Drug House

Drug House At Drug House we are dedicated to providing you with quality medicine and trusted service. Drug House
+8801911555437
drughousellc@gmail.com

Our mission is to ensure you receive the highest standard of pharmaceutical products and services. https://www.facebook.com/drughousellc/

01/07/2025

তিন শত লোক বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যান, সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় করে, ঋণগ্রস্থ হয়ে এক হাজার লোককে বউভাতে নিমন্ত্রণ করে ভরপেট মাংস -পোলাও খাওয়ান।

আর বাচ্চা হওয়ার সময় বৌয়ের জন্য এক ব্যাগ রক্ত জোগাড় করতে পারেন না।
কাদের খাওয়ান আপনারা??

লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিয়ের অনুষ্ঠান না করে, ওই টাকা ব্যাংকে রেখে দিন, বাচ্চা হওয়ার সময় কাজে লাগবে, আপনার সন্তানের পড়াশুনা করতে কাজে লাগবে।

বিশ্বাস করুন, আপনার শিশু, আপনার স্ত্রী অসুস্থ্য হলে কোনো আত্মীয় স্বজন আপনাকে টাকা ধার দেবেনা। এমনকি যাদের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করবেন তারা একবার হসপিটালে এসে খোঁজও নেবেনা আপনার বাচ্চা কেমন আছে।

বিশ্বাস করুন, আপনার সন্তানের স্কুল কলেজ কোচিংয়ে যখন মোটা অর্থ প্রয়োজন হবে তখন কেউ আপনাকে সাহায্য করবেনা।

আপনার পিতা মাতা অসুস্থ্য হলে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাদের খুঁজে পাননা, তো সেই পিতা মাতার চল্লিশা অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা করে কাদের খাওয়াবেন?

পিতা মাতার চল্লিশা অনুষ্ঠানে যে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করার ইচ্ছা আছে আপনার এখন বরং সেই টাকাটা ব্যয় করে পিতা মাতাকে খাওয়ান, তাদের চিকিৎসা করান, সেই টাকা ব্যয় করে পিতা মাতাকে ঘুরতে নিয়ে যান, সেই টাকা ব্যয় করে পিতা মাতার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরন করুন, সেই টাকাটা ব্যয় করে পিতা মাতার যত্ন নিন।

08/06/2025

আপনি যা চান তা পাওয়াই সাফল্য; আর এই সাফল্য একটি 'ফলাফল', যা একটি 'কারণ' এর প্রয়োগের থেকে আসে। মূলত সকল ক্ষেত্রেই সাফল্য একই; সফল মানুষরা কী চান তার মধ্যে পার্থক্য থাকে, কিন্তু সাফল্যের মধ্যে নয়।
স্বাস্থ্য, সম্পদ, উন্নতি বা অবস্থান– যা-ই অর্জিত হোক না কেন, সাফল্য মূলত একই। সাফল্য মানে কাঙ্ক্ষিত অর্জন, সেটা কী অর্জিত হলো তা বিবেচ্য নয়।

প্রকৃতির একটা আইন হলো– একই কারণ সর্বদা একই ফল সৃষ্টি করে। সুতরাং, যেহেতু সকল ক্ষেত্রেই সাফল্য একই, তাই অবশ্যই সাফল্যের 'কারণ' টাও সকল ক্ষেত্রেই একই। সাফল্যের এই 'কারণ' যে সফল হয় ঐ ব্যক্তির ভেতরেই নিহিত থাকে সবসময়। একথা নিশ্চিতভাবেই সত্য; কারণ যদি সাফল্যের কারণ প্রকৃতিতে বা ঐ ব্যক্তির বাইরে থাকতো তাহলে একই অবস্থায় থাকা সব মানুষই সফল হতো।

ঐ সাফল্যের কারণ ব্যক্তিটির পরিবেশের মধ্যে নেই, কেননা যদি তা থাকতো, তাহলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার সবাই সফল হতো এবং সাফল্য হতো সম্পূর্ণরূপে তাদের পরিবেশের একটি ব্যাপার। কিন্তু কার্যতঃ আমরা দেখি একই পরিবেশে বাস করা এবং একই পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে থাকা মানুষদের মধ্যেও নানা মাত্রার সাফল্য ও ব্যর্থতা রয়েছে। সুতরাং, সাফল্যের কারণ অবশ্যই ব্যক্তির মধ্যে থাকে, অন্য কোথাও না।

অতএব, গাণিতিকভাবে এটা সুনিশ্চিত যে, আপনি সফল হবেন যদি আপনি সাফল্যের 'কারণ' খুঁজে বের করে—সেটিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করে—সঠিকভাবে আপনার কাজে প্রয়োগ করেন। একটি যথাযোগ্য 'কারণ' এর প্রয়োগ একটি নির্দিষ্ট ফলাফল সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হতে পারেনা। যদি কোনো ধরনের ব্যর্থতা আসে কোথাও, তার কারণ—হয় 'কারণ' টি যথেষ্ট ছিলনা নয়তো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়নি।

সাফল্যের কারণ হলো আপনার ভেতর নিহিত কিছু শক্তি। যেকোনো শক্তিকে অসীমভাবে বিকশিত করতে পারার ক্ষমতা আপনার রয়েছে, কারণ মনের বিকাশের কোনো সীমা নেই। আপনি এই শক্তিকে অনির্দিষ্টভাবে বাড়াতে পারেন এবং এই শক্তিকে যতটা প্রয়োজন শক্তিশালী করতে পারেন যা আপনি চান তা করার জন্য এবং যা আপনি চান তা পাওয়ার জন্য। যখন এটি যথেষ্ট শক্তিশালী হবে—আপনি শিখবেন কীভাবে এটিকে আপনার কাজে প্রয়োগ করতে হয়, এবং যার ফলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।

আপনাকে শুধু শিখতে হবে– সাফল্যের কারণ কী এবং কীভাবে এটি প্রয়োগ করতে হয়।
আপনার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ দক্ষতাগুলোর বিকাশ অপরিহার্য। আমরা কাউকে সংগীতজ্ঞ হিসেবে সফল হতে দেখবো না যদি সে সংগীতের দক্ষতা না বাড়ায়; যেমনটা অবান্তর হবে– একজন মেকানিকের কাছ থেকে সাফল্য আশা করা যদি সে যান্ত্রিক দক্ষতা না বাড়ায়, একজন ধর্মযাজকের কাছ থেকে সাফল্য আশা করা যদি সে আধ্যাত্মিক বোধ ও বাকপটুতা না বাড়ায়, বা একজন লয়ারের কাছ থেকে সাফল্য আশা করা যদি সে আইনী দক্ষতা না বাড়ায়।

পেশা বেছে নেওয়ার সময় এমন পেশা বেছে নিন যেখানে আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগানো যাবে। যদি আপনার ভালো যান্ত্রিক দক্ষতা থাকে কিন্তু আধ্যাত্মিক চিন্তা বা ভাষার ওপর দখল না থাকে, তাহলে ধর্মপ্রচারকের কাজে যাবেন না; যদি আপনার ফ্যাব্রিক ও রঙের সমন্বয়ে পোশাক ডিজাইনের রুচি ও প্রতিভা থাকে, তাহলে টাইপরাইটিং বা স্টেনোগ্রাফি শিখবেন না। এমন পেশা বেছে নিন যা আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগাবে এবং এই দক্ষতাগুলোকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করুন।

কিন্তু এটুকুই সাফল্য নিশ্চিত করতে যথেষ্ট নয়। অনেক ভালো সংগীতপ্রতিভাবান মানুষ সংগীতজ্ঞ হিসেবে ব্যর্থ হয়; ভালো যান্ত্রিক দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ কাঠমিস্ত্রী, কামার বা মেকানিক হিসেবে ব্যর্থ হয়; গভীর আধ্যাত্মিকতা ও ভাষাপ্রতিভাসম্পন্ন মানুষ ধর্মযাজক হিসেবে ব্যর্থ হয়; তীক্ষ্ণ ও যুক্তিবাদী মন নিয়েও মানুষ আইনজীবী হিসেবে ব্যর্থ হয়।

আপনার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ দক্ষতাগুলো হলো আপনার সরঞ্জাম, কিন্তু সাফল্য শুধু ভালো সরঞ্জাম থাকার ওপর নির্ভর করেনা; এটি আরো বেশি নির্ভর করে আপনার সেই শক্তির ওপর যা এই সরঞ্জাম ব্যবহার করে ও প্রয়োগ করে।

নিশ্চিত করুন যে, আপনার সরঞ্জাম সেরা এবং সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে; আপনি কোনো দক্ষতাকে যেকোনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায় পর্যন্ত বিকশিত করতে পারেন। সংগীতের দক্ষতা প্রয়োগ করলে সংগীতক্ষেত্রে সাফল্য আসে; যান্ত্রিক দক্ষতা প্রয়োগ করলে মেকানিক্যাল কাজে সাফল্য আসে; আইনী দক্ষতা প্রয়োগ করলে ওকালতিতে সাফল্য আসে। কিন্তু এই দক্ষতাগুলোকে প্রয়োগ করায় বা প্রয়োগ করতে যেটা সাহায্য করে, সেটাই হলো সাফল্যের কারণ।

দক্ষতাগুলো হলো সরঞ্জাম, আর এর ব্যবহারকারী হলো আপনি নিজে। আপনার ভেতরের যেই শক্তি—সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে এবং সঠিক স্থানে—এই সরঞ্জাম আপনাকে ব্যবহার করায় সেটাই হলো সাফল্যের 'কারণ'।

মানুষের মধ্যে এই বিশেষ শক্তিটি কী যা তাকে তার দক্ষতাগুলো সফলভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে?
এটি কী এবং কীভাবে এটিকে বিকশিত করা যায়—তা পরবর্তী অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে আপনি এই উপরের অংশটি কয়েকবার পড়ে নিন, যাতে আপনি যে সফল হতে পারেন এই অটল যুক্তি আপনার মনে দৃঢ়ভাবে গেঁথে যায়।
আপনি পারেন! এবং যদি আপনি উপরের যুক্তিগুলো ভালোভাবে অধ্যয়ন করেন, তাহলে আপনি এতে বিশ্বাসী হবেন যে, আপনি পারেন। আর আপনি সফল হতে পারেন এই বিশ্বাস অর্জনই হলো সাফল্যের প্রথম শর্ত।

মানব মনের দক্ষতাগুলো হলো সেই সরঞ্জাম যা দিয়ে সাফল্য অর্জিত হয়। আর এই সরঞ্জামগুলোকে আপনার কাজ বা ব্যবসায় সঠিকভাবে প্রয়োগ করলেই আপনি সফল হবেন এবং যা চাইবেন তা পাবেন। অল্প কিছু মানুষ সফল হয় কারণ তারা তাদের দক্ষতাগুলো সফলভাবে ব্যবহার করে। আর বেশিরভাগ মানুষ, যাদের একইরকম ভালো দক্ষতা আছে, তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা তাদের দক্ষতাগুলো সফলভাবে ব্যবহার করেনা।

যে মানুষ সফল হয় তার মধ্যে একটি বিশেষ কিছু থাকে যা তাকে তার দক্ষতাগুলো সফলভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। আর, এই বিশেষ গুণটিই সকল সফল মানুষকে অর্জন করতে হয়।
প্রশ্ন হলো– এটি কী?
এটিকে একটি শব্দে প্রকাশ করা কঠিন। এটি হলো Poise (অবিচল আত্মবিশ্বাস)। এটি একটি অবস্থা, আবার এটি একটি ক্রিয়াও বটে। এটি হলো বিশ্বাস; কিন্তু সাধারণভাবে আমরা যে বিশ্বাসকে বুঝি তার চেয়েও এটি বেশি কিছু। সাধারণভাবে, বিশ্বাস বলতে আমরা বুঝি এমন কিছুকে মেনে নেয়া যা প্রমাণ করা যায় না। কিন্তু সাফল্যের এই বিশেষ গুণটি তার চেয়েও বেশি কিছু।

এটি হলো কর্মে সচেতন শক্তি (Conscious Power in Action)। এটি হলো সক্রিয় শক্তি চেতনা (Active Power-Consciousness)।

শক্তি চেতনা হল সেই অনুভূতি, যা আপনি অনুভব করেন যখন আপনি জানেন যে, আপনি একটা কিছু করতে পারবেন, এবং আপনি জানেন কীভাবে তা করতে হয়। যদি আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে, আপনি সফল হতে পারবেন এবং বোঝাতে পারি যে, আপনি জানেন কীভাবে সফল হতে হয়—তাহলেই আমি সাফল্যকে আপনার নাগালের মধ্যে এনে দিয়েছি।

কারণ, যদি আপনি জানেন যে, আপনি একটা কিছু করতে পারবেন এবং জানেন যে, তা কীভাবে করবেন—তাহলে যদি আপনি সত্যিই চেষ্টা করেন, তখন এটা অসম্ভব যে আপনি সেটায় ব্যর্থ হবেন। যখন আপনি পূর্ণ শক্তি চেতনায় (Full Power-Consciousness) থাকবেন, তখন আপনি যেকোনো কাজে এগিয়ে যাবেন সম্পূর্ণভাবে এক সফল মনোভাব নিয়ে।

এভাবে, প্রত্যেকটি চিন্তা হবে সফল চিন্তা, প্রতিটি কাজ হবে সফল কাজ; আর যদি আপনার প্রতিটি চিন্তা ও কাজ সফল হয়, তাহলে আপনার সব কাজের সমষ্টি কখনোই ব্যর্থতা হতে পারেনা।
তাই আমার কাজ হলো- আপনাকে শেখানো—কীভাবে এই শক্তি চেতনা বা পাওয়ার কনশাসনেস নিজের মধ্যে সৃষ্টি করতে হয়, যাতে আপনি জানতে পারেন যে, আপনি যা চান তাই করতে পারেন এবং কীভাবে সেটি করতে হয় তা শিখতে পারেন।

আগের অংশটি আবার পড়ুন; এটি অকাট্য যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করে যে, আপনি সফল হতে পারেন। এটি দেখায় যে, অন্য কারও মনে যা আছে তার সবই আপনার মনে আছে; পার্থক্য যদি থাকে তা শুধু বিকাশের মাত্রায়। প্রকৃতির একটি সত্য হলো—যা অবিকশিত তা সর্বদা বিকশিত হতে সক্ষম। তাই আমরা দেখি যে, সাফল্যের কারণটা আপনার ভেতরেই আছে এবং এটি পূর্ণভাবে বিকশিত হতে সক্ষম।

এটি পড়ার পর আপনি অবশ্যই বিশ্বাস করবেন যে, আপনি সফল হতে পারেন এটা সম্ভব। কিন্তু শুধু এটা বিশ্বাস করাই যথেষ্ট নয়; আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি পারেন এবং শুধু সচেতন মনই (objective mind) নয়, আপনার অবচেতন মনকেও (sub-conscious mind) অবশ্যই এটি জানতে হবে।

লোকে বলে থাকে– "যে মনে করে পারবে, সে-ই পারবে।"
কিন্তু এটি সত্য নয়। এমনকি এটাও পুরোপুরি সত্য নয় যে, "যে জানে পারবে, সে-ই পারবে", (যদি শুধু সচেতন মনের কথা বলা হয়)। কারণ অবচেতন মন প্রায়ই সচেতন মন যা সুনিশ্চিতভাবে জানে তাকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ও দমন করে দিতে পারে।
তবে এটি সম্পূর্ণ সত্য যে, "সে-ই পারবে যার অবচেতন মন জানে যে, সে পারবে"। আর এটি বিশেষভাবে সত্য যদি তার সচেতন মনকেও কাজটি করতে প্রশিক্ষিত করা হয়ে থাকে।

মানুষ ব্যর্থ হয় কারণ তারা সচেতনভাবে ভাবে যে, তারা কিছু করতে পারে, কিন্তু তাদের অবচেতন মন জানেনা যে, তারা তা করতে পারে। সম্ভবত এই মুহূর্তেও আপনার অবচেতন মনে আপনার সাফল্যের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ ভর করে আছে; এই সন্দেহগুলো দূর করতে হবে, নইলে আপনার সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়েই এটি তার শক্তি আটকে রাখবে।

অবচেতন মন (sub-conscious mind) হলো সেই উৎস যেখান থেকে যেকোনো দক্ষতায় কাজের শক্তি আসে। আর একটি সন্দেহ এই শক্তিকে আটকে দেবে, ফলে আপনার কাজ দুর্বল হবে। তাই অবশ্যই আপনার প্রথম পদক্ষেপ হবে—আপনার অবচেতন মনে এই সত্য প্রতিষ্ঠা করা যে, আপনি পারবেন। অবশ্যই এটি করতে হবে—বারবার ইতিবাচক সাজেশন পাঠিয়ে।

নিম্নলিখিত মানসিক এক্সারসাইজটি দিনে কয়েকবার করুন, বিশেষ করে ঘুমানোর ঠিক আগে:
১. শান্তভাবে ভাবুন সেই অবচেতন মনের কথা যা আপনার সমগ্র দেহে পরিব্যাপ্ত হয়, যেমনভাবে পানি একটি স্পঞ্জে পরিব্যাপ্ত হয়।
২. এই মনকে নিয়ে ভাবার সময় এই মনটিকে অনুভব করার চেষ্টা করুন। শীঘ্রই আপনি এর উপস্থিতি সচেতনভাবে টের পাবেন।
৩. এই উপলব্ধি বজায় রেখে গভীর, ব্যগ্র অনুভবের সাথে বলুন: "আমি পারি সফল হতে! অন্য যে কারও পক্ষে যা সম্ভব, আমার পক্ষেও তা সম্ভব। আমি সফল। আমি সফল হই, কারণ আমি সাফল্যের শক্তিতে পরিপূর্ণ।"

এটি হচ্ছে সরল সত্য। এটিকে সত্য হিসেবে উপলব্ধি করুন এবং বারবার করতে থাকুন যতক্ষণ না আপনার সমগ্র সত্তা এই জ্ঞানে পরিপূর্ণ হয় যে, আপনি যা চান তা-ই আপনি করতে পারেন।
আপনি পারেন! অন্যরাও পেরেছে এবং আপনি যেকোনো মানুষের চেয়ে বেশি কিছু করতে পারেন, কারণ, আজ পর্যন্ত কেউই সেই সব শক্তিকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেনি, যতটা আসলে ব্যবহার করা সম্ভব। আপনার ব্যবসায় আগের যে কারও চেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করা আপনার ক্ষমতার মধ্যে আছে।
এমন বিশাল সাফল্য অর্জন করা আপনার ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে, যা আপনার আগে কেউ কখনও আপনার ব্যবসায়ে অর্জন করতে পারেনি।

উপরের অটো সাজেশন এক মাস ধরে অধ্যবসায়ের সাথে প্র‍্যাক্টিস করলে আপনি জানতে শুরু করবেন যে, আপনার ভেতরে এমন এক শক্তি আছে—যা আপনি যা করতে চান, তা করতে সক্ষম।
তখন আপনি পরবর্তী অংশের জন্য প্রস্তুত হবেন—যেখানে বলা হবে, কীভাবে আপনি যা করতে চান তা বাস্তবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এটি সম্পূর্ণ অপরিহার্য যে—প্রথমেই আপনাকে আপনার অবচেতন মনের ওপর এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে, আপনি পারেন।

আপনি যা চান তা পেতে পারেন– এই বিশ্বাসে আপনার সচেতন ও অবচেতন মনকে পূর্ণ করার পর পরবর্তী প্রশ্ন হলো পদ্ধতি সংক্রান্ত। আপনি জানেন যে সঠিক পদ্ধতিতে এগোলে আপনি এটা করতে পারবেন; কিন্তু কোনটা সঠিক পদ্ধতি?
এতটুকু নিশ্চিত: আরো বেশি পেতে হলে যাকিছু আপনার এখনই আছে তার গঠনমূলক (constructive) ব্যবহার করতে হবে। যা আপনার নেই তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না; তাই আপনার জানার প্রয়োজন হলো- যাকিছু ইতিমধ্যেই আছে তা কীভাবে সর্বোচ্চ গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করা যায়।

এই ভেবে সময় নষ্ট করবেন না যে, যদি আপনার কাছে নির্দিষ্ট কিছু থাকত, তাহলে আপনি কীভাবে তা কাজে লাগাতেন;
শুধু এটুকু ভাবুন—আপনার কাছে বর্তমানে যা আছে তা-ই কীভাবে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
এটাও নিশ্চিত যে, আপনি অনেক দ্রুত অগ্রসর হতে পারবেন, যদি আপনার যা আছে আপনি তার-ই সর্বোচ্চ পারফেক্ট ব্যবহার করেন।
আসলে, আপনি যা চান তা কত দ্রুত অর্জন করবেন তা নির্ভর করবে—আপনার যা আছে তা আপনি কতটা নিখুঁতভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তার উপর।

অনেক মানুষ স্থবির হয়ে থাকে বা খুব ধীরগতিতে কিছু পায়, কারণ তারা বর্তমান সামর্থ্য, শক্তি ও সুযোগের শুধুমাত্র আংশিক ব্যবহার করছে।

এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর ঘটে শুধুমাত্র ফাংশনগুলোকে পরিপূর্ণ ও প্রসারিত করার মাধ্যমে। যদি কাঠবিড়ালিরা আরও বেশি বেশি লাফ না দিত, তাহলে উড়ন্ত কাঠবিড়ালির উড়ার ক্ষমতা কখনোই জন্মাত না।
লাফানোর শক্তিকে গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করেই উড়ার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। আপনি যদি আপনার সক্ষমতার শুধু অর্ধেক ব্যবহার করেন, তবে কখনোই আপনি উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবেন না।

প্রকৃতিতে আমরা দেখি যে, নিম্নস্তরের কাজকে পারফেক্টভাবে সম্পাদন করেই জীবন উচ্চতর স্তরে উন্নীত হয়।
নিজের স্তরে পারফেক্টভাবে কর্তব্যপালন করার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে তার চেয়েও বেশি জীবনীশক্তি যখনই কোনো জীব ধারণ করে—তখন সে আরো উচ্চতর স্তরের কাজকর্ম সম্পাদন করতে শুরু করে।

প্রথম যে উড়ন্ত কাঠবিড়ালি দেহে প্যারাশুট পর্দা বিকাশ করেছিল, সে নিশ্চয়ই পূর্বে অত্যন্ত অসাধারণ লম্ফদাতা ছিল। এটিই অগ্রগতির মৌলিক নীতি এবং সকল সাফল্যের মূলমন্ত্র।
এই নীতির আলোকে, আপনি কেবল তখনই এগোতে পারবেন যখন আপনার বর্তমান অবস্থানকে ছাড়িয়ে যাবেন। এখন যা যা করতে পারেন, আপনাকে অবশ্যই তা নিখুঁতভাবে করতে হবে। আর, এটাই প্রকৃতির আইন যে, যা আপনি বর্তমানে করতে পারেন, তা পারফেক্টভাবে করার মধ্য দিয়েই সেই কাজগুলো করতে আপনি সক্ষম হবেন—যা এখন আপনার সাধ্যের বাইরে।

একটি কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করাটা অবধারিতভাবে আমাদেরকে পরবর্তী আরও বড় কাজের উপকরণ প্রদান করে। কারণ প্রকৃতির এক অমোঘ নীতি হলো—জীবন সবসময় অগ্রসর হয়, বিকশিত হয়।
প্রত্যেক ব্যক্তি সে কোনো একটি কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করলে, সঙ্গে সঙ্গে তার সামনে আরও বড় কোনো কাজ শুরুর সুযোগ এসে যায়। এটি জগতের সর্বজনীন ও অমোঘ নিয়ম।

প্রথমে, যা কিছুই এখন করতে পারেন তা-ই নিখুঁতভাবে করুন। এতটাই পারফেক্টভাবে করুন—যতক্ষণ না সেটি এত সহজ হয়ে যায় যে, তা করার পর আপনার উদ্বৃত্ত শক্তি অবশিষ্ট থাকে। তখন এই অতিরিক্ত শক্তির মাধ্যমেই আপনি আরও উচ্চতর স্তরের কাজের ওপর দখল নিতে পারবেন এবং ধীরে ধীরে আপনার পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করবেন।

আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী দক্ষতাগুলো কাজে লাগাতে পারবেন এমন পেশায় যান, এমনকি যদি নিচু স্তর থেকেও শুরু করতে হয়। তারপর সেই দক্ষতাগুলোকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিকশিত করুন। পাওয়ার কনশাসনেস গড়ে তুলুন, যাতে আপনার দক্ষতাগুলো সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারেন এবং সেগুলো প্রয়োগ করুন—আপনি এখন যেখানে আছেন, এখন যাকিছু করতে পারেন তা নিখুঁতভাবে করার জন্য।

কোনো পরিবেশ পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করবেন না, কারণ তা কখনো আসতে নাও পারে। একটি উন্নত পরিবেশে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হলো- আপনার বর্তমান পরিবেশকে গঠনমূলকভাবে কাজে লাগানো। শুধুমাত্র আপনার বর্তমান পরিবেশের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক ব্যবহারই আপনাকে একটি আরো কাঙ্ক্ষিত ও উন্নত পরিবেশে পৌঁছে দিতে পারে।

আপনি যদি আপনার বর্তমান ব্যবসা বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে মনে রাখবেন যে, আপনার যেই ব্যবসা এখন আছে সেটিকে অত্যন্ত পারফেক্টভাবে করলেই শুধু আপনি তা পারবেন।
যখন আপনি আপনার ব্যবসায় এত প্রাণ-উদ্যম ঢালবেন যে, তা পরিপূর্ণ করার পরও বেশি হবে, তখন এই অতিরিক্ত প্রাণশক্তিই আপনাকে আরো ব্যবসা এনে দেবে।

আপনার বর্তমান দায়িত্বগুলো নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার পরে যতক্ষণ না অতিরিক্ত প্রাণশক্তি অবশিষ্ট থাকছে, ততক্ষণ আরো বেশি কিছু পাবার জন্য হাত বাড়াবেন না। নিখুঁতভাবে সম্পাদন করার জন্য আপনার যতটুকু প্রাণশক্তি আছে, তার চেয়ে বেশি কাজ বা ব্যবসা থাকা কোনো উপকারে আসেনা। প্রয়োজনে প্রথমে আপনার জীবনীশক্তি বাড়ান।

মনে রাখবেন, আপনি এখন যেটুকু করার সুযোগ পেয়েছেন, তা যতটা নিখুঁতভাবে করবেন, ঠিক ততটাই আপনার কর্মক্ষেত্র প্রসারিত হবে এবং আপনি আরও বড় পরিসরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
মনে রাখবেন যে, যে চালিকাশক্তি দিয়ে আপনি যা চান তা অর্জন করেন, তা হলো প্রাণশক্তি। আর শেষ বিচারে, আপনি যা চান তা হলো শুধুই আরো পূর্ণভাবে বাঁচার সুযোগ। অতএব, আপনি যা চান তা অর্জন করতে পারবেন কেবল সেই বিশ্বজনীন নিয়মের কার্যকারিতার মাধ্যমে, যার দ্বারা সমস্ত জীবন ক্রমাগত আরও পরিপূর্ণভাবে নিজেকে প্রকাশের দিকে এগিয়ে চলে।

এই নিয়মটি হলো যে, যখন কোনো জীবের মধ্যে এত বেশি জীবনীশক্তি থাকে যে—তার বর্তমান অবস্থান/স্তরে নিখুঁতভাবে কাজ করার পরও তা প্রকাশ পেতে পারেনা, তখন সেই অতিরিক্ত জীবনীশক্তিই তাকে আরো উচ্চতর স্তরে উন্নীত করে। যখন আপনি নিজের সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে আপনার বর্তমান কাজকে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেন, তখন আপনার ভিতরে যে উদ্বৃত্ত শক্তি থাকে, সেটি আপনার কাজকে আরও বড় ক্ষেত্রে প্রসারিত করবে। একইসঙ্গে এটাও জরুরি যে, আপনার যেন স্পষ্টভাবে মনে থাকে আপনি ঠিক কী চান—যাতে আপনার সেই অতিরিক্ত শক্তি সঠিক দিকে পরিচালিত হতে পারে।

আপনি যা অর্জন করতে চান তার একটি স্পষ্ট ধারণা গড়ে তুলুন,
কিন্তু সেই চিন্তা যেন আপনার বর্তমান কাজগুলো নিখুঁতভাবে করার মধ্যে কোনোভাবেই বাধা সৃষ্টি না করে। আপনি যা চান তার কন্সেপ্ট হলো- আপনার শক্তিসমূহের জন্য একটি দিকনির্দেশনা এবং একটি অনুপ্রেরণা—যা আপনাকে উদ্বুদ্ধ করে যেন আপনি সেই শক্তিসমূহকে আপনার বর্তমান কাজে সর্বোচ্চভাবে প্রয়োগ করতে পারেন।

এখনই ভবিষ্যতের জন্য বাঁচুন। ধরুন যে, আপনি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চান, কিন্তু এখন শুধু একটি চিনাবাদামের স্টল খোলার মতো পুঁজি আছে। আজই চিনাবাদাম স্টলের পুঁজি দিয়ে ডিপার্টমেন্ট স্টোর শুরু করার চেষ্টা করবেন না;
বরং পূর্ণ বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে চিনাবাদামের দোকান শুরু করুন যে—একদিন এটিকেই আপনি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে রূপান্তর করতে পারবেন। চিনাবাদামের ছোট দোকানটিকে শুধু একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের সূচনা হিসেবেই দেখুন এবং সেটিকে বড় করুন; আপনি পারবেন।

আপনার বর্তমান যেই ব্যবসা সেটাকে গঠনমূলকভাবে কাজে লাগিয়ে আরও ব্যবসা অর্জন করুন; ইতিমধ্যে যত বন্ধুত্ব পেয়েছেন তা গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করে আরও বন্ধু পান;
আপনার বর্তমান অবস্থানকে সদ্ব্যবহার করে আরও ভালো অবস্থানে পৌঁছান; আপনার ঘরে যে ভালোবাসা ইতিমধ্যে বিরাজমান আছে, তার গঠনমূলক ব্যবহার করে আরও পারিবারিক সুখ লাভ করুন।

আপনি যা চান তা একমাত্র তখনই অর্জন করতে পারবেন,
যখন আপনি আপনার দক্ষতাগুলো আপনার কাজ ও পরিবেশে প্রয়োগ করবেন। আপনি 'শক্তি সচেতনতা' (Power-Consciousness) অর্জন করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতাগুলো সফলভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন। আর আপনি সামনে এগোবেন আজকের কাজে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে এবং আপনার বর্তমান সময়ে যাকিছু করা সম্ভব, তা পারফেক্টভাবে সম্পন্ন করে।

আপনি ভবিষ্যতে যা চান তা কেবল তখনই পেতে পারেন—যদি আজ যা কিছুর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আছে সেগুলোর গঠনমূলক ব্যবহারে আপনি আপনার সমস্ত শক্তি কেন্দ্রীভূত করেন। আজকের পরিবেশে থাকা উপকরনগুলোকে যদি আপনি উদাসীনভাবে বা আন্তরিকতাহীনভাবে ব্যবহার করেন তাহলে তা আগামীর সাফল্যর জন্য সর্বনাশী হবে।

আপনি আজকের জন্য এমন কিছু কামনা করবেন না, যা আজ আপনার সাধ্যের বাইরে; বরং আজকের দিনে যেটা সর্বোত্তমভাবে পাওয়া সম্ভব তা যেন আপনি অবশ্যই অর্জন করেন।
আপনার বর্তমান সময়ে যেটা সর্বোত্তমভাবে পাওয়া সম্ভব, তা থেকে কখনোই কম কিছু গ্রহণ করবেন না; কিন্তু যা এখন পাওয়া সাধ্যের বাইরে, তার জন্য আকাঙ্ক্ষা করে শক্তি নষ্ট করবেন না।

যদি আপনি সবসময় সেই জিনিসই গ্রহণ করেন যা বর্তমান সময়ে সর্বোত্তমভাবে পাওয়া সম্ভব, তাহলে আপনি ক্রমাগত আরো ভালো ও আরো উন্নত জিনিস পেতে থাকবেন। কারণ এটি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি মৌলিক নীতি যে, জীবন সর্বদা অবিরামভাবে আরও পূর্ণ জীবনের দিকে অগ্রসর হয় এবং আরও ভালো ও উন্নত জিনিস ব্যবহারের দিকে এগোয়।

কিন্তু আপনি যদি বর্তমান সময়ে যেটা সর্বোত্তমভাবে পাওয়া সম্ভব তার চেয়ে কমে সন্তুষ্ট থাকেন তাহলে আপনি আর এগোতে পারবেন না—আপনার অগ্রগতি থেমে যাবে। আজকের প্রতিটি লেনদেন ও সম্পর্ক, সেটা ব্যবসায়িক হোক, পারিবারিক হোক বা সামাজিক এগুলোকে অবশ্যই আপনি ভবিষ্যতে যা চান তার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একেকটি সোপান হতে হবে। আর সেটা সাধন করতে হলে এই প্রত্যেকটিতে এমন পরিমাণ প্রাণশক্তি ঢালতে হবে, যাতে তা শুধু পূর্ণই হয় না—বরং তার চেয়ে বেশি হয়ে পড়ে।

প্রতিটি কাজ আর সম্পর্কের মধ্যে আপনাকে শুধু দায়িত্ব নয়—তার চেয়েও বেশি আন্তরিকতা ও উদ্যম ঢেলে দিতে হবে। আপনি যা করেন তার সবকিছুর মধ্যে অবশ্যই অতিরিক্ত শক্তি থাকতে হবে। আপনার প্রতিটি কাজে এমন প্রাণশক্তি থাকতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সীমা ছাড়িয়ে তা উদ্বৃত্ত রয়ে যায়।

এই অতিরিক্ত শক্তিই অগ্রগতি ঘটায়—উদ্বৃত্ত প্রাণশক্তি আপনার ইচ্ছেপূরণ ঘটায়। যেখানে অতিরিক্ত প্রাণশক্তি নেই, সেখানে কোনো অগ্রগতি নেই, কোনো সাফল্য নেই। বর্তমান পরিবেশের কার্যক্রমের সীমা ছাড়িয়ে উদ্বৃত্ত যে জীবনীশক্তি থাকে, সেটিই বিবর্তনের কারণ; আর বিবর্তন মানে হলো আরও পরিপূর্ণ জীবনের দিকে এগিয়ে যাওয়া—আপনি যা চান, তা অর্জন করা।

ধরা যাক, আপনি বাণিজ্য বা কোনো পেশায় আছেন এবং আপনার ব্যবসা বাড়াতে চান; সেক্ষেত্রে, আপনি যখন পণ্য বা সেবা বিক্রি করছেন, তখন সেটাকে কেবল একটি দায়সারা লেনদেন হিসেবে নেওয়া চলবে না—যেখানে আপনি কাস্টমারের টাকা নিলেন, তাকে ন্যায্য মূল্য দিলেন এবং তাকে এমন অনুভূতি নিয়ে যেতে দিলেন যেন আপনি শুধু নায্য লেনদেন এবং লাভ করাটাই চেয়েছেন, এর বাইরে আর কিছুতেই আপনার আগ্রহ নেই। যদি গ্রাহক এটা অনুভব না করেন যে, আপনি তার এবং তার প্রয়োজনের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী এবং আপনি আন্তরিকভাবে তার কল্যাণ বৃদ্ধি করতে চান—তাহলে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন এবং আপনি আপনার অবস্থান হারাচ্ছেন।

যখন আপনি প্রতিটি গ্রাহককে এটা অনুভব করাতে সক্ষম হবেন যে, আপনি শুধুমাত্র নিজের নয়, তার স্বার্থও আন্তরিকভাবে উন্নীত করার চেষ্টা করছেন—তখনই আপনার ব্যবসা বাড়বে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রিমিয়াম দেওয়া বা ওজনে বেশি দেওয়া বা অন্যদের চেয়ে বেশি মূল্য দেওয়া জরুরি নয়; বরং এটি সম্ভব হয় প্রত্যেকটি লেনদেনে, তা যতই ছোট হোক না কেন—জীবনীশক্তি ও আন্তরিকতা ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে।

আপনি যদি আপনার বর্তমান পেশা পরিবর্তন করে অন্য কিছু করতে চান, তাহলে আপনার বর্তমান কাজটিকে ভবিষ্যতের সেই কাঙ্ক্ষিত পেশার জন্য একটি সোপান হিসেবে গড়ে তুলুন। আপনি যতদিন আপনার বর্তমান ব্যবসায় রয়েছেন, সেটিকে প্রাণশক্তি দিয়ে পরিপূর্ণ করুন; উদ্বৃত্ত শক্তি আপনাকে আপনি যা চান তার দিকে নিয়ে যাবে।

ব্যবসায়িক বা সামাজিক যেকোনো ভাবেই আপনি যত পুরুষ, নারী বা শিশুর সামনাসামনি আসেন তাদের প্রতি প্রাণবন্ত আগ্রহ দেখান এবং আন্তরিকভাবে তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল কামনা করুন। তারা শীঘ্রই অনুভব করতে শুরু করবে যে, আপনার উন্নতি তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এবং তখন তারাও আপনার ভালোর জন্য তাদের চিন্তাভাবনা কেন্দ্রিভূত করবে। এর ফলে, আপনার পক্ষে একটি সম্মিলিত শক্তির সঞ্চার হবে, যা আপনার জন্য অগ্রগতির পথ খুলে দেবে।

আপনি যদি একজন কর্মচারী হন এবং পদোন্নতি পেতে চান, তবে আপনি যা কিছু করেন সবকিছুতে প্রাণ ঢেলে দিন; প্রতিটি কাজের মধ্যে যতটা দরকার তার চেয়েও বেশি প্রাণ ও আগ্রহ ঢালুন—প্রত্যেকটা কাজে পূর্নতা দিতে।
কিন্তু কখনোই চাটুকার হবেন না, নিচু মনের অধিকারী হবেন না, দাসসুলভ হবেন না এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বুদ্ধিবৃত্তিক পতিতাবৃত্তি থেকে দূরে থাকুন, যা আমাদের সময়ের বেশিরভাগ পেশা ও ব্যবসায় এক কলঙ্ক।

আমি এই কথায় বুঝাচ্ছি—যেকোনো রকম অনৈতিকতা, ঘুষ, অসততা বা দুর্নীতির পক্ষে নিছক টাকার বিনিময়ে সাফাই গাওয়া ব্যক্তি হওয়া ও এসবের রক্ষক হওয়া। এমন বুদ্ধিবৃত্তিক পতিতারা হয়তো পদোন্নতি পেতে পারে, কিন্তু তাদের আত্মা তারা হারিয়ে ফেলে।

নিজেকে সম্মান করুন; সকলের সাথে পুরোপুরি ন্যায়বান হোন; প্রতিটি কাজ ও চিন্তায় প্রাণশক্তি দিন এবং আপনার শক্তি-সচেতন চিন্তাকে এই সত্যের ওপর স্থির করুন যে, আপনি পদোন্নতির পূর্ণ হকদার। আপনি প্রতিদিন আপনার বর্তমান অবস্থানকে পূর্ণ করে তার চেয়ে বেশি ঢালতে পারলেই উন্নতি আসবে।
আপনি যখন প্রতিদিনের কাজে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শুধু কর্তব্যই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু নিবেদন করবেন, তখনই আপনার জন্য বড় সুযোগের দ্বার খুলে যাবে। যদি আপনার বর্তমান নিয়োগকর্তা আপনাকে পদোন্নতি না দেন, অন্য কেউ দেবে; এটি একটি অমোঘ নিয়ম যে, যে কেউ তার বর্তমান অবস্থানকে ছাড়িয়ে যায়, তার অবশ্যই অগ্রগতি ঘটবে।

এই নিয়ম না থাকলে কখনোই কোনো অগ্রগতি বা বিবর্তন সম্ভব হতো না; কিন্তু মনে রাখুন, এর পর যা আসছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আপনার ব্যবসায়িক সম্পর্কগুলোতে অতিরিক্ত প্রাণশক্তি ঢেলে দিবেন এটা যথেষ্ট নয়। আপনি ভালো ব্যবসায়ী বা কর্মচারী হন, কিন্তু যদি খারাপ স্বামী, অন্যায়কারী পিতা বা অবিশ্বস্ত বন্ধু হন, তবে বেশি দূর এগোতে পারবেন না। এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা জীবনের অগ্রগতির জন্য আপনার সাফল্য ব্যবহার করতে আপনাকে অক্ষম করবে এবং তাই আপনি সৃষ্টিশীল নিয়মের (constructive law) অপারেশনের প্রভাবাধীন হবেন না।

অনেক মানুষ যে কিনা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলে, কিন্তু স্ত্রীর সাথে অসদাচরণ বা জীবনের অন্যান্য সম্পর্কে ঘাটতি থাকার কারণে অগ্রগতিতে বাধাগ্রস্ত হয়। বিবর্তনশীল শক্তির আওতায় আসতে হলে আপনাকে প্রতিটি বর্তমান সম্পর্ককে পূর্ণতা দিতে হবে। উন্নয়নের যে শক্তি প্রকৃতিকে অগ্রসর করে তার প্রভাব পেতে হলে আপনাকে জীবনের বর্তমান প্রতিটি সম্পর্ককে পূর্ণ করার পরও তার চেয়ে বেশি দিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে।

একজন টেলিগ্রাফ অপারেটর তার কাজ ছেড়ে একটি ছোট খামার করতে চেয়েছিলেন। তিনি তার স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করা শুরু করলেন, তার প্রতি প্রেম নিবেদন করলেন–নিজের ইচ্ছার কথা না উল্লেখ করেই। ফলস্বরূপ, তার স্ত্রী আগ্রহী হয়ে উঠলেন এবং সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। শীঘ্রই তারা শহরের প্রান্তে এক টুকরো জমি পেলেন। তিনি টেলিগ্রাফ চালিয়ে গেলেন আর তার স্ত্রী মুরগি পালন ও বাগান দেখাশোনা করলেন। আজ তারা একটি খামারের মালিক–তিনি তার ইচ্ছা পূরণ করেছেন।

আপনি শুধু স্ত্রীর নয়, আপনার চারপাশের সকল মানুষের সহযোগিতা পেতে পারেন যদি আপনি তাদের সাথে সকল সম্পর্কে প্রাণশক্তি ও আগ্রহ বিনিয়োগ করেন। ব্যবসায়িক, পারিবারিক বা সামাজিক–প্রতিটি সম্পর্কে পূর্ণ হতে যতটা দরকার তারচেয়েও বেশি প্রাণশক্তি দিন, বিশ্বাস রাখুন, এটা হচ্ছে শক্তি-সচেতনতা।

ভবিষ্যতে আপনি কী চান তা জানুন, কিন্তু আজকের সর্বোত্তম যা অর্জন করা যায় আজকে তা-ই গ্রহণ করুন; কখনই বর্তমান সময়ে যা সর্বোত্তম পাওয়া যাবে তার চেয়ে কমে সন্তুষ্ট হবেন না। কিন্তু যা এখন পাওয়া যায়না তা কামনা করে শক্তি নষ্ট করবেন না। জীবনের অগ্রগতির জন্য সমস্ত কিছু ব্যবহার করুন নিজের জন্য এবং যাদের সঙ্গে আপনার কোনোভাবেই সম্পর্ক আছে তাদের সকলের জন্য।

কর্মের এই নীতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি যা চান তা পাবেনই; কারণ এই মহাবিশ্ব এমনভাবে তৈরি যে, অবশ্যই সবকিছু একসাথে আপনার ভালোর জন্য কাজ করবে। সম্পদ সৃষ্টির মূলমন্ত্র হলো- আপনার পরিবেশের মানুষ ও বস্তুগুলোর গঠনমূলক ব্যবহার করা।
প্রথমে, আপনি যা চান তার একটি স্পষ্ট মানসিক চিত্র তৈরি করুন। যদি আপনার বর্তমান ব্যবসা বা পেশা আপনার প্রতিভা ও রুচির সাথে সবচেয়ে বেশি মানানসই না হয়, তাহলে সবচেয়ে উপযুক্ত কোনটি তা নির্ধারণ করুন এবং সেই ব্যবসা বা পেশায় প্রবেশ করার ও তাতে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিন।

আপনি কী করতে চান তার স্পষ্ট আইডিয়া করুন এবং সেই ব্যবসা বা পেশায় চূড়ান্ত সাফল্যের একটি মানসিক কন্সেপ্ট তৈরি করুন এবং সেই স্তরে পৌঁছানোর দৃঢ় সংকল্প করুন। এই কন্সেপ্ট বা মানসিক চিত্র গঠনে যথেষ্ট সময় দিন; এটি যত স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট হবে, আপনার কাজ তত সহজ হবে।
যে ব্যক্তি সে কী নির্মাণ করতে চায় তা নিয়ে নিশ্চিত নয়, সে একটি দোদুল্যমান ও নড়বড়ে কাঠামো তৈরি করবে। আপনি কী চান তা জানুন এবং দিন-রাত সেই চিত্রটি আপনার মনের পটভূমিতে রাখুন, যেন এটি আপনার ঘরের দেয়ালের ছবির মতো সর্বদা আপনার চেতনায় বিরাজ করে।

তারপর এগিয়ে চলুন সেই দিকে। মনে রাখুন, যদি এখনই আপনার পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা না থাকে, তবুও আপনি এই পথ চলতে চলতে তা সম্পূর্ণভাবে অর্জন করতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই যা চান তা-ই করতে সক্ষম হবেন। এখনই সম্ভবত আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত কাজটি করতে পারছেন না, কারণ আপনি সঠিক পরিবেশে নেই এবং প্রয়োজনীয় মূলধন আপনার নেই।
কিন্তু এতে আপনার সঠিক পরিবেশের দিকে এগোনো বা মূলধন সংগ্রহ শুরু করার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি হবেনা।

মনে রাখবেন, আপনার বর্তমান পরিবেশে যা কিছু করতে পারেন তা করেই শুধুমাত্র আপনি এগোতে পারবেন। ধরুন, আপনার কাছে শুধুমাত্র একটি স্টল চালানোর মতো মূলধন আছে, কিন্তু আপনার বড় ইচ্ছা একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক হওয়া। তাহলে মনে করবেন না যে, কোনো যাদুমন্ত্রের পদ্ধতি আছে যা দিয়ে আপনি স্টলের পুঁজিতে ডিপার্টমেন্ট স্টোর সফলভাবে চালাতে পারবেন।
তবে, এক্ষেত্রে একটি মানসিক বিজ্ঞান পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্টলকেই এমনভাবে চালাতে পারেন যাতে তা অবধারিতভাবে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে উন্নীত হয়।

ভাবুন যে, আপনার স্টলটি সেই ভবিষ্যত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর যেটি আপনি পেতে যাচ্ছেন তার একটি ডিপার্টমেন্ট। আপনার মনকে সেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের উপর কেন্দ্রীভূত করুন এবং ধীরে ধীরে বাকি অংশগুলো সম্মিলিত করুন। আপনি এটি পাবেন, যদি প্রতিটি কাজ ও চিন্তাকে গঠনমূলকভাবে সম্পাদন করেন।

প্রতিটি কাজ ও চিন্তাকে গঠনমূলক (constructive) করতে হলে, প্রতিটিতেই উন্নতির আইডিয়া থাকতে হবে। নিজের জন্য নিজের অগ্রগতির চিন্তাকে মনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখুন; জানুন যে, আপনি যা চান তার দিকেই এগোচ্ছেন এবং এই বিশ্বাস নিয়েই কাজ করুন ও কথা বলুন। তখন আপনার প্রতিটি কথা ও কর্ম অন্যদের কাছে উন্নতি ও সমৃদ্ধির আইডিয়া প্রকাশ করবে এবং তারা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। সবসময় মনে রাখবেন, সকল মানুষ যা খুঁজছে তা হলো সমৃদ্ধি।

প্রথমে, মহাপ্রাচুর্যের বিষয়ে তথ্য অধ্যয়ন করুন যতক্ষণ না আপনি জানেন যে, আপনার জন্যও সম্পদ রয়েছে এবং এটি কারো কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এড়িয়ে চলুন।

আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে, যদি অফুরন্ত প্রাচুর্য থাকে তবে আপনার জন্যও যথেষ্ট রয়েছে—কারো কিছু কেড়ে নেওয়া ছাড়াই। এবার জেনে রাখুন যে, প্রকৃতির উ

08/06/2025

The brain powers every moment of life. On this World Brain Tumor Day, let’s raise awareness about the importance of early detection. Because brain health matters at every age.

07/06/2025

তুমি এখনও তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছো না, কারণ তুমি অনেক বেশি কেয়ার করো!
কে কী বলবে, কে কি মতামত দিবে, ব্যর্থ হলে কেমন অবস্থা হবে, কতটা লজ্জা পেতে হবে—এসব ভেবে তুমি এগোতেই পারো না।
কারণ, তুমি এখনো সহজ একটা আর্ট রপ্ত করো নাই— 'গুরুত্বহীন কিছুকে কেয়ার না করা'।

সমাজ তোমাকে এমনভাবে প্রোগ্রাম করেছে তুমি সবকিছুর ব্যাপারেই চিন্তিত হচ্ছো।
তুমি কেমন দেখতে, কেমন কথা বলো, মানুষ কী ভাববে—এসব নিয়ে তুমি সবসময় চিন্তিত।
অথচ এখন, ইন্টারনেটের এই স্বর্ণযুগে, যেখানে হাতের এক ক্লিকের নাগালে রয়েছে তোমার স্বপ্নের জীবন, সেখানেও তুমি অন্যদের ভয়েই পা বাড়াতে পারো না।

তুমি কল্পনা করো, এখনকার টিনএজাররা তাদের মা-বাবাকে রিটায়ারে পাঠাচ্ছে। আর, প্রাপ্তবয়স্করা এখনো নিজের স্বপ্ন পূরণে ভয় পায়!
তোমার পূর্বপুরুষরা যদি এই সময় দেখে যেত, তারা হয়তো তোমার মুখের ওপর থুতু দিত। কারণ, তোমার সামনে যা যা দরকার সব আছে, তবুও তুমি থেমে আছো শুধুমাত্র কিছু মানুষের কারণে—যারা ১০ বছর পরই তোমার জীবনে থাকবে না।

তুমি হয়তো ভাবছো—“আমি দুর্বল না। আমি আলাদা। আমি আমার স্বপ্নের পেছনে দৌড়াই কে কি বললো তার পাত্তা না দিয়েই।”
কিন্তু মনে মনে তুমি জানো, তুমি থেমে আছো। তুমি যদি সত্যিই সৎ হও তাহলে স্বীকার করতে পারবে যে, তুমি সর্বশক্তি দিয়ে কারো কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে তোমার স্বপ্নের পেছনে ছুটছো না।

আমি চাই তুমি একটা ব্যাপার গভীরভাবে বুঝো—এই মানুষগুলোর কেউই আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। যারা তোমাকে বিচার করছে, যারা তোমাকে ছোট করে দেখছে—তারা ১০ বছর পর তোমার জীবনের আশেপাশেও থাকবে না।
তুমি যদি ব্যর্থও হও, লজ্জা পাও, কিংবা জীবনে কিছু বড় ধাক্কা খাও—তবুও সেগুলোর কিছুই তোমার পরিবারকে সারাজীবনের জন্য সেটল করার সঙ্গে তুলনীয় না।

তাই আমি তোমাকে একটা টেকনিক শেখাতে চাই। এটা হলো– লেটার টু দ্যা ওল্ড ম্যান টেকনিক।

প্রতি কয়েক মাস অন্তর আমি আমার ৯০ বছর বয়সী নিজেকে একটা চিঠি লিখি—আমার সেই বৃদ্ধ ভার্সনটা যে আর কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।
আমি তাকে শেয়ার করি—এই মুহূর্তে আমি কী করছি এবং তাকে জিজ্ঞেস করি, "তুমি কী মনে করো, আমি যে পথে হাঁটছি সেটা কেমন? আমি এই মুহূর্তে কী কী করছি যেগুলো তোমার জন্য কষ্ট ও আফসোসের কারণ হবে?"

তারপর আমি নিজেকে সেই বৃদ্ধর জায়গায় কল্পনা করি—যে হলো আমি নিজেই।

সে একটা কাঠের চেয়ারে বসে আছে। চারপাশে তার পরিবারের সদস্য, তার বংশধর। সে মামুলি কোনোকিছু নিয়ে মোটেই ভাবে না। তার ব্যর্থতাগুলো আর তাকে কষ্ট দেয় না। সে আর ছোটখাটো লজ্জা, ব্যর্থতা, বা কে কী বললো এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। যারা একসময় তাকে বিচার করেছিল, উপহাস করেছিল, তাকে ব্যর্থ মনে করেছিল—তাদের কেউই আর তার জীবনে নেই।

সে চিন্তা করছে সেই সময়গুলো নিয়ে—যখন সব সম্ভব ছিল, সে যেসব পদক্ষেপ নিতে পারত, কিন্তু সুযোগের মুখোমুখি হয়েও পিছিয়ে গিয়েছিল।

তার জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে, সে শুধু একটা জিনিস নিয়ে কষ্ট পায়—যেসব স্বপ্ন সে পূরণ করতে পারলো না শুধুমাত্র ভয় বা লজ্জার কারণে, চেষ্টা না করার কারণে, অন্যের মতামতের কারণে, তুচ্ছ অজুহাতের কারণে।

আমি তার চোখ দিয়ে দেখি, আর তার দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কাছে চিঠির উত্তর লিখি। আর যখন সে আমাকে চিঠি লেখে তখন সে সেসব উপদেশই দেয়—লিগ্যাসি ও ফ্যামিলির জন্য যেগুলোর গুরুত্ব আছে।

এই টেকনিক চরম কার্যকরী। কারণ, এটা তৎক্ষণাৎ তোমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় এবং তোমাকে বোল্ড একশন নিতে বাধ্য করে।
এখন প্রশ্ন হলো, তুমি কি এই টেকনিক একবার হলেও চেষ্টা করবে?
অবশ্যই নিজে ট্রাই করে না দেখে এটাকে ফালতু টেকনিক বোলো না। কোনো কিছুকে ইউজলেস বলার আগে সেটা নিজে করে দেখো।

আরেকটা কথা মনে রেখো—তোমার কেয়ারিং হলো এক ধরনের মেন্টাল কারেন্সি। তুমি যতবার কোনো কিছুকে কেয়ার করো, ততবার তুমি এটা খরচ করো।
বেশিরভাগ মানুষ এটাকে বেপরোয়া অপচয় করে এমন সব জিনিসে যেগুলোর কোনো গুরুত্ব নাই—সেলিব্রেটি বা ইনফ্লুয়েন্সারদের স্ক্যান্ডাল, এমন কোনো দেশের যুদ্ধ যেখানে তারা কখনো যায়ইনি, কোন প্রেসিডেন্ট কী টুইট করল ইত্যাদি। আর এসবের মধ্যে সবচেয়ে বাজে, সেটা হলো—অপরিচিত মানুষজন তাদের নিয়ে কী ভাবছে!

শ্রেষ্ঠ মানুষরা শুধুমাত্র অল্প কিছু জিনিস নিয়ে ভাবে। কারণ, তারা অনলাইনের সিগমা মেল সেজন্য নয়, তারা নিজের মেন্টাল এনার্জির মূল্য বুঝে।

তুমি তোমার মনোযোগকে টাকা হিসেবে ভাবো। এবার, যা কিছুতে তুমি কেয়ার দাও তা কি বিনিয়োগের উপযুক্ত? তুমি কি বিনিয়োগের রিটার্ন পাচ্ছো? নাকি তুমি তোমার এনার্জি অপচয় করছো?

আমি কোন ব্যাপারগুলো কেয়ার করি?
আমি আমার ফ্যামিলিকে কেয়ার করি।
আমার লক্ষ্য ও আমার লিগ্যাসিকে কেয়ার করি।
আর, আমি আল্লাহকে কেয়ার করি।

আমি আর অন্য কিছুকে কেয়ার করি না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে না।
লেটেস্ট স্পোর্টস গেম, জিটিএ সিক্স-কে না।
বা এন্ড্রু টেট ওর ফ্যানগুলোর সাথে ক্রিপ্টো স্ক্যাম করলো তা নিয়ে না।
কোথায় কোন দেশে যুদ্ধ লাগলো তা নিয়েও না।

আমি এইসব বাইরের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে পারিনা, কারণ এগুলো আমাকে কোনো উপকার করে না।
আর ঠিক এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই তোমাকেও বিষয়গুলো দেখতে হবে।
তোমার মনোযোগই হলো কারেন্সি, তাই সেটা বুঝে-শুনে খরচ করো।

তুমি যখন গুরুত্বহীন বিষয়কে কেয়ার করা বন্ধ করে দাও, তখন তোমার জীবন হালকা হয়ে যাবে—কারণ তুমি আর অপ্রয়োজনীয় বোঝা বয়ে চলছো না, তোমার মন পরিষ্কার ও শার্প হয়ে উঠবে, আর তোমার এনার্জি ফুল থাকবে।
এই এনার্জিই তোমাকে ম্যাগনেটিক করে তোলে—মানুষ টের পায়, তুমি ফোকাসড।

মনে রেখো, কিছু মানুষ নৈতিকতার ভান করবে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে; বুঝাবে যেন তারা যুদ্ধ বা সাম্প্রতিক যেকোনো বিশ্ব সংকট সম্পর্কে কেয়ার করে।
আর তুমি সতর্ক না হলে, তারা তোমাকেও তাদের এনার্জি ক্ষয়ের মধ্যে টেনে নিয়ে যাবে। তারা তাদের এনার্জি নিঃশেষ করে, তোমারও করতে চায়।

তারা হয়তো তোমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে, এমনভাবে বলবে, যেন তুমি কেয়ার না করায় তুমি একটা খারাপ মানুষ।
কিন্তু ব্যাপারটা এত হালকা নয়—এটা হলো তুমি কোথায় তোমার এনার্জি ব্যয় করবে, তা নির্ধারণের বিষয়।

তাই, তুমি কেয়ার না করায় কেউ যদি তোমার ওপর দোষ চাপায় সেটা তারই সমস্যা। তুমি তাদের অনুভূতির জন্য দায়ী না। কেউ যদি তাদের কন্ট্রোলের বাইরে এমন কিছুর পেছনে এনার্জি নষ্ট করতে চায়, সেটা ওদের সিদ্ধান্ত।

তুমি এসব হালকাপনায় লিপ্ত হয়ো না। কারো অনুভূতির দায় তোমার না। তারা যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তাতে যদি টাইম নষ্ট করতে চায়, করুক। তুমি তোমার এনার্জি বাঁচাও।

তোমার টাইম ও এনার্জি অমূল্য, একবার চলে গেলে আর ফেরত আসবে না।
তাই, আর ১ সেকেন্ডও তোমার কোনো উপকারে আসেনা এমন কিছুতে নষ্ট করার আগে সেই বৃদ্ধকে একটা চিঠি লেখো।
কারণ, যে মানুষটির আর অযথা টাইম ও এনার্জি খরচ করার সামর্থ্য নেই, সে-ই তোমাকে মনে করিয়ে দেবে—ওই সব বিষয় আসলে কতটাই না তুচ্ছ ছিল।

যেসব ব্যর্থতা, লজ্জা, ভয় এখন তোমার মনে হচ্ছে বিশাল, সেগুলোও তার কাছে তুচ্ছ।

তুমি জন্মেছো জয় করার জন্য, সৃষ্টির জন্য, নির্মাণের জন্য, সাহসীভাবে বাঁচার জন্য।
যখন তুমি অহেতুক, যেসব তোমার উপকার করেনা সেসব ব্যাপারকে পাত্তা দেয়া বন্ধ করবে, তখন বুঝবে—তোমার স্বপ্নের জীবন আসলে কখনই তোমার সাধ্যের বাইরে ছিলনা।
এটা শুধু তোমার দৃঢ় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল।
এটা শুধু অপেক্ষায় ছিল—কখন তুমি দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া বন্ধ করবে।

তাই, সাহস নিয়ে এগিয়ে চলো, নিঃসংকোচে বাঁচো এবং জগতে তোমার যা প্রাপ্য, তা বুঝে নাও।

Address

Kachari Para, Bhumi Office Road, Mohadevpur/
Dhaka
6530

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Drug House posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Drug House:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram