে। এপয়ন্টমেন্ট নিতে চাইলে রোগীদের প্রথম প্রশ্ন ডাক্তার ম্যাডাম কোন হাসপাতালে প্র্যাকটিস করে রোগীদের এই সাইকোলজি বুঝতে পেরে বেসরকারি পর্যায়ে যারা চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ করেন তারা হাসপাতাল তথা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের আকর্ষণ করে বিনিময়ে তাদের চাহিদা থাকে ওই চিকিৎসকের মাধ্যমে একটা পেশেন্ট এর কাছ থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা সেটা তার চিকিৎসার প্রয়োজন হোক বা না হোক যেহেতু তারা বিনিয়োগকারী তাদের একমাত্র চাহিদা দ্রুত বিনিয়োগ তুলে উচ্চ মাত্রায় প্রফিট করা সমস্যাটা হচ্ছে এই অনিয়ম টার দ্বায়বদ্ধতার বিষয় টি ব্যবসায়ীদের না হয়ে অযৌক্তিকভাবে ডাক্তারের উপরই ন্যস্ত হয়। এই সম্পূর্ণ কর্মজীবনে যতো প্রতিষ্ঠানে আমি আমার প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছি সবখানে আমার সাথে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট ছিল। কারণ প্রয়োজন ছাড়া আমি আজ পর্যন্ত কখনো অতিরিক্ত টেস্ট রিকমেন্ট করি নাই এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক যতটুকু ন্যূনতম পরীক্ষার দরকার যা না করলে মেডিকেল এথিক্সের পরিপন্থী হয়ে যেতে পারে ততটুকু অবশ্য পালন করি যার কারণে সেটা হোক ঢাকা ঢাকার বাইরে বড় বড় শহরে আজ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে আমি চেম্বার কন্টিনিউ করতে পারি নাই শুধুমাত্র এই কনফ্লিক্ট ওফ ইন্টারেষ্ট এর জন্য। দিনের শেষে চিকিৎসা প্রদান কিন্তু আমার একমাত্র পেশা। এই পর্যায়ে আসার জন্য স্কুল জীবন বারো বছর এমবিবিএস পাচ বছর ইন্টার্নশীপ এক বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য আড়াই বছর বিনা বেতনে প্রশিক্ষণ এরপর রেসিডেন্সি ট্রেনিং চার বছর সর্বমোট আনুমানিক পঁচিশ বছর পড়াশোনায় থাকতে হয়েছে।

ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








কিডনির রোগ দমনের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি কারন বিকল হওয়ার আগে আপনার কিডনি আর  কোন সুযোগই দিবে না। আমাদের দেহের বিভিন্ন গুরুত...
09/08/2025

কিডনির রোগ দমনের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি কারন বিকল হওয়ার আগে আপনার কিডনি আর কোন সুযোগই দিবে না।
আমাদের দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে কিডনি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। মূলত এটা আমাদের শরীরে একধরনের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে থাকে। এই মহা দরকারি জটিল যন্ত্র আমাদেরকে কোনো লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই স্থায়ী ভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে।
যার আসল কাজ আমাদের শরীরে একদিনে ২০০ লিটার রক্ত ছাঁকে, দেহ থেকে ২ লিটার টক্সিন নির্গত করা, শরীর থেকে বেঁচে যাওয়া পানি মূত্র হিসেবে নির্গত করা।
কিডনি আমাদের শরীরে হরমোন রিলিজ করে, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত উৎপাদন করে ও সুস্থ হাড় গঠনে সাহায্য করে। তাই কিডনিকে সবসময় ভালো রাখতে অবশ্যই আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ

প্রতিরোধ করবেন যেভাবে –
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। আবার যাঁরা খুব বেশি দৈহিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের প্রতিদিনের পানির চাহিদা আরও বেশি।
আর যাঁদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়, তাঁদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। কামরাঙা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার কিডনি ভালো আছে কি না তা জানার জন্য অন্তত একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।
এছাড়াও –
১। প্রতিদিন অবশ্যই ৭-৮ গ্লাস পানি খাবেন।
২। প্রস্রাব কখনোই চেপে রাখবেন না। এতে ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে।
৩। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
৪। আপনার বয়স চল্লিশ বছরের বেশি হয়ে গেলে নিয়মিত বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস ও ব্লাড প্রেশার চেক করান।
৫। ডায়বেটিস বা ব্লাড প্রেশার থাকলে তা নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
৬। বছরে দুই একবার প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করান।
৭। বাইরের বিভিন্ন ধরণের খাবার ও যেকোন কোমল পানীয় খাওয়া থাকে বিরত থাকুন। তথ্য সূত্র ইন্টারনেট।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। আধুনিক শহুরে জীবনে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির সমস্যা অনেকেরই দেখা...
08/08/2025

রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে।
আধুনিক শহুরে জীবনে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু সচেতন হয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ইউরিক এসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধিতে কী ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের শরীরে দুই ধরনের এমাইনো এসিডের প্রয়োজন পড়ে। একটি আবশ্যক (এসেনশিয়াল) এমাইনো এসিড। আরেকটি অনাবশ্যক (নন এসেনসিয়াল) এমাইনো এসিড। এই নন এসেনসিয়াল এমাইনো এসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। কারণ শরীরে পিউরিন তৈরি হয়।
এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক এমাইনো এসিড পেয়ে থাকি। কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। এই ইউরিক এসিড রক্তে চলে যায়। নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল।
আমরা যদি দেহের চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে থাকি বা খাবারে যদি এলকোহল জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকে, তা থেকে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল এমাইনো এসিড তৈরি হয়। এই পিউরিনের শেষ উৎপাদন (এনডপ্রডাক্ট) হিসেবে ইউরিক এসিড তৈরি হয়।
এই ইউরিক এসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। এই অতিরিক্ত ইউরিক এসিড সূক্ষ্ম স্ফটিক (ক্রিস্টাল) আকারে জয়েন্টের মধ্যে বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া আমাদের দেহের শ্বেত কণিকা এই ইউরিক এসিড স্ফটিককে ফরেন বডি মনে করে আক্রমণ করে। ফলে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয় বা ফুলে যায়। এই অবস্থাকে টোফেস বলে।
প্রথম অবস্থায় শুধু পায়ে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পা ফোলা, হাঁটু ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। ফলে ইউরিক এসিড আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটতেও সমস্যা হয়। হাইপারইউরিসেমিয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন : বাত, কিডনিতে পাথর, কিডনি অর্কাযকর হওয়া, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।
হাইপারইউরিসেমিয়া বা ইউরিক এসিডে যেসব খাবার পরিহার করতে হবে
• অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন : গরুর মাংস খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।
• অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস (অর্গান মিট) খাওয়া যাবে না। যেমন : লিভার, কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।
• খোসাযুক্ত প্রাণী পরিহার করতে হবে। যেমন : চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
• সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
• কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন : পালং শাক,পুঁই শাক, ফুল কপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ , পাকা টমেটো ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
• এলকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন : চা, কফি, কোমল পানীয়, কারো ক্ষেত্রে চকোলেট খাওয়া যাবে না।
• মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোস থাকে যা ইউরিক এসিড স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়। তাই মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।
যেসব খাবারে বাধা নেই
• চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন : মুরগির মাংস। মাছ, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।
• অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন : সবজি-শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়।
• এন্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।
• এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।
কারা ইউরিক এসিডে বেশি আক্রান্ত হন
• যাদের বংশে বাতের সমস্যা আছে তারা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
• যারা এলকোহল গ্রহণ করে।
• যারা প্রোটিন জাতীয় খাবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেয়ে থাকে এবং শাক সবজি কম খায়।
• কিছু কিছু ওষুধ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেমন : ডাই ইউরেটিক মেডিসিন।
• যাদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
• যাদের ওজনাধিক্য রয়েছে তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
• যারা পানি কম পান করে তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে উল্লিখিত শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








Medical Center

ইউরিক এসিড বাড়লে খাবার গ্রহণে সাবধানতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরিরক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে হাইপারইউরিসেমিয়া ব...
03/08/2025

ইউরিক এসিড বাড়লে খাবার গ্রহণে সাবধানতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি

রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। আধুনিক শহুরে জীবনে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু সচেতন হয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ইউরিক এসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধিতে কী ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের শরীরে দুই ধরনের এমাইনো এসিডের প্রয়োজন পড়ে। একটি আবশ্যক (এসেনশিয়াল) এমাইনো এসিড। আরেকটি অনাবশ্যক (নন এসেনসিয়াল) এমাইনো এসিড। এই নন এসেনসিয়াল এমাইনো এসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। কারণ শরীরে পিউরিন তৈরি হয়।
এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক এমাইনো এসিড পেয়ে থাকি। কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। এই ইউরিক এসিড রক্তে চলে যায়। নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল।
আমরা যদি দেহের চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে থাকি বা খাবারে যদি এলকোহল জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকে, তা থেকে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল এমাইনো এসিড তৈরি হয়। এই পিউরিনের শেষ উৎপাদন (এনডপ্রডাক্ট) হিসেবে ইউরিক এসিড তৈরি হয়।
এই ইউরিক এসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। এই অতিরিক্ত ইউরিক এসিড সূক্ষ্ম স্ফটিক (ক্রিস্টাল) আকারে জয়েন্টের মধ্যে বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া আমাদের দেহের শ্বেত কণিকা এই ইউরিক এসিড স্ফটিককে ফরেন বডি মনে করে আক্রমণ করে। ফলে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয় বা ফুলে যায়। এই অবস্থাকে টোফেস বলে।
প্রথম অবস্থায় শুধু পায়ে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পা ফোলা, হাঁটু ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। ফলে ইউরিক এসিড আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটতেও সমস্যা হয়। হাইপারইউরিসেমিয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন : বাত, কিডনিতে পাথর, কিডনি অর্কাযকর হওয়া, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।
হাইপারইউরিসেমিয়া বা ইউরিক এসিডে যেসব খাবার পরিহার করতে হবে
• অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন : গরুর মাংস খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।
• অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস (অর্গান মিট) খাওয়া যাবে না। যেমন : লিভার, কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।
• খোসাযুক্ত প্রাণী পরিহার করতে হবে। যেমন : চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
• সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
• কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন : পালং শাক,পুঁই শাক, ফুল কপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ , পাকা টমেটো ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
• এলকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন : চা, কফি, কোমল পানীয়, কারো ক্ষেত্রে চকোলেট খাওয়া যাবে না।
• মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোস থাকে যা ইউরিক এসিড স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়। তাই মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।
যেসব খাবারে বাধা নেই
• চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন : মুরগির মাংস। মাছ, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।
• অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন : সবজি-শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়।
• এন্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।
• এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।
কারা ইউরিক এসিডে বেশি আক্রান্ত হন
• যাদের বংশে বাতের সমস্যা আছে তারা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
• যারা এলকোহল গ্রহণ করে।
• যারা প্রোটিন জাতীয় খাবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেয়ে থাকে এবং শাক সবজি কম খায়।
• কিছু কিছু ওষুধ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেমন : ডাই ইউরেটিক মেডিসিন।
• যাদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
• যাদের ওজনাধিক্য রয়েছে তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
• যারা পানি কম পান করে তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে উল্লিখিত শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এপয়েনটমেনট নিতে ফোন করুন ০১৯৮৯৯৯৭১৮০(চেম্বার সহকর্মী) , ০১৯২১৫০৩৮৪৭ ও ০১৯৭৯৯৯৭১৮৯ এই নম্বরে।
চেম্বারঃ ইস্টার্ন দোলন, ১৫২/২ - এইচ (৭ম তলা), বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান স্মরনী, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা -১২০৫। https://goo.gl/maps/HP1zctovRkmT3XPc9








Medical Center

Address

Eastern Dolon, 152/2-H(6 Floor), West Panthapath, Above NRBC Bank Or Adjacent To Health And Hope Hospital, Opposite BRB
Muhammadpur
1205

Opening Hours

Monday 10:00 - 20:00
Tuesday 10:00 - 20:00
Wednesday 22:00 - 20:00
Thursday 10:00 - 20:00
Saturday 10:00 - 20:00
Sunday 22:00 - 20:00

Telephone

+8801989997180

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Urologist-BD- Tajkera Sultana posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Urologist-BD- Tajkera Sultana:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram