Insaaf Healthcare and Diagnostic Centre

Insaaf Healthcare and Diagnostic Centre Committed to Care

সকালের নাস্তা শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ‘সকালের নাস্তা ’ না করলে নানান শারীরিক জটিলতায় পড়তে পারেন। রাতে ঘুমের কারণে...
10/07/2025

সকালের নাস্তা শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ‘সকালের নাস্তা ’ না করলে নানান শারীরিক জটিলতায় পড়তে পারেন। রাতে ঘুমের কারণে মোটামুটি ৭-৮ ঘণ্টার মতো সময় আমাদের পেট খালি থাকে।সারা দিন শক্তি পেতে চাইলে সকালে নাস্তা খেতে হবে।

সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা শক্তি জোগানোর পাশাপাশি সারা দিনের কাজেও উৎসাহ জোগায়। তাই দিনের শুরুতে কখনোই খাবার বাদ দেবেন না। সকালের খাবার ঠিকভাবে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে –

১. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়:

-----সকালের খাবার ঠিকভাবে খেলে তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে সকালের খাবার বাদ দেয়ার অভ্যাস থাকলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। সকালের খাবার বাদ দিলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস পায় এবং দুপুরের খাবারের পর আবার তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে ডায়াবেটিস হতে সময় লাগে না।

২. হার্টের জন্য ভালো:

-----সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা কেবল আপনার স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না, সেই সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে হার্ট ভালো রাখতেও কাজ করে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ধমনি ব্লক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে এটি আরও অনেক অসুখ ডেকে আনতে পারে যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হাইপার টেনশন, স্থূলতা ইত্যাদি। ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

----আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তবে কোনোভাবেই সকালের খাবার বাদ দেয়া যাবে না। সকালে পেট ভরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা আপনাকে সারা দিন ঘনঘন ক্ষুধা লাগা থেকে দূরে রাখবে। ফলে পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না এবং অন্যান্য বেলার খাবারেও সঠিক পুষ্টি বেছে নিতে পারবেন।

৪. প্রতিদিনের পুষ্টির জোগান দেয়:

-----সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে তা আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন ও খনিজের জোগান দেয়। অন্যদিকে যারা সকালের খাবার এড়িয়ে যান, তারা এসব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত থাকেন। সকালের খাবারে যদি প্রোটিন, আস্ত শস্য, ডাল, দুধ, ফল ও প্রচুর শাকসবজি রাখেন, তাহলে তা আপনার দিনটি দুর্দান্তভাবে শুরু করতে সাহায্য করবে।

৫. মস্তিষ্কের জন্য ভালো:

----নিয়মিত সকালের খাবার খেলে আমাদের মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করা সহজ হয়। ফলে যারা সকালের খাবার বাদ দেন, তাদের চেয়ে যারা সকালের খাবার নিয়মিত খান, তাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। নিয়মিত সকালের খাবার খেলে মস্তিষ্কের উন্নতি আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

আমাদের অনেকেই দিনের শুরুটা এমন কিছু খাবার দিয়ে করি, যেগুলো প্রথম দেখায় নিরীহ বা এমনকি স্বাস্থ্যকর বলে মনে হতে পারে। কিন্...
05/07/2025

আমাদের অনেকেই দিনের শুরুটা এমন কিছু খাবার দিয়ে করি, যেগুলো প্রথম দেখায় নিরীহ বা এমনকি স্বাস্থ্যকর বলে মনে হতে পারে। কিন্তু খালি পেটে এসব খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক কতটা উপকারী, তা আমরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না।

এই অভ্যাসগুলো অনেক সময় পরিবার থেকে পাওয়া, শোনা বা দেখে শেখা—যেমন, খালি পেটে এক গ্লাস দুধ খাওয়া ভালো কিংবা সকালে ফল খাওয়াই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। সকালে খালি পেটে কিছু খাবার শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত, তা জানলেই স্বাস্থ্যকর দিনের শুরু করা সম্ভব।
যেমন:

১. দুধ

অনেকের কাছেই, দুধ সকালের প্রধান খাদ্য। কিন্তু খালি পেটে দুধ পান করলে কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এক গ্লাস দুধ অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা এবং এমনকি শ্লেষ্মা তৈরির কারণ হতে পারে। যদি আপনার প্রায়ই পেট ফাঁপার সমস্যা হয় অথবা সকালে দুধ খাওয়ার পর পেট খারাপ হয়, তাহলে এটিই কারণ হতে পারে।

২. ফল

ফলকে স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু খালি পেটে ফল খাওয়া সবসময় ভালো না-ও হতে পারে। ফলের মধ্যে ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার থাকে, যা পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং কখনো কখনো এমনকী পেট ফাঁপারও কারণ হতে পারে। এছাড়াও ফলের প্রাকৃতিক শর্করা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে দ্রুত ক্ষুধা লাগতে পারে।

৩. ব্ল্যাক কফি

অনেকেই কফি ছাড়া তাদের দিন শুরু করার কথা কল্পনাও করতে পারেন না, বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি। কিন্তু ব্ল্যাক কফি খালি পেটে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং পেটে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করতে পারে, যা অস্বস্তি ও ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

কোরবানির ঈদ মানেই গোশত আর ভারী খাবারের আয়োজন। এ সময়ে সুস্বাদু নানা খাবার উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হলেও অতিরিক্ত খাবার খা...
30/06/2025

কোরবানির ঈদ মানেই গোশত আর ভারী খাবারের আয়োজন। এ সময়ে সুস্বাদু নানা খাবার উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হলেও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার পর বদহজম, পেট ফাঁপা বা অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঈদের সময় পেটের যত্ন নিতে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য খাবারের ওপর নির্ভর করাই ভালো। হজমশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার উপকারী, সেগুলোর কিছু নিচে তুলে ধরা হলো—

১.দই

--দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পরিপাকতন্ত্রে বাস করে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। নিয়মিত দই খেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য বজায় থাকে এবং খাবার সহজে হজম হয়।

২.মৌরি

-মৌরি শুধু স্বাদ বাড়ায় না, বরং এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টিস্পাসমোডিক উপাদান পেটের মসৃণ পেশিকে শিথিল করে, যার ফলে গ্যাস, ফোলাভাব ও পেটব্যথার মতো সমস্যা হ্রাস পায়।

৩.চিয়া বীজ

--চিয়া বীজে উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে, যা পেটে গিয়ে জেল জাতীয় পদার্থ তৈরি করে। এটি প্রিবায়োটিকের মতো কাজ করে এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। চিয়া বীজ মলকে নরম করে ও পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে।

৪.পেঁপে

--পেঁপেতে পাপাইন নামক একটি হজম সহায়ক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা কমায়। অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও পেঁপের এনজাইম ব্যবহার করা হয়।

৫.গোটা শস্য

--ওটস, কুইনো, ফারো বা গমজাত গোটা শস্যে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

৬.বিটরুট

--বিট একটি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, যা অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি সালাদ, স্মুদি বা আচার হিসেবে খাওয়া যায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।

৭.আদা

--আদা প্রাচীনকাল থেকেই হজমের জন্য কার্যকর হিসেবে পরিচিত। এটি পেট থেকে খাবার দ্রুত অন্ত্রে স্থানান্তরে সাহায্য করে। ফলে বমি ভাব, অম্বল ও পেটে অস্বস্তির সমস্যা কমে যায়।

৮.সবুজ শাকসবজি

--শাকসবজিতে থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এগুলো অন্ত্রের পেশির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং পরিপাকতন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করে।

৮.স্যালমন মাছ

--ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ স্যালমন মাছ শরীরের প্রদাহ কমিয়ে হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।

ঈদের সময়ে ভারী খাবারের সঙ্গে এই উপাদানগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে হজম সহজ হবে এবং পেট থাকবে সুস্থ।
যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

লাল রঙের কিছু সাধারণ খাবার রয়েছে, যেগুলো শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারী। এসব খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন...
25/06/2025

লাল রঙের কিছু সাধারণ খাবার রয়েছে, যেগুলো শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারী। এসব খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রদাহ-বিরোধী উপাদান, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ভালো খবর হলো—এই খাবারগুলো আমাদের খুব চেনা, প্রায় প্রতিদিনের রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি লাল রঙের উপকারী খাবার রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।যেমন:

🔺টমেটো

টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা টমেটোকে লাল রঙ দেয়। এটি এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে, প্লাক জমা হওয়া রোধ করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টমেটো রান্না করলে তা লাইকোপিন শোষণকে বাড়িয়ে তোলে, তাই ঘরে তৈরি টমেটো স্যুপ বা পাস্তা সস খেতেই পারেন। টমেটোর সালাদ নিয়মিত খেলেও উপকার পাবেন।

🔺বিট

বিটের স্বাদ আপনার পছন্দ না হলেও এর গুণগুলো এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিট নাইট্রেট দিয়ে ভরপুর, যা শরীর নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। নাইট্রিক অক্সাইড একটি প্রাকৃতিক যৌগ যা রক্তনালীকে শিথিল করতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে। এর অর্থ হলো রক্তচাপ কমানো, রক্ত সঞ্চালন ভালো করা এবং হৃদযন্ত্র অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা। বিটে প্রচুর ফোলেট, ফাইবার এবং পটাসিয়াম থাকে। এসব পুষ্টি উপাদান হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।

🔺লাল আপেল

লাল আপেল ফ্ল্যাভোনয়েড, বিশেষ করে কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে সাহায্য করে। এতে দ্রবণীয় ফাইবারও থাকে, যা অন্ত্রে কোলেস্টেরলের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং বের করে দেয়। আপেলের খোসাই হলো সবচেয়ে জাদুকরী অংশ, তাই খোসা ছাড়াবেন না! নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি এবং রক্তচাপ কমাতেও কাজ করে।

🔺লাল আঙুর

লাল আঙুর রেসভারট্রোল সমৃদ্ধ। এটি একটি যৌগ যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, প্রদাহ কমায় এবং রক্তনালীর নমনীয়তা উন্নত করে। আস্ত লাল আঙুর খেলে তা আপনাকে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক চিনির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এটি রেসভারট্রোল ধমনীর ভেতরের আস্তরণ রক্ষা করতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ।

🔺স্ট্রবেরি

ভিটামিন সি, পলিফেনল এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি প্রদাহ কমাতে, ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হার্ভার্ডের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা সপ্তাহে তিনবারের বেশি স্ট্রবেরি বা ব্লুবেরি খান তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৩২% কম থাকে।

তাই এই ফল আপনার খাবারের তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

কোরবানির ঈদ মানেই ত্যাগের মহিমা, আত্মার পরিশুদ্ধি আর নানান মাংসের লোভনীয় পদে ভরপুর এক উৎসব। বছরের এই বিশেষ দিনে দেশের প্...
07/06/2025

কোরবানির ঈদ মানেই ত্যাগের মহিমা, আত্মার পরিশুদ্ধি আর নানান মাংসের লোভনীয় পদে ভরপুর এক উৎসব। বছরের এই বিশেষ দিনে দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই বিরাজ করে গরু বা খাসির মাংসের সুবাস। কাবাব, রেজালা, কোর্মা থেকে শুরু করে ভুনা পর্যন্ত নানা রকম রান্নায় জমে ওঠে উৎসবের আয়োজনে।

তবে উৎসবের এই আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে অনেকেই অজান্তেই অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খেয়ে ফেলেন। চিকিৎসকদের মতে, এতে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা, বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এটি হতে পারে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খাওয়ার ফলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে ----

১. হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত মাংস, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাংস হজম হতে অনেক সময় নেয়। এতে পেট ব্যথা, গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এমনকি ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের পিত্তথলিতে সমস্যা থাকলে হজমে আরও বেশি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

২. হৃদরোগের ঝুঁকি: কোরবানির মাংসে, বিশেষ করে গরু ও খাসির মাংসে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে এই ধরনের ফ্যাট গ্রহণ করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা বেড়ে যায়, যা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

৩. রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি: অতিরিক্ত মাংস খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে জয়েন্টে ব্যথা, বিশেষ করে গেঁটে বাত বা গাউটের সমস্যা বেড়ে যায়। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের জন্যও এটি মারাত্মক হতে পারে।

৪. ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা: মাংসে প্রচুর ক্যালরি থাকে। উৎসবের মৌসুমে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাংস খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়, যা ওজন বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থূলতার কারণ হতে পারে। স্থূলতা আবার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. কিডনির উপর চাপ: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনির উপর চাপ বাড়ে। যারা কিডনি রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

▫️যেভাবে ঈদের মাংস উপভোগ করবেন—

১.পরিমিত পরিমাণে খান: একবারে অনেক মাংস না খেয়ে, ছোট ছোট অংশে ভাগ করে সারা দিনে খান। প্রতিটি খাবারে মাংসের পরিমাণ সীমিত রাখুন।

২.চর্বি বাদ দিন: মাংস রান্নার আগে দৃশ্যমান চর্বিগুলো কেটে বাদ দিন। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কমে আসবে। চামড়াসহ মাংস পরিহার করুন।

৩.রান্নার পদ্ধতি: ভাজা বা অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভুনা না করে গ্রিল, বারবিকিউ, সেদ্ধ বা কম তেলে মাংস রান্না করুন। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেকটাই কমবে।

৪.আঁশযুক্ত খাবার ও সবজি: মাংসের সাথে প্রচুর পরিমাণে সালাদ, সবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার খান। এটি হজমে সাহায্য করবে এবং পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখবে।

৫.পর্যাপ্ত পানি পান: মাংস খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি হজমে সাহায্য করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করবে।

৬.হাঁটাচলা: ঈদের দিনে অলসতা না করে হালকা হাঁটাচলা করুন। এতে হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকবে।

৭.আদা ও লেবুর ব্যবহার: মাংস রান্নায় আদা ব্যবহার করুন, কারণ আদা হজমে সাহায্য করে। খাওয়ার পর লেবু পানি পান করতে পারেন, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

৮.লবণ পরিমিত ব্যবহার: উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে খাবারে লবণের ব্যবহার কমিয়ে দিন।

ঈদ আনন্দের, তবে সেই আনন্দ যেন স্বাস্থ্যের জন্য বোঝা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। পরিমিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস খেয়ে ঈদ উদযাপন করুন সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।

করলার নাম শুনলেই অনেকের মুখে তেতো স্বাদের কথা ভেসে আসে। বেশিরভাগ মানুষ এই সবজিকে তাদের খাবারের তালিকা থেকে দূরে রাখেন। ক...
30/05/2025

করলার নাম শুনলেই অনেকের মুখে তেতো স্বাদের কথা ভেসে আসে। বেশিরভাগ মানুষ এই সবজিকে তাদের খাবারের তালিকা থেকে দূরে রাখেন। কিন্তু এই তেতো স্বাদের সবজিটি আসলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতার সম্ভার। বাবা-মা কিংবা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা যখন করলা খেতে বলেন, এর পেছনে থাকে একটাই কারণ—এর অসাধারণ পুষ্টিগুণ।

করলা খাওয়ার কিছু প্রমাণিত উপকারিতা—

১. ওজন কমাতে সহায়ক:
করলা অত্যন্ত কম ক্যালোরিযুক্ত একটি সবজি। এতে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটও থাকে অল্প। তাই যারা ওজন কমাতে চান কিংবা ডায়েটে আছেন, তাদের জন্য করলা একটি আদর্শ সবজি।

২. হজমশক্তি বাড়ায়:
করলায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং মলের গঠন উন্নত করে। এটি খেলে পেট ফাঁপা, অম্বল বা ভারী অনুভূতির সম্ভাবনা থাকে না।

৩. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী:
আমেরিকান USDA-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় থাকে মাত্র ১৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং ৬০২ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। করলায় থাকা উদ্ভিদ-ভিত্তিক ইনসুলিন জাতীয় উপাদান ‘পি-ইনসুলিন’ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
করলার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক:
করলায় থাকা আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত করলার রস পান করলে ব্রণের সমস্যা হ্রাস পায় এবং ত্বক হয় উজ্জ্বল ও পরিষ্কার।

তাই যারা এখনও করলার প্রতি অনীহা দেখিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এখনই সময় ভাবনার পরিবর্তন করার। স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের পথে করলা হতে পারে একটি শক্তিশালী সহচর।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

ক্যালসিয়াম মানবদেহের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান। এটি হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুতির জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, স্ন...
24/05/2025

ক্যালসিয়াম মানবদেহের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান। এটি হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুতির জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, স্নায়ু সংকেত প্রেরণ, পেশী সংকোচন এবং রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক প্রক্রিয়াতেও ক্যালসিয়ামের ভূমিকা রয়েছে। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই অভাবের কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যা শনাক্ত করতে পারলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব।

শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কিছু উপসর্গ আপনার মধ্যে অচিরেই ফুটে উঠবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পেশিতে ব্যথা, অনিয়মিত হৃদ্‌স্পন্দন, আঙুলে অসাড়তা বা ঝিনঝিন অনুভূতি হওয়া, হাতের নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, প্রায়ই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেবে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়।

১. ক্যালসিয়ামের অভাব হলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেবে। মাড়ি বা দাঁতে গর্ত হতে পারে। অল্পতেই আপনি ক্লান্ত অনুভব করবেন, যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না থাকে। ত্বকের শুষ্কতাও ক্যালসিয়ামের অভাবের একটি বড় লক্ষণ হতে পারে।

২. ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে তা ত্বক শুষ্ক, নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, একজিমা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হতাশাসহ মেজাজ খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৩. এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে ডায়েটে রাখতে হবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।যেমন:

--শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে লেবুজাতীয় খাবার খেতে পারেন। কারণ, কমলালেবু, মুসাম্বি, পাতিলেবুর মতো যেকোনো লেবুতেই থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড আর ভিটামিন সি, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দ্রুত মেটাতে সাহায্য করে।

---শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সয়াবিন অত্যন্ত কার্যকর। এক কাপ সয়াবিনে প্রায় ১৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখুন সয়াবিন।

--ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ঢেঁড়স, কচু, পনির, ছোট মাছ, ডিম, দুধ, পালং শাক, ব্রোকলি, কাঠবাদাম খেতে পারেন। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে এগুলো ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়া জীবন অচল। আর সেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে যদি ব্যাঘাত ঘটে, বুকভরে শ্বাস নিতে যদি অসুবিধা হয়, তবে তা যে কতটা...
20/05/2025

শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়া জীবন অচল। আর সেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে যদি ব্যাঘাত ঘটে, বুকভরে শ্বাস নিতে যদি অসুবিধা হয়, তবে তা যে কতটা অস্বস্তির তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত এ অস্বস্তির নামই ‘হাঁপানি’, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘অ্যাজমা’।

হাঁপানি বস্তুত শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত একটি রোগ। এ রোগ দীর্ঘমেয়াদি।

✏️কারণ

হাঁপানির কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, যেগুলো হাঁপানি রোগের উৎপত্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।

-- এ রোগ জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। বংশে কারও এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
--পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
---বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
--বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে।
--মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
-- কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন—এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।

✏️লক্ষণ
- দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট
- ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
-বুকে চাপ অনুভূত হওয়া
-কাশি বা শুকনা কাশি
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় বুকে বাঁশির মতো হঠাৎ সাঁ সাঁ শব্দ
- দমবন্ধ লাগা
- নাকে-মুখে ধুলাবালু গেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া

✏️পরীক্ষা-নিরীক্ষা

১.স্পাইরোমেট্রি বা পিক ফ্লো মেট্রি পরীক্ষা: রোগীর শ্বাসনালিতে শ্বাস গ্রহণে বাধা আছে কি না, তা নির্ণয়ের জন্য এটি করা হয়
২.মেথাকলিন চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা: এর মাধ্যমে শ্বাসনালির অতি সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করা হয়।
৩.রক্ত পরীক্ষা: রক্ত ও কফে ইয়োসিনোফিল সিরাম আইজিইয়ের মাত্রা বেশি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়।
৪.স্কিন প্রিক টেস্ট: অ্যালার্জেন বা ট্রিগার পরীক্ষার জন্য এ টেস্ট করা হয়।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

টাক পড়তে এখন আর বয়সের প্রয়োজন হয় না। অনেক পুরুষ বা মহিলা এখন অল্প বয়সেই টাক পড়ার সমস্যায় ভোগেন। মূলত চুল পড়ার পরিমাণ বাড়...
15/05/2025

টাক পড়তে এখন আর বয়সের প্রয়োজন হয় না। অনেক পুরুষ বা মহিলা এখন অল্প বয়সেই টাক পড়ার সমস্যায় ভোগেন। মূলত চুল পড়ার পরিমাণ বাড়লে এবং নতুন চুল না গজালে টাক দেখা দেয়।

অল্প বয়সে চুল পড়া বা টাক হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন ও পুষ্টির ঘাটতি। বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাব চুলের গঠন দুর্বল করে এবং চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়।

যেসব ভিটামিনের অভাবে হতে পারে ---

১. ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন): বায়োটিন চুলের গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা চুলের প্রধান উপাদান। এর অভাবে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং দ্রুত পড়ে যেতে পারে।
উৎস: ডিম, বাদাম, কলা, দুধ, মিষ্টি আলু, সয়াবিন

২. ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে চুল পড়তে শুরু করে।
উৎস: সূর্যের আলো, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ (স্যালমন, টুনা), ডিম

৩. ভিটামিন বি১২: ভিটামিন বি১২ চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহে সহায়তা করে। এর অভাবে চুলের শিকড় দুর্বল হয়ে যায়, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
উৎস: মাংস, ডিম, দুধ, মাছ

৪. ভিটামিন এ: ভিটামিন এ সেবাম (চুলের প্রাকৃতিক তেল) উৎপাদনে সহায়তা করে। তবে বেশি মাত্রায় ভিটামিন এ গ্রহণ করলে চুল পড়ার সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
উৎস: গাজর, মিষ্টি আলু, দুধ, পালং শাক, আম

৫. আয়রন ও জিঙ্ক: এই দুটি খনিজ উপাদানের অভাবে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে এবং চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।
উৎস: লাল মাংস, বাদাম, ডিম, সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার

✏️চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা, তবে কিছু ঘরোয়া ও চিকিৎসা-পদ্ধতির মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব -----

১. পুষ্টিকর খাবার খান
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সুষম খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ।

-প্রোটিন (ডিম, মাছ, মাংস, ডাল)
-আয়রন (পাতা সবজি, কালো তিল, কলিজা)
-জিঙ্ক ও বায়োটিন (বাদাম, ডিমের কুসুম, মাশরুম)
-ভিটামিন এ, সি, ই (ফল, সবজি)

২. চুলের যত্ন নিন:
-সপ্তাহে ২-৩ বার মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
-কন্ডিশনার ব্যবহার করুন চুল নরম রাখতে।
-খুব গরম পানি দিয়ে মাথা ধোবেন না।
-চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়াবেন না।

৩. ঘরোয়া পদ্ধতি
•নারকেল তেল: হালকা গরম করে সপ্তাহে ২-৩ বার মালিশ করুন।
•অ্যালোভেরা জেল: চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
•পেঁয়াজ রস: স্কাল্পে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন (সপ্তাহে ২ বার)।

৪. স্ট্রেস কমান

মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম কারণ। নিয়মিত মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম করুন।

৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যদি:

অতিরিক্ত চুল পড়লে বা মাথার কোনো অংশ পাতলা বা টাক পড়া শুরু হয়েছে এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে হরমোনজনিত সমস্যা (যেমন থাইরয়েড) টেস্ট করুন।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

সেমাই ফিরনি থেকে শুরু করে মাংস কিংবা বিরিয়ানি—সব রান্নায় এলাচের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। ছোট্ট এই মসলাটি কেবল স্বাদ বাড়াতে...
11/05/2025

সেমাই ফিরনি থেকে শুরু করে মাংস কিংবা বিরিয়ানি—সব রান্নায় এলাচের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। ছোট্ট এই মসলাটি কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি।

সুস্থ থাকতে একেক জন একেকভাবে এলাচ খেয়ে থাকেন। কেউ গোটা এলাচ চিবিয়ে খান। কেউ খান দুধের সঙ্গে মিশিয়ে। তবে এলাচের সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে চাইলে মসলাটি খেতে হবে রাতে ঘুমানোর আগে।

✏️অনিদ্রা দূর

কাজের চাপ, প্রতিযোগিতা, কর্মব্যস্ততা সব মিলিয়ে মানুষের মানসিক চাপ এতই বেড়ে গেছে যে বেশিরভাগ মানুষই রাতে শান্তিমতো ঘুমাতে পারেন না। আর ঘুমের ঘাটতি প্রভাব ফেলে কাজে ও শরীরে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে কাজের উৎপাদনশীলতা কমে যায়। বাড়ে মানসিক চাপ। তাই অনিদ্রায় ভুগলে এলাচের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।রাতে ঘুমানোর আগে মুখে দুটি এলাচ রাখুন। ভালো করে চিবিয়ে এরপর হালকা গরম পানি পান করুন। নিয়মিত এমনটা করলে কয়েকদিনের মধ্যেই উপশম হবে অনিদ্রা সমস্যা।

✏️ওজন নিয়ন্ত্রণ

ভুল খাদ্যাভ্যাস, কাজের চাপের কারণে বর্তমানে স্থূলতা খুব সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন বেশিরভাগ মানুষ। এলাচ কিন্তু এক্ষেত্রে সাহায্যকারী বন্ধু হতে পারে। রাতে উষ্ণ পানির সঙ্গে এলাচ খেলে শরীরের বর্ধিত চর্বি কমে। এতে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপকারি উপাদান যা ওজন কমিয়ে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে প্রতি রাতে একটি বা দুটি এলাচ চিবিয়ে তারপর গরম পানি দিয়ে গিলে ফেলুন।

✏️ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

ব্রণ বা ত্বক সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন যারা রাতে ঘুমানোর আগে এলাচ খেলে মিলবে সুফল। শুষ্ক ও ঝরে পড়া চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলাতেও কাজ করে মসলাটি। রাতে হালকা গরম পানির সাথে এলাচ খান। এতে ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা কমে যাবে এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল।এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

✏️মুখের স্বাস্থ্য

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বা পাইওরিয়া হলে মানুষ প্রায়শই মুখে এলাচ রেখে চিবিয়ে খায়। এতে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এলাচ খাওয়া শেষে আবার সমস্যা ফিরে আসে। মুখের দুর্গন্ধ থেকে একেবারে মুক্তি পেতে রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করার পর এলাচের বীজ ভালো করে চিবিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। এতে দাঁত ও মাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং দূর হবে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও।

✏️শক্তিশালী পরিপাকতন্ত্র

কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা বদহজমের মতো পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থাকলে তা দূর করতেও এলাচ খান। রাতে ঘুমানোর আগে ছোট এলাচ খেলে হজমের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

আজকাল দিন শুরু করতে অনেকেই খাবার তালিকায় ফল রাখেন, ড্রাই ফ্রুটস রাখেন।সকালে ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও খালি পেটে ফল ...
07/05/2025

আজকাল দিন শুরু করতে অনেকেই খাবার তালিকায় ফল রাখেন, ড্রাই ফ্রুটস রাখেন।সকালে ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও খালি পেটে ফল খাওয়া ততটা উপকারী নয়।

অনেকের ধারণা, খালি পেটে ফল খেলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা বেড়ে যায়।এই দাবির সমর্থনে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বরং সকালে খালি পেটে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।

পেটে অন্য কোনো খাবার না থাকলে ফলের প্রাকৃতিক চিনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার পর আবার হঠাৎ করেই কমে যায়, যা ক্লান্তি, ক্ষুধা ও অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ মাত্রার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের মতো বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য রক্তে গ্লুকোজের এই ওঠানামা বিশেষভাবে সমস্যাজনক হতে পারে। এছাড়া কমলা বা মোসাম্বির মতো সাইট্রাস ফল খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে, কারণ এসব ফলে অ্যাসিডিটি থাকে যা পেটের আবরণকে জ্বালাতন করতে পারে।

তবে সকালের খাদ্যতালিকা থেকে ফল একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং ফল খাওয়ার ধরনে পরিবর্তন আনা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিনের সঙ্গে ফল খেলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সকালজুড়ে স্থায়ী শক্তি পাওয়া যায়। যেমন- বাদাম, বীজ বা দই, ছানা, দুধ বা ডালের মতো প্রোটিন উৎসের সঙ্গে ফল খেলে রক্তে শর্করার ওঠানামা কম হয়। এই সংমিশ্রণ সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক পুষ্টিও সরবরাহ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে প্রথমে না খেয়ে বরং দু'বেলার খাবারের মাঝে ফল খেলে সামগ্রিক শক্তি গ্রহণ কম হয় এবং পূর্ণতার অনুভূতি বাড়ে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

যেকোনো তথ্য, সেবা ও সিরিয়ালের জন্যে যোগাযোগ করুন।

ইনসাফ হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ববাজার, সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660, 01789-034776

আগামীকাল শুক্রবার,  আমাদের ইনসাফে সারাদিন থাকছেনডা.মৌসুমী করিম মৌরিএমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য)এফসিপিএস(এফপি,গাইনী এন্ড অব...
01/05/2025

আগামীকাল শুক্রবার,
আমাদের ইনসাফে সারাদিন থাকছেন

ডা.মৌসুমী করিম মৌরি
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য)
এফসিপিএস(এফপি,গাইনী এন্ড অবস)
পিজিটি(গাইনী এন্ড অবস),সিসিডি(বারডেম)
সিএমইউ(আল্ট্রা)
রেজিস্ট্রার,গাইনী ও প্রসূতি বিভাগ,
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বিএমডিসি রেজি নং :A-66515
মহিলা,গাইনী ও প্রসূতি,বন্ধ্যাত্ব এবং ডায়াবেটিস রোগে বিশেষ অভিজ্ঞ
চেম্বার:প্রতি শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত
এবং

ডা: মাকামে মাহমুদ
এমবিবিএস( এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট), পিজিটি(মেডিসিন)
সিএমইউ(আল্ট্রাসনোগ্রাম) ডিওসি(চর্ম ও যৌন)
বিএমডিসি রেজি: 116935

যে কোন তথ্য ও সেবার জন্য যোগাযোগ করুন
ইনসাফ হেলথকেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অষ্টধার পূর্ব বাজার,সদর,ময়মনসিংহ।
📞01963-588660,01789-034776

Address

Mymensingh

Telephone

+8801963588660

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Insaaf Healthcare and Diagnostic Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Insaaf Healthcare and Diagnostic Centre:

Share