17/08/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (𝗜𝗕𝗦)💥
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) একটি সাধারণ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার। এটি পেটে ব্যথা, ফাঁপা ভাব, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ সৃষ্টি করে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা পরবর্তীতে শারীরিক লক্ষণে রূপ নেয়। IBS-এ সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া পর্যায়ক্রমে দেখা যায়, অথবা যেকোনো একটি লক্ষণ প্রাধান্য পেতে পারে। এর ভিত্তিতে IBS-কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: 
ডায়রিয়া-প্রধান (Diarrhoea-predominant) বা কোষ্ঠকাঠিন্য-প্রধান (Constipation-predominant)।
IBS-এর লক্ষণ ➤
IBS-এর লক্ষণ সাধারণত খাওয়ার পরে বেড়ে যায় এবং মাঝেমধ্যে প্রকোপ বাড়ে। 
IBS এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
▪️পেটে ব্যথা ও খিঁচুনি – মলত্যাগের পর সাধারণত ভালো হয়
▪️মলের অভ্যাসে পরিবর্তন – যেমন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা উভয়ই।
▪️পেট ফাঁপা ও ফুলে যাওয়া।
▪️অতিরিক্ত গ্যাস।
▪️অত্যন্ত জরুরি মলত্যাগের বেগ।
▪️মল সম্পূর্ণভাবে না হওয়ার অনুভূতি।
▪️মলের সাথে মিউকাস (শ্লেষ্মা) যাওয়া।
লক্ষণ ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারো কোষ্ঠকাঠিন্য থাকতে পারে, অর্থাৎ শক্ত মল, মলত্যাগে কষ্ট বা অনিয়মিত মলত্যাগ। অনেক সময় চাপ দিলেও মল বের হয় না বা অল্প পরিমাণে বের হয়, এবং মলের সাথে শ্লেষ্মা থাকতে পারে। আবার কারো ডায়রিয়া হতে পারে, অর্থাৎ ঘন ঘন পাতলা বা জলযুক্ত মল। ডায়রিয়ার রোগীদের হঠাৎ ও অনিয়ন্ত্রিত মলত্যাগের বেগ আসে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া পর্যায়ক্রমে দেখা দেয়। কেউ কেউ লক্ষণ কিছুদিন কমে যাওয়ার পর আবার ফিরে পায়, আবার কারো ক্ষেত্রে সময়ের সাথে লক্ষণ ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
IBS-এর কারণ ➤
IBS-এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। একটি তত্ত্ব হলো, IBS-এ আক্রান্ত ব্যক্তির কোলন (বৃহদান্ত্র) নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও স্ট্রেসের প্রতি সংবেদনশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল। সংক্রমণ প্রতিরোধকারী ইমিউন সিস্টেমও এতে জড়িত থাকতে পারে।
▪️স্ট্রেস
▪️জিনগত প্রবণতা
▪️খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা
▪️ওষুধ
▪️সংক্রমণ
▪️অস্ত্রোপচার-পরবর্তী প্রভাব
প্যাথোফিজিওলজি ➤
অন্ত্রের গতিশীলতায় পরিবর্তন:
কোলনের আস্তরণ (এপিথেলিয়াম), যা ইমিউন ও নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা প্রভাবিত, তা কোলনে তরলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। IBS-এ এপিথেলিয়াম সঠিকভাবে কাজ করে না। যখন কোলনের ভিতরের উপাদান খুব দ্রুত চলাচল করে, তখন কোলন তরল শোষণ করতে পারে না, ফলে মলে অতিরিক্ত তরল থাকে (ডায়রিয়া)। আবার কারো ক্ষেত্রে কোলনের গতি খুব ধীর হলে অতিরিক্ত তরল শোষিত হয়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
IBS-এর ট্রিগার➤
কিছু খাবার ও পানীয় IBS-এর লক্ষণ বাড়াতে পারে। ট্রিগার ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণ কিছু ট্রিগার হলো:
▪️কার্বনেটেড ড্রিংকস (সোডা)
▪️অ্যালকোহল
▪️চকলেট
▪️ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা, কফি, কোলা)
▪️প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস (চিপস, বিস্কুট)
▪️চর্বিযুক্ত খাবার
▪️ভাজা পোড়া খাবার
একটি ফুড ডায়েরি রাখলে খাবারের ট্রিগার চিহ্নিত করতে সহজ হয়।
ব্যবস্থাপনা ➤
IBS-এর লক্ষণ নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম উপায় হলো খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং এই অবস্থাটি বোঝা। অনেকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সতর্কভাবে খাওয়াদাওয়া করলেই IBS-এর লক্ষণ কমে যায়।
▪️প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। কার্বনেটেড ড্রিংকস (সোডা) গ্যাস তৈরি করে অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
▪️বেশি খাবারের বদলে অল্প অল্প খাবার বারবার খান। বেশি খাবার খিঁচুনি ও ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
▪️কম চর্বি ও বেশি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার (পাস্তা, ভাত, সিরিয়াল, ফল, শাকসবজি) খান।
ডায়েটারি গাইডলাইন ➤
▪️নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খান। খাবার বাদ দিবেন না বা দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। খালি পেট বেশি সংবেদনশীল হতে পারে।
▪️খাবার ভালো করে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খান।
▪️সুষম ও বৈচিত্র্যময় খাবার খান।
▪️আস্তে আস্তে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান।
▪️খালি পেটে সলিউবল ফাইবারযুক্ত খাবার খান। প্রতিবার খাবারে সলিউবল ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন।
▪️প্রচুর পানি পান করুন (দিনে অন্তত ৬-৮ গ্লাস)।
▪️রেড মিট, দুগ্ধজাত খাবার, ভাজা পোড়া, ডিমের কুসুম, কফি, সোডা ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এগুলো IBS-এর সাধারণ ট্রিগার।
▪️চর্বিযুক্ত খাবার সীমিত করুন। খালি পেটে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না।
▪️খাবারের শেষে সবুজ সালাদ খান (অল্প পরিমাণে ফ্যাট-ফ্রি ড্রেসিং সহ)।
▪️আমরা হজম করতে পারি না এমন এক ধরনের উদ্ভিজ্জ পদার্থ হলো ফাইবার। এটি পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য উপকারী। ফাইবার স্পঞ্জের মতো কাজ করে, যা পরিপাকনালীতে পানি টেনে নিয়ে আসে। এর ফলে মল নরম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়। আবার অন্যদিকে, এটি মলের সাথে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে মলকে ঘন করে, যা ডায়রিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
▪️তেতো খাবার পুরো পরিপাকতন্ত্রের উপরের অংশের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং পুষ্টি উপাদান শোষণকে বাড়াতে সাহায্য করে। খাবারে কিছুটা তেতো জিনিস যোগ করার চেষ্টা করুন।
লাইফস্টাইল গাইডলাইন ➤
▪️নিয়মিত ব্যায়াম করুন (প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম)।
▪️যোগব্যায়াম স্ট্রেস-সম্পর্কিত লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
▪️শরীরের সংকেতগুলোর দিকে মনোযোগ দিন। মলত্যাগের ইচ্ছা হলে সময় নিয়ে তা করুন।
▪️ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন – অপর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রেস মোকাবিলার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
যোগব্যায়ামের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা ➤
যেহেতু স্ট্রেস IBS-এর একটি মূল কারণ, তাই স্ট্রেস দূর করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা উচিত। পাশাপাশি শারীরিক লক্ষণ থাকলে তারও ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রস্তাবিত যোগব্যায়াম:
▪️ক্রিয়া: কপালভাতি, অগ্নিসার, নৌলি
▪️সূর্যনমস্কার
▪️যোগ সুক্ষ্ম ব্যায়াম: উদর শক্তি বিকাশক ক্রিয়া
▪️আসন: উত্থানপদাসন, পবনমুক্তাসন, সার্বাঙ্গাসন, সরল মৎস্যাসন, ভুজঙ্গাসন, ধনুরাসন, গোমুখাসন, বজ্রাসন, শশাঙ্কাসন, উষ্ট্রাসন, মার্জারিয়াসন, বক্রাসন, তাদাসন, কাটিচক্রাসন
▪️প্রাণায়াম: নাড়িশোধন, সূর্যনাড়ী, ভ্রামরি, ভস্ত্রিকা
▪️রিলাক্সেশন: শবাসন, যোগ নিদ্রা
▪️ধ্যান: সাধারণ শ্বাস পর্যবেক্ষণ, ধ্বনি, ধ্যান।
 🔴 Disclaimer: This literature is for general awareness about disease management through 𝗬𝗼𝗴𝗮. It should not be considered as treatment prescription.
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️➤
𝘑𝘰𝘪𝘯 𝘰𝘶𝘳 𝘨𝘳𝘰𝘶𝘱 𝘤𝘭𝘢𝘴𝘴𝘦𝘴, 𝘢𝘷𝘢𝘪𝘭𝘢𝘣𝘭𝘦 𝘪𝘯 𝘣𝘰𝘵𝘩 𝘮𝘰𝘳𝘯𝘪𝘯𝘨 𝘢𝘯𝘥 𝘢𝘧𝘵𝘦𝘳𝘯𝘰𝘰𝘯 𝘴𝘦𝘴𝘴𝘪𝘰𝘯𝘴❗
𝙈𝙤𝙧𝙣𝙞𝙣𝙜 𝙎𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣𝙨:
07:30 AM – 11:30 AM
𝘼𝙛𝙩𝙚𝙧𝙣𝙤𝙤𝙣 𝙎𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣𝙨:
05:00 PM – 07:30 PM
(Both online and offline options available. Each batch runs for 1 hour, 4 days a week.)
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️
                 Fitness Centre by Zinnia