Bismillah Pharmacy - MINTU

Bismillah Pharmacy - MINTU pharmacy

এখনই সচেতন হওয়া জরুরি স্ক্যাবিস এখন মহামারি আকার ধারন করেছে। সবাইকে তাই সচেতন হবার অনুরোধ করছি।স্ক্যাবিস (Scabies) একটি ...
12/07/2025

এখনই সচেতন হওয়া জরুরি

স্ক্যাবিস এখন মহামারি আকার ধারন করেছে। সবাইকে তাই সচেতন হবার অনুরোধ করছি।

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি তীব্র চর্মরোগ, যা Sarcoptes Scabiei নামক এক ধরনের পোকা বা ক্ষুদ্র পরজীবী মাইট (mite) দ্বারা হয়। এটি খুবই সংক্রামক এবং চুলকানির মাধ্যমে এর প্রধান উপসর্গ প্রকাশ পায়।

স্ক্যাবিসের ভয়াবহতা :

১. চরম চুলকানি: স্ক্যাবিস হলে বিশেষ করে রাতে বেশি চুলকানি হয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনেক বাচ্চারা চুলকাতে চুলকাতে ঘুম ভেঙে যায়, যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করে।

২. চামড়ায় ফুসকুড়ি ও ক্ষত: স্ক্যাবিস হলে ঘর্ষণ এবং চুলকানোর ফলে চামড়ায় ঘা ও ইনফেকশন হতে পারে। কখনো কখনো চামড়ার নিচে পুঁজ জমে যায়।

৩. পরিবারে দ্রুত ছড়ায়: স্ক্যাবিস রোগে পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে তার সংস্পর্শে এলে পুরো পরিবার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ এটি।

৪. দীর্ঘমেয়াদে হলে সেকেন্ডারি ইনফেকশন: স্ক্যাবিসের সঠিক চিকিৎসা না হলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, সেলুলাইটিস, এমনকি শিশু রোগীর কিডনি সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে, তাই সচেতনতা ভীষন ভাবে প্রয়োজন।

৫. মানসিক অস্বস্তি: অতিরিক্ত চুলকানি ও অস্বস্তির কারণে শিশুর মানসিক চাপ ও অস্থিরতা তৈরি হয়।

স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়:

১. চিকিৎসা:

☞ পারমেথ্রিন - ৫% (Permethrin - 5%) ক্রিম: এটি সবচেয়ে কার্যকর। শরীরের গলা থেকে পা পর্যন্ত মেখে রাতভর রেখে সকালে (১০-১২ ঘন্টা শরীরে রাখার পর) ধুয়ে ফেলতে হয়। এই নিয়মে একটু ভুল হলে কোনেভাবেই এউ স্ক্যাবিস রোগ শরীর থেকে যাবেনা। মাসের পর মাস এই রোগের অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। হাজার হাজার টাকা, ১০-১২টা ডাক্তার যাই করেন, কাজ হবেনা। শরীরের এক ইঞ্চি তো দূরের কথা একসূতা পরিমাণ জায়গাও বাদ রাখবেন না, রাতে ওয়াসরুমে গেলে, ওষুধ ধুয়ে গেলে, আবার প্রয়োগ করুন। মনে রাখবেন, ভীষণ জরুরি। না কমলে ৭ দিন পরপর একই নিয়মে ব্যবহার করুন। আর অবশ্যই পরদিন সকালে গায়ে থাকা পোষাক, বিছানার চাদর, বালিশের কাভার সব কিছু গরম পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। নিজের ও শিশুর শরীর গরম পানি ও বডি ওয়াস দিয়ে ভালো ভাবে রগরে গোসল করুন ও করান।

☞ আপনার শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পর শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী (Permethrin - 5% + Crotamiton) Combined Cream বা Monosulfuram - 25% Solutions ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারবেন।

☞ আইভারমেকটিন (Ivermectin) ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আপনার শিশুর স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ দিতে পারেন, বিশেষ করে জটিল ও পুনঃসংক্রমণের ক্ষেত্রে।

☞ অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট: চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে Syrup বড়দের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট।

২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ৩ দিন পর্যন্ত দূরে রাখতে হবে (কারণ রোগ সৃষ্টিকারী পোকা বা মাইট ২–৩ দিন বেঁচে থাকে)।

৩. একসাথে চিকিৎসা:

পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। এমনকি উপসর্গ না থাকলেও। এটা খুবি জরুরি।

৪. নিয়মিত হাত ধোয়া ও শরীর পরিষ্কার রাখাবেন। বাইরে থেকে বাসায় ফিরে সবার আগে ভালো ভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করবেন। এতে রিইনফেকশন হবার সম্ভাবনা কমে যায়।

বিশেষ সতর্কতা:

শিশুদের জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ এবং গর্ভবতীদের নারীদের গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ঔষধ গুলো শিশু ও নারীদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এই স্ক্যাবিসকে সাধারন ভাবে দেখবেন না। এর ভয়াবহতা অনেক। তাই সচেতন হবেন। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তারাও প্রতি মাসে একবার করে পরিবারের সবাই একসাথে পারমিথ্রিন ৫% ব্যবহার করুন এবং পরিধেয় পোষাক, বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
নিজে জানুন অন্যকে জানান।

আশা করি আজকের আলোচনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, আমার জন্য দোয়া রাখবেন, সবাই সুস্থ থাকবেন, সম্ভব হলে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।

দয়া করে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ।

ধন্যবাদ।

©

29/04/2024

গরমে খেজুর খেলে শরীরে যা ঘটে

গরমে শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন ফলজাতীয় খাবার খেতে। এগুলো একদিকে যেমন শরীর হাইড্রেট করে, তেমনই অন্যদিকে পুষ্টি জোগায়। গরমে পেট ভালো রাখাও জরুরি। ডিহাইড্রেশন থেকে পেটের রোগ এড়াতেও ফল কার্যকর।

তবে বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে খেজুর খুবই উপকারী। আর এই ফল সারাবছরই পাওয়া যায়। তবে গরমে খেজুর খেলে শরীরে কী ঘটে, তা কি জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

>> গরমে শরীর ঘন ঘন কাহিল হয়ে যায়। কারণ ডিহাইড্রেশনের ফলে জল বেরিয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করে না। খেজুর খেলে এনার্জি পায় শরীর।

>> প্রচণ্ড হিট থেকে অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তখন সর্দি কাশি নাক টানা অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। হিট অ্যালার্জি থেকে শরীর বাঁচাতে খেজুর ডায়েটে রাখুন।

>> গরমে পেটের সমস্যা ঘন ঘন ভোগায়। কখনো ডিহাইড্রেশনের কারণে ডায়রিয়া ও পেট খারাপ হয়। আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য। তবে এই দুই সমস্যারই সমাধান করে খেজুর।

>> এছাড়া গরমে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও বাড়তে পারে। এই সময় ডিহাইড্রেশনের কারণে রক্তে পানির পরিমাণ কমে যায়। ফলে হার্টকে রক্ত পাম্প করতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই অন্তত একটি হলে খেজুর খেয়ে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রখতে পারেন।

>> অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতায় অনেকেই ভোগেন। গরমকালে তারা নিশ্চিন্তে খেজুর খেতে পারেন। অ্যানিমিয়ার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে এই ড্রাই ফ্রুট।

>> হাড় মজবুত রাখতেও সাহায্য করে খেজুর। এর মধ্যে থাকা বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান হাড়ের ম্যাট্রিক্সকে টুষ্টি জোগায়।

খেজুর খেলে কি শরীর গরম হয়?

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খেজুর দিনে ২-৩টির বেশি খাওয়া উচিত না। কারণ এটি শরীরে প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন করে।

ঠিক একই কারণে শীতকালে শরীর গরম রাখতে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে খেজুরের একাধিক উপকার আছে, যা গরমে শরীর ভালো রাখতে অন্তত ২-৩টি প্রতিদিন খেতে পারেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

02/01/2024

শীতে খেজুর খেলে মিলবে যেসব উপকার

খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। তবে শীতে খেজুর খেলে আপনি বেশি উপকৃত হবেন। অনেকেই ভাবেন খেজুরে ক্যালোরি বেশি এ কারণে খাওয়া উচিত নয়।

তবে মনে রাখবেন কোনো খাবারই কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়, তবে আপনি যদি পরিমিত খান খেজুর তাহলে লাভবান হবে।

খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসেবে ২-৩টি খেজুর খেয়ে নিলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে আবার শরীরেও মিলবে পুষ্টি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক শীতকালে খেজুর খেলে কী কী উপকার পাবেন-

১. শীতের দিনে শরীরের তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে খেজুর। এছাড়াও দূর করে আলস্য। আপনাকে সক্রিয় রাখে। ভরপুর পুষ্টির জোগান দেয়।

২. খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার বা তামা। এই ৪ উপকরণ হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি হাড় সংক্রান্ত ব্যথা, অন্যান্য সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।

৩. শীতে তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে অনেকেরই দৈহিক তাপমাত্রা কমে যায়। এক্ষেত্রে ঠান্ডা কাটিয়ে শরীর উষ্ণ বা গরম রাখতে অর্থাৎ দৈহিক তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে খেজুর।

৫. প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ থাকে খেজুরের মধ্যে। ফলে শীতের দিনে খেজুর খেলে আপনি এনার্জি পাবেন।

এই ড্রাই ফ্রুটস এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে শীতে। আপনার শারীরিক ক্লান্তি, অবসন্ন ভাব দূর করে আপনাকে এনার্জি দেবে, চাঙ্গা রাখবে।

৬. খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। ফলে খেজুর খেলে হিমোগ্লোবিন সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে।

এছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর হজমশক্তি ভাল রাখে, অন্ত্রের সমস্যা দূর করে। জানলে অবাক হবেন, খেজুরের মধ্যে থাকে সলিউয়েবল ও নন-সলিউয়েবল, দু’ধরনের ফাইবার। যা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।

সূত্র: এবিপি লাইভ

Address

Naogaon

Telephone

+8801717112592

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bismillah Pharmacy - MINTU posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram