★ ইফরান ফিজিও এন্ড হিজামা থেরাপি সেন্টার এর বৈশিষ্ট্য
১। অভিজ্ঞ থেরাপিস্টদের দ্বারা হিজামা এবং ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়।
২। হিজামা ও আকুপাংচার এক্সপার্ট এর তত্বাবধানে সেবা প্রদান।
৩। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থা।
৪। মহিলা রোগীদের জন্য মহিলা হিজামা থেরাপিস্ট ও মহিলা এসিস্ট্যান্ট আছেন।
পরিপূর্ন পর্দার সাথে আলাদা রুমে মহিলাদের হিজামা ও ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা আছে।
৫। আমরা হিজামার জন্য ব্য
বহত জিনিস একবার ব্যবহার করে থাকি।কারন একজনের ব্যবহার করা কাপ আরেক জনের জন্য ব্যবহার করলে রক্তবাহিত রোগ ছড়ানোর আশংকা থাকে।সুতরাং প্রতি রোগীর জন্য নতুন কাপ গ্লোবস ইত্যাদি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
৬। পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন, প্রশস্ত ও মনোরম পরিবেশ।
•• #হিজামা_cupping_therapy এর ইতিহাস-
হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি যাহা প্রাচীন সময় থেকে চীন এবং মিসরে প্রচলিত ছিল।আমাদের নবী সা:বিভিন্ন সময় এই চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সাহাবাদেরকে হিজামার আদেশ করেছেন।বর্তমানে আরব আমিরাত সৌদি মিসর জার্মান ইংল্যান্ড, চীন, জাপান, ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে এটাকে আধুনিক চিকিৎসা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।
হিজামার পদ্ধতি
হিজামা দ্বারা শরীর থেকে নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত বের করে নেয়া হয়।যার দ্বারা শরীর এর মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়।পেশী চামড়ার ত্বক ওশরীরের ভেতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীর সতেজ ওকর্মক্ষম হয়। শরীর এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।শরীর হাল্কা ও সুস্থ বোধ হয় মনে প্রশান্তি আসে। স্বরন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
★★হিজামা কি :-
**হিজামা হচ্ছে এমন প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরীক, মানসিক ও আধ্যাত্নিক সুস্থ্যতা বিদ্যমান রয়েছে।
হিজামা কাপিং থেরাপি সম্পর্কে কতিপয় হাদিসের উদধৃতি দেওয়া যায় যা চিকিৎসার জন্য সুন্নত হিসাবেও পরিগনিত।
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ (সাঃ), আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩
হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত, হুজুর (স) বলেছেন, জিবরাঈল (আঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে,তন্মধ্যে হিজামা ই হলো সর্বোত্তম। (আল-হাকিম : ৭৪৭০)
হযরত আব্দু্ল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্নিত: রসুলু্ল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে, মেরুদণ্ড শক্ত করে, ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। (সুনানে তিরমিযী,২০৫৩)
হযরত আনাস (রা) হতে বর্নিত ; হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন, গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারন, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে। (আল- হাকিম :৭৪৮২)
হিজামা বা ওয়েট কাপিং ঃ
হিজামাই ডিটক্সিফিকেশনের একমাত্র ন্যাচারাল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করা হয় যা শরীরকে সতেজ ও অধিক কর্মক্ষম করে।
★ হিজামার দ্বারা যেসব রোগের উপকার হয়ঃ
১। রক্ত দূষন।
২। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথাব্যাথা।
৩। মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যাথা।
৪। অস্তি সন্ধির ব্যাথা / গেটেবাত।
৫। উচ্চ রক্তচাপ।
৬। কোমর ব্যাথা।
৭। হাটু ব্যাথা।
৮। মাংস পেশীর ব্যাথা।
৯। ঘাড়ে ব্যাথা।
১০। স্পোর্টস ইনজুরী।
১১। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি।
১২। শরীরের অর্গান সমুহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।
১৩।অনিদ্রা
১৪। থাইরয়েড গ্রন্থীর সমস্যা।
১৫। হাপানি।
১৬। হৃদরোগ।(শুরু অবস্থায়)
১৭। মুটিয়ে যাওয়া।
১৮। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমণ।
১৯। চর্মরোগ।
২০। ডায়াবেটিস।
২১। সাইনুসাইটিস।
২২। চুল পড়া।
২৩। ব্রেইন ডিজেজ।
২৪। কোলেষ্টরেল।
২৫। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিস্কাসন।
২৬। মানসিক সমস্যা।
২৭। পারকিনসন্স ডিজিজ।
২৮। কিডনির সমস্যা।(শুরু অবস্থায়)
২৯। লিভার ডিজিজ।
৩০। অনিয়মিত মাসিক ওমেয়েদের অন্যান্য
সমস্যা।
৩১। মাদকাসক্তি।
৩২। প্যরালাইসিস।
৩৩। মাথা ঘোরা।
৩৪। যাদু টোনা
৩৫। পাইলস
এবং আরো অনেক রোগের উপকার হয়।
**যেহেতু মাথায় হিজামা করার বিশেষ কিছু উপকারিতা আছে এইজন্য সেটা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হল।**
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বর্ণনা করেন ।রাসুলূল্লাহ সা: যখন ইহরাম অবস্থায় তখন একগুঁয়ে মাথাব্যথার জন্য হিজামা ব্যবহার করেন। (বুখারী ৫৭০১)
সালমা রা: বলেন.যখন কেউ রাসুলুল্লাহ সা: এর নিকট এসে মাথা ব্যথার কথা বলত, তিনি তাদেরকে হিজামা লাগানোর কথা বলতেন ।
(আবু দাউদ ৩৮৫৮)
কালো যাদু বা কুফরী বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য
ইবনুল কাইয়ুম রহ:মন্তব্য করেন.রাসুলুল্লাহ সা:যখন যাদু দ্বারা পীড়ীত হন তখন তিনি মাথায় শিঙ্গা লাগান।এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ যদি সঠিক ভাবে করা হয়।
(যাদুল মায়াদ ৪/১২৫-১২৬)
**মাথায় হিজামা লাগানোর দ্বারা বিশেষভাবে কিছু রোগের উপকার হয় যেমন ঃ
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘ মেয়াদী মাথাব্যথা এবং সাধারন মাথাব্যথা।
২। উচ্চ রক্তচাপ।
৩। রক্তদূষন।
৪। ঘুমের ব্যঘাত।
৫। স্মৃতি ভ্রষ্টতা।
৬। ঘাড়ে ব্যথা।
৭। হরমোনাল সমস্যা ।
৮। সাইনুসাইটিস।
৯। মানসিক সমস্যা।
১০। চুল পড়া।
১১। পারকিনসন্স ডিজিজ।
১২। ব্রেইন ডিজিজ।
১৩। মাদকাসক্তি।
১৪। প্যরালাইসিস।
১৫। যাদু টোনার সমস্যা ইত্যাদি।
#ড্রাই_কাপিং বা ফায়ার কাপিং ঃ এটা এক ধরনের ড্রাই কাপিং ম্যাসাজ। যারা রক্ত বের করতে চান না তাদের জন্য এই থেরাপি।
এই থেরাপির দ্বারা শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি ও মাংস পেশী সতেজ হয়, ব্যাথা- বেদনা দূর হয়। যা আপনাকে দিবে এক আনন্দদায়ক অনুভূতি।
#ফেসিয়াল_কাপিং: এটা এক ধরনের ফেসিয়াল ম্যাসাজ, যা ভ্যাকিউয়াম কাপ দ্বারা করা হয়, ফলে চেহারার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায় ও ত্বক মসৃন হয়।
হিজামার পুর্বে করনীয় বিষয়সমূহ
১। হিজামার পুর্বে দুই ঘন্টা পর্যন্ত খাবার থেকে বিরত থাকবেন।
২। গোসল করে নিবেন।
৩। পুরুষরা মাথা মুন্ডিয়ে আসলে ভাল।যেহেতু মাথায় হিজামা করলে বিশেষ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়।
হিজামার পরে করনীয় বিষয়সমূহ
১। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত গোসল করা যাবে না এবং হিজামার জায়গায় পানি লাগানো যাবেনা।
২। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কোন ব্যয়াম এবং স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।
৩। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লম্বা সফর করা যাবেনা।
৪। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কোন গরম সেক ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
**হিজামার খরচ**
প্রতি কাপ/পয়েন্ট = ১০০ টাকা
ফেসিয়াল কাপিং = ৬০০ টাকা
ড্রাই কাপিং = ৮০০ টাকা
ফিজিওথেরাপি = ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা
কম্বাইন্ড চিকিৎসার ফুল প্যাকেজ ১৫০০ টাকা
আমরা সাধারণত কমভাইন্ড চিকিৎসা পদ্ধতি
ওয়েস্টার্ন, চাইনিজ এবং আরাবিক মেডিকেশন পেইন ম্যানেজম্যান্টের জন্য অনুসরণ করে । থাকি।
মোবাইল: 01749-878541/ 01647-679125