
30/01/2024
পাইলস রোগটির সাথে আমরা বহুবছর বছর ধরে পরিচিতি।বিভিন্ন কারণে কখনো কখনো মলদ্বার এর বাইরের ও ভেতরের শিরা ফুলে ওঠে। শিরাতে ছোট ছোট মটর দানার মতো বলি হয়। এইসব বলি বা অর্শ দিয়ে পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়ে। বলি এক বা একাধিক হতে পারে। এই রোগকে বলা হয় অর্শ রোগ বা পাইলস। অর্শ বা পাইলসের হোমিও চিকিৎসা ও অর্শ (Hemorrhoids) রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রয়োগ কৌশল নিয়ে লেখাটি সাজানো হয়েছে।
বয়স : ৩০-৬০ বছর বয়সের ভেতর এই রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি। ২০ বছর বয়সের নিচে পাইলস খুব একটা দেখা যায় না। পাইলস শনাক্ত করা খুব সহজ কাজ নয়। একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কেবল যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে পাইলস শনাক্ত করতে পারেন। কখনো কখনো টয়লেটে বসিয়ে কোথ দিতে হয়ে। আমাদের কাছে বিভিন্ন রোগী আসিয়া বলে আমার পাইলস। তখন রোগী লক্ষণ দেখি বুঝি পাই এনাল ফিশার, পলিপ অথবা ফিস্টুলা অর্থাৎ মলদ্বারের যেকোনো রোগকে সবাই পাইলস হিসেবে জানেন। কিন্তু এইখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। এই রোগ মহিলাদের চেয়েও পুরুষের কিছুটা বেশি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ বা কোনো না কোনো সময় পাইলসের সমস্যায় ভোগেন।
অর্শরোগ (Hemorrhoids) বা পাইলস রোগের কারণ:
১। নানা কারণে যকৃতে বেশি রক্ত সঞ্চয় বা যকৃতে ভারবোধ।
২। যকৃতের গোলমাল, হেপাটাইটিস প্রভৃতি।
৩। লিভারের প্রাচীন রোগ বা সিরোসিস প্রভৃতি।
৪। পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতা, পায়খানার সময় বার বার বেশি করে কোঁথ দেওয়া।
৫। বংশগত রোগ বা পূর্ব পুরুষের ধারা।
৬। বহুদিন জ্বর, আমাশয় রোগে আক্রান্ত থাকার জন্য কোলাইটিস বা পেটব্যথা সমস্যায় জর্জরিত থাকা।
৭। প্রস্টেট গ্রন্থির বেশি বৃদ্ধি।
৮। মূত্রাশয়ের নানা সমস্যা বা মূত্র পাথরের উপস্থিতি জনিত অসুস্থতা।
৯। পূর্ণ গর্ভ অবস্থায় জরায়ুর উপর বেশি চাপ পড়া।
১০। নানা কারণে শিরায় চাপ ও তার ফলে সৃষ্ট Venous Engorgement অবস্থা।
পাইলস বা অর্শরোগ (Hemorrhoids) এর লক্ষণ:
১। বলি যতক্ষণ ভেতরে থাকে ও তা থেকে কোন রকম রক্তপাত হয় না, ততক্ষণ কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। কখনো মলদ্বারের ভেতরে ভার বোধ হয় ও পায়খানা করার ঠিক আগে ও পরে জ্বালাবোধ ও ব্যথা হতে থাকে।
২। রক্তপাত শুরু হলে রোগ নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারা যায়।
৩। পায়খানার সঙ্গে আগে বা পরে রক্তপাত হয়ে থাকে, কিন্তু ব্যথা হয় না। মাঝে মাঝে পায়খানা নরম হলে কোনো রক্তপাত হয় না। আবার যখন একটু কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, তখন রক্তপাত হতে থাকে।
৪। রক্তপাত চলতে থাকলে ক্রমে অন্য লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। সেই সব লক্ষণ হলো প্রধানতঃ মলদ্বারে ফোঁড়া, নালি ঘা প্রভৃতি।
৫। মাথাধরা ও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে, বেশি রক্তপাত হলে।
৬। হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
৭। অর্শের সঙ্গে আমাশয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগে বিলম্ব প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৮। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে অর্শ হয়। যখন প্রেসার বৃদ্ধি পায় তখন রক্তপাত হয় ও রোগী সুস্থ মনে করে। এক্ষেত্রে এটি সহসা বন্ধ করা উচিত নয়।
৯। রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
১০। কখনো বা অর্শের বলি সাময়িক হয় – যেমন গর্ভ অবস্থায়। তা পরে ভালো হয়ে যায় ও বলি শুকিয়ে যায়।
১১। কোষ্ঠকাঠিন্য মাঝে মাঝেই হয়।
হোমিও চিকিৎসা : রোগ নয়, রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। আবার অনেক চিকিৎসক বের হয়েছে নিজেদের অর্শ-ভগন্দেরের চিকিৎসক বলে থাকে। কিন্তু ওইসব ডাক্তাররা রোগীদের ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আবার মলম বা ক্রিম লাগাতে রোগীদের বলে। যেটা সাময়িক নিরাময়। কিন্তু পরে জঠিল আকার ধারণ করে। এরকম অনেক চিকিৎসক সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় এসব রোগীর অপচিকিৎসা দিয়ে থাকে। এজন্য যেসব ডাক্তার নিজেদেরকে হ্যানিম্যানের উত্তনসূরি বলে থাকে, তারা যেন রোগীর সঠিক লক্ষণ নির্বাচন করতে পারলে তা হলে হোমিওতে অর্শরোগীর চিকিৎসা আল্লাহর রহমতে দেয়া সম্ভব। প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যেসব মেডিসিন নির্বাচন করেন যেমন— এলুমিনা, এলো, আর্সেনিক এল, এন্টিম ক্রোড, এমন কার্ব, নার্কস ভোম, সালফার, ইস্কিউর্লাস হিপ, কলিন সোনিয়া, এসিডি নাইট্রেকাম ইত্যাদিসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে। এসব ওষুধ বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক ছাড়া নিজে নিজে ব্যবহার করলে রোগ আরো জঠিল আকারে পৌঁছতে পারে।
💠বিস্তারিত জানতে ম্যাসেজ অপশনে ক্লিক করুন।
অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন হটলাইনে।।
✅ রোগীদের এলার্জি, চর্মরোগ, পাইলস; টিউমার, বাত-ব্যথা, হাঁপানি / শ্বাসকষ্ট; সাদা স্রাব, বন্ধ্যাত্ব, স্তন টিউমার; জরায়ু সংক্রান্ত ব্যাধিসহ পুরুষ ও নারীদের যাবতীয় যৌন রোগের সুচিকিৎসা দেয়া হয়।
বিস্তারিত তথ্যের জন্যে কল করুনঃ
☎ +8801926845150, 01731771497(Whatsapp)
★★✅মনে রাখুন যে আপনার ডাক্তার নির্বাচনের বিষয়টির সাথে আপনার সুস্থ হবার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং ডাক্তার নির্বাচনে সতর্ক হোন।
★★📛 সারা বাংলাদেশেই হোম ডেলিভারির মাধ্যমে গ্রহকের নিকট ঔষধ পৌঁছে দেয়া হয়।★★