Hello Pigeon

Hello Pigeon I will sell best Pigeon, That is rear in Bangladesh

07/11/2018

♥ সাল্মোনেল্লোসিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারক
লেবু, চিনি ও বিট লবন মিশ্রণ ♥

শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো পায়খানা,ফেনা ও দূর্গন্ধযুক্ত ডাইরিয়া,দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যাওয়া,ভারসাম্য হীনতা ও পক্ষাঘাত সালমেনোসিস রোগের লক্ষন।

তীব্র আকারের আক্রান্তর ক্ষেত্রে :

ঝীমায়শাষকষ্ট হয় ।সাদা আঠাল / চুনা পায়খানা করে ।গারো সবুজ পায়খানা করে ।অনেক সময় পায়খানা পিছনের পালকে লেগে থাকে ।পা খোরায় ,পাখা ঝুলে পরে ।বমি করে ।খাবার খায়ণাহ , পাণি বেশী খায় ।
এটি খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক(Gram Negative) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয় । এই রোগ বাচ্চা কবুতরের জন্য বরং মরণশীল এবং বড়দের জন্য ও এটি খুব দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে. এই রোগকে বলা হয় সব রোগের জন্মদাতা, তাই এই রোগ হলে তাড়াতাড়ি নির্মূলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ।
কবুতরকে পরিস্কার খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলে এই রোগ থেকে ৭০% দূরে থাকা যায়।

গম,চিনা,বাজরা সরিষা ইত্যাদি বাজার থেকে কিনে এনে দু এক দিন কড়া রোদে শুকিয়ে নিলেই চলবে।

অথবা,
চুলার আগুনে হালকা গরম করে কবুতরকে পরিবেশন করবেন।

♥কবুতরের জন্য নিষিদ্ধ খাবার♥

♥√চিনা
♥√রেজা
♥√ভুট্টা ভাঙ্গা বা পপকর্ন
হলুদ পপকর্ন দানাদার বা আসতো এ সালমোনিল্লা৷, রোগ বহন করে।

♥কবুতরের জন্য নিষিদ্ধ পানি♥

♥√ কাঁচা পানি , অর্থাৎ ট্যাবের পানি
♥√ ওয়াসার পানি
♥√ গভীর নলকূপের পানি

কবুতরকে পরিবেশন করা যাবে না। এতে করে কবুতরের টাল রোগ বা ঘার অবশ হওয়া রোগ হবে।

কবুতর কে অবশ্যই প্রতিদিন ফুটানো পানি নরমাল করে কবুতরকে পরিবেশন করতে হবে।

♥ লেবু ♥

লেবু একটি রসালো ফল। খোসা ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম লেবুতে রয়েছে -

♥√এনার্জি ২৯ ক্যালরি
♥√কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম
♥√ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
♥√প্রোটিন ১.১ গ্রাম
♥√থিয়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম
♥√রিবোফ্লেভিন ০.০২ মিলিগ্রাম
♥√নিয়াসিন ০.১ মিলিগ্রাম
♥√প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১৯ মিলিগ্রাম
♥√ভিটামিন বি৬ ০.০৮ মিলিগ্রাম
♥√ফলেট ১১ আইইউ
♥√কলিন ৫.১ মিলিগ্রাম
♥√ভিটামিন সি ৫৩ মিলিগ্রাম
♥√ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম
♥√আয়রন ০.৬ মিলিগ্রাম
♥√ম্যাগনেসিয়াম ৮ মিলিগ্রাম
♥√ম্যাংগানিজ ০.০৩ মিলিগ্রাম
♥√পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম
♥√জিংক ০.০৬ মিলিগ্রাম
♥√ফসফরাস ১৬ মিলিগ্রাম

লেবু নানান গুণে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া লেবুতে রয়েছে প্রচুর মিনারেল। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল মৌসুমি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন

♥√ঠাণ্ডা
♥√সর্দি
♥√কাশি
♥√ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
♥√লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।

♥চিনি♥

♥√আখ থেকে উৎপাদিত দেশি চিনিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ১৬০ দশমিক ৩২
♥√পটাশিয়াম দেশি চিনিতে ১৪২ দশমিক ৯ ভাগ
♥√ফসফরাস দেশি চিনিতে ২ দশমিক ৫ থেকে ১০ দশমিক ৭৯ ভাগ
♥√আয়রন দেশি চিনিতে শূন্য দশমিক ৪২ থেকে ৬ ভাগ।
♥√ ম্যাগনেশিয়াম দেশি চিনিতে শূন্য দশমিক ১৫ থেকে ৩ দশমিক ৮৬ ভাগ
♥√সোডিয়াম দেশি চিনিতে শূন্য দশমিক ৬ ভাগ
♥√চিনি দ্রুত শক্তি দেয় যখন শরীরে চিনির ঘাটতি হয়, তখন শক্তি কমে যায়। আর চিনি খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়।
♥√চিনি নিম্ন রক্তচাপকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।
♥√চিনির দানা যেকোনো কাটাছেঁড়া ক্ষেত্রে প্রলেপ হিসেবে লাগালে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।

♥চিনিতে যেসকল উপাদান বিদ্যামান♥

♥√গ্লুকোজ
♥√ফ্রুক্টোজ
♥√সুক্রোজ,
♥√ক্যালসিয়াম,
♥√ম্যাগনেসিয়াম,
♥√পটাসিয়াম,
♥√সোডিয়াম এবং এন্টি অক্সাইড প্রচুর পরিমানে রয়েছে। যে কোনো প্রকারের ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতারোধে অধিক মাত্রায় কার্যকরী।

এসব কারণে বিশেষজ্ঞরা এখন দেশে উৎপাদিত বাদামী/লালচে চিনি খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে শেষে একটি কথার পুনরাবৃত্তি না করলেই নয়। পরিশোধিত সাদা চিনির চেয়ে লালচে চিনির ক্ষতি কম, কিন্তু সবচেয়ে ভাল খুব কম চিনি গ্রহণ করা এবং ধীরে ধীরে খাদ্যতালিকা থেকে এটি বাদ দেওয়া

♥বিট লবণ♥

স্বাস্থ্যকর হিমালয়ান সল্ট বা বিট লবণ , এই লবণটি গোলাপী রং-এর হয়ে থাকে। এতে গোলাপী,সাদা এবং লাল রং এর খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকায় এর রং গোলাপী দেখায়। এর পুষ্টিগুণ সাধারণ লবণের থেকে অনেক বেশি

১। নিম্মমানের সোডিয়ামের পরিমাণঃ
যদিও হিমালয় সল্ট আর সাধারণ লবণ একই উপাদান দিয়ে তৈরি তবুও হিমালয়ের ক্রিস্টাল গঠন সাধারণ লবণের তুলনায় বড়। এর মানে হল এতে ১/৪ টেবিল চামচ পরিমাণে কম সোডিয়াম থাকে সাধারণ লবণের তুলনায়।

২। উচ্চ পরিমাণে খনিজঃ
♥√ হিমালয়ান সল্ট ৮০+ খনিজ নিয়ে গঠিত যা পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
♥√এতে ৮৫% থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড
♥√ আর ১৪% থাকে সালফেট,
♥√ম্যাগনেসিয়াম,
♥√ক্যালসিয়াম,
♥√পটাসিয়াম,
♥√খাবার সোডা,
♥√বরিক অ্যাসিডের সল্ট,
♥√স্ট্রনশিয়াম এবং ফ্লোরাইড মত খনিজ পদার্থ।

এই সকল খনিজ়ের নিজস্ব কিছু গুণ আছে যা হিমালয়ান সল্টের মধ্যে বিদ্যমান।

♥খনিজের গুণাবলী♥

♥√হাড় শক্তিশালীকরণ
♥√নিম্ন রক্তচাপ দূরীয়করণ
♥√মাইগ্রেইনের ব্যথা দূরীকরণ
♥√হজমশক্তী বাড়ানো
♥√পেশী ব্যাথারোধ
♥√কোষের ভিতর এবং বাইরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে
♥√শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে
♥√ শুনে অবাক হলেও স্নানেও এই লবণ ব্যবহার হয়!

♥ লেবু চিনি ও লবনের মিশ্রণ এর উপকারিতা♥

♥√ লেবু বডি পিএইচ কমিয়ে দিয়ে সাল্মোনেল্লা,
ই কোলাই সহ অনান্য ক্ষতিকর গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান প্রতিহত করে।
♥√ ডায়রিয়া জনিত পানি শূন্যতা ও জিংক এর অভাব পূরন করে শরীরকে সতেজ রাখে।
♥√বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাব জনিত রোগ প্রতিহত করে।
♥√কবুতরের ক্রমাগত বুকের মাংশ শুকিয়ে যাওয়া প্রতিহত করে।
♥√ডায়রিয়া/প্যারাটাইফয়েড(সাল্মোনেল্লসিস) এর কারনে শরীরে লবন এর ঘাটতি পূরন করে।
♥√শরীরে আয়োডিন এর অভাব পূরন করে।

♥ব্যবহার বিধি♥

♥√ ১ লিটার ফোটানো বিশুদ্ধ নরমাল পানি
♥√ ১ টি লেবু বা ২ চামচ লেবুর রস
♥√ চিনি ২ চামচ ( দেশি চিনি , চেনার উপায় মোটা
দানা এবং কিছুটা হাল্কা গোলাপি বর্ণের )
♥√ 2 চামচ বিট লবণ

ভালোভাবে মিক্স করে জীবাণুমুক্ত চালনি দিয়ে
ছেকে কবুতরকে প্রতি সপ্তাহে

♥√ ১ দিন বা প্রতি মাসে
♥√ ৫ দিন করে খাওয়ান।

বাংলাদেশে কবুতরের ভেক্সিন ব্যয়বহুল, দূর্লভ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত পর্যাপ্ত লোক না থাকায় স্বল্প মেয়াদে সাল্মোনেল্লা থেকে কবুতরকে মুক্ত রাখতে বিকল্প হিসাবে এই মিশ্রণটি যথেষ্ট উপকারী।

30/10/2018

কবুতরের ক্যাংকার বা মুখের বিতরে ঘাঃ-
ক্যাংকার (Canker)ঃ- এটি একটি প্রোটোজোয়া জনিত রোগ যা সাধারনত সব কবুতরের দেখা যায়। মুখে বা গলায় যদি হলুদ বা সাদা রংগের বস্তু দেখা যায়, তবে সহজেই এই রোগের সনাক্ত করা যায়।
এটা এক ধরণের ছত্রাক, মুখের বিভিন্ন অংশে হয় যেমন- মুখ, গলা, ক্রপ সহ পরিপাক তন্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গে পাওয়া যেতে পারে। এটা গালে জমে থেকে আক্রান্ত কবুতরের মুখের ভেতর হাল্কা হলদে রঙের ঘা এর মতো দেখতে পাওয়া যায়। অথবা সাদা আবরণের সৃষ্টি করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেবীর নাভীতে দেখা যেতে পারে। এই আবরণ উঠে গেলে ঘা দেখা যায়। এবং কি মুখ অপরিষ্কার থাকলে, ও দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়টিক গ্রহণের ফলেও মুখে ছত্রাক জমতে পারে। এটা কবুতরের খুব কমন একটি রোগ যা সব বয়সের কবুতরের ক্ষেত্রে খাবার বা পানি থেকে আক্রান্ত হয়, বা কবুতরের মুখ থেকে পরা খাবার এবং বেবীদের ক্ষেত্রে খাওয়াবার সময় বাবা-মা থেকে বেবীদের ভেতর সংক্রামিত হয়।
আর এর কারণ হচ্ছে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভিটামিন 'সি' বা 'ডি'র অভাব কিংবা পেট পরিষ্কার না থাকার কারণে হতে পারে মুখে ঘা। এতে বেশ জ্বালা পড়া যেমন হতে থাকে তেমনি তীব্র ব্যথা বা যন্ত্রণা হয়।
চিকিৎসায় অবহেলা হলে কবুতর মারা যায়।

লক্ষন:-
(ক) মুখ গহবরে হাল্কা হলদে বা সাদা ঘা।
(খ) বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে থ্রোটে সংগক্রমনের ফলে টনসিলে নডুলের কারনে শ্বাস কষ্ট একটি কমন লক্ষন।
(গ) খাবারে অনীহা
(ঘ) ওজন হ্রাস
(ঙ) হজমে সমস্যা
(চ) ডাইরিয়া
(ছ) মুখ থেকে রক্ত পড়া

প্রতিরোধ:-
(ক) খাবার এবং পানির ক্ষেত্রে বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা।
(খ) নতুন কবুতর সংযোজনের ক্ষেত্রে বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা।
(গ) লফটে স্ট্রেস নুন্যতম পর্যায়ে রাখা।
(ঘ) নিয়মিত ক্যাংকার প্রতিরোধী ড্রাগ বা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন।
(ঙ) সপ্তাহে ১ দিন দারুচিনির গুড়া ১ চামুচ এবং হাপ লেবুর রস ১ কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে কবুতরকে খেতে দিন।


চিকিঃসাঃ-
(১) একটা কটনবার দিয়ে মুখের বিতরের ময়লাটা বাহির করে পেলবেন। তারপর রিবোসিনা বা রিবোপ্লাবিন টেবলেট সকালে একটা বিকালে একটা করে দিনে ২ বার খাওয়াবেন। তারপর Flazil সিরাপ ১ সি সি করে দিনে ৩ বার। তারপর Apsol cream/micogel cream লাগাবেন দিনে ৩ বার। এভাবে মোট ৭ দিন ছলবে। সব গুলা ঔষধ মানুষের

(২) একটা কটনবার দিয়ে মুখের বিতরের ময়লাটা বাহির করে পেলবেন। তারপর ফাস্ট ভেট টেবলেট ১টাকে ৪ ভাগ করে দিনে ১ বার খাওয়াবেন, এবং সিভিট ১টা করে দিনে ২ বার খাওয়াবেন। এভাবে ফাস্ট ভেট ৩ দিন। সিভিট ৫ দিন খাওয়াবেন।।

(৩) ১ চিমটি বেকিং সোডা আর একটু পানি দিয়ে পেস্ট করে মিশিয়ে ঘা এর উপর লাগিয়ে রাখবেন। প্রতিদিন ১বার করে ৩দিন।।
(৪) পিয়াজ পিসে লাগিয়ে দিন দিনে ২ বার করে ৩ দিন খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন।
(৫) হলদের গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মুখের ভেতরে ঘা-এর মধ্য লাগাবেন দিনে ২ বার করে ৩দিন।
(৬) অ্যালোভেরার রস মুখের ভেতরে লাগাতে পারেন। এতে আরাম হবে ও ঘা সেরে যাবে। ৫-৭ দিন।
(৭) ২০টা ধনে পাতা ১ কাপ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি থেকে ১০ মিলি করে দিনে ২ বার খাওয়ান, ৩ দিন।।
(৮) কয়েকটি তুলসির পাতা চিবিয়ে নিন। তুলসি পাতার রস ঘা এর মধ্য লাগিয়ে দেন,প্রতিদিন ১বার করে ৩ দিন।।
(৯) দারুচিনির গুড়া পানি দিয়ে পেস্ট করে বড়ি বানিয়ে দিনে ১-২ টা করে ৫-৭ দিন খাওয়ান।

(১০) সবচেয়ে বেস্ট মেডিসেন, হোমিও এটা দূত কাজ করবে,, (Rinsout drops mouthwash) খালি পেটে ২ ফোটা ৫ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে সিরিজ দিয়ে থাওয়াবেন,দিনে ৩ বার।।
তারপর (aconite napellus) খাদ্য খাওয়ার পরে ১ মিলি ৫ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে সিরিজ দিয়ে থাওয়াবেন,দিনে ৩ বার।।
তারপর (boro glycerine) এটা দিনে ২ বার মুখের বিতরের খত জায়গায় লাগাবেন।। রোগ ভাল হওয়া পর্যন্ত ঔষধ চলবে।

22/10/2018

শীতের ভয় কখনও নয়।।

আমাদের দেশে শীত আসলেই কবুতর খামারি বা প্রেমীরা নানা রকম জুজু ভয়ে জড়সড় হয়ে যান। আর এমন অনেক কাজ করেন যা আসলে করা উচিৎ না। আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলেই এর সমাধান পেতে পারি। মনে রাখতে হবে কবুতরের শারীরিক তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী সেঃ ১০৯.৪ ডিগ্রী ফাঃ এর হার্ট বিট রেট ৬০০ বিট প্রতি মিনিট। এদের তিন স্তরের লোম আছে যা যে কোন শীত থেকে প্রতিরোধ করে থাকে। তাই এদের অসাধারণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা রয়েছে। আপনার কবুতরের জন্য শীত প্রতিরোধের মহা আয়োজনের দরকার নাই, কিছু বনাজী মেডিসিন দিয়ে পুরা শীত পার হয়ে যাবে। আপনার কবুতরের কোন সমস্যা হবে না।।

আসুন জেনে নেইঃ-
* মাসের ১ তারিখ।। ১টা ছোট লেবুর রস + ৫ কোয়া রসুনর রস নিয়ে ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ৩ তারিখ।। কালোজিরার তেল ১ চামুচ ১ কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ৫ তারিখ।। ১চামুচ লেবুর রস ১কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ৭ তারিখ।। ৫টা গোল মরিচ এবং ৩টা লং একটু পানি দিয়ে সিদ্ব করে ২ লিটার সাদা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ১০ তারিখ।। ১ চামুচ দারুচিনির গুড়া এবং হাপ লেবুর রস ১ কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ১২ তারিখ।। ১ চামুচ মধু ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ১৪ তারিখ।। শুকনা অমোলকী ৫টা ১ গ্লাস পানিতে রাতের বেলায় বিজিয়ে রেখে সকালে ২ লিটার সাদা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ১৬ তারিখ। কাচা আদা ৫০ গ্রামের ১টুকরা নিয়ে পিশে রস নিয়ে ২ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ১৮ তারিখ।। ৩টা তেজপাতা ১ পোয়া পানি দিয়ে সিদ্ব করে চেকে নিয়ে সেই পানি ২ লিটার সাদা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ২০ তারিখ।। ১ চিমটি পটাস ২ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ২৩ তারিখ।। ৫টা তুলশি পাতার সিদ্ব জল ২ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ২৫+২৬+২৭ তারিখ।। ৩ দিন মাল্টিভিটামিন দিবেন।।

* মাসের ২৯ তারিখ। ১ চামুচ অলিব ওয়েল ২কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* মাসের ৩০ বা ৩১ তারিখ।। ১ চামুচ রসুনের রস ১কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।।

* ৪৫ দিন পরপর কৃমির ঔষধ খাওয়াবেন।।

* পারলে ১ দিন পর পর খামার পরিস্কার করুন।।

* বিশুদ্ধ পানি দিন।।

* ভাল মানের সুষম খাদ্য দিন।।

* গ্রিট দিবেন নিয়মিত।।

* বিরতি দিয়ে ব্রীডিং করাবেন।।

* জীবাণু নাশক ছিটাবেন নিয়মিত।।

* গোসলের সময় কুসুম গরম পানি দিন, যাতে কবুতর নিজেরা গোসল করে।।

* রুম হিটার দিবেন না। যদি বেশী শীতে কমপক্ষে লাইট দেয়া যেতে পারে।।

* অনর্থক বা অতিমাত্রায় zinc, ad3e e-sell বা নিয়মিত প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।।

* সব দরজা জানালা বন্ধ করে খামারে গ্যাস তৈরি করবেন না। কিছু খোলা রাখবেন।।

* অনর্থক অ্যান্টিবায়টিক দিবেন না বা কয়েক পদের অ্যান্টিবায়টিক দিয়া থেকে বিরত থাকুন।।

* ঔষধ ও ভিটামিন ভাল ভাবে সংরক্ষন করুন। যেমন অনেকেই আছেন প্যাকেট ভাঁজ করে রাখেন এতে এর গুনাগুন নষ্ট হয়। তাই এটি এয়ার টাইট বৈয়ামে ও বোতল গুলো ভাল করে বন্ধ করে রাখুন।।

* কবুতর ঝিমান বা লোম ফুলিয়ে বসে থাকা বা সবুজ পায়খানা মানেই অসুস্থ না। এ ক্ষেত্রে অহেতুক ঔষধ দিবেন না।।

* পোলট্রি ভ্যাকসিন দিবেন না।।

* খাদ্য ভাল ভাবে রোদে শুকিয়ে দিবেম।

কবুতরের পা যদি ভেঙ্গে যায়। তাহলে কি করবেন। প্রথমে আইসক্রিমের কাঠি নিবেন। কাঠি টাকে কেটে ছোট ছোট ২ টুকরা করবেন। তারপর টা...
11/10/2018

কবুতরের পা যদি ভেঙ্গে যায়। তাহলে কি করবেন। প্রথমে আইসক্রিমের কাঠি নিবেন। কাঠি টাকে কেটে ছোট ছোট ২ টুকরা করবেন। তারপর টাকা জোড়া দেওয়ার জন্য আমরা যে টেপ ব্যবহার করি সেই গুলা নেবেন, বা ব্যান্ডেজ কাপড় নিবেন। প্রাথমিক অবস্থায় বরফের টুকরা টাওয়ালে নিয়ে বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ইলাস্টিক ব্যাগে নিয়ে লাগালে ব্যথা ও ফুলা কমে আসবে।। এরপর খত যায়গায় হেক্সিসল বা স্যাভলন অথবা পবিসেব দিয়ে ভাল ভাবে ওয়াস করতে হবে। তারপর প্লাস্টার অফ প্যারিস যেটি ফার্মাসি তে পাওয়া যায়। পানি দিয়ে গুলে মাখন বানিয়ে তার উপর প্রলেপ দিতে হবে। দিতেই হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নাই। খেয়াল রাখতে হবে ভিতর টি যেন ভিজে না থাকে তাহলে সংক্রমণ হবার ভয় থেকে যায়। তারপর প্রলেপ দেওয়ার পর আইসক্রিমের একটা কাঠিতে টেপ পেছিয়ে পাঁয়ের সাথে লাগিয়ে অন্য কাঠি অন্য পাসে দিয়ে, পা এবং কাঠি এক সাথে টেপ পেছিয়ে দিবেন, অথবা ব্যান্ডেজ কাপড় দিয়ে বেদে দিবেন। ব্যান্ডেজ ২১-৪০ দিন পর্যন্ত রাখতে হবে। কবুতরকে খাঁচায় রাখতে হবে। খাঁচার নিচে কাঠ বা বস্তা দিয়ে দিতে হবে যাতে বসে থাকতে পারে। এই সময় তরল জাতীয় খাবার ও ক্যালসিয়াম+ফসফরাস সরবরাহ করতে হবে যাতে হাড় তাড়াতাড়ি জোড়া নেয়। আর ব্যথা এবং হাড় জোড়া নেওয়ার জন্য, হোমিও ঔষধ (ব্লাড হেমোলিন) ১টা করে দিনে ২ বার এবং (ম্যাগনেসিয়াম ফসফোরিকা 6X) একটা দিনে ২ বার। টানা ১ মাস খাওয়াবেন।। ব্লাড হেমোলিন এর দাম=৭০ টাকা আর ম্যাগনেসিয়াম ফসফোরিকা 6X এর দাম=৮০ টাকা, মোটা মোটি ২০০ টাকার বিতরেই ইনশাআল্লাহ আপনার কবুতর সুস্থ হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে নিয়মিত পরিচর্যা ও খেয়াল রাখতে হবে যাতে কবুতর বেশি লাফা লাফি না করে, মাঝে মাঝে ভাঙ্গা জায়গাটি হাত দিয়ে দেখতে হবে যে হাড়ের স্থান চ্যুতি ঘটেছে কিনা। ভাঙা হাড়কে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি নিশ্চল রাখতে হবে, সেখানে সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হবে, যাতে নাড়াচাড়া করতে না পারে। এতে স্থানটি আবার আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। শুধু তাই নয়, এতে হাড়ের ভাঙ্গা প্রান্ত রক্তনালী, নার্ভ বা মাংসপেশিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। আর একটা কথা কখনোই ফ্র্যাকচারের ঠিক ওপরের স্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধবেন না। ব্যান্ডেজ এমনভাবে বাঁধবেন যাতে কবুতর স্থানটি নাড়াতে না পারেন এবং সেখানে আবার আঘাত না লাগে। এটি এমন টাইটও করবেন না, যাতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়।।

05/10/2018

শীতে কবুতরের সমস্যা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

আসসালামু আলাইকুম, আসা করি সবাই আল্লাহ্তায়ালার অসীম কৃপায় ভালোআছেন।
শীতের আগমনের সাথে সাথে সকল কবুতর পালোকরা একটু বেশি ব্যাস্ত সময় পার করছেন।আজ এই বিষয় টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চেষ্টা করব কিভাবে শীতের পুরা সময় টাতে আপনার কবুতর সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। আসা করি মনযোগ দিয়ে পুরা পোস্টটি পরবেন।

২ টা প্রশ্নে আমি আমার আলোচনা করবো। নিচের দুইটি প্রশ্ন আমাদের মনের মাঝে এই শীত আসলেই দেখা দেয় বিশেষ করে নতুন পালক দের মনে। যাই হোক আমি এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো আসাকরি শীতে কিভাবে কবুতরকে সুস্থ রাখবেন তার সমাধান পেয়ে যাবেন।

#১. শীতে কবুতর এর কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে ?
#২. কবুতর কে সুস্থ রাখতে আপনার করনীয় গুলো কি কি ?

আসুন তাহলে আমরা মূল আলোচনায় যাই।

শীতে কবুতর এর কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে ?

উত্তরঃ যে সকল সমস্যা গুলো শীতে দেখা দেয়।

১.শীতে মশা,পোকা,মাইট এ জাতীয় পরজীবি পোকার প্রাদুর্ভাব বেশী হয়।এর কবুতর এর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
২.শীতে বিভিন্ন জীবানু সবথেকে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে যা কবুতর এর জন্য হুমকিস্বরুপ।
৩.কখনো কখনো কবুতর এর শরীরের সাভাবিক তাপমাত্রা ৪৫° থেকে কমে যায়।ফলে কবুতর অসুস্থ হয়ে পরে।
৪.ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বহুগুনে বেরে যায়। যেমনঃ , চোখ ওঠা, কারন ছাড়া ঝিমানো,সর্দি-কাশিতে ঘরঘর করা, মুখ হা করে শ্বাস নেয়া ইত্যাদি।
৫.শীতে সাল্মোনেল্লা, ই কোলাই সহ অনান্য ক্ষতিকর গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া এর কার্যকারিতা বহুগুনে বৃদ্ধি পায়। যা কবুতর এর জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ। এর আক্রমনে সম্পুর্ণ লফ্ট ধংশ হয়ে যেতে পারে।
৬. শীতে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পায়।
৭. অনেক সময় অনেক রোগের জীবানু কবুতর এর শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে শীত এলে এসব জীবানু সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
৮. শীতে ডাইরিয়া ও পা অবস বা পেরালাইসিস এর মত রোগ এর প্রকোপ দেখাদেয়।

উপরোক্ত বিষয় গুলো ছারাউ আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।যেই সমস্যাই আসুক না কেন মাথা ঠান্ডা রেখে অভিঙ্গ কারো পরামর্শ নিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন।

এবার আসি ২য় প্রশ্নেঃ
কবুতর কে সুস্থ রাখতে আপনার করনীয় গুলো কি কি ?

১. কবুতর এর খাদ্য তলিকায় তৈলবীজ জাতীয় খাবারের পরিমান একটু বারিয়ে দিন যেমনঃ বাজরা, তিসি, সরিষা, কুসুমবীজ, সূর্যমুখী বিচি ইত্যাদি। এতে কবুতর এর শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকতে সাহায্য করবে।
২. সপ্তাহে ১ দিন কবুতরকে কালোজিরা,মেথী,জাউন খেতে দিন এতে কবুতর এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারবে।
৩. খেয়াল রাখবেন আপনার খামার যেন স্যাঁতস্যাঁতে না থাকে
৪. সপ্তাহে এক দিন রসুন পানি দিন, এতে আপনার কবুতর সাল্মনিল্লামুক্ত থাকবে ও শরীরও উষ্ণ থাকবে।
৫. সপ্তাহে এক দিন লেবু+ লবন+ চিনি মিক্সড করে খাওয়ান। এতে আপনার কবুতর সাল্মনিল্লামুক্ত থাকবে।
৬. নিয়মিতভাবে কৃমির কোর্স করাবেন।
৭. ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স দিন ৩-৪ দিন মাসে ও মাল্টি ভিটামিন দিন ৩-৪ দিন মাসে.
৮. মাঝে মাঝে কবুতর কে বাদাম খেতে দিন।বাদাম এর উপকারিতা অনেক। বাদাম শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৯. পানির সাথে, তুলসি পাতার রস,নিম পাতা,আদা,সজিনা পাতা,পুদিনাপাতা,কাঁচা হলুদ,পাথরচুনির পাতা, থানকুনি পাতা মিক্সড করে খেতে দিন। এতে একদিকে, ভিটামিন,মিনারেল, ক্যালসিয়াম এর অভাব পুরন হবে অপরদিকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
১০. খাবারের সাথে সপ্তাহে ১ দিন দারুচিনি গুরা মিক্সড করে খাওয়ান।
১১. লফ্ট নিয়মিতভাবে পরিস্কার রাখুন।
১২. পরিস্কার খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
১৩. রাতে লফ্ট এর তাপমাত্রা ঠিক রাখুন,চট বা কাপর দিয়ে লফ্ট ঢেকে দিন খেয়াল রাখবেন বাতাস চলাচল যেন বন্ধ না হয়ে যায়। অনেকে রাতে কবুতরের ঘরে তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য সারারাত লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে তাপমাত্রা ভাল থাকে এটা ঠিক তবে এতে করে কবুতরের ঘুম নষ্ট হয়, এভাবে তারা দিনরাতে 24 ঘণ্টায় জেগে থাকে। এটা কবুতরের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাতে লাইটের আলোর দরকার নাই। তাপমাত্রার দরকার, তাই লাইটগুলোকে একটু আড়ালে রাখলে ভাল। যারা বাণিজ্যিক কবুতর পালন করেন তারা সেইফ রুম হিটার ব্যাবহার করতে পারেন।

১৪. শীতে উত্তর ও পশ্চিম এর বাতাস কবুতর এর জন্য ক্ষতিকর,সুতরাং উত্তর ও পশ্চিম পাশ সম্পুর্ণ ঢেকে দিন।
১৫. মানসম্মত গ্রিড কবুতর কে খেতে দিন।

১৬. দিনে কবুতরদের গায়ে রোদ লাগানো খুবই দরকারি। শীতে এটার গুরুত্ব অপরিসীম। সুস্থ থাকার জন্য শীতে কবুতরদের কিছু সময় রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।

১৭. শীতে সপ্তাহে ১/২ দিন এর বেশি কবুতরকে গোসল করাবেন না, বেশি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাবেন না এমন কি খেতেউ দিবেন না।

যদি এভাবে আপনি আপনার খামারের সঠিক যত্ন নিতে পারেন আশাকরি এই শীত অনায়াসে নিশ্চিন্তে পার করতে পারবেন।

কবুতর পালন বিষয়ক সমস্ত তথ্যের জন্য আমাদের সাইট www.pigeoncarebd.com ভিজিট করতে পারেন।

02/10/2018

♥ কবুতর এর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা :

খামার হতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার এবং রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

১। কবুতর উঠানোর আগে খামারসহ ব্যবহার্য্য সকল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রমে পানি দিয়ে পানির সাথে কার্যকরী জীবানুনাশক (০.২-০.৫% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড বা আয়োডিন দ্রবণ) মিশিয়ে সেপ্র করতে হবে।

২। সুস্থ্য সবল কবুতর সংগ্রহ করতে হবে।প্রয়োজনে বাহ্যিক পরজীবি নিধনের জন্য ০.৫% ম্যালাথিয়ন দ্রবণে কবুতরকে গোসল করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কবুতরের মুখ এই দ্রবণে ডুবানো যাবে না। হাত দিয়ে মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে। অমত্মঃপরজীবি প্রতিরোধের জন্য কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে।

৩। কবুতরের খোপ, দানাদার খাদ্য ও খনিজ মিশ্রণ সরবরাহের পাত্র, পানির পাত্র ও গোসল করার পাত্র এবং কবুতর বসার স্ট্যান্ড নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।

৪। খামারে মানুষের এবং বন্য পাখি ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণী যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।প্রতিবার খামারে প্রবেশ করার পূর্বে এবং খামার হতে বাহির হওয়ার সময় হাত ও পা অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৫। কোন কবুতর অসুস্থ হলে দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে। অসুস্থ বা মৃত কবুতর এর রোগের কারণ জেনে অন্যান্য জীবিত কবুতরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

01/10/2018

#সাল্মোনেল্লোসিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারক হিসাবে লেবু,চিনি ও লবনের মিশ্রণ।

উপাদানঃ-

লেবু :

লেবুতে যে সকল উপাদান বিদ্যামান থাকেঃ
লেবু একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এসিডিফায়ার(সাইট্রিক এসিড), কার্বহাইডেট,প্রটিন,ফ্যাট,এনার্জি,
ভিটামিন A, ভিটামিন B1,ভিটামিন B5,ভিটামিন B6,ভিটামিন B9,ভিটামিন C, ভিটামিনE,আইরোন,পটাসিয়াম,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,কপার,মলিবডেনাম,সোডিয়াম, ফসফোরাস,ফ্লুরিড,এবং জিংক।এতে কোনো প্রিজারভেটিভ নেই। তাই গুনাগুন থাকে অক্ষুন্ন এবং যে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াবিহীন।

চিনিঃ

চিনিতে যেসকল উপাদান বিদ্যামানঃ-

চিনিতে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম,সোডিয়াম এবং এন্টি অক্সাইড প্রচুর পরিমানে রয়েছে। যে কোনো প্রকারের ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতারোধে অধিক মাত্রায় কার্যকরী।

লবন(আয়োডিন যুক্ত)ঃ

লবনে যেসকল উপাদান বিদ্যামানঃ-

লবণ বা নুন​ হলো খাদ্যে ব্যবহৃত এক প্রকারের দানাদার পদার্থ যার মূল উপাদান হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অধিকাংশ স্থলজ উদ্ভিদের জন্য বিষবৎ। লবনের স্ফটিক তৈরির এর সাথে জৈব ইউরিয়ারূপে মূত্র ব্যবহার করা হয়।এর লবনাক্ততার জন্য স্বাদকে মৌলিক স্বাদের একটি বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এটি খাদ্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। দৈহিক উন্নয়নের অক্ষমতাগুলো দূর করতে লবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লেবু,চিনি ও লবনের মিশ্রণ এর উপকারিতাঃ

১. লেবু বডি পিএইচ কমিয়ে দিয়ে সাল্মোনেল্লা, ই কোলাই সহ অনান্য ক্ষতিকর গ্রাম নেগেটিভ #ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান প্রতিহত করে
২. ডায়রিয়া জনিত পানি শূন্যতা ও জিংক এর অভাব পূরন করে শরীরকে সতেজ রাখে।
৩. বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাব জনিত রোগ প্রতিহত করে।
৪. কবুতরের ক্রমাগত বুকের মাংশ শুকিয়ে যাওয়া প্রতিহত করে।
৫. ডায়রিয়া/ #প্যারাটাইফয়েড(সাল্মোনেল্লসিস) এর কারনে শরীরে লবন এর ঘাটতি পূরন করে।
৬.শরীরে আয়োডিন এর অভাব পূরন করে।

ব্যবহার বিধিঃ
#সাল্মোনেল্লা, োলাই ও অনান্য গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধে, ভিটামিন-মিনারেল এর অভাব জনিত রোগ ও পানিশূন্যতা রোধে:

১.পানিঃ ১ লিটার।

২.লেবুর রস, মাঝারি সাইজ এর অর্ধেক।

৩. চিনি: ৫ চা চামচ।

৪. লবন: ৫ চিমটি।

ভালোভাবে মিক্স করে কবুতরকে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন করে খাওয়ান। দীর্ঘ মেয়াদে কবুতরকে সাল্মোনেল্লা মুক্ত রাখতে ভেক্সিন এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশে কবুতরের ভেক্সিন ব্যয়বহুল, দূর্লভ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত পযাপ্ত লোক না থাকায় স্বল্প মেয়াদে সাল্মোনেল্লা থেকে কবুতরকে মুক্ত রাখতে বিকল্প হিসাবে এই নিয়মটি ফলো করতে পারেন।

সংগ্রথিত - নেট+ অনান্য পোষ্ট

কবুতর পালন বিষয়ক সমস্ত তথ্যের জন্য আমাদের সাইট www.pigeoncarebd.com ভিজিট করতে পারেন।

কবুতরের পালক নিয়ে আজ কিছু কথা বলবো।আমার জানা মতে কবুতরের পালক অনেক ধরনের হয়, এর মধ্যে ২টা পালক বেশি পরিচিত তা হলো১.তীর প...
30/09/2018

কবুতরের পালক নিয়ে আজ কিছু কথা বলবো।
আমার জানা মতে কবুতরের পালক অনেক ধরনের হয়, এর মধ্যে ২টা পালক বেশি পরিচিত তা হলো
১.তীর পালক
২.তালোয়ার পালক।
তীর পালক যেভাবে চিনবেন:
সাধারণত তীরের মত সোজা পালক হবে এবং সামনে দিকে একটু ত্রিভুজের মত হবে।চিত্রে ডান পাশের টা তীর পালক।
তীর পালকের বৈশিষ্ট্য:
তীর পালক বৈশিষ্ট্য কবুতর খুব দ্রুত টপে উঠে যাই এবং টপে যেয়ে দ্রুত গতিতে উড়ে ও আকাশে বেশি ছুটা ছুটি করে।আবার নামার সময় দ্রুত নেমে যাই যার। তবে এই ধরনের পাক ওলা কবুতর একটু বেশি উড়ে।তাই এধরনের পাক ওলা কবুতর কে বেশি প্রধান্য দেয়া হয়।
তালোয়ার পালক যেভাবে চিনবেন:
সাধারনত তালোয়ারের মত একটু বেকানো বা হেলান হয়,সম্পূর্ন সোজা হয় না এবং পালকের শেষ প্রান্তে রাউন্ড ধরনের হয়।
চিত্রে বাম পাশের টা তালোয়ার পালক।
তালোয়ার পালকের বৈশিষ্ট:
এ পালক বৈশিষ্ট্য কবুতর ধির গতি তে উড়ে,আস্তে আস্তে টপে উঠে আবার আস্তে আস্তে নিচে নামে। এই পাক বিশিষ্ট কবুতর যখন উড়ে মনে হয় আকাশে কবুতর টা মেঘের মত ভাসছে।এই পাখ ওলা কবুতর ধীর গতি হওয়াই তুলনা মূলক ভাবে বাজের শিকার বেশি হয়। এই পাখার কবুতর তার নিজ বাড়ির উপরেই বেশি উড়ে এবং তীর পালকের থেকে কম উড়ে।
(লেখা ও ছবি সংগৃহীত)

30/09/2018

কবুতর এর কৃমির লক্ষণ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম, গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট......

ক্রিমির কিছু লক্ষন -

অনেক দিন ধরে পাতলা পায়খানা, বেশি পানি পান করা, ডানা ঝুলে যাওয়া, ওজন কমে গিয়ে বুকের হাড্ডি বের হয়ে আসা, চুপচাপ বসে থাকা শুধু খাওয়ার সময় উঠা, উতপাদন কম হয়া, ডিম না দেয়া, পায়াখানার সাথে ক্রিমি আসা বা পরা ।

১) কখন করাবেন কোর্স-

ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় , খালি পেটে করান ।
গরমের দিনে করালে খুব ভোরে বা অনেক রাতে যখন খাবার হজম হয়ে যায় , প্রয়োজনে অই দিন খাবার একটু আগে দেওয়া ভাল তাতে রাতে খাবার আগে হজম হবে ।অবশ্যই সুস্থ কবুতরকে করাতে হবে । অথবা গরমের দিনে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে এমন আবহাওয়ায় দেওয়া ভাল । একটানা ৩/৪ দিন বৃষ্টি হয় তখন না দেওয়া উচিৎ ।

২) দৈহিক ওজন অনুসারে ঔষধের পানির পরিমাপ নির্ণয়
কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।

৩) কি কি ঔষধ দিতে বা খাওয়াতে পারি-

Elcaris vet (square )
Poulnex (Novartis )
Avinex ( Reneta )

৪) ঔষধ তৈরির নিয়মাবলি ও পরিমাপ-

এভিনেক্স ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে অই পানি প্রতি কবুতরকে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় খালি পেটে ১০ মিলি করে সিরিঞ্জ দিয়ে খাইয়ে দিন ।

দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।

৫) কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পদ্ধতি-

ঔষধ এর পানি দিয়ে রাখলে অনেক সময় অনেকে বেশি পানি খায় , অনেকে কম খায় , অনেকে খায়নাহ তাই ঝামেলা হয় ।
যেহেতু ৬০/৯০ দিন পর পর তাই একটু কষ্ট হলে ও ধরে সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ানো ভাল ।

৬) কতক্ষন পর কি করতে হবে-
ঔষধ খাওয়ানোর ৩ ঘণ্টা পর লিভার টনিক / লিভা ভিট বা লিভা টন বা হামদারদ এর ইকটার্ন দিনার ২ মিলি আর ইলেকট্রমিন স্যালাইন ২ গ্রাম করে ১ লিটার পানিতে মিক্স করে খেতে দিন । কৃমির ওষুধ দেওয়ার পর বমি করতে পারে । এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । আর ওষুধ দেওয়ার ৫ ঘণ্টা পর খাবার দিন এর আগে না দেওয়া ভাল । আর ওই দিন ৩/৫ ঘণ্টা পর কবুতরের খাঁচা , খাঁচার নিচের ময়লা , ট্রে পরিষ্কার করুন ।
আর লিভার টনিক ও স্যালাইন ওষুধ দেওয়ার দিন, আরও দুইদিন খাওয়ান ।

৭) এক কোর্স থেকে আরেক কোর্স এর মেয়াদ-

৬০-৯০ দিনের মধ্যে একবার করে এই কোর্স করা ভাল ।

8) কাদের জন্য নিশেধ-

২/১ দিনে ডিম দিবে বা ২/৭ দিনের বাচ্চা আছে এমন কবুতর বা অসুস্থ কবুতর কে এই কোর্স করা যাবে নাহ ।

৯)যারা বাদ পরবে তাদের কি করবেন-

পরে তারা ডিম পাড়লে ৪/৫ দিন পর আর বাচ্চা ৮/১০ দিন বয়স হলে তাদের বাবা মা কে এবং অসুস্থ কবুতর সুস্থ হলে বা নতুন কবুতর কিণে আণলে কৃমির লক্ষণ থাকলে ,আলাদা করে ওষুধ খাইয়ে নিবেন ।

১০) কয়দিন দিবেন বা করাবেন-

৬০-৯০ দিনে ১ দিন ১ বার/ ১ বেলা দিবেন কখনোই ২ দিন বা দুই বেলা দিবেন না ।

অামার খামারকে জীবানুমুক্ত রাখার জন্য ভাইরোসিড কিনলাম। অাপনাদের ব্যবহারের ঔষুধ দেখান দয়া করে।
25/09/2018

অামার খামারকে জীবানুমুক্ত রাখার জন্য ভাইরোসিড কিনলাম। অাপনাদের ব্যবহারের ঔষুধ দেখান দয়া করে।

উপকারী পোষ্টনিচের চিকিৎসায় ৯৯% নিশ্চিত কবুতরের ঢাল রোগ ভাল হবে। ঢাল অবস্থায় কবুতরকে রোদে দিবেন। রোদ না থাকলে খাচার ভিতর ...
25/09/2018

উপকারী পোষ্ট
নিচের চিকিৎসায় ৯৯% নিশ্চিত কবুতরের ঢাল রোগ ভাল হবে। ঢাল অবস্থায় কবুতরকে রোদে দিবেন। রোদ না থাকলে খাচার ভিতর ১০০ ওয়াট বাল্ব জ্বালিয়ে দিবেন, প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে।

15/09/2018

♥ আলোচনার বিষয়ঃ
SPLAYED LEGS / SPARDDLE LEGS :
স্প্লেইড লেগস বা স্প্রেডল লেগস ।♥

স্প্লেইড-লেগস বা স্প্রেডল লেগস হলে পা দুটো ২ পাশে ছড়িয়ে থাকবে। পাখি তার দুই পায়ে দাড়াতে পারবে না, হাটা-চলা করতে পারবে না এবং অনেক কষ্ট করে শরীর নাড়াচাড়া করবে।

প্রায় অকেজ হয়ে পরবে সে, তাই একা বেচে থাকার ক্ষমতা থাকবে না।
এ সমস্যা মূলত বাচ্চাদের হয় তবে আঘাতজনিত কারনে বড় পাখিরও হতে পারে।
অনেক সময় পায়ের আঙুল বেকে যায় যা মেসেজ বা ফিজিও থেরাপি দিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় ।
কারণঃ

♦ ডিমে তা দেয়ার সময় যথাযথ আদ্রতা বজায় না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে পায়ের মাসল সঠিকভাবে গঠিত হয় না, তখন বাচ্চা জন্মগত ভাবে এ সমস্যা নিয়ে বড় হতে থাকে।

♦ক্যালসিয়ামের অভাবে পায়ের হাড্ডি ছোটবেলায় ঠিকমত শক্ত না হলে এমন হতে পারে। ভিটামিনের অভাবে হলে বেশিরভাগ সময় শুধু এক পা ছড়িয়ে থাকে।

♦জন্মের পর যদি মা, বাবা বা ভাই-বোন অতিরিক্ত চাপ দিয়ে বাচ্চার উপরে বসে থাকে। তাহলে চাপের কারনে বাচ্চা ঠিকমত তার পা সোজা করার সুযোগ পায় না।

♦চলাফেরা করা শিখতে হয় বাচ্চাদের ১৮ দিনের মধ্য। এই সময়ে বাচ্চাদের হাড়ি বা বাক্সে নড়াচড়া করা প্রয়োজন। পা দিয়ে জিনিসপত্র ধরে রাখার সুবিধা না পেলে পায়ের আঙ্গুল ঠিকমত শক্ত হতে পারবে না।
৫। যদি হাড়ি বা বাক্স পিছলা হয়। পিছলা জিনিষে বাচ্চারা দাড়াতে পারবে না। চেষ্টা করলেই পিছলে পড়ে যাবে, যার ফলে হাটা-চলার অসুবিধা হবে ও পা ছড়িয়ে থাকবে।

♦অন্য কোন কারনে নিয়মিত পায়ের ব্যায়াম না হলে এবং বাচ্চার পা দুই পাশে ছড়িয়ে থাকলে সেই হাড্ডির বয়েস বেড়ে শক্ত হতে থাকে। বাকা পা শক্ত হলে সেই পা আর ঠিক করা সম্ভব হয় না।

♥প্রতিরোধঃ♥

♦শক্তিশালী মাসল ও হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত সুষম খাবার প্রদান ।

♦পিছলা হাড়ি বা বাক্স ব্যাবহার করা যাবে না। হাড়িতে ছালা বা কাঠের তুষ দিতে পারেন যাতে সহজে দাড়াতে পারে বা পা ছড়ীয়ে না রাখে ।

বাচ্চা কবুতর দীর্ঘক্ষণ মেঝে বা ফ্লোর এ রাখা যাবে না ।
♦বাচ্চাদের বয়স ১৩ দিন হওয়ার পড়ে নিয়মিত তাদের পা দেখবেন। পায়ে যদি পায়খানা লেগে থাকে, তাহলে পরিষ্কার করতে হবে, নইলে শক্ত পায়খানা হাড্ডি ঠিকমত বড় হতে দিবে না। কুসুম-গরম পানিতে টিশু ভিজিয়ে পায়ে হাল্কা চাপ দিয়ে পায়খানা পরিষ্কার করে দিবেন।

♥চিকিৎসা ♥

কম বয়স থাকাকালীন চিকিৎসা শুরু করলে অনেক দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু বাচ্চা বড় হয়ে হাড় শক্ত হয়ে গেলে তা ঠিক হয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

√ √ ১ম পদ্ধতি – পায়ের গোড়ালি ও হাটুর মাঝের স্থানে স্টিকি ব্যান্ডেজ দিয়ে এমনভাবে পেচিয়ে দিতে হবে যাতে বাচ্চা নিজ পায়ের উপর ভর করে দাড়াতে পারে এবং নাড়াচাড়া করতে পারে। ব্যান্ডেজ যাতে দুই পাকে বেশি কাছাকাছি নিয়ে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

√√ ২য় পদ্ধতি – মেক-আপ এর স্পঞ্জ কেটে নিয়ে, নির্দিষ্ট জায়গায় দুটি ছিদ্র করে পাখির পা দুটো ঢুকিয়ে দিতে হবে। এভাবে বাচ্চাকে ১-২ সপ্তাহ দেখাশুনা করতে হবে। হাড্ডি শক্ত হলে যখন মেক-আপ স্পঞ্জ পড়েও পাখি দাড়াতে পারবে, তখন স্পঞ্জ থেকে তার পা বের করে দিতে হবে।

√√ ৩য় পদ্ধতি – একটি নরম চুল বাধার ব্যান্ড নিয়ে স্ট্র ছোট করে কেটে সেটার ভিতর দিয়ে ব্যান্ড ঢুকিয়ে দুই কোনার ভিতর দিয়ে দুই পা ঢুকিয়ে দিতে হবে। স্ট্র এমন ভাবে কাটতে হবে যাতে বাচ্চার পায়ে তা ঘষা না খায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করলে ২-৩ দিনেই বাচ্চা সুস্থ হয়ে নিজেনিজে সঠিকভাবে হাটা শুরু করতে পারবে, অন্যথায় ১-২সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
√√ চতুর্থ পদ্ধতি -
অনেক সময় বাচ্চা কবুতর এর পায়ের আঙুল বেকে যায় যা আঙুল আলাদা ব্যান্ডেজ করে সোজা কোণো পাঈপ জাতীয় ফ্রেম এ ভরে কিছু দিন রাখলে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায় । এদের কে একটু আলাদা করে বা আলাদা খাঁচায় রাখতে হবে ।

12/09/2018

♥কবুতরের ডিম আটকানো
কবুতরের/পাখির ডিম (Egg binding )♥

কবুতরের ডিম আটকানোর কারন, ডিম আটকালে কি করবো♦

ডিমের আটকানো (Egg binding) মাদি কবুতরের/পাখির অন্যতম সমস্যা। ডিম পাড়ার সময় এটি cloaca এর কাছাকাছি এসে অথবা আরও ভিতরে প্রজনন নালির মধ্যে আটকে থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ এবং সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে। ডিম আটকানো (Egg binding ) সাধারণত তরুণ মেয়ে পাখির হয় বেশি যদিও ক্রনিক ডিম পাড়ার এই অগণ্য স্বাস্থ্য সমস্যা ক্যালসিয়াম ও পুষ্টির অভাবেও হয়, যা hypocalcaemia হিসাবে পরিচিত। এর ফলে জরায়ুর পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায়,যে কারনে জরায়ু ভিতর ডিম ধাক্কা দিতে অক্ষম হয়। এটা অত্যধিক ডিম পাড়ার কারনেও হতে পারে।

ডিম আটকানোর (Egg binding ) কারনে যে সব লক্ষণ ও উপসর্গ প্রদর্শিত হতে পারে কয়েকটি তালিকা দেওয়া হল

♥দ্রুত বা জড়তাপূর্ণ শ্বাস বা শ্বাস সমস্যা।

♥উদর জোরে টানাটানি।

♥কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব।

♥পিছনে ফোলা ভাব।

♥উইংস ঝুঁকিয়া পড়া ।

♥পালকে তালগোল পাকান ।

♥ফোলান তলপেট ।

♥প্রশস্ত ভঙ্গিমা ।

♥নৈমিত্তিক আকস্মিক মৃত্যু।

♥পুচ্ছ/লেজ নড়ান বা নামিয়ে রাখা।

♥ডিপ্রেশন.

♥খাঁচার মেঝেতে বসা।

♥পা অবস বা পক্ষাঘাত। (যদিও অন্য কারনেও পা অবস বা পক্ষাঘাত হতে পারে।)

ডিম আটকানোর কারণ:

√ কম ক্যালসিয়াম স্তর বা Hypocalcaemia সিন্ড্রোম।

√ অপুষ্টি।

√ অসুস্থ এবং বৃদ্ধ পাখি।

√ ছোট খাঁচা বা বেশি ডিমে তা বা ডিম পাড়া অথবা বেশি বাচ্চা পালন।

√ বড় আকার ডিম।

√সঙ্গি বিহীন একা পাখি।

√ অন্য কবুতর দ্বারা বিরক্ত থেকে।

√ বিশেষ কিছু রোগের সংক্রমণ।

√ জরায়ুর সংক্রমণ ।

√ জরায়ুর টিউমার ।

♥ ডিম আটকানো প্রতিরোধে করণীয় ♥ :

ক) ঘনঘন ডিম পাড়ার থেকে আপনার পাখিকে নিরুত্সাহিত / বন্ধ করতে পারেন।

(খ) ভবিষ্যতে স্বাভাবিক ডিম পাড়ার বাবস্থা জোরদার এবং ডিমের আটকানো (Egg binding ) প্রতিরোধে উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার প্রদান করতে হবে।

(গ) সম্ভব পাখির সাইট অপসারণ নীড় তৈরি উপাদান

(ঘ) loft এলাকায় উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করবেন না।(বিশেষ করে ডিম পাড়া ও তা দেবার সময়।)

(ঙ) বর্ণালী আলো প্রদান।

(চ) আপনার পাখি মধ্যে প্রজনন আচরণ নিরুত্সাহিত করা। প্রয়োজন হলে "সঙ্গী" থেকে পৃথক করা।

(ছ) খাঁচার অভ্যন্তর পুনরায় সজ্জিত এবং খাঁচা অবস্থান পরিবর্তন করা।

(জ) ব্রিডিং জোড়া কে নিয়মিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিতে হবে। বিশেষ করে ডিম পাড়ার সম্ভাবনার সময়।

♥ বিশেষ সতর্কতা ♥ :

নিজের আঙ্গুল বা চাপ দিয়ে ডিম বের করার চেষ্টা করবেন না, এটা আপনার পায়রার গুরুতর বা স্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নালীর ভিতর সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ টিস্যুর সংক্রমণ বা ক্ষতি হতে পারে। বা ভিতরে ডিম ভেঙ্গে স্থায়ী সংক্রমণ হতে পারে। যা তৎক্ষণাৎ চিকিত্সা না করে ছেড়ে যাওয়া হলে – মৃত্যুও হতে পারে।

♥ চিকিৎসা ♥

১) হোমিও Pulsatilla mother, ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে ২ ঘণ্টা পর পর দিতে হবে।

২) মেয়ে কবুতর কে হালকা (পরিশ্রান্ত) করার ব্যাবস্থা করতে হবে।

৩) সন্দেহভাজন ডিমের আটকানোর (Egg binding )ক্ষেত্রে মেয়ে পাখিকে একটি উষ্ণ এলাকায় রাখুন এবং প্রয়োজনীয় সহায়ক যত্ন প্রদান করুন।

৪) উষ্ণ জল স্নান করানোর ব্যাবস্থা করতে হবে ।

৫) বাথরুম এর ভিতর বা কোন রুমে একটি বাষ্পীয় রুম এর মত ব্যাবস্থা করতে হবে এবং তার মধ্যে পাখি রাখুন, 85-90 ডিগ্রী ফারেনহাইট / আর্দ্রতা: 60% তাপমাত্রা ভাল, অথবা গরম পানিতে ভিজান গামছা/তোয়ালে দিয়ে একটু সেঁকের মত ব্যাবস্থা করুন ।

৬) পেছনে পিচ্ছিলকারক পদার্থ হালকা করে দিয়া যেতে পারে এটি ভাল সহায়ক হতে পারে।

৭) তেল দিয়ে পেছনের এলাকায় পেশী ম্যাসেজ করতে হবে, মেসেজিং করার সময় খুব সাবধান কারন জোরে হলে ডিম ভিতরে ভঙ্গ হতে পারে যা জীবন নাশক হতে পারে।

৮) ডিমের সফল পাসিং এর জন্য স্যালাইনে পানি খাওয়ানোর বাবস্থা করতে হবে এবং অন্য কবুতর থেকে আলাদা করতে হবে ও শান্ত রাখতে হবে।

সাধারণত ১ ও ২ নম্বর চিকিৎসাতেই এ থেকে পরিত্রান পওয়া যায়। তারপর একটু বেশি সতর্কতা হিসাবে একটু বিশেষ যত্ন নিলে অনেক অনাখাংকিত পরিস্থিতি থেকে বাচা যাবে। উপরোক্ত সব ব্যাবস্থা একসঙ্গে নিয়ার দরকার নাই। অনেক কবুতর প্রথমবার একটা ডিম দিয়ে থাকে, আবার অনেক কবুতরেএকসাথে দুইয়ের অধিক ডিম দিতে পারে , এ ধরনের ব্যতিক্রম হতেই পারে, আপনার বাড়তি টেনশন করার দরকার নাই ।
Montu Nazmul

Address

Nandail
Mymensingh
2290

Telephone

01917-853565

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hello Pigeon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram