Priyo Matrimony

Priyo Matrimony Priyo Matrimony is the upcoming marriage media of Bangladesh.

নারী-পুরুষের বিয়ে আল্লাহ তাআলার এক মহা নেয়ামত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। ...
26/10/2023

নারী-পুরুষের বিয়ে আল্লাহ তাআলার এক মহা নেয়ামত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। পরিপূর্ণ ঈমানের অন্যতম আলামত। চারিত্রিক আত্মরক্ষা ও উন্নতির অন্যতম উপায়। আদর্শ পরিবার গঠন ও যুবক-যুবতির চরিত্র গঠনের অনুপম হাতিয়ারও এ বিয়ে।

বিয়ে সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য
>> ‘আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম : আয়াত ২১)

>> তারা (স্ত্রীগণ) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা (স্বামীগণ) তাদের পোশাকস্বরূপ`। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৭)

>> তোমাদের মধ্যে যারা বিয়েহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছলতা দান করবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিয়ে করতে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। (সুরা নুর : আয়াত ৩২-৩৩)

তাইতো যথাযথ কারণ ছাড়া ইসলামে বিয়েবিহীন থাকার কোনো সুযোগ নেই। নারী-পুরুষ যতক্ষণ পর্যন্ত বিবাহ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মুসলমানও হতে পারে। হাদিসে এসেছে-
‘যখন কোনো বান্দা বিয়ে করলো তখন সে তার ঈমানের অর্ধাংশ পূর্ণ করল। (মিশকাত)

তাছাড়া বিয়ে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম সুন্নাত। হাদিসে পাকে বিশ্বনবি বলেন-
‘বিয়ে হলো আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত তরিকা ছেড়ে দেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (বুখারি)

সবচেয়ে বেশি বরকতের বিয়ে
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়েতে অযথা অতিরিক্ত খরচে নিরুৎসাহিত করেছেন। অতিরিক্তি খরচের বিয়ে বরকতহীন। বিয়েতে কীভাবে বরকত ও সমৃদ্ধি আসবে, সে ব্যাপারে হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট বক্তব্য এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ওই বিয়ে সবচেয়ে বেশি বরকত হয়, যে বিয়েতে ব্যয় বা খরচ কম হয়।’ (বায়হাকি)

বর্তমান সময়ের বিয়েগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, বেহুদা বা অনর্থক খরচাদিতে পরিপূর্ণ। যা দিয়ে সমাজের অনেক কল্যাণকর কাজ করা যায়।

বিয়ের অতিরিক্ত খরচ ও চাহিদার কারণে অনেক স্থানে পারিবারিক অশান্তি ও অকল্যাণ বয়ে আনে। যা ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়।

সুতরাং প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা অনুযায়ী বিয়েতে যতটুকু খরচ না করলেই নয়, ঠিক সে পরিমাণ ব্যয় করার মাধ্যমে বিয়েতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ ও বরকত অর্জন করা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিয়ের খরচ বা ব্যয়ের ক্ষেত্রে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। অযথা খরচ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Priyo Matrimony বাংলাদেশ এর অন্যতম সেরা ও বিশ্বস্ত ম্যারেজ মিডিয়া।

আমাদের এই ম্যাট্রিমণিয়াল সাইটে আপনি নিশ্চিন্তে বিয়ের জন্য প্রোফাইল তৈরী করতে পারেন।

আমাদের প্যাকেজ এর লিংক: https://priyomatrimony.com/packages

সিভি/বায়োডাটা পাঠান এই ই-মেইলে:

info@priyomatrimony.com

পছন্দের জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেতে বা বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করুন অথবা +8801728940466 নম্বরে কল/হোয়াটসঅ্যাপ করুন।

ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: www.priyomatrimony.com

বিয়ের পর জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা তৈর হতে পারে। নতুন বাড়ি, নতুন মানুষ। আগে যেভাবে একটি মানুষকে দেখেছেন, বিয়ের পর নানা কা...
25/10/2023

বিয়ের পর জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা তৈর হতে পারে। নতুন বাড়ি, নতুন মানুষ। আগে যেভাবে একটি মানুষকে দেখেছেন, বিয়ের পর নানা কারণেই তার মধ্যে পরিবর্তন আসতে পারে। দেখা গেলো আপনার ছোট খাটো কোনো ভুলেও তৈরি হতে পারে বড় ধরনের জটিলতা। ফলে মনে হতেই পারে, স্বামী আপনাকে দু’চোখে দেখতে পারে না। এমতাবস্থায় অনেকেই ভেঙে পড়েন। অবসাদে চলে যান। তবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। এমন কিছু পদ্ধতি আছে যা অবলম্বন করলে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই স্বামীর কাছে নিজেকে প্রিয় করবেন যেভাবে-

মনোযোগ গিয়ে শুনুন
প্রথমেই মনে রাখতে হবে আপনারা বিয়ে করেছেন। এখন আর একে অপরকে ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। আপনার স্বামীর অভিযোগ থাকতেই পারে। আপনি হয়তো তা পাত্তা দেননি। সেই কারণে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। অভিযোগগুলো আগে শুনুন, পরে সমাধানের চেষ্টা করুন। অন্যথায় জটিলতা দেখা দিতে পারে।

কথা বলুন
আপনি এমনি এমনিই সব কিছু বুঝে নিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে কথা বলতে হবে। আপনি যদি ঠিকমতো প্রশ্ন করতে পারেন, তবেই বড়সড় জটিলতা থেকে রক্ষা পাবেন। তাই চেষ্টা করুন কথা বলতে। আপনি তাকে জিজ্ঞাস করুন কি সমস্যা, কেন সমস্যা ইত্যাদি বিষয়গুলি। তবেই তো সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনার কাছে।

নিজের সম্পর্কে ভাবুন
আপনার ভুল থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই সবার আগে নিজের সঙ্গে বসে পড়ুন। বোঝার চেষ্টা করুন কি ভুল, কেন ভুল ইত্যাদি। এভাবেই সমস্যা খুঁজে ফেলতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বাড়বে, কমবে না।

অন্য কিছু নয় তো?
স্বামীর এই ধরনের আচরণ অনেক সময় মনের মধ্যে জটিলতা তৈরি করে দেয়। এবার প্রশ্ন হল, অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর এই ব্যবহারের পিছনে অন্য বিষয় থাকে। আপনাকে সেই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলোও সমাধান করতে হবে।

​সময় দিন
এখন সকলেই চাকরি করেন। এই ফাঁকে সময় পাওয়া খুবই কঠিন। তবে ব্যস্ততার মধ্যেও সময় খুঁজে নিতে হবে। তাই চেষ্টা করুন যতটা দ্রুত সম্ভব নিজেদের জন্য সময় বের করুন। কোথাও ঘুরতে যান। দেখবেন ভালো আছেন।

বিয়ে একজন সুস্থ মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন। মানুষের স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা, মানসিক ভারসাম্যতা ও চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার অ...
25/10/2023

বিয়ে একজন সুস্থ মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন। মানুষের স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা, মানসিক ভারসাম্যতা ও চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার অন্যতম উপায়ও বিয়ে। নারী-পুরুষের ভারসাম্যপূর্ণ সুখী জীবন ব্যবস্থা বিয়ের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করে। আর এর মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা মানববংশের বিস্তৃত ঘটান।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে যেসব নারীকে বিয়ে করা হারাম তা সুরা নিসার ২০ নং আয়াতে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে।

আবার অনেক নারী-পুরুষই পরস্পরকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু সাময়িকভাবে তারা বিয়ের জন্য বৈধ নয়। অনেকেই না জানার ফলে এ নিষিদ্ধ সময়টিতে বিয়ে করে ফেলে। সাময়িকভাবে যেসব ক্ষেত্রে বিয়ে করা বৈধ নয় তাহলো-

> স্ত্রীর আপন বোনকে বিয়ে করা।
যদি স্ত্রী মারা যায় তবে স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা যাবে। স্ত্রী থাকাকালীন সময়ে স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা যাবে না। যদি তার সঙ্গে দেখা করা জায়েজ নয়। অনেকেই এ ভুলটি করে থাকেন যে, যার সঙ্গে দেখা দেয়া জায়েজ নেই; তার সঙ্গে বিবাহ জায়েজ। এক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম।
> অন্যের সঙ্গে বিয়ের বন্ধন থাকা।
কোনো নারী যদি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তবে সে নারীর জন্য অন্য স্বামী গ্রহণ করা হারাম। হ্যাঁ, যখনি কোনো নারী অন্য স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তবেই ইদ্দত পালন করে পুনরায় অন্যকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে।

> তিন তালাক দেয়া স্ত্রীকে বিয়ে।
যদি কোনো নিজ স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে সে স্বামী তার ৩ তালাক দেয়া স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করা বৈধ নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই স্ত্রীর অন্য কোথায় বিবাহ হয় এবং সে স্বামী কর্তৃক তালাক প্রাপ্ত না হয়।

অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে সে নারীর অন্য কোথাও বিয়ে হবে এবং সে স্বামীর সংসারে স্বাভাবিকভাবে তালাক হয় তবে এ নারীর আগের স্বামীর জন্য হালাল হবে।
মনে রাখা জরুরি
চুক্তিভিত্তিকভাবে অন্য কারো কাছে নারীর বিয়ে ও তালাক সম্পাদনে এ নারীর পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হবে না। যাকে সাধারণম মানুষ ‘হিলা’ হিসেবে জানে। বাস্তবে তা এ প্রক্রিয়ায় বিয়ে ‘হিলা’ নয়। বরং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বিয়ে ও তালাকই হলো মূলত ‘হিলা’।

> শিরকের কারণে বিয়ে।
কোনো মুশরিক বা মুশরিকা (নারী-পুরুষকে) মুসলিম নারী-পুরুষের বিয়ে বৈধ নয়। হ্যাঁ, যদি মুশরিক বা মুশরিকা (নারী-পুরুষ) ইসলাম গ্রহণ করে তবে তাদের জন্য মুসলিমের সঙ্গে বিয়ে বৈধ।

> মালিকানা থাকা অবস্থায় বিয়ে।
কোনো নারী তার ক্রয় করা দাসের সঙ্গে বিয়ের বন্দনে আবদ্ধ হতে পারবে না। যদিও বর্তমানে দাস প্রথা বিলুপ্ত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষদের সাময়িকভাবে বিয়ের শর্তগুলো যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সিভি/বায়োডাটা পাঠান এই ইমেইল এড্রেস এ : info@priyomatrimony.com
পছন্দের জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেতে বা বিয়ে সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে পেইজে ইনবক্স করুন অথবা নিম্নোক্ত নম্বরে কল করুন অথবা অফিস ভিজিট করুন:
🏠 Shiddhirganj, Narayanganj
📲 +8801728940466
📩 Info@priyomatrimony.com
🌐 www.priyomatrimony.com

কুরআন ও হাদিসে দ্রুত ও সহজ বিয়েতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এতে দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়। সেই সঙ্গে মান-মর্যাদা সুরক...
25/10/2023

কুরআন ও হাদিসে দ্রুত ও সহজ বিয়েতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এতে দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়। সেই সঙ্গে মান-মর্যাদা সুরক্ষিত থাকে। অর্জিত হয় আত্মিক ও শারীরিক প্রশান্তি। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। তা-ই আমরা নিচে কিছু শর্ত ও গুণাবলী উল্লেখ করছি; যেগুলো বিবাহে আগ্রহী প্রত্যেক পাত্র-পাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের লক্ষ্য করা উচিত। শর্তসমূহ নিম্নরূপ:
১. পাত্র অবশ্যই বিশ্বাসে, কথায় ও কাজে সঠিক ইসলামি শিক্ষার ধারক বাহক হওয়া। কারণ এ ধরনের স্বামীর কাছে স্ত্রী পছন্দনীয় হলে তো সম্মান করবেই, পছন্দ না হলেও অন্তত জুলুম করবে না।
২.জামাতের সাথে সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পাবন্দ হওয়া। নামাজ হচ্ছে দ্বীনের খুঁটি এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের মাধ্যম। নামাজ বর্জনকারীকে বিয়ে দেওয়াই উচিত নয়। কারণ, নামাজ বর্জন করাটা কুফরি কাজ।
৩. জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে নববী আদর্শের বাহক হওয়া। দাড়ি লম্বা থাকা, মোচ খাঁটো থাকা।
৪. টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী না হওয়া। কারণ তা কবিরা গুনাহ ও অহংকারের নিদর্শন।
৫.মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকা। কেননা এতে শত্রুতা ও বিদ্বেষ তৈরি হয়। নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতে ব্যঘাত ঘটে।
৬. সৎ সঙ্গী হওয়া। অসৎ সঙ্গ থেকে বেঁচে থাকা। কারণ, মানুষকে তার সঙ্গী দিয়েই বিচার করতে হয়। অচিরেই সে বন্ধুর আদর্শ গ্রহণ করবে। তাই বন্ধু কে, তা লক্ষ্যনীয়।
এই শর্তগুলো প্রথম শর্তেরই অংশ।
৭. স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করা। কথায় ও কাজে তাঁর সঙ্গে ইনসাফ করা।
৮. ঘরের বাইরে রাত না কাটানো। গালিগালাজ, এবং অভিশাপ না দেওয়া। এগুলো মুমিনের গুণ নয়।
৯. খাবার-দাবার, পোশাক-আশাক, চলা-ফেরা, স্ত্রীর সাথে আচরণ ও তার ভরণপোষণ সহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইসলামের অনুসারী হওয়া। সে যেন অন্যদের জন্য উত্তম আদর্শ হয়।
১০. স্ত্রীকে নিয়ে বহির্বিশ্বে ঘুরাফেরা না করা। তবে স্ত্রীর সন্তুষ্টি থাকলে প্রয়োজনে সেই সফরের শরয়ি হুকুম জেনে সফর করতে পারে।
১১. খেলতামাশার মতো অপ্রশংসনীয় কাজে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট না করা। সময়টাকে বরং দ্বীন, দুনিয়া ও আখিরাতের উপকারী কাজে ব্যবহার করা। কারণ অচিরেই সময়ের হিসাব নেওয়া হবে এবং তাতে কৃত ভালো-মন্দ কাজের প্রতিদান দেওয়া হবে। আর সময় একেবারেই সীমিত।
১২. মোহর সৌদি ৫০ হাজারের রিয়ালের চেয়ে বেশি না ধরা। পাশাপাশি স্বাভাবিক কিছু পোশাক আশাক দেওয়া যায়। ওলিমা অনুষ্ঠান একদম সংক্ষিপ্ত করা। কেননা বিয়েতে খরচ যতো কম হবে, বরকত তত বেশি হবে।
১৩. ইবাদত, চালচলন, চরিত্র, শিষ্টাচার, পোশাক, কথাবার্তা এবং জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে স্ত্রী ইসলামি শিক্ষার ধারক বাহক হওয়া। কোনো ক্ষেত্রে পুরুষ কিংবা কাফেরদের সাদৃশ্য গ্রহণকারিনী না হওয়া।
নবীজি বলেছেন,
বিয়ের ক্ষেত্রে তুমি দ্বীনদার নারীকে প্রাধান্য দিবে।
অতএব দ্বীনদ্বার স্ত্রী স্বামীকে সহযোগিতা করবে দ্বীনের পথে চলতে। তার দিকে তাকালে মন ভরে যাবে খুশিতে। কিছু বললে মেনে চলবে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজের সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদ হেফাজতে রাখবে। এমন কোনো মেয়ে পাওয়া গেলে, সে হারিয়ে যাওয়া বস্তুর মতো। তাকে আগলে রাখা দরকার। এমন স্ত্রীর স্বামীর প্রতি সালাম রইল। সেই স্ত্রী স্বামীর জন্য জীবনসঙ্গীনী, সন্তানের প্রতিপালক, আর মনের শান্তি ও চোখের শীতলতা। এটি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। যা তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে দেন।
অশ্রু প্রকাশন হতে প্রকাশিত 'ইসলামে বিয়ে সহজ' বই হতে সংগৃহীত।

সিভি/বায়োডাটা পাঠান এই ইমেইল এড্রেস এ : info@priyomatrimony.com
পছন্দের জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেতে বা বিয়ে সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে পেইজে ইনবক্স করুন অথবা নিম্নোক্ত নম্বরে কল করুন অথবা অফিস ভিজিট করুন:
🏠 Shiddhirganj, Narayanganj
📲 +8801728940466
📩 Info@priyomatrimony.com
🌐 www.priyomatrimony.com

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত এমন এক মহান বিধান, যা হজরত আদম আ:-এর যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত চ...
18/10/2023

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত এমন এক মহান বিধান, যা হজরত আদম আ:-এর যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত চলমান এবং কিয়ামত অবধি চালু থাকবে ইনশাআল্লাহ। বিয়ে রাসূলে কারিম সা:-এর সুন্নাত। তবে মানুষের অবস্থাভেদে বিয়ে কারো জন্য ফরজ, কারো জন্য সুন্নাত, কারো জন্য মাকরুহ। আবার কারো জন্য বিয়ে করা হারাম। বিয়ে না করলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হলে এবং স্ত্রীর মোহর ও ভরণ-পোষণ দেয়ার সামর্থ্য থাকলে বিয়ে করা ওয়াজিব। আর গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলে বিয়ে করা সুন্নাত।
রাসূলে কারিম সা: বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক বলেছেন। কেননা, বিয়ের কারণে মানুষ বহু গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি হুকুম পালনের ক্ষেত্রে যেমন নির্ধারিত নিয়মাবলি রয়েছে, তেমনি বিয়ের মাধ্যমে যে নতুন সংসার গঠিত হয়, তার জন্যও বেঁধে দিয়েছেন বেশকিছু নিয়মনীতি। যেমন- কোনো মুসলমান বিধর্মীদের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। বিয়ের সময় অবশ্যই সাক্ষীর উপস্থিতি থাকতে হবে। বিয়ে করতে হলে স্ত্রীকে মোহর দিতে হবে। এটি তার প্রাপ্য। বিয়েতে যৌতুক নেয়া যাবে না, যা জঘন্যতম ঘৃণ্য কাজ। বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীর মালিক হয়ে যায় না। এমন নয় যে, স্বামী স্ত্রীকে তার ইচ্ছেমতো পরিচালনা করবে। যখন ইচ্ছে তখন স্ত্রীকে ব্যবহার করবে। যেভাবে ইচ্ছে তাকে ভোগ করবে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও সীমারেখা।

স্বামী তার স্ত্রীর মালিক না হলেও স্ত্রীকে মনে রাখতে হবে, সে একজন পুরুষের অধীনে রয়েছে। শরিয়তসম্মত বিষয়ে তার কথা মেনে চলতে হবে। তবে শরিয়ত গর্হিত কোনো আদেশ স্বামীর পক্ষ থেকে এলে সে তা মানতে বাধ্য নয়। অন্যায় কাজে স্বামীর অনুসরণ করা যাবে না। মুসলিম উম্মাহর একান্ত কর্তব্য, শরিয়তে ইসলামীতে বিয়ের যেসব নীতিমালা বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর পূর্ণ জ্ঞান রাখা এবং স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক ও স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক কী কী তা যথাযথভাবে জানা এবং সে মুতাবেক আমল করা।
বিয়ের শরয়ি রূপ : শাব্দিক অর্থে বিয়ে হচ্ছে মেলানো বা জুড়ে দেয়া। শরিয়তে ইসলামীর পরিভাষায় এর অর্থ- নারী-পুরুষের একে অন্যকে (বৈধ পন্থায়) উপভোগ করার চুক্তিবিশেষ যাতে ইজাব ও কবুল অর্থাৎ, প্রস্তাব ও সমর্থন (এবং দু’জন সাক্ষী) থাকা আবশ্যক। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘তোমরা তোমাদের পছন্দমতো নারীদের বিয়ে করো (একটি, যদি তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে ) দু’টি, তিনটি বা চারিটি। অবশ্য যদি আশঙ্কা বোধ করো যে, তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে এক স্ত্রীতে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীতে (ক্ষান্ত থাকো)। এতে তোমাদের পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা বেশি।’ (সূরা নিসা-৩)
বিয়ের গুরুত্ব : পবিত্র কুরআনে হারাম নারীদের ফিরিস্তি উল্লেখপূর্বক ইরশাদ হয়েছে- ‘আর এ ছাড়া অন্য নারীদেরকে নিজেদের অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে (অর্থাৎ মোহর দিয়ে বিয়ে করার) কামনা করাকে বৈধ করা হয়েছে, এই শর্তে যে, তোমরা (বিয়ে) করবে চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার ইচ্ছায়, কেবল কাম চরিতার্থকারী হবে না। সুতরাং তোমরা (বিয়ে সূত্রে) যেসব নারী দ্বারা আনন্দ ভোগ করেছ, তাদেরকে ধার্যকৃত মোহর প্রদান করো। অবশ্য (মোহর) ধার্য করার পরও তোমরা পরস্পরের সম্মতিতে (কমবেশি করলে) তাতে তোমাদের কোনো গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা নিসা-২৪) অন্য এক আয়াতে এসেছে- ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্বাধীন মুসলিম নারীদের বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, তারা যেন তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম দাসীদেরকে বিয়ে করে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তোমরা সবাই পরস্পর সমতুল্য। সুতরাং সেই দাসীদেরকে তাদের মালিকদের অনুমতিক্রমে বিয়ে করতে পারো এবং তাদেরকে ন্যায়ানুগভাবে তাদের মোহর দিতে হবে। এই শর্তে যে, (বিয়ে করার মাধ্যমে) তাদের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করবে, তারা কেবল কাম-চরিতার্থকারিণী হবে না এবং গুপ্ত প্রণয়ী গ্রহণকারিণীও নয়।...এসব (অর্থাৎ দাসীদেরকে বিয়ে করার বিষয়টি) তোমাদের মধ্য থেকে যারা (বিয়ে না করলে) গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা বোধ করে, তাদের জন্য। আর তোমরা যদি সংযমী হয়ে থাকো, তবে সেটিই তোমাদের পক্ষে শ্রেয়। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা নিসা-২৫)
হাদিস শরিফে রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, হজরত ইবনে মাসউদ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: আমাদেরকে বলেছেন, ‘হে যুবকরা, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের পরবর্তী দায়দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম তারা যেন বিয়ে করে, কারণ বিয়ে তার চক্ষুকে অধিকতর সংযত করবে এবং তার যৌনাঙ্গকে অধিকতর সংযত ও সংরক্ষিত রাখবে। আর যে তাতে সক্ষম নয় সে যেন সিয়াম পালন করে।’ (বুখারি-৫০৬৬, মুসলিম-১৪০০, সুনানে আবি দাউদ-২০৪৬, সুনানে তিরমিজি-১০৮১, সুনানে নাসায়ি-২২৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ-১৮৪৫, ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার-১৫৪৯)
হজরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা বিয়ে করো ভালোবাসিনী ও অধিক সন্তান প্রসবিনী নারীকে। কেননা, আমি তোমাদের সংখ্যা নিয়ে অন্যান্য উম্মতের ওপর ফখর করব।’ (সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে নাসায়ি, সূত্র : মিশকাতুল মাসাবিহ-৩০৯১)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা কুমারীদের বিয়ে করো। কেননা, তারা বেশি মিষ্টভাষিণী এবং অধিক গর্ভধারিণী (সন্তান প্রসবিনী) এবং তারা অল্পতে তুষ্ট থাকে। হাদিসটি ইমাম ইবনে মাজাহ মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ-৩০৯২)

সিভি/বায়োডাটা পাঠান এই ইমেইল এড্রেস এ : info@priyomatrimony.com
পছন্দের জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেতে বা বিয়ে সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে পেইজে ইনবক্স করুন অথবা নিম্নোক্ত নম্বরে কল করুন অথবা অফিস ভিজিট করুন:
🏠 Shiddhirganj, Narayanganj
📲 +8801728940466
📩 Info@priyomatrimony.com
🌐 www.priyomatrimony.com

Address

Dhaka
Narayanganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Priyo Matrimony posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share