04/07/2025
✅️ আমাদের বাপ/ দাদাদের স্কুল ছিল বাসা থেকে কয়েক মাইল দূরে এবং তারা স্কুলে সব সময় যেতেন পায়ে হেঁটে। অন্য কোন যানবাহন ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না।
✅️আমাদের সময় স্কুল যতটুকু দূরে ছিল তাতে কখনও পায়ে হেঁটে, আবার কখনও রিকশা বা স্কুল ভ্যানে স্কুলে যাওয়া যেত।তারপরও বেশিরভাগ সময় হেঁটেই গিয়েছি।
✅️আর আমদের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্কুল বাসার নিচে বা পাশে থাকা সত্ত্বেও কষ্ট হবে চিন্তা করে সিঁড়ি দিয়ে বাচ্চাকে অনেক সময় কোলে নিয়ে নামাই! পায়ে কাঁদা লাগবে বা গরমে ঘেমে যাবে চিন্তা করে CNG ,গাড়ি বা উবারে করে স্কুলে নিয়ে যাই! তাছাড়া স্ট্যাটাস বলেও একটা কথা আছে, সেটাও বজায় রাখতে হবে,আরও কত কি!
এই যে, এতো লুতুপুতু করে আমরা বাচ্চা মানুষ করার চেষ্টা করছি তাতে আদৌ কি বাচ্চা মানুষ হবে?
সামান্য কাঁদা লাগার ভয়ে মাটিতে হাঁটতে দিচ্ছি না এতে করে ভবিষ্যতে বাচ্চা একা সঠিকভাবে পথ চলতে পারবে?
পারবে না, পারার কথাও না।কারণ আমরা নিজেরাই বাচ্চাদের স্বকীয়তাগুলো নষ্ট করে বাচ্চাকে পঙ্গু করে দিচ্ছি। কষ্ট কি সেটা যেন বাচ্চা বুঝতে না পারে তার জন্য আমরা আপ্রাণ কষ্ট করে যাচ্ছি। যেই কষ্টের ফলাফল শূণ্য।
✅️তাই চেষ্টা করবেন, কিছু কাজ বাচ্চা যেন একা করতে শিখে তার জন্য উৎসাহ দেয়া। এতে হয়তো সাময়িক বাচ্চার কষ্ট হবে কিন্তু এটাই ভবিষ্যতে বাচ্চাকে আরও active করে তুলবে,শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।
✅️ সব সময় যানবাহন ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে বাচ্চাকে কিছুটা হাঁটিয়ে স্কুলে নিবেন।এতে বাচ্চা সুস্থ থাকার পাশাপাশি বাস্তব জীবনটা বুঝতে পারবে।
কাঁদা লাগার ভয়ে যদি রাস্তায় হাঁটতেই না শিখালেন তাহলে কোন একদিন ঠিকই বাচ্চা রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খাবে।সেদিন হয়তো আপনি পাশে থাকবেন না বা থাকলেও আর শিখাতে পারবেন না কিভাবে হোঁচট খেলেও বাকি পথ সুন্দর করে হেঁটে যাওয়া যায়।