04/03/2021
আবহাওয়া পরিবর্তনে অনেকেরই জ্বর আসে। আবার হঠাৎ করে যে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়, অন্য রোগের লক্ষণ। শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াসহ জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে শরীরের নিজ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণেই জ্বর আসে। জ্বর আসলে সবার আগে শরীরের তাপমাত্রা চেক করতে হবে এবং যদি তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে, নিয়মিত ঔষুধ খেতে হবে। জ্বর এলে অনেকের গলা ব্যথা, কাশি, খাবারে অরুচি, সেই সাথে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়। চলুন জেনে নিই জ্বর হলে করণীয় কিছু বিষয় সম্পর্কে:
১. জ্বরের প্রথম থেকেই প্রচুর তরল খাবার খাওয়া জরুরি। পানি তো চলবেই, সাথে গরম স্যুপ, আদা-চা, জুস ইত্যাদিও চলবে। গরম পানীয়তে কাশিটা নিয়ন্ত্রণে আসবে (যদি থাকে)। আদা-চা ও গরম পানীয় গলা ব্যথা ও মাথা ব্যথা দূর করতে সহায়ক।
২. জ্বর হলে রোগীর পুরো শরীর স্পঞ্জিং (ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দেওয়া) করিয়ে দিতে হবে। টানা প্রায় ১০-১৫ মিনিট অবিরাম স্পঞ্জিং করলে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। তবে কারো অতিরিক্ত ঠান্ডা যেমন কাশি ও বুকের মধ্যে ঘড়ঘড়ে ভাব দেখা দিলে তাদের স্পঞ্জিং করার সময় বুকে যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি মোটেও খাওয়া যাবে না, গরম পানি মিশিয়ে খেতে হবে। স্পঞ্জিং করার সময় হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখতে পারেন। আবার খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাতাস রোগীর শরীরে সরাসরি না লাগে।
৩. জ্বর হলে সাধারণত প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। তবে প্যারাসিটামল কত ডোজে খেতে হবে বা অতিরিক্ত কোনো ওষুধ খেতে হবে কিনা সেগুলো জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই জ্বরের সময় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে ভুলবেন না।