Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician, Paediatrician, Popular Diagnostic Centre Limited, 252/1 Mymensingh, Mymensingh.

ডা. মানিক মজুমদার
MBBS (Dhaka)
BCS (Health)
ENS (Germany)
IPPN (Boston)
MD (Paediatrics)
Consultant (Paediatric)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী রোগ বিশেষজ্ঞ
Ex- RP (Paediatrics)
MMCH
Contact: 01711049620

প্রশ্ন: বাচ্চাকে বয়লার মুরগীর মাংস কলিজা দেওয়া যাবে কি?শিশুর খাদ্য নিয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরিবয়লার মুরগির মাংস ও কলিজা...
24/09/2025

প্রশ্ন: বাচ্চাকে বয়লার মুরগীর মাংস কলিজা দেওয়া যাবে কি?

শিশুর খাদ্য নিয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি

বয়লার মুরগির মাংস ও কলিজা শিশুকে দেওয়া যাবে কি না তা নির্ভর করে শিশুর বয়সের উপর:

🔹 ৬ মাসের নিচে → একেবারেই নয়। এ সময় শুধু মায়ের দুধ।
🔹 ৬ মাসের পর থেকে → সলিড ফুড শুরু হয়। প্রথমে সহজ পাচ্য খাবার (ভাত, ডাল, সবজি, ডিমের কুসুম) দেওয়া উচিত।
🔹 ৮–৯ মাস থেকে → অল্প পরিমাণে ভালোভাবে সেদ্ধ ও নরম করা মুরগির মাংস (ব্রেস্ট মিট উত্তম) খাওয়ানো যায়।
🔹 ১ বছর বয়সের পর → সীমিত পরিমাণে সেদ্ধ/ঝোল করা মুরগির কলিজা খাওয়ানো যায়। কলিজায় আয়রন বেশি থাকে, যা শিশুর জন্য উপকারী।

⚠️ তবে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে:

বয়লার মুরগিতে হরমোন/অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে অতি অল্প বয়সী শিশুকে বেশি না দেওয়াই ভালো।

কলিজা শিশুকে সপ্তাহে একবারের বেশি না দেওয়া উচিত (কারণ ভিটামিন A অতিরিক্ত হলে টক্সিসিটি হতে পারে)।

মাংস ও কলিজা সবসময় ভালোভাবে সেদ্ধ করতে হবে।

মশলা, ঝাল, তেল এড়িয়ে শিশুর জন্য আলাদা করে রান্না করতে হবে।

✅ সংক্ষেপে:

৮–৯ মাস থেকে সেদ্ধ মুরগির মাংস অল্প করে খাওয়ানো যাবে।

১ বছর বয়সের পর থেকে কলিজা দেওয়া যাবে, তবে সীমিত পরিমাণে।

দেশি মুরগি তুলনামূলক বেশি নিরাপদ।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

শিশুর জন্য ৫ টি মারাত্মক ক্ষতিকর পণ্য ১. বেবি ওয়াকার। ২.  বডি পাউডার।৩. স্প্যাসিফায়ার বা চুষনি।৪. ফ্রুটস ফিডার।৫. প্লাস্...
21/09/2025

শিশুর জন্য ৫ টি মারাত্মক ক্ষতিকর পণ্য

১. বেবি ওয়াকার।

২. বডি পাউডার।

৩. স্প্যাসিফায়ার বা চুষনি।

৪. ফ্রুটস ফিডার।

৫. প্লাস্টিকের ফিডার।

আপনার শিশু ভিটামিন- ডি পাচ্ছে তো?☀️ শিশুদের জন্য ভিটামিন-ডি কতটা জরুরি?ভিটামিন-ডি শিশুদের হাড়, দাঁত ও সামগ্রিক শারীরিক ব...
07/09/2025

আপনার শিশু ভিটামিন- ডি পাচ্ছে তো?

☀️ শিশুদের জন্য ভিটামিন-ডি কতটা জরুরি?

ভিটামিন-ডি শিশুদের হাড়, দাঁত ও সামগ্রিক শারীরিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি শুধু ক্যালসিয়াম শোষণেই সাহায্য করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

🌼 ভিটামিন-ডি না পেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?

🔹 রিকেটস (Rickets) – হাড় নরম হয়ে যায়, হাত-পা বেঁকে যায়।
🔹 হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায় – শক্তি কমে যায়, দাঁত দেরিতে ওঠে।
🔹 ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় – বারবার ঠান্ডা, কাশি বা ইনফেকশন হয়।
🔹 বিকাশে বিলম্ব – হাঁটা, দাঁড়ানো বা দাঁত ওঠায় দেরি হয়।
🔹 পেশির দুর্বলতা ও ক্লান্তি – শিশু সহজেই অবসন্ন হয়ে পড়ে।

🌞 শিশুদের ভিটামিন-ডি নিশ্চিত করার উপায়

✅ সূর্যের আলো – সকালে ১০–১৫ মিনিট শিশুকে সূর্যের আলোতে রাখা (বিশেষ করে সকাল ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে)
✅ বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের যত্ন – মায়ের শরীরে ভিটামিন-ডি ঘাটতি থাকলে শিশুও প্রভাবিত হয়। তাই মায়েরও প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি গ্রহণ জরুরি।
✅ সাপ্লিমেন্ট দেওয়া –
নবজাতক থেকে ১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ৪০০ IU ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া উচিত (শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী)।

১ বছর পর থেকে শিশুর খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী ডোজ পরিবর্তন করা যায়।
✅ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার (১ বছর পর থেকে):

মাছ (স্যালমন, সারডিন)

ডিমের কুসুম

ভিটামিন-ডি ফোর্টিফাইড দুধ বা সিরিয়াল
✅ নিয়মিত ফলোআপ – শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে ঘাটতি আছে কি না তা নিশ্চিত করা।

✅ করণীয়

নবজাতক থেকেই ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট শুরু করুন।

সূর্যের আলো শিশুর জন্য প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উৎস।

মা ও শিশু—দুজনেরই ভিটামিন-ডি নিশ্চিত করা জরুরি।

কোনো সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন, সঠিক পরিমাণ ভিটামিন-ডি শিশুর হাড়, দাঁত, ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য অমূল্য। আজ থেকেই অভ্যাস করুন শিশুকে ভিটামিন-ডি নিশ্চিত করার। 💖

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

নবজাতক শিশুর জন্ডিস (Neonatal Jaundice)জন্ডিস কী?নবজাতকের ত্বক, চোখের সাদা অংশ (sclera) ও মিউকাস মেমব্রেন হলুদ হয়ে যাওয়া...
02/09/2025

নবজাতক শিশুর জন্ডিস (Neonatal Jaundice)

জন্ডিস কী?
নবজাতকের ত্বক, চোখের সাদা অংশ (sclera) ও মিউকাস মেমব্রেন হলুদ হয়ে যাওয়াকে জন্ডিস বলা হয়। এটি সাধারণত রক্তে বিলিরুবিন মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়।

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিসের কারণসমূহ

নবজাতকের জন্ডিসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

১. ফিজিওলজিক্যাল (স্বাভাবিক) জন্ডিস

👉 ৬০% পূর্ণমেয়াদী ও ৮০% অপরিণত (preterm) শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
👉 সাধারণত জন্মের ২-৩ দিন পর শুরু হয়, ৪-৫ দিনে সর্বোচ্চ হয়, এবং ৭-১০ দিনে কমে যায়।
👉 কারণ:
• নবজাতকের রক্তে রেড ব্লাড সেলের (RBC) আয়ু কম।
• জন্মের পর নবজাতকের যকৃত (liver) পুরোপুরি পরিণত না থাকায় বিলিরুবিন ভাঙতে পারে না।

২. প্যাথলজিক্যাল (অস্বাভাবিক) জন্ডিস

👉 জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হলে সন্দেহ করতে হবে।
👉 বিলিরুবিন দ্রুত বাড়তে থাকে (>5 mg/dl/day)।
👉 দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় (>১৪ দিন পূর্ণমেয়াদী শিশুর ক্ষেত্রে, >২১ দিন প্রি-টার্ম শিশুর ক্ষেত্রে)।
👉 কারণসমূহ:

• Rh incompatibility / ABO incompatibility (রক্তের গ্রুপের অমিল)
• জন্মগত সংক্রমণ
• এনজাইমের ঘাটতি (G6PD deficiency)
• নবজাতকের রক্তে জীবণু সংক্রমণ বা সেপসিস
• নবজাতকের লিভারে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগ
নবজাতকের লিভারে বাইল ডাক্ত অবরোধ (biliary atresia ইত্যাদি)

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিস হলে ঝুঁকিপূর্ণ কারা?

• প্রি-টার্ম (অপরিণত) শিশু
• কম জন্ম ওজনের শিশু
• যাদের পরিবারে নবজাতকের জন্ডিসের ইতিহাস আছে
• Rh/ABO incompatibility

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিস লক্ষণ

• নবজাতকের ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া (প্রথমে মুখে, পরে বুক, হাত-পা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে)
• শিশুর অতিরিক্ত ঘুম, খাওয়ার অনীহা
• কান্না কম বা দুর্বল হয়ে যাওয়া
• খিঁচুনি (অতিরিক্ত হলে, অর্থাৎ নবজাতকের kernicterus হলে)

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিস হলে শিশুর কি কি জটিলতা তৈরি হতে পারে (অতিরিক্ত হলে)?

• Kernicterus → মস্তিষ্কে বিলিরুবিন জমা হয়ে স্থায়ী স্নায়বিক ক্ষতি করে।
• শিশুর মানসিক বিকাশে সমস্যা দেখা দেয়
• শিশুর শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে
• শিশুর সেরিব্রাল পালসি হতে পারে।

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিস হলে কি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে:

• Total serum bilirubin (TSB) লেভেল
• Direct / Indirect bilirubin
• CBC, Reticulocyte count
• Blood group & Rh typing (মা ও শিশুর)
• Coombs test
• G6PD assay (প্রয়োজনে)

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিস হলে চিকিৎসা কি

চিকিৎসা নির্ভর করে শিশুর বিলিরুবিনের মাত্রা, বয়স (ঘণ্টায়) ও ঝুঁকির উপর।

১. ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিসে

• বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
• শিশুকে ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।

২. চিকিৎসার প্রয়োজন হলে

• Phototherapy (নীল আলো থেরাপি) সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। আলো বিলিরুবিন ভেঙে পানি-দ্রবণীয় করে প্রস্রাব ও ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়।
• Exchange transfusion : শিশুর খুব বেশি বিলিরুবিন হলে বা kernicterus এর ঝুঁকি থাকলে এটা করা হয়।
• মূল কারণের চিকিৎসা (সংক্রমণ থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক, ABO/Rh incompatibility তে বিশেষ ব্যবস্থাপনা)।

🍀 নবজাতক শিশুর জন্ডিস আমার প্রতিরোধ করবো কিভাবে

• Rh negative মায়ের ক্ষেত্রে Anti-D ইমিউনোগ্লোবুলিন দেওয়া।
• নবজাতককে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো।
• জন্মের পর জন্ডিসের লক্ষণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ।

✅ সংক্ষেপে মনে রাখুন:

• জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জন্ডিস = বিপদের লক্ষণ।
• শিশুর যদি অতিরিক্ত ঘুম, খাওয়ার অনীহা বা খিঁচুনি থাকে = জরুরি চিকিৎসা নিতে হবে।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একজন মায়ের নিজের শরীরের যত্ন নেয়াটা ঠিক ততটাই জরুরি, যতটা জরুরি শিশুর যত্ন নেয়া। কারণ, মায়ের খাবা...
02/09/2025

বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একজন মায়ের নিজের শরীরের যত্ন নেয়াটা ঠিক ততটাই জরুরি, যতটা জরুরি শিশুর যত্ন নেয়া। কারণ, মায়ের খাবারই বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর কাছে পৌঁছায়। তাই এই সময়ে একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেস্টফিডিং মায়েদের জন্য কিছু জরুরি খাবার:

✅ প্রোটিন: মায়ের শরীর পুনরুদ্ধার এবং দুধ তৈরির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য।
✔️ কী খাবেন: মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, দই, পনির, ডাল, মটরশুঁটি, বাদাম।

✅ আয়রন: প্রসবের সময় রক্তক্ষয়ের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে।
✔️ কী খাবেন: লাল মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, কচু শাক, পালং শাক, ডাল, মটরশুঁটি, শুকনো ফল।

✅ ক্যালসিয়াম: আপনার এবং আপনার শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত জরুরি।
✔️ কী খাবেন: দুধ, দই, পনির, সবুজ শাকসবজি (যেমন ব্রোকলি), ছোট মাছ (কাঁটাসহ), বাদাম।

✅ আঁশযুক্ত শস্য ও শর্করা (Complex Carbs): সারাদিনের শক্তি জোগাতে এগুলো প্রয়োজন।
✔️ কী খাবেন: লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, ওটস, ডালিয়া।

✅ ভিটামিন ও মিনারেলস: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য।
✔️ কী খাবেন: রঙিন ফলমূল ও শাকসবজি (যেমন গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, আম, কমলা, পেয়ারা)।

✅ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এটি প্রয়োজন।
✔️ কী খাবেন: অ্যাভোকাডো, বাদাম, বীজ (যেমন চিয়া সিড, তিসির বীজ), অলিভ অয়েল, ঘি।

🎯 দুধের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার (Lactogenic Foods):

ওটস, বার্লি, মেথি, মৌরি, রসুন, আদা, লাউ, কালিজিরা ইত্যাদি খাবারগুলো বুকের দুধের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

💧 আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – প্রচুর পানি!
বুকের দুধের প্রায় ৮০% পানি। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সারাদিনে কমপক্ষে ৮-১২ গ্লাস (২-৩ লিটার) পানি ও অন্যান্য তরল (যেমন ফলের রস, স্যুপ) পান করুন।

মনে রাখবেন, মায়েরা, আপনারা সুস্থ থাকলেই আপনাদের সোনামণিরা সুস্থ থাকবে। তাই নিজের প্রতি যত্ন নিন, ভালোভাবে খান এবং মাতৃত্বের এই সুন্দর সময়টা উপভোগ করুন। ❤️

আপনার ব্রেস্টফিডিং জার্নিতে কোনো বিশেষ খাবার কি আপনাকে সাহায্য করেছে? কমেন্টে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন!

#বাচ্চা #শিশু

শিশু খেতে চায় না?
02/09/2025

শিশু খেতে চায় না?

নবজাতকের নাভীর যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই নাভীর জায়গা থেকে নবজাতকের দেহে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে সহজেই। নাভ...
30/08/2025

নবজাতকের নাভীর যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই নাভীর জায়গা থেকে নবজাতকের দেহে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে সহজেই। নাভী পড়ে যাওয়া ও শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত নবজাতকের নাভীর প্রতিদিন সঠিক যত্ন নিতে হবে। নিচে ধাপে ধাপে নবজাতকের নাভীর যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

🍀 নবজাতক শিশুর নাভীর যত্নের মূল নিয়মাবলী

১. নাভী পরিষ্কার রাখা

• নাভীর জায়গাটি সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
• গোসল করানোর পর নরম পরিষ্কার কাপড় বা গজ দিয়ে আলতোভাবে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে।

২. নাভী জীবাণুমুক্ত রাখা

• নবজাতকের নাভীর যত্নে ক্লোরহেক্সিডিন (Chlorhexidine 7.1% digluconate solution equivalent to 4% free chlorhexidine) ব্যবহারের নির্দেশনা WHO ও UNICEF এর গাইডলাইন অনুযায়ী হলো:
- নবজাতকের জন্মের পরপরই (প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে) নাভীর গোড়ায় একবার ভালোভাবে ক্লোরহেক্সিডিন ৭.১% সলিউশন লাগাতে হবে।
- যেখানে neonatal mortality rate বেশি বা ঘরে ডেলিভারি হয় → প্রতিদিন একবার (দিনে ১ বার) করে নাভী শুকানো পর্যন্ত (৭ দিন পর্যন্ত) ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারো পরামর্শে এটা নাভীতে প্রয়োগ করবেন না।
- যদি নবজাতক হাসপাতালের পরিবেশে পরিষ্কার ডেলিভারি হয় ও neonatal infection ঝুঁকি কম থাকে → কেবল জন্মের পর একবার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। এরপর নাভী শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে, আর কিছু লাগানোর দরকার নেই।

৩. নাভী শুকনো রাখার চেষ্টা করা

• ডায়াপার যেন নাভীর গোঁড়ায় না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ডায়াপারের সামনের অংশ ভাঁজ করে নিচে নামিয়ে রাখতে হবে।
• নবজাতককে ঢিলেঢালা ও হাওয়াপ্রবাহ যুক্ত কাপড় পরানো উচিত।

৪. কিছু জিনিস নাভীতে প্রয়োগ এড়িয়ে চলতে হবে

• তেল, হলুদ, ছাই, মাটি বা অন্য কোনো ভেষজ পদার্থ নবজাতকের নাভীতে লাগানো যাবে না।
• মায়ের দুধ বা পানি দিয়ে নবজাতকের নাভী ভিজানোও বিপজ্জনক।

🍀 নবজাতকের নাভী শুকানোর সাধারণ সময়কাল

• জন্মের ৫–১৫ দিনের মধ্যে শিশুর নাভী শুকিয়ে পড়ে যায়।
• নাভী পড়ার পর জায়গাটা ধীরে ধীরে শুকিয়ে স্বাভাবিক হয়।

🍀 সতর্কতার লক্ষণ (শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দ্রুত দেখাতে হবে যদি)

• নাভীর চারপাশ লাল হয়ে যায় বা ফুলে ওঠে।
• নাভী থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
• পুঁজ বা রক্তপাত হয়।
• নবজাতক শিশুর জ্বর আসে বা অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করে।

👉 সংক্ষেপে: শুকনো, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখা—এই তিনটি বিষয় মেনে চললে নবজাতকের নাভীর যত্ন নিরাপদ হবে।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা অনেক সময়ই অভিভাবকদের চিন্তায় ফেলে দেয়।🔹 নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা একটি স্ব...
29/08/2025

নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা অনেক সময়ই অভিভাবকদের চিন্তায় ফেলে দেয়।

🔹 নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা একটি স্বাভাবিক অবস্থা, যা চিন্তার নয়। কেন হয়?

👉 নবজাতকের পাকস্থলী খুব ছোট এবং ফিডিং টিউব (esophagus) পুরোপুরি মজবুত নয়।
👉 তাই দুধ খাওয়ানোর পর হালকা চাপ পড়লে (কাঁদলে, কাশি দিলে, ডায়াপার পরিবর্তন বা শোয়ানোর ভঙ্গিতে) দুধ উঠে আসতে পারে।
👉 এটাকে বলে “Posseting” বা “Spitting up” – যা সাধারণত স্বাভাবিক।

📌 বৈশিষ্ট্য:

• বমিতে অল্প পরিমাণ দুধ উঠে আসে (ঝর্ণার মতো তীব্র গতিতে বমি হয় না)
• বাচ্চা খাওয়ার পর স্বাভাবিক থাকে, কাঁদে না তাছাড়া শিশুর ওজনও বাড়ছে
• দুধ তোলার সময় নবজাতকের কষ্ট হয় না

এগুলো চিন্তার কিছু নয়।

🔴 কখন চিন্তার বিষয়?

যদি নিচের লক্ষণগুলো থাকে তবে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:

১. বমি জোরে ঝর্ণার মতো তীব্র বেগে বের হয় (Projectile vomiting)
২. সব খাবারই বের হয়ে যায় বা খুব বেশি বের হয়ে যায়
৩. বমিতে সবুজ/হলুদ রঙ, রক্ত বা কফ মেশানো থাকে
৪. খাওয়ার পরপরই অতিরিক্ত কান্না, অস্বস্তি বা শ্বাসকষ্ট হয়
৫. বাচ্চার ওজন বাড়ছে না বা কমে যাচ্ছে
৬. বাচ্চা খেতে চাইছে না বা খুব দুর্বল দেখাচ্ছে

👉 এগুলো হলে পাইলোরিক স্টেনোসিস, গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), সংক্রমণ বা অন্য কোনো জন্মগত সমস্যা হতে পারে।

✅ অভিভাবকদের করণীয় (স্বাভাবিক দুধ তোলা কমাতে)

• প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর পর ১০–১৫ মিনিট কাঁধে তুলে ডেকানো (burping) করতে হবে
• খাওয়ানোর সময় ও পরে বাচ্চাকে হালকা সোজা ভঙ্গিতে (৩০° কোণে) রাখতে হবে
• খাওয়ানোর সময় খুব দ্রুত বা অতিরিক্ত খেতে না দেওয়া
• শোয়ানোর সময় মাথা সামান্য উঁচু করে দেওয়া যেতে পারে
• আঁটসাঁট জামা না পরানো।

📌 মনে রাখবেন:
👉 নবজাতকের হালকা দুধ তোলা বা বমি করা সাধারণত স্বাভাবিক বিষয় এবং ভয় পাওয়ার বিষয় নয়। তবে উপরে উল্লেখিত অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিন্তার লক্ষণগুলো দেখা দিলে বা থাকলে শিশুকে অবশ্যই দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে হবে।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ 🙏

Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ/Child Specialist
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১০৪৯৬২০

28/08/2025

২ বছর বয়সের মেয়ে শিশু ৭ মাস বয়সের পর থেকে দীর্ঘ ২ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্ত থাকতো, বাবা-মাও সন্তানের চিকিৎসা নিয়ে নানান জায়গায় ধর্ণা দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর দরবারে বাবা-মা ও গুরুজনদের দোয়া কবুল হয়েছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ এর ময়মনসিংহ শাখায় নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মানিক মজুমদার এর নিকট চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা নিয়ে পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ শিশুটিকে জ্বর থেকে মুক্তি দিয়ে সুস্থ করে দিয়েছেন।

টাইফয়েড জ্বর (Typhoid Fever) একটি প্রতিরোধযোগ্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অকালে মৃত্যুবরণ কর...
27/08/2025

টাইফয়েড জ্বর (Typhoid Fever) একটি প্রতিরোধযোগ্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অকালে মৃত্যুবরণ করেন। দূষিত পানি বা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার ঘটে এবং পরবর্তী সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু ১ ডোজ টিকা নিয়ে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে।

আপনার শিশুর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন 👉 https://vaxepi.gov.bd/

শিশুকে একটানা ২০-৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে খাবার খাওয়াবেন না। প্লেটের সব খাবার পুরোপুরি শেষ করার জন্য জোরাজোরি বা রাগ করবে...
27/08/2025

শিশুকে একটানা ২০-৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে খাবার খাওয়াবেন না। প্লেটের সব খাবার পুরোপুরি শেষ করার জন্য জোরাজোরি বা রাগ করবেন না।

সতর্কতামূলক পোস্ট:মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে সাগু খাওয়ানোর সময় গলায় আটকে তাওসিফ আহমেদ (১ বছর) নামে এক শিশুর মর্ম...
24/08/2025

সতর্কতামূলক পোস্ট:

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে সাগু খাওয়ানোর সময় গলায় আটকে তাওসিফ আহমেদ (১ বছর) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তাওসিফ হিজুলী গ্রামের মহিবুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির মা তাকে জোরপূর্বক সাগু খাওয়াচ্ছিলেন। এসময় অসাবধানতাবশত সাগুর দানা গলায় আটকে যায়। দ্রুত মুমূর্ষু অবস্থায় তাওসিফকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে হাজারবার মানা করার পরেও আপনারা যা বোঝেন তাই করেন। কেন?

Address

Popular Diagnostic Centre Limited, 252/1 Mymensingh
Mymensingh
MYMENSINGH-2200

Telephone

+8801717550955

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Manik Mazumder MD - Paediatrician:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category