Homeopathic page

Homeopathic page নতুন পুরাতন শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্ল

06/10/2021

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ (২য় পর্ব)

৭. Apis Mel (এপিস মেল):
(১) মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট।
(২) জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা।
(৩) স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা।
(৪) সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।

৮. Aralia Race (এরালিয়া রেসি):
(১) হাঁপানী যুক্ত শ্বাসকাশ, শয়নে বাড়ে।
বর্ষাকালে সর্দি শুকিয়ে কাশি হলে ।
(২) দূর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব, পানির মত।
(৩) অর্শ, গুহ্যদ্বারের স্থানচ্যুতি।
(৪) রোগী সহজে প্রশ্বাস ত্যাগ করতে পারে, কিন্তু নিশ্বাস
গ্রহনের সময়ে তার কষ্ট হয়।

৯. Arnica Mont (আর্নিকা মন্ট):
(১) বেদনা, আঘাত জনিত বেদনা এবং রোগজনিত বেদনা।
যে কোন বেদনা।
(২) স্পর্শকাতরতা ও অস্থিরতা।
(৩) বিছানা শক্ত মনে হয় কিন্তু অন্যান্য কষ্ট সম্বন্ধে বলে সে
ভাল আছে।
(৪) সজ্ঞানে প্রলাপ ও আতঙ্ক।

১০. Arsenic Alb (আর্সেনিক এল্ব):
(১) নিদারুণ দুর্বলতা, অস্থিরতা ও মৃত্যু ভয়।
(২) মধ্যদিবা বা মধ্যরাতে বৃদ্ধি কিংবা মধ্যদিবা এবং মধ্যরাতে বৃদ্ধি।
(৩) প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে স্বল্প পানি পান এবং
পানি পান মাত্রই বমি।
(৪) জ্বালা ও দুর্গন্ধ।

17/05/2021

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ (১ম পর্ব)

১. Aconit Nap (একোনাইট ন্যাপ):
(১) আকস্মিকতা ও ভীষণতা । (২) মৃত্যুভয় ও অস্থিরতা ।
(৩) পিপাসা ও জ্বালা । (৪) প্রচন্ড শীত বা প্রচন্ড গরমের প্রকোপ ।

২. Acid Nitric (এসিড নাইট্রিক):
(১) স্রাবে দূর্গন্ধ, বিশেষতঃ প্রস্রাবে ।
(২) শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ও চর্মের সন্ধিস্থলে ক্ষত বা ফেঁটে যাওয়া।
(৩) কাটা ফোঁটার মত ব্যথা।
(৪) গাড়ীতে চড়ে বেড়ালে উপশম, দুধে বৃদ্ধি।

৩. Acid Phos (এসিড ফস):
(১) অবসাদ বা অবসন্নতা।
(২) দুধের মত সাদা প্রস্রাব বা ঘন ঘন প্রচুর প্রস্রাব।
(৩) উদরাময়ে উপশম এবং মলত্যাগকালে প্রচুর বায়ু নিঃসারণ।
(৪) সম্পূর্ণ তন্দ্রাচ্ছন্নভাব বা উদাসভাব।

৪. Agnus cast (এগনাস ক্যাস্ট):
(১) অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় সেবাজনিত ধাতুদৌর্বল্য।
(২) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা পুনঃপুনঃ গণোরিয়া বশতঃ ধব্জভঙ্গ দোষ।
(৩) আত্মহত্যার ইচ্ছা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ।
(৪) প্রসূতির স্তনে দুধের অভাব। নিদারুন বিষন্নতা।

৫. Allium cepa (এলিয়াম সিপা):
(১) নাসিকা হতে ক্ষতকর শ্লেষ্মাস্রাব।
(২) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ু সঞ্চার ।
(৩) কানে কটকটানি, পায়ে ঠান্ডা লেগে কষ্টকর প্রস্রাব ।
(৪) অস্ত্রপচারের পর স্নায়ুশূল, প্রসবের পর স্নায়ুশূল।

৬. Antim crud (এন্টিম ক্রুড):
(১) স্থুলদেহ এবং জিহ্বার উপর সাদা পুরু লেপ।
(২) আহারে অরুচি এবং আহারের পর বমি।
(৩) বিরক্তি, বিষন্নতা, ক্রোধ ও ক্রন্দন।
(৪) গোসল সহ্য হয় না। গোসলে ভয়।

10/03/2021
03/03/2021

হোমিও ডাক্তাগণের ছেলে-মেয়েদের ইংরেজি বর্ণমালা শিক্ষাঃ

A(a)=Aconite (একোনাইট)=একোনাইট খাব রাশি রাশি হঠাৎ হলে ঠান্ডা কাশি।
B(b)=Belladonna (বেলেডোনা)= বেলেডোনাতে যাবে মাথা ব্যাথা থাকবে না আর দুঃখ গাঁথা ।
C(c) =Capsicum (ক্যাপ্সিকাম) =ক্যাপ্সিকামের আছে কাম গলা জ্বালায় দেয় যে আরাম।
D (d) = Dulcamara (ডালকামারা) =ডাল্কামারাই হয় না বাশি শরত কালের সর্দি কাশি।
E(e)= Euphresia (ইউফ্রেসিয়া)=ইউ ফ্রেসিয়া থাকলে কাছে চোখ উঠলে মারো তাতে ।
F (f)=Ficus indica (ফিকাস ইন্ডিকা)= ফিকাস ইন্ডিকার কথা মনে পড়ে যখন গায়ে গতরে রক্ত ঝরে ।
G(g)=Gelsemium (জেলসেমিয়াম)=জেলসেমিয়াম
মিলে তাতে জ্বরের সঙ্গে সকল অংগ নিস্তেজ যাতে।
H(h)=Hypericum (হাইপেরিকাম)=হাইপেরিকামের
নাইকো আরাম পেরেক ফুটলে দেয় যে আরাম । হাইপেরিকামে হয় যে ব্যাঘাত স্নায়ুর শেষ প্রান্তে পাইলে
আঘাত।
I(i)=Ignatia (ইগ্নেসিয়া)=ইগ্নেসিয়ার অনেক কথা মনে যখন অনেক ব্যাথা।
J(j)=Justicea (জাস্টেসিয়া)=জা স্টেসিয়া থাকলে ঘরে ঘুংড়ী (তীব্র)কাশি যাবে মরে।
K(k)=kreosot(ক্রিয়জট)=ক্রিয়জট অনেকেই কয় মুখে যখন দন্ত ক্ষয়।
K(k)=kalmegh(কালমেঘ)=কালমেঘ মনে পড়ে কালাজ্বর থাকলে পড়ে।
L(l)=Lycopo dium(লাইকোপোডিয় াম)=লাইকোপোডিয়াম দিলে ক’বার জন্ডিস(যকৃত) পীড়া হবে সাবাড়।/ লাইকোপোডিয়াম দিলে পরে স্মৃতি
শক্তি বাড়ে বটে।
M(m)=Momordica charantia (মমোরডিকা ক্যারান্টিয়া)= মমোরডিকা ক্যারান্টিয়ার ভেষজ ক্রিয়া থাকেনা আর হাম পীড়া ।
N (n)=Nux vomica (নাক্স ভমিকা)=নাক্স ভমিকা খেলে পরে পেট ব্যাথা আর কোষ্ঠ্যকাঠিন্য শিথিল করে।
O(o)=Opium (ওপিয়াম)=ওপিয়াম খেলে পরে দু চোখ
ঘুমে ঢলে পরে।/ওপিয়ামের কথা মনে পড়ে নাক ডেকে কেউ ঘুমে পড়ে।
P (p)=Pulsatilla(পালসাটিলা)=পালসা টিলার অনেক গীত লাজুক লাজুক চেহারাতে যত ব্যাথা তত শীত ।
Q (q)=Quassia amara(কোয়াসিয়া আমারা)=
কোয়াসিয়া দিলে পরে পরিপাক ক্রিয়া সবল কারে।/ কোয়াসিয়াই আছে ক্রিয়া থাকবেনা আর পেটের
পীড়া/কীড়া ।
{Q(q)=Quinia Indica(কুইনিয়া ইন্ডিকা)=কুইনিয়া খাইলে ক্ষণে প্রতি ম্যালেরিয়া জ্বর ছাড়বে অতি।}
R (r)=Rhus tox(রাস টক্স)=রাস টক্স দিলে যাবে চলে সারা অংগে ব্যাথা আর ফোস্কা পূর্ণ উদ্ভেদ হলে।
S(s)=Sizygium Jambolinum(সিজিজিয়াম
জাম্বোলিনাম)=সিজিজিয়াম দিব তাদের ডায়াবেটিস আছে যাদের।
T (t)=Terebinthina(টেরেবি ন্থিনা)=টেরেবিন্থিনা দিব
(খাওয়া্বো)তাদের মূত্র শূলে রক্ত যাদের।
U(u)=Urtica urens(আরটিকা ইউরেন্স)=আর্টিকা ইউরেন্স দিব তখন তখন আমবাত হবে যখন যখন।
V(v)=Verbascum(ভার্বাস্কাম)=ভা র্বাস্কাম তেলের নাম যাতে আছে কর্নশুলের কাম।
W(w)=Withania sominifera (উইদানিয়া সমিনিফেরা)= উইদানিয়া সমিনিফেরার নাইকো জুরী যাতে বল শক্তি সবল করি ।
X(x)=Xanthoxylum (এক্সান্থক্সাইলাম/জ্যান্থক্সাইলাম)
=এক্সান্থক্সাইলাম দিব সাথে সাথে বাধক ব্যাথার তৎখনাতে ।
Y(y)=Youhimbinum (ইউহিম্বিনাম)=ই উহিম্বিনাম এমনই নাম যাতে বাড়ে (পুরুষের)স্নায়ুর কাম ।
Z(z)=Zingiber (জিঞ্জিবার)=জিঞ্জিবার খেলে গিলে বদহজম জাবে মিলে ।/ জিঞ্জিবার রাখো সাথে বদহজম থাকলে সাথে। / জিঞ্জিবার খাবে না যারা বদহজমে থাকবে তারা ।

23/02/2021

(৪) আর্সেনিক অ্যালবাম
করোনা ভাইরাস উপদ্রব সহ সব ধরনের মহামারী, ডেঙ্গু, SARS (মারাত্মক তীব্র শ্বাসপ্রশ্বাস সিন্ড্রোম), Prophylaxis (প্রতিষেধক)এর জন্য —আর্সেনিক অ্যালবাম- 200, বাঞ্ছনীয়।
আজ যে আর্সেনিক এ্যালবাম ৩০, কেনার জন্য হাজার হাজার লাখো লাখো মানুষ ঘুরছে, দৌড়াচ্ছে,
এই সূক্ষ্ম, ডাইনামিক আর্সেনিক ঔষধটি কিন্তু হ্যানিমান ক্রুড আর্সেনিক থেকে তৈরি করেছিলেন এবং প্রুভিং করেছিলেন ১৮০৫ সালের আগেই, কিন্তু ১৮০৫ সালে তিনি ল্যাটিন ভাষায় প্রথম যে মেটিরিয়া মেডিকা বই পাবলিশ করেছিলেন সেই বই– ” ফ্রাগমেন্টা ডি ভিরিবুস মেডিকামেন্টারাম পজিটিভিস শিবে ইন স্যানো করপরী হিউম্যানো অবজারভেটিস ” বইয়ে আর্সেনিক দেন নি, এমন কি ১৮১১ সালে যখন মেটিরিয়া মেডিকা পিউরা পাবলিশ করেন, সেই বইয়েও তিনি আর্সেনিক ঢুকান নি, অনেক পরে ১৮১৬ সালে তিনি মেটিরিয়া মেডিকা পিউরার দ্বিতীয় ভলিউমে আর্সেনিক ঢোকান, ফলে আর্সেনিক ক্রুড বিষ থেকে তৈরী হওয়া হোমিওপ্যাথিক সূক্ষ শক্তিকৃত ঔষধ দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মানব কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।
কারণ ? কারণ—- ভয়, কিসের ভয়?
১৮১০ সালে অর্গানন বই বেরোনোর পর থেকে তার উপরে যে সব শারীরিক ও মানসিক আক্রমণ চলছিলো, হোমিওপ্যাথি নিয়ে যা সব চক্রান্ত চলছিলো, তখনকার অর্থোডক্স চিকিৎসকরা যেভাবে তার পিছনে লেগেছিলো, তাতে দূরদর্শী হ্যানিমানের মনে হয়েছিল —-আর্সেনিকের কথা শুনলে তাকে “পয়জন ডক্টর”, বলে আরও বিদ্রুপ ও বিব্রত করবে, অর্থোডক্সরা সাধারণ লোকজনদের ক্ষেপিয়ে দেবে এবং নানা রকম সমস্যায় ফেলবে, তবু শেষ রক্ষা হয় নি, জার্মানীর ডাঃ রথ নামে একজন আর্সেনিক মেটিরিয়া মেডিকা পিউরাতে দেওয়ার সাথে সাথেই কিছুটা বাঁদরনাচ নেচেছিল।
১৮১৬ সালের পরে অবশ্য ১৮২৮ সালে হ্যানিমান পুনরায় তার ক্রনিক ডিজিজ বইয়ে আর্সেনিক ঢুকিয়েছিলেন, সেইজন্য ক্রনিক ডিজিজে আর্সেনিক সম্মন্ধে লিখতে প্রথম লাইনটাই আছে তার—-
As I write down the word Arsenic, momentous memories seize upon my soul,
(অার্সেনিক সম্মন্ধে লিখতে বসলেই স্মৃতির সরণী আমার আত্মাকে, মননকে বড্ড ধাক্কা দেয়),
আর আজ করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য আর্সেনিককে প্রোফাইলেকটিক মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বটে, কিন্তু এর আগে ১৮৪৯ সালে কলেরার প্রফাইলেকটিক হিসাবে এডিনবার্গ শহরের ডাঃ রাসেল, এবং লিভারপুল শহরের ডাঃ ড্রিসডেল আর্সেনিককে কলেরার মহান প্রতিষেধক এবং প্রতিকার মূলক ঔষধ হিসাবে বিবৃতি দিয়েছিলেন ও ব্যবহার করেছিলেন,

আর্সেনিক এ্যালবাম মানেই তো-
★ মৃত্যুভয় ও উৎকন্ঠা খুব বেশী,
★ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন থাকে, বা থাকতে চায়,
★ খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের,
★ অত্যাধিক মানসিক অস্থিরতা,
★ খুব দূর্বলতা,
★ খুব পিপাসা, বারে বারে জল খেতে চায়, কিন্তু একবারে বেশী খায় না,
★ দুপুরের দিকে এবং মাঝরাতে কষ্টগুলির সাধারণতঃ বৃদ্ধি হয়,
★ শীত বেশী, গরমে সব কষ্টের উপশম হয়, তবে মাথার ব্যাপার হলে ঠান্ডায় আরাম,
★ সকল ডিসচার্জ বা স্রাব ভীষণ দূর্গন্ধ,
★ শরীরে জ্বালা, বা সকল ব্যথার চরিত্র জ্বালাকর, যা গরমে বা গরম সেঁকে ভাল লাগে,
★ রোগের ব্যাপারে খুব হতাশ হয়ে পড়ে, মনে হয় সে আর বাঁচবে না, বাড়ীর লোকদের বলে তার জন্য বৃথা খরচ করে আর লাভ নেই, টাকাটা রাখলেই বরং তাদের পরে কাজে লাগবে,
ব্যাস, মেটিরিয়া দখল করতে পাতার পর পাতা লাগে না,
উপরের সিমপটমসগুলি হৃদয়ঙ্গম হলে আর্সেনিক সিলেকশন করতে অসুবিধা হয় না,

আর্সেনিকের একটি প্রধান লক্ষন কি?
আগেও বলেছি—
★ মৃত্যুভয়,
★ তীব্র উৎকন্ঠা,
★ তীব্র মানসিক অস্থিরতা,
★ মাঝদিবা বা মাঝরাতে বৃদ্ধি,
★ শীতকাতরতা,
★ অল্প অল্প করে বারবার জলপান,
★ জ্বালা, গরম কয়লার মতন শরীরে বা এ্যাফেকটেড অংশে জ্বালা,
★ নিদারুন দূর্বলতা,
এই প্রত্যেকটা সিমপটমের উপরে আরও ২/১ টা কোন না কোন ঔষধ আছে, মানে পাওয়া যাবে,
কিন্তু যে সিমপটমটা আর্সেনিকের একেবারে নিজস্ব, আর কোন ঔষধই নেই
(Only and only to Arsenic Alb),
তা হল—
Great Prostration,
with rapid sinking of the vital forces,
may cause fainting.
শুধু Prostration নয়,
Great Prostration নয়,
Great prostration with rapid sinking of the vital forces,
which may cause fainting,
নিদারুন দূর্বলতার সাথে জীবনীশক্তি সংঘাতিকভাবে লোপ পেয়ে যায়, মনে হয় যেন রোগী এখনিই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে,
তার মানে Weakness বা Prostration — Out of sufferings,
★এই দূর্বলতা ও জীবনীশক্তির হ্রাস- তার রোগের সাথে মানায় না,
★এই দূর্বলতা ও জীবনীশক্তির হ্রাস- এই রোগে তার হওয়া উচিত নয়,
★এই দূর্বলতা ও জীবনীশক্তির হ্রাস এই রোগে হয়, এমন কথা কোন প্রাকটিস অব মেডিসিনে বলাও নেই,
★ এ এক বিষম দূর্বলতা, অসহনীয় দূর্বলতা, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনের দূর্বলতা, যেমন—
★ সামান্য ১ দিনের জ্বরে রোগী মাথা তুলতে পারছে না, কথা বলতে পারছে না, সোজা হয়ে বসে থাকতে পারছে না, মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে, — এরকম তো কারুর হয় না, এ রকম তো হওয়ার কথা নয়,
★ দুই/তিন বার পাতলা পায়খানার পরে রোগী কাঁপছে, দূর্বলতায় চোখে অন্ধকার দেখছে, তার হাতের ও পায়ের আঙুলে খিল ধরছে, ডাকলে সে সাড়া দিচ্ছে না, মনে হচ্ছে এখুনি বোধ হয় সে মারা যাবে, এখুনি মনে হয় তার জীবনদীপ নিভে যাবে, এরকম ত সাধারণত কারুর হয় না,
তাই বলা হচ্ছে — সাংঘাতিক বা নিদারুণ দূর্বলতা, যে দূর্বলতা অঙ্কে মেলে না, যে দূর্বলতা অতি দ্রুত জীবনীশক্তির পারদকে একেবারে নীচে নামিয়ে দেয়, যে দূর্বলতা রোগীকে নিস্তেজ ও মৃতবৎ করে দেয়,
ডাঃ নরেন ব্যানার্জী হেডিংয়ে নিদারুন দূর্বলতার সাথে জীবনীশক্তির এই সাংঘাতিক বিপর্যয় বলেন নি কিন্তু দূর্বলতা বিশ্লেষণ করার সময় সামান্য উদাহরণ দিয়েছেন।
ডাঃ হেনরি এ্যালেন তার ক্লাসিক বই কিনোটস অব দ্য লিডিং রেমিডিস বইয়ে আর্সেনিকের ছবি আঁকতে গিয়ে একেবারে প্রথমেই লিখেছেন—
★ Great Prostration,
★with rapid sinking of the vital forces,
★ fainting.
সামান্য ব্যাপারেই, সামান্য রোগে, সামান্য ভোগান্তিতেই এক নিদারুন দূর্বলতা রোগীর জীবনীশক্তিকে পরাভূত করে তাকে শুইয়ে দিতে পারে, বা নিস্তেজ করে দিতে পারে, যা কোন হিসাবে মেলে না —
কেন এমন হল, বা হচ্ছে,
— এই সিমপটম সমগ্র মেটিরিয়ার মধ্যে আর কোন ঔষধেই নেই,
জেলসিমিয়ামে রোগের সাথে দূর্বলতা থাকে বটে, তবে সে দূর্বলতা এমন মারণ দূর্বলতা নয়, এমন নিদারুন দূর্বলতা নয়, তার বড়জোর একটু ঘুমঘুম ভাব থাকে, সেখানে তাই কেউ নিদারুন দূর্বলতার সাথে জীবনীশক্তির সাংঘাতিক বিপর্যয় লেখেনি, লেখেনি— Great Prostration with rapid sinking of the vital forces,

—– আমাদের এক সহকর্মীদের মতামত,
১) গত ১২ বছরে হোমিওপ্যাথি ও মানব স্বাস্থ্যের ব্যাপক গবেষণায়, আমি মেসেনটেরিক গ্রন্থি ও লিম্ফটিক ড্রেনেজের কাজ ও স্বাস্থ্যের উপর মনোযোগ দিয়েছি । যেহেতু আমি জীবাণু তত্ত্ব গ্রহণ করি না, আমি অনুভব করি যে শরীরের সমস্ত রোগ শরীরের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ সঞ্চালন, রক্ত সঞ্চালন, লিম্ফটিক নিষ্কাশন, হজম এবং এক্সক্রিটরি অঙ্গের ফাংশন সহ ।
দয়া করে আমাদের গবেষণা ও ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ গতিবিদ্যা হোমিওপ্যাথি সফটওয়্যার থেকে নেওয়া হয়েছে ।
২) আমি আমার আর্সেনিকাম অ্যালবামের সুপারিশ শুরু করছি অধিকাংশ মহামারীর জন্য প্রফিল্যাকটিক হিসেবে, এর কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে মেসেনটেরিক গ্রন্থিগুলোর চিকিৎসা এবং যক্ষ্মা চিকিৎসার জন্য ।
৩) যেহেতু সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ অতিরিক্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করেছে, যা শরীরের মধ্যে সব ধরনের সঞ্চালন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এই কারণেই আমি রুব্রিক বেছে নিয়েছি – ঔষধের পর নেশা, এবং আর্সেনিকাম অ্যালবাম আলপ্যাথিক বিষাক্ত প্রভাব কভার করে শরীরের উপর ড্রাগ ।
৪) আর্সেনিকাম অ্যালবাম ঘটনা যক্ষ্মা এর প্রতিকার, যেহেতু আমাদের অধিকাংশই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় গত ৩-৪ প্রজন্মের মধ্যে যক্ষ্মা বা মারাত্মক শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে ।
৫) আর্সেনিকাম অ্যালবাম, ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিকার হওয়ার পাশাপাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় বা পরে নিউমোনিয়ার প্রতিকার, এবং, করোনা ভাইরাসের বর্তমান মহামারীর জন্য রিপোর্ট করা লক্ষণ ইনফ্লুয়েঞ্জা অভিন্ন, কিন্তু মারাত্মক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া সম্ভাবনা নিয়ে, আর্সেনিকাম অ্যালবাম এই সব লক্ষণ কভার করে ।
৬). আর্সেনিকাম অ্যালবাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে গলা ব্যথা প্রযোজ্য আমার গবেষণা এবং হোমিওপ্যাথি অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে, এগুলো আমার prophylaxis জন্য সুপারিশ ।
সুতরাং, আমি আমার সকল হোমিওপ্যাথিক সহকর্মীদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি দয়া করে আমার সুপারিশ পর্যালোচনা করুন এবং আপনার জ্ঞান এবং হোমিওপ্যাথি অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে জটিল পর্যালোচনা দিন ।
নোট —- এটি হোমিওপ্যাথিক দর্শন এবং রুব্রিকস এর উপর ভিত্তি করে গবেষণা, এটি কোন চিকিৎসার সুপারিশ নয়, এটা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের তথ্যের জন্য, যে কোন সংক্রামক রোগ থেকে যে কোন চিকিৎসা বা সুরক্ষার জন্য।
সংকলক———–

14/02/2021

Actea raecemosa/Cimicifuga (একটিয়া রেসিমোসা)

উৎসঃ ব্ল্যাক স্নেকরূট নামক গুল্ম হইতে টিংচার প্রস্তুত হয়।

মানসিক লক্ষণ সমূহঃ
১। ক্ষোভপূর্ণ
২। রোগি বলে বেড়ায় আমি পাগল হয়ে যাবো।
৩। ভীষণ মানসিক অবসাদ।
৪। সবসময় খুবই বিষন্ন থাকে।
৫। ভয় ও সন্দেহে থাকে।
৬। গাড়ীর মধ্যে উঠতে ভয় পায়।
৭। কল্পনায় ছোট ছোট ইঁদুর দৌড়াতে দেখে।
৮। অনবরত কথা বলতে থাকে যা এক বিষয় থেকে অন্য বিষয় চলে যায়।
৯। স্নায়ুশুল বেশী হলে পাগলের মত হয়।
১০। ঔষধ খেতে চায় না।
১১। একটি ঘন কালো মেঘ খন্ড যেন রোগিকে ঘিরে রাখছে এমন অনুভীতি।
১২। কল্প প্রলাপ এমন, যেন রোগী তার নিজের শরীরকে নিজেই জখম করছে।

বিশেষ ব্যতিক্রমি লক্ষণঃ
১. রোগী চোখের সামনে, ঘরের ভিতর ইঁদুর দৌড়তে দেখে।অথচ তার পাশে বসেও কেই দেখেনা। অর্থাৎ এটি মানষিক রোগের কারনে দেখে।
২. রোগী যেপাশে শোয় সে পাশের গোস্ত কাঁপতে থাকে।
৩. রক্তস্রাব যত বেশি হয়, বেদনা তত বৃদ্ধি হয়। অর্থাৎ যত স্রাব তত ব্যাথা।

কাতরতাঃ শীত।

মায়াজমঃ এন্টি সাইকোটিক।

ক্রিয়াস্থান :
মস্তিষ্ক, মেরুমজ্জা, মাংসপেশী সমুহ, জরায়ু, ডিম্বাধার ও তলপেটে ইহার প্রধান ক্রিয়া। ইহা শরীরের বাম দিকে অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে। সে জন্য ইহা দ্বারা বাম ডিম্বকোষের প্রদাহ, ডিম্বাকোষের স্নায়বিক বেদনা, বাম ঘাড়ের ও কাঁধের বেদনা, ঘাড় শক্ত হওয়া, জরায়ু বা ডিম্বাকোষের বিকৃতির জন্য হিষ্টিরিয়া।

প্রয়োগ ক্ষেত্র :
১। প্রসব বেদনা
২। বাত পিড়া
৩। কাশি
৪। অনিদ্রা
৫। তান্ডব পিড়া
৬। ঋতু পিড়া

বৃদ্ধি :
প্রাতে, ঠান্ডায়, ঋতুকালে, স্পর্শে, দেহ সঞ্চালনে, রাত্রে, সন্ধ্যায়।

হ্রাস :
আহারে, উত্তাপে, বিশ্রামে, নির্মল বায়ুতে।

সম্বন্ধযুক্ত ঔষধ :
জরায়ু বা বাতের বেদনায় কলোফাইলম, পালসেটিলা, লিলিয়াম, সিপিয়া, এগারিকাস, ম্যাক্রোটিন।

ক্রিয়ানাশক :
একোনাইট, ব্যাপটিসিয়া।

ক্রিয়াস্থিতিকাল :
৬ থেকে ১২ দিন।

ব্যবহার শক্তি :
১২ হইতে ২০০ শক্তি ।

11/02/2021

Cina – সিনা

উৎস
একপ্রকার চারাগাছের শুষ্ক হইতে টিংচার প্রস্তুত হয়।

সিনার প্রাপ্তিস্থান
রাশিয়ায় ইহা বিস্তৃতভাবে ছড়ানো। এশিয়া মাইনর, আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন অংশে, ভারতে, আমেরিকা এবং কাশ্মীরে ইহা উৎপন্ন হইয়া থাকে। তুর্কীস্থানের কিরমিজ অঞ্চলে ইহা প্রচুর পরিমাণে জম্মিয়া থাকে।

প্রুভার
ডাঃ হ্যানিমান ইহা প্রুভ করেন।

ক্রিয়াস্থান
মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য যন্ত্রের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে।
অন্ত্রের উপরে উহার প্রদান ক্রিয়া প্রকাশ হইয়া থাকে।

মনসিক লক্ষণ
১। সর্বদাই খাই খাই ভাব অথচ কিছুই খায়না ।
২। রোগী একাকী ও নির্জনে থাকিতে ভালবাসে, মসনিক বিষাদ ।
৩। খেলা করিতে করিতে সহপার্টীকে কামড় দেয় । (এন্টিম ক্রুট)
৪। শিশু সামান্য কারণে রাগিয়া যায় ।
৫। রোগী খিটখিটে প্রকৃতির ।

সিনার চরিত্রগত লক্ষণ
১. রোগীর প্রবল ক্ষুধা ।
২. খাই খাই করে কিছুই খায়না, দিন দিন শীর্ণ হইয়া যায় ।
৩. শিশু ঘ্যান ঘ্যান করে ও কাঁদে, মিষ্টিদ্রব্য খাইতে চায় । (আজ্জেন্ট নাইট)
৪. ঘুমের মধ্যে দাঁত কড়কড় করে, শিশু শুধু নাক খোঁটে ও চুলকায় ।
৫. চক্ষুর কোনে নিল আভা অথবা কালিমা পড়ে ।
৬. নিদ্রিত অবস্থায় শিশু চিৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠে এবং করুন স্বরে কাঁদে।
৭. মিষ্টিদ্রব্য এবং অন্যান্য বস্তু খাইতে ভালবাসে, কিন্তু স্থনের দুগ্ধ খায় না।
৮. প্রস্রাব প্রথমে ঘোলা, পরে চুনা এবং খড়ি গোলার মত হইয়া যায় ।
৯. আসাড়ে প্রস্রাব ।
১০. শিশু জননেন্দ্রিয়ে বার বার হাত দেয় ।
১১. নাভির চতুর্দিকে বেদনা হয়, মুখ দিয়ে জল উঠে ।
১২. কাশিবার সময় গলার মধ্যে কোঁ কোঁ শব্দ হয় ।

চক্ষু পীড়ার লক্ষণঃ
চক্ষুর তারা প্রসারিত, দৃষ্টি হলদে দেখায়, পড়িতে আরম্ভ করিলে চোখে ব্যথা করে। চোখের সামনে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখে। চক্ষু রগড়াইলে লক্ষন উপসম হয়।

কাশিঃ
সকাল বেলায় কাশিতে কাশিতে শ্বাস রোগের ন্যায় অবস্থা হয়। হুপিং কাশি, এত ভীষণ হয় যে, তাহার ফলে চক্ষুতে পানি আসে ও বুকে ব্যথা হয়। বসন্ত ও শরৎকালে রোগের প্রত্যাবর্তন। শিশু কাশির পর করুন স্বরে কাঁদে এবং কাশিতে কাশিতে শিশু শক্ত হইয়া পড়ে।

কৃমি লক্ষণঃ
বার বার নাকে হাতদে ও নাক খুঁটিতে থাকে, কৃমির জন্য ছোট ছোট মেয়েদের জরায়ু হইতে রক্তস্রাব।

জ্বরঃ
সিনার জ্বর ক্ষণে ক্ষণে উঠা-নামা করিতে থাকে, অর্থাৎ এই মাত্র ১০৪ ডিগ্রী, আবার দেখা যায় ৯৯ ডিগ্রী, তার পর আবার দেখা যায় ১০২ ডিগ্রী। কি চায় বা কি চায় না রোগী নিজেও বুঝিতে পারেন। কে কি বলিতেছে কে কি করিতেছে সবদিকে তাহার লক্ষ্য থাকে এবং যদি বুঝিতে পারে তাহার সম্বন্ধে বলা হইয়াছে তখনি বিরক্ত হইয়া পড়ে।

শিশু লক্ষণঃ
১। শিশু কোলে উঠিয়া বেড়াইতে চায়, কিম্বা কোলে বসিয়া দোল খাইতেও ভালবাসে।
২। কখন যে শিশু কি চায় তাহা ঠিক বুঝিতে পারা যায় না।
৩। পেটের উপর চাপ দিয়ে শুইয়া থাকে।
৪। অপরিচিত ব্যক্তিকে পছন্দ করে না।
৫। শিশু পুরুষাঙ্গ ঘাঁটিতে থাকে ।
৬। আদর করা পছন্দ করে না।
৭। সর্বদাই বিরক্ত করে।

লক্ষণ বৃদ্ধিঃ
রাত্রিকালে, কোন জিনিসের প্রতি তাকাইলে, জলপানে, কথা বলিলে, হাসিলে, গ্রীম্মকালে, রৌদ্রে।

লক্ষণ উপশমঃ
শিশু কোলে উঠায়া দোল খাইলে, ঘর্ষণে।

সিনা সম্বন্ধযুক্ত ঔষধঃ
হুপিং কাশিতে ড্রসেরার পর সিনা এবং কৃমিতে সিনায় ফল না হইলে টিউক্রিয়াম, স্যান্টোনাইন, ষ্ট্যানম, স্পাইজেলিয়া। ক্ষুদ্র কৃমিতে কোয়াশিয়া এন্ডিকা।

সিনার সদৃশ ঔষধঃ
এন্টিম ক্রুট, ইগ্নেসিয়া, সাইলেসিয়া, ষ্ট্র্যাফিসেগ্রিয়া, ক্যামোমিলা, ক্রিয়োজোট, এন্টিম টার্ট।

ক্রিয়ানাশক ঔষধঃ
ক্যামোমিলা, ক্যাপসিকাম, আর্ণিকা, ক্যাম্ফার, চায়না।

ক্রিয়াকালঃ
১৬ থেকে ২০ দিন|

ব্যবহার শক্তিঃ
৩x হইতে ২০০ শক্তি।

Address

Natore

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Homeopathic page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share



You may also like