
15/08/2023
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন,চলুন জেনে নেয়া যাক "ডেঙ্গু জ্বর” সম্পর্কে কিছু তথ্য।
"ডেঙ্গু জ্বর" একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছেঃ
জ্বর
মাথাব্যথা,
চোখের পিছনে ব্যথা
বমি
পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা
এবং শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি
দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার) বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনো বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
করণীয়ঃ
মূলত এডিস ইজিপ্টি মশার কামড়েই এটি হয়ে থাকে,
এজন্য এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলাই ডেঙ্গু
প্রতিরোধের প্রধান উপায়। তাই মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী বিভিন্ন আধারে যেমন, কাপ, টব, টায়ার, ডাবের খোলস, গর্ত, ছাদ ইত্যাদিতে আটকে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে।শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে।এই মশা সাধারনত দিনের বেলায় কামডায় তাই দিনের বেলায় মশাড়ী টাঙিয়ে ঘুমানো এবং জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা উচিত।