Antor Clinic & Diagnostic Pvt.ltd.

Antor Clinic & Diagnostic Pvt.ltd. Antor clinic is a reputed medical clinic in Muktagacha and has been serving people of the greater My

ডেঙ্গু হলে কী করবেন, কী কী করবেন না এই সময় ডেঙ্গু জ্বর বেড়ে যায়। ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত, জুলাই থেকে অক্টোবর পর...
23/08/2023

ডেঙ্গু হলে কী করবেন, কী কী করবেন না

এই সময় ডেঙ্গু জ্বর বেড়ে যায়। ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে।

ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ—জ্বর। ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।

কখন হাসপাতালে যেতে হয়
ডেঙ্গু হলে কী ধরনের চিকিৎসা নেবেন, বাসায় না হাসপাতালে থাকবেন—নির্ভর করে এর ধরন বা ক্যাটাগরির ওপর। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধরন বা ক্যাটাগরি আছে—‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা স্বাভাবিক থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়াই যথেষ্ট।

‘বি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে। কিছু লক্ষণ, যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, অন্তঃসত্ত্বা, জন্মগত সমস্যা, কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই ভালো।

‘সি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। এতে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।

বাড়িতে কী করবেন
পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

প্রচুর তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন পান করুন একটু পরপর।

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি–সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় এ–জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

যা করবেন না
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্লাটিলেট এখন আর মূল বিষয় নয়। প্লাটিলেট হিসাব নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নিচে নামলে বা শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্তপাত হলে প্রয়োজন বোধে প্লাটিলেট বা ফ্রেশ রক্ত দেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি খুবই কম দেখা যায়।

অনেকে বলেন, পেঁপেপাতার জুস ইত্যাদি খেলে প্লাটিলেট বাড়ে। আসলে এসবের কোনো ভূমিকা নেই। জ্বর কমে যাওয়ার পর সংকটকাল পেরিয়ে গেলে আপনা থেকেই প্লাটিলেট বাড়তে শুরু করে।

জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মাড়ি, নাক, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এ রকম হলে প্রয়োজনে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া লাগতে পারে। এসব ক্ষেত্রে তাই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

ডা. আফসানা বেগম: সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা

26/01/2022
24/08/2021
পুরুষদের যৌনস্বাস্থ্য সমস্যা: নির্ণয় এবং প্রতিরোধের উপায়যৌনসমস্যা হল সেই সমস্যা যা যৌন সম্পর্ক/প্রক্রিয়ার পুরো চক্রের য...
21/02/2021

পুরুষদের যৌনস্বাস্থ্য সমস্যা: নির্ণয় এবং প্রতিরোধের উপায়

যৌনসমস্যা হল সেই সমস্যা যা যৌন সম্পর্ক/প্রক্রিয়ার পুরো চক্রের যে কোন পর্যায়ে দম্পতিকে পূর্ণ তৃপ্তি অর্জনে বাঁধা প্রদান করে বা কোন সমস্যার সম্মুখীন করে।নারী বা পুরুষ উভয়েরই যৌন সমস্যা থাকতে পারে।পুরুষদের ক্ষেত্রে, এটি যেকোন বয়সী পুরুষদের দেখা দিতে পারে তবে সাধারণত বয়স্কদের মাঝে কিছু সমস্যা বেশি দেখা দেয়। সমস্যাগুলোর অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা নিলে এগুলো ভালো হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে জানতে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না।

কি ধরণের যৌনসমস্যা দেখা যায়?

পুরুষদের মাঝে সাধারণত ৪ ধরণের যৌন সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হতে দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যাগুলো সঠিক চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে তা হয়তো তেমন কোন সমস্যা বলেও পরিলক্ষিত হয় না। এগুলো হল-

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
অকাল বীর্যপাত (খুব দ্রুত প্রচণ্ড উত্তেজনায় পৌঁছানো)
বিলম্বিত বা বীর্যপাতে বাঁধা (প্রচণ্ড আস্তে আস্তে অর্গাজম পৌঁছানো বা মোটেও না হওয়া বা শারীরিক কোন বাঁধা)
যৌনসম্পর্কে অনাগ্রহ
পুরুষদের যৌন সমস্যার কারণ

পুরুষদের মধ্যে যৌন সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ শারীরিক কিংবা মানসিক উভয়ই হতে পারে।

সামগ্রিকভাবে যৌন সমস্যার শারীরিক কারণগুলি হ’ল:

হরমোনের মাত্রার তারতম্য বিশেষ করে টেস্টোস্টেরন হরমোন
ঔষধের প্রভাব (কিছু এন্টিডিপ্রেসেন্টস, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ)।
রক্তনালীতে ব্যাধি যেমন এথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে কোন বাঁধা) এবং উচ্চ রক্তচাপ।
স্ট্রোক বা ডায়াবেটিস বা অস্ত্রোপচারের ফলে স্নায়ুবিক অবস্থার পরিবর্তন ।
ধূমপান।
মদ্যপান এবং মাদক সেবন।
মানসিক কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন।
দাম্পত্য বা পারিবারিক সম্পর্কের সমস্যা।
ডিপ্রেশন, অপরাধবোধ।
অতীতের কোন যৌন তিক্ততা বা ট্রমা।
কর্ম-সম্পর্কিত চাপ এবং উদ্বেগ।
যৌন সমস্যার কারণ নির্ণয় করে কিভাবে?

আপনার ডাক্তার সমস্যার বিস্তারিত জেনে প্রাথমিকভাবে রোগীকে দেখে কোনও শারীরিক পরীক্ষা দিয়ে রোগের কারণ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। শারীরিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে-

রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা, রক্তে সুগার (ডায়াবেটিসের জন্য) এবং কোলেস্টেরল মাত্রা নির্ধারণ
রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখা
প্রোস্টেট পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ কিছু টেস্ট
লিঙ্গ এবং অন্ডকোষ পরীক্ষা
লিঙ্গে রক্ত ​​প্রবাহের বা অন্য সমস্যা আছে কিনা তা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখা
আপনার ডাক্তার আপনার উপসর্গ, পূর্বের চিকিৎসা এবং যৌন ইতিহাস সম্পর্কেও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এই প্রশ্নগুলি খুব ব্যক্তিগত মনে হলেও বিব্রত হবেন না। সঠিক চিকিৎসা পেতে সততার সাথে প্রশ্নের উত্তর প্রদান অত্যন্ত জরুরী। প্রয়োজনে ডাক্তার আপনাকে অন্য ধরণের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করতে পারেন (উদাহরণস্বরূপ-ইউরোলজিস্ট, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বা কাউন্সিলর,) যিনি আপনাকে সহায়তা করতে পারেন।

প্রতিকার

যৌন সমস্যার ধরণ বুঝে ডাক্তার আপনাকে ঔষধ, হরমোন থেরাপি, মানসিক থেরাপি কিংবা উপসর্গ বুঝে চিকিৎসা প্রদান করবেন বা প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাবেন।

প্রতিরোধ

যৌন সমস্যার কারণগুলো অনুসন্ধান করে এবং তা বুঝে সমস্যাটি উপশমের চেষ্টা করা উচিৎ। এজন্য নিম্নোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করলে উপকার পেতে পারেন-

আপনার যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলুন।
আপনার অ্যালকোহল পানের অভ্যাস ত্যাগ করুন বা সীমিত করুন।
ধুমপান ত্যাগ করুন। .
হার্টের জন্য ভালো এমন স্বাস্থ্যকর এবং ব্যালেন্সড ডায়েট খান।
সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যায়াম করুন।
মানসিক সমস্যা যেমন স্ট্রেস, হতাশা এবং উদ্বেগের জন্য যদি প্রয়োজন হয় তবে মনোবিদের সাহায্য নিন।
আপনার সঙ্গীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং খোলাখুলি ভাবে কথা বলুন।
যৌনসংক্রান্ত যে কোন সমস্যায় পরিচয় গোপন রেখেই নির্দ্বিধায় আমাদের ডাক্তার এবং মনোসামাজিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার একটি সুস্থ এবং সুন্দর দাম্পত্য জীবন আমাদের সবার কাম্য।

😂😂😂
09/12/2020

😂😂😂

উত্তরী হাওয়া নিয়ে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোরের আকাশে দেখা দিয়েছে হালকা কুয়াশা, সবুজ ঘাসে জমেছে শিশির বিন্দু। শীতকাল শ...
08/12/2020

উত্তরী হাওয়া নিয়ে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোরের আকাশে দেখা দিয়েছে হালকা কুয়াশা, সবুজ ঘাসে জমেছে শিশির বিন্দু। শীতকাল শুরুর এ সময়টা বেশ উপভোগ্য হলেও এ সময়ে দেখা দিতে পারে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই এ সময়ে সকলের প্রয়োজন একটু বাড়তি স্বাস্থ্যগত সতর্কতা। শীতকালে সর্দি-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা এজমা, এলার্জিক রাইনাইটিস বা নাকের প্রদাহ, কনজাংটিভাটিস বা চোখ উঠা, ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, খুশকি, খোস পাচড়া প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
সর্দি-জ্বর বা কমন কোল্ড আমাদের অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ। আমাদের দেশে সম্ভবত এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যার বছরে অন্তত: দু-একবার সর্দি-জ্বর হয়নি। সর্দি-জ্বর মানবদেহের উর্ধ-শ্বাসনালীর ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমন। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশী মাত্রায় দেখা দেয়। কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন লোকদের এ রোগের ঝুকি বেশী। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়ায়। লক্ষণ দেখেই এ রোগ নির্ণয় করা যায়। সাধারণত: কোন ল্যাবেরেটরী পরীক্ষার দরকার হয় না। সর্দি-জ্বর হলে প্রথমে নাকে ও গলায় অস্বস্তি লাগে, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। নাক বন্ধও থাকতে পারে। মাথা ব্যথা, মাথা ভারী বোধ হওয়া, শরীরে ব্যথা, হালকা জ্বর, গলা ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। কখনও কখনও চোখ লাল হতে পারে এবং চোখ দিয়ে পানি ঝরতে পারে। সর্দি-জ্বরের সময় বিশ্রামে থাকতে পারলে ভাল। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পানি, লেবুর রস, আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। এ সময় ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রীম, ফ্রীজের পানি, কোল্ড ড্রিংক্স প্রভৃতি পরিহার করতে হবে। গরম চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে । এ রোগের চিকিৎসায় সাধারণত: এন্টিবায়োটিক-এর প্রয়োজন হয় না। জ্বর ও ব্যথা নাশক প্যারাসিটামল এবং এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়। তবে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমনের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবয়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে টন্সিলের বা ফুসফুসের সংক্রমন হওয়ার ঝুকি থাকে বিধায় রেজির্ষ্ট্রাড চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ খাওয়ানো উচিত।
সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যদের সংগে বিশেষ করে শিশুদের সংগে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেবার সময় বা নাকের পানি মুছতে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা অন্যরা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের স্লেষ্মা ফেলা যাবে না। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে বসবাস করতে হবে এবং বিরুপ পরিবেশে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময়ে এলার্জিক রাইনাইটিস, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বা এজমা থেকে বাঁচতে হলে ঠান্ডা এবং ধূলাবালি বা ডাষ্ট যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে রেজির্ষ্টাড চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ সেবন করতে হবে।
শীতকালে ডায়রিয়া কিংবা আমাশয়ের প্রকোপ বেশী দেখা যায়। সাধারনত: বাচ্চারা এ রোগে বেশী মাত্রায় আক্রান্ত হয়। পানি বা খাবারের সাথে এ রোগের জীবানু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাসি-পঁচা খাবার, রাস্তার ধারের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। মলত্যাগের পর এবং খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। যেখানে সেখানে মলত্যাগ না করে স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা পায়খানা ব্যবহার করতে হবে। ময়লা আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। মাছির বিস্তার রোধে বাড়ীর আসপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। আক্রান্ত রোগীকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
শীতকালে বায়ূমন্ডলের আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক বাতাস ত্বক থেকে শুষে নেয় পানি। ত্বক হয়ে পরে দূর্বল। ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি ও তৈলগ্রন্থি ঠিকমত ঘর্ম বা তৈলাক্ত পদার্থ তৈরী করতে পারে না। ক্রমান্বয়ে ত্বক হয়ে পড়ে আরও শুষ্ক, আরও দূর্বল। এক সময় ত্বকে দেখা দেয় ফাটল; বিশেষত ঠোঁট, হাত এবং পায়ে। অনেক সময় শীতকালে দেখা দেয় চুলকানী, একজিমা, স্কেবিস, হাম, চিকেন পক্স ইত্যাদি চর্মরোগ। আর এসব কারণেই শীতকালে ত্বকের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। শীতকালে সুন্দর ত্বকের জন্য পরবর্তীতে উল্লেখিত টিপ্সগুলো মেনে চলা প্রয়োজন:

১. প্রয়োজন অনুসারে গরম কাপড় ব্যবহার করুন। শরীরের উন্মুক্ত অংশগুলো যেমন- হাত, পা, কান ঢেকে রাখুন।

২. প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করুন এবং গোসলে সাবান ব্যবহার করুন।

৩. ত্বকে ময়েশ্চারাইজার অথবা গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে মাখুন।

৪. ত্বকে ভাল কোন তেলও ব্যবহার করতে পারেন, তবে তা অবশ্যই মাখবেন গোসলের পরে।

৫. মুখে ভাল কোন কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন।

৬. ভ্যাসলিন সংগে রাখুন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলেই ভ্যাসলিন মাখুন। ঠোঁটের শুষ্ক আবরণ টেনে তুলবেন না। জিভ দিয়ে বার বার ঠোঁট লেহন করবেন না।

৭. বেশীক্ষণ রোদ পোহাবেন না। রোদে বের হলে সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

৮. বয়সানুসারে সুষম খাদ্যের তালিকা তৈরী করুন। প্রচুর পরিমাণে শাক্সব্জি ও ফলমূল খান। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

৯. ছোঁয়াচে চর্মরোগে আক্রান্তদের সংস্পর্শ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

১০. টিনিয়াসিস, এক্জিমা, স্কেবিস, ইক্থায়োসিস, হাম, চিকেন পক্স প্রভৃতি চর্মরোগে আক্রান্ত হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শমত চিকিৎসা গ্রহন করুন।
সবাইকে ধন্যবাদ

লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।
ইমেইল: Kamruzzaman.mihir@gmail.com

শীতে শরীরকে সতেজ রাখার ১০ টি টিপস | 🩸🩸  #বিশেষ অসুখ বা সমস্যা থাকলে  #মেসেস দিন☎️আমাদের দ্রুত প্রবহমান জীবনের তালে আমরা ...
05/12/2020

শীতে শরীরকে সতেজ রাখার ১০ টি টিপস |

🩸🩸 #বিশেষ অসুখ বা সমস্যা থাকলে #মেসেস দিন☎️

আমাদের দ্রুত প্রবহমান জীবনের তালে আমরা এতটাই ব্যস্ত যে নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে ভাববার অবকাশ নেই বললেই চলে। শরীর যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় যখন কোনোরকম অসুস্থ হই । শীত এসে গেছে । সুস্থ থাকার জন্য মাত্র কয়েকটি বিষয় যদি মেনে চলি তাহলেই হয়তো অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবো । একদিকে ত্বক অন্যদিকে ঠোঁট শীতে খুব বেশি আক্রান্ত হয়। আর হজমের সমস্যার মূলে হল এই সময়কার Food Habit । কারণ গরম গরম চপ ,কাটলেট , চাউমিন , দোসা , সিঙ্গারা থেকে শুরু করে নানা মুখরোচক খাবার । ফ্রেন্ডদের অনুরোধ উপেক্ষা করাও কঠিন । তাই নিচের কয়েকটি বিষয় মেনে চলো দেখবে ভালো থাকবে এবং ভালো লাগবে ।

1. রোজ একটি করে কমলালেবু :🍋🍋

এ কথা নিশ্চয়ই বলার দরকার নেই যে যেকোনো seasonal fruit কতটা উপকরি । কমলায় থাকে আন্টি- অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন সি । যা শরীরকে তরতাজা রাখবে আর স্কিনের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখবে।

2. সকালে এক চামচ মধু :

এক গ্লাস কুসুম গরম জলের সঙ্গে এক চামচ মধু খুব উপকার করবে । শরীর গরম রাখবে । আর যদি সর্দি কাশির ধাত থাকে তবে অবশ্যই খাওয়া দরকার। আর এর আন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

3. একটি ডিম প্রতিদিন :

প্রতিদিনের মেনু তে একটি ডিম রাখা দরকার। কাউকে ডিমের উপকারিতা খোলসা করে আর বলে দেবার দরকার নেই। ক্যালসিয়াম , আয়রন , জিঙ্ক , ফসফরাস , নানা মিনারেল, এমাইনো এসিড সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন শীতের সময় নানা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে ডিমের মধ্যে থাকা এইসব বিভিন্ন উপাদান ।

4. চা :

সাধারণ চা নয় , গ্রিন টি । চা প্রেমীরাও দিনের তালিকায় আজই গ্রিন টি যোগ করে নাও। কারণ এর আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান তোমায় সুস্থ রাখতে পারবে আশা করা যায়।

5. শীতের সবজি :☘️🌿🥦🥬🥑

শীতের প্রায় সমস্ত সবজি ঘুরিয়ে মেনু বদলে খাবার তালিকায় রাখবে। এখানে তাজা সবজির উপকারিতার কথা বলার দরকার আছে কী !

6. গোসল করা ও হাত মুখ ধোয়া :

হা হা হা । বলতেই কেমন লাগে , কিন্তু ডাক্তারের কথামতো এ কথা মানতেই হবে । শীতের ঠান্ডায় প্রথমত শরীর শুষ্ক থাকে , দ্বিতীয়ত নানা ব্যাক্টিরিয়া জীবাণু আস্তানা গারে হাতে পায়ে , বিশেষত মোজার আড়ালে । তাই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত মুখ ধোয়া দরকার। আর গোসল ; কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে ফ্রেশ লাগবে । শরীর চনমনে থাকবে। মনে রাখা ভালো শরীর সবসময় চায় শরীরের তাপমাত্রার সমান তাপমাত্রার জলের ব্যবহার ।

7. ভালো ময়শ্চরাইজার ক্রিম :

সঙ্গে অবশ্যই পছন্দসই ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করবে। যারা বাইরে যাও তারা সঙ্গে বা ব্যাগ এ এটা রাখবে । হাত মুখ ধুয়ে ব্যবহার করবে । ঠোঁট এর জন্য একটা লিপ বাম জাতীয় কিছু বা গ্লিসারিন জাতীয় কিছু রাখো। অন্তত প্রতি 3 ঘন্টা অন্তর মুখ0 ধুয়ে ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা থাকবে না ।

8. আমলা জুস :

যারা মোবাইল বুকের উপর নিয়ে বেশি রাত জাগো আর যাদের সর্দিকাশির ধাত রয়েছে কিংবা যাদের হজম এর সমস্যা বা গ্যাস এসিডিটির সমস্যা আছে তারা আমলা জুস কিনে নাও। রোজ সকালে 30ml ( বয়স অনুসারে কমবেশি হতে পারে । কিন্তু ক্ষতি নেই সামান্য কমবেশিতের প্রাকৃতিক গুনমান ঠিক থাকলে )

9. মাস্ক ব্যবহার :

এটা আর নতুন করে কি বলব। করোনা আমাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে।
শুস্ক আবহাওয়া বলে খুব ধুলো বাতাসকে ভারাক্রান্ত করে রাখে যা খালি চোখে দেখাই যায় না। ফুসফুস এর বা স্বাস প্রশ্বাস জনিত কোনো সমস্যা না থাকলেও মাস্ক এর ব্যবহার সুস্থ ও আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে পারে।

10. হালকা এক্সারসাইজ :

হাঁটা বা হালকা এক্সারসাইজ , ডিপ ঘুম , হাসিখুশি থাকা শুধু শীত কেন সারা বছরই প্রয়োজন ।
ব্যস্ত জীবনের স্বাস্থ্য ভাবনায় খুব সংক্ষেপে টিপসগুলো দেয়া হলো । কারো শরীরে কোনো বিশেষ অসুখ বা সমস্যা থাকলে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শের জন্য অবশ্যই কল বা মেসেস করো। আর খু উ উ উ উ উ উ ব ভালো থাকবে।

স্বাগতম সবাইকে! তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে আমাদের এই সামান্য প্রয়াস। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ক...
04/12/2020

স্বাগতম সবাইকে!
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে আমাদের এই সামান্য প্রয়াস। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের জন্য আমাদেরকে কল করুন বা মেসেস দিন। ভুল তথ্য বা কুসংস্কার থেকে দূরে থাকুন। সঠিক পরামর্শ মেনে চিকিৎসা নিন। অনেক সময় সামান্য কাশি বা পেট ব্যাথাও মরনব্যাধি হয়ে দেখা দিতে পারে। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন।

03/12/2020
Starting out
03/12/2020

Starting out

27/11/2020

Address

Main Road, New Saheb Bazar, Muktagacha, Mymensingh
Muktagachha
2210

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Friday 09:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:30
Sunday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801712255711

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Antor Clinic & Diagnostic Pvt.ltd. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Antor Clinic & Diagnostic Pvt.ltd.:

Share

Category


Other Muktagachha clinics

Show All