02/08/2025
নিজের উচ্চতা পছন্দ নয় বলে কেউ কি নিজ ইচ্ছায় পায়ের হাড় ভেঙে আবার তা জোড়া লাগানোর মতো কষ্ট সহ্য করতে পারে? ঠিক এমনটাই করেছেন জার্মান মডেল থেরেসা ফিশার (Theresa Fischer)।
ছোটবেলা থেকে নিজের উচ্চতা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা এবং মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে বারবার সুযোগ হারানোয় তিনি এক চরম সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা) খরচ করে তিনি দুটি ভয়াবহ সার্জারির মধ্যে দিয়ে যান।
এই মেডিকেল পদ্ধতির নাম ‘ডিসট্র্যাকশন অস্টিওজেনেসিস’ (Distraction Osteogenesis)। এই পদ্ধতিতে সার্জনরা পায়ের টিবিয়া (tibia) ও ফিবুলা (fibula) হাড় দুটিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভেঙে ফেলেন। এরপর ভাঙা হাড়ের দুই অংশের মধ্যে একটি টেলিস্কোপিক রড (telescopic rod) ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যা বাইরে থেকে একটি ডিভাইসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিদিন এই রডটিকে নির্দিষ্ট মাপে (সাধারণত ১ মিলিমিটার) ধীরে ধীরে প্রসারিত করা হয়। এর ফলে ভাঙা হাড়ের দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে এবং সেই ফাঁকা জায়গায় শরীর প্রাকৃতিক নিয়মেই নতুন হাড় তৈরি করতে শুরু করে। এভাবেই ধীরে ধীরে পায়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।
এই কষ্টকর ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থেরেসা তার উচ্চতা ১৪ সেন্টিমিটার (প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি) বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে বেড়ে এখন প্রায় ৬ ফুট। তিনি জানিয়েছেন, এই অপারেশনের পর তিনি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং নিজের শরীর নিয়ে খুশি।
যদিও এই ঘটনা আমাদের একটি গভীর প্রশ্নর মুখে দাঁড় করায়: সমাজে নিজের স্থান করে নিতে বা অন্যের চোখে নিজেকে ‘পারফেক্ট’ প্রমাণ করতে মানুষ ঠিক কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে? আপনার কী মনে হয়?
কপি পোস্ট