18/10/2025
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২% ইহুদী হওয়া সত্বেও কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে জেন তারা এগিয়ে?
১.শিক্ষার প্রতি গভীর গুরুত্ব
ইহুদি সমাজে শিক্ষা ধর্মীয় দায়িত্বের অংশ বলে মনে করা হয়।
ছোটবেলা থেকেই তারা “শেখা”কে ইবাদতের মতো মনে করে।
বাবা-মা সন্তানদের গল্প, পাঠ, প্রশ্ন করা ও বিশ্লেষণ শেখায়।
শিশুরা ছোট থেকেই বই, ইতিহাস, যুক্তি ও প্রশ্ন করতে উৎসাহ পায়।
📚 ২. পরিবারভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্কৃতি
ইহুদিদের পরিবারে খাবারের টেবিলেও আলোচনা হয় বিজ্ঞান, নীতি, দর্শন ও সমাজ নিয়ে।
এভাবে শিশুরা যুক্তি ও বিশ্লেষণমূলক চিন্তায় বড় হয়।
🧬 ৩. ঐতিহাসিক প্রতিকূলতা ও মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা
হাজার বছর ধরে ইহুদিরা নানা দেশ থেকে বিতাড়িত ও নির্যাতিত হয়েছে।
ফলে তারা বুদ্ধি, কৌশল ও শিক্ষাকে বেঁচে থাকার অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে।
এই মানসিকতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনগতভাবে কিছুটা স্থানান্তরিতও হয়েছে (যাকে “gene–culture coevolution” বলে)।
🕍 ৪. ধর্মীয় শিক্ষা ও যুক্তি চর্চা
তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ তালমুদ (Talmud) পড়ানো হয় ছোটবেলা থেকেই।
এই বইটি মূলত প্রশ্ন-উত্তর, বিশ্লেষণ, বিতর্ক ও যুক্তিনির্ভর শিক্ষা দেয়।
ফলে তাদের চিন্তাশক্তি খুব তীক্ষ্ণ হয়।
💡 ৫. সম্প্রদায়িক সহায়তা
ইহুদি সমাজে “একজনের সফলতা মানে সবার সফলতা” — এই ধারণা প্রবল।
তারা একে অপরকে অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত ও মানসিকভাবে সাহায্য করে।
ফলে শিশুরা নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং মনোযোগ দিতে পারে মেধা বিকাশে।
📈 ৬. বৈজ্ঞানিক পরিসংখ্যান
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২% ইহুদি,
কিন্তু নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের প্রায় ২০–২৫% ইহুদি।
অর্থাৎ, সংখ্যায় কম হলেও শিক্ষাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সাফল্যে তারা অনেক এগিয়ে।