14/02/2025
বসন্তের শুরুতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন (গরম-ঠাণ্ডার মিশ্রণ) এবং ফুলে ধুলো-ময়লার কারণে নাক, কান এবং গলায় কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যাগুলো সাধারণত শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরুতে বেড়ে যায়। কিছু সাধারণ রোগের মধ্যে রয়েছে:
১. নাক বন্ধ বা সর্দি (Rhinitis):
- বসন্তে ফুল এবং মধুর গন্ধের কারণে অ্যালার্জি বা সর্দি হতে পারে। ঠাণ্ডা-গরম আবহাওয়ার পরিবর্তনও নাকের মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
- লক্ষণ: নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ থাকা।
- চিকিৎসা: সর্দি বা অ্যালার্জি কমানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ও ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. গলার ইনফেকশন বা হালকা ব্যথা:
- এই সময় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া গলার ভিতরে ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে, যা গলা ব্যথা বা খুসখুসে গলা তৈরি করে।
- লক্ষণ: গলার ব্যথা, স্বরের পরিবর্তন, খুসখুসে কাশি, গলা চুলকানো।
- চিকিৎসা: গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করা, সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
৩. অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (Allergic Rhinitis):
- বসন্তের সময়ে ফুলের পরাগ, ধুলো, পোলেনের কারণে অ্যালার্জি বাড়তে পারে। এটি নাক, কান এবং গলা সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- লক্ষণ: নাক বন্ধ হওয়া, চোখে অস্বস্তি, গলা ব্যথা, কাশি এবং সর্দি।
- চিকিৎসা: অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যালার্জি প্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
৪. কানের ইনফেকশন (Otitis Media):
- বসন্তে ঠাণ্ডা-গরমের হাওয়া কানের ভিতরের পেশি ও শ্বেতকণিকাগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, ফলে কানের ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
- লক্ষণ: কান ভারী বা ব্যথা অনুভব হওয়া, শোনা কমে যাওয়া, কান দিয়ে তরল বের হওয়া।
- চিকিৎসা: কানের ব্যথা বা ইনফেকশন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক বা পেইন রিলিভারস ব্যবহৃত হয়।
৫. ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা:
- বসন্তে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে ফ্লু বা ভাইরাল ইনফেকশন বাড়তে পারে। এটি নাক, কান, গলা এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলতে পারে।
- লক্ষণ: গলা ব্যথা, কাশি, হালকা জ্বর, সর্দি, দুর্বলতা।
- চিকিৎসা: প্রচুর পানি পান করা, গরম তরল খাবার গ্রহণ, প্রয়োজন হলে অ্যান্টিভাইরাল বা সিম্পটোম্যাটিক চিকিৎসা।
৬. টনসিলাইটিস (Tonsillitis):
- বসন্তের সময় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া টনসিলের ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে, যেটি গলা এবং নাকের মধ্যে জ্বালা বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- লক্ষণ: গলা ব্যথা, স্বর বসে যাওয়া, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, টনসিল ফুলে যাওয়া।
- চিকিৎসা: ব্যথা কমানোর জন্য গরম পানির গার্গল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক পরামর্শ।
৭. সিনুসাইটিস (Sinusitis):
- বসন্তে সর্দি, অ্যালার্জি, বা ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে সিনাসগুলোতে ইনফেকশন হতে পারে, যা সর্দি এবং নাক বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।
- লক্ষণ: নাক বন্ধ থাকা, মাথাব্যথা, মুখে চাপ অনুভব হওয়া, গলা ব্যথা।
- চিকিৎসা: ন্যাজাল ডেকংজেসট্যান্ট বা সাইনাসের জন্য বিশেষ পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিরোধের কিছু পরামর্শ:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা, এবং সুষম খাবারের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা।
- ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা, গরম কাপড় পরিধান করা।
- ঘর এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, যাতে ধুলো-ময়লা কম থাকে।
আপনার শিশুর বা পরিবারের সদস্যের কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
নাক কান গলারোগ বিশেষজ্ঞ ও হেড নেক সার্জন
এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম রনি
এমবিবিএস, ডিএলও (ইএনটি)
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সহকারী অধ্যাপক
কুমুদীনি উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
এক্স সহকারী অধ্যাপক
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
রোগী দেখার সময়ঃ প্রতি সোমবার, বুধবার থেকে শুক্রবার। দুপুর ২ টা থেকে...
সিরিয়ালঃ ০১৭২৫-৯০০০৯৩
চেম্বারঃ প্রযুক্তি হসপিটাল
ঠিকানাঃ জেলা হাসপাতাল রোড নারায়ণপুর, শেরপুর।