28/08/2022
দই শুধু মজার খাবারই নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত এই পদ নিয়মিত রাখলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই নিয়মত দই খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতার উন্নতি ঘটে
দইয়ে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কোনো কিছুই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি দূর হয়
দইয়ে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্কের মতো উপকারী উপাদান।
চাপ ও উদ্বেগ কমে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ (অ্যাংজাইটি) কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে যেসব প্রাণঘাতী রোগের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, তার প্রায় সব কটির সঙ্গেই চাপের যোগ রয়েছে। তাই নিয়মিত দই খাওয়ার প্রয়োজনয়ীতা যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
হৃৎপিণ্ডের ক্ষমতা বাড়ে
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় দই। তাই তো নিয়মিত এই দুগ্ধজাত খাবার খেলে হৃৎপিণ্ডের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই পরিবারে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ইতিহাস থাকলে দইয়ের সঙ্গ ছাড়ার ভুল কাজটি করবেন না যেন!
ত্বক সতেজ হয়
দইয়ে পরিমাণমতো বেসন ও অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে ত্বক নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকে না। আসলে দইয়ে থাকা জিঙ্ক, ভিটামিন ই ও ফসফরাস এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পলন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে কম করে দু-তিনবার লাগালে দারুণ উপকার মেলে।
ক্যানসারের মতো রোগকে দূরে রাখে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটোব্যাসিলাস ও স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস নামের দুটি ব্যাকটেরিয়া শরীরের ভেতরে ক্যানসার কোষের জন্ম আটকে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যানসারের মতো রোগ ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না।
হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।