07/11/2018
♥ সাল্মোনেল্লোসিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারক
লেবু, চিনি ও বিট লবন মিশ্রণ ♥
শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো পায়খানা,ফেনা ও দূর্গন্ধযুক্ত ডাইরিয়া,দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যাওয়া,ভারসাম্য হীনতা ও পক্ষাঘাত সালমেনোসিস রোগের লক্ষন।
তীব্র আকারের আক্রান্তর ক্ষেত্রে :
ঝীমায়শাষকষ্ট হয় ।সাদা আঠাল / চুনা পায়খানা করে ।গারো সবুজ পায়খানা করে ।অনেক সময় পায়খানা পিছনের পালকে লেগে থাকে ।পা খোরায় ,পাখা ঝুলে পরে ।বমি করে ।খাবার খায়ণাহ , পাণি বেশী খায় ।
এটি খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক(Gram Negative) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয় । এই রোগ বাচ্চা কবুতরের জন্য বরং মরণশীল এবং বড়দের জন্য ও এটি খুব দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে. এই রোগকে বলা হয় সব রোগের জন্মদাতা, তাই এই রোগ হলে তাড়াতাড়ি নির্মূলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ।
কবুতরকে পরিস্কার খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলে এই রোগ থেকে ৭০% দূরে থাকা যায়।
গম,চিনা,বাজরা সরিষা ইত্যাদি বাজার থেকে কিনে এনে দু এক দিন কড়া রোদে শুকিয়ে নিলেই চলবে।
অথবা,
চুলার আগুনে হালকা গরম করে কবুতরকে পরিবেশন করবেন।
♥কবুতরের জন্য নিষিদ্ধ খাবার♥
♥√চিনা
♥√রেজা
♥√ভুট্টা ভাঙ্গা বা পপকর্ন
হলুদ পপকর্ন দানাদার বা আসতো এ সালমোনিল্লা৷, রোগ বহন করে।
♥কবুতরের জন্য নিষিদ্ধ পানি♥
♥√ কাঁচা পানি , অর্থাৎ ট্যাবের পানি
♥√ ওয়াসার পানি
♥√ গভীর নলকূপের পানি
কবুতরকে পরিবেশন করা যাবে না। এতে করে কবুতরের টাল রোগ বা ঘার অবশ হওয়া রোগ হবে।
কবুতর কে অবশ্যই প্রতিদিন ফুটানো পানি নরমাল করে কবুতরকে পরিবেশন করতে হবে।
♥ লেবু ♥
লেবু একটি রসালো ফল। খোসা ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম লেবুতে রয়েছে -
♥√এনার্জি ২৯ ক্যালরি
♥√কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম
♥√ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
♥√প্রোটিন ১.১ গ্রাম
♥√থিয়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম
♥√রিবোফ্লেভিন ০.০২ মিলিগ্রাম
♥√নিয়াসিন ০.১ মিলিগ্রাম
♥√প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১৯ মিলিগ্রাম
♥√ভিটামিন বি৬ ০.০৮ মিলিগ্রাম
♥√ফলেট ১১ আইইউ
♥√কলিন ৫.১ মিলিগ্রাম
♥√ভিটামিন সি ৫৩ মিলিগ্রাম
♥√ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম
♥√আয়রন ০.৬ মিলিগ্রাম
♥√ম্যাগনেসিয়াম ৮ মিলিগ্রাম
♥√ম্যাংগানিজ ০.০৩ মিলিগ্রাম
♥√পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম
♥√জিংক ০.০৬ মিলিগ্রাম
♥√ফসফরাস ১৬ মিলিগ্রাম
লেবু নানান গুণে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া লেবুতে রয়েছে প্রচুর মিনারেল। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল মৌসুমি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন
♥√ঠাণ্ডা
♥√সর্দি
♥√কাশি
♥√ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
♥√লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
♥চিনি♥
♥√আখ থেকে উৎপাদিত দেশি চিনিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ১৬০ দশমিক ৩২
♥√পটাশিয়াম দেশি চিনিতে ১৪২ দশমিক ৯ ভাগ
♥√ফসফরাস দেশি চিনিতে ২ দশমিক ৫ থেকে ১০ দশমিক ৭৯ ভাগ
♥√আয়রন দেশি চিনিতে শূন্য দশমিক ৪২ থেকে ৬ ভাগ।
♥√ ম্যাগনেশিয়াম দেশি চিনিতে শূন্য দশমিক ১৫ থেকে ৩ দশমিক ৮৬ ভাগ
♥√সোডিয়াম দেশি চিনিতে শূন্য দশমিক ৬ ভাগ
♥√চিনি দ্রুত শক্তি দেয় যখন শরীরে চিনির ঘাটতি হয়, তখন শক্তি কমে যায়। আর চিনি খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়।
♥√চিনি নিম্ন রক্তচাপকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।
♥√চিনির দানা যেকোনো কাটাছেঁড়া ক্ষেত্রে প্রলেপ হিসেবে লাগালে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।
♥চিনিতে যেসকল উপাদান বিদ্যামান♥
♥√গ্লুকোজ
♥√ফ্রুক্টোজ
♥√সুক্রোজ,
♥√ক্যালসিয়াম,
♥√ম্যাগনেসিয়াম,
♥√পটাসিয়াম,
♥√সোডিয়াম এবং এন্টি অক্সাইড প্রচুর পরিমানে রয়েছে। যে কোনো প্রকারের ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতারোধে অধিক মাত্রায় কার্যকরী।
এসব কারণে বিশেষজ্ঞরা এখন দেশে উৎপাদিত বাদামী/লালচে চিনি খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে শেষে একটি কথার পুনরাবৃত্তি না করলেই নয়। পরিশোধিত সাদা চিনির চেয়ে লালচে চিনির ক্ষতি কম, কিন্তু সবচেয়ে ভাল খুব কম চিনি গ্রহণ করা এবং ধীরে ধীরে খাদ্যতালিকা থেকে এটি বাদ দেওয়া
♥বিট লবণ♥
স্বাস্থ্যকর হিমালয়ান সল্ট বা বিট লবণ , এই লবণটি গোলাপী রং-এর হয়ে থাকে। এতে গোলাপী,সাদা এবং লাল রং এর খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকায় এর রং গোলাপী দেখায়। এর পুষ্টিগুণ সাধারণ লবণের থেকে অনেক বেশি
১। নিম্মমানের সোডিয়ামের পরিমাণঃ
যদিও হিমালয় সল্ট আর সাধারণ লবণ একই উপাদান দিয়ে তৈরি তবুও হিমালয়ের ক্রিস্টাল গঠন সাধারণ লবণের তুলনায় বড়। এর মানে হল এতে ১/৪ টেবিল চামচ পরিমাণে কম সোডিয়াম থাকে সাধারণ লবণের তুলনায়।
২। উচ্চ পরিমাণে খনিজঃ
♥√ হিমালয়ান সল্ট ৮০+ খনিজ নিয়ে গঠিত যা পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
♥√এতে ৮৫% থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড
♥√ আর ১৪% থাকে সালফেট,
♥√ম্যাগনেসিয়াম,
♥√ক্যালসিয়াম,
♥√পটাসিয়াম,
♥√খাবার সোডা,
♥√বরিক অ্যাসিডের সল্ট,
♥√স্ট্রনশিয়াম এবং ফ্লোরাইড মত খনিজ পদার্থ।
এই সকল খনিজ়ের নিজস্ব কিছু গুণ আছে যা হিমালয়ান সল্টের মধ্যে বিদ্যমান।
♥খনিজের গুণাবলী♥
♥√হাড় শক্তিশালীকরণ
♥√নিম্ন রক্তচাপ দূরীয়করণ
♥√মাইগ্রেইনের ব্যথা দূরীকরণ
♥√হজমশক্তী বাড়ানো
♥√পেশী ব্যাথারোধ
♥√কোষের ভিতর এবং বাইরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে
♥√শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে
♥√ শুনে অবাক হলেও স্নানেও এই লবণ ব্যবহার হয়!
♥ লেবু চিনি ও লবনের মিশ্রণ এর উপকারিতা♥
♥√ লেবু বডি পিএইচ কমিয়ে দিয়ে সাল্মোনেল্লা,
ই কোলাই সহ অনান্য ক্ষতিকর গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান প্রতিহত করে।
♥√ ডায়রিয়া জনিত পানি শূন্যতা ও জিংক এর অভাব পূরন করে শরীরকে সতেজ রাখে।
♥√বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাব জনিত রোগ প্রতিহত করে।
♥√কবুতরের ক্রমাগত বুকের মাংশ শুকিয়ে যাওয়া প্রতিহত করে।
♥√ডায়রিয়া/প্যারাটাইফয়েড(সাল্মোনেল্লসিস) এর কারনে শরীরে লবন এর ঘাটতি পূরন করে।
♥√শরীরে আয়োডিন এর অভাব পূরন করে।
♥ব্যবহার বিধি♥
♥√ ১ লিটার ফোটানো বিশুদ্ধ নরমাল পানি
♥√ ১ টি লেবু বা ২ চামচ লেবুর রস
♥√ চিনি ২ চামচ ( দেশি চিনি , চেনার উপায় মোটা
দানা এবং কিছুটা হাল্কা গোলাপি বর্ণের )
♥√ 2 চামচ বিট লবণ
ভালোভাবে মিক্স করে জীবাণুমুক্ত চালনি দিয়ে
ছেকে কবুতরকে প্রতি সপ্তাহে
♥√ ১ দিন বা প্রতি মাসে
♥√ ৫ দিন করে খাওয়ান।
বাংলাদেশে কবুতরের ভেক্সিন ব্যয়বহুল, দূর্লভ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত পর্যাপ্ত লোক না থাকায় স্বল্প মেয়াদে সাল্মোনেল্লা থেকে কবুতরকে মুক্ত রাখতে বিকল্প হিসাবে এই মিশ্রণটি যথেষ্ট উপকারী।