এবং আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তিনিই আমাকে সুস্থতা দান করেন।
এবং তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাইবেন, অতঃপর পুনর্জীবিত করিবেন।”
সূরা আশ শোয়ারা, আয়াত: ৮০-৮১।
সহকারী অধ্যাপক - ডাঃ এস এম সাজ্জাদ জালাল
১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের
আশোহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা অডিট বিভাগের একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন। মা আমিনা বেগম একজন গৃহিণী। তিনি পাঁচ ভাই এক বোনের মাঝে দ্বিতীয়।
প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের স্কুল পুরিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জে সম্পন্ন করেন। পুরিন্দা সাদিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ও মাধবদী এস পি ইনস্টিটিউট হতে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন।
তিনি প্রাথমিক জুনিয়র ও এসএসসিতে বৃত্তি লাভ করেন।
নটরডেম কলেজ, ঢাকা হতে এইচএসসি ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস (১৯৯৯ ইং) পাশ করেন।
এমবিবিএস পাশের পর তিনি দেড় বছর লিবিয়াতে চাকরি করে ২৫ টি দেশের নাগরিকদের চিকিৎসা প্রদান করে অত্যন্ত সুনাম অর্জন করেন।
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের যোগদানের জন্য তিনি লিবিয়া হতে বাংলাদেশের চলে আসেন এবং ২০০৪ ইং ২২ তম বিসিএস এ- যোগদান করেন।
কর্মজীবনে তিনি মাদারীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ভোলা, ঢাকা ও কুমিল্লাতে সুনামের সাথে চাকরি করেন।
তার স্ত্রী ডাক্তার তাজরিয়ান আক্তার শিল্পী (এমবিবিএস, এফসিপিএস) নরসিংদীর একজন বিশিষ্ট গাইনি ও অবস চিকিৎসক।
জিপি করার সময় তিনি রোগীদের রোগ নির্ণয় জটিলতা ও ভোগান্তি দেখে নিজেই রোগ নির্ণয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন এবং মহান আল্লাহর নিকট সফলতা কামনা করেন। এ লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে স্নাতকোত্তর এমফিল (রেডিওলজি ও ইমেজিং) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি একই প্রতিষ্ঠান হতে এক বছর মেডিসিন এর উপর প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন।
বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সরকারি সহকারি অধ্যাপক হিসেবে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে কর্মরত আছেন। নরসিংদীতে তিনি প্রথম ডুপ্লেক্স আলট্রাসনোগ্রাফি শরীরের বিভিন্ন স্থানের আলট্রাসনোগ্রাফি করেন।
সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করাই তার ব্রত। এ জন্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।