31/10/2022
ডেঙ্গু রোগ সম্বন্ধে সচেতন হন
জ্বর কোন বিষয়?
প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলে তো জ্বর এমনি কমে যায় !!!
মনে রাখবেন ডেঙ্গু রোগ হলে জ্বর কমে গেলেও সতর্কতা বাড়িয়ে দিতে হয় দ্বিগুণ। কারণ ডেঙ্গু জ্বরে জ্বর কমা একটি খারাপ লক্ষণ !!
বিস্তারিত পড়ুন, জানুন , সবার সাথে #শেয়ার করুন--
শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হবার এক সপ্তাহের মধ্যে মারা যেতে পারে।
নিজের অসচেতনতার দায়ভার ডাক্তারদের উপর চাপানোর আগে একবার ভাবুন , সচেতনতার বিকল্প নেই ।
ইদানিং আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে ।
#ঢাকা_মেডিকেল_কলেজ_হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
এ বছরের #অক্টোবর মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ।
তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তাই #ডেঙ্গু নিয়ে কিছু কথা না লিখলেই নয়।
জ্বর হলে ডাক্তার দেখান, প্রয়োজনীয় রক্তের পরীক্ষা করান।
ডেঙ্গু ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকে অথবা প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করান।
এর #লক্ষণ
ঘুম থেকে ওঠার পর গায়ে জ্বর জ্বর ভাব। মাথায় হালকা ব্যাথা, চোখ নাড়াচাড়া করলে ব্যাথা বা অস্বস্তি লাগে। সাথে আস্তে আস্তে শুরু হয় গা ম্যাজ ম্যাজে ভাব।
আস্তে আস্তে জ্বর বাড়তে থাকে। সাথে তীব্র মাথা ব্যাথা। চোখ ব্যাথা মনে হতে পারে এটা আপনার জীবনের সবচেয়ে বাজে জ্বর। পরের দিন ঘুম ভাঙলে দেখবেন জ্বরের তীব্রতা আরো বেড়েছে। সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা এবং গা পা ব্যাথা। (বিশেষ করে পিঠের মাংশ গুলো অতিরিক্ত ব্যাথা থাকে। কাত ফিরতেও কষ্ট হয়।)
একই সাথে মুখের রুচি চলে যেতে থাকে। বমি বমি ভাব শুরু হয়।
৩নং দিনে জ্বরের প্রকোপ কমে আসে। মাথা ব্যাথার প্রকোপ কমে আসে। কিন্তু গা ব্যাথা বাড়ে। এসময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল গুটি গুটি দাগ দেখা যায়।
৪র্থ দিনে জ্বর আরো কমে আসে। কিন্তু মাথা ব্যাথা এবং গা ব্যাথা আগের মতোই থাকে। শরীর হয়ে যায় প্রচন্ড দুর্বল।
৫ম এবং ৬ষ্ঠ দিনে জ্বর আবার একটু মাথা চাড়া দেয়। তবে প্রথম দুই দিনের মতো তীব্রতা সেখানে থাকে না। মাঝে দুই দিন নেই। শেষের দুই দিন আবার জ্বর।
৭ম দিনের মাথায় জ্বর এবং শরীরের অন্য লক্ষণ গুলো একদম কমে আসে। রয়ে যায় শুধু দুর্বলতা । মাথা দাড় করানোই কঠিন হয়ে যায়।
এই লক্ষণ গুলোকেই বলে Dengue without warning sign .
এক্ষেত্রে রোগী কে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রচুর ানীয় খাবে । জ্বরের জন্য শুধু প্যারাসিটামল খেলেই চলবে। সাথে #সম্পূর্ণ_বিশ্রাম। এর বাইরে আর কোন চিকিৎসা সাধারণত দরকার হয় না।
তবে রোগীকে প্রতিদিন একটা CBC করা উচিৎ Platelet এর সংখ্যা দেখার জন্য।
***কোন রোগি গুলো #হাসপাতালে_ভর্তি হবেন ?
যদি ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সতর্কীকরণ কোন লক্ষণ থাকে!
যেমন :
#পেটে_ব্যথা , ি, #শ্বাস_নিতে_কষ্ট_হওয়া , #পেটে_পানি আসা
, নাক এবং মুখ বা যোনীপথ থেকে অস্বাভাবিক #রক্তপাত
-ডাক্তার যদি #লিভার_বড় পান।
-রক্ত পরীক্ষায় hematocrit বেড়ে গেলে এবং খুব দ্রুত Platelet (রক্তের একটা উপাদান ) কমে আসা।
এই লক্ষণ গুলো থাকলে রোগী কে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
এরপর আসে সবচেয়ে ভয়ানক Dengue. যাকে আমরা Severe Dengue বলে থাকি।
১০০ জনের মধ্যে ৩ জনের এমন Severe dengue হতে পারে।
#যমদূত এদের মাথার কাছে বসে থাকে । ভয়ের ব্যাপার হলো সাধারণত গায়ে যখন জ্বর থাকে না অর্থাৎ জ্বর আসার ৩য় এবং ৪র্থ দিনে রোগীর প্রেশার হঠাৎ কমে যায় এবং শরীরের ভিতরে-বাইরে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়- রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
এই রোগী গুলোকে ICU তে রেখে চিকিৎসা করা হয়।
সিদ্ধান্ত আপনার !!!
মশারি টানিয়ে থাকবেন না কি ICU তে ??
ডেঙ্গু রোগ খুব সহজে নিরাময় যোগ্য ।
সঠিক সময়ে আপনার সচেতন সিদ্ধান্ত ডেঙ্গু রোগের মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট।
পুনশ্চ: দোয়া করি নিচের ছবির রোগীর মত আপনাকে যেন হাসপাতালে এসে মশারি টানাতে না হয়।