Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician, Paediatrician, Popular Diagnostic Centre Limited, 252/1 Mymensingh, Mymensingh.

ডা. মানিক মজুমদার
MBBS (Dhaka)
BCS (Health)
ENS (Germany)
IPPN (Boston)
MD (Paediatrics)
Consultant (Paediatric)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী রোগ বিশেষজ্ঞ
Ex- RP (Paediatrics)
MMCH
Contact: 01711049620

04/12/2025

আনায়া বিনতে আসাদ। বয়স ৫ বছর ৭ মাস। ও এসেছে রাজিবপুর, শেরপুর জেলা থেকে। ওর ADHD সাথে আরো কিছু শিশু নিউরোলজি অসুবিধা ছিল সাথে কথা বলতে কষ্ট হতো। চিকিৎসার এ পর্যায়ে সে অনেকটা সুস্থ্য আছে। চলুন তার একটি গান উপভোগ করি আজ।

Childhood Asthma (শিশুর হাঁপানি) সম্পর্কে এমনভাবে আলোচনা করা হলো, যাতে একজন শিশুর বাবা–মা সহজে বুঝতে পারেন, সচেতন হতে পা...
04/12/2025

Childhood Asthma (শিশুর হাঁপানি) সম্পর্কে এমনভাবে আলোচনা করা হলো, যাতে একজন শিশুর বাবা–মা সহজে বুঝতে পারেন, সচেতন হতে পারেন এবং সঠিকভাবে শিশুকে যত্ন নিতে পারেন।

⭐ Childhood Asthma কি?

Childhood asthma হলো শিশুদের শ্বাসনালীর একটি দীর্ঘমেয়াদী (chronic) সমস্যা। এতে শিশুর শ্বাসনালী কিছু জিনিসের সংস্পর্শে এলে (যেমন ধুলাবালি, ঠান্ডা, ধোঁয়া, ভাইরাস) সহজেই সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে—

• শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
• শিশুর বুকে হুইজিং বা সাঁ সাঁ শব্দ হয়
• শিশুর কাশি হয়
• শিশুর বুকে চাপ লাগা অনুভূতি হয়

এ সমস্যা গুলো বারবার শিশুর মধ্যে দেখা দেয়।

ভাল খবর হলো:
এটি সঠিকভাবে চিকিৎসা ও যত্ন নিলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

⭐ কেন শিশুর asthma হয়?

অ্যাজমা হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে—

১. পরিবারে কারো হাঁপানি বা এলার্জি সমস্যা থাকলে শিশুরও জেনেটিক কোড অনুযায়ী সম্ভাবনা বেশি থাকে।

২. শিশুর শ্বাসনালী অতিরিক্ত সংবেদনশীল হলে শিশুর শ্বাসযন্ত্র ধুলা, ধোঁয়া, ঠান্ডা, ভাইরাস পেলেই তা দ্রুত সংকুচিত হয়ে যায়।

৩. এলার্জি : ধুলাবালি, ঘরের ধুলো, কুকুর-বিড়াল, পোকামাকড় (cockroach), ফুলের পরাগ রেণু ইত্যাদি।

৪. ইনফেকশন : শৈশবে যদি শিশু বারবার সর্দি-কাশি, ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়।

৫. পরিবেশ : শিশুর গৃহে ধূমপান, রান্নার ধোঁয়া, ট্রাফিক দূষণের ফলে এই অ্যাজমা রোগ হতে পারে।

⭐ যেসব ঝুঁকির কারণে শিশুর অ্যাজমা রোগ হতে পারে (Risk Factors)

• পারিবারিক এলার্জি/হাঁপানি
• শিশুর চর্মের একজিমা বা এলার্জির ইতিহাস থাকলে
• ধুলাবালি ভরা পরিবেশে বসবাস করলে
• শিশুর ঘরে কেউ ধূমপান করলে
• শিশুর অল্প বয়সে যদি বারবার ভাইরাল সংক্রমণের স্বীকার হয়
• ঠান্ডা আবহাওয়া
• শিশুর স্থূলতা (Obesity)
• শিশুর অকাল জন্ম বা কম ওজনে জন্ম হলে

⭐ শিশুর অ্যাজমার লক্ষণ ও উপসর্গ

শিশুদের অ্যাজমা বিভিন্নভাবে দেখা দিতে পারে-

১. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
২. বুক থেকে সাঁ-সাঁ বা হুইজিং শব্দ হওয়া
৩. বার বার কাশি, বিশেষ করে রাতে/ভোরে/খেলাধুলা বা দৌড়ানোর পর কাশি যদি বৃদ্ধি পায়
৪. শিশুর বুকে চাপ অনুভব লাগা বা ভারী লাগা
৫. সহজেই শিশু ক্লান্ত হয়ে যায়
৬. কাশির কারণে যদি শিশুর ঘুম ভেঙে যায়

⭐ শিশুর অ্যাজমা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে? (Complications)

• ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট
• স্কুলে অনুপস্থিতি
• খেলাধুলায় কম অংশগ্রহণ
• বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে মানসিক চাপের সৃষ্টি হওয়া
• সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বড় হলে রোগটা আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

⭐ শিশুর অ্যাজমা হয়েছে নিশ্চিত হবেন কিভাবে?

শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিশুর অ্যাজমা নির্ণয় করতে মূলত শিশুর রোগের ইতিহাস ও লক্ষণ দেখে নির্ণয় করতে পারেন।
তবে কিছু পরীক্ষা শিশুর করতে হতে পারে—

১. Spirometry (ফুসফুসের ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য) : ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা করতে পারে।
২. PEFR মাপা : বাড়িতে বা হাসপাতালে ব্যবহার করা যায়।
৩. Allergy test : শিশুর কোন জিনিসে এলার্জি আছে সেটা জানতে।
৪. Chest X-ray : অন্য রোগ আছে কিনা দেখতে।
৫. শিশুর রক্তের IgE বা eosinophil : এতে শিশুর রক্তের এলার্জির মাত্রা দেখতে পাওয়া যায়।

⭐ Childhood Asthma শিশুর জন্য সুবিধা (Good News!)

• সময়মতো সঠিক শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু করলে শিশুটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।

• বেশিরভাগ শিশু বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকটাই ভালো হয়ে যায়।

• Proper inhaler technique শিখলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই সহজ।

• ট্রিগার বা উদ্দীপক জিনিসগুলো এড়িয়ে চললে আক্রমণ অনেকটাই কমে যায়।

⭐ Childhood Asthma এর অসুবিধা

• দীর্ঘমেয়াদী রোগ হওয়ায় শিশুর নিয়মিত যত্ন প্রয়োজন
• Inhaler ঠিকভাবে না ব্যবহার করলে সমস্যা বাড়তে পারে
• কিছু শিশুর স্কুলে উপস্থিত হতে অসুবিধা হয়
• পরিবেশজনিত সমস্যা থাকলে রোগ বারবার ফিরে আসে।

⭐ বাবা–মা কীভাবে শিশুকে সাহায্য করবেন?

• ঘর দোর পরিষ্কার রাখুন
• ধুলা, ধোঁয়া, সুগন্ধি, এয়ারফ্রেশনার ও সিগারেটের ধোঁয়া শিশুর থেকে এড়িয়ে চলুন
• ইনহেলার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখুন
• শিশুকে বারবার ঠান্ডা লাগতে দেবেন না
• ট্রিগার চিনে নিন এবং এড়িয়ে চলুন
• ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী শিশুকে নিয়মিত ওষুধ দিন
• নেবুলাইজার বা ইনহেলার সবসময় শিশুর কাছে রাখুন (emergency plan সহ)

⭐ উপসংহার

Childhood asthma একটি দীর্ঘমেয়াদী কিন্তু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ।

বাবা–মা যদি সচেতন হন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেন এবং ট্রিগারগুলো এড়িয়ে চলেন, তাহলে তাদের শিশুটি—

• স্বাভাবিকভাবে খেলাধুলা করতে পারবে
• স্কুলে যেতে পারবে
• ভালোভাবে বড় হতে পারবে

অ্যাজমা কোনো ভয়ানক রোগ নয়—এটি একটি manage করা যায় এমন সহজ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য অবস্থা।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

নবজাতক থেকে শুরু করে বড় শিশুদের শরীরে বডি লোশন ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ, রেফারেন্সভিত্তিক, আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী বিস্ত...
01/12/2025

নবজাতক থেকে শুরু করে বড় শিশুদের শরীরে বডি লোশন ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ, রেফারেন্সভিত্তিক, আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশাকরি আপনারা সবাই লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। আমার চেম্বারে আগত শত শত বাবা-মায়ের জিজ্ঞেস শিশুর দেহে কখন কোন ঋতুতে কি কি ধরনের বডি লোশন প্রয়োগ করবেন? সকল প্রশ্নের জবাবে এই লেখা। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার এই আজকের লেখাটি লিখতে দেশ বিদেশের যে যে Reference ব্যবহার করছি সেই সব References তালিকা পরিশেষে সংযুক্ত করা আছে — WHO, AAP, NHS, AAD, Cochrane, Pediatric Dermatology ইত্যাদি।

🟦 শিশুদের বডি লোশন ব্যবহারের রেফারেন্স–ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন:

১. শিশুর ত্বক কেন আলাদা—বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

WHO ও Pediatric Dermatology অনুযায়ী নবজাতকের ত্বক—
• প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ৩০% পাতলা
• Water-loss (TEWL) বেশি
• Skin barrier পুরোপুরি mature হয় ১২ মাসের পর
• শুষ্কতা, র‍্যাশ, eczema flare হওয়ার ঝুঁকি বেশি

সুতরাং moisturizer/ body lotion ব্যবহার বৈজ্ঞানিকভাবে যৌক্তিক।
(References: WHO Newborn Care 2014; AAP Infant Skin Care Report; Telofski et al.)

২. কোন বয়সে বডি লোশন ব্যবহার করা যায়?

নবজাতক (০–২৮ দিন) :
WHO ও NHS-এর মতে—
• প্রথম ২৪ ঘণ্টা ভেরনিক্স না মুছলে লোশন প্রয়োজন হয় না।
• ত্বক শুষ্ক হলে fragrance-free, hypoallergenic লোশন ব্যবহার করা যায়।

২৮ দিন–১২ বছর বয়স :
AAP, AAD অনুযায়ী—
• প্রতিদিন গোসলের পরে লোশন ব্যবহার নিরাপদ ও উপকারী।
• শীতে দিনে ২ বার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. বডি লোশন দেয়ার বৈজ্ঞানিক নিয়ম

✔ গোসলের ৩–৫ মিনিটের পর লাগাতে হবে
AAD ও Cochrane অনুযায়ী এটি “soak & seal” পদ্ধতি— পানিতে ভেজা ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়, তাই লোশন/ক্রিম তা সিল করে।

✔ সুগন্ধিবিহীন (Fragrance-free) হতে হবে। hypoallergenic পণ্য ব্যবহার করতে হবে। কারণ শিশুদের ত্বক scent chemicals-এ দ্রুত irritant dermatitis তৈরি করে।

✔ মুখে অল্প ব্যবহার; চোখের কাছাকাছি পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে নবজাতকের মুখ–চোখ সংবেদনশীল।

৪. এখন চলুন জেনে নিই ঋতুভেদে কোন ধরনের লোশন ব্যবহার উপযোগী?

☀ গ্রীষ্মকাল
• Water-based
• Light moisturizer
• Aloevera-based
• Non-greasy lotion

Avoid: thick petroleum products
(কারণ গ্রীষ্মকালে thick petroleum products এগুলো শিশুর দেহে fungal rash/ঘামাচি বাড়ায় — WHO)

❄ শীতকাল
• শিশুদের শরীরে TEWL সবচেয়ে বেশি—যার ফলে শীতকালে শিশুর শরীরে thick emollient বা ceramide-cream সুপারিশ করে।

উপযুক্ত: Ceramide lotion (AAD recommended)
• Oatmeal-based cream (Aveeno-type ingredients)
• Shea butter lotion
• Thick emollient cream
• Very dry skin → petroleum jelly thin layer.

🌧 বর্ষাকাল
Humidity বেশি → fungal rash risk বেশি ↑ তাই হালকা lotion + non-comedogenic cream উত্তম।

৫. এখন চলুন জেনে নিই কোন ব্র্যান্ড/ধরনের লোশন নিরাপদ? (গাইডলাইন ভিত্তিতে উপাদান-নির্ভর সুপারিশ; ব্র্যান্ড এখানে উদাহরণমাত্র)

নবজাতক (০–২৮ দিন)
• Mustela Hydra Bébé (fragrance-free version)
• Sebamed Baby Lotion
• Cetaphil Baby fragrance-free
• Oilatum Junior Cream
• Aveeno Baby Daily Moisture (fragrance-free)

শিশু ১ মাস–১২ বছর
• Aveeno Baby (Oat-based)
• Cetaphil Baby
• Sebamed Baby
• Aquaphor (extremely dry skin)
• Mamaearth Fragrance-free
• Johnson’s Baby Lotion (ইউরোপীয় ফর্মূলা অনুযায়ী—বেশি নিরাপদ)

৬. নবজাতক ও শিশুর শরীরের বডি লোশন এ শিশুর স্বাস্থ্য বিবেচনায় কোন উপাদান থাকা ভালো? (Evidence-Based)

AAP, AAD ও Cochrane-supported ingredients:
• Ceramide
• Glycerin
• Hyaluronic acid
• Panthenol
• Shea butter
• Oat extract / colloidal oatmeal
• Mineral oil (USP grade – safe)

৭. একটি বেবি বডি লোশনে কোন উপাদান থাকলে সেটা এড়িয়ে চলবেন?

WHO ও AAD অনুসারে শিশুর ত্বকে এড়িয়ে চলতে হবে—
✗ Fragrance
✗ Paraben
✗ Artificial color
✗ Alcohol
✗ Essential oils (tea tree, lavender etc. – hormonal concerns)
✗ Menthol/camphor
✗ Highly acidic pH lotions

৮. তাহলে শিশুর দেহে লোশন ব্যবহারের সুবিধা (Scientific Evidence) কি কি?

✔ ১. Skin barrier শক্তিশালী হয়
Ceramide-containing moisturizers scientifically proven।
(Ref: AAD, Simpson EL et al.)

✔ ২. ত্বক শুষ্ক হওয়া কমে যায়
(WHO & NHS newborn care)

✔ ৩. eczema flare কমে
Regular moisturizer reduces eczema by 20–30%.
(Cochrane Review 2019)

✔ ৪. র‍্যাশ, চুলকানি এবং ত্বকের ফাটল কমে

✔ ৫. Overall skin hydration ↑ (Pediatric Dermatology studies)

৯. লোশনের সম্ভাব্য অসুবিধা

যদি ভুল পণ্য ব্যবহার করা হয়—
❌ Allergic rash
❌ Irritant dermatitis
❌ সুগন্ধিযুক্ত পণ্যে eczema flare
❌ Thick petroleum jelly → ঘামাচি বাড়াতে পারে
❌ Essential oils → endocrine concern (AAP warning)

১০. তাহলে আপনার শিশুকে লোশন না দিলে কী সুবিধা ও অসুবিধা হতে পারে?

যে সুবিধা থাকতে পারে
• রাসায়নিক exposure কম হয়
• খুব আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি কম হতে পারে

যে অসুবিধা বেশি দেখা যায় (গাইডলাইন অনুযায়ী)
• Dry skin
• Skin cracking → infection risk ↑
• Eczema flare
• Child discomfort, poor sleep হয়
• নবজাতকের peeling বৃদ্ধি পায়
সুতরাং গাইডলাইন অনুযায়ী লোশন না দেওয়া শিশুদের ত্বকের ক্ষতির ঝুঁকি বেশি।

১১. বয়সভেদে চূড়ান্ত গাইডলাইন সারসংক্ষেপ

নবজাতক (০–১ মাস)
• প্রয়োজন হলে মাত্র fragrance-free, hypoallergenic গোসলের পর thin layer এ প্রয়োগ করুন

১–১২ মাস
• নিয়মিত moisturizer ব্যবহার করুন। শীতকালে আলাদা thick emollient ব্যবহার করুন।

১–১২ বছর
• প্রতিদিন গোসলের পরে বেবি বডি লোশন গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবহার করুন। একজিমা থাকলে ceramide-based moisturizer ব্যবহার করুন।

📚 আমার এই আজকের লেখাটির রেফারেন্স তালিকা

WHO
1. Postnatal Care for Mothers and Newborns — WHO, 2014 & updated editions
2. WHO Newborn Skin Care Recommendations

AAP (American Academy of Pediatrics)
3. AAP Clinical Report: Infant Skin Care
4. AAP: Atopic Dermatitis Guidelines

NHS (UK)
5. NHS: Newborn skin care guidance
6. NHS: Baby dry skin & eczema care

AAD (American Academy of Dermatology)
7. AAD: Moisturizer use recommendations
8. AAD Pediatric Skin Barrier Protection Guidelines

Cochrane Database Reviews
9. Cochrane Review: Emollients for prevention of atopic dermatitis
10. Cochrane: Bathing & moisturizing practices in infants

Pediatric Dermatology Journals
11. Simpson EL et al. Emollient therapy for early prevention of atopic dermatitis
12. Telofski LS et al. Infant skin barrier structure & development
13. Proksch E. Moisturizers and skin barrier function

EADV
14. European Academy of Dermatology & Venereology infant skincare guidelines

Asian/IAP Neonatal Dermatology
15. Indian Academy of Pediatrics: Infant skin care recommendations

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

23/11/2025

বাইরে থেকে এসে বাসায় ঢুকে প্রথমেই ভালোমতো হাতমুখ ধুয়ে তারপর বাচ্চাকে ধরুন। এতে করে বাচ্চার বারবার ঠান্ডা-কাশি হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

⭕বাচ্চাটির বয়স পাঁচ বছর। বাচ্চাটির ঘন ঘন ঠান্ডা সর্দি, কাশি, কান ব্যথা হতো।  ঘুমের মধ্যে প্রচন্ড নাক ডাকে। মা বাবা বলে ...
27/10/2025

⭕বাচ্চাটির বয়স পাঁচ বছর।

বাচ্চাটির ঘন ঘন ঠান্ডা সর্দি, কাশি, কান ব্যথা হতো।
ঘুমের মধ্যে প্রচন্ড নাক ডাকে।
মা বাবা বলে সে সকালে ঘুম থেকে উঠলে তার মাথাব্যথা হয়।

🔹এই সমস্যাগুলোর সাধারণত বাচ্চাদের টনসিল বা এডেনয়েড বড় হলে হয়।

🔸এক্সরে করে বাচ্চার অ্যাডেনয়েড (Adenoid) ধরা পরল।

🔸সাধারণত আরেকটু বড় বাচ্চা হলে যারা স্কুলে যায় তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পড়াশোনা মনে রাখতে পারো না। স্কুলের রেজাল্ট খারাপ হয়। বাচ্চাগুলো একটু অমনোযোগী থাকে, মা বাবা প্রায়ই বলে যে পিছন থেকে ডাকলে বাচ্চা শুনতে চায় না।

আপনার বাচ্চার যদি এ ধরনের কন্ডিশন থাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

🩺 চিকিৎসা -

সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঔষধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা যায় তবে যদি ঔষধের মাধ্যমে ভালো না হয় বা সমস্যা যদি খুব বেশি হয় তখন আমরা বলি অপারেশনের মাধ্যমে এডেনয়েড টি ফেলে দিতে।

অনেক সময় বাচ্চাদের এর সাথে টনছিল থাকে। তখন ওষুধে কাজ না হলে একই অপারেশনের মাধ্যমে দুটোই ফেলে দিতে হয়।

👍তবে এই সমস্যাগুলোর সাধারণত ১৭ থেকে ১৮ বছরের পরে আর থাকে না।

৩  দিনের এক নবজাতককে নিয়ে এক মা হাসপাতালে এলেন।মায়ের মুখে চিন্তার ছাপ—“ডাক্তার, আমার বাচ্চার গায়ে ছোট ছোট লাল দানা উঠেছে...
27/10/2025

৩ দিনের এক নবজাতককে নিয়ে এক মা হাসপাতালে এলেন।
মায়ের মুখে চিন্তার ছাপ—
“ডাক্তার, আমার বাচ্চার গায়ে ছোট ছোট লাল দানা উঠেছে! এটা কি ইনফেকশন?” 😟 গ্রামের ফার্মাসি থেকে এনে ৩ রকম ক্রিম আর এন্টিবায়োটিক খাইয়েছে।

আমি হাসিমুখে বললাম,
“না মা, এটা কোনো ইনফেকশন নয়।
এটা নবজাতকের স্বাভাবিক ত্বকের র‍্যাশ — নাম Erythema Toxicum Neonatorum।” 😊
এত কঠিন উচ্চারণ শুনে মনে হচ্ছে টক্সিকাম কত না জানি টক্সিক? এটি একদম স্বাভাবিক ও নিরীহ র‍্যাশ।

▶️এটা কীভাবে দেখা দেয়:

👉 সাধারণত জন্মের ২–৩ দিনের মধ্যে হয়
👉 ছোট লাল দানা, মাঝে সাদা বা হলদে টিপ থাকতে পারে
👉 মুখ, বুক, হাত-পা — যেকোনো জায়গায় দেখা যেতে পারে
👉 বাচ্চা একদম স্বাভাবিক থাকে

✅এটি কোনো সংক্রমণ নয়, অ্যালার্জিও নয়।
শুধু মায়ের গর্ভের পরিবেশ থেকে বাইরের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া 🌤️

✅ করণীয়:

কোনো ওষুধ বা ক্রিম লাগাবেন না

শিশুকে পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন

সাধারণত ৫–৭ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।

⚠️ শিশু ডাক্তারের কাছে যেতে হবে যদি:

দানায় পুঁজ আসে

জ্বর বা খাওয়া কমে যায়

র‍্যাশ এক সপ্তাহেও না সারে

নবজাতকের সব লাল দাগই রোগ নয়।
Erythema Toxicum Neonatorum হলো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এক অবস্থা, অপ্রয়োজনীয় ভয় বা ওষুধ নয় — জানুন, বুঝুন, নিশ্চিন্ত থাকুন। 💗

কৃমি (বিশেষত সুতাকৃমি বা পিনওয়ার্ম) হলে বাচ্চাদের প্যান্ট পরিয়ে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি, যার প্রধান কারণ হ...
25/10/2025

কৃমি (বিশেষত সুতাকৃমি বা পিনওয়ার্ম) হলে বাচ্চাদের প্যান্ট পরিয়ে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি, যার প্রধান কারণ হলো কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধ করা এবং অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া কমানো।

​এর পেছনে যে প্রক্রিয়া কাজ করে তা নিচে দেওয়া হলো:

​১. ডিম পাড়ার স্থান ও সময়: সুতাকৃমির স্ত্রী কৃমি সাধারণত রাতে যখন শিশু ঘুমিয়ে থাকে, তখন মলদ্বার বা পায়ুপথের চারপাশে ডিম পাড়ে। রাতের বেলা এরা সক্রিয় হয় বলে অনেক শিশু ঘুম থেকে জেগে পেট ব্যাথায় কান্না করতে থাকে।

২. প্রচণ্ড চুলকানি: এই ডিম পাড়ার কারণে মলদ্বারে তীব্র চুলকানি হয়।

৩. অজ্ঞানতাবশত চুলকানো: শিশুরা ঘুমের মধ্যে বা সজাগ অবস্থায় প্রায়শই নিজের অজান্তে পায়খানার রাস্তা চুলকে ফেলে।

৪. ডিম লেগে থাকা: চুলকানোর সময় কৃমির ডিমগুলি হাতের নখ এবং আঙুলে লেগে যায়।

৫. পুনঃসংক্রমণ চক্র: এই ডিমযুক্ত অপরিষ্কার হাত যখন শিশু মুখে দেয় (যেমন- আঙুল চোষা বা খাবার খাওয়া) তখন ডিমগুলি পেটে চলে যায় এবং শিশুর অন্ত্রে আবার নতুন কৃমি তৈরি হয়। এটিকে "কৃমির অবিনাশী চক্র" বলা হয়।

৬. প্যান্টের ভূমিকা: শিশুকে প্যান্ট বা কিছুটা লম্বা পায়জামার মতো পোশাক পরিয়ে রাখলে তা হাত ও মলদ্বারের মধ্যে একটি শারীরিক বাধা হিসেবে কাজ করে। ফলে শিশু চুলকালেও ডিম সরাসরি হাতে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

৭. ছড়িয়ে পড়া রোধ: এছাড়াও, মলদ্বার থেকে ডিমযুক্ত ময়লা বিছানা, খেলনা বা অন্যান্য জিনিসের উপর ছড়িয়ে পড়া অনেকাংশে রোধ হয়।

এর মানে হলো ডিম পায়ুপথ থেকে মুখে গিয়ে অন্ত্রে পৌছালে তবেই নতুন কৃমি তৈরি হয়। তাই প্যান্ট পরা জরুরী।

​✨ অন্যান্য সতর্কতা:
​রাতে আন্ডারওয়্যার: রাতে আঁটসাঁট আন্ডারওয়্যার পরিয়ে রাখা এবং সকালে সেটি পরিবর্তন করে গরম পানিতে ধুয়ে ফেলা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে।

​নখ ছোট রাখা: বাচ্চাদের নখ নিয়মিত ও ছোট করে কেটে দিন।

​হাত ধোয়া: খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান।

​বিছানা ও পোশাক পরিষ্কার: বিছানার চাদর, তোয়ালে, এবং ব্যবহৃত কাপড় ঘন ঘন গরম পানিতে ধোয়ার ব্যবস্থা করুন।

কৃমির ঔষধ খেলে ডাক্তারের পরমর্শ অনুযায়ী বাড়ির সকলে মিলে একসাথে খেতে হবে।কারন কৃমি ছোঁয়াচে।একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। পাড়া প্রতিবেশি সহ একসাথে খেলে আরো ভালো।

​এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চললে কৃমির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

শিশুর কৃমি নিয়ে পোস্ট করার পর যে প্রশ্নটা অনেকেই করছেন তা হলো কৃমির লক্ষন কিভাবে বুঝবেন। তাদের জন্য আজকের পোস্ট।শিশুর কৃ...
25/10/2025

শিশুর কৃমি নিয়ে পোস্ট করার পর যে প্রশ্নটা অনেকেই করছেন তা হলো কৃমির লক্ষন কিভাবে বুঝবেন। তাদের জন্য আজকের পোস্ট।

শিশুর কৃমি হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজের বুদ্ধিতে বা ডাক্তার ছাড়া অন্য কারো বুদ্ধিতে ঔষধ খাওয়ানো উচিত নয়।

​এখানে কিছু প্রধান লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:

​কৃমির প্রধান লক্ষণসমূহ

• পায়খানার রাস্তায় চুলকানি (বিশেষ করে রাতে): এটি গুঁড়া কৃমির (পিনওয়ার্ম) একটি খুব সাধারণ ও প্রধান লক্ষণ। রাতে কৃমি ডিম পাড়ার জন্য মলদ্বারের আশেপাশে আসে, তখন চুলকানি বেড়ে যায়।

• ​পেটে ব্যথা: বিশেষ করে নাভির চারপাশে হালকা বা বারবার পেট ব্যথা হতে পারে।

• ​খাবারে অরুচি বা ক্ষুধামান্দ্য: শিশু ঠিকমতো খেতে চায় না, বা খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়।

• ​ওজন কমে যাওয়া: কৃমি শরীরের পুষ্টি শুষে নেওয়ার ফলে শিশুর ওজন কমতে পারে।

• ​বমি বমি ভাব বা বমি করা: মাঝে মাঝে বমি বা বমি ভাব হতে পারে।

• ​পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া: হজমের সমস্যার কারণে হতে পারে।

• পেট ফোলা বা ফাঁপা লাগা: পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যেতে পারে।

• ​মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন: পায়খানা শক্ত বা মাঝে মাঝে নরম হতে পারে, কখনও কখনও মলের সাথে রক্ত বা শ্লেষ্মা যেতে পারে।

• ​রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া): কৃমি অন্ত্রে রক্তপাত ঘটাতে পারে, যার ফলে শিশু দুর্বল হয়ে যায় এবং ফ্যাকাশে দেখায়।

• ​খিটখিটে মেজাজ ও ঘুমের সমস্যা: রাতে চুলকানির কারণে বা শারীরিক অস্বস্তিতে শিশু অস্থির ও খিটখিটে হতে পারে, এবং ঘুম ঠিকমতো নাও হতে পারে।

​🩺 কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

​যদি আপনার শিশুর মধ্যে এই লক্ষণগুলির মধ্যে একাধিক দেখা যায়, বিশেষ করে পায়খানার রাস্তায় চুলকানি অথবা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, তবে দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞের (Paediatrician) সাথে শিশুকে নিয়ে পরামর্শ করুন। ডাক্তার মল পরীক্ষা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে কৃমির সংক্রমণ নিশ্চিত করতে পারবেন এবং সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।

বাচ্চাটার তিন সপ্তাহের বেশি কাশি ছিল। ঘুস ঘুসে জ্বর ছিল। খাবার রুচি নেই। ওজন কমেছে প্রতিদিন। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক খ...
22/10/2025

বাচ্চাটার তিন সপ্তাহের বেশি কাশি ছিল। ঘুস ঘুসে জ্বর ছিল। খাবার রুচি নেই। ওজন কমেছে প্রতিদিন। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে তিন ধরনের। ভাল না হওয়াতে আমার চেম্বারে এলো।

♦️ সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পরল যক্ষা।

Chest xray - milliary mottling.

ওর যক্ষাটা হল মিলিয়ারি যক্ষা (Milliaty TB) যেটা একটু খারাপ।

⭕ বাচ্চাদের কাশি যদি দুই সপ্তাহের বেশি থাকে এবং এন্টিবায়োটিক দেয়ার পরেও ভালো হচ্ছে না, অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পরীক্ষা করে দেখবেন।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

ছেলে শিশুর পেনিসের যত্ন (Pe**le hygiene in boys) খুবই গুরুত্বপূর্ণ — বিশেষ করে নবজাতক ও ছোট বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে, কার...
20/10/2025

ছেলে শিশুর পেনিসের যত্ন (Pe**le hygiene in boys) খুবই গুরুত্বপূর্ণ — বিশেষ করে নবজাতক ও ছোট বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে, কারণ অনুপযুক্ত যত্নে ইনফেকশন, ব্যথা, ফোলাভাব বা ভবিষ্যতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিচে বয়সভেদে ও বাস্তবধর্মীভাবে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—

🍼 ১. নবজাতক (০–১ বছর) পর্যায়ে

🔹 পরিস্কার রাখার নিয়ম:

• প্রতিদিন শিশুর গোসলের সময় কুসুম গরম পানি দিয়ে লিঙ্গটি ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন।

• সাবান বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে জ্বালা করতে পারে।

• Prepuce (fo****in) বা চামড়া জোর করে পিছনে টানবেন না।
➤ জন্মের সময় অধিকাংশ শিশুর fo****in প্রাকৃতিকভাবে টাইট থাকে (physiological phimosis) — এটি স্বাভাবিক এবং সময়ের সাথে খুলে যায়।

🔹 ডায়াপার ব্যবস্থাপনা:

• ডায়াপার পরিবর্তনের সময় ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর নতুন ডায়াপার পরান।

• দীর্ঘক্ষণ ভেজা ডায়াপার রাখলে rashes, balanitis (ইনফেকশন) হতে পারে।

• শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত শিশুর পেনিসে zinc oxide cream বা যেকোনো ধরনের ঔষধ ব্যবহার করবেন না।

👦 ২. টডলার ও স্কুলপূর্ব বয়স (১–৫ বছর)

🔹 পরিষ্কার রাখার অভ্যাস শেখানো:

• গোসলের সময় নিজে ধীরে পানি ঢেলে পরিষ্কার করা শেখান।

• এখনো যদি fo****in পুরোপুরি না খোলে, জোর করবেন না।

• কখনও যদি প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা ফোলা দেখা যায় — ডাক্তারকে দেখান (সম্ভবত mild balanitis বা sm**ma buildup হতে পারে)।

🧒 ৩. স্কুল বয়স (৬–১২ বছর)

🔹 নিয়মিত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য শিক্ষা:

• শিশুকে শেখান যে পেনিস তার শরীরের একটি ব্যক্তিগত অঙ্গ — যা পরিষ্কার রাখা জরুরি, কিন্তু অন্য কাউকে দেখানো উচিত নয় (Personal safety education)।

• এই বয়সে অনেকের fo****in আলগা হয়ে যায় — তখন ধীরে টেনে পরিষ্কার করে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিন।

• গরম পানি ব্যবহার করাই যথেষ্ট। কড়া সাবান বা ডেটল ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।

🧑‍⚕️ ৪. কিশোর বয়সে (Puberty)

🔹 পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস:

• দৈনিক গোসলের সময় gentle cleaning অভ্যাস গড়ে তুলুন।

• ঘাম বা সাদা দাগ (sm**ma) জমে থাকলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, তাই নিয়মিত পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।

• tight বা synthetic underwear পরা এড়িয়ে চলা উচিত — এতে ঘাম জমে সংক্রমণ হতে পারে।

• Cotton underwear ব্যবহার করতে বলুন।

⚠️ যেসব লক্ষণে ডাক্তার দেখানো জরুরি

১. প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা
২. পেনিসে লালভাব, ফোলা, বা পুঁজ
৩. fo****in একদম টানা যায় না এবং প্রস্রাব আটকে যাচ্ছে (Paraphimosis/Phimosis সন্দেহ)
৪. ঘন ঘন ইনফেকশন
৫. ডায়াপার র‍্যাশ বারবার ফিরে আসা

🧴 সারসংক্ষেপে যত্নের মূলনীতি:

বিষয় করণীয় বর্জনীয়

• পরিষ্কার রাখা কুসুম গরম পানি দিয়ে জীবাণুনাশক সাবান
• fo****in ধীরে ধীরে টানুন (বয়স অনুযায়ী) জোর করে টানবেন না
• ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করুন দীর্ঘক্ষণ ভেজা রাখবেন না
• ইনফেকশন হলে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে ওষুধ ব্যবহার নয়।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

একটি সুস্থ পূর্ণমেয়াদী নবজাতক শিশুকে তার মা আউটপেশেন্ট বিভাগে নিয়ে এলেন। মা চিন্তিত ছিলেন, কারণ শিশুর শরীরে জন্মের প্র...
29/09/2025

একটি সুস্থ পূর্ণমেয়াদী নবজাতক শিশুকে তার মা আউটপেশেন্ট বিভাগে নিয়ে এলেন। মা চিন্তিত ছিলেন, কারণ শিশুর শরীরে জন্মের প্রথম কয়েক দিনে ছোট ছোট হলদেটে, তরল ভরা ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে।

পরীক্ষায় শিশুটি সজাগ, চাঙ্গা, জ্বর নেই এবং দুধও ভালোভাবে খাচ্ছে। ফুসকুড়িগুলো পৃষ্ঠস্থ, কিছু ফেটে গেছে এবং ফেটে যাওয়ার পরে কালচে দাগ রেখে গেছে। এগুলো নিওনেটাল পুস্টুলার মেলানোসিস নামে পরিচিত
এক ধরনের স্বাভাবিক, ক্ষতিকারক নয় এমন ত্বকের অবস্থা, যা প্রায়শই সুস্থ, পূর্ণমেয়াদী নবজাতকের মধ্যে দেখা যায়।

এই অবস্থায় সাধারণত জন্মের পর বা জন্মের কয়েকদিনের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ফুসকুড়িগুলো স্টেরাইল (সংক্রমণ নেই) হয় এবং সহজেই ফেটে যায়। ফেটে যাওয়ার পরে ত্বকে কালচে বা ব্রাউন দাগ থাকতে পারে, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়। শিশু সাধারণত পুরোপুরি সুস্থ থাকে
জ্বর বা অন্য কোনো অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায় না।

এই ক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষা বা চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি, খাওয়া-দাওয়া এবং খেলার মধ্যে কোনো প্রভাব পড়ে না। মা-বাবাকে বলা হয় যে ওষুধের প্রয়োজন নেই এবং শিশুর ত্বকের দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক রঙে ফিরে আসবে। এছাড়াও তাদের সতর্কতার লক্ষণ শেখানো হয়
যেমন ফুসকুড়ি দ্রুত বাড়ছে, রক্তপাত হচ্ছে বা শিশুর স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন, সাধারণ ক্ষেত্রে এগুলো দেখা যায় না।

মায়েরা আতঙ্কিত হবেন না, কারণ নিওনেটাল পুস্টুলার মেলানোসিস একটি স্বাভাবিক, নিজেই চলে যাওয়া শিশুর ত্বকের অবস্থা। শিশু ভালো আছে, সুস্থ আছে, আর দাগগুলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাবে।

শিশুর ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখুন, অস্বাভাবিক ফুসকুড়ি বা দাগ লক্ষ্য করলে ডাক্তার দেখান, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি একেবারে নিরাপদ এবং স্বাভাবিক।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

Address

Popular Diagnostic Centre Limited, 252/1 Mymensingh
Mymensingh
MYMENSINGH-2200

Telephone

+8801717550955

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category