Dr. Iqbal Mahmud

Dr. Iqbal Mahmud MBBS , BCS
MD(Cardiology), MACP (USA)
Fellowship on Interventional Cardiology,Fortis New Delhi,India

অনেকেই জানতে চান - এনজিওগ্রাম কী এবং এটি কীভাবে হৃদরোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে?আসলে এটি একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষা, যার মাধ্যমে...
08/07/2025

অনেকেই জানতে চান - এনজিওগ্রাম কী এবং এটি কীভাবে হৃদরোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে?

আসলে এটি একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষা, যার মাধ্যমে হার্টের রক্তনালিগুলোর প্রকৃত অবস্থা সরাসরি দেখা যায়। কখনো কখনো ইসিজি, ইকো বা ইটিটি স্বাভাবিক থাকলেও রক্তনালিতে ব্লক থাকতে পারে, যা শুধু এনজিওগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব।

✅ এনজিওগ্রাম কী?

📷 এক ধরনের এক্স-রে পরীক্ষা
🩸 এখানে হাত বা পায়ের রক্তনালী দিয়ে ক্যাথেটারের মাধ্যমে হার্টের রক্তনালীতে কনট্রাস্ট বা ডাই ( এক ধরনের মেডিসিন)পুশ করে হার্টের রক্তনালির ব্লক দেখা হয়
🧪এনজিওগ্রামের মাধ্যমে ব্লক কোথায়, কতটা, কত পার্সেন্ট তা নির্ণয় করা যায়।

🔍 কখন করা প্রয়োজন?
- হার্ট এটাকের পর
- হার্ট ফেইল, কার্ডিওমায়োপ্যাথির কারণ জানতে
- বুকে ব্যথা বা চাপ
-হার্টের কারনে অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল এসব রোগীদের হার্টের সমস্যা নিশ্চিত হতে।
- ইসিজি বা ইকো রিপোর্টে হার্টের সমস্যা ধরা পড়লে

⚙️ পদ্ধতি (প্রক্রিয়া):

1. এনজিওগ্রাম এক সময় কুচকির ( Femoral) রক্তনালি দিয়ে করা হতো, যেটা তুলনামূলক কষ্টদায়ক ছিল। এখন আমরা সাধারণত ডান হাতের রক্তনালী দিয়ে করে থাকি। যেখানে একটা ইনসুলিন সিরিঞ্জ দিয়ে লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়। রোগী শুধু মাত্র ইনসুলিন দেয়ার মতো ব্যথা বোধ করেন। হাতে এনজিওগ্রাম করলে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে রোগীরা দুই ঘন্টা পর বাসায় চলে যেতে পারেন।

2. এনেন্থেসিয়া দেয়ার পর হাতের রক্তনালী তে একটা সরু টিউব (ক্যাথেটার) প্রবেশ করানো হয়। যেটা সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত।

3. এরপর এই টিউব দিয়ে ডাই পুশ করে এক্স-রে তে ছবি তোলা হয়। ব্যস এনজিওগ্রাম শেষ।
4. সাধারণত একটা এনজিওগ্রাম করতে ১০-২০ মিনিট সময় লাগে। তবে এনজিওগ্রামের আগে রক্তের বেশ কিছু ফিটনেস টেস্ট দেখে নিতে হয়।

5. সবশেষে রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণঃ ব্লক অনুযায়ী কখনো ঔষধ, কখনো রিং বা এনজিওপ্লাস্টি, কখনো আবার বাইপাস প্রয়োজন পড়ে।

🛡️ সম্ভাব্য ঝুঁকি (খুব কম):

- অল্প রক্তপাত বা ব্যথা
- অ্যালার্জি
- কিডনিতে সাময়িক চাপ
- ১০০০০ মানুষের এনজিওগ্রাম করলে ১ জনের খুব বিরল কিছু জটিলতা হতে পারে। যেটা খুবই রেয়ার।

🧾 পরীক্ষার পর করণীয়:

- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
- পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে
- হাতে পা পায়ের ক্যাথেটার প্রবেশের স্থানে ভার না দেওয়া, এক সপ্তাহ ঐ হাত দিয়ে ভারী জিনিস না আলগানো। পায়ে করা হলে পা ভাঁজ করে নিচে / মাটিতে না বসা।
- রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন।

❌ এনজিওগ্রাম নিয়ে ভুল ধারণা

🚫 এটা অপারেশন বা হৃদরোগের চিকিৎসা নয় বরং হৃদরোগ নির্নয়ের পরীক্ষা।
🚫 শুধু এনজিওগ্রামে কোন ব্লক খোলে না
🚫 এনজিওগ্রাম করলেই সব সময় রিং বা বাইপাস লাগে না।
🚫 এটাতে তেমন কোন ব্যথা নাই। এটা শুধুই এক্সরে এর মতো একটা পরীক্ষা।


কারা এনজিওগ্রাম করেনঃ

সাধারণত হৃদরোগের উপর ডিগ্রীধারী ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্টরা করে থাকেন।

✅ স্মরণে রাখুন:

🕒 সময়মতো এনজিওগ্রাম মানে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা
🧑‍⚕️ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শই নিরাপদ পথ
❤️ সচেতন থাকুন, হৃদয়কে সুস্থ রাখুন

আপনার হৃদয়ের খবর রাখুন —প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম জানাবে তার ভিতরের কথা।

অনেকেই অল্প পরিশ্রমে বুকে চাপ বা ব্যথা, অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, হাঁটলে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করেন। এসব উপসর্গ হতে পা...
02/07/2025

অনেকেই অল্প পরিশ্রমে বুকে চাপ বা ব্যথা, অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, হাঁটলে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করেন। এসব উপসর্গ হতে পারে হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ব্লক (Coronary Artery Disease)হওয়ার ইঙ্গিত। এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক রোগ ডায়াগনোসিস খুবই জরুরি।

সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগ নির্ণয়ে একটি আধুনিক, কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি হচ্ছে সিটি করোনারি এনজিওগ্রাম (CT Coronary Angiogram)।
সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে অনেকেই আবার সিটি এনজিওগ্রাম নিয়ে অতিরিক্ত আগ্রহী।আসুন জেনে নি সিটি এনজিওগ্রামের খুঁটিনাটি।

🩺 সিটি এনজিওগ্রাম কী?

সিটি এনজিওগ্রাম একটি নন-ইনভেসিভ (কাটাছেঁড়াবিহীন) পরীক্ষা, যেখানে সিটি স্ক্যান মেশিন ও কনট্রাস্ট ডাই ব্যবহার করে হৃদপিণ্ডের ধমনিগুলো (coronary arteries) পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এতে বোঝা যায় ধমনিতে ব্লক বা সরু হওয়া আছে কিনা।

⚙️ কিভাবে করা হয় এই পরীক্ষা?
🔹 রোগীর হাতের শিরাতে একটি IV লাইনের মাধ্যমে বিশেষ ডাই (contrast dye) প্রবেশ করানো হয়
🔹 সেই ডাই রক্তনালিতে মিশে গেলে সিটি স্ক্যান মেশিন দিয়ে হৃদপিণ্ডের ছবি তোলা হয়
🔹 প্রয়োজনে পরীক্ষার আগে হার্টরেট কমাতে বিটা-ব্লকার ও নাইট্রোগ্লিসারিন দেওয়া হয়
🔹সিটি এনজিওগ্রামের সময় হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৬০-৭০ থাকতে হয়।

✅ কার জন্য এই পরীক্ষা উপযুক্ত?

❤️ যাদের বুকে ব্যথা আছে কিন্তু নিশ্চিত না এটি হৃদরোগ কি না এবং যাদেন হৃদরোগের
🧬 রিস্ক ফ্যাক্টর আছে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, পারিবারিক ইতিহাস)

📉 যাদের প্রাথমিক ইসিজি, ইকো বা ট্রেডমিল টেস্টে সন্দেহজনক ফল মানে ডেফিনিটলি বলতে পারে নাই আসলেই হৃদরোগ আছে কিনা।

❌ কারা এই পরীক্ষা করতে পারবেন না?
🤰 গর্ভবতী নারী (রেডিয়েশনের ঝুঁকি থাকায়)
🚱 যাদের কিডনির সমস্যা আছে (কনট্রাষ্ট/ ডাই কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে)
⚠️ যাদের কনট্রাস্ট ডাইয়ে অ্যালার্জি আছে
💓 যাদের হার্টরেট খুব অনিয়মিত এবং অনিয়ন্ত্রিত।
✒️ যাদের বুকের আকৃতি ঠিক নাই।
🔥 যারা শ্বাস ধরে রাখতে পারেন না।

🎯 এই পরীক্ষার উপকারিতা কী?

🔍 খুব দ্রুত ও মোটামুটি নিখুঁতভাবে ধমনিতে ব্লক আছে কিনা তা জানা যায়।

🔪 কোনো কাটা বা সার্জারির প্রয়োজন হয় না
🔄 অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্যান্ডার্ড এনজিওগ্রামের বিকল্প হতে পারে

⏱️ রোগ নির্ণয় ত্বরান্বিত হয়, চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়

📝 পরীক্ষার পরে করণীয়
💧 প্রচুর পানি পান করতে হবে ডাই শরীর থেকে বের করতে
🏃‍♂️ স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়া যায় একই দিনে
📃 রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসক পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন

হার্ট অ্যাটাক বা বাইপাস সার্জারির পর সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে তা হৃদরোগীদের জন্য শুধু নিরাপদই নয়, বরং এটি এটাক পরবর্ত...
25/06/2025

হার্ট অ্যাটাক বা বাইপাস সার্জারির পর সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে তা হৃদরোগীদের জন্য শুধু নিরাপদই নয়, বরং এটি এটাক পরবর্তী চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ব্যায়াম হৃদপিণ্ডকে আরও সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।

পাশাপাশি এটি স্ট্রেস কমায়, মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।

🔹 হার্ট অ্যাটাকের সাত দিন পর থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্মের মতো কয়েক মিনিট করে হাঁটাহাঁটি শুরু করা যায়। প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ মিনিট করে সময় বাড়িয়ে এক মাসে পৌঁছে যান আধা ঘণ্টা হাঁটায়।

🔹 বাইপাস সার্জারি বা রিং পরানো রোগীরাও একই নিয়মে হাঁটা শুরু করতে পারেন।

🔹 তবে গাড়ি চালাতে চাইলে হার্ট এটাকের পর ২ সপ্তাহ আর সার্জারীর পর ৪ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

⚠️ কিছু ক্ষেত্রে ব্যায়াম করা উচিত নয়:

✒️অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
✒️হার্টের ভালভ চুপসে যাওয়া
✒️জন্মগত হার্টের জটিলতা
✒️অত্যন্ত অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ

😮‍💨 হার্ট ফেইলিউরের রোগীরা সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন। তারা ততটুকুই হাঁটবেন যতটুকুতে শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত ক্লান্তি না হয়, বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব না হয়।

✅ হৃদরোগীদের জন্য ব্যায়ামের ৭টি নিরাপদ নিয়ম:
1️⃣ ব্যায়ামের আগে ৫ মিনিট ওয়ার্ম আপ এবং শেষে ৫ মিনিট কুল ডাউন
2️⃣ ভারি ব্যায়ামের পরিবর্তে হালকা হাঁটাহাঁটি বা জগিং
3️⃣ প্রতিদিন একই সময়ে হাঁটুন—সকাল বা বিকেল, তবে ভরা পেটে নয়
4️⃣ একটানা হাঁটতে কষ্ট হলে ভাগ করে হাঁটুন
5️⃣ বাড়ির কাছাকাছি বা কাউকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটুন, যাতে হঠাৎ অসুস্থ হলে সাহায্য পাওয়া যায়
6️⃣ বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করলে জিভের নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে দিন
7️⃣ ব্যায়ামের পরপরই গোসল নয়—আগে ১০–১৫ মিনিট বিশ্রাম নিন ও পানি পান করুন

🩺 মনে রাখবেন—আপনার হৃদয় যেমন ভালোবাসায় বাঁচে, তেমনি সঠিক যত্নে সুস্থ থাকে।
ব্যায়াম করুন, তবে শরীরকে বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। সঠিক রুটিনই হতে পারে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর সেরা উপায়। ❤️

অনেক মানুষের আকস্মিক মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কতটা অপ্রত্যাশিত হতে পারে। জ্ঞান হারানোর কিছুক্ষ...
15/06/2025

অনেক মানুষের আকস্মিক মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কতটা অপ্রত্যাশিত হতে পারে।

জ্ঞান হারানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে নেওয়া হলেও, অনেক সময়ই চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই অল্প সময়ের ব্যবধানে একটি কার্যকর ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা গেলে, হয়তো ফলাফল ভিন্নও হতে পারত।

এই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম সিপিআর (CPR) — কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন।

কেউ যদি হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা হৃদস্পন্দন থেমে যায়, তখন দ্রুত সিপিআর প্রয়োগ করলে তিনি ফিরে পেতে পারেন নতুন জীবন, হয়ে উঠতে পারেন আবার সুস্থ্য।

⚠️ কেন শিখবেন সিপিআর?
✅ জীবন-মৃত্যুর মাঝে সময় খুব কম—মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিট।
✅ এই সময়ের মধ্যে সিপিআর দিলে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন শুরু হয়
✅ চিকিৎসক আসার আগেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন লাইফসেভার।
✅ বিশ্বের বহু দেশে স্কুল থেকেই এটি শেখানো হয়—বাংলাদেশেও এই বিষয়ে সচেতনতা জরুরি

📌 কখন সিপিআর দিতে হয়?
- হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে
- শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ থাকলে
- হৃদস্পন্দন বন্ধ হলে
- পানিতে ডুবে যাওয়ার পর
- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বা দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেলে

🧠 সিপিআরের ৭টি ধাপ (CPR Step-by-Step Guide)

❶ পরিস্থিতি ও পরিবেশ যাচাই করুন
প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি এবং ভুক্তভোগী—উভয়েই নিরাপদ জায়গায় আছেন কি না।
যেমন: আগুন, ট্রাফিক, বিদ্যুৎ বা গ্যাস লিক ইত্যাদি ঝুঁকি থাকলে আগে সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে আসুন।

❷ সাড়া বা জ্ঞান আছে কিনা পরীক্ষা করুনঃ
ভুক্তভোগীর কাঁধে হাত দিয়ে জোরে জোরে বলুন:
"আপনি কি ঠিক আছেন?"
কোনো নড়াচড়া, চোখের পলক বা সাড়া না পেলে ধরে নিন সে অচেতন।

❸ জরুরি নম্বরে কল করুন (৯৯৯)
সঙ্গে কেউ থাকলে তাকে বলুন জরুরি সেবায় কল দিতে এবং AED (যদি থাকে) নিয়ে আসতে।
আপনি একা থাকলে, ফোনে স্পিকার অন করে CPR শুরু করুন এবং একসঙ্গে সাহায্যের জন্য ডাকুন।

❹ ভুক্তভোগীকে চিৎ করে শুইয়ে দিন ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করুনঃ

ভুক্তভোগীকে শক্ত সমতল জায়গায় চিৎ করে শুইয়ে দিন।
মাথা সামান্য পেছনে ঠেলে, চিবুক উঁচু করে নাক-মুখের কাছে মুখ রাখুন।
৮–১০ সেকেন্ড পর্যবেক্ষণ করুন:

- বুক উঠছে কি না
- নিঃশ্বাসের শব্দ আছে কি না
- নিঃশ্বাসের বাতাস গালে লাগছে কি না
- শ্বাস-প্রশ্বাস না পেলে সিপিআর শুরু করুন।

❺ বুকে চাপ (Chest Compressions) দিনঃ

- ভুক্তভোগীর বুকের মাঝখানে (নিপল লাইনের মাঝ বরাবর) দুই হাতের তালু একটার ওপর আরেকটা রেখে চাপ দিন।
- আপনার কনুই সোজা রাখুন, কাঁধ বুকের ওপরে রেখে শরীরের ওজন ব্যবহার করুন।
- প্রতি মিনিটে ১০০–১২০ বার গতিতে বুকের প্রায় ২ ইঞ্চি (৫ সেমি) গভীরে চাপ দিন।
- প্রত্যেক চাপের পর বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দিন।
- গুনে গুনে ৩০ বার চাপ দিন (compressions)।

❻ মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস দিন (Rescue Breaths)

- ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর মাথা পেছনে ঠেলে চিবুক উঠিয়ে দিন (head tilt–chin lift)।
- নাক চেপে ধরে ভুক্তভোগীর মুখে আপনার মুখ লাগিয়ে ধীরে ধীরে ১ সেকেন্ডে দুইবার ফুঁ দিন।
- প্রতিটি শ্বাস দেওয়ার পর দেখুন বুক উঠছে কি না।
- শ্বাস দেওয়ার সময় বুক না উঠলে, মাথা-পজিশন ঠিক করে আবার দিন।

❼ চালিয়ে যান যতক্ষণ না সাহায্য আসে বা ভুক্তভোগী সাড়া দেয়

- CPR চক্র চালিয়ে যান: ৩০ বার বুকের চাপ + ২ বার শ্বাস।
যতক্ষণ না:
- ভুক্তভোগী সাড়া দিচ্ছে বা শ্বাস নিচ্ছে
- প্রশিক্ষিত সাহায্যকারী (EMT/Paramedic) এসে পৌঁছেছে
- আপনি অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন এবং চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

- শিশু বা নবজাতকের ক্ষেত্রে বুকের চাপ হালকা ও দুই আঙুল দিয়ে দেওয়া হয়।
- যদি মুখে শ্বাস দেওয়া সম্ভব না হয় (ঝুঁকি বা অস্বস্তি), তাহলে শুধু বুকের চাপ দিয়েও CPR চালিয়ে যেতে পারেন — একে বলে Hands-Only CPR।
- AED (Automated External Defibrillator) থাকলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

🫱 সঠিক সময়ে CPR প্রয়োগ আপনার হাতে ফিরিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। শিখুন, শেখান, প্রয়োগ করুন

11/06/2025
ঈদ মোবারক। আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের ইবাদত, কুরবানী কবুল করুন।
07/06/2025

ঈদ মোবারক। আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের ইবাদত, কুরবানী কবুল করুন।

ঈদ মানেই উৎসব, আনন্দ, আর নানা রকম মুখরোচক খাবার! তবে এই উৎসবের খাদ্য তালিকা যেন আমাদের শরীরের জন্য বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়, স...
06/06/2025

ঈদ মানেই উৎসব, আনন্দ, আর নানা রকম মুখরোচক খাবার! তবে এই উৎসবের খাদ্য তালিকা যেন আমাদের শরীরের জন্য বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। বিশেষ করে যাঁরা হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই লেখায় তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ঠিক রাখা যায়—সুষম খাদ্য, পরিমিতিবোধ, নিয়মিত ব্যায়াম ও জীবনধারায় পরিবর্তনের মাধ্যমে।

❤️ হৃদ্‌রোগ ও কোরবানির ঈদে সচেতনতা

🟢 হৃদ্‌রোগ ও রক্তনালির সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও ট্রান্সফ্যাট খাওয়া কঠোরভাবে বারণ।
🟢 ঈদে মাংস খাওয়া একেবারে নিষেধ নয়, তবে পরিমিতি বজায় রাখা জরুরি।
🟢 মাংসের দৃশ্যমান সাদা চর্বি অংশ বাদ দিন।
🟢 ভুনা বা বার বার তেলে ভাঁজা মাংস, Heavily fried খাবার এড়িয়ে চলুন।
🟢 নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ চালিয়ে যান।

🧠 মানসিক প্রস্তুতি ও পরিমিতিবোধ

🟢 ঈদ কিংবা যেকোনো উৎসবে পরিমিতিবোধ বজায় রাখতে চাই মানসিক দৃঢ়তা।
🟢 সিদ্ধান্ত নিন “আগামীকাল থেকে নয়”, এখনই শুরু করুন।
🟢 স্বাস্থ্যসচেতন জীবনযাপন শুরু হোক এই মুহূর্ত থেকেই।

⚖️ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

🥗 উপায় ১: খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

🟢 শর্করা কমান: ভাত, আলু, চিনি, মিষ্টি ইত্যাদি কম খান।
🟢 খান: পরিমাণমতো চর্বি, মাছ, সাদা মাংস, ডিম (কুসুমসহ), প্রচুর শাকসবজি ও সালাদ।
🟢 দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন।

🚶‍♀️ উপায় ২: নিয়মিত ব্যায়াম

🟢 সপ্তাহে ৫ দিন, দিনে ৩০–৪০ মিনিট জোরে হাঁটুন—এভাবে যেন ঘাম ঝরে ও হৃদস্পন্দন ১২০ পৌঁছায়।
🟢 ব্যায়াম শুধু ওজন কমায় না, বরং—

❤️ হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখে
🩸 ব্লক মুক্ত রাখে
⚡ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কমায়
😊 মানসিক প্রশান্তি আনে

⚠️ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

🟢 উচ্চ রক্তচাপ (Silent Killer) প্রায় ৯০% ক্ষেত্রে উপসর্গহীন।
🟢 এটি হার্ট, কিডনি, মস্তিষ্ক, চোখ ও পায়ের রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
🟢 নিয়মিত চেকআপ ও ওষুধ গ্রহণে অবহেলা নয়।

🍬 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন

🟢 বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস টেস্ট করুন।
🟢 একটি মাত্র টেস্ট যথেষ্ট নয়—করুন দুইটি: নাশতার ২ ঘণ্টা পরের সুগার, HbA1C (৩ মাসের গড়)
🟢 প্রথম ধাপ: ডায়েট + ব্যায়াম
🟢 প্রয়োজনে খাবার বড়ি বা ইনসুলিন নিন চিকিৎসকের পরামর্শে।

🚭 ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন করুন
🟢 সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল, তামাকজাত দ্রব্য ও অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে বর্জন করুন।
🟢 এগুলো রক্তচাপ বাড়ায় ও হার্টের ক্ষতি করে।

🧪 কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
🟢 যাঁদের আগে হার্ট অ্যাটাক, ব্লক, বা স্ট্রোক হয়েছে—তাঁদের জন্য দুটি ওষুধ চিরকাল চালিয়ে যাওয়া উচিত:

🩺 কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ
💉 রক্ত পাতলা করার ওষুধ

✨ ঈদ হোক স্বাস্থ্যকর, আনন্দময় ও ভারসাম্যপূর্ণ। সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন! 🌙

নিয়মিত বাড়িতে রক্তচাপ পরিমাপ করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে বা আগে থেকে এই সমস্যা আছে। হা...
21/05/2025

নিয়মিত বাড়িতে রক্তচাপ পরিমাপ করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে বা আগে থেকে এই সমস্যা আছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসকের চেম্বারে যেসব ম্যানুয়াল ম্যানোমিটার দেখা যায়, সেগুলো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে এই যন্ত্র চালানোর পদ্ধতিটি ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। বর্তমানে বাজারে সহজে ব্যবহারযোগ্য অটোমেটেড রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্র পাওয়া যায়, যা ঘরে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। তবে যন্ত্রটি সঠিকভাবে রিডিং দিচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। কারণ, কোনো লক্ষণ ছাড়াই এটি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্...
17/05/2025

বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। কারণ, কোনো লক্ষণ ছাড়াই এটি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আমরা সাধারণত একে হাই প্রেশার বা শুধুই প্রেশার বলেও উল্লেখ করে থাকি।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। ‘বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭–১৮’ অনুযায়ী, দেশে প্রতি চার জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।

✅ স্বাভাবিক রক্তচাপ কী ও কত?

রক্ত চলাচলের সময় এটি ধমনীর দেয়ালে চাপ প্রয়োগ করে, অনেকটা রাবারের পাইপের ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের মতো। এই চাপকে রক্তচাপ বলা হয়।

রক্তচাপ সাধারণত দুইটি মানে প্রকাশ করা হয়:

👉সিস্টোলিক চাপ (উপরের চাপ): হৃদপিণ্ড সংকোচনের সময় রক্তনালিতে যে চাপ পড়ে।

👉ডায়াস্টোলিক চাপ (নিচের চাপ): হৃদপিণ্ড প্রসারণের সময় রক্তনালিতে যে চাপ পড়ে।

➡️ একটি সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রক্তচাপ সাধারণত ১২০/৮০ mmHg ধরা হয়, তবে এটি একটি গড় মান। বিশ্বের সব মানুষের জন্য এটি একক মান হতে পারে না।

▶ স্বাভাবিক রক্তচাপের রেঞ্জ:
সিস্টোলিক (উপরের চাপ): ১০০ – ১৪০ mmHg
ডায়াস্টোলিক (নিচের চাপ): ৬০ – ৯০ mmHg

এই সীমার মধ্যে থাকলে রক্তচাপকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়।

⚠️ উচ্চ রক্তচাপ কী?
যদি:

সিস্টোলিক চাপ > ১৪০ mmHg

অথবা ডায়াস্টোলিক চাপ > ৯০ mmHg

তাহলে এটি উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure) বা হাইপারটেনশন হিসেবে ধরা হয়।

🩸 লো ব্লাড প্রেশার কী?
যদি:

সিস্টোলিক চাপ < ৯০ mmHg

অথবা ডায়াস্টোলিক চাপ < ৬০ mmHg

তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার (Low Blood Pressure) ধরা হয়।

🧠 উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কী?

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ভয়ংকর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে:

❤️ হার্টের সমস্যা:

- হৃদপিণ্ডের পেশি মোটা হয়ে দুর্বল হতে পারে
- রক্ত পাম্প করতে না পারলে হার্ট ফেলিউর হতে পারে
- রক্তনালী সংকুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে

🧠 ব্রেন স্ট্রোক:

- মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়ে স্ট্রোক হতে পারে
- চোখের রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়ে অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে

🧬 কিডনি সমস্যা:

- কিডনির কার্যকারিতা কমে গিয়ে ডায়ালাইসিস লাগতে পারে
- কিডনি নষ্ট হলে রক্তচাপ আরও বাড়ে — এটি একটি দুষ্টচক্রে পরিণত হয়

❗ নীরব ঘাতক কেন?

উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো – এর প্রথমিক লক্ষণ প্রায়ই প্রকাশ পায় না। রোগী অনেক সময় বুঝতেই পারেন না যে তার শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

⚠️ উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ

যদিও এটি অনেক সময় লক্ষণহীন থাকে, তবে কিছু সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে:

- প্রচণ্ড মাথাব্যথা
- ঘাড় ব্যথা
- মাথা ঘোরা
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- সহজে রেগে যাওয়া
- কানে শব্দ হওয়া
- অস্থিরতা বা ভারসাম্যহীনতা

🧬 উচ্চ রক্তচাপের কারণ

- বয়স বৃদ্ধি (বিশেষত ৫০ বছরের পর)
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
- পারিবারিক ইতিহাস
- শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
- ধূমপান, মদ্যপান, বা অতিরিক্ত ক্যাফেইন
- দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা
- মানসিক চাপ
- কিডনি, হরমোন বা অন্যান্য শারীরিক জটিলতা

যেসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণ ধরা যায় না, সেগুলোকে বলা হয় প্রাইমারি বা এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন।

🛡️ উচ্চ রক্তচাপ হলে করণীয়

✅ জীবনধারায় পরিবর্তন:

👉 লবণ কমানো: অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। পাতে বাড়তি লবণ ও চানাচুর, চিপস, সল্টেড বিস্কুট কম খান।
ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন
👉ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
👉নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম জরুরি
👉মানসিক চাপ কমান

✅ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:

👉তেলে ভাজা, চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়া
👉রেড মিট পরিহার করা
👉 অতিরিক্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার কমানো
👉 বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

উচ্চ রক্তচাপ এক নীরব ঘাতক—যা আমাদের অজান্তেই মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তবে নিয়মিত চেকআপ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

আপনার রক্তচাপ আজই পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত ইনডোর কম্পিটিশনে দুইটা খেলায় (কেরাম, দাবা) অংশ নিয়ে জোড়া পুরস্কার পেয়েছি। য...
08/05/2025

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত ইনডোর কম্পিটিশনে দুইটা খেলায় (কেরাম, দাবা) অংশ নিয়ে জোড়া পুরস্কার পেয়েছি। যদিও এই খেলাগুলো প্রায় ১০ বছর পর খেলতে গেছি। পুরস্কার বিতরনী প্রোগ্রামের শেষের দিকে থাকতেই চমেকের এক বিশেষজ্ঞ ছোট ভাই ফোন করলো তার বাবার বুকে ব্যথা, যেটা থুতনীর দিকে যাচ্ছে। বুঝে গেলাম ঘটনা খারাপ। বললাম তাড়াতাড়ি পার্কভিউতে নিয়ে আসো। আমি আসছি। টিমকে ফোন করলাম, চলে আসতে। গিয়ে দেখি হার্টের মেইন রক্তনালি ১০০% বন্ধ। রিং দিয়ে ব্লক খুলে দিতেই আংকেলের ব্যথা উধাও।

মেডিকেল থেকে আসতে আসতেই আরেক মেডিকেল স্টুডেন্টের ফোন যার বাবা আমার দীর্ঘদিনের পুরনো রোগী। উনার বুকে ব্যথা লাগছে, বল্লাম লোডিং দিয়ে নিয়ে আসো।

আসার পর দেখি উনারও হার্ট এটাক। পরে জানলাম একটু আগে যিনি আসছেন উনারা দুজনেই বেয়াই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ছোট ভাইয়ের শ্বশুর। যে আবার আমার রেসিডেন্ট ছিলো। আমি তার অবস্থা চিন্তা করে ঘেমে যাচ্ছি একবেডে নিজের বাবা, পাশের বেডে শ্বশুর দুজনেরই হার্ট এটাক। দুজনকেই আমার প্রাইমারি করতে হবে। সেই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল এই বেচারা স্ট্রেস আর আমার স্ট্রেস অন্য সবার চেয়ে আলাদা। দুজনই ডাক্তারের বাবা এবং শ্বশুর।

দ্বিতীয় জনের ডান পাশের রক্তনালিতে ব্লক। রক্তের দলা জমা, এরকম জায়গায় রিং দিলেও রক্তপ্রবাহ তৈরি হয় না। বিশেষ যন্ত্র দিয়ে এই দলা বের করতে হয়। সমস্যা উনার রক্তনালী অনেক প্যাঁচানো।
চ্যালেঞ্জের পর চ্যালেঞ্জ।

এসব রক্তনালিকে কিভাবে সোজা করে রক্তের দলা বের করতে হয় সেই টেকনিক নিয়ে আমি আমার ফেলোশীপ চলাকালীন সময়ে গুরুর সাথে দীর্ঘ আলোচনা করতাম।

অনেক টেকনিক তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। সো আমি কনফিডেন্ট, এই চাকা বের করে তারপর রিং দিবো। যদিও আমার টিম ইতস্তত করছিল। আমি আমার পথে হাঁটলাম, বিশেষ তার দিয়ে রক্তনালি সোজা করে থ্রম্বোসাকশান করে রক্তের দলা বের করে নিয়ে আসলাম। তারপর রিং দিতেই পুরো রক্তনালীতে রক্তকনান অবিরাম ছুটে চলা শুরু।

প্রতিটি প্রসিডিওরের পর আমরা নিজের কাজ রিভিউ করি। আর কিছু কি করা যেত কিনা, চিন্তা করি।

এই দুজনের প্রাইমারী দেখে মন ভালো লাগছে, হাইলি স্ট্রেসফুল কন্ডিশনে চমৎকার দুইটা প্রসিডিওর আল্লাহর পক্ষ থেকে দুইটা মেডাল। আলহামদুলিল্লাহ!!!

হজ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলেও এটি শারীরিকভাবে অনেক পরিশ্রমসাধ্য। যারা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য হজ্জের সময় কিছু বিশ...
03/05/2025

হজ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলেও এটি শারীরিকভাবে অনেক পরিশ্রমসাধ্য। যারা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য হজ্জের সময় কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

হজ্জে যাওয়ার আগে,
(১) অবশ্যই একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

(২) প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন ইসিজি, ইকো, ইটিটি প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে, আপনি শারীরিকভাবে হজ্জের পরিশ্রম করার জন্য সামর্থ্যবান কিনা।

(৩) আপনার নিয়মিত ওষুধ যথেষ্ট পরিমাণে সাথে করে নিতে হবে যাতে হজ্জের পুরো সময়জুড়ে ওষুধের কোনো ঘাটতি না হয়।

(৪) ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং পূর্ববর্তী মেডিকেল রিপোর্ট কপি সঙ্গে রাখা বাঞ্ছনীয়।

হজ্জকালীন সময়ে,
(১) ভিড় বা দীর্ঘ পথ হাঁটার সময় ধীরে চলা এবং মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

(২) প্রচণ্ড গরম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ছাতা ব্যবহার করুন, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

(৩) তাওয়াফ বা সাঈ করার সময় খুব বেশি ভিড় বা গরম থাকলে সময় নির্বাচন পরিবর্তন করুন এবং নিজেকে চাপের মধ্যে ফেলবেন না।

(৪) সবসময় পরিবার বা গ্রুপের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং আপনার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের জানিয়ে রাখুন।

হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে,
(১) সঙ্গে সঙ্গে হাঁটা বন্ধ করে বসে পড়ুন বা বিশ্রামের চেষ্টা করুন।

(২) যদি আপনার সঙ্গে নাইট্রোগ্লিসারিন (Nitroglycerin) স্প্রে থাকে, তাহলে তা দুইচাপ জিহ্বার নীচে দিয়ে ৫-১০ মিনিট বসে বিশ্রাম করুন। স্প্রে নিয়ে হাঁটা শুরু করলে অনেকের মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।

(৩) শরীর খারাপ লাগলে আশেপাশের লোকদের সহযোগিতা নিন।

(৪) বেশি অসুবিধা হলে দ্রুত নিকটস্থ মেডিকেল টিম বা হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

(৫) সময় নষ্ট করবেন না—দ্রুত সিদ্ধান্তই জীবন বাঁচাতে পারে।

হজ্জ শেষে, দেশে ফিরে এসে আবারও একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি হজ্জের সময় কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, সেটি চিকিৎসককে জানান এবং পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

❗ মনে রাখবেন, হৃদরোগ থাকা মানেই হজ্জ পালন করা যাবে না, এমন নয়—বরং সচেতনতা, প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি নিরাপদে হজ্জ পালন করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।

🕊️ আল্লাহ তাআলা আপনাকে সুস্থতা দিন, হজ্জ কবুল করুন এবং সব রকম বিপদ থেকে হেফাজত করুন।

⚕️🫀শুক্রবারের কার্ডিওলজিষ্টঃটুকিটাকি কাজ প্রতিদিনই করা হয়। দেশীয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে মানসিক অস্থিরতা ও পেশাগত ব্যস...
29/04/2025

⚕️🫀শুক্রবারের কার্ডিওলজিষ্টঃ

টুকিটাকি কাজ প্রতিদিনই করা হয়। দেশীয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে মানসিক অস্থিরতা ও পেশাগত ব্যস্ততার দরুনে আজকাল আগের মতো লেখা হয়ে উঠে না।

শুক্রবারে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শহরে থাকেন না বলে রোগীরা মনে করেন বোধহয় অনেক জরুরী সেবা শুক্রবারে পাওয়া যাবে না। ইন্ডিয়া থেকে আসার পর আমার নোয়াখালীর সাপ্তাহিক চেম্বার অফ করে দেই। ইমার্জেন্সি কোন প্রসিডিওর থাকলে সেটা পার্কভিউতে করি। গত শুক্রবার টা আমার অন্যরকম ভালোলাগার দিন। কাজ প্রতিদিনই করা হয়, কিন্তু নিজ কমিউনিটি বা পরিচিত কারো জন্য সুন্দর ইন্টারভেনশন করতে পারলে আমার অতিরিক্ত ভালো লাগে।

আলহামদুলিল্লাহ, শুক্রবার প্রাইমারী পিসিআই, ফার্মাকোইনভেসিভ পিসিআই, NSTEMI তে Complete revascularization, ইন্টারভেনশনের অত্যাধুনিক চিকিৎসা Drug coated Balloon, পায়ের এনজিওগ্রাম সবই করার সুযোগ হয়েছে। দারুণ সব কাজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
সব রোগী স্ট্যাবল।

কেস: ১ঃ

ফেনীতে হার্ট এটাক করে, সেখানে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্লক খোলার ঔষধ দিয়ে আমার কাছে রেফার করেন। আমরা এনজিওগ্রাম করে ডানপাশের রক্তনালী ১০০% বন্ধ পাই। বিশেষ ইনস্ট্রুমেন্ট দিয়ে রক্তের চাকা বের করে রিং দিয়ে রক্তনালি সচল করে দেই।

কেস: ২ঃ

এক চিকিৎসকের ছোটভাইয়ের পরিচিত ৩৬ বছর বয়সী রোগী সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বুকে ব্যথা। সে ইসিজি করে হার্ট এটাক দেখে রোগী সরাসরি পার্কভিউ তে পাঠিয়ে আমাকে ফোন করে। রোগী পার্কভিউতে ডুকার ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা প্রাইমারী পিসিআই শেষ করি। ক্যাথল্যাবে ডুকিয়ে এনজিওগ্রাম ও প্রাইমারী পিসিআই করতে আমার ১৩ মিনিট সময় লাগে। এটা আমার করা দ্রুততম প্রাইমারী।

কেস ৩ঃ

এক মেডিকেল স্টুডেন্ট ছোটবোনের বাবা বুকে ব্যথা নিয়ে আসলে আমরা হার্টএটাক পাই ( NSTEMI)। উনাকে এনজিওগ্রামের এডভাইজ করলে মেডিকেল স্টুডেন্ট বোন টি বলে, তার জীবনের ও তাদের পরিবারের সব ডিসিশনই তার বাবা নেন। এখন এই ডিসিশন সে নিতে পারছে না, কি করবে বুঝতে পারছে না। আমি তাকে কাউন্সেলিং করে এনজিওগ্রাম করি।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তার ৩ টা বড় রক্তনালি তে ব্লক পাই। দুইটা রক্তনালীতে রিং ও আরেকটা তে আমরা একেবারেই আধুনিক পদ্ধতি "। Drug coated balloon" করে তিনটা রক্তনালিই ঠিক করে দেই।
আরো একজন চিকিৎসকের ভাইয়ের হার্টের ও পায়ের রক্তনালীর এনজিওগ্রাম করি।

সারাদিনই কোন না কোন চিকিৎসকের আত্মীয় স্বজনের ইন্টারভেনশন করলাম।

Address

Muradpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Iqbal Mahmud posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share