17/06/2020
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ:
-------------------------------------
১.করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে (পজিটিভ হলে) মোটেও মন খারাপ বা মনোবল হারানো যাবে না। ৯৫ শতাংশ রোগীই কোন চিকিৎসা ছাড়াই আমাদের দেশে ভালো হয়ে যাচ্ছেন।
২.অবশ্যই আপনাকে আইসোলেশনে নিজ বাসায় অথবা আইসোলেশন সেন্টারে একটি পৃথক কক্ষে থাকতে হবে যেখানে এটাচড ওয়াশরুম থাকবে এবং এটি শুধুমাত্র আপনিই ব্যবহার করবেন।
৩. দরজার ফাঁক দিয়ে খাওয়া দাওয়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রুমে দেয়া এবং নেয়া যাবে।
৪. কাপড়-চোপড় ৩০ মিনিট ডিটারজেন্ট এ ডুবিয়ে এরপর সতর্কতার সাথে ধোয়া আবশ্যক।
৫. গলাব্যথা থাকলে প্রতিদিন ২/৩ বার লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। এছাড়াও ঘন ঘন গরম পানি ও গরম পানির ভাপ কার্যকর।
৬. ১০০ ডিগ্ৰী পর্যন্ত জ্বরে Tab Napa(500 mg) প্রতিদিন ৩ বেলা এবং এর বেশী জ্বরে Tab Napa (500mg) ২ টি একসাথে অথবা Napa Adult Suppository প্রতিদিন ২/৩ টি প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যাবে।
৭. নাক বন্ধ অথবা সর্দির জন্যে Tab Fenadin 120mg করে প্রতি রাতে ১ টি করে ৭ দিন দেওয়া যেতে পারে।
৮. Afrin Nasal drop(adult) ২/৩ ফোঁটা ২/৩ বার প্রতিদিন দুই নাকে দিলে স্বস্তি পাবেন।
৯. সাধারণ কাশির জন্যে Tab Levostar (2mg) করে দৈনিক সকালে ১টি ও রাতে ১টি দেয়া যেতে পারে।
১০. অতিরিক্ত কাশির জন্যে ইনহেলার Asthmasol ২ চাপ দৈনিক ৩ বেলা ও এর সাথে Tab Zimax 500mg দৈনিক সকালে ১টি ও রাতে ১টি করে ৭ দিন দেওয়া যেতে পারে।
১১. প্রতিদিন ২/৩ গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে ভিটামিন সি ট্যাবলেট না খেলেও চলবে।
১১. Tab XincB ট্যাবলেট ১ টি করে প্রতিদিন সকালে দেওয়া যেতে পারে, এতে শরীরের জিংক এর ঘাটতি থাকবে না।
১২. অনেক গুলো গবেষণায় ইভারমেকটিন( Ivermectin) এর ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে।
১৩. Tab Scabo অথবা Ivactin অথবা Ivera 12 mg, রোগীর ওজন ৫০ কেজির বেশী হলে যেকোন ১টি ট্যাবলেট ১ বার দেওয়া যেতে পারে।
১৪. Cap Doxin অথবা Doxicap (100mg) ক্যপসুল প্রতিদিন ১২ ঘন্টা পরপর ১টি করে প্রতিদিন ২টি ক্যপসুল ৭ দিন দেওয়া যেতে পারে। পজিটিভ টেষ্টের পর থেকেই এটি শুরু করে দেয়া ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় ডক্সিসাইক্লিনের উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে।
১৪. বাসায় আইসোলেশানে থাকা অবস্থায় কোনো রোগীর যদি শ্বাসকষ্ট অথবা বুকের ব্যাথা শুরু হয়ে যায় তাহলে রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে । এক্ষেত্রে অক্সিজেন ও হেপারিন ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের পথ্য:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। মাঝে মাঝে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে।
ফলের রস, যেমন, মাল্টার রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি পান করা উচিত।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ (গরম ২ গ্লাস ) ,ডিম (২টা), মাছ , মাংস ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
কোন অবস্থাতেই উপবাস থাকা যাবে না, এতে দূর্বলতা ও ক্লান্তি বেড়ে যাবে।
রোগীদের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে এবং মনোবল শক্ত রাখতে হবে।
জেলার করোনা ভাইরাস কন্ট্রোল রুম এর সাথে যোগাযোগ করে যেকোনো প্রয়োজনে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে।
সংগৃহীত।