08/05/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            ৮ ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
“ থ্যালাসেমিয়া থেকে চাইলে রক্ষা , বিয়ের আগে করুন রক্ত পরীক্ষা।
 #থ্যালাসেমিয়া কি ? কেন হয় ? 
থ্যালাসেমিয়া একটি জীবনঘাতি ও ব্যয়বহুল রোগ । এটি একটি বংশগত রোগ , যাতে রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ কমে যায় । রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে আজীবন রক্ত দিয়ে যেতে হয় । পরিবারকে যেতে হয় সীমাহীন আর্থিক ও মানসিক দূর্দশার মধ্য দিয়ে । হিমোগ্লোবিন রক্তের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । আমরা নিশ্বাসের সঙ্গে যে অক্সিজেন বহন করি , দুটি , আলফা প্রোটিন ও দুটি বিটা প্রোটিন দিয়ে । যদি এই প্রোটিন গুলোর উৎপাদন শরীরে কমে যায় , তবে শরীরের হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনও কমে যায় এবং থ্যালাসেমিয়া দেখা দেয় । আলফা ও বিটা প্রোটিন তৈরী হয় জীন হতে । কেউ যখন কোন ত্রুটিপূর্ণ জীন তার বাবা - মায়ের কাছ হতে বংশানুক্রমে পায় , তখনই মূলত থ্যালাসেমিয়া দেখা দেয় । 
সুতরাং , থ্যালাসেমিয়া একটি ত্রুটিপূর্ণ জীন বহনকারী বংশগত রোগ , তাই এটি প্রতিরোধের কোন উপায় নেই । বাবা মায়ের ত্রুটির কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে । যেমন- দুইজন থ্যালাসেমিয়ার বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে , তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগসহ জন্ম নিবে । 
 #লক্ষণ 
জন্মের পর পরই এ রোগ ধরা পড়ে না । শিশুর বয়স এক বছরের বেশি হলে বাবা - মা খেয়াল করেন শিশুটি ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে , বাড়ছে শিশুর দুর্বলতা , অবসাদ অনুভব , শ্বাসকষ্ট , মুখমন্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া , ত্বক হলদে হয়ে যাওয়া ( জন্ডিস ) , মুখের হারে বিকৃতি , ধীরগতিতে শারীরিক বৃদ্ধি , পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া ও গাঢ় রঙের প্রস্রাব । 
 #প্রতিকার 
এই রোগের স্থায়ী কোন চিকিৎসা নেই । রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজীবন রক্ত দিতে হবে । তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা সহজ , তাই বিয়ের আগে পাত্র - পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করা জরুরী । 
“ আসুন , নিজে সচেতন হই মানুষকে সচেতন করি । থ্যালাসেমিয়া মুক্ত জীবন গড়ি ”  
বিয়ের আগে করে নিলে রক্ত পরীক্ষা  থাকবে না থ্যালাসেমিয়া শিশু জন্মের আশঙ্কা।