Assistant Professor Dr Krishna Kanta Sen

Assistant Professor Dr Krishna Kanta Sen ডাঃ কৃষ্ণ কান্ত সেন
চেম্বার
জে ডি প্য?

ডা: কৃষ্ণ কান্ত সেন এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস ||, এমডি (কার্ডিওলজী)

সহকারী অধ্যাপক শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, টাঙ্গাইল

১৯৬৯ সালে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর উপজেলায় পশ্চিম কান্দাপাড়ায়

সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।

তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার সাটিরপাড়া কালীকুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৮৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৯৪ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ২০১৫ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট শেরে বাংলা নগর ঢাকা থেকে এম.ডি(কার্ডিওলজি) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯৭ সালে ১৭ তম বি.সি.এস এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (টাঙ্গাইল) এ সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

 #শীতে_বাড়ে_হৃদরোগের_ঝুঁকিশীতের পিঠা-পুলি খাওয়ার মজার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অস্বস্তিকর ব্যাপারও ঘটে থাকে যেমন ত্বকের সমস্যা, ...
19/11/2022

#শীতে_বাড়ে_হৃদরোগের_ঝুঁকি

শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ার মজার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অস্বস্তিকর ব্যাপারও ঘটে থাকে যেমন ত্বকের সমস্যা, জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি।

সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হল শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক ও এর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিবার শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের রোগী ৩০% থেকে ৫০% বৃদ্ধি পায়। শীতের প্রভাবে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে যা গবেষণায় প্রমাণিত। শীতের প্রভাবে রক্তনালি সংকোচিত হওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে।

শীতের প্রভাবে রক্ত উপাদানে অনেক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী রক্তকনিকা, প্লাটিলেট, লোহিত কনিকা, ফিব্রিনোজেন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রবণতা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি শীতের প্রকোপে হার্টের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন শুরু হতে পারে যার ফলে তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটাও অস্বভাবিক নয়। পেট ভরে খেয়ে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় হাঁটাহাঁটি করলে খুব সহজেই এনজিনার ব্যথা শুরু হয়ে যায়, যার জন্য রক্তনালির সংকোচনকেই দায়ী করা হয়। যারা সুস্থ-সবল লোকজন তারা খুব সহজে ঠাণ্ডাজনিত এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, কিন্তু যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত তারা খুব সহজেই এসব পরির্বতনের ফলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে থাকেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার প্রস্তুতি এবং সতর্কতা আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।
সতর্কতা ও করণীয়
* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীরা নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন।
* শীতের শুরুতে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধপত্রের মাত্রা ঠিক করে নিন।
* ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কাপড় সঙ্গে রাখুন।
* বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে যাওয়ার সময় গরম কাপড়, জুতা, ছাতা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিয়ে বের হবেন।
* বয়স্ক হৃদরোগীরা প্রতিদিন গোসল না করে একদিন পর পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। মনে রাখবেন, খুব বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
* পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরিমাণ বিশেষ করে শর্করা জাতীয় খাবার ১৫% থেকে ২০% বৃদ্ধি করা উচিত। বয়স্ক হৃদরোগীর শীতকালীন বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে না যাওয়াই উত্তম।
* নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে রাখুন যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন।

23/10/2022
হৃদরোগ কি, কেন হয়?হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট যখন তার কাজ ঠিকঠাকমতো করতে পারে না,তখন ...
17/10/2022

হৃদরোগ কি, কেন হয়?

হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট যখন তার কাজ ঠিকঠাকমতো করতে পারে না,তখন হার্ট ফেইলিওর হয়। হার্টে ফেল করলে হৃৎপিন্ড সংকোচনের মাধ্যমে রক্ত বের করতে পারে না ফলে ফুসফুস, পা এবং পেটে পানি জমে যায়। হার্ট ফেইলুর হঠাৎ করে হতে পারে আবার ধীরে ধীরে হতে পারে।
হৃৎপিন্ড প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার সংকোচন-প্রসারনের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত ও খাদ্যকণা পৌঁছে দেয়। একই সঙ্গে দেহের দুষিত রক্তকে বিশুদ্ধ করণের জণ্য ফুসফুসে সরবরাহ করে। দেহের প্রতিটি অঙ্গের বেঁচে থাকার জন্য হৃৎপিন্ডকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হয়। নিজের প্রয়োজনীয় রসদ হৃৎপিন্ড নিজস্ব তিনটি করোনারি আর্টারির মাধ্যমে নিয়ে থাকে। হৃৎপিন্ড তার কাজ ঠিকমতো করতে না পারাকেই হার্ট ফেইলুর বলা হয় যা সহজভাবে হার্ট ফেল নামে পরিচিত।

হার্ট ফেইলুর বা হৃৎপিন্ডের ব্যথ্যতা বা কর্মহীনতার জন্য সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। অনেকে ভুল করে হার্ট অ্যটাক এবং হার্টফেইলকে একই রোগ ভেবে থাকনে। হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলর আলাদা সমস্যা, যদিও একটির কারণে অন্যটি হতে পারে। আবার দুটি এক সঙ্গেও হতে পারে।

হার্ট ফেলের কারণ
হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন, আনস্টেবল এনজাইনা), অ্যানিমিয়া (রক্তমূন্যতা), হার্ট ভাইরাস সংক্রামণ, হাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, পেরিকার্ডিয়ামের রোগ সিটেমিক রোগ ইত্যাদি।

যেসব কারণে হার্টের সমস্যা থাকাকালে হার্ট ফেইলুর চরমপর্যায়ে যেতে পারে

১. মায়োকার্ডিয়াল ইসকোমিয়া/ইনফার্কশন
২. সংক্রমন
৩. হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনত যেমন atrial Flabrillation
৪. ডাবেটিস
৫. হার্ট ফেলের অপর্যাপ্ত চিকিৎসা
৬. শরীরে পানি ধরে রাখার মতো অষুধ, যেমন -ব্যাথানাশক, স্টেরয়েড।
৭. গর্ভাবস্থা, রক্তশূন্যতা ও থাইরয়েডের রোগ
৮. শরীরে অতিরিক্ত পানি প্রয়োগ

হার্ট ফেলের উপসর্গ
১. শ্বাসকষ্ট
২. শরীরে অতিরিক্ত পানি বা ইডেমা
৩. কাশি
৪. দুর্বল লাগা
৫. রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া
৬. ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব
৭. বুক ব্যাথা
৮. জটিলতা নিয়ে উপস্থিত, যেমন-কিডনি বিকল ইলেকট্রলাইটের তারতম্য, লিভারের সমস্যা, স্ট্রোক, হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনতা।

হার্টফেল প্রতিরোধের জন্য যা করতে হবে
১. ধুমপান/তামাক/জর্দা/নস্যি বর্জন করতে হবে
২. কাঁচা/ভাজা সকল প্রকার আলগা যাথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
৩. উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস থাকলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
৪. কায়িক শ্রম
৫. উত্তেজন পরিহার
৬. যে কোন সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে হবে জরুরীভাবে
৭. রক্তশূন্যতা পূরণ করতে হবে
৮. ওজন আদর্শ মাত্রায় রাখতে হবে
৯. সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে
১০. পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে
১১. আদর্শ জীবনযাপন করতে হব

 #মেডিসিন_হূদরোগ_বিশেষজ্ঞ                                                                                               ...
18/09/2022

#মেডিসিন_হূদরোগ_বিশেষজ্ঞ #ডাঃ_কৃষ্ণ_কান্ত_সেন_স্যারের_চিকিৎসা সমূহঃ।

১) বুকে ব্যথা - চাপ চাপ ব্যথা, বুকের এক পাশে বা পুরো বুক জুড়ে ভারী ব্যথা
২) শরীরের অন্য অংশে ব্যথা- মনে হতে পারে ব্যথা শরীরে এক অংশ থেকে অংশে চলে যাচ্ছে, যেমন হতে পারে বুক থেকে হাতে ব্যথা হতে পারে। সাধারণত বাম
হাতে ব্যথা হয়, কিন্তু দুই হাতেই ব্যথা হতে পারে
৩) মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম করা
৪) ঘাম হওয়া
৫) নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা
৬) বমি ভাব হওয়া
৬)বুক ধড়ফড় করা বা বিনা কারণে অস্থির লাগা
৭) সর্দি বা কাশি হওয়া

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করণীয়?

হার্ট অ্যাটাক হবার পর দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসা পেতে এক ঘণ্টা দেরির জন্য মৃত্যুর হার বেড়ে যায় ১০ শতাংশ।
তাৎক্ষণিক-ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

#হূদরোগ_মেডিসিন_ও_বাতজ্বর_বিশেষজ্ঞ।
ডা: কৃষ্ণ কান্ত সেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস ।।,
এমডি (কার্ডিওলজি)
মেডিসিন এন্ড হার্ট ডিজিসেস স্পেশালিস্ট

#সহকারী_অধ্যাপক
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, টাঙ্গাইল।

#রোগী_দেখার_চেম্বার:
জে ডি প্যাথলজি সেন্টার
আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন ,সদর রোড নরসিংদী। ( নরসিংদী পৌরসভা থেকে 100 গজ উত্তর পাশে )

রোগী দেখার সময়:
প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এবং প্রতি মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

#সিরিয়ালের জন্য:
01324-419770
01780-401026
01711-698756

WhatsApp 01711-698756
Imo 01711-698756
Facebook Messenger
&
Comment
website: www.jdpathology.com
email: jdpathologycenter@gmail.com

হৃদপিন্ডের গঠন ও কার্যপ্রণালীহৃদপিন্ড কি ?রক্ত সংবহনতন্ত্রের যে অঙ্গটি পাম্পের মতো সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারাদেহে র...
07/09/2022

হৃদপিন্ডের গঠন ও কার্যপ্রণালী

হৃদপিন্ড কি ?
রক্ত সংবহনতন্ত্রের যে অঙ্গটি পাম্পের মতো সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারাদেহে রক্ত সংবহন করে সেটি হলো হৃদপিন্ড । জীবন্ত এ পাম্প যন্ত্রটি দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে শিরা মাধ্যমে আনীত রক্ত ধমনীর সাহায্যে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে থাকে । একজন সুস্থ মানুষের জীবদ্দশায় হৃদপিন্ড গড়ে ২৬০০ মিলিয়ন বার স্পন্দিত হয় । একটি হৃদপিন্ডের ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম । স্ত্রীলোকে তা পুরুষের চেয়ে এক - তৃতীয়াংশ কম ।

হৃদপিন্ডের আকার , অবসথান , আকৃতি ও আবরণ -
মানৃষের হৃদপিন্ড বক্ষগহ্বরের মধ্যচ্ছদার উপরে ও দুই ফুসফুসের মাঝ বরাবর বাম দিকে একটু বেশী বাঁকা হয়ে অবস্থিত । এটি বুকের বাঁমপাশে প্রায় ৬০ % অবস্থান দখল করে থাকে । লালচে - খয়েরি রঙের হৃদপিন্ডটি ত্রিকোণা মোচার মত । একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির হৃদপিন্ডের দৈর্ঘ্য ১২ সে .মি প্রস্থ ৯ সে .মি । এটি একটি দ্বিস্তরী পেরিকার্ডিয়াম নামক পাতলা ঝিল্লিতে আবৃত । হৃদপিন্ডের প্রাচীর অনৈচ্চিক পেশী দিয়ে গঠিত । এসব পেশি হৃদপেশি বা কার্ডিয়াক পেশি নামে পরিচিত ।

প্রকোষ্ঠ : মানুষের হৃদপিন্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ঠ । উপরের দুটিকে ডান বা বাম অ্যাক্টিয়াম নিচের দুটিকে ডান বা বাম ভেক্টিকল বলে । হৃদপিন্ডের স্বতঃস্ফুত প্রসারণকে ডায়াস্টোল এবং স্বতঃস্ফুত সংকোচনকে সিস্টোল বলে ।

দুই প্রকোষ্ঠ যুক্ত হৃদপিন্ডের প্রাণী : সকল ধরণের মাছ ।

তিন প্রকোষ্ঠ যুক্ত হৃদপিন্ডের প্রাণী : ব্যাং , সাপ , হাঙর , অক্টোপাস , ক্যাটল ফিস ।

চার প্রকোষ্ঠ যুক্ত হৃদপিন্ডের প্রাণী : সকল স্থন্যপায়ী প্রাণী , পাখি , কুমির , গুইসাপ , ।

১৩টি প্রকোষ্ঠ যুক্ত হৃদপিন্ডের প্রাণী : তেলাপোকা , আরশোলা ।

হার্টবিট -
হৃদপিন্ডের একবার সংকোচন ( সিস্টোল ) ও একবার প্রসারণ ( ডায়াস্টোল ) কে একত্রে হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন বলে । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির হৃদস্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৭০ - ৮০ বার । প্রতি ০.৮ সেকেন্ডে একটি হার্টবিট চক্র সম্পন্ন হয় । একজন পূর্নবয়স্ক মানুষের নাড়ীর স্বাভাবিক স্পন্দন 72 / min.

হার্ট অ্যাটাকহৃৎপিণ্ড বা হার্ট আমাদের শরীরে রক্ত সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। কাজটি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে রক্তনালী...
31/08/2022

হার্ট অ্যাটাক

হৃৎপিণ্ড বা হার্ট আমাদের শরীরে রক্ত সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। কাজটি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে রক্তনালীর মাধ্যমে হার্টের নিজস্ব রক্ত সরবরাহও নিরবচ্ছিন্নভাবে বজায় থাকতে হয়।

কোনো কারণে হার্টের এই নিজস্ব রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে গেলে অথবা রক্তনালীর ভেতরে ব্লক বা বাধা সৃষ্টি হলে হার্টের রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। হার্ট অ্যাটাককে মেডিকেলের ভাষায় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এমআই) বলা হয়।

হার্ট অ্যাটাক একটি ইমারজেন্সি অবস্থা। আপনার অথবা আপনার আশেপাশের কারও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

হার্টে রক্ত সরবরাহ বন্ধ থাকলে সেটি হার্টের পেশীগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ হলো—

১. বুকে ব্যথা: বুকের মাঝখানে চাপ ধরার মতো ব্যথা হতে পারে। এছাড়া রোগীর বুকের মধ্যে কিছু চেপে বসে আছে অথবা কিছু আটকে (টাইট হয়ে) আসছে এমন অনুভূত হতে পারে

২. শরীরের অন্য জায়গায় ব্যথা: এই ব্যথা বুক থেকে হাতে চলে আসছে এমন মনে হতে পারে। সাধারণত বাম হাতে এমন ব্যথা হয়। তবে এই ব্যথা উভয় হাতেই যেতে পারে। হাতের পাশাপাশি চোয়াল, ঘাড়, পিঠ ও পেটে ব্যথা যেতে পারে।

৩. মাথা ঘুরানো অথবা মাথা ঝিমঝিম করা

৪. শরীরের ঘেমে যাওয়া

৫. শ্বাসকষ্ট

৬. বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া

৭. প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া: রোগী অস্বাভাবিক অস্থিরতা অনুভব করবেন (প্যানিক অ্যাটাক) অথবা তিনি মারা যাচ্ছেন এমন মনে হবে।

মনে রাখতে হবে, হার্ট অ্যাটাক হলেই সবার বুকে তীব্র ব্যথা হবে—এমনটি নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথাটি বদহজম অথবা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মতো সামান্য বা মৃদু হতে পারে। কেউ কেউ আবার একেবারেই ব্যথা অনুভব করেন না। বিশেষত অনেক নারী রোগীর ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায়।

এসব ক্ষেত্রে রোগীর আসলেই হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে কি না তা বুক ব্যথার তীব্রতার ওপর নয়, বরং আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হয়।

হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে মনে হলে দেরি না করে হাসপাতালে যেতে হবে। লক্ষণগুলো নিয়ে সন্দেহ থাকলেও চিকিৎসা নিতে দ্বিধা করা ঠিক নয়। কারণ অন্য কোনো রোগের কারণে লক্ষণগুলো দেখা দিলে হাসপাতালে সেটিরও চিকিৎসা করা সম্ভব। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে যদি সঠিক চিকিৎসা না নেওয়া হয় তাহলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ: কিছু ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলে হার্ট রক্ত পাম্প করা একেবারে বন্ধ করে দিয়ে স্থবির হয়ে যেতে পারে। এই ঘটনাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলা হয়ে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

রোগী শ্বাস নিচ্ছে না বলে মনে হওয়া
রোগীর সব ধরনের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া
রোগীর সাথে কথা বললে বা তার গায়ে সজোরে ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়া না পাওয়া
যদি কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে সাথে সাথে রোগীকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দিতে হবে। একই সাথে অন্যদের সাহায্য নিয়ে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা

রোগীর হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে মনে হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হার্টের ওপরে চাপ কমাতে হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বের সময়টুকুতে রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

হাতের কাছে অ্যাসপিরিন (৩০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেট থাকলে এবং রোগীর অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধে কোনো অ্যালার্জি না থাকলে হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত আস্তে আস্তে চিবিয়ে ট্যাবলেটটি খেতে পারে।

অ্যাসপিরিন রক্ত পাতলা করে এবং হার্টে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাক কতটা গুরতর সেটির ওপর নির্ভর করে হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়। প্রধান দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো—

জমাট বাঁধা রক্ত ভাঙতে ঔষধ দেওয়া
হার্টের রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অপারেশন করা
বিস্তারিত পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা

হার্ট অ্যাটাকের কারণ
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ হলো রক্তনালী সম্পর্কিত হৃদরোগ বা করোনারি হার্ট ডিজিজ।

হার্টে রক্ত সরবরাহকারী প্রধান রক্তনালীগুলোকে করোনারি আর্টারি বা ধমনী বলা হয়। করোনারি হার্ট ডিজিজে এসব ধমনীর ভেতরে কোলেস্টেরল জমা হয়ে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। জমাট বাঁধা এসব কোলেস্টেরলকে প্ল্যাক বলা হয়।

হার্ট অ্যাটাকের আগে এমন একটি কোলেস্টেরল প্ল্যাক ফেটে যায়। ফলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। এই জমাট বাঁধা রক্ত হার্টে রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে।

কিছু বিষয়ের কারণে করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন—

ধূমপান করা
উচ্চ রক্তচাপ
রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকা
খাদ্যে অস্বাস্থ্যকর চর্বিবহুল খাবার রাখা
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হওয়া
ডায়াবেটিস
এছাড়া আপনার বাবা অথবা ভাই ৫৫ বছর বয়সের আগে কিংবা আপনার মা অথবা বোন ৬৫ বছর বয়সের আগে হার্ট অ্যাটাক অথবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, আপনারও করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

হার্ট অ্যাটাকের পরে সুস্থতা লাভ
হার্ট অ্যাটাকের পরে আরোগ্য লাভ করতে কতটুকু সময় লাগবে তা নির্ভর করে হার্টের পেশীগুলো কী পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটির ওপর।

বেশীরভাগ রোগীই হার্ট অ্যাটাকের পরে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন। কেউ কেউ ২ সপ্তাহ পরেই কাজে যোগ দিতে পারেন। আবার অন্যদের সুস্থ হয়ে উঠতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। একজন রোগী কত দ্রুত কাজে ফিরতে পারবেন সেটি নির্ভর করে তার স্বাস্থ্য, হার্টের অবস্থা ও কাজের ধরনের ওপর।

আরোগ্য লাভের প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো—

১. জীবনধারায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর পরিবর্তনের সমন্বয় ঘটিয়ে (যেমন: স্বাস্থ্যকর ও সুষম ডায়েট) এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর ঔষধ (যেমন: স্ট্যাটিন গ্রুপের ঔষধ) সেবনের মাধ্যমে পুনরায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনা।

২. ধীরে ধীরে শারীরিক সুস্থতা বা ফিটনেস ফিরিয়ে আনা যেন রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন। এই প্রক্রিয়াকে কার্ডিয়াক পুনর্বাসন বলা হয়।

হার্ট অ্যাটাক-পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা
হার্ট অ্যাটাকের ফলে সৃষ্ট জটিলতাগুলো গুরুতর—এমনকি প্রাণঘাতী হতে পারে। এসব জটিলতার মধ্যে রয়েছে—

অ্যারিদমিয়া: সহজ ভাষায় অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন বা হার্টবিটকে অ্যারিদমিয়া বলা হয়। এক ধরনের অ্যারিদমিয়াতে হার্ট প্রথমে খুব দ্রুত স্পন্দন বা পাম্প করতে শুরু করে। এরপর হঠাৎ হার্টে খিঁচুনির মতো অবস্থা শুরু হয়ে যায় এবং হার্ট কাজ করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয় (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট)
কার্ডিওজেনিক শক: এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের পরে হার্টের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে হার্ট স্বাভাবিক শারীরিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেহে যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত সঞ্চালন করতে ব্যর্থ হয়
হার্ট রাপচার: এই অবস্থায় হার্টের পেশী, দেয়াল অথবা ভেতরের ভালভগুলোর যেকোনোটি ছিঁড়ে বা ফেটে যেতে পারে
এসব জটিলতা হার্ট অ্যাটাকের অল্প সময়ের মাঝেই দেখা দিতে পারে। এগুলো হার্ট অ্যাটাক জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ। এসব জটিলতা থেকে অনেকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বে কিংবা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাসের মধ্যে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে পারেন।

একজন রোগীর মধ্যে এসব জটিলতা কতটুকু প্রভাব ফেলবে সেটি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন—

বয়স বাড়ার সাথে বিভিন্ন গুরুতর জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
হার্ট অ্যাটাকের ধরনটি কতটা গুরুতর এবং অ্যাটাকের ফলে হার্টের পেশীগুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ওপর জটিলতার তীব্রতা নির্ভর করে
এ ছাড়া লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর থেকে চিকিৎসা শুরু করতে যতটুকু সময় লাগে সেটি বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার পাঁচটি প্রধান উপায় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন ব্যক্তিও এই পাঁচটি উপদেশ মেনে চলার মাধ্যমে পুনরায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারবেন। উপায়গুলো হলো—

১. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দিতে হবে।
২. শরীরের ওজন বেশি হলে সেটি কমিয়ে ফেলতে হবে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। প্রথমবারের মতো ব্যায়াম করা শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৪. খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে পূর্ণশস্য (যেমন: ঢেঁকিছাটা চাল বা লাল চাল ও লাল আটার রুটি) সহ ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে।

৫. মদপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দিতে হবে

লিখেছেন ডা. বিদিশা কুন্ডু প্রমা
মেডিকেল রিভিউ করেছেন ডা. ইমা ইসলাম

 #মেডিসিন_ও_হূদরোগ_বিশেষজ্ঞ_১) বুকে ব্যথা - চাপ চাপ ব্যথা, বুকের এক পাশে বা পুরো বুক জুড়ে ভারী ব্যথা২) শরীরের অন্য অংশে...
26/08/2022

#মেডিসিন_ও_হূদরোগ_বিশেষজ্ঞ_

১) বুকে ব্যথা - চাপ চাপ ব্যথা, বুকের এক পাশে বা পুরো বুক জুড়ে ভারী ব্যথা
২) শরীরের অন্য অংশে ব্যথা- মনে হতে পারে ব্যথা শরীরে এক অংশ থেকে অংশে চলে যাচ্ছে, যেমন হতে পারে বুক থেকে হাতে ব্যথা হতে পারে। সাধারণত বাম
হাতে ব্যথা হয়, কিন্তু দুই হাতেই ব্যথা হতে পারে
৩) মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম করা
৪) ঘাম হওয়া
৫) নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা
৬) বমি ভাব হওয়া
৬)বুক ধড়ফড় করা বা বিনা কারণে অস্থির লাগা
৭) সর্দি বা কাশি হওয়া
হার্ট অ্যাটাক হলে কী করণীয়?
হার্ট অ্যাটাক হবার পর দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসা পেতে এক ঘণ্টা দেরির জন্য মৃত্যুর হার বেড়ে যায় ১০ শতাংশ।
তাৎক্ষণিক-ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

#হূদরোগ_মেডিসিন_ও_বাতজ্বর_বিশেষজ্ঞ।

ডা: কৃষ্ণ কান্ত সেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস ।।,
এমডি (কার্ডিওলজি)
মেডিসিন এন্ড হার্ট ডিজিসেস স্পেশালিস্ট
#সহকারী_অধ্যাপক
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, টাঙ্গাইল।

#রোগী_দেখার_চেম্বার: জে ডি প্যাথলজি সেন্টার
আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন ,সদর রোড নরসিংদী। ( নরসিংদী পৌরসভা থেকে 100 গজ উত্তর পাশে )

রোগী দেখার সময়:
প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এবং প্রতি মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

#সিরিয়ালের জন্য:
01324-419770
01780-401026
01711-698756
WhatsApp 01711-698756
Imo 01711-698756
Facebook Messenger
&
Comment
website: www.jdpathology.com
email: jdpathologycenter@gmail.com

 #হৃদরোগ_কি_কেন_হয়?হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট যখন তার কাজ ঠিকঠাকমতো করতে পারে না,তখন...
25/08/2022

#হৃদরোগ_কি_কেন_হয়?

হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট যখন তার কাজ ঠিকঠাকমতো করতে পারে না,তখন হার্ট ফেইলিওর হয়। হার্টে ফেল করলে হৃৎপিন্ড সংকোচনের মাধ্যমে রক্ত বের করতে পারে না ফলে ফুসফুস, পা এবং পেটে পানি জমে যায়। হার্ট ফেইলুর হঠাৎ করে হতে পারে আবার ধীরে ধীরে হতে পারে।

হৃৎপিন্ড প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার সংকোচন-প্রসারনের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত ও খাদ্যকণা পৌঁছে দেয়। একই সঙ্গে দেহের দুষিত রক্তকে বিশুদ্ধ করণের জণ্য ফুফুসে সরবরাহ করে। দেহের প্রতিটি আঙ্গের বেঁচে থাকার জন্য হৃৎপিন্ডকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হয়। নিজের প্রয়োজনীয় রসদ হৃৎপিন্ড নিজস্ব তিনটি করোনারি আর্টারির মাধ্যমে নিয়ে থাকে। হৃৎপিন্ড তার কাজ ঠিকমতো করতে না পারাকেই হার্ট ফেইলুর বলা হয় যা সহজভাবে হার্ট ফেল নামে পরিচিত।

হার্ট ফেইলুর বা হৃৎপিন্ডের ব্যথ্যতা বা কর্মহীনতার জন্য সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। অনেকে ভুল করে হার্ট অ্যটাক এবং হার্টফেইলকে একই রোগ ভেবে থাকনে। হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলর আলাদা সমস্যা, যদিও একটির কারণে অন্যটি হতে পারে। আবার দুটি এক সঙ্গেও হতে পারে।


হার্ট ফেলের কারণ

হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন, আনস্টেবল এনজাইনা), অ্যানিমিয়া (রক্তমূন্যতা), হার্ট ভাইরাস সংক্রামণ, হাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, পেরিকার্ডিয়ামের রোগ সিটেমিক রোগ ইত্যাদি।

যেসব কারণে হার্টের সমস্যা থাকাকালে হার্ট ফেইলুর চরমপর্যায়ে যেতে পারে

১. মায়োকার্ডিয়াল ইসকোমিয়া/ইনফার্কশন
২. সংক্রমন
৩. হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনত যেমন atrial Flabrillation
৪. ডাবেটিস
৫. হার্ট ফেলের অপর্যাপ্ত চিকিৎসা
৬. শরীরে পানি ধরে রাখার মতো অষুধ, যেমন -ব্যাধানাশক, স্টেরয়েড।
৭. গর্ভাবস্থা, রক্তশূন্যতা ও থাইরয়েডের রোগ
৮. শরীরে অতিরিক্ত পানি প্রয়োগ



হার্ট ফেলের উপসর্গ

১. শ্বাসকষ্ট
২. শরীরে অতিরিক্ত পানি বা ইডেমা
৩. কাশি
৪. দুর্বল লাগা
৫. রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া
৬. ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব
৭. বুক ব্যাথা
৮. জটিলতা নিয়ে উপস্থিত, যেমন-কিডনি বিকল ইলেকট্রলাইটের তারতম্য, লিভারের সমস্যা, স্ট্রোক, হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনতা।



হার্টফেল প্রতিরোধের জন্য যা করতে হবে

১. ধুমপান/তামাক/জর্দা/নস্যি বর্জন করতে হবে
২. কাঁচা/ভাজা সকল প্রকার আলগা যাথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
৩. উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস থাকলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
৪. কায়িক শ্রম
৫. উত্তেজন পরিহার
৬. যে কোন সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে হবে জরুরীভাবে
৭. রক্তশূন্যতা পূরণ করতে হবে
৮. ওজন আদর্শ মাত্রায় রাখতে হবে
৯. সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে
১০. পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে
১১. আদর্শ জীবনযাপন করতে

Address

Narsingdi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Assistant Professor Dr Krishna Kanta Sen posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Assistant Professor Dr Krishna Kanta Sen:

Share

Category