18/09/2025
হাড় ভেঙে গেলে সাধারণ পদ্ধতি হচ্ছে ধাতব প্লেট, স্ক্রু বা পিন ব্যবহার করে ফিক্সেশন করা।
এসব ধাতব যন্ত্রাংশ লাগানোর পর অতর্কিতে অপারেশন, সংক্রমণ, অপসারণের ঝুঁকি থাকে এবং অপারেশন অনেক সময় এবং খরচ বাড়ায়।
বাইরের আঠা-জাত দ্রব্য বা বায়োকং-ম্যাটেরিয়াল দিয়ে হাড় জোড়া দেওয়ার চেষ্টা পুরাতন — ১৯৪০-এর দশক থেকেই গ্লুটেন, পশুর জেলাটিন, এক্রিলেট, এপোক্সি ইত্যাদি ব্যবহার হয়েছে, কিন্তু পারদর্শিতা, শরীরের সাথে সঙ্গতি (biocompatibility), আর্দ্র/রক্তপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার ক্ষমতা অনেকখানি কম ছিল।
“Bone-02” একটি নতুন ধরনের বায়োমিমেটিক আঠা, অর্থাৎ তারা প্রাকৃতিক সৃষ্টির (oysters / সীপ) আঠার পদ্ধতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে। oysters জলযুক্ত, নড়াচড়া ও রক্তপূর্ণ পরিবেশে বস্তুর সঙ্গে সূক্ষ্মভাবে এবং দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে — এ ধরণের অবস্থা হাড়ের ক্ষেত্রে ও অপারেশনের সময় হয়।
এই আঠাটি “blood-rich environment” এমনকি রক্তরঞ্জিত পরিবেশেও ব্যবহার করা যায় এবং সেটিং-টাইম খুব দ্রুত — ভাঙা/চূর্ণ হাড়ের ফ্র্যাকচার ঠিক করতে ২-৩ মিনিটের মধ্যে সেট হয়ে যেতে সক্ষম।
এটি বায়োঅ্যাবসরবেবল (পচে গিয়ে শরীরের দ্বারা শোষিত) — অর্থাৎ ধাতব ইমপ্ল্যান্ট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে নাও হতে পারে, এবং অপারেশনের পর দ্বিতীয় অপারেশন করতে হবে না ধাতু সরানোর জন্য।
এই কাজ করেছ ঠিকানা: Zhejiang প্রদেশ; সু-নির্ধারিত একজন নেতা: ডঃ Lin Xianfeng, Sir Run Run Shaw Hospital, Zhejiang University-এর সঙ্গে যুক্ত একজন অর্থোপেডিক সার্জন।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল/ল্যাব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে >150 জন রোগী।
সর্বোচ্চ বন্ডিং ফোর্স (bonding force) প্রায় 400 পাউন্ড–এর বেশি।
শেয়ার স্ট্রেংথ (shear strength) প্রায় 0.5 MPa।
কমপ্রেসিভ স্ট্রেংথ (compressive strength) প্রায় 10 MPa।
অপারেশন সময় অনেক কমে যাবে (২-৩ মিনিটে ফ্র্যাকচার ফিক্স হওয়া) → রোগীর অপারেশন রিকভারি দ্রুত হতে পারে।
ধাতব প্লেট/স্ক্রু/পিন ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত যোজনার দরকার কমবে → সংক্রমণ, ধাতু সংক্রান্ত অনাবশ্যক ঝামেলা (আлер্জি, ধাতু পাতলা হওয়া, মেটালের বিরোধী প্রতিক্রিয়া) কম হতে পারে।
বাড়তি অপারেশন (ধাতু সরানোর জন্য) তুলে নেয়ার প্রয়োজন নেই → রোগীর জন্য সুস্থতার ঝামেলা, খরচ উভয়ই কম হবে।
surgical incision, ব্যথা ও অপারেশন-পরবর্তী অসুবিধাগুলো কম হবে।
যদিও পরীক্ষাগুলি ইতিমধ্যে বেশ কিছু রোগীর ওপর হয়েছে, বড় পরিসরে দীর্ঘ-মেয়াদী অভ্যাস ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (long-term safety) স্বাভাবিকভাবেই যাচাই করা বাকি আছে। কতদিন ধরে আঠাটি স্থিত থাকবে, কখন কোথায় গলে যাবে বা শোষিত হবে — এসব নিয়মমাফিক নিরীক্ষণ জরুরি।
ভেঙে যাওয়া হাড়ের ধরন ও অবস্থার ওপর নির্ভর করবে: চূর্ণ হাড়, হাড়ের ফাঁকের সমস্যা, বা দীর্ঘপাল্লার বোঝা যা ধাতব ইমপ্ল্যান্ট দিয়ে সহায়তা করা হয়, সেখানে কি পুরোপুরি গ্লু কাজ করবে?
আঠাটির শক্তি ও স্থায়িত্ব ‒ শেয়ার স্ট্রেস, কমপ্রেসিভ স্ট্রেস, বন্ডিং ফোর্স সব কিছুই ভালো হলেও, ধাতু প্লেট বা স্ক্রুর মতো অভ্যন্তরীণ ভার বাহনের ক্ষেত্রে কি পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবে?
উৎপাদন খরচ, পার্ট-নার্সের (hospital-supply chains) প্রস্তুতির সক্ষমতা, নিয়ন্ত্রক অনুমোদন (regulatory approval) ‒ সব জায়গায় সময় ও খরচ লাগতে হবে।
আঠাটি রক্তে, আর্দ্রতায়, সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় কতটা প্রতিরোধী হবে, এলাকাটিতে ঠিকমতো ফিক্স থাকবে কি না — এসব অপারেশন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
যদি সব পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায়, তাহলে হারস ভাঙ্গার চিকিৎসায় ধাতু ইমপ্ল্যান্টের ব্যবহার অনেকটাই কমে যেতে পারে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেখানে অপারেশন আর হাসপাতালের খরচ অনেক বেশি সমস্যা। এ ধরনের “গ্লু” পদ্ধতি খরচ এবং সময় দুটোই কমাতে পারে।
বিভিন্ন হাড়ের ফ্র্যাকচারে তার প্রয়োগ বিকাশ পাবে — ধনুক বা স্কেলেটাল হাড়, বড় ফাঁক, শিশুদের ক্ষেত্রে, বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
প্রযুক্তি আরও উন্নত হলে, এই ধরণের জৈবগ্লু অন্যান্য অস্থি সেতু (bone grafts), দাঁতের হাড়, আঘাতজনিত হাড়ের দুর্দшан ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে।
এই আবিষ্কারটা এক প্রকার বিপ্লবী, কারণ:
এটি “3 মিনিটে হাড় জোড়া দেওয়া” – শুধু সময় কমাচ্ছে না, রোগীর অপারেশন ও পুনরুদ্ধারি সময় খুব দ্রুত করতে পারবে।
প্রতিস্থাপন ধাতু ইমপ্ল্যান্টের ঝামেলা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অপারেশন-বিচ্ছিন্নতার সমস্যা অনেক কমিয়ে আনবে।
তবে বিজ্ঞানেই “পাশাপাশি” কাজ করতে হবে — দীর্ঘ-মেয়াদে কী হবে, সব ধরণের ফ্র্যাকচারে কাজ করবে কি, এবং নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত — এসব।