সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট

  • Home
  • Bangladesh
  • Muradpur
  • সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট

সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্রছাত্রী দ্বারা পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান
(1)

১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ (নতুন) এর ই ব্যাচের ছয়জন ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন, মোশাররফ হোসেন মুক্ত, মোঃ ইদ্রিস আলী মঞ্জু, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মোস্তফা সেলিমুল হাসনাইন ও খুরশীদ আহমেদ অপু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী পরবর্তীতে কালের আবর্তনে সময়ের সাথে সাথে স্বীয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে সেবা পরিমন্ডলের সুপরিচিত বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়। সন্ধানী, চট্টগ্রাম মেডিকে

ল কলেজ ইউনিটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮২ সালের শেষের দিকে। নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখে সন্ধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আসা ডাঃ শহীদুল্লাহ, ডাঃ আলতাফ ও ডাঃ আজাদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান পুরুষ ছাত্রাবাসের ৩২/সি (ডাঃ মুকিত শফিউল আলম টুকু এর রুম)-এ ডাঃ মুকিত শফিউল আলম টুকু, ডাঃ তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামাল, ডাঃ রিন্টু, ডাঃ নিয়ামুল, ডাঃ এনাম, ডাঃ সব্বির, ডাঃ সাখাওয়াৎ, ডাঃ ওবায়েদ, ডাঃ সালাম প্রমূখের সাথে সন্ধানীর কার্যক্রম আলোচনা করেন। কলেজে সন্ধানীর ইউনিট গঠনের ব্যাপারে সবাই একমত হন। ডাঃ মুকিত শফিউল আলম টুকু এবং আরো কয়েকজন উদ্যমী তরুণের আগ্রহে ডাঃ তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামালকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এবং এই কমিটি পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি গঠন করে।

সন্ধানী চ.মে.ক ইউনিটের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ১৯৮২ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যেখানে শিরিনাজ বেগম স্বাতী প্রথম রক্তদান করেন। ১৯৮৫ সালে হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক কর্নেল মোঃ মহসীন সন্ধানীকে একটি রুম, কিছু চেয়ার টেবিল ও ঔষধ রাখার জন্য একটি বড় আলমারী দান করেন। পরবর্তীতে কাজের পরিধির বিস্তৃতির সাথে সাথে সন্ধানীর অফিস রুমেরও বিস্তৃতি ঘটেছে। সন্ধানী চমেক ইউনিট সমাজকল্যান পরিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে ১৯৮৬ সালের ২রা ডিসেম্বর (রেজি: নং চট্ট১২৪৮/৮৬)।

সংগঠনটির আর্থিক সংকট নিরসনে প্রথম যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তারা হলেন হাসপাতালের সামনের দোকানগুলোর মালিক সমিতি। সন্ধানীর নিজস্ব তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৮-৮৯ কার্যবর্ষে তিন দিন ব্যাপী “তোমরাই” নাটক মঞ্চায়ন, ১৯৯০-৯১ কার্যবর্ষে জুয়েল আইচের যাদু প্রদর্শনীর আয়োজন এই কার্যক্রমের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

সন্ধানী কার্যক্রম শুধু অফিস কেন্দ্রিক না করে চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয় ১৯৮৯-৯০ কার্যবর্ষে। এই কার্যবর্ষে মহেশখালী দ্বীপে দুই দিন ব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান, উদ্বুদ্ধকরন ও জনস্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানো হয়। একই বছর মাইজদী, ফেনী, ছাগলনাইয়া, কক্সবাজার, বোয়ালখালী ও সীতাকুন্ডে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। পরের বছরই প্রথম বিজয় মেলায় উম্মুক্ত স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ সন্ধানীর কর্মীরা শুধু মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেই ক্ষান্ত হয়নি। প্রয়োজনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪র্থ বর্ষের মেডিকেল ছাত্র শহীদ মাহমুদ মুন্নার চিকিৎসা বাবদ এক লক্ষেরও অধিক টাকা সংগ্রহ করে তার পরিবারকে প্রদান করে। একই ভাবে সাহায্য করেছে আবু ওসমানীর পরিবারকেও। ৯১-এর ভয়াল ঘুর্ণিঝড়ে দুর্গত এলাকায় প্রেরিত মেডিকেল টিম দীর্ঘ একমাস তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছিল। শুধু নিকটবর্তী জায়গাগুলোতে নয় এই কার্যক্রম সন্দ্বীপ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। জাপানস্থ ডাঃ হাসিনা প্রজেক্টের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য চকোরিয়ায় ৩১টি টিউবয়েল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ঘুর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত চকোরিয়ার মেহের নামা হাইস্কুল পুনঃনির্মান এবং হারবাং-এ আরো একটি নতুন স্কুল স্থাপন করা হয়। এভাবে সন্ধানী পৌঁছে গেছে মানুষের খুব কাছে।

১৯৯২-৯৩ কার্যবর্ষে অর্থের অভাবে যাদের লেখাপড়া সম্ভব হয়ে উঠে না, সেইসব অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়ে যাওয়া কুঁড়িদের আবার নতুন করে বিকশিত হবার সুযোগ করে দিয়েছে ‘আশিনাগা ওবাসান’ ও ‘শিনসু সন্ধানী’ প্রকল্পের আওতায় বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের জন্য সন্ধানী প্রথমতঃ ডাঃ কাজুইউকি ফুনাৎসু ও দ্বিতীয়তঃ মিসেস মিৎসুকো হরিউচির নিকট কৃতজ্ঞ।

১৯৮৯ সালে শ্রীলংকার মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের সফল পথ প্রদর্শক ডাঃ হাডসন সিলভার বাংলাদেশে আগমনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামেও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি গঠিত হয়।

১৯৯৪-৯৫ কার্যবর্ষে সন্ধানী চ.মে.ক. এর জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। এই বছর সন্ধানীতে ইনার হুইল ক্লাবের সহযোগিতায় প্রথম স্ক্রিনিং সিস্টেমের প্রচলন করা হয়। একই বছর সন্ধানীর সংগ্রহে সংযুক্ত হয় একটি কম্পিউটার। ১৯৯৬-৯৭ কার্যবর্ষে সন্ধানী ৪৫০ জনকে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে শুরু করে স্বল্পমূল্যে নিয়মিত হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচী। সন্ধানীর সংগৃহীত রক্ত সংরক্ষণের জন্য ১৯৯৯-২০০০ কার্যবর্ষে একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক রেফ্রিজারেটর ক্রয় করা হয়। ২০০৬-০৭ কার্যবর্ষে চালু হয় ELISA মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্ক্রিনিং সিস্টেম। ২০০৭ এর ৭ই ডিসেম্বর সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট পালন করে তার গৌরবময় মানবসেবার রজতজয়ন্তী। ২০০৯ সালে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট সফলতার সাথে আয়োজন করে ২৮তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সম্মেলন এবং ২০১৪ সালে আয়োজন করে ৩৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সম্মেলন। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সংযুক্ত হয় নতুন আরেকটি সায়েন্টিফিক ব্লাড স্টোরেজ রেফ্রিজারেটর। ২০১৬-১৭ সেশন অফিস রেকর্ড ডিজিটালাইজেশনের কাজ।
২০১৯-২০ সেশনে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট তার মানবসেবায় তার গৌরবময় অবদানের জন্য "অমর একুশে স্মারক সম্মাননা পদকে" ভূষিত হয়। এছাড়াও চালু হয় ইউনিটের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.sandhanicmcu.org। উদ্বোধন হয় নতুন স্থায়ী কার্যালয়।

আজ ৭ জুলাই, ২০২৫ইং, "ডা. তরুন তপন বড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং প্রজেক্ট" এর আওতায় সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের...
07/07/2025

আজ ৭ জুলাই, ২০২৫ইং, "ডা. তরুন তপন বড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং প্রজেক্ট" এর আওতায় সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তরোগ বিভাগের সহায়তায় মেডিকেল শিক্ষার্থী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে মোট ৩ জনকে বিনামূল্যে 'হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস' পরীক্ষা করানো হয়।

থ্যালাসেমিয়া নামক জিনঘটিত রোগের অভিশাপ থেকে বাঁচাতে প্র‍য়াত উপদেষ্টা ডা. তরুন তপন বড়ুয়ার স্মরণে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট চালু করেছে "ডা. তরুন তপন বড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং প্রজেক্ট" যার মাধ্যমে বিনামূল্যে 'হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস' পরীক্ষা করানো হবে।

এই কার্যক্রমটি চলবে প্রতি মাসের প্রথম সোমবার,

🔴কারা পরীক্ষাটি বিনামূল্যে করাতে পারবেনঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের যেকোনো শিক্ষার্থী এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ভাই বোন এবং নিকট আত্মীয়

🔴কোথায় করানো হবেঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজী বিভাগে ।

এ রোগ প্রতিহত করার মাধ্যমে সমাজে নতুন থ্যালাসেমিক শিশুর জন্ম হ্রাস করা যায়। সুতরাং দেরী না করে পরীক্ষা করতে যোগাযোগ করুন সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের অফিসে। পরীক্ষা করতে হলে প্রথমে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত আত্মীয়ের (অন্তত একজন) পূর্বের ইলেক্ট্রোফোরেসিস রিপোর্ট সংক্রান্ত কাগজপত্র সন্ধানীর অফিসে জমা দিতে হবে।

অফিসের ঠিকানাঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর নতুন একাডেমিক ভবনের নিচ তলা।
মোবাইল নম্বরঃ +৮৮০২৩৩৩৩৫৬৬২৫

সার্বিক সহযোগীতায়ঃ রক্তরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

থ্যালাসেমিয়া, একটি বহুল পরিচিত জিনঘটিত রোগ যার কারণে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদন হয় না কিংবা কমে...
05/07/2025

থ্যালাসেমিয়া, একটি বহুল পরিচিত জিনঘটিত রোগ যার কারণে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদন হয় না কিংবা কমে যায়। এতে থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষের মধ্যে অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। রক্ত স্বল্পতায় ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে একজন রোগীর অঙ্গহানি (প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া) কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। যদি স্বামী-স্ত্রী দুজনই থ্যালাসেমিয়া বাহক বা একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক এবং একজন হিমোগ্লোবিন ই এর বাহক হয় তবে প্রতি গর্ভাবস্থায়- এ রোগে আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ২৫ ভাগ। বাহক শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ৫০ভাগ। আর সুস্থ শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ২৫ ভাগ।
স্বামী স্ত্রী দুজনের যেকোন একজন যদি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন, তাহলে নবজাতকের থ্যালাসেমিক হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে নবজাতক থ্যালাসেমিয়ার বাহক হতে পারে যা কোন রোগ নয়।

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা জরুরি কেনোঃ

⚫ একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে প্রত্যেক মাসেই রক্ত দিতে হবে এবং তার চিকিৎসা খরচও ব্যয়বহুল।

⚫ বার বার রক্ত পরিবর্তনের কারণে থ্যালাসেমিয়ার রোগীদের রক্তবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন-হেপাটাইটিস হতে পারে।

⚫ অতিরিক্ত আয়রন জমা হয়ে হার্ট, প্যানক্রিয়াস, লিভার, অণ্ডকোষ ইত্যাদি অঙ্গের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। অস্থিমজ্জা প্রসারিত হয়ে যায় এবং এতে হাড় পাতলা ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এতে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

⚫ এছাড়া বিভিন্ন রোগের জটিলতার কারণে থ্যালাসেমিক ব্যক্তি অল্প সময় বাঁচতে পারে ।

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল, এ রোগের বাহকদের শনাক্ত করা। এজন্য ব্যাপক স্ক্রিনিং কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। বাহকদের চিহ্নিত করে তাদের প্রত্যেককে বংশবিষয়ক পরামর্শ দিতে হবে। দু’জন বাহক যদি একে অন্যকে বিয়ে না করে তাহলে কোনো শিশুরই থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করা সম্ভব নয়।

তাই এই অভিশাপ থেকে বাঁচাতে প্র‍য়াত উপদেষ্টা ডাঃ তরুন তপন বড়ুয়ার স্মরনে রক্তরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর হেমাটোলোজি বিভাগের সহযোগিতায় সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট চালু করেছে "ডা তরুন তপন বড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং প্রজেক্ট" যার মাধ্যমে বিনামূল্যে "হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস" পরীক্ষা করা হবে।

🔴 কারা পরীক্ষাটি বিনামূল্যে করাতে পারবেনঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের যেকোনো শিক্ষার্থী এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ভাই বোন এবং নিকট আত্মীয়

🔴 কোথায় করানো হবেঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজী বিভাগে (ওয়ার্ড নং ৩৭)

এ রোগের প্রতিহত করার মাধ্যমে সমাজে নতুন থ্যালাসেমিক শিশুর জন্ম হ্রাস করা যায়। সুতরাং দেরী না করে পরীক্ষা করতে যোগাযোগ করুন সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের অফিসে। অফিসে এসে প্রথমে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর পূর্বের ইলেকট্রোফরেসিস রিপোর্টসংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অফিসের ঠিকানাঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর নিউ একাডেমিক ভবনের নিচ তলা।

যে কেউ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হতে পারেন। তাই আপনি বাহক কি-না, তা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিন। বাহক হওয়া কোনো লজ্জার বিষয় নয়। থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে নিজে সতর্ক হোন, অন্যকে সচেতন করুন ।

📣📣📣 বিঃদ্রঃ আগামী ৭ জুলাই সকাল ১০টায় হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট করানো হবে। কেউ টেস্ট করাতে আগ্রহী হলে কমেন্ট বক্সে ইন্টারেস্টেড লিখার বিনীত অনুরোধ করছি।

আজ ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ইং, রোজ শুক্রবার সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট এ হেপাটাইটিস-বি, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং জরায়ু...
04/07/2025

আজ ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ইং, রোজ শুক্রবার সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট এ হেপাটাইটিস-বি, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

ভ্যাক্সিন গ্রহীতাঃ
#হেপাটাইটিস_বি_ভ্যাক্সিন (Hepa-B)-
১ম ডোজ- ২৫ জন
সর্বমোট- ৬৪ জন

#টাইফয়েড ভ্যাক্সিন( vaxphoid)-
সর্বমোট- ০০ জন

#ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন (Influvax Tetra)-
সর্বমোট- ০১ জন

#জরায়ুমুখক্যান্সার ভ্যাক্সিন (Papilovax)-
১ম ডোজ- ৮ জন
সর্বমোট- ২৫ জন

অংশগ্রহণে,
৬৩তম প্রজন্ম- মেহজাবিন, হৃদিকা
৬৪তম প্রজন্ম- তুহি, সানজি, সাদিয়া
৬৫তম প্রজন্ম- হুমায়রা
অফিস সহকারী- সুরুজ

সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

***সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামীকাল (০৪/০৭/২০২৫), রোজ শুক্রবার সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের নিয়মিত...
03/07/2025

***সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামীকাল (০৪/০৭/২০২৫), রোজ শুক্রবার সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের নিয়মিত ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি চলবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি চালু থাকবে।***

সন্ধানী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট (নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায়, ফোন নংঃ ০১৮৪১৮৫৬৬২৫, ০২৩৩৩৩৫৬৬২৫) হেপাটাইটিস বি, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে।

#হেপাটাইটিস_বি
*ভ্যাক্সিনঃ HEPA B
*ডোজঃ ০, ১, ২, ১২ মাস
*মূল্যঃ (প্রতি ডোজ)
৫৫০ টাকা - (মেডিকেল স্টুডেন্ট, ডাক্তার, নার্স )
৬০০ টাকা - নন মেডিকেল
*স্ক্রিনিং চার্জ - ১০০টাকা (১ম ডোজের সময়)

#টাইফয়েড
*ভ্যাক্সিনঃ Vaxphoid
*ডোজঃ ১টি (৩ বছর পর পর একটি করে বুস্টার ডোজ দিতে হয়)
বয়স সীমাঃ ২ বছরের ঊর্ধ্বে।
*মূল্যঃ ৫০০ টাকা

#ইনফ্লুয়েঞ্জা
*ভাক্সিনঃ Influvax tetra
*ডোজঃ ১টি ( প্রতি বছর একটি করে দিতে হয়)
*মূল্যঃ ৯৫০ টাকা

#জরায়ুমুখক্যান্সার
* ভ্যাক্সিনঃ Papilovax
*ডোজঃ
১) ৯-১৪ বছর (২টি) - ০, ৬ মাস
২) ১৫-৪৫ বছর (৩টি) - ০, ১, ৬ মাস
*মূল্যঃ (প্রতি ডোজ)
২৪০০ টাকা - (মেডিকেল স্টুডেন্ট, ডাক্তার, নার্স)
২৫০০ টাকা - নন মেডিকেল

আসুন ঘাতকব্যাধি হেপাটাইটিস বি, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।

বি.দ্রঃ হেপা-বি ভ্যাক্সিন ভায়াল ফর্ম থেকে প্রি-ফিলড সিরিঞ্জ করা হয়েছে। তাই কোম্পানি কর্তৃক ভ্যাক্সিনের বাজার মূল্য ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটে মেডিকেল পার্সনদের জন্য ভ্যাক্সিনের মূল্য প্রতি ডোজ ৫৫০ টাকা এবং নন-মেডিকেল পার্সনদের জন্য ভ্যাক্সিনের মূল্য প্রতি ডোজ ৬০০ টাকা করা হয়েছে। ধন্যবাদ।

আজ ২৫শে জুন, ২০২৫ইং, বিশ্ব শ্বেতদাগ (ভিটিলিগো) দিবস। এই বছরের প্রতিপাদ্য: "প্রত্যেক ত্বকের জন্য উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিম...
25/06/2025

আজ ২৫শে জুন, ২০২৫ইং, বিশ্ব শ্বেতদাগ (ভিটিলিগো) দিবস। এই বছরের প্রতিপাদ্য: "প্রত্যেক ত্বকের জন্য উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিতে"

🔹 শ্বেতদাগ বা ভিটিলিগো কী?

শ্বেতদাগ (Vitiligo) হলো একটি ত্বকের সমস্যা, যেখানে ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে রঙ উৎপাদনকারী কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে ওই অংশ সাদা দাগের মতো দেখা দেয়। এটি ছোঁয়াচে নয়, জীবনের জন্য ক্ষতিকর নয়।

🔹 ভুল ধারণা ও কুসংস্কার

শ্বেতদাগ কোনো পাপ বা দোষ নয়। এটি ছোঁয়াচে নয়, তাই আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব রাখার কোনো কারণ নেই।সামাজিক বঞ্চনা ও অবজ্ঞা অনেক সময় আক্রান্তদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

🔹 প্রযুক্তি ও চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে শ্বেতদাগের দ্রুত ও সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসায় অনেক উন্নতি হয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য হলো সবাইকে সমান অধিকার ও সম্মান দেয়া এবং শ্বেতদাগ নিয়ে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া‌।

আমরা মনে রাখি, প্রত্যেক ত্বকই সুন্দর। শ্বেতদাগ নিয়ে সচেতন হই এবং মিথ্যা কুসংস্কার দূর করি।

গত ১৭ই জুন, ২০২৫, সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের মরণোত্তর ২টি কর্ণিয়া সংগ্রহ নিয়ে মেডিভয়েস, জনতার চট্টগ্রাম ও স...
23/06/2025

গত ১৭ই জুন, ২০২৫, সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের মরণোত্তর ২টি কর্ণিয়া সংগ্রহ নিয়ে মেডিভয়েস, জনতার চট্টগ্রাম ও সিটিজি নিউজ অনলাইন পত্রিকায় "সন্ধানী চমেক ইউনিটের কর্ণিয়া সংগ্রহে নতুন সাফল্য" সারাবাংলা অনলাইন পত্রিকায় "মরণের পর দৃষ্টিহীনদের জন্য রেখে গেলেন আলো" ও একুশের বানী অনলাইন পত্রিকায় "কর্ণিয়া সংগ্রহে সফল 'সন্ধানী' চমেক ইউনিট" শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গত ১৭ই জুন, ২০২৫, সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের মরণোত্তর ২টি কর্ণিয়া সংগ্রহ নিয়ে সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় "সন...
22/06/2025

গত ১৭ই জুন, ২০২৫, সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের মরণোত্তর ২টি কর্ণিয়া সংগ্রহ নিয়ে সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় "সন্ধানী চমেক ইউনিটের কর্ণিয়া সংগ্রহ" শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গত ১৭ই জুন, ২০২৫, সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের মরণোত্তর ২টি কর্ণিয়া সংগ্রহ নিয়ে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় "সন্ধা...
22/06/2025

গত ১৭ই জুন, ২০২৫, সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের মরণোত্তর ২টি কর্ণিয়া সংগ্রহ নিয়ে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় "সন্ধানী চমেক ইউনিটের কর্ণিয়া সংগ্রহ" শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গত ১৭ই জুন ২০২৫, মঙ্গলবার,সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের প্রচেষ্টায় সফলভাবে দুটি কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়।কর্ণিয়া দ...
18/06/2025

গত ১৭ই জুন ২০২৫, মঙ্গলবার,

সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের প্রচেষ্টায় সফলভাবে দুটি কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়।
কর্ণিয়া দাতা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া গ্রামনিবাসী প্রয়াত প্রদীপ চৌধুরী গত দুপুর ২ঘটিকায় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৬৬ বছর।
মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছা ছিলো নিজের চোখের কর্ণিয়া কাউকে দান করার মাধ্যমে যেনো তার চোখের আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পায় অন্য এক মানুষের আঁধার পৃথিবী। বাবার শেষ ইচ্ছাটি পূরণ করতে এগিয়ে এলেন তার মেয়ে প্রজ্ঞা লাবনী চৌধুরী। যোগাযোগ করলেন সন্ধানীর সাথে।

সন্ধানী চমেক ইউনিট টিম মুহূর্তের মধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়ে সফলতার সাথে তার চোখের কর্ণিয়া সংগ্রহ করলো। এই কর্ণিয়া হয়তো একজন অন্ধ মানুষকে দৃষ্টির আলো উপহার দেবে। আমরা মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করি।
কর্ণিয়া সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন সন্ধানীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের -
উপদেষ্টা ডাঃ মোঃ ওমর ফয়সাল
৬৩তম প্রজন্মঃ মিথিলা।
৬৪তম প্রজন্মঃ সুমাইয়া, সামিহা, হানি, ঐন্দ্রিলা।
৬৫ তম প্রজন্মঃ অনির্বাণ।

আজ ১৪ই জুন ২০২৫, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।এই বছরের প্রতিপাদ্য: "রক্ত দিন, আশা দিন: একসাথে আমরা জীবন বাঁচাই।"প্রতিনিয়ত কত অজা...
14/06/2025

আজ ১৪ই জুন ২০২৫, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।
এই বছরের প্রতিপাদ্য: "রক্ত দিন, আশা দিন: একসাথে আমরা জীবন বাঁচাই।"

প্রতিনিয়ত কত অজানা প্রাণের পুনর্জন্ম হয় এই গ্রহে! রক্তদাতার হাত ধরে রক্তদানের মাধ্যমে এভাবেই জ্বলে ওঠে নিষ্প্রভ একেকটি জীবনের প্রদীপ। কালের যাত্রায় এভাবেই রক্তের রঙে রেঙে উঠুক নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুন ভবিষ্যৎ। তাইতো এমন একটি মহৎ কাজের শামিল হওয়ার বাসনায় উদ্দীপ্ত হওয়া- প্রতিটি হৃদয়বান ব্যক্তি হতেই কাম্য।

এরই হাত ধরে, চলুন, আমরা সবাই এই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে রক্তদানপূর্ব কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত হই -

১/রক্তদাতার হিমোগ্লোবিন, রক্তচাপ, পালস, ওজন সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা নিশ্চিত করা।
২/রক্তদানের পূর্বে অবশ্যই গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ ও দাতার রক্তের গ্রুপ একই কিনা তা পরীক্ষামূলকভাবে যাচাই করা।
৩/রক্তদাতার কোন সংক্রমণমূলক ব্যাধি(HIV, সিফিলিস, হেপাটাইটিস B\C ইত্যাদি) আছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া।
৪/একজন স্বাস্থ্যকর্মীর তত্ত্বাবধানে রক্তদান করা।

মনে রাখতে হবে, আমার প্রদানকৃত প্রতিটি রক্তের ফোঁটা, কারো জীবনের প্রতি সেকেন্ডের নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই মূল্যবান।
তাই আসুন, নিজেও রক্তদান করি,অন্যকেও রক্তদানে উৎসাহিত করি। ফিরে আসুক নির্বাপিত এক জীবন- কারো বাবা,কারো মা,কারো সন্তান অথবা স্বজন।আজ ১৪ই জুন ২০২৫, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।
এই বছরের প্রতিপাদ্য: "রক্ত দিন, আশা দিন: একসাথে আমরা জীবন বাঁচাই।"

প্রতিনিয়ত কত অজানা প্রাণের পুনর্জন্ম হয় এই গ্রহে! রক্তদাতার হাত ধরে রক্তদানের মাধ্যমে এভাবেই জ্বলে ওঠে নিষ্প্রভ একেকটি জীবনের প্রদীপ। কালের যাত্রায় এভাবেই রক্তের রঙে রেঙে উঠুক নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুন ভবিষ্যৎ। তাইতো এমন একটি মহৎ কাজের শামিল হওয়ার বাসনায় উদ্দীপ্ত হওয়া- প্রতিটি হৃদয়বান ব্যক্তি হতেই কাম্য।

এরই হাত ধরে, চলুন, আমরা সবাই এই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে রক্তদানপূর্ব কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত হই -

১/রক্তদাতার হিমোগ্লোবিন, রক্তচাপ, পালস, ওজন সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা নিশ্চিত করা।
২/রক্তদানের পূর্বে অবশ্যই গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ ও দাতার রক্তের গ্রুপ একই কিনা তা পরীক্ষামূলকভাবে যাচাই করা।
৩/রক্তদাতার কোন সংক্রমণমূলক ব্যাধি (HIV, সিফিলিস, হেপাটাইটিস B\C ইত্যাদি) আছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া।
৪/একজন স্বাস্থ্যকর্মীর তত্ত্বাবধানে রক্তদান করা।

মনে রাখতে হবে, আমার প্রদানকৃত প্রতিটি রক্তের ফোঁটা, কারো জীবনের প্রতি সেকেন্ডের নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই মূল্যবান।
তাই আসুন, নিজেও রক্তদান করি, অন্যকেও রক্তদানে উৎসাহিত করি। ফিরে আসুক নির্বাপিত এক জীবন- কারো বাবা, কারো মা, কারো সন্তান অথবা স্বজন।

সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা।ঈদ-উল-আজহা আমাদের জীবনকে ত্যাগ, সহানুভ...
07/06/2025

সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা।

ঈদ-উল-আজহা আমাদের জীবনকে ত্যাগ, সহানুভূতি এবং দয়ার পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, আসুন আমরা একে অপরের সাহায্যে পাশে দাঁড়াই এবং আমাদের সমাজে ভালোবাসা, শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করি।

ঈদ মুবারক! ঈদ আপনার জীবনে অবারিত সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক।

আজ ৫ই জুন ২০২৫, বিশ্ব পরিবেশ দিবস।এই বছরের প্রতিপাদ্য: “প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি।”প্রতিদিন আমরা যে প্লাস্টিক ব্যবহার করি-...
05/06/2025

আজ ৫ই জুন ২০২৫, বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
এই বছরের প্রতিপাদ্য: “প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি।”

প্রতিদিন আমরা যে প্লাস্টিক ব্যবহার করি- বোতল, প্যাকেট, স্ট্র, পলিথিন- তার একটা বিশাল অংশই আমাদের চারপাশের নদী, খাল, সমুদ্র ও মাটিতে জমে থেকে পরিবেশ দূষিত করছে।
এগুলো শত শত বছরেও নষ্ট হয় না। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, প্রাণিকূল ও আমাদের স্বাস্থ্য।

🧴 প্লাস্টিক দূষণের বিপদ:
✔ মাছ ও পাখি প্লাস্টিক গিলে ফেলে, যা তাদের মৃত্যুর কারণ হয়।
✔ প্লাস্টিক থেকে উৎপন্ন মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে।
✔ প্লাস্টিক পোড়ালে সৃষ্টি হয় বিষাক্ত গ্যাস, যা মানুষের ফুসফুস ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

🌱 আমাদের করণীয়:
১) একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ করুন : প্লাস্টিক বোতল, স্ট্র, কটলারির পরিবর্তে পুনঃব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহার করুন।
২) শপিংয়ে নিজের ব্যাগ নিয়ে যান : পলিথিন নয়, ব্যবহার করুন কাপড় বা জুট ব্যাগ।
৩) প্লাস্টিককে পুনঃব্যবহার ও রিসাইকেল করুন: ব্যবহারের পর ফেলে না দিয়ে ঠিকমতো সংগ্রহ ও রিসাইক্লিং নিশ্চিত করুন।
৪) সচেতনতা ছড়ান: পরিবার, বন্ধু ও সমাজে প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে জানান।

🌍 পরিবেশ রক্ষা মানে আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা।
একটি ছোট পরিবর্তন, ফেলতে পারে অনেক বড় একটি প্রভাব।
আসুন, প্লাস্টিকমুক্ত সবুজ ও সুস্থ পৃথিবী গড়ি একসাথে।

প্লাস্টিককে না বলুন, প্রকৃতিকে ভালোবাসুন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলুন বাসযোগ্য একটি গ্রহ।

Address

Muradpur

Opening Hours

Monday 09:00 - 23:00
Tuesday 09:00 - 23:00
Wednesday 09:00 - 23:00
Thursday 09:00 - 23:00
Friday 09:00 - 23:00
Saturday 09:00 - 23:00

Telephone

+8801841856625

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট:

Share