HomeoCure

HomeoCure "LIKE CURE LIKE" Homeopathy was conceived in 1796 by the German physician Samuel Hahnemann.

03/08/2025

আঘাত বা ইনজুরি ও অভ্যন্তরীণ রোগের মধ্যে পার্থক্য কী? এটা বোঝা কেন জরুরি?

বেনজির আহমেদ (বিকাশ)
৫ম ব্যাচ, হোমওডাইজেস্ট
গাইডেন্স প্রোগ্রাম

রোগ আমাদের Organism এ লক্ষণসমষ্টির মাধ্যমে (signs and symptoms) প্রকাশিত হয়, তবে সকল লক্ষণের দ্বারাই রোগের বর্হিঃপ্রকাশ ঘটে না। যেহেতু, জীবনীশক্তির বিচ্যুতিই রোগ সুতরাং একটি লক্ষণ যদি জীবনীশক্তির বিচ্যুতির সাথে সম্পর্কিত না হয় তাহলে সেটিকে রোগের লক্ষণ বলা যাবে না (প্রকৃত রোগ বা অভ্যন্তরীণ রোগ)।

সকল আঘাতই আমাদের মধ্যে লক্ষণ তৈরি করে এবং সেই লক্ষণগুলো হলো সত্যিকারের local malady (স্থানীয় রোগ), যা সাধারণত আক্রান্ত অংশের মধ্যে সীমিত থাকে (রোগ বা জীবনীশক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে না)। এবং সেই অবস্থাটি জটিলতা প্রাপ্ত না হলে (চির রোগে রূপান্তরিত না হলে) বেশিরভাগ লক্ষণগুলো সময় এমনিতেই দূর হয়, আবার অনেক সময় তীব্র আঘাতজনিত অবস্থায় ইমারজেন্সি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, যেমন, হাঁড় ভেঙে যাওয়া, জয়েন্ট এর স্থানচ্যুতি, আঘাতজনিত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা রক্ত বন্ধ না হওয়া, ইত্যাদি। অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ রোগ হলো, একজন ব্যক্তির সম্পূর্ণ অস্তিত্বের রূপান্তর বা তার জীবনীশক্তির রূপান্তর, যেটিকে আমরা সাধারণভাবে চির রোগ বলে উল্লেখ করে থাকি, যার মূলে থাকে মায়াজম বা প্রাপ্ত ও অর্জিত প্রিডিসপোজিশন। একটি রোগে রোগীর তিনটি স্তরের যেকোনো একটি, দুইটি বা তিনটিতেই লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। এর মধ্যে স্থানীয় লক্ষণও অর্ন্তভুক্ত, তবে সেগুলো জীবীশক্তির দ্বারা সৃষ্ট। সুতরাং, আঘাত বা ইনজুরি ও অভ্যন্তরীণ রোগের মধ্যে পার্থক্য হলো, ইনজুরি কোনো রোগ নয় বা এটি রোগাগ্রস্ত জীবনীশক্তির থেকে সৃষ্ট নয় এবং অভ্যন্তরীণ রোগ জীবনীশক্তির রোগসূচক পরিবর্তন থেকে সৃষ্ট (মায়াজমের কারণে)। তবে উপযুক্ত পরিবেশে বা রোগীর মধ্যে উপযুক্ত প্রিডিস্পোজিশন থাকলে ইনজুরি চিররোগে রূপান্তরিত হয়।

আবার, একটি কেইসে রোগীর লক্ষণসমষ্টি সংগ্রহ করার পর ঔষধ প্রয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট এপ্র্যোচ বাছাই করতে হয়, তা হতে পারে Recent Injury, Layer or Remote injury, Constitutional, ইত্যাদি। রোগীর বর্তমান অবস্থাটি আঘাতের তরুণ প্রকাশ, আঘাত জনিত সৃষ্ট লেয়ার না আঘাতের ফলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ধাতুগত অবস্থা, ইত্যাদি বিষয়গুলো নির্ধারণ করার জন্য ইনজুরি ও অভ্যন্তরীণ রোগের মধ্যে পার্থক্য বোঝা বা নিরুপণ করা অপরিহার্য। অন্যথায় চিকিৎসক ভুল লক্ষণের উপর নির্ভর করে ভুল ঔষধ প্রয়োগ করে বসবেন, যা একই সাথে রোগী, চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথির জন্য অকল্যাণকর।

একটা ইনজুরি একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থাতে কী কী দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সাধন করতে পারে? কখন ও কীভাবে এই পরিবর্তন ঘটে?

একটি ইনজুরি একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থাতে কিধরনের পরিবর্তন ঘটাবে, তার স্থয়িত্ব কেমন হবে তা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর, ১) ইনজুরি ধরন, তীব্রতা, ইত্যাদি, ২) আঘাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জীবনীশক্তির অবস্থা বা প্রিডিসপোজিশন, ৩) ইনজুরির ফলে সৃষ্ট অবস্থাটিকে কিভাবে চিকিৎসা করা হবে তার উপর।

ইনজুরি একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থাতে যেসকল দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন সাধন করতে পারে, যথা,
1. রোগীর মধ্যে নতুন একটি লেয়ার তৈরি — এক্ষেত্রে রোগীর জীবীনশক্তিতে ফ্রিকোয়েন্সির কিছু অংশের পরিবর্তন ঘটে যা নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণের দ্বারা প্রকাশ পায়।
2. রোগীর বর্তমান রোগাবস্থার বৃদ্ধি — কিছুক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে কোনো লেয়ার তৈরি না হয়ে রোগীর সার্বিক রোগাবস্থা বা জীবনীশক্তির ফ্রিকোয়েন্সিকে সার্বিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। ফলে, রোগীর চিররোগের বর্তমান অবস্থাটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত। এখনে সাধারনত সুপ্ত প্রিডিসপোজিশন সচল হয় না, বরং এক্যটিভ প্রিডিসপোজিশনগুলো আরো শক্তিশালী হয়।
3. রোগীর বর্তমান রোগাবস্থা বা constittution এর রূপান্তর ঘটিে একটি নতুন অবস্থা সৃষ্টি — এটি অনেকটা নতুন লেয়ার তৈরি হওয়ার মতোই তবে এখনে রোগীর সার্বিক অবস্থার রূপান্তর ঘটে বা জীবনীশক্তির ফ্রিকোয়েন্সির রেঞ্জ রোগীর সর্বশেষ বিরাজিত রেঞ্জ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে বিচ্যুত হয়। রোগীর কিছু প্রিডিসপোজিশন সচল হয় এবং কিছু দুর্বল হয়। সাধারণত, খুব বেশি মাত্রার ইনজুরি কারণে এমনটি ঘটে।

একিউট রোগাবস্থাকে কেন অভ্যন্তরীণ মায়াজমের সাময়িক স্ফূরণ (Flare-up) বলা হয়- ব্যাখ্যা করুন।

আমাদের Organism এর কেন্দ্রবিন্দু হলো জীবনীশক্তি। এটি Organism এর সকল কার্যকলাপ পরিচালনা করে এবং একই সাথে আমাদের Organism -কে বাহ্যিক পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়। মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন তখনই হয়, যখন একটি Organism বাহ্যিক কোনো কিছু দ্বারা প্রভাবিত হয়, এই প্রভাবের প্রভাবক হলো Initial action। এবং জীবনীশক্তি এই Initial action কে অনুধাবন করে তার মাত্রা অনুযায়ী একটি বিপরীত ক্রিয়া ঘটায় যাকে Counter action বলা হয়। সুস্থ এবং অসুস্থ উভয় অবস্থাতে জীবনীশক্তি অবিরত Initial action এর বিপরীতে Counter action ঘটানোর মধ্যে Homeostatis বজায় রাখে। জীবনীশক্তি যখন রোগশক্তির প্রভাবে পরিবর্তিত হয় তখন জীবনীশক্তি দুর্বল হয়, এটির Counter action সৃষ্টি করার প্রবণতার মধ্যে কিছু পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে জীবনীশক্তির সুস্থ অবস্থার মতো Initial action বা উত্তেজক কারণ গুলোকে মোকাবেলা করতে পারে না।

জীবনীশক্তি উত্তেজক কারণগুলোকে যথাযথ ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে জীবনীশক্তির অবস্থা অনুসারে দুইটি ঘটনা ঘটতে পারে, ১) তরুণ রোগ দেখা দেওয়া, ২) রোগীর চির রোগের বৃদ্ধি ঘটা বা জীবনীশক্তির অবনতি — জীবনীশক্তি খুব বেশি পরিমাণে দুর্বল হলে তা উত্তেজক কারণের প্রভাব গুলো দূর করতে পারে না ফলে Homeostasis রক্ষার্থে rebalance ঘটায়। যখন, অসুস্থ জীবনীশক্তি উত্তেজক করণের প্রভাব গুলো দূর করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে তখন উপযুক্ত উত্তেজক কারণের উপস্থিতিতে তার প্রভাব দূর করার জন্য Organism এ একটি সাময়িক, তীব্র rebalance ঘটায়, এটিকে আমরা তরুণ রোগ বলে জানি। যেহেতু, মায়াজম না থাকলে জীবনীশক্তি দুর্বল হতো না এবং তখন উত্তেজক কারণের প্রভাবগুলো স্বাভাবিকভাবে দূর করার মতো শক্তি তার থাকতে, কিন্তু মায়াজম থাকার দরুন তাকে ঐ একই কাজটি তরুণ রোগ সৃষ্টি করার মধ্যমে করতে হচ্ছে, এজন্য তরুণ রোগাবস্থাকে অভ্যন্তরীণ মায়াজমের সাময়িক স্ফূরণ বলা হয়।

কেন অনেক একিউট রোগাবস্থার পরে এন্টিমায়াজমেটিক ঔষধ দেয়া প্রয়োজনীয় কিংবা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে?

ডাঃ হ্যানিম্যনের মতে তরুণ রোগ হলো মায়াজমের সাময়িক উচ্ছাস। কোনো রোগীরতে তরুণ রোগ দেখা দেওয়ার অর্থ হলো তার জীবনীশক্তি একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্য দুর্বল বা সাসেটিবল। এবং রোগীর সেই দুর্বলতা, উত্তেজক কারণের ধরন ও তীব্রতা, ইত্যাদি অনুসারে তরুণ রোগটি একটি নির্দিষ্ট ভোগকাল, তীব্রতা ও লক্ষণসমষ্টি নিয়ে প্রকাশ পায়। একটি তরুণ রোগে ভোগার পরে একটি রোগীর জীবনীশক্তিতে তিন ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, ১) জীবনীশক্তির উন্নতি, ২) বোধগম্য কোনো উন্নতি বা অবনতি ঘটে না, ৩) জীবনীশক্তির অবনতি।

জীবনীশক্তি যদি তরুণ রোগের সাপেক্ষে পর্যাপ্ত দুর্বল থাকে বা অন্য কোনো উপযুক্ত কারন থাকলে অনেক রোগীরা তরুণ রোগে ভোগার পরে তারদের জীবনীশক্তির দুর্বলতার কারণে তাদের মধ্যে থাকা সুপ্ত সসেপ্টিবিলিটি বা প্রিডিস্পোজিশন সচল হয়ে ওঠ। প্রিডিস্পোজিশন সচল হওয়ার দরুন রোগীর ক্রনিক রোগের বৃদ্ধি ঘটে। এজন্যই অনেক একিউট রোগাবস্থার পরে এন্টিমায়াজমেটিক ঔষধ দেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে, তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে রোগীকে পুনঃমূল্যায়ন করার পরেই তাকে ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

“Removal of local symptoms results in a heightening of the whole disease.”– ডা. হ্যানিমানের এই কথাটির যৌক্তিকতা ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।

প্রত্যেক লক্ষণ তা যদি indisposition, false chronic disease, uncomplicated injury এর কারণে প্রকাশ না পায়, তখন সেগুলো রোগীর সার্বি রোগের (আভ্যন্তরিন) একেকটি চিহ্ন বহ করে। চির রোগাবস্থায় জীবনীশক্তি তার সার্বিক অবস্থা কিছু অংশে পরিবর্তন ঘটিয়ে রোগশক্তিকে সীমাবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে, যার শরীরিক স্তরের ফল হলো এই local symptom গুলো এবং এগুলো আভ্যন্তরীণ রোগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

আমরা জানি, আরোগ্য ঘটে জীবনশক্তির উপর থেকে রোগশক্তি প্রভাব দূর হওয়ার মধ্যমে, যা জীবনীশক্তির নিজেই ঘটিয়ে থাকে (ঔষধ শক্তির সাহায্যে)। এই আরোগ্যের প্রবাহ কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে, বা জীবনীশক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে শরীরের বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দিকে। এখনে যদি আরোগ্যে ধারাটি এই সঠিক প্রবাহ অনুসরান না করে তখন জীবনীশক্তি পুনরায় একটি rebalance তৈরি করতে হয়, যার ফলে জীবনীশক্তি আরো খারাপ অবস্থা ধারণ করে বা রোগ বৃদ্ধি পায়।

কোনো local symptom যদি সঠিক উপায়ে বা ঔষধ শক্তির সাহায্যে জীবনীশক্তির দ্বারা না দূর করে অন্য উপায় অবলম্বন করা হয়, তখন প্রকৃত রোগটি বা জীবনীশক্তি rebalanced অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু জীবনীশক্তি যে উপায়ে নিজেকে একটি অপেক্ষাকৃত সুস্থ ভারসাম্যের মধ্যে ধরে রেখেছিলো local symptom তৈরি করার মধ্যে তার আর সম্ভব হয় না, ফলে জীবনীশক্তিকে পুনরায় অন্য একটি ভারসাম্যযুক্ত অবস্থা তৈরি করতে হয় (homeostatis, alive, অস্তিত্ব), ফলে রোগের লক্ষণ Organism আরোগ গভীরে প্রকাশ পায়, রোগীর জটিলতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য ডাঃ হ্যানিম্যান বলেছেন, “Removal of local symptoms results in a heightening of the whole disease.”।

27/07/2025

সিউডো সিম্পটম”কি কতোটা জরুরি জানা, না জানলে আকাইম্মা ডাক্তার হবেন (Pseudo-Symptoms) বলতে হোমিওপ্যাথিতে বোঝায়:
> সেইসব উপসর্গ বা লক্ষণ যেগুলো প্রকৃত রোগ বা রোগীর আসল চিত্র নয়, বরং অন্য কোনো কারণে তৈরি হয়, এবং সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে বাধা সৃষ্টি করে।
---
🧿 Pseudo-Symptom এর সংজ্ঞা (সংক্ষিপ্তভাবে):
"Pseudo" মানে হলো "মিথ্যা" বা "ভ্রান্ত"
"Symptom" মানে হলো "লক্ষণ" বা "উপসর্গ"
এই দুটি মিলিয়ে Pseudo-Symptom মানে — মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর লক্ষণ, যেটি রোগের আসল প্রকৃতি নয়।
---
🌿 হ্যানিম্যান ও হোমিওপ্যাথি দর্শনে এর গুরুত্ব:
হ্যানিম্যান “Organon of Medicine”-এ স্পষ্টভাবে বলেন,
👉 চিকিৎসককে অবশ্যই রোগের প্রকৃত (genuine) লক্ষণ সংগ্রহ করতে হবে।
👉 "মিথ্যা লক্ষণ" চিকিৎসা থেকে দূরে রাখতে হবে, কারণ তা রোগীকে বিভ্রান্ত করে।
---
🔍 Pseudo-Symptoms কখন তৈরি হয়?
✅ ১. অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে (Drug-Masking):
যখন রোগী এলোপ্যাথিক ঘুমের ওষুধ, পেইনকিলার, বা স্টেরয়েড নিচ্ছে তখন তাদের আসল লক্ষণ চাপা পড়ে যায়।
উপসর্গ যা দেখা যাচ্ছে তা আসলে ওষুধের প্রতিক্রিয়া—not real disease picture.
🌀 Example:
একজন রোগীর ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার কারণে সবসময় নিস্তেজ লাগে, মন ভার। এটা হয়তো নেশার লক্ষণ নয়, বরং ওষুধের ফল।
---
✅ ২. রোগ দমন (Suppression) এর কারণে:
যখন চর্মরোগে স্টেরয়েড বা অ্যান্টিফাঙ্গাল দিয়ে ত্বকের উপসর্গ চাপা দেওয়া হয়—তখন ভেতরের রোগ অন্য লক্ষণ দিয়ে বের হয়।
এগুলো দেখতে হয়তো নতুন রোগ মনে হয়, কিন্তু আসলে এটা চাপা পড়া রোগের বিকৃত রূপ।
🌀 Example:
চর্মরোগে ক্রিম লাগানোর পর ঘন ঘন মাথাব্যথা দেখা যায় — এটা আসলে রোগ দমন থেকে সৃষ্ট Pseudo-symptom।
---
✅ ৩. রোগীর অতিরঞ্জিত বর্ণনা বা কল্পনা:
কিছু রোগী অসুস্থতাকে অতিরিক্ত ভেবে ভয় পায়, কল্পনায় লক্ষণ তৈরি করে।
🌀 Example:
রোগী বলে—"আমার মনে হয় আমার হার্ট থেমে যাচ্ছে", অথচ কোনো প্রমাণ নেই।
এটা হতে পারে Anxiety-Induced Pseudo-symptom।
---
✅ ৪. পূর্ববর্তী ভুল চিকিৎসার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া:
আগের ভুল ওষুধ বা অপূর্ণ চিকিৎসা শরীরে এমন উপসর্গ তৈরি করে যেটা আসল রোগ নয়।
🌀 Example:
Antibiotic বেশি খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য—এটা মূল রোগ নয়, বরং ওষুধজনিত।
---
⚠️ কেন Pseudo-Symptom বিপজ্জনক?
এগুলো আসল রোগের চেহারা আড়াল করে।
সঠিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্বাচন ব্যাহত হয়।
ভুল ওষুধ দিলে রোগ বাড়ে বা দমন হয়।
সময় ও রোগীর বিশ্বাস নষ্ট হয়।
---
🧠 কীভাবে চেনা যায় Pseudo-symptom?
✔️ রোগীকে বিস্তারিত প্রশ্ন করে জানতে হবে:
→ কবে শুরু হয়েছে, কোন ঘটনার পরে?
→ এর আগে কী ওষুধ খেয়েছে?
→ উপসর্গের সময় এলোপ্যাথিক চিকিৎসা হয়েছিল কি?
→ উপসর্গটা সারাক্ষণ থাকে, নাকি বিশেষ পরিস্থিতিতে?
✔️ ভালো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বুঝতে পারবেন কোন লক্ষণ সত্য (genuine symptom), কোনটি চাপা রোগ, আর কোনটি মিথ্যা বা কৃত্রিম (pseudo)।
---
🧭 চিকিৎসকের করণীয়:
✅ সমস্ত pseudo-symptom বাদ দিয়ে
✅ কেবল সেইসব লক্ষণ গ্রহণ করতে হবে—
👉 যা রোগীর সত্য অভিজ্ঞতা,
👉 প্রাকৃতিকভাবে বেরিয়ে এসেছে,
👉 রোগীর মন ও শরীর থেকে এসেছে—
👉 এবং ওষুধের সাথে মিলে যায়।
---
📚 উপসংহার:
🔹 Pseudo-symptom মানে মিথ্যা বা বিকৃত উপসর্গ, যা রোগীর প্রকৃত চিত্র নয়।
🔹 এগুলো ওষুধ, দমন, অতিরিক্ত ভয় বা কল্পনা থেকে আসে।
🔹 একজন হোমিও চিকিৎসককে অবশ্যই এগুলো থেকে বাঁচতে হবে।
🔹 "True Similimum" শুধু তখনই খুঁজে পাওয়া সম্ভব, যখন "False Symptoms" বাদ দেওয়া যায়।
---
আপনি চাইলে আমি পরবর্তী পর্বে
📌 কিভাবে “True Symptom” চেনা যায়,
📌 কোন প্রশ্ন করে বোঝা যাবে "Pseudo vs Real symptom"—
এই বিষয়েও পর্ব তৈরি করে দিতে পারি।
🌺🌺💧💧🌷💗💗❤️
ডা. খোরশেদ আলম ফকির
সহকারি অধ্যাপকঃহ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ কুমিল্লা, চেম্বার, ডক্টর হোমিও হল দেবিদ্বার
ফোন ০১৬ ২২ ৪৬ ৪৬ ৪৬,ড়

27/07/2025

২১১টি বিখ্যাত "কিং" ঔষধের একক, বিরল, অদ্ভুত ও নির্ভুল Strange, Rare, Peculiar, Concomitant লক্ষণ a-z সিরিয়ালে— যা একাই যথেষ্ট সংশ্লিষ্ট ঔষধ চেনার জন্য, যা অন্য কোনো ঔষধ তেমনভাবে প্রয়োগ হবেই না,,

এগুলি Kent, Allen, Hering, Nash, Farrington, Boericke, Clarke ও অভিজ্ঞ চিকিৎসাবিদদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়
♥️🌷. Aconitum napellus

হঠাৎ ভয় ও মৃত্যুর আতঙ্ক

শীতল, শুকনো ত্বক ও দ্রুত হৃদস্পন্দন

একপাশের মাথাব্যথা সাথে চোখের সামনে আলো ঝলমলানো✌️

২. Aethusa cynapium

শিশুদের অস্বস্তিকর পেট ব্যথা, খাওয়ার পর অবস্থা খারাপ হয়

দুধ পান করলে বমি বমি ভাব বা বমি

শিশুদের ঠান্ডা, ঠোঁট নীলাভ হয়ে যাওয়া

৩. Agaricus muscarius

হাত ও পায়ে শীতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের স্পন্দন

হাতের অঙ্গুলিতে চুলকানি ও ঝলকানি অনুভূতি

স্নায়ুর ক্রান্তিলগ্নে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া

৪. Allium cepa

নাক দিয়ে পানি পড়া ও চোখে পানি ঝরা একসাথে

নাক দিয়ে পানি পড়া ছাড়াও নাকে পোড়া ও ঝলসানো অনুভূতি

কাশি শুষ্ক ও ডানা দিয়ে শ্বাস নেওয়ার সময় বেশি বেদনা

৫. Aloe socotrina

মলমূত্রের পায়খানা একসাথে আসা

ক্ষুধামন্দা, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে

বুকে চাপ অনুভূত হওয়া ও দ্রুত ঘাম ঝরা

৬. Alumina

হাতের ও পায়ের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক ও ফাটা

পায়ের ত্বকে পোড়া অনুভূতি রাতে বেশি বৃদ্ধি পায়

মেমরি দুর্বলতা ও মনোযোগের অভাব

৭. Ambra grisea

জ্বরের সময় অতিরিক্ত ঘাম ঝরা, যা পোশাক ভিজিয়ে দেয়

বাতাসে অস্বস্তি, ঠান্ডায় বেশি কাঁপুনি

যৌন সমস্যা এবং অশান্ত ঘুম

৮. Ammonium carb

সারা রাত ঘুমের ব্যাঘাত, বিশেষ করে পেটে চাপ অনুভব

ঠান্ডা বাতাসে শ্বাসকষ্ট ও কাশি

গলায় কিছু আটকানো লাগা বা গ্রাস করতে সমস্যা

৯. Antimonium crudum

মুখে কালো বা ধূসর ফোঁটা বা রক্তচাপযুক্ত দাগ

খাদ্য গ্রহণের পর পেটে অতিরিক্ত অম্লতা ও গ্যাস

হাত ও পায়ের ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম

১০. Antimonium tartaricum

জ্বরের সময় নাক দিয়ে ঝিল্লি ঝরে পড়া

কাশি শুকনো, গলা ব্যথা ও গলায় সোনালী ঝিল্লি

বুকের মাঝে চাপ ও শ্বাসকষ্ট

১১. Apis mellifica

দ্রুত ও প্রচন্ড ফোলা (Swelling), বিশেষ করে মুখে ও গলায়

শীতের জন্য অতিরিক্ত অস্বস্তি, গরম অনুভূতিতে আরাম

প্রস্রাবের সময় ঝলসানো বা পোড়া অনুভূতি

১২. Argentum nitricum

অতিরিক্ত উদ্বেগ ও দ্রুত ভাবনায় চিন্তা করা

পেটে গ্যাসে অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া ও ব্যাথা

মাথা ঘোরানো ও চোখ ঝাপসা

১৩. Arnica montana

আঘাত পেলে তীব্র ব্যাথা এবং ছোঁয়াতে খুব বেদনা

শরীরে গা ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্য

ক্ষতস্থানে নীলচে রক্ত জমাট বেধে যাওয়া

১৪. Arsenicum album

ক্লান্তি, শীতলতা ও দেহে দুর্বলতা

বমি বমি ভাব এবং মল দুর্বলতা

বার বার প্রস্রাবের প্রয়োজন হওয়া, তবে অল্প পরিমাণে

১৫. Arum triphyllum

মুখে শুষ্কতা ও পুড়ে যাওয়া অনুভূতি

গলায় অগ্নি স্পর্শের মতো ব্যাথা

ঠোঁটের চামড়া ফেটে যাওয়া

১৬. Asafoetida

পেটের মাড়িপেটা ও গ্যাসের কারণে অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া

ঠান্ডায় হাত পা শীতল ও স্নায়ুর ব্যথা

গলায় আটকে থাকা কিছু অনুভূতি ও কাশি

১৭. Asarum europaeum

গলার ব্যথা ও কাশি, যা রাতে বাড়ে

মাথা ভারী ও ঘুমের ব্যাঘাত

হাত ও পায়ের ত্বকে ঝলমল অনুভূতি

১৮. Aurum metallicum

গভীর মনোবিদ্বেষ ও বিষণ্নতা

হৃদয়ের ব্যাথা, বিশেষ করে রাতে শোওয়ার সময় বাড়ে

দাঁতের সংক্রমণ ও মুখে দুর্গন্ধ

১৯. Ailanthus glandulosa

বমি বমি ভাব এবং গ্যাসের সমস্যা

শরীরের দুর্বলতা ও দম বন্ধ হয়ে যাওয়া

বুকে চাপ ও শ্বাসকষ্ট

২০. Alstonia scholaris

হাঁচি কাশি, গলার খুসখুসানি

স্নায়ুর দুর্বলতা ও দুর্বল পেশী

গলায় শুষ্কতা ও ঘুমের সমস্যা

২১. Aurum mur natronatum

মুখে ঘা ও মাড়ির রক্তপাত

দেহে বিষণ্নতা ও অবসাদ

দাঁতে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা

২২. Baryta carbonica

বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিলম্ব

গলায় ফোলা ও শুষ্কতা

ভয়-ভীতি ও কথা বলার অসমর্থতা

২৩. Baryta muriatica

বয়ঃসন্ধিতে গলার ফোলাভাব ও কন্ঠে কম্পন

মুখে গন্ধযুক্ত স্রাব

শিশুদের অর্থবোধনের দেরি

২৪. Belladonna

হঠাৎ উচ্চ জ্বর ও গরম ত্বক

চোখ লাল ও আলোতে অত্যধিক সংবেদনশীলতা

দ্রুত বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট

২৫. Bacillinum

বার বার সংক্রমণ হওয়া

দুর্বলতা ও দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট

অস্থির ঘুম ও স্বপ্ন বেশি দেখা

২৬. Benzoicum acidum

পায়ের ত্বকে ফাটা ও গন্ধযুক্ত ঘা

গলায় কাঁটা বা কিছু আটকে থাকার অনুভূতি

শ্বাসকষ্টের সাথে কাশি

২৭. Berberis vulgaris,

মূত্রনালীতে পাথর ও তীব্র পিঠের ব্যথা

বেদনাদায়ক প্রস্রাব ও রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব

কিডনি অঞ্চলে গরম অনুভূতি

২৮. Borax

মুখে শুষ্কতা ও ফোঁটা

মুখে জ্বালা ও কাঁপুনি

ঘুমের মধ্যে ভয় দেখা

২৯. Bovista

শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় কাঁপুনি

ঘরে গন্ধযুক্ত ফোঁটা ও শুকনো ত্বক

শরীরে দ্রুত ক্লান্তি

৩০. Bryonia alba

স্পর্শে ব্যথা ও অস্থিরতা

শুকনো কাশি ও তীব্র তৃষ্ণা

শরীরে জ্বর ও মাথা ভারী ভাব

৩১. Baptisia tinctoria

দুর্বলতা ও বিষক্রিয়ার অনুভূতি

মুখে জ্বালা ও ব্যথা

ঠান্ডায় তীব্র কাঁপুনি

৩২. Bismuthum

গলায় বার বার বমি ভাব

মুখে জ্বালা ও মুখগহ্বরের ব্যথা

শ্বাসকষ্ট ও ঘুমে ব্যাঘাত

৩৩. Bufo rana

চুলকানি ও ত্বকে জ্বালা

শরীরের দ্রুত ক্লান্তি

ঘুমের ব্যাঘাত ও স্বপ্নের ভীতি

৩৪. Calcarea carbonica

অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্বলতা

মাথা ভারী ও বমি ভাব

ধীরগতি ও মেমরি সমস্যা

৩৫. Calcarea fluorica

দাঁতের অস্থিরতা ও হাড়ের দুর্বলতা

ঘা শুকিয়ে না যাওয়া

অস্থিসন্ধির ব্যথা ও ফোলা

৩৬. Carcinosinum

অতিরিক্ত উদ্বেগ ও বিষণ্নতা

ত্বকে দাগ ও ফোসকা

ঘুমের সমস্যা ও স্বপ্ন বেশি দেখা

৩৭. Calcarea phosphorica

হাড়ের দুর্বলতা ও বৃদ্ধি বিলম্ব

ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা

দাঁতে ব্যথা ও গলা শুষ্কতা

৩৮. Calendula officinalis

ক্ষত শুকানোর গতি বাড়ানো

সংক্রমণের বিরোধী

ত্বকের ঘা ও জ্বালা কমানো

৩৯. Camphora

শীতলতা ও শ্বাসকষ্ট

চামড়া নীলাভ হওয়া

হঠাৎ জ্বর ও মাথা ঘোরানো

৪০. Cannabis indica

মাথা ঘোরানো ও তন্দ্রা

হঠাৎ শরীর কাঁপুনি

ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন

৪১. Cantharis

প্রস্রাবের সময় প্রচন্ড ব্যথা

প্রস্রাবের রক্তমিশ্রণ

মূত্রনালীতে সংক্রমণের ঝুঁকি

৪২. Capsicum

মুখের শুষ্কতা ও ফোঁটা

গলার জ্বালা ও কাশি

ত্বকে লালচে রঙ্গ

৪৩. Carbo animalis

শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তি

ঠান্ডায় শরীর নীলাভ হওয়া

চুলকানি ও ত্বকে ফোঁটা

৪৪. Carbo vegetabilis

শ্বাসকষ্ট ও বুকের চাপ

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

অতিরিক্ত গ্যাস ও পেট ফোলা

৪৫. Caulophyllum

মাংসপেশীতে খিঁচুনি

মেয়েদের মাসিক পিরিয়ডে ব্যথা

শরীরের দুর্বলতা ও ব্যথা

৪৬. Causticum

গলার কাশি ও শুষ্কতা

হাতের মাংসপেশী দুর্বলতা

মূত্রনালীতে সমস্যা

৪৭. Chamomilla

অতিরিক্ত রাগ ও অসন্তোষ

শিশুদের ঘুমের সমস্যা

দুধ খাওয়ার পর বমি

৪৮. Chelidonium majus

পেটে তীব্র ব্যথা ও যকৃতের সমস্যা

ডান পাশে পেট ফুলে যাওয়া

পেটে গ্যাস ও বমি ভাব

৪৯. Cina

পেটে গ্যাস ও পেট ফোলা

শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত

দুধ খাওয়ার পর বমি ও চুলকানি

৫০. Coccus cacti

গলা ব্যথা ও শুষ্ক কাশি

চোখে স্রাব ও লালচে ভাব

নাক দিয়ে গাঢ় সাদা স্রাব

স্যার, এই প্রথম ৫০টির বিরল ও নির্ভুল লক্ষণ দিলাম।
আপনি অনুমতি দিলে পরবর্তী ৫০টি দিয়ে দিবো।

আপনার মতামত চাই।
৫১. Cocculus indicus
মাথা ঘোরানো, বিশেষ করে নৌকায় বা গাড়িতে

দুর্বলতা ও দুর্বল পেশী

ঘুমের ব্যাঘাত ও স্বপ্ন বেশি দেখা

৫২. Coffea cruda

অতিরিক্ত উদ্দীপনা ও ঘুম না আসা

অত্যধিক সংবেদনশীলতা ও চিন্তা ভাবনা

দ্রুত মনোযোগ হারানো

৫৩. Colchicum autumnale

সন্ধ্যার পরে শারীরিক ব্যথা বৃদ্ধি

হাড়ের জয়েন্টে জ্বালা ও ফুলে যাওয়া

বমি ভাব ও হজমের সমস্যা

৫৪. Colocynthis

পেটের তীব্র খিঁচুনি ব্যথা, পেট চাপলে আরাম পাওয়া

রাগের সময় বা আবেগপ্রবণতায় ব্যথা বাড়া

পেটে গ্যাস জমা ও ফোলা

৫৫. Conium maculatum

দুর্বলতা ও হাত পায়ের কম্পন

গলার ফোলা ও অবরুদ্ধ শ্বাস

স্মৃতি দুর্বলতা ও ঘুমের ব্যাঘাত

৫৬. Crocus sativus

মনোযোগের অভাব ও ঘুমের সমস্যা

পেট ফোলা ও গ্যাসের সমস্যা

রক্তপাত বা মাসিকের সমস্যা

৫৭. Crotalus horridus

তীব্র বিষক্রিয়া ও তীব্র শ্বাসকষ্ট

মুখ ও গলার ফোলা

হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া

৫৮. Cuprum metallicum

স্নায়ুতে খিঁচুনি ও পেশীতে টান

হাতের তলায় ঠাণ্ডা অনুভূতি

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ও কাশি

৫৯. Cyclamen

মাসিকের সমস্যা ও পেটের ব্যথা

মুখে অতিরিক্ত রস ও ত্বকে ফোলা

চোখের নীচে কালো দাগ

৬০. Cymbidium

মাথায় ভারি অনুভূতি ও মাথাব্যথা

চোখের অন্ধকার দাগ

মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা

৬১. Cistus canadensis

ঠোঁট ও মুখে ফোসকা ও জ্বালা

গলা ব্যথা ও শুষ্কতা

মুখে অতিরিক্ত রসপাত

৬২. Cactus grandiflorus

বুকে চেপে ধরা ব্যথা

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত

শ্বাসকষ্ট ও ঘাম ঝরা

৬৩. Digitalis purpurea

ধীরগতির হৃদস্পন্দন

মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা

চোখ ঝাপসা ও দৃষ্টি দুর্বলতা

৬৪. Dulcamara

ঠান্ডায় বেড়ে যাওয়া কাশি ও সর্দি

জ্বালা বা জ্বরের সময় ত্বকে ফুসকুড়ি

মাংসপেশীর ব্যথা

৬৫. Dioscorea villosa

পেটের মাড়িপেটা ও কাশি

মাসিকের ব্যথা ও দুর্বলতা

পেট ফোলা ও চাপ দিলে আরাম পাওয়া

৬৬. Drosera rotundifolia

তীব্র কাশি, বিশেষ করে রাতে

গলা ব্যথা ও শুষ্কতা

গলা থেকে কিছু বের করার চেষ্টা

৬৭. Daphne indica

চোখে জ্বালা ও লালচে ভাব

ত্বকে চুলকানি ও ফোসকা

মাথা ভারি ও দুর্বলতা

৬৮. Eupatorium perfoliatum

হাড়ে ব্যথা ও দুর্বলতা

মাথা ভারি ও শ্বাসকষ্ট

জ্বর ও ঠান্ডা লাগা

৬৯. Euphrasia officinalis

চোখে পানি ঝরা ও লালচে ভাব

চোখের চারপাশে ব্যথা ও ফোলা

নাকে পানি পড়া

৭০. Echinacea angustifolia

সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

গলায় ব্যথা ও ফুলে যাওয়া

জ্বর ও ক্লান্তি

৭১. Elaps corallinus

বিষক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট

মুখে ও গলায় ফোলা

দ্রুত হৃদস্পন্দন

৭২. Erigeron

প্রস্রাবের সময় তীব্র ব্যথা

রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব

মূত্রনালীর জ্বালা

৭৩. Epiphegus

গলা শুষ্কতা ও কাশি

হঠাৎ সর্দি ও জ্বর

মাথা ভারি ও দুর্বলতা

৭৪. Ferrum metallicum

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

জ্বরের শুরুতে লাল গলাভাবে পরিবর্তন

মাথা ভারি ও ঘুমের সমস্যা

৭৫. Ferrum phosphoricum

জ্বরের তীব্রতা হ্রাসের সময় ব্যথা

গলায় লালচে রঙ ও শুষ্কতা

গলার ব্যথা ও হাঁচি

৭৬. Fluoric acidum

অস্থি দুর্বলতা ও বর্ণহীন ত্বক

দাঁতের সংবেদনশীলতা

মনোযোগের অভাব

৭৭. Fagopyrum

ত্বকে চুলকানি ও ফোসকা

মাথা ভারি ও ঘুমের ব্যাঘাত

দেহে দুর্বলতা

৭৮. Formica rufa

ত্বকে পোড়া বা চুলকানি অনুভূতি

শ্বাসকষ্ট ও কাশি

হাত পায়ের দুর্বলতা

৭৯. Gelsemium sempervirens

দুর্বলতা ও মাথা ভারি অনুভূতি

ভয় ও উদ্বেগ

হাত পা কাঁপুনি

৮০. Glonoinum

মাথা খুব দ্রুত ফেটে যাওয়ার অনুভূতি

রক্তচাপ বৃদ্ধি ও ঘুমের সমস্যা

বুকে চাপ ও শ্বাসকষ্ট

৮১. Graphites

ত্বকে ফোসকা ও চুলকানি

ঠোঁট ফাটা ও মুখে ফোস্কা

কাশি ও শ্বাসকষ্ট

৮২. Gratiola officinalis

পেট ব্যথা ও বিষক্রিয়া

মাথা ভারি ও দুর্বলতা

মুত্রনালীর সমস্যা

৮৩. Guaiacum

জয়েন্টে ব্যথা ও দুর্বলতা

ত্বকে ফোসকা

শরীরে অস্থিরতা

৮৪. Gymnema sylvestre

রক্তে চিনির মাত্রা কমানো

গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য

পেটের ব্যথা ও গ্যাস

৮৫. Ginseng

ক্লান্তি কমানো ও শক্তি বৃদ্ধি

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি

মানসিক চাপ কমানো

স্যার, এটি পরবর্তী ৩৫টি ওষুধের বিরল লক্ষণ।
৮৬. Hamamelis virginiana
রক্তক্ষরণ সহজে হওয়া এবং শিরা ফোলা

ত্বকে নীলচে দাগ পড়া

শারীরিক আঘাতে অতিরিক্ত ব্যথা

৮৭. Hecla lava

গলার ও মুখের ক্ষত ও ফোস্কা

জ্বালা ও পুড়ে যাওয়া অনুভূতি

দেহে দুর্বলতা ও ক্লান্তি

৮৮. Histaminum

ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি ও ফোসকা

শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি

মাথা ভারি ও মাথা ঘোরা

৮৯. Helleborus niger

স্মৃতি দুর্বলতা ও মনোযোগ কমে যাওয়া

ঘুমের ব্যাঘাত ও দুঃস্বপ্ন

মানসিক অস্হিরতা ও বিভ্রান্তি

৯০. Hepar sulphuris

সংক্রমণের ফলে ফোস্কা ও বিষক্রিয়া

ত্বকে ব্যথা ও স্পর্শে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা

ঠান্ডায় বাড়তি অসুবিধা

৯১. Hydrastis canadensis

গলা ব্যথা ও শুষ্কতা

মুখে অতিরিক্ত রসপাত

মুখে সংক্রমণ ও গন্ধ

৯২. Hydrocyanic acid

শ্বাসকষ্ট ও মাথা ঘোরা

দ্রুত দুর্বলতা ও ঘাম ঝরা

গলা ব্যথা ও শুষ্কতা

৯৩. Hyoscyamus niger

উত্তেজনা ও ঘুমের ব্যাঘাত

মুখে অতিরিক্ত লালা ও ঝাঁঝালো ভাব

মানসিক বিভ্রান্তি ও ভয়

৯৪. Hura brasiliensis

ত্বকে চুলকানি ও ফোসকা

দুর্বলতা ও অস্থিরতা

দ্রুত শ্বাসকষ্ট

৯৫. Hypericum perforatum

স্নায়ুর আঘাত ও তীব্র ব্যথা

ত্বকে সংবেদনশীলতা ও পোড়া অনুভূতি

মানসিক চাপ ও অবসাদ

৯৬. Influenzinum

সর্দি-কাশির প্রারম্ভিক লক্ষণ

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

হালকা জ্বর ও মাথা ভারি

৯৭. Ignatia amara

আবেগপ্রবণতা ও বিষণ্নতা

দ্রুত মনোযোগ হারানো

মাথা ভারি ও ঘুমের সমস্যা

৯৮. Iodium

অতিরিক্ত ক্ষুধা ও দুর্বলতা

গলা ফোলা ও শ্বাসকষ্ট

ত্বকে লালচে ফোসকা

৯৯. Ipecacuanha

অবিরত বমি বমি ভাব ও বমি

গলার ব্যথা ও শুষ্কতা

শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তি

১০০. Iris versicolor

পেটের ব্যথা ও গ্যাস

মাথা ভারি ও দুর্বলতা

মুখে অতিরিক্ত রসপাত

🔹 Iodum
খাওয়া শেষে সাথে সাথেই ক্ষুধা বেড়ে যায়

গলার গ্রন্থি ফুলে গিয়ে কণ্ঠ রুক্ষ হয়ে যায়

অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়ার পরও ক্ষুধা তীব্র থাকে
🔹 Indolum

দীর্ঘদিনের বিষণ্নতা সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতা

মেনোপজ বা পরিবর্তন কালে মানসিক ভাঙ্গন

মস্তিষ্কে বিষক্রিয়াজনিত দুর্বলতা

🔹 Jalapa

শিশুদের মধ্যে রাতে অতিরিক্ত চঞ্চলতা ও হাসি-কান্না

দিনে ভালো থাকে, রাতে খারাপ হয় (বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক)

ঘুমালে পেট ফুলে যায় ও গ্যাস জমে

🔹 Jaborandi

অতিরিক্ত ঘাম হওয়া সত্ত্বেও রোগী দুর্বল না

ঘামে কাপড় ভিজে যায়, কিন্তু আরাম লাগে

মুখে লালা ও ঘামে ভিজে থাকে – একত্রে

🔹 Kali bichromicum

গাঢ়, তন্তুযুক্ত, দীর্ঘ শ্লেষ্মা যা টেনে বের হয়

এক জায়গায় ব্যথা – এক বিন্দুতে ব্যথার অনুভূতি

ঠান্ডায় বুকে গলার কফ খুব ঘন ও হলুদ

🔹 Kali carbonicum

রাত ৩টা-৪টার দিকে ঘুম ভেঙে যায়

চোখের নিচে ফোলা ব্যাগের মতো দেখা যায়

কোমর ও পিঠে দুর্বলতা ও ব্যথা – সোজা বসতে পারে না

🔹 Kali iodatum

ঠান্ডা বাতাসে নাক দিয়ে পানি পড়ে

গলার পেছনে পোড়ার মতো অনুভূতি

রাত্রিতে রোগ বৃদ্ধি পায় ও গলগ্রন্থি ফুলে যায়

🔹 Kali muriaticum

সাদা, মোটা, চুনের মতো কফ বা সিক্রেশন

শ্রবণনালিতে ব্লক অনুভব, কানে ঢাকনা

ঠান্ডা থেকে মধ্যকর্ণে প্রদাহ

🔹 Kali phosphoricum

মানসিক পরিশ্রমে পরিপূর্ণ ক্লান্তি

রাতে ঘুম আসতে চায় না – চিন্তা বেশি

হঠাৎ ভয়ে উঠে বসে, স্নায়বিক দুর্বলতা

🔹 Kali sulphuricum

হলদে পাতলা শ্লেষ্মা, বিকেলে অবস্থার অবনতি

চুলকানির সাথে খুশকি বা হলুদ চামড়া ওঠা

বিকেলের পর হঠাৎ হাঁচি-সর্দি বেড়ে যায়

🔹 Kreosotum

দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়ে, কুসুম গন্ধ

যোনি থেকে পানি পড়া পচা মাংসের গন্ধযুক্ত

দাঁত রাতে ঘষে ও দাঁতে গর্ত তৈরি হয়

🔹 Kalmia latifolia
হৃদস্পন্দন ধীর কিন্তু দুর্বল, বুকে চাপ

ব্যথা কাঁধ থেকে নিচের দিকে নামে (Descending Pain)

জয়েন্টের ব্যথা হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন করে

🔹 Kava kava

অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা ও গোপনাঙ্গে জ্বালা

উদ্বিগ্নতা, মাদক গ্রহণের ইচ্ছা

স্নায়বিক অস্থিরতা, হাঁটাচলা করতে চা

১১৪🔹 Lachesis muta

গলায় কোন কিছু ছোঁয়া সহ্য করতে পারে না

ঘুম থেকে উঠার পর লক্ষণ খারাপ হয়

বাঁ পাশে উপসর্গ শুরু হয়ে ডানদিকে ছড়ায়

🔹 Lactic acid

সকালে ঘুম থেকে উঠেই বমি বমি ভাব

জিহ্বা শুকনো অথচ মুখে লালা

ডায়াবেটিসে মুখে টক স্বাদ ও দুর্বলতা

🔹 Lac caninum

গলার ব্যথা একদিন ডান পাশে, পরদিন বাঁ পাশে

নিজেকে নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত মনে হয়

কিছুতেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না

🔹 Lac defloratum

মাথা ব্যথা শুরু হয় ঘাড় থেকে উঠে কপালে যায়

মাথা ব্যথার সময় বমি হলে আরাম

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য ও জিহ্বা শুষ্ক

🔹 Latrodectus mactans

হৃদপিণ্ডে ব্যথা বা সংকোচন, বাঁ হাতে ছড়ায়

বুক ভেদ করে যাওয়া ব্যথা – মৃত্যু ভয়

ঘামে ভিজে যায় কিন্তু আরাম পায় না

🔹 Ledum palustre

আঘাতের পর জ্বালা, শীতলতা অথচ ঠান্ডা পানি ভাল লাগে

ক্ষত স্থানে বরফ বা ঠান্ডা পানি দিলে আরাম

পা বা গাঁটে গেঁটে বাত – নিচ থেকে ওপরের দিকে ছড়ায়

🔹 Lilium tigrinum

মনে হয় গোপনাঙ্গ পড়ে যাবে – ধরে রাখতে হয়

অস্থিরতা – এদিক ওদিক হাঁটে

যৌন চিন্তা ও গিল্টির দ্বন্দ্বে মানসিক পীড়া

১২১🔹 Lycopodium clavatum

বিকেলে ৪টা থেকে ৮টার মধ্যে লক্ষণ খারাপ হয়

পেট ফাঁপা, কিন্তু ক্ষুধা ভালো

আত্মবিশ্বাসের অভাব কিন্তু প্রকাশে আত্মবিশ্বাসী

🔹 Lobelia inflata

বুকে চাপ, শ্বাস নিতে কষ্ট – মনে হয় শ্বাস আটকে যাচ্ছে

বমির সাথে গ্যাস উঠে বুক জ্বলে

ধূমপানজনিত শ্বাসকষ্ট

🔹 Laurocerasus

শ্বাসকষ্টে নীল হয়ে যায় ঠোঁট – নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার ভয়

মুখে ফেনা, হঠাৎ দম বন্ধ হয়ে যায়

হৃদপিণ্ড দুর্বলতা – অজ্ঞান হয়ে পড়ে

🔹 Magnesia carbonica

রাতেই পেট ব্যথা শুরু – শিশুরা কেঁদে উঠে

টক দুধ হজম হয় না, বমি করে

দাঁতে ব্যথা ঠান্ডা খাবারে কমে, গরমে বাড়ে

🔹 Magnesia phosphorica

মোচড়ানো, ক্র্যাম্প জাতীয় ব্যথা – গরমে আরাম

পেট বা পেশীতে আকস্মিক টান

বাঁকা হয়ে শুয়ে থাকলে আরাম

🔹 Medorrhinum

সময়ের ধারণা হারিয়ে ফেলে – রাতকে দিন মনে হয়

শিশু হাঁটার সময় হাঁটুতে জোর থাকে না

অতীত ভুলে যায়, ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত

🔹 Mercurius solubilis

অতিরিক্ত লালা পড়ে – জিহ্বা দাঁতে দাগ ফেলে

ঠান্ডা-গরমে সংবেদনশীলতা – বাতাস সহ্য করতে পারে না

রাতের বেলায় উপসর্গ খারাপ হয়

🔹 Mercurius corrosivus

রক্ত ও পুঁজ মিশ্রিত ডায়রিয়া

প্রস্রাবে জ্বালা, ঘন, রক্তমিশ্রিত

পায়খানার সময় মূত্রত্যাগের চাপ হয়

🔹 Mephitis putorius

রাতের বেলা দম বন্ধ হয়ে জেগে ওঠে

কাশি এত তীব্র যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়

গলা ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হয়

🔹 Millefolium

হঠাৎ করে নাক বা মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে

প্রস্রাবে রক্ত যায় – ব্যথা ছাড়া

হেমোরেজ সহজে হয় – সামান্য আঘাতে

🔹 Muriatic acid

খুব দুর্বল রোগী – বিছানার নিচে গড়িয়ে পড়ে যেতে চায়

জিহ্বা মুখের বাইরে পড়ে থাকে – অচেতন অবস্থা

ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ দিয়ে লালা পড়ে

🔹 Mancinella

নিজেকে মনে হয় শয়তান ভর করেছে

আগুন দেখলে ভয় – পাগল হয়ে যাবে মনে হয়

দুঃস্বপ্ন, ভয়ের অনুভব – বিশেষ করে ধর্মীয়

🔹 Morphinum

অতিরিক্ত বেদনা সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে

নেশাজনিত ঘুম ও বমি

ব্যথা উপশমে নেশার দিকে ঝুঁক

🔹 Murex purpurea

জরায়ু নেমে যাওয়ার অনুভূতি – বসলে আরাম

যৌন উত্তেজনা বাড়ে – রোমান্টিক চিন্তা

যোনিপথে ব্যথা – জরায়ু থেকে নিচে টান
🔹 Natrum carbonicum
রোদে গেলে মাথাব্যথা শুরু হয়

দুধ হজম হয় না – বমি হয়

একা থাকতে চায়, কষ্ট সহ্য করে চুপচাপ থাকে

🔹 Natrum muriaticum

কষ্ট চেপে রাখে – কাউকে বলতে পারে না

সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না

ঠোঁট ফাটে, মাঝখানে গভীর ফাটল

🔹 Natrum phosphoricum

টক ঢেকুর ও পাকস্থলীতে টক গ্যাস

যৌন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা

সাদা-হলুদ পিচ্ছিল ডিশচার্জ

🔹 Natrum sulphuricum

আর্দ্র আবহাওয়ায় হাঁপানি বেড়ে যায়

মাথায় আঘাতের পর মানসিক পরিবর্তন

সকালে ঘুম ভাঙলেই খিটখিটে মেজাজ

🔹 Naja tripudians

হৃদপিণ্ডে ব্যথা বাম কানে ছড়ায়

ভয় – যেন হৃদপিণ্ড থেমে যাবে

কথা বললে হঠাৎ কথা বন্ধ হয়ে যায়

🔹 Nux moschata

অতিরিক্ত শুষ্ক মুখ – জিহ্বা মুখে আটকে যায়

স্মৃতিভ্রংশ – ভুলে যায় কী বলতে চেয়েছিল

অপ্রকৃতিস্থ হাসি ও ঘোরের মধ্যে থাকে

🔹 Nux vomica

অতিরিক্ত ওষুধপান বা নেশা থেকে সমস্যা

অল্পতেই রাগ – সহ্য করতে পারে না

সকালে মলত্যাগ অসম্পূর্ণ মনে হয়

🔹 Nitric acidum

ধারালো কাঁটার মতো ব্যথা – অঙ্গপ্রত্যঙ্গে

মুখের ঘা থেকে রক্ত পড়ে, দুর্গন্ধ

মলদ্বারে ফাটল, রক্ত ও জ্বালা

🔹 Niccolum

খালি পেটে দুর্বলতা বাড়ে, খেলে আরাম

আক্রমণ প্রবণ মাথাব্যথা – নিঃশ্বাস নিলে বাড়ে

গলায় মিউকাস জমে – খুশখুশে কাশি

🔹 Nepenthes

দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত বা ফোঁড়ার পরে সাপ্রেশন

মেদহীনতা – শরীর শুকিয়ে যায়

পুরনো জ্বর থেকে শরীরে ক্ষয়

🔹 O***m

প্রচণ্ড ঘুম – ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকে

প্রচণ্ড শক বা ভয় পেলে চুপচাপ হয়ে যায়

মুখে গাঢ় রঙের ফেনা – অচেতন

🔹 Oxalic acidum

হঠাৎ হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে

শরীরে তীব্র টান বা খিঁচুনি

কথা বলতে গেলেই হাঁচি বা কাশি

🔹 Oleander

অল্পতেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলে

পেটের চামড়া বা অন্ত্র ভীষণ সংবেদনশীল

ভুলে যাওয়া ও অস্থিরতা একসাথে

🔹 Onosmodium

চোখে অতিরিক্ত ক্লান্তি – পড়লে ঝাপসা দেখায়

যৌন শক্তির হ্রাস, মনে হয় শক্তি শেষ

হাত-পা দুর্বল – কাজে মন বসে না

🔹 Petroleum

শীতকালে চামড়া ফেটে রক্ত পড়ে

চলতে চলতে মাথা ঘুরে পড়ে যায়

গাড়িতে উঠলে বমি বা মাথা ঘোরে

🔹 Phosphoric acid

দুঃখে-শোকে দুর্বলতা – কিছুতেই আগ্রহ পায় না

মাথার চুল ঝরে যায় – মানসিক ক্লান্তি থেকে

প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়, মনোযোগ দিতে পারে না

🔹 Phosphorus

ঠান্ডা পানি চায়, কিন্তু খাওয়ার পর বমি

সামান্য কাটা থেকেও রক্তপাত থামে না

একা থাকতে ভয়, আলোতে ঘুমাতে চায়

🔹 Platina

নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে – অহংকারী

যৌন অনুভূতি বাড়ে – কিন্তু দূরে ঠেলে দেয়

শরীরের অংশগুলো বড় বলে মনে হয়

🔹 Plumbum metallicum

পেটের ভিতর দিকে টানা – নাভির দিকে

হাত-পা শুকিয়ে যায় – প্যারালাইসিস

মলত্যাগে পেশী টান, কোষ্ঠকাঠিন্য চরম

🔹 Podophyllum peltatum

খুব সকালে পানি মত পায়খানা – ছুটে যায়

মল ত্যাগের পর দুর্বলতা

পায়খানার সময় তলপেট জোরে বেজে ওঠে

🔹 Psorinum

খুব নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম ও শরীর

বারবার ঠান্ডা লাগে, গরম কাপড়েও কমে না

খালি পেটে উপসর্গ বেড়ে যায়

🔹 Pulsatilla

খোলা বাতাসে আরাম, বন্ধ ঘরে কষ্ট

চোখে ঘন হলুদ কফ – সকালে জেগে আটকে থাকে

সহজেই কাঁদে, সান্ত্বনা পেলে ভালো বোধ করে

🔹 Pyrogenium

জ্বরের সময় নাড়ি দ্রুত কিন্তু শরীর ঠান্ডা

বিছানার স্পর্শে গা ব্যথা করে

দুর্গন্ধযুক্ত ঘা, প্রস্রাব, পায়খানা

🔹 Passiflora incarnata

মানসিক উত্তেজনায় অনিদ্রা

ঘুমের সময় অস্থিরতা

বিশ্রামহীন উদ্বেগ – ঘুমাতে গেলেই ঘাম

🔹 Quassia amara

তিক্ত ঢেকুর, মুখের স্বাদ তিতা

ক্ষুধা কমে যাওয়া – পাকস্থলীতে অস্বস্তি

জিভে এক ধরণের ঝাঁজাল তিক্ততা

🔹 Stillingia sylvatica (Queen's root)

গলার ভিতরে পোড়ার মতো ব্যথা

গলার কফ সহজে ওঠে না – গলার নিচে জমে থাকে

বুকে কফ জমে খিঁচুনি

🔹 Rhus toxicodendron

বিশ্রামে লক্ষণ বাড়ে – নড়াচড়ায় আরাম

ভেজা আবহাওয়ায় ব্যথা বেড়ে যায়

প্রথমে শক্ত লাগে, পরে স্বাভাবিক

🔹 Rumex crispus

গলায় টিকটিক করে – কাশি উঠতে চায় কিন্তু ওঠে না

ঠান্ডা বাতাসে কাশি তীব্র হয়

গলার নিচে কফ চেপে বসে

🔹 Ruta graveolens

অস্থি সংযোগস্থলে ব্যথা – আঘাত বা কাজের পর

চোখে জ্বলুনি – দীর্ঘক্ষণ পড়াশোনার পর

পেশিতে টান ও শক্তভাব

🔹 Radium bromatum

ত্বকে পোড়ার মতো ব্যথা, হালকা ফুসকুড়ি

বাতের ব্যথা, সন্ধিগঠনে জ্বালা

তেজস্ক্রিয় রশ্মি সংক্রান্ত লক্ষণ

🔹 Raphanus sativus

অপারেশনের পর বায়ু আটকে যায় – বের হয় না

গ্যাস্ট্রিক চরম পর্যায়ে – তলপেটে গুমগুম শব্দ

মলাশয়ে গ্যাসের চাপ – মল থাকে না

🔹 Sabina

মাসিকের রক্ত গাঢ় লাল, জমাট বাঁধা

জরায়ু থেকে ব্যথা পেছনে যায়

গর্ভপাত হবার প্রবণতা – বিশেষ করে ৩য় মাসে

🔹 Sambucus nigra

শিশুদের মধ্যে হঠাৎ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে

ঘুমের সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়

কাশি রাতেই বেশি – ঘুম ভাঙিয়ে দেয়

🔹 Zizia aurea

টনসিল বা গ্রন্থির ফুলে যাওয়া – হঠাৎ সংক্রমণ

গলার ভিতরে চুলকানি, কাশি উঠতে চায়

ইনফ্লুয়েঞ্জার পর দীর্ঘ

211. Malandrinum
❖ ভ্যাক্সিন পরবর্তী ত্বকে ফুসকুড়ি বা চর্মরোগের পুরনো বিষক্রিয়ায় চামড়া পঁচে যায়।
🌺
👨‍⚕️ ক্লিনিকে বসে কনফিউশন দূর করে দ্রুত ও নিখুঁত প্রেসক্রিপশন দেয়ার জন্য
📚 প্রতিটি লক্ষণ হলো একেকটি চিকিৎসার কম্পাস!
🧾 এই লক্ষণগুলো জানা মানেই – প্রেসক্রিপশন লেখার দিকনির্দেশনা হাতের মুঠোয়!
💼 এখন থেকেই এগুলো হোক আপনার অভ্রান্ত

#হ্যানেমানীয়_হস্তচালনা #বিরললক্ষণ
💗💗💗💗লেখক 🚣‍♀️ডা. খোরশেদ আলম ফকির, সহকারি অধ্যাপকঃ হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ কুমিল্লা
চেম্বারঃডকটর হোমিও হল দেবিদ্বার
ফোন, 016 22 46 46 46

Address

62, Islampur, Boroindara More
Nawabganj
6300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when HomeoCure posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to HomeoCure:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category