সাইকোলজিস্টদের আড্ডা

সাইকোলজিস্টদের আড্ডা আমাদের গ্রুপের নামে পেইজটা খোলা হয়েছে।সমস্যা ম্যাসেজ করতে পারেন।

22/03/2025

সফলতার জন্য নিজেকে ডেভেলপ করার কৌশল-

১. পরিচিত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসা

আপনার আশেপাশের মানুষজন যদি আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য না করে, তাহলে সেই পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

বড় গাছের নিচে ছোট গাছ বেড়ে ওঠে না, তাই অন্যের ছায়ায় না থেকে নিজের জন্য নতুন জায়গা তৈরি করতে হবে।

প্রয়োজন হলে নিজের শহর ছেড়ে নতুন কোনো জায়গায় গিয়ে থাকা উচিত, যেখানে নতুন কিছু শেখার সুযোগ থাকবে।

২. সাময়িক পিছিয়ে যাওয়া – সফলতার জন্য প্রস্তুতি

অনেক সময় সফলতা পাওয়ার জন্য কিছুদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয়।

পেস বোলাররা যেমন গতি বাড়াতে পেছনে সরে আসে, তেমনি আপনাকেও মাঝে মাঝে ধৈর্য ধরে পরিকল্পনা করতে হবে।

সমালোচনা আসবেই, কিন্তু একদিন সেই সমালোচনাকারীরাই আপনার প্রশংসা করবে। মনে রাখতে হবে "Success is the best revenge"।

৩. নির্দিষ্ট একটি স্কিল ডেভেলপ করা

আজকের দুনিয়ায় একটি ভালো স্কিল আপনাকে ডিগ্রির থেকেও বেশি প্রোডাক্টিভ করতে পারে।

নিচের যেকোনো একটি স্কিলে দক্ষতা অর্জন করুন:

ভিডিও এডিটিং

গ্রাফিক ডিজাইন

কোডিং

ইউটিউবিং

কন্টেন্ট রাইটিং

রান্নাবান্না ইত্যাদি।

একটানা ছয় মাস একটি স্কিলের পেছনে লেগে থাকুন, দক্ষতা আসবেই।

৪. একজন মেন্টর খুঁজে নেওয়া

সফলতার জন্য একজন উপযুক্ত মেন্টর নির্বাচন করুন।

তার গাইডলাইন অনুসরণ করুন, ভালো বই পড়ুন, কোর্স করুন, ইউটিউব ভিডিও দেখুন।

সফল ব্যক্তিদের জীবন থেকে শিক্ষা নিন।

৫. অর্থের সঠিক ব্যবহার ও ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে সেই টাকা সঞ্চয় করুন।

একটি একটি করে দেশ ভ্রমণ করুন, এতে করে আপনার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তৈরি হবে।

ইন্টারন্যাশনাল কালচারের সাথে পরিচিত হলে বড় দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

৬. প্রোডাক্টিভ মানুষের সংস্পর্শে থাকা

অলস বা নেতিবাচক মানসিকতার মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।

উদ্যমী, পরিশ্রমী ও সৎ মানুষের সাথে সময় কাটান, তাদের থেকে শেখার চেষ্টা করুন।

৭. নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া

সুস্থ শরীর মানেই সুস্থ মন, তাই নিজের স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিন।

জিম করুন বা বাড়িতে ব্যায়াম করুন, মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই শরীরের গঠন পরিবর্তন হয়ে যাবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করলে শক্তিশালী হাত, পেশিবহুল বুক ও মজবুত পা গঠন করা সম্ভব।

৮. সফল ব্যক্তিদের কৌশল ও অভ্যাস অনুসরণ করা

নীচে কয়েকজন সফল ব্যক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল তুলে ধরা হলো:

এলন মাস্ক: দিনে ১২-১৬ ঘণ্টা কাজ করেন এবং বহুমুখী দক্ষতা অর্জনে বিশ্বাসী।

ওয়ারেন বাফেট: প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা বই পড়েন এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় অটল থাকেন।

স্টিভ জবস: সিম্পল ও ফোকাসড থাকার ওপর জোর দিতেন, প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় কাজ এড়িয়ে চলতেন।

বিল গেটস: নতুন স্কিল শেখার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করতেন।

৯. দরকারি বই পড়া ও গবেষণা করা

সফলতা অর্জনের জন্য নিচের কিছু বই পড়তে পারেন:

"Atomic Habits" - James Clear (অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে সফল হওয়ার কৌশল)

"Deep Work" - Cal Newport (গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করার দক্ষতা)

"The 7 Habits of Highly Effective People" - Stephen Covey (সফল ব্যক্তিদের মূল অভ্যাস)

"Think and Grow Rich" - Napoleon Hill (আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের পথ)

১০. ধৈর্য ও একাগ্রতা ধরে রাখা

দ্রুত সফলতা আসে না, এজন্য ধৈর্য ধরতে হবে।

দৈনিক ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন করলেই দীর্ঘমেয়াদে বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

ছোট ছোট লক্ষ্য সেট করুন এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যান।

শেষ কথা-

সফলতা একদিনে আসে না, তবে যদি পরিকল্পিতভাবে নিজেকে ডেভেলপ করেন, তাহলে একদিন অবশ্যই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। নিজের স্কিল উন্নয়ন করুন, পরিশ্রম করুন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন – সাফল্য আপনার হাতের মুঠোয় আসবেই!

26/06/2024

সুখ সম্বন্ধে গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে কয়েকটি সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট।

(১) অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিত ব্যক্তি বেশি সুখ অনুভব করে। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপ হলে বিবাহিত ব্যক্তি অবিবাহিত ব্যক্তির তুলনায় কম সুখ অনুভব করে। তাছাড়া, পাশ্চাত্যে প্রচলিত লিভ টুগেদার বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তুলনায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিবাহিত সম্পর্ক বেশি সুফলদায়ক।

(২) সুখের স্থায়িত্ব চিরস্থায়ী নয়। আপনি লটারি জিতলে কয়েকদিন পর্যন্ত খুশি অনুভব করবেন অথবা প্রথম সন্তানের বাবা -মা হয়ে কয়েক মাস পর্যন্ত খুশি অনুভব করবেন কিন্তু এরপর আবার পুনরায় আগের মানসিক অবস্থায় ফিরে যাবেন অর্থাৎ সুখানুভূতি কমে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে।

(৩) সুখী হওয়ার সাথে জিন এর সম্পর্ক রয়েছে। জিনগত (জেনেটিক কারণ) ফ্যাক্টর অনেকাংশে দায়ী।কোন কোন মনোবিজ্ঞানীর মতে জিনগত দায় ৪০-৫০%।

(৪) সুখী হওয়ার সাথে আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক রয়েছে।তাই যারা ধার্মিক বা ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা করেন তারা সুখ অনুভব করেন।

(৫) দরিদ্র দেশের লোকজন ধনীদেশের লোকজনের তুলনায় অসুখী বেশি।

(৬) সুখানুভূতি আমাদের মনোশারিরিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুখী ব্যক্তি দীর্ঘায়ু লাভ করে, জীবন ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আশাবাদী থাকে, রোগব্যাধিতে সহজেই আক্রান্ত হয় না।

22/05/2024

শুভ সকাল
সকলে কেমন আছেন....

এই ছবিতে কোনো লাল রঙ নেই।কিন্তু আপনি দেখছেন— আছে।এটা ব্রেইনের কারসাজি।আপনার ব্রেইনে সেট হয়ে আছে যে কোকাকোলার ক্যান লাল।অ...
06/05/2024

এই ছবিতে কোনো লাল রঙ নেই।
কিন্তু আপনি দেখছেন— আছে।
এটা ব্রেইনের কারসাজি।
আপনার ব্রেইনে সেট হয়ে আছে যে কোকাকোলার ক্যান লাল।
অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রেইনে কিছু সেট করে রাখবেন না।
নিজে বিশ্লেষণ করে দেখবেন।

বিশ্লেষণ করে দেখলে দেখবেন— এই পুরো ছবিটিতে আছে শুধুমাত্র হালকা-নীল, কালো, এবং সাদা রঙ।
জুম করে দেখুন।

06/07/2022

নারীরা দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ ও জীবন সমস্যার সম্মুখিন হলে তাৎক্ষনিক সমাধান খোঁজার পরিবর্তে বিশ্বস্ত বা ঘনিষ্ঠজনের নিকট হতাশা, রাগ, দুঃখ ইত্যাদি অনুভূতি শেয়ার করে। যদি নারী উপলুব্ধি করে যে তার সমস্যা শোনা হচ্ছে ও অনুভূতি বোঝা হচ্ছে তখন সে প্রশান্তি অনুভব করে।
কিন্তু পুরুষ তার পার্টনার এর মানসিক চাপ ও ব্যাক্তিগত সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে কিছু ভুল করে। পুরুষ অযাচিত উপদেশ প্রদান করে, সে ধারনা করে পার্টনার তার কাছে সাহায্য কামনা করছে, তাই উপদেশ প্রদান করে পার্টনার কে প্রশান্ত/রিলাক্স করতে চেষ্টা করে।
তীব্র মন খারাপ অনুভূতিও ক্রমশ্য হ্রাস পায় যদি নারীর কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা হয়।
নারীরা কখনো অসমাধানযোগ্য সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করে, সে নিজেও জানে।
নারী কখনো সমস্যা বিস্তারিত আলোচনা করে।কখনো এক টপিক সম্পূর্ন শেষ না করে অন্য টপিকে চলে যায় পুরুষ তখন কথার লজিক বুঝতে না পেরে confused হয়ে পড়ে।
অনেক পুরুষ নারীর আলোচনায় মনোযোগ কম দেয়।কখনো পুরুষ ধারনা করে তাকে সমস্যা শোনানোর পাশাপাশি তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
নারী পার্টনার পুরুষ কে গাইড করে তার আচরণে পরিবর্তন আনতে ( তার উন্নতি বা ভালোর জন্য) চাপ দেয়। তখন পুরুষ নিজ কে অযোগ্য ভাবে।
মানসিক চাপের সময় পুরুষ কেবল একটি সমস্যা ও এর সমাধান নিয়ে ভাবে তবে নারী একাধিক সমস্যা নিয়ে ভাবতে থাকে।নারীরা ভবিষ্যৎ পরিনতি সম্বন্ধেও ভাবে। পুরুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে যুক্তিবাদী,নারী অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবেগী, কখনো কখনো তাদের আবেগ উঠানামা করে।
বেশিরভাগ পুরুষ চায় তার সমস্যা সে একাই অন্যের সাহায্য ব্যাতীত সমাধান করুক অন্যথায় এটা তার অযোগ্যতার প্রমাণ।
নারী পুরুষের মাঝে বিভিন্ন পার্থক্য বুঝতে না পারলে সম্পর্কে দ্বন্দ-ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। পুরুষদের উচিত নারীর অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করা, মনোযোগ সহকারে তার কথা শোনা, অযাচিত উপদেশ না দেয়া, সহানুভূতি ও সমব্যাথী হওয়া। সমব্যাথী হলো সে যেমন অনুভুব করছে ও ভাবছে তেমনি তার মতন করে অনুভব ও ভাবা।

30/04/2022

Facebook এ পরিচয় একটি মেয়ের সাথে।মেয়েটির সাথে ২-৩ মাস নিয়মিত চ্যাটিং হত এবং মাঝে মধ্যে ফোনে আলাপ হত।মেয়েটির চ্যাটিং এর ধরন এবং আচরণ দেখে মনে হয়েছিল হয়ত সে আমাকে পছন্দ করে।সে তার ব্যাক্তিগত অনেক ব্যাপার শেয়ার করত। আমি উপলব্ধি করতাম ওর প্রতি আমি যেমন ফিল করি, আমার প্রতিও সে তেমন ফিল করে।কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় যখন তাকে প্রপোজ করে রিজেক্ট হই।
উল্ল্যেখিত ঘটনাটি একজন ছেলে একটি গ্রুপে শেয়ার করে।
এক শ্রেণীর মেয়ে আছে এরা একজন ছেলের মনোযোগ, গুরুত্ব, পছন্দ খুব উপভোগ করে।যখন মেয়েটার কথা -বার্তা,আচার-আচরণে ছেলেটার ধারণা হয় যে মেয়েটা তাকে পছন্দ করে তখন প্রপোজ করে প্রত্যাখ্যান হয়ে আশ্চর্য/অবাক হয়।
অন্যদিকে, অনেক মেয়েরা শুধুমাত্র বন্ধু হিসেবে একজন ছেলের কাছে ব্যাক্তিগত বিষয়াদি শেয়ার করে,ঘণীষ্ঠ হয়,আগ্রহ প্রকাশ করে।এসব শুধু বন্ধুত্বের সিগন্যাল,অনেক ছেলে তা ভালোবাসার সিগন্যাল ভেবে ভুল করে।পরবর্তীতে প্রপোজ করে রিজেক্ট হয়।

Address

Maskanda
Mymensingh

Telephone

+8801926119032

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সাইকোলজিস্টদের আড্ডা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category