12/03/2025
কিডনি স্বাস্থ্যের ভালো রাখার জন্য কিছু কার্যকর টিপস-
১. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন
নিয়মিত ব্যায়াম করা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, বরং এটি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, যা কিডনির সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং কিংবা নাচের মতো কার্যকলাপ বেছে নিন, যা আপনাকে ব্যস্ত ও সক্রিয় রাখবে।
২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বেশি থাকে, কারণ উচ্চ রক্তে শর্করা কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা অনুসরণ করুন। শুরুর পর্যায়েই কিডনির ক্ষতি শনাক্ত করা গেলে প্রতিরোধের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
উচ্চ রক্তচাপ কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে যদি ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে এটি সংযুক্ত হয়। সুস্থ রক্তচাপ সাধারণত ১২০/৮০ হওয়া উচিত। যদি এটি ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয়, তবে ডাক্তারি পরামর্শ নিন এবং জীবনধারায় পরিবর্তন আনুন।
৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন এবং বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল, মাছ এবং সম্পূর্ণ শস্যভিত্তিক খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকে এবং বর্জ্য অপসারণ সহজ হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি পান করা উচিত। বিশেষ করে যারা গরম আবহাওয়ায় থাকেন বা শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের জন্য পানি গ্রহণের পরিমাণ আরও বেশি হওয়া উচিত।
৬. ধূমপান এড়িয়ে চলুন
ধূমপান রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করে এবং কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। এটি কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করলে ধীরে ধীরে ঝুঁকি কমতে থাকে এবং কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।