Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician, Paediatrician, Popular Diagnostic Centre Limited, 252/1 Mymensingh, Mymensingh.

ডা. মানিক মজুমদার
MBBS (Dhaka)
BCS (Health)
ENS (Germany)
IPPN (Boston)
MD (Paediatrics)
Consultant (Paediatric)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী রোগ বিশেষজ্ঞ
Ex- RP (Paediatrics)
MMCH
Contact: 01711049620

আপনার শিশু যদি ৬ মাস বয়স থেকে -• একদমই খাবার খেতে না চায়• শিশুর পেটে ফোলা ভাব থাকে• শিশুর চেহারা ফ্যাকশে হয়ে যায় এবং • ...
20/06/2025

আপনার শিশু যদি ৬ মাস বয়স থেকে -
• একদমই খাবার খেতে না চায়
• শিশুর পেটে ফোলা ভাব থাকে
• শিশুর চেহারা ফ্যাকশে হয়ে যায় এবং
• শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি বা গ্রোথ যদি থেমে যায়

তাহলে আপনার শিশুকে নিয়ে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

শিশুদের থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় জন্মের প্রথম ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সের মধ্যে।

থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) একটি জিনগত রক্তের রোগ, যা শিশুর শরীরে স্বাভাবিকভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরি হওয়াকে ব্যাহত করে। হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের একটি প্রোটিন যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন বহন করে। থ্যালাসেমিয়ায় হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কমে যায় বা অস্বাভাবিক হয়, ফলে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়।

🍀 থ্যালাসেমিয়া কীভাবে হয়?

থ্যালাসেমিয়া বংশগত রোগ, অর্থাৎ এটি বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানের জিনের মাধ্যমে উত্তরাধিকারসূত্রে আসে। এটি হয় তখনই, যখন পিতা-মাতা উভয়েই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক (carrier) হন।

🍀 থ্যালাসেমিয়ার ধরন

থ্যালাসেমিয়াকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:

১. আলফা থ্যালাসেমিয়া (Alpha Thalassemia):
রক্তের হিমোগ্লোবিনের আলফা গ্লোবিন চেইনের ঘাটতির কারণে আলফা থ্যালাসেমিয়া হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়া রোগের উপ-প্রকার ভাগ গুলো হলো:
• Silent carrier
• Alpha thalassemia trait
• Hemoglobin H disease
• Alpha thalassemia major (Bart's hydrops fetalis – গর্ভকালীন অবস্থায় এই শিশুদের মৃত্যু হয়)

২. বিটা থ্যালাসেমিয়া (Beta Thalassemia):
রক্তের হিমোগ্লোবিনের বিটা চেইনের ঘাটতির কারণে বিটা থ্যালাসেমিয়া হয়। আমাদের দেশে বিটা থ্যালাসেমিয়া সবচেয়ে কমন। বিটা থ্যালাসেমিয়া রোগের উপ-প্রকার ভাগ গুলো হলো:
• থ্যালাসেমিয়া মাইনর (Minor): এরা মূলত বাহক। এদের কোনো শারীরিক উপসর্গ না-ও থাকতে পারে।
• থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া (Thalassemia Intermedia): এদের শরীরে মাঝারি ধরনের রক্তস্বল্পতা দেখা যায়।
• থ্যালাসেমিয়া মেজর (Major বা Cooley’s anemia): এদের গুরুতর রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। এই ধরনের শিশুর জন্মের কয়েক মাস পরই শরীরে রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।

🍀 থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ (Thalassemia Major-এ):

• শিশুর অতিরিক্ত দুর্বলতা ও ক্লান্তি
• শিশুর ত্বক ফ্যাকাসে বা হলদেটে হয়ে যাওয়া
• শিশুর যকৃত ও প্লীহা'র আকার আকৃতি বৃদ্ধি পায় (liver & spleen)
• শিশুর মুখ ও হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়
• শিশু ঠিকভাবে বেড়ে না ওঠা
• শিশুর শরীরে বারবার ইনফেকশন হওয়া
• শিশুর হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া (যদি সঠিক চিকিৎসা করা না হয়)

🍀 থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়:

• Complete Blood Count (CBC)
• Hemoglobin Electrophoresis
• Genetic testing (DNA analysis)
• Ferritin level (লৌহমাত্রা যাচাই)

🍀 থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগের চিকিৎসা:

থ্যালাসেমিয়ার এখনো পূর্ণাঙ্গ নিরাময় নেই। তবে চিকিৎসা করে শিশুদের দীর্ঘ ও তুলনামূলক ভালো জীবনযাপন করানো যায়:
১. নিয়মিত রক্তসঞ্চালন (Blood Transfusion):
থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের প্রতি ২-৪ সপ্তাহ পরপর রক্ত নিতে হয়।
২. লোহা সরানোর চিকিৎসা (Iron Chelation Therapy): রক্ত নিতে নিতে শরীরে অতিরিক্ত লৌহ জমে যায়, তা সরাতে ওষুধ প্রয়োজন (যেমনঃ Deferoxamine, Deferasirox)।
৩. Bone Marrow Transplant (BMT): একমাত্র সম্ভাব্য স্থায়ী চিকিৎসা, তবে এটি জটিল ও ব্যয়বহুল এবং উপযুক্ত ডোনার পাওয়া জরুরি।

🍀 থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রতিরোধ:

• বিয়ের আগে নারী পুরুষের থ্যালাসেমিয়া রোগের স্ক্রিনিং করা (যদি দুইজনই বাহক হন, তাহলে বিয়ের আগে পরামর্শ নেয়া)
• বিবাহ পরবর্তীতে গর্ভকালীন জিন পরীক্ষা করা (Prenatal diagnosis)
• থ্যালাসেমিয়া রোগের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

🍀 উপসংহার:

থ্যালাসেমিয়া একটি গুরুতর, তবে প্রতিরোধযোগ্য রোগ। শিশুর জন্মের আগে সচেতন হলে এই রোগ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্ভব। থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রতি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সচেতনতা এবং শিশুকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণই শিশুর সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আপনার শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় শিশুকে নিয়ে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো এবং শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

শিশুর শরীরের দাউদ কেন সহজে ভালো হচ্ছে না?🦠 দাউদ বা Tinea কী?দাউদ হচ্ছে একটি ছত্রাক (fungus) জনিত চর্মরোগ। এটি শরীরের যেক...
19/06/2025

শিশুর শরীরের দাউদ কেন সহজে ভালো হচ্ছে না?

🦠 দাউদ বা Tinea কী?

দাউদ হচ্ছে একটি ছত্রাক (fungus) জনিত চর্মরোগ। এটি শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে এবং ছোঁয়াচেও বটে।

দাউদকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় Tinea.

শিশুর দাউদ আগে খুব সহজেই ভালো হয়ে যেত। কিন্তু এখন? অনেক সময়েই পুরোপুরি ভালো হয় না, আবার পুনরায় ফিরে আসছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?

🧫 শিশুর দাউদ কী কারণে হয়?

• শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে
• শিশুকে অতিরিক্ত ঘাম ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখলে
• শিশু যদি অপরিষ্কার শরীরে থাকে
• শিশুকে অপ্রয়োজনে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ানো হলে বা ঔষধের অপব্যবহার করা হলে।
• শিশুর শরীরে অন্য কারো কাপড়, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহার করলে

📌 শিশুর শরীরের কোন কোন জায়গায় দাউদ হলে সেই দাউদ কী কী নামে পরিচিত হয়?

• মাথায় দাউদ হলে সেটাকে বলে-Tinea capitis
• মুখে দাউদ হলে সেটাকে বলে -Tinea faciei
• দাঁড়িতে বা চুলে দাউদ হলে সেটাকে বলে- Tinea barbae
• দেহে দাউদ হলে সেটাকে বলে-Tinea corporis
• রানের চিপায় দাউদ হলে সেটাকে বলে -Tinea cruris
• হাতের ভেতর দাউদ হলে সেটাকে বলে-Tinea manuum
• পায়ের ভেতরে দাউদ হলে সেটাকে বলে- Tinea pedis
• নখের ভেতরে দাউদ হলে সেটাকে বলে- Tinea unguium

🚫 কেন দাউদ ভালো হচ্ছে না?

✅ কারণ:

১. শিশুর শরীরে দাউদের চিকিৎসায় শিশুকে plain antifungal ওষুধ প্রয়োগ না করে বরং শিশুকে antifungal ওষুধের সাথে স্টেরয়েড মিশ্রিত মলম ব্যবহার করা হলে শিশুর দাউদ সহজে ভালো হবে না। যেমন: Pevisone, Dermomix, Dermovate ইত্যাদি ব্যবহার করলে শিশুর দাউদ সহজে ভালো হবে না।

২. শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে যদি মুখে স্টেরয়েড খাওয়ানো হয় তাহলে শিশুর দাউদের উপসর্গ সাময়িক কম হলেও, পরবর্তীতে শিশুর শরীরের দাউদ সারাদেহে ছড়িয়ে পড়ে – এটাকে বলা হয় Tinea incognita

৪. শিশুকে সঠিক নিয়ম মতো ওষুধ সেবন না করালে বা শিশুকে ঔষধের অসম্পূর্ণ কোর্স করানো হলে

৪. ফার্মেসি থেকে ইচ্ছেমতো মলম/ট্যাবলেট কিনে শিশুর শরীরে প্রয়োগ করলে বা খাওয়ালে।

✔️ এখন কী করণীয়?

• শিশুর শরীরের দাউদ চিকিৎসা সামান্য মনে হলেও কমপক্ষে একজন এমবিবিএস ডাক্তারকে দেখিয়ে তবেই শিশুর দাউদের চিকিৎসা পরামর্শ নিন
• শিশুকে চিকিৎসক প্রদত্ত ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স সেবন বা ব্যবহার শেষ করুন
• প্রয়োজনে শিশুর লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে চিকিৎসা নিন
• শিশুর শরীরের ঘাম সবসময় শুকনো রাখুন
• শিশুকে স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন
• বড়দের অন্তর্বাস/তোয়ালে একবার ব্যবহারের পর ধুয়ে নিন। শিশুর শরীরে অন্যের বা বড়দের ব্যবহৃত তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করবেন না
• রাস্তার পাশে বিক্রিত "পাগলা মলম" থেকে শিশুকে দূরে রাখুন
• শিশুর চর্ম রোগ চিকিৎসায় শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ এড়িয়ে চলুন
• শিশুর মুখে খাওয়ার antifungal ওষুধ শুধুমাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োগ করুন।

📣 মনে রাখুন:

দাউদ সামান্য মনে হলেও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ একটি বড় ব্যাপার। যত আগে সচেতন হবেন, তত তাড়াতাড়ি ভালো থাকবেন।" নিজে সচেতন হোন, পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকেও সচেতন করুন।

সচেতনতা এবং শিশুকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণই শিশুর সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আপনার শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় শিশুকে নিয়ে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো এবং শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

শিশুর মুখে চুমু দেওয়া আমাদের সমাজে ভালোবাসা প্রকাশের এক সাধারণ অভিব্যক্তি হলেও, এর মাধ্যমে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বেশ কিছ...
18/06/2025

শিশুর মুখে চুমু দেওয়া আমাদের সমাজে ভালোবাসা প্রকাশের এক সাধারণ অভিব্যক্তি হলেও, এর মাধ্যমে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে নবজাতক ও ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

নিচে শিশুদের মুখে চুমু দেওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

🔴 ১. হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV-1) সংক্রমণ

মুখে ঠোঁটের আশেপাশে থাকা হারপিস ভাইরাস সহজেই চুমুর মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

নবজাতক বা এক মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।

লক্ষণ: জ্বর, খিঁচুনি, ত্বকে ফুসকুড়ি, খাওয়ার অক্ষমতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা।

🔴 ২. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (RSV, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ঠান্ডা, কাশি)

চুমুর মাধ্যমে ভাইরাসযুক্ত লালা শিশুর নাকে, মুখে বা চোখে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

নবজাতকের ক্ষেত্রে RSV (Respiratory Syncytial Virus) শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কিওলাইটিস বা নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।

🔴 ৩. মেনিনজাইটিস ও সেপসিস

কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মুখের মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে যা মেনিনজাইটিস বা সেপসিস ঘটাতে পারে।

বিশেষত নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে।

🔴 ৪. ক্যারিজ বা দাঁতের ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ

প্রাপ্তবয়স্কের মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া শিশুর মুখে চলে গিয়ে দাঁতের সমস্যা বা মুখের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।

এমনকি দাঁত ওঠার আগেই মাড়িতে প্রভাব ফেলতে পারে।

🔴 ৫. হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (HFMD)

এটি একটি ভাইরাল রোগ, যা মুখে চুমুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

মুখে, হাতে, পায়ে ফুসকুড়ি ও ব্যথা হয়।

✅ প্রতিরোধমূলক পরামর্শ:

1. নবজাতকের মুখে কেউ যেন চুমু না দেয় — তা বাবা-মাকেও সচেতনভাবে মেনে চলা উচিত।

2. শিশুদের মুখে, হাতে বা পায়ে চুমু না দিয়ে বিকল্পভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা (যেমন: কপালে বা মাথায় চুমু দেওয়া) নিরাপদ।

3. কারও ঠান্ডা, কাশি, জ্বর থাকলে শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত।

4. শিশুর পরিচর্যাকারীদের মুখ ধোয়া ও হাত ধোয়া নিশ্চিত করা।

🔍 গুরুত্বপূর্ণ মনে রাখুন:

👉 শিশুর মুখে চুমু কোনো নিরীহ কাজ নয় — এটি অনেক সময় জীবনঘাতী রোগের কারণ হতে পারে, বিশেষত জন্মের প্রথম ২-৩ মাসে।

সচেতনতা এবং শিশুকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণই শিশুর সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আপনার শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় শিশুকে নিয়ে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো এবং শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

আজ বিশ্ব বাবা দিবসসেই নীরব নক্ষত্রের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।বছর ঘুরে আবারও এলো সেই দিনটি – "বাবা দিবস...
15/06/2025

আজ বিশ্ব বাবা দিবস

সেই নীরব নক্ষত্রের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বছর ঘুরে আবারও এলো সেই দিনটি – "বাবা দিবস"। ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ বুলালেই যার নাম জ্বলজ্বল করে। কিন্তু বাবা কি শুধুই একটি দিনের মালিক? নিশ্চয়ই না। বাবা তো জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের, প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের এক নীরব সঙ্গী, এক অনন্ত সমর্থক। এই দিনটি কেবল একটি সুযোগ, সেই "অকৃত্রিম ভালোবাসা, অপরিসীম ত্যাগ আর নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার স্তম্ভের" প্রতি আমাদের অন্তরের গভীর থেকে গভীরতর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের।

আমাদের সমাজে প্রায়শই বাবার ভূমিকাকে "নির্বাক, কঠোর, উপার্জনকারী" – এই সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ করে দেখা হয়। কিন্তু বাবা কি শুধুই এইসব? একবার ভেবে দেখুন, সেই ছোট্ট হাত দুটো যখন প্রথমবারের মতো আঁকড়ে ধরে, তখন তার চোখে যে আশ্চর্য বিস্ময় আর গভীর স্নেহের ঝিলিক খেলে যায়! সেই হাসি, সেই উচ্ছ্বাস – তা কি কোনো বেতনের বিনিময়ে পাওয়া যায়? শিশুর প্রথম হাঁটি হাঁটি পা পা, প্রথম স্কুলে যাওয়া, প্রথম পরীক্ষায় সাফল্য – জীবনের এইসব মাইলফলকে বাবার যে উজ্জ্বল দৃষ্টি, যে গৌরবান্বিত মুচকি হাসি – তা কি কোনো বাহ্যিক পুরষ্কারের সমান?

বাবার ভালোবাসা প্রায়শই "গভীরে লুকানো, নদীর গভীর স্রোতের মতো"। তিনি হয়তো আমাদের কোলে তুলে আদর করে মধুর ডাকনামে ডাকেন না, কিন্তু জীবনের প্রতিটি বাঁকে, প্রতিটি সংকটে তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন অটল পাহাড়ের মতো। রাতের আঁধারে অসুখে জ্বরে পুড়তে থাকলে যিনি বিনিদ্র রজনী কাটান, পথ হারালে যিনি হাত বাড়িয়ে দেন নির্দেশনার আলো হয়ে, হতাশায় ভেঙে পড়লে যিনি কণ্ঠে শোনান সাহসের বাণী – তিনিই তো বাবা। তার কঠোর শাসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের জন্য এক অতল গভীর চিন্তা, এক বেদনাদায়ক প্রহরার্তুর ভালোবাসা।

বাবা নিজের "স্বপ্ন, আরাম, এমনকি কখনো কখনো প্রয়োজনকেও ত্যাগ করেন" আমাদের স্বপ্নপূরণের পথ সুগম করতে। সেই পুরনো জুতো জোড়া বারবার মেরামত করে চলেন, যাতে সন্তানের নতুন বই কেনা যায়। নিজের ক্লান্তি, দুঃখ, হতাশাকে গভীরে চাপা দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজেকে ঢেলে দেন প্রতিদিন। তার এই নিঃশব্দ ত্যাগ, এই আত্মোৎসর্গের গভীরতা কি আমরা কখনো সত্যিই মেপে দেখেছি?

আজ বাবা দিবসে, শুধু একটি কার্ড বা একটি উপহারের মধ্যে আমরা যেন সীমাবদ্ধ না থাকি। এই দিনটি হোক "গভীর উপলব্ধি আর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশের" দিন। আসুন, আমরা সেই নীরব নক্ষত্রের দিকে ফিরে তাকাই, যে নিঃশব্দে আমাদের জীবনপথ আলোকিত করে চলেছে। তার সেই ক্লান্ত চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে বলি, "বাবা, তোমাকে অসীম ধন্যবাদ। তোমার এই ভালোবাসা, এই ত্যাগ, এই নিরন্তর সমর্থন ছাড়া আমি এতদূর আসতে পারতাম না। তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি, আমার নিরাপদ আশ্রয়, আমার চিরন্তন গৌরব। তোমার পায়ের নিচে আমার স্বর্গ।"

বাবা দিবসে সেই মহান ব্যক্তির প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্তল থেকে প্রণাম ও অকৃত্রিম ভালোবাসা।

"বাবার হাতের ছোঁয়ায় শিখেছি হাঁটতে,
তার কাঁধে চড়ে দেখেছি দিগন্তের শেষ সীমানা।
তার নীরব আশীর্বাদে বেড়ে উঠেছি ফুটে,
বাবা, তোমার মহত্ত্বে আমার গর্বের শেষ কোথা?"

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

নবজাতক ও শিশুদের হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। এ...
14/06/2025

নবজাতক ও শিশুদের হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। এতে আপনারা সহজেই নবজাতক ও শিশুদের এই রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, বুঝতে পারবেন। আপনার নবজাতক ও শিশু যেন এই রোগে আক্রান্ত হতে না পারে সে বিষয়ে আপনার সচেতনতা তৈরি ও বৃদ্ধি করবে আমার আজকের এই লেখাটি। আশাকরি আপনারা সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন। লেখাটি সবাই শেয়ার করবেন যাতে প্রতিটি বাবা-মা লেখাটি পড়তে পারেন এবং সচেতন হতে পারেন।

🧠 কী হচ্ছে হাইপোথাইরয়েডিজমে?

Hypothyroidism হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনীয় মাত্রায় থাইরয়েড হরমোন (T3, T4) উৎপাদন করতে পারে না। এই হরমোন শিশুদের বুদ্ধিবিকাশ, শরীরের বৃদ্ধি ও বিপাক ক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

🍼 শিশুদের ক্ষেত্রে দুই ধরনের Hypothyroidism (হাইপোথাইরয়েডিজম) হতে পারে:

১. Congenital Hypothyroidism (জন্মগত)

জন্ম থেকেই শিশুর থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। প্রতি ৪,০০০ নবজাতকের মধ্যে ১ জন জন্মগত Congenital Hypothyroidism এ আক্রান্ত হয়। অনেক নবজাতকের জন্মের সাথে সাথে কোনো লক্ষণ থাকে না, তাই নবজাতক শিশু জন্মের পর একজন নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতকের Hypothyroidism স্ক্রিনিং করা জরুরি।

২. Acquired Hypothyroidism (পরবর্তীতে হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়া)

শিশুর বড় হওয়ার সময় (বিশেষত ৫–১০ বছর বয়সে) এই ধরনের Acquired Hypothyroidism রোগ দেখা যেতে পারে। Acquired Hypothyroidism হয় সাধারণত অটোইমিউন কারণে (যেমন: Hashimoto's thyroiditis) অথবা নানান ধরনের দুর্ঘটনাজনিত কারণে।

🧬 কারণসমূহ

Congenital Hypothyroidism (জন্মগত) এর কারণ:

• কোনো কোনো নবজাতকের থাইরয়েড গ্রন্থি অনুপস্থিত (agenesis) থাকে।
• কোনো কোনো নবজাতকের থাইরয়েড গ্রন্থি ভুল জায়গায় থাকে (ectopic thyroid)।
• কোনো কোনো নবজাতকের থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে সমস্যা (dyshormonogenesis) দেখা যায়
• কোনো কোনো নবজাতকের থাইরয়েড গ্রন্থিতে জিনগত সমস্যা (TPO, DUOX2 mutation ইত্যাদি) থাকে

Acquired Hypothyroidism (পরবর্তীতে অর্জিত) এর কারণ সমূহ:

• কোনো কোনো শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থিতে Autoimmune thyroiditis দেখা দিতে পারে
• কোনো কোনো শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি রেডিয়েশন এক্সপোজার এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
• কোনো কোনো শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থিতে জোডিন ঘাটতি বা অতিরিক্ততা দেখা দিতে পারে
• কোনো কোনো শিশুকে কিছু ঔষধ ভূল করে সেবন করানো হলে যেমন lithium, amiodarone এই ধরনের ঔষধ এর কারণে শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থিতে হরমোন তৈরির ক্ষমতা লোপ পায়।

🔍 Hypothyroidism এর লক্ষণসমূহ

⬇ Congenital Hypothyroidism (জন্মের পর):

• অনেক সময় নবজাতকের দেহে লক্ষণ সুক্ষ্ম ভাবে থাকে বা অনুপস্থিত থাকে, তাই স্ক্রিনিংই রোগ নির্ণয়ের মূল উপায়।
• নবজাতক অতিরিক্ত বেশি ঘুমায়।
• নবজাতকের বুক ওঠানামা অত্যন্ত ধীর (slow breathing) হতে পারে
• নবজাতকের শরীরে জন্ডিস দীর্ঘস্থায়ী (prolonged jaundice) দেখা যায়
• নবজাতকের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়
• নবজাতকের ঠান্ডা ত্বক পাওয়া যায়
• নবজাতকের বড় জিহ্বা (macroglossia) থাকতে পারে
• নবজাতকের নাভি ফোলা (umbilical hernia) থাকতে পারে
• নবজাতকের গলা থেকে ফ্যাসফ্যাসে শব্দের কান্না (hoarse cry) হতে পারে

⬇ Acquired Hypothyroidism (শিশু বা কিশোর বয়সে):

• শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়
• শিশুর চুল তাড়াতাড়ি পড়ে যেতে পারে
• শিশুর শারীরিক ওজন বেড়ে যেতে পারে
• শিশুর শরীরে ক্লান্তি ভাব ভর করে
• শিশুর মনোযোগী বা একাগ্রতার অভাব দেখা দেয়
• মেয়ে শিশুদের মাসিক অনিয়ম (মেয়েদের ক্ষেত্রে) হয়ে যেতে পারে
• শিশুর ঘন ঘন ঠান্ডা লাগতে পারে
• শিশুর পায়ে ফোলা (myxedema) দেখা দিতে পারে

🧪 পরীক্ষা নিরীক্ষা

• TSH (Thyroid Stimulating Hormone): বেড়ে যাবে
• Free T4 বা T3: কমে যাবে
• Newborn Screening Test: জন্মের ৩–৫ দিনের মধ্যে heel prick blood দিয়ে করা হয়
• Ultrasound বা Scintigraphy (Technetium scan): থাইরয়েড আছে কি না ও থাইরয়েড কোথায় আছে, সেটা জানা যায়
• Genetic testing: কখনো প্রয়োজন হতে পারে

💊 চিকিৎসা

✅ Levothyroxine (T4)

নবজাতক জন্মের প্রথম ২ সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি। নইলে নবজাতকের নানান ধরনের শারীরিক ও মানসিক বুদ্ধি বিকাশ মারাত্মক ভাবে ব্যহত হবে।

সাধারণ ডোজ: 10–15 µg/kg/day (নবজাতকের জন্য)

মুখে খাওয়ার বড়ি – দিনে একবার সকালে খালি পেটে খেতে হবে। শিশুর বয়স, ওজন ও হরমোন লেভেল অনুযায়ী শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে সময়ে ঔষধের ডোজ পরিবর্তন করতে হবে।

⚠️ খাবারের সাথে calcium বা iron থাকলে ওষুধের শোষণ কমে যেতে পারে, তাই এগুলো আলাদা করে দেওয়া ভালো।

📈 ফলাফল

• নবজাতক ও শিশুদের Hypothyroidism এর চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু করলে শিশুর বুদ্ধিবিকাশ ও শরীরের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়।

• দেরিতে ধরা পড়লে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সমস্যা স্থায়ীভাবে হতে পারে (cretinism)

📅 ফলোআপ গাইডলাইন

চিকিৎসা শুরু করার ২-৪ সপ্তাহ পর রক্ত পরীক্ষা করে TSH ও Free T4 দেখতে হবে।

প্রতি ১–২ মাসে রক্ত পরীক্ষা (৬ মাস বয়স পর্যন্ত)

৩ বছর পর প্রয়োজনে থাইরয়েড বন্ধ করে দেখতে হয়, সেটা জন্মগত না সাময়িক সেটা বোঝার জন্য।

🧠 উপসংহার

শিশুদের হাইপোথাইরয়েডিজম একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগ, তবে সময়মতো ধরা এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে এর প্রভাব চিরস্থায়ী হতে পারে। জন্মের পর নবজাতক স্ক্রিনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয় না।

সচেতনতা এবং শিশুকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণই শিশুর সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আপনার শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় শিশুকে নিয়ে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো এবং শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

ভিটামিন ডি চিকিৎসা তিন বছর বয়সি ছেলে শান্ত। ছেলে বড় হচ্ছে। কিন্তু মা খেয়াল করলেন তার পা দুটি স্বাভাবিক না, সামান্য বাঁকা...
13/06/2025

ভিটামিন ডি চিকিৎসা

তিন বছর বয়সি ছেলে শান্ত। ছেলে বড় হচ্ছে। কিন্তু মা খেয়াল করলেন তার পা দুটি স্বাভাবিক না, সামান্য বাঁকা। দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন, তার ছেলে ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছে।

শান্তকে নিয়মিত ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দেন শিশু বিশেষজ্ঞ। ওর বয়স এখন সাড়ে চার বছর। পায়ের সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। ওর শরীরে এখন ভিটামিন ডির ঘাটতিও নেই।

শিশুর পা বাঁকা হয় রিকেট হলে। এ রোগ হয় ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে। চেম্বারে বহু শিশু আসে ভিটামিন ডির স্বল্পতা নিয়ে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে শুধু শিশুদের নয়, এ দেশের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষের ভিটামিন ডির ঘাটতি রয়েছে। এটি একটি জাতীয় সমস্যা।

শিশুদের রিকেট হলে হাড় নরম ও দুর্বল হয়ে যায়। বয়স্করা ‘অস্টিওম্যালাসিয়া’ রোগে আক্রান্ত হয়, এতে হাড়ে ব্যথা হয় ও মাংসপেশি দুর্বল হয়। দীর্ঘদিন ভিটামিন ডির অভাবে ভুগলে বয়স্ক নারী-পুরুষ ‘অস্টিওপোরোসিসে’ আক্রান্ত হয়। এতে হাড় পাতলা ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। অস্টিওপোরোসিসে ভুগলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হতে সহায়তা করে ভিটামিন ডি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন ডি হচ্ছে এক ধরনের অণুপুষ্টি কণা বা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। এই অণুপুষ্টি কণা মানুষের সামান্য পরিমাণে দরকার হয়, কিন্তু প্রতিদিনই তা দরকার। মানুষের চাহিদার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভিটামিন ডি খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। বাকি ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের উৎস সূর্যের আলো। এ বিষয়ে নানা প্রচলিত ধারণা আছে। একটি হচ্ছে, সূর্যের আলোতে যারা বেশি থাকে, তাদের ভিটামিন ডির ঘাটতি হয় না। কিন্তু গবেষণায় তা প্রমাণিত হয়নি। দেখা গেছে, শহরের মানুষের মতো গ্রামের মানুষও এর ঘাটতিতে আছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের অর্ধেক শিশু ভিটামিন ডির ঘাটতিতে ভুগছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে। গ্রামে ভিটামিন ডি ঘাটতির হার ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে বয়স অনুপাতে যেসব শিশুর ওজন বেশি, তাদের ভিটামিন ডির ঘাটতিও বেশি।

২০১৯ সালে ১৪০ জন মৎস্যজীবীর ওপর অন্য এক গবেষণায় দেখা যায়, ৭০ শতাংশের শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি আছে। তারা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সূর্যের আলোতে থেকে মাছ ধরেন। তাদের বয়স ছিল ১৯ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। গবেষকরা তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ভিটামিন ডির পরিমাণ নির্ণয় করেছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের অন্তত ১০০ কোটি মানুষেরই ভিটামিন-ডির ঘাটতি আছে এবং তারা এ সমস্যাকে গ্লোবাল হেলথ প্রবলেম বলে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি বলছে, আর এ সংকট মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় সঠিক নিয়ম ও সময় দিয়ে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা।

ভিটামিন ডির অভাবজনিত সমস্যা শুধু দরিদ্র দেশগুলোতে সীমাবদ্ধ, তা নয় বরং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যাও বটে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেমন ভারত, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়স এবং আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে গবেষণা চালানো হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, ভিটামিন ডির অভাব ভারতে শতকরা ৫৯, সৌদি আরবে শতকরা ৬০ এবং পাকিস্তানে ৭৩ ভাগ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতেও এ সমস্যা রয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ ভিটামিন ডির অভাবজনিত ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও এদিকটি উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছে। একটি হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ শিশু ভিটামিন ডির অভাবে ভুগছে। গ্রামাঞ্চলের ১-৬ মাস বয়সি শিশুদের এক-তৃতীয়াংশই ভিটামিন ডির অভাবে ভুগছে।

‘বাংলাদেশি জনগণের ভিটামিন ডির অভাব এবং আর্থসামাজিক অবস্থা’ নামক গবেষণায় দেখা যায়, নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থার শতকরা ৫০ ভাগ মহিলার হাইপোভিটামিনোসিস ডি রয়েছে, যেখানে উচ্চ আর্থসামাজিক অবস্থায় এই হার শতকরা ৩৮ ভাগ।

সূর্যের আলো ভিটামিন ডির প্রাকৃতিক উৎস সেটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্তু ভিটামিন ডি পেতে দিনের ঠিক কোন সময়ের রোদ গায়ে লাগাতে হবে, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সময়ের রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস।

ভিটামিন ডি এর উৎস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং মানুষের আচার-ব্যবহার পরিবর্তনের জন্য প্রচারণা বাড়ানো দরকার। ভিটামিন ডির উৎস মাছ, ডিম এবং কড লিভার অয়েল এর সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করা। সেই সঙ্গে দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী। একটি শেয়ার হয়তো একটি শিশুর জীবন রক্ষা করবে।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

বর্তমানে জ্বর, শরীর ব্যথার লক্ষন সহ যেসব শিশু রোগী পাওয়া যাচ্ছে তার বেশীর ভাগই চিকুনগুনিয়া। চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) এক...
10/06/2025

বর্তমানে জ্বর, শরীর ব্যথার লক্ষন সহ যেসব শিশু রোগী পাওয়া যাচ্ছে তার বেশীর ভাগই চিকুনগুনিয়া। চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়ায়। এটি মূলত এডিস মশা দ্বারা সংক্রমিত হয়।

চিকুনগুনিয়ার লক্ষণসমুহ:

১. জ্বর (১০০-১০৪°F) তবে ডেঙ্গু থেকে তীব্রতা কম।
২. তীব্র জয়েন্ট বা গিঁট ব্যথা (বিশেষ করে হাতে-পায়ে)
৩. মাথা ব্যথা
৪. বমি বমি ভাব
৫. মাংশপেশিতে ব্যথা
৬. অবসাদ ও দুর্বলতা
৭. চামড়ায় র‍্যাশ হওয়া।

চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়:

চিকুনগুনিয়া ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেওয়া এডিস মশা যখন অন্য কাউকে কামড়ায়, তখন ভাইরাসটি নতুন ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে।

চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা:

চিকুনগুনিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিশুর অসুস্থতার ইতিহাস শুনে, শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে এবং শিশুর রোগের লক্ষনগুলো বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয় করে শিশুকে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে পারেন। যেমন:

*ব্যথা ও জ্বরের জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাওয়া।
* বিশ্রাম নেওয়া
*পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার গ্রহন করা।

চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ:

১. এডিস মশার বিস্তার রোধ করুন — জমে থাকা পানি অপসারণ করুন
২. দিনে এবং রাতে মশারি ব্যবহার করুন
৩. মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করুন
৪. লম্বা হাতা ও পা ঢাকা জামা-কাপড় পরিধান করা

সচেতনতা ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণই শিশুর সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আপনার শিশুকে নিয়ে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো এবং শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

সব জ্বর শুধু ইনফেকশন নয়, জ্বর মানেই ফার্মেসি থেকে এন্টিবায়োটিক নয়। কিছু জ্বরের গভীরে ধরা পড়ল ব্লাড ক্যান্সার!(AML)"সবকিছ...
06/06/2025

সব জ্বর শুধু ইনফেকশন নয়, জ্বর মানেই ফার্মেসি থেকে এন্টিবায়োটিক নয়। কিছু জ্বরের গভীরে ধরা পড়ল ব্লাড ক্যান্সার!(AML)"

সবকিছুই ঠিক ছিলো, যেমন থাকে প্রতিটি সাধারণ দিনের ভোর। কখনো কখনো জ্বর আসে, যেমনটা হয় অনেকেরই— ফার্মেসিতে যাওয়া, কয়েক পাতা ওষুধ খাওয়া, দুই-তিনদিনেই জ্বর গায়েব, শরীর চাঙ্গা। সবই ছিলো সোজা, চেনা পথের মত সহজ।

কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন—এবার জ্বর যেন অন্যরকম।
ওষুধ খেলেই একটু কমে, ছেড়ে দিলে ফের ফিরে আসে। জ্বরের গায়ে ছিল না কোনো আগ্রাসী তাপমাত্রা, তবু এর ভিতরে যেন লুকিয়ে ছিল এক অদৃশ্য মৃত্যুর ধ্বনি।

রোগী গেলেন প্রাইভেট হাসপাতালে। ডাক্তার বললেন—CBC, CRP, Urine R/E করান।
দিলেন কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও। শুরুতে মনে হলো, জ্বর বুঝি ভয়ও পেল। কিন্তু পঞ্চম দিনের মাথায় আবার সেই একই চিত্র— জ্বর, তীব্র ব্যথা, দুর্বলতা—এইবার যেন বেশি কাঁপুনি।

চেনা মানুষ বলে ইনবক্সে নক করলেন,
তখনও তিনি জানেন না, সামনে তার সন্তানের জীবনে সবচেয়ে ভয়ানক অধ্যায় অপেক্ষা করছে।
আমি বললাম—“আগের টেস্টগুলো পাঠান তো দেখি।”
রিপোর্ট খুলতেই চোখ আটকে গেলো—
CBC-তে হিমোগ্লোবিন কম, RBC কম,
তবে প্লেটলেট তখনো ঠিকঠাক ছিল।
ভেতরে কেমন অশান্তি লাগলো—
জানি না, এমন কিছু শুরুতে স্বাভাবিক ঠেকে,
কিন্তু সব নয়তো সরল উপাখ্যান।

আমি বললাম, “আবার একটা CBC করান।”
রোগী করালেন রিপোর্ট, পাঠালেন ছবি তুলে।
এইবার ছবি খুলে দেখি, কেমন যেন বুকের মধ্যে জমে থাকা বাতাস আটকে গেলো।
RBC আরও কমেছে, প্লেটলেটও ধ্বসে পড়েছে।
সাদা রক্ত কণিকা হু হু করে বাড়ছে, যেন শরীরের রাজত্ব দখল করতে চাইছে
একটা অদৃশ্য দানব।
Hemoglobin 6.2 g/d
RBC Count 2.3 million/cmm
WBC Count 52,000/cmm
Platelet Count 28,000/cmm
ESR 68 mm
Differential Count (DC):Neutrophils 6%
Lymphocytes 14%
Monocytes 1%
Eosinophils Nil
Blast Cells 65%
Bone Marrow Biopsy করা হয়, যেখানে
আমার হৃদয় থমকে গেল।

এই তো সেদিন যে মানুষটা কথা বলছিল, হাঁটছিল, হাসছিল— আজ তার শরীরের প্রতিটি কোষে নেমে এসেছে এক নিঃশব্দ মৃত্যু-বার্তা। এইটা কেবল জ্বর না, কেবল সাধারণ ইনফেকশন না। এটা এক নির্দয় রাক্ষস—Acute Myeloid Leukemia (AML)।

কেউ জানতেও পারে না, শরীরের ভিতরে এমন এক যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যার অস্ত্র অদৃশ্য, যার যন্ত্রণা নিঃশব্দ, আর যার প্রতিপক্ষ—নিজের শরীরেরই কোষ।

সেই মুহূর্তে আমি আর কেবল পরিচিত একজন ছিলাম না, আমি হয়ে উঠলাম এক গোপন সাক্ষী—
একটি জীবন কীভাবে ধীরে ধীরে অন্ধকারে হারিয়ে যেতে পারে, তার নীরব উপাখ্যান।

ভাবুন তো, একজন মানুষ… যার সামনে ছিল শত স্বপ্ন, যার চোখে ছিল আগামীকালের আলো,
তার সন্তানের শরীরে আজ রক্ত তৈরি হচ্ছে না,
হাড়ের ভেতরে বসে আছে এক ভাঙনের যন্ত্র,
আর তার প্রতিটি দিনই এখন সময়ের বিরুদ্ধে এক অসম লড়াই।

তাকে এই কথা বলতে গিয়ে গলা শুকিয়ে আসে,
যে তুমি জ্বর নিয়ে এসেছিলে, কিন্তু সেই জ্বর তোমাকে আমাদের ভেতর থেকে কেড়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এই লেখা কেবল এক রোগীর গল্প নয়, এটা হাজারো সেই মানুষের গল্প যারা অজান্তেই রক্তের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক রোগকে বয়ে বেড়ায়,
যার কোনো উপসর্গই প্রথমে ভয়ংকর মনে হয় না—
কিন্তু ধীরে ধীরে, নিঃশব্দে সে দখল করে নেয় শরীরের রাজত্ব, জীবনের আশা, আর এক একটি স্বপ্ন।

এই গল্পটা শেষ না, কারণ প্রতিটি AML রোগীই এক যোদ্ধা। তাদের লড়াই, তাদের সাহস, তাদের জীবনপ্রেম হয়তো আমাদের অনেক কিছু শেখায়—
সবকিছু দেখা যায় না, অনুভব করতে হয়। আর সব জ্বরই শুধুমাত্র জ্বর না— কখনো কখনো তা হয় এক যুদ্ধের শুরু।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করবেন। শেয়ার করে প্রতিটি সন্তানের বাবা-মা কে পোস্টটি পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিন।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

শিশুর বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী: 🍀 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা শিশুকে জন্মের পর কতো দিন বয়সে দেওয়া হয...
04/06/2025

শিশুর বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী:

🍀 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা শিশুকে জন্মের পর কতো দিন বয়সে দেওয়া হয়?

বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা শিশুর জন্মের পর বা শিশুর জন্মের ৪২ দিনে দেওয়া হয়।

🍀 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকার দাগ না হলে কি করবেন?

টিকা দেওয়ার স্থানে কিছু ক্ষেত্রে পেকে যেতে পারে, আবার নাও পেকে যেতে পারে। সামান্য একটি দাগও টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ করে।

প্রথম ভিজিট মানে শিশুর ৪২ দিন বয়সে বিসিজি টিকা দেয়ার ঠিক পরবর্তী ২৮ দিন পর শিশুকে ২য় ডোজ পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেয়ার সময় বিসিজি টিকা দেওয়ার স্থান বা জায়গা পরীক্ষা করে দেখা হয়। যদি দেখা যায় সে স্থান না পাকে বা দানা দেখতে পাওয়া না যায় তাহলে ৩য় ডোজ পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। শিশুকে ৩য় ডোজ পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেয়ার সময় বিসিজি টিকা দেওয়ার স্থান বা জায়গা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা হয়। তখনও কিছু পাওয়া না গেলে তখন বিসিজি টিকা পুনরায় দিয়ে দিতে হবে। পুনরায় দ্বিতীয় ডোজ বিসিজি টিকা দেওয়ার পরও যদি এটা না পাকে বা কোন দানা না পাওয়া যায় তবে বিসিজি টিকা আর দিতে হবে না। কারণ ১০% এর ক্ষেত্রে বিসিজি টিকা দেওয়ার পরও কোন ক্ষত বা দানা হয় না।

🍀 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা ও এর প্রতিক্রিয়া:

🩼 টিকা দেওয়ার স্থান:

বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা দেওয়ার স্থানটি পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে।

🩼 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকা দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া:

টিকা দেওয়ার স্থানে প্রথমে হালকা ফোলাভাব বা লালচে হতে পারে, যা কিছুদিনের মধ্যে কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় সংক্রমণ দেখা যেতে পারে, যেমন - পুঁজ হওয়া বা ফোঁড়া। পুঁজ বা ফোঁড়া হলে কোনো ঔষধের প্রয়োজন নেই। একমাস পর্যন্ত কোনো মলম, ক্রিম, লোশন বা এন্টিবায়োটিক মলম সেখানে ব্যবহার করা যাবে না।

🍀 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকার কার্যকারিতা:

সামান্য এক বিন্দু দাগও বিসিজি টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে ১০% এর ক্ষেত্রে বিসিজি টিকা দেওয়ার পরও কোন ক্ষত বা দানা তৈরি হয় না।

🍀 বিসিজি (যক্ষ্মা) টিকার উপকারিতা:

বিসিজি টিকা দেওয়া হলে শিশুর রক্তে যক্ষ্মার (টিবি) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

বিসিজি টিকা শিশুর ফুসফুসের বাইরের যক্ষ্মা এবং ফুসফুসের ভেতরের যক্ষ্মার ঝুঁকি কমায়।

বিসিজি টিকা শিশুদের মধ্যে যক্ষ্মা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে।

বিসিজি টিকার কার্যকারিতা ০-৮০%। সেই কারণে বিসিজি টিকা দেয়ার পরও শিশু যদি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় তবে সে যক্ষ্মা রোগ মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে না যেমন: Disseminated TB, TB Meningitis ইত্যাদি মারাত্মক ধরনের যক্ষ্মা, বিসিজি টিকা পাওয়া শিশুদের সাধারণত হয় না।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করবেন। শেয়ার করে প্রতিটি সন্তানের বাবা-মা কে পোস্টটি পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিন।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

Address

Popular Diagnostic Centre Limited, 252/1 Mymensingh
Mymensingh
MYMENSINGH-2200

Telephone

+8801717550955

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician:

Share

Category