Dr.Jesika Rizvi Tamanna

12/07/2025

🌸🌸 মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা: সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন!

👩‍⚕️ মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড সমস্যা কেন বেশি দেখা যায়?

*হরমোনাল পরিবর্তন (যেমন: গর্ভাবস্থা, প্রসব পরবর্তী সময়, মেনোপজ) ।
*অটোইমিউন ডিজঅর্ডার যেমন হ্যাশিমোটো থাইরোইডাইটিস।
*পারিবারিক ইতিহাস ।
*অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

থাইরয়েড সমস্যা প্রধানত ২ রকমের হয়ে থাকে। হাইপোথাইরয়ডিজম ও হাইপারথাইরয়ডিজম। আজকে আমি হাইপোথাইরয়ডিজম নিয়ে কিছুটা ধারনা দিব।

হাইপোথাইরয়ডিজম হল এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের গলার সামনে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনীয় হরমোন (T3, T4) ঠিকমতো তৈরি করতে পারে না। এই হরমোন শরীরের শক্তি, ওজন, তাপমাত্রা, মাসিক চক্র ও প্রজনন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে।

⚠️ লক্ষণ (Sign & Symptoms):
✅ অতিরিক্ত ক্লান্তি
✅ ওজন বৃদ্ধি
✅ ঠান্ডা সহ্য না হওয়া
✅ চুল পড়া
✅ ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া
✅ মানসিক অবসাদ বা বিষণ্নতা
✅ মনোযোগে ঘাটতি
✅ কোষ্ঠকাঠিন্য
✅ পিরিয়ড অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যাওয়া
✅ গর্ভধারণে সমস্যা বা গর্ভপাত

🧪 রোগ নির্ণয় (Diagnosis):
থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি নির্ণয় করা হয়।

🤰 গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়ডিজম থাকলে কী হতে পারে?

🌸 মায়ের শরীরে প্রভাব:

অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
গর্ভপাত (Miscarriage)
প্রি-এক্ল্যামসিয়া (রক্তচাপ ও কিডনি সমস্যা)
গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতা (Anaemia)
গর্ভ ফুল আলাদা হয়ে যাওয়া (Placental abruption)
প্রসবকালীন জটিলতা
সময়ের আগে সন্তান প্রসব (Preterm delivery)

👶 ভ্রূণের উপর প্রভাব:

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হওয়া
জন্মগত বিকাশজনিত সমস্যা
শিশুর বুদ্ধি ও মানসিক বিকাশে দেরী (neurodevelopmental delay)
নবজাতকের থাইরয়েড সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা
শিশুর স্কুল বয়সে শেখার সমস্যা হতে পারে (IQ কম হওয়া)।

💊 চিকিৎসা (Treatment):
প্রতিদিন খালি পেটে সকালে থাইরক্সিন (Levothyroxine) ওষুধ সেবন করবেন।
খাবারের অন্তত ৩০–৬০ মিনিট আগে ওষুধ খেতে হবে ।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে ডোজ ঠিক রাখতে হবে ।
গর্ভবতী হলে আরও ঘন ঘন চেকআপ প্রয়োজন ।

🥗 খাদ্যাভ্যাস (Food Habit):
✅ খেতে পারেন:

আয়োডিন যুক্ত লবণ,
ডিম, মাছ, দুধ, বাদাম,
ফলমূল ও শাকসবজি (সেদ্ধ করে),
পর্যাপ্ত পানি।

❌ এড়িয়ে চলুন:
অতিরিক্ত কাঁচা বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি (Goitrogenic খাবার)।
বেশি পরিমাণে সোয়াবিন ও সয়া জাতীয় খাবার ।
বেশি মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার।
খাবারের সঙ্গে ক্যালসিয়াম বা আয়রনের ওষুধ (থাইরক্সিনের শোষণ কমে যেতে পারে)।

🩺 নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপ ও পরামর্শ মেনে চলুন।
📆 ওষুধ কখনোই ইচ্ছামতো বন্ধ করবেন না।

ডাঃ জেসিকা রিজভী তামান্না
এফ সি পি এস (গাইনী ও অবস), এফ সি পি এস (ফিটোমেটারনাল মেডিসিন)
স্ত্রী ও প্রসুতী রোগ এবং হাই রিস্ক প্রেগ্নেন্সি বিশেষজ্ঞ

09/07/2025

05/07/2025

# বারবার গর্ভপাতের কারণ ও প্রতিকার

পর্ব ২

💊 এর কি কোন চিকিৎসা আছে?

পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিচের চিকিৎসাগুলি প্রয়োগ করা হয়:
➤ জেনেটিক সমস্যা থাকলে:
জেনেটিক কাউন্সেলিং।
কখনও কখনও IVF এর সময় PGT (Preimplantation Genetic Testing) করে সুস্থ ভ্রূণ নির্বাচন করা হয়।

➤ হরমোনাল চিকিৎসা:
প্রজেস্টেরন থেরাপি (ভ্রূণের প্রাথমিক স্থায়িত্বের জন্য)।
থাইরয়েড সমস্যা থাকলে চিকিৎসা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।

➤ জরায়ুর গঠনগত সমস্যা:
অস্ত্রোপচার (Surgical correction) করে জরায়ুর ত্রুটি ঠিক করা হয়।
যেমন: Septum বা Fibroid কাটানো।

➤ রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা:
যদি APLA বা থ্রম্বোফিলিয়া ধরা পড়ে, তবে গর্ভাবস্থার শুরু থেকে রক্ত পাতলা করার ওষুধ অ্যাসপিরিন ও হেপারিন (LMWH) ব্যবহার করা হয়।

➤ সংক্রমণ:
যথাযথ সংক্রমণের চিকিৎসা।
গর্ভধারণের পূর্বে কিছু সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিনেশন (যেমন: রুবেলা ভ্যাকসিন)।

➤ জীবনযাপন ও মানসিক প্রস্তুতি:
ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন বন্ধ।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক চাপ কমানো।
পরিমিত ব্যায়াম।
সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য।

➤ মনোবল বৃদ্ধি:
কাউন্সেলিং ও সাপোর্ট গ্রুপের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
মানসিক শান্তি বজায় রাখার জন্য মেডিটেশন বা রিলাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

🧘 জীবনধারা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার,
সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম,
ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ,
নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ: প্রথম তিন মাসে বেশি সতর্ক থাকতে হয়, রক্তপাত বা পেটব্যথা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
গর্ভাবস্থার সময় নিয়মিত চেকআপ।
মানসিক চাপ কমানো ঃ RPL-এর মানসিক প্রভাব গভীর হতে পারে। পরিবার, বন্ধু, এবং পেশাদার কাউন্সেলরের সহায়তা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই মানসিক সমর্থন ও পরামর্শ রোগীকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করে ।

📌 উপসংহার
পুনঃপুন গর্ভপাত (Recurrent Pregnancy Loss বা RPL) একটি জটিল সমস্যা, তবে সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক নারী সফলভাবে সুস্থ গর্ভধারণ করতে পারেন।

ডাঃ জেসিকা রিজভী তামান্না
এফ সি পি এস ( গাইনী ও অবস)
এফ সি পি এস ( ফিটো মেটারনাল মেডিসিন)
স্ত্রী ও প্রসুতী রোগ এবং হাই রিস্ক প্রেগ্নেন্সি বিশেষজ্ঞ
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ,কল্যাণপুর,ঢাকা.

02/07/2025

বারবার গর্ভপাতের কারণ ও প্রতিকার

পর্ব ১:

# বারবার গর্ভপাত বলতে আসলে কি বুঝায় ?

​পুনঃপুন গর্ভপাত (Recurrent Pregnancy Loss বা RPL) এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন নারী পরপর দুই বা তার বেশি গর্ভপাতের সম্মুখীন হন, সাধারণত ২০ সপ্তাহের গর্ভকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই। এটি প্রায় ১-২% দম্পতির মধ্যে দেখা যায় এবং এটি মানসিকভাবে অত্যন্ত কষ্টদায়ক হতে পারে।

# বারবার গর্ভপাতের এর সম্ভাব্য কারণসমূহ কি কি ?
ক) জেনেটিক বা ক্রোমোজোমাল সমস্যা
প্রায় ৫০-৬০% গর্ভপাতের পেছনে থাকে ভ্রূণের জেনেটিক ত্রুটি।
বাবা-মায়ের একজনের ব্যালান্সড ট্রান্সলোকেশন (Balanced Translocation) থাকলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এর ফলে ভ্রূণ ঠিকমতো বৃদ্ধি পায় না এবং প্রাথমিক পর্যায়ে গর্ভপাত হয়।

খ) হরমোনজনিত সমস্যা
প্রজেস্টেরন হরমোন ভ্রূণকে জরায়ুতে স্থায়ী করতে সাহায্য করে। এর ঘাটতি থাকলে গর্ভপাত হয়।
থাইরয়েডের সমস্যা (Hypothyroidism বা Hyperthyroidism) গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিস (যদি নিয়ন্ত্রিত না হয়) গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।

গ) জরায়ুর গঠনগত ত্রুটি
জরায়ু বিভক্ত (septate uterus) বা দ্বিখণ্ডিত জরায়ু (bicornuate uterus) থাকলে ভ্রূণের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
জরায়ুর মধ্যে বড় ফাইব্রয়েড, পলিপ বা আঠালো টিস্যু (Asherman’s syndrome) থাকলে স্থান সংকুলান হয় না।

ঘ) রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা
Antiphospholipid Syndrome (APS): শরীরে অস্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভ্রূণের রক্তসরবরাহে বাধা দেয়।
থ্রমবোফিলিয়া (Thrombophilia): রক্ত বেশি জমাট বাধলে ভ্রূণের অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।

ঙ) ইমিউনোলজিক্যাল কারণ
শরীর ভ্রূণকে "পরিচিত" মনে না করে "বিদেশি" বস্তু হিসেবে আক্রমণ করে (Immunological Rejection)।
কিছু অটোইমিউন ডিজিজ যেমন Systemic Lupus Erythematosus (SLE) গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

চ) সংক্রমণ
প্রথম তিন মাসের গর্ভাবস্থায় কিছু সংক্রমণ (যেমন: টক্সোপ্লাজমোসিস, লিস্টেরিওসিস, রুবেলা, সাইটোমেগালোভাইরাস) গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।

ছ) পরিবেশগত এবং জীবনযাপন সংক্রান্ত কারণ
ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ।
ভারী ধাতু, কীটনাশক বা বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শ।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি।

জ) মাতৃ বয়স
৩৫ বছরের পর মাতৃ বয়স বাড়লে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষত ৪০ বছরের পরে ক্রোমোজোমাল ত্রুটির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

ঝ)অজানা কারণ: প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে RPL-এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নির্ধারণ করা যায় না .

🧪 কি কি পরীক্ষা করা হয়?
বারবার গর্ভপাতের -এর কারণ নির্ধারণে নিচের পরীক্ষাগুলি করা হয়:
জেনেটিক পরীক্ষা: দম্পতির ক্রোমোজোম বিশ্লেষণ (ক্যারিওটাইপিং) করা হয়। ​

জরায়ুর মূল্যায়ন: হিস্টেরোস্কোপি বা সনোগ্রাফির মাধ্যমে জরায়ুর গঠন পরীক্ষা।​

হরমোন পরীক্ষা: থাইরয়েড, প্রোজেস্টেরন, প্রোল্যাক্টিন ইত্যাদি হরমোনের মাত্রা নির্ধারণ।​

ইমিউনোলজিক্যাল স্ক্রিনিং: Antiphospholipid Antibody (APLA) এবং থ্রম্বোফিলিয়া পরীক্ষা।​

স্পার্ম ডিএনএ ফ্র্যাগমেন্টেশন টেস্ট: পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মান নির্ধারণে।

চলবে......

ডাঃ জেসিকা রিজভী তামান্না
এফ সি পি এস ( গাইনী ও অবস )
এফ সি পি এস ( ফিটোমেটারনাল মেডিসিন)
স্ত্রী ও প্রসুতী রোগ এবং হাই রিস্ক প্রেগ্নেন্সি বিশেষজ্ঞ
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কল্যানপুর ,ঢাকা।

02/05/2025

প্রি এক্ল্যাম্পসিয়া কী?

প্রি এক্ল্যাম্পসিয়া একটি গর্ভকালীন রোগ যা সাধারণত গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পর দেখা দেয়। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও প্রস্রাবে প্রোটিন থাকার মাধ্যমে চিহ্নিত হয়। এটি মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

# লক্ষণসমূহঃ

মাথাব্যথা

চোখের সামনে ঝাপসা দেখা

মুখ, হাত বা পায়ে ফোলা

হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া

পেটের উপরের অংশে ব্যথা

বমিভাব বা বমি

প্রস্রাবে কম পরিমাণ বা ফেনাযুক্ত প্রস্রাব

# ঝুঁকির কারণসমূহঃ

প্রথম গর্ভধারণ

আগে প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হওয়া

যমজ শিশু

ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস

৩৫ বছরের বেশি বয়স

# জটিলতা

গর্ভকালীন খিঁচুনি (ইক্ল্যাম্পসিয়া)

অকাল প্রসব

শিশুর বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাওয়া

কিডনি বা লিভারের ক্ষতি

মারাত্মক ক্ষেত্রে মায়ের বা শিশুর মৃত্যুও হতে পারে

# করণীয়ঃ

নিয়মিত প্রেগন্যান্সি চেক-আপ

রক্তচাপ পরিমাপ

প্রস্রাবের পরীক্ষা

বিশ্রাম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ

# কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
উপরের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন। মাতৃত্ব হোক নিরাপদ ও আনন্দময়।

ডা.জেসিকা রিজভী তামান্না
এফ সি পি এস ( গাইনী ও অবস )
এফ সি পি এস ( ফিটোমেটারনাল মেডিসিন)
স্ত্রী ও প্রসূতী রোগ এবং হাইরিস্ক প্রেগনেন্সী বিশেষজ্ঞ

12/02/2025

Thanks to my newest followers! Excited to have you onboard! Jasim Uddin, Rafiq Islam, Miraj Sharif, Shilpi Shilu, Md. Abdullah Al Mamun, Riyad Hasan, Md Mursalin Hosen, Firoz Ahmed, Shyamal Das, Md. Ali Akber, Md Imtiaz Zobayar, M Osman Goni, Sekh Suraiya, Sultan Abu Sahadat MD Sayed, Rakibul Hasan, Ashrafun Nahar, Md. Masum Rana, Opurno Jibon, Mustafa Kamal, Abdul Halim, Smb AL Amin Hossain, MD You, Nirob Sohag BD, Ehsanul Karim Rezvi, Mithun Ray, Jillur Rahman, Monsur Khan

11/02/2025

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস:
পর্ব: ২

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কাদের:

১.গর্ভাবস্থার আগে অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়া .
২.ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে .
৩. ২৫ বছরের বেশি বয়সী হচ্ছে .
৪. পূর্বে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকা ।
৫.পূর্বে একটি বড় শিশুর জন্ম দেওয়া (4.5 কেজি বা 10 পাউন্ডের বেশি) .
৬.দক্ষিণ এশীয়, কালো, আফ্রিকান ক্যারিবিয়ান বা মধ্যপ্রাচ্যের পটভূমিতে থাকা .
৭. পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম (পিসিওএস) .
৮.প্রিডায়াবেটিস থাকা (স্বাভাবিক রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি) .

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কিভাবে নির্ণয় করা হয়:

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নির্ণয় করার জন্য সাধারণত আপনার শরীর কতটা গ্লুকোজ ব্যবহার করে তা পরীক্ষা করার জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করা হয়।

ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT): যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি রয়েছে তাদের প্রথম চেক আপ এর সময় এই পরীক্ষা করা হয় । এছাড়া সকল গর্ভবতী মায়ের জন্য সাধারণত গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে এই পরীক্ষা করা হয়। এটি ৮থেকে ১০ ঘন্টা খালি পেটে থাকার পরে এবং একটি গ্লুকোজ দ্রবণ পান করার পরে রক্ত ​​পরীক্ষা করা হয় । দুই ঘন্টা বিশ্রামের পরে, আপনার শরীর কীভাবে গ্লুকোজ পরিচালনা করে তা দেখার জন্য আরেকটি রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

আপনার খালি পেটে প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা 5.6mmol/L বা তার বেশি হলে বা আপনার 2-ঘন্টার প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা 7.8mmol/L বা তার বেশি হলে সাধারণত আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ধরা পড়বে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ব্যাপার টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে পুরো পোস্ট টি কে ৪ ভাগে ভাগ করেছি। আজ আপনারা পড়লেন দ্বিতীয় পর্ব। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন অথবা এই পেজ এ লাইক দিয়ে রাখুন।

ডাঃ জেসিকা রিজভী তামান্না
গাইনী -প্রসূতী রোগ ও
হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি বিশেষজ্ঞ।

10/02/2025

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কি :
পর্ব ১

খুব সহজে বুঝিয়ে বললে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মানে হল গর্ভ পূর্ববর্তী সময়ে ডায়াবেটিস ছিল না এমন কারো যদি গর্ভকালীন সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে তার ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
প্রতি ১০ জন গর্ভবতীর মধ্যে ১ জনের এই রোগ হয়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং আপনার বাচ্চা

যদি আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তবে আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করা জরুরী। না হলে তা আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:
১. গর্ভের বাচ্চার ওজন বেড়ে যায়।
২. গর্ভের পানি বেড়ে যায়।
৩. বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।
৪.সময়ের আগে ডেলিভারি ব‍্যথা উঠতে পারে।
৫ মায়ের উচ্চ রক্তচাপ।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে গর্ভে বাচ্চার মৃত্যু হতে পারে।

কেন হয় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা থেকে কিছু হরমোন বের হয় যা ইনসুলিনের কাজে বাধা দেয় আর তাতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে ইনসুলিন তৈরি হয় তা যথেষ্ট না। আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যেই ইনসুলিনের দরকার হয় তা গর্ভাবস্থায় পাওয়া যায় আর তখন ই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় আর দেখা যায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ব্যাপার টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে পুরো পোস্ট টি কে ৪ ভাগে ভাগ করেছি। আজ আপনারা পড়লেন প্রথম পর্ব। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন অথবা এই পেজ এ লাইক দিয়ে রাখুন।

ডাঃ জেসিকা রিজভী তামান্না
গাইনী -প্রসূতী রোগ ও
হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি বিশেষজ্ঞ।

28/01/2025

বন্ধ্যাত্ব, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ এবং হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জেসিকা রিজভী তামান্না নিয়মিত চেম্বার করছে।

সিরিয়ালের জন্য ফোন করুন:
01943-424101
01735-373748

রোগী দেখার সময়:
শুক্রবার ও বুধবার
রাত ৮.০০ টা - রাত ১১ টা পর্যন্ত

ঠিকানা:
নিউ পপুলার জেনারেল হাসপাতাল
পাগলা বাজার, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ