হোমিওপ্যাথি টিপস্

হোমিওপ্যাথি টিপস্ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from হোমিওপ্যাথি টিপস্, Medical Center, Nawabganj.

11/11/2019

্গ_কারণ_প্রতিকার:
IBS অথবা Irritable bowel syndrome হচ্ছে মানবদেহের কোলনের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা মূলত কোলনের কিংবা বৃহদান্ত্রের অস্বাভাবিক ফাংশনের কারণে তথা কোলনের স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাতের কারণে হয়ে থাকে.

#কোলনের_কাজ_কি??
কোলন বা বৃহদান্ত্র হচ্ছে মানুষের খাদ্য পরিবহনতন্ত্রের একটি অংশ, যা একদিকে ক্ষুদ্রান্ত্রের সাথে এবং অপরপ্রান্তে রেকটামের সাথে সংযুক্ত থাকে।
আমরা যেইসব খাবার খেয়ে থাকি, তাহা
পাকস্থলীতে ডাইজেস্ট হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে যায়, সেখান থেকে শারিরীক চাহিদা মোতাবিক একটি অংশ absorption হয়ে Circulation এ চলে যায়..
বাকি অংশ ফ্লুইড অবস্থায় বর্জ্য পদার্থ হিসাবে বৃহদান্ত্রে চলে যায়।।

কোলনের কিংবা বৃহদান্ত্রের কাজ হচ্ছে ফ্লুইড বর্জ্য পদার্থ থেকে watar absorption করে এই ফ্লুইড বর্জ্য থেকে শক্ত মল তৈরি করে রেকটামে পাঠিয়ে দেওয়া।। ওয়াটারের সাথে কিছু ভিটামিন B এবং K শোষিত হয়।

বৃহদান্ত্রের এই পরিবহন কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর বৃহদান্ত্র সংকুচিত (contracton) হতে থাকে, Colon এর এই Contracton এর সময় বর্জ্য পদার্থ সমূহের পরিবহন হয়, এবং তা ধিরে ধিরে রেক্টামে চলে যায়, একটি সুস্থ মানুষের বৃহদান্ত্রে এই ধরনের সংকোচনের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে, যার কারনে সুস্থ মানুষের মল তৈরি ও মলাশয় পুর্ণ হবার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে, এবং আলটিমেটলি তাদের
মলত্যাগেরও একটি রুটিন থাকে।।

তবে যদি কারো বৃহদান্ত্রের contracton frequency
পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তার Bowel habit এ পরিবর্তন হয়ে যাবে,, বৃহদান্ত্রের স্বাভাবিক ফাংশন যদি অন্ত্রে কোনো প্যাথলজিক্যাল কারণ ছাড়াই পরিবর্তন হয়ে যায়, যথা কোলনের অভ্যান্তরীন কোনো ইনফ্লামেশন কিংবা প্রদাহ ছাড়াই যদি কোলনের ফাংশন অস্বাভাবিক হয়ে যায়, এবং সেই কারণে যদি bowel habit এ কোনো পরিবর্তন লক্ষ দেখা যায়, তবে
এই Dysfuntional colon জনিত bowel habit এর অস্বাভাবিকতা কে irritable bowel syndrome বলে।।

#উপসর্গ::
১. Alternating Stool pattern. অর্থাৎ মল ত্যাগের
স্বাভাবিক নিয়ম পরিবর্তন হয়ে যাবে,, পূর্বে দিনে দুইবার মলত্যাগ হলে IBS রোগ হলে পূর্বের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যাবে.. দিনে তখন ৫-৬ বার টয়লেটে যাওয়া লাগতে পারে, এমনকি আহার করার কিছুক্ষন পরেও মলত্যাগের চাপ আসতে পারে।
কারো ক্ষেত্রে IBS এ কেবল এই উপসর্গ বেশি থাকে,
তখন এইটাকে বলে IBS-A (Alternating stool pattern)

২.দীর্ঘস্থায়ী Diarrhoea ( ডায়েরিয়া) হতে পারে
যদি ডায়েরিয়া উপসর্গ বেশি থাকে, তাহলে এইটাকে
বলে IBS-D.

৩..
আবার যদি colon এর Contraction frequency very slow হয়ে যায়, তখন কোষ্টকাঠিন্ন কিংবা
Constipation দেখা দেয়. এই প্রকার IBS যেখানে Constipation predominant, তাকে IBS-C বলে।

৪..
কারো ক্ষেত্রে কয়েকদিন ডায়েরিয়া আবার কয়েকদিন কোষ্টকাঠিন্ন আবার পুনরায় ডায়েরিয়া দেখা দিতে পারে.. আবার কারো কারো রাত্রে ডায়েরিয়া হতে পারে

৫..
মিউকাস মিশ্রিত মলত্যাগ হতে পারে, রোগী বলবে, আমার আমাশয় হচ্ছে. কিংবা তৈলাক্ত পায়খানা হচ্ছে।

৬।
দীর্ঘস্থায়ী পেটে ব্যাথা হতে পারে, ও পেট ফুলে থাকতে পারে রোগী বলবে, হঠাৎ করে পেট কামড়িয়ে উঠে, এবং হঠাৎ পায়খানায় চলে যেতে হয়,

৭..
গ্যাস জমতে পারে আবার পায়ুপথে বায়ু নির্গত হতে পারে,

৮। খাবার রুচি কমে যেতে পারে,

৯। পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে

১০। ওজন কমে যাবে

১১। শারীরিক দূর্বলতা লাগবে, অবসাদগ্রস্ত লাগতে পারে,

১২। রাত্রে পরিমিত ঘুম হবেনা।

১৩। কারো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলেই IBS শুরু হয়। যেমন ময়দার তৈরি খাবার কিংবা বেকারী জাতীয় খাবার, যেইসব খাবারে Gulten থাকে। যা মূলত
celiac disease এ হয়ে থাকে।।।

কারণ::
IBS এর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে IBS
হয়ে থাকে মুলত Functional abonormality of colon এর কারণে।

আর অস্বাভাবিক ফাংশন নিম্নোক্ত কিছু কারণে হয়ে থাকে,,

১.. Unknown Etiology

২..
ব্রেইন থেকে যদি কোনো কারণে বৃহদান্ত্রে নার্ভ সিগনাল আসতে ডিস্ট্রাব হয়, তাহলে বৃহদান্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে, এবং IBS ডেভেলপ হয়।

৩...
Post infectious IBS, অর্থাৎ যদি গ্যাস্ট্রো-ইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে কোনো মাইক্রো অর্গানিজম দ্বারা ইনফেকশন হয়, তাহলে ইনফেকশন পরবর্তী IBS ডেভেলপ হতে পারে, যেমন V.cholerea, E.Coli
সালমোনেলা টাইপি, ইনফেকশন, রোটা ভাইরাস ইনফেকশন, এমন কি ডেঙ্গু ইনফেকশন এর পরেও
IBS হতে পারে।।

৪.. Stress Related IBS.
দুশ্চিন্তা থেকে কিংবা অতিরিক্ত পেরেশানি, অস্থিরতা,
ডিপ্রেশন থাকলে IBS হতে পারে, যেমন কোনো
নতুন জায়গায় বাসা নিলে দুশ্চিন্তায় IBS হয়,
পরীক্ষার সময়ও দুশ্চিন্তার কারণে IBS এর উপসর্গ দেখা দেয়।।

৫। Gut Flora সমূহের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে
IBS হতে পারে।।

ইনভেস্টিগেশন:
১.
করে কোনো Identifiable ইনফেকশন আছে কিনা তা Exclude করবে।

২. ::
Inflammatory bowel disease এর কারণেও IBS এর মত উপসর্গ দেখে দেয়, তাই কোলনস্কপি করে
তা শিওর হয়ে নিবে।।

#ম্যানেজমেন্ট

১. পেশেন্ট কে কাউন্সেলিং করবে যে, এইটা বড় কোনো রোগ না, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন, কোনো দুশ্চিন্তা করবেন না, রোগী কে যদি নিশ্চিত করা যায়
যে এইটা নিরাময়যোগ্য, তাহলে রোগী দুশ্চিন্তা মুক্ত
থাকবে, এবং ৫০% রোগ মেডিসিন ছাড়াই সুস্থ হয়ে যাবে।।

২..সিম্পটোমেটিক ট্রিটমেন্ট দিবে যথা,,,
#ডায়েরিয়া থাকলে Anti- Diarrhoeal Drugs দিবে।
থাকলে laxatives দিবে।।
Stool pattern থাকলে Anti-spasmodic কিংবা Anti-cholinergic দিবে।।।

Antispasmodic এর মধ্যে Drotaverine এবং
Mebeverine ভালো কাজ করে।।

৩। দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে Anxiolytic দিবে।
যথা Clonazepam অথবা Nortriptyline,
Amitriptyline ইত্যাদি।।

৪। রোগীকে Gulten জাতীয় জিনিষ তথা ময়দার
তৈরি জিনিষ খেতে নিষেধ করবে।

৫..ফাইবার জাতীয় খাবার যথা শাক শব্জি বেশি বেশি খেতে বলবে,, ইসুপগুলের ভুসি ইত্যাদি খেতে পরামর্শ দিবে।।

৬। পরিমিত ঘুম যাবে, নিয়মিত ব্যায়াম করবে।।

৭। সব সময় হাঁসিখুশী থাকার চেষ্টা করবে।।

#সতর্কতা:
IBS হলে নিম্নোক্ত খাবার সমূহ পরিহার করবে, কারণ এই খাবার গুলি IBS এ ক্ষতিকর।
১. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, মিষ্টান্ন খাবার ইত্যাদি।
২. চকলেট, চা, কফি ও অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত খাবার
৩. ময়দা থেকে তৈরী যেকোন খাবার, যথা
ময়দার রুটি, বিস্কিট, ও অন্যান্য বেকারীজাত
খাবার।।
৪.. যেসব সবজি গ্যাস বাড়ায় যেমন বাঁধাকপি
ফুলকপি, বেগুন ইত্যাদি।

৫। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার,
যথা গরুর গোস্ত, দোকানের পরটা, সিঙ্গারা, কিংবা
অন্যান্য তেলে ভাজা খাবার পরিহার করবে।।

মোট কথা যেইসব খাবার খেলে IBS এর উপসর্গ দেখা দেয়, তা পরিহার করবে।।।

written by
Ismail Azhari
DCMC:13-14

20/03/2019

IBS কী?

IBS নিরাময়ে ডায়েট:Irritable Bowel Syndrom (IBS)বা মানসিক অস্থিরতাজনিত আমাশয় রোগ। এ রোগের কোনো স্বীকৃত কারণ পাওয়া যায়নি। তাই একে Functional disorderও বলা হয়। Irritable Bowel Syndrome (IBS) বা আই.বি.এস একটি সাধারন রোগ যা বৃহদান্ত্রের ফাংশনাল লক্ষণ সমূহের সমষ্টি। ফাংশনাল মানে হলো যার কোন গঠনগত ক্রটি নাই। কিন্তু কার্যকারিতায় ক্রটি রয়েছে।
লক্ষণ সমূহ:পেটে ব্যাথা,খাবার পর অস্বস্থি বোধ,পেট ফেঁপে যাওয়া,মলের সমস্যা,ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য — সাথে আরো কিছু সাধারণ লক্ষণ থাকতে পারে:
দূর্বলতা,মাথাব্যাথা,বমি বমি ভাব ইত্যাদি ,কারো কারো স্বল্প লক্ষণ থাকে, কারো কারে তীব্র লক্ষণ দেখাদেয়।
আইবিএস-এর যে উপসর্গগুলো বেশি দেখা যায়, সেগুলো হল—পেটে ব্যথা, পেট কামড়ানো—পায়খানা করলে কষ্ট কমে,পায়খানায় পরিবর্তন—ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও দুই-ই পেট ফাঁপা পেটে বেশি গ্যাস হওয়া, বেশি বাতকর্ম হওয়া,হঠাৎ করে শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা, যেতে তর সয় না,পায়খানা করে আসার পরপর-ই আবার পায়খানা পাওয়া,পায়খানা করে পেট পরিষ্কার হল না—এমন মনে হওয়া,মলদ্বার দিয়ে আম যাওয়া।আইবিএস-এর জন্য যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তার জন্য রোগী অনেক সময় অবসাদ বা উদ্বেগে ভোগেন।
আইবিএস-এর প্রধানত তিনটে ধরনঃ১। ডায়রিয়া প্রধান আইবিএস ২। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রধান আইবিএস৩। ডায়রিয়া-কোষ্ঠকাঠিন্য মিশ্র আইবিএস
সব সময় যে একজন একই ধরনের উপসর্গে ভুগবেন এমন না নয়, উপসর্গ বদলাতে পারে, এমনও হতে পারে যখন দীর্ঘ সময় ধরে কোন উপসর্গ নেই বা অল্প উপসর্গ আছে।
যে উপসর্গ থাকলে অবহেলা করা উচিত হবে না আইবিএস-এর মতো উপসর্গের সঙ্গে যদি নিচের উপসর্গগুলো থাকে তাহলে হয়ত আইবিএস নয়, অন্য কোনও গুরুতর সমস্যা রয়েছেঃওজন কমছে, অথচ কারণ বোঝা যাচ্ছে না,পেটে বা মলদ্বারের কাছে কোনও ফোলা,মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া,রক্তাল্পতা
আইবিএস কেন হয়?আইবিএস ঠিক কি কারণে হয় তা এখনও অজানা। খাদ্যনালির সমস্তটার অতিরিক্ত উত্তেজনা-প্রবণতাই আইবিএস-এর কারণ। আমরা খাবার খাওয়ার পর খাদ্যনালির ছন্দবদ্ধ সংকোচন-প্রসারণে তা নিচে নামে, এই সংকোচন-প্রসারণে পরিবর্তন আইবিএস-এর কারণ হতে পারে। হয় খাবার খাদ্যনালি দিয়ে বেশি তাড়াতাড়ি নামে, খাবার থেকে জল শোষিত হওয়ার সময় পায় না, ফল ডায়রিয়া। অথবা আস্তে আস্তে নামে, খাবার থেকে বেশি জল শোষিত হয়ে যায়, ফল কোষ্ঠবদ্ধতা। যেটাই হোক না কেন, পেটে অস্বস্তি হয়। আবার খাদ্যনালির ব্যথার প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়াও কারণ হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ফুড পয়জনিং-এর পর আইবিএস শুরু হতে।
বোধহয় খাদ্যনালি থেকে মস্তিষ্কে, মস্তিষ্ক থেকে খাদ্যনালিতে যে সংকেতগুলোর আসা-যাওয়া ঠিকঠাক কাজ হওয়ার জন্য জরুরি, তাতে কোনও বিঘ্ন ঘটে।5-hydroxytryptamine (5-HT) নামের একটা রাসায়নিক বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার পর এবং চাপের সময় শরীরে যার মাত্রা বাড়ে, খাদ্যনালির স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটানোর পেছনে তার ভূমিকা আছে বলেও মনে করা হয়।
কিছু মানসিক কারণও থাকতে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার মানে কিন্তু এমনটা নয় যে আইবিএস মানসিক রোগ। মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মতো আবেগের তীব্রতা শরীরে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন আনতে পারে যাতে করে খাদ্যনালির স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হয়। যেসব মানুষের আগে আইবিএস ছিল না, কঠিন পরীক্ষা বা চাকরির ইন্টারভিউ-র আগে তাঁদের আইবিএস-এর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দেখা যাঁদের আইবিএস আছে তাঁদের অনেককে ছোটবেলায় যৌন নির্যাতন, অবহেলা, বড় কোন অসুখ বা পরিবারে কোন নিকটজনের মৃত্যুর মতো আঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। হয়ত এসব অভিজ্ঞতা তাঁদের চাপ, ব্যথা-বেদনার অনুভূতির প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তুলেছে।
আইবিএস-এর উপসর্গ শুরু করে কারা?দেখা গেছে নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয় উপসর্গ শুরু করতে পারে—তবে সবারই যে সব কিছুতে হবে এমন নয়। এগুলো হলঃএ্যালকোহল,ঠান্ডা পানীয় (যেগুলোতে গ্যাস মেশানো থাকে),চকোলেট,চা-কফি-কোলার মতো কেফিন-যুক্ত পানীয়,প্যাকেটের জলখাবার—বিস্কুট বা মুচমুচে।বেশি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার,ভাজা খাবার।আইবিএস-এর রোগী যদি খাবার-দাবারের ডায়েরি রাখেন, তাহলে কোন খাবারে উপসর্গ হচ্ছে বুঝতে সুবিধা হয়।এছাড়া আগেই বলেছি মানসিক চাপও আইবিএস-এর উপসর্গ শুরু করতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোও আইবিএস-এর চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম।

কখন ডাক্তার দেখাবেন? যদি আপনার মনে হয় আইবিএস হচ্ছে, তাহলে ডাক্তার দেখানো উচিত। ডাক্তার দেখে নেবেন আপনার অন্ত্রে কোন জীবানু-সংক্রমণ আছে কিনা, সিলিয়াক ডিজিজ কিনা (যে রোগে রোগী গ্লুটেন সহ্য করতে পারেন না) বা খাদ্যনালিতে কোনও দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ আছে কিনা।
রোগ-নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা:আইবিএস-এ খাদ্যনালিতে কোন নির্দিষ্ট আস্বাভাবিকত্ব দেখা যায় না বলে সাধারণত কোন পরীক্ষা করার দরকার নেই। শারীরিক পরীক্ষা করে ও উপসর্গ দেখেই ডাক্তার আইবিএস সন্দেহ করেনঃপেটে ব্যথা বা পেট ফাঁপা যদি মলত্যাগ করলে কমে যায় বা পেট ব্যথা বা পেট ফাঁপার সঙ্গে যদি মাঝে মাঝে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিবার যদি পায়খানা করতে হয়।নিচের উপসর্গগুলোর মধ্যে যেকোন দুটো থাকলে রোগ-নির্ণয় নিশ্চিত হয়ঃপায়খানা করার জন্য চাপ দিতে হওয়া, হঠাৎ করে জোর পায়খানা পাওয়া বা পায়খানা করার পরও যেন পেট খালি হল না মনে হওয়াপেট ফাঁপা, পেটে শক্তভাব বা চাপ অনুভব করা খাওয়ার পর উপসর্গগুলো বেড়ে যাওয়া ,মলদ্বার দিয়ে আম পড়া।
আইবিএস-এর উপসর্গের সঙ্গে যদি কারণ ছাড়া ওজন কমা, পেটে বা মলদ্বারের কাছে কোনও ফোলা, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া বা রক্তাল্পতা থাকে তাহলে পরীক্ষা করে দেখতে হয় কোন গুরুতর রোগ আছে কিনা। এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে প্রয়োজন হতে পারেঃসিগময়েডোস্কোপি (sigmoidoscopy)-র যাতে একটা সরু নমনীয় নল মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে বৃহদন্ত্রের নিচের অংশ দেখা হয়। বা কোলনোস্কোপি (colonoscopy)-র যাতে নল দিয়ে পুরো বৃহদন্ত্রটাকেই দেখা হয়।
আইবিএস থেকে গুরুতর কোনও রোগ হতে পারে কিনা?আইবিএস-এর উপসর্গগুলো খুব কষ্টদায়ক বা অস্বস্তিকর হলেও এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে এ থেকে ক্যানসার বা খাদ্যনালির অন্য কোনও গুরুতর রোগ হয়।
আইবিএস-এর চিকিৎসা:নিজের খাদ্যভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে ও রোগটার স্বরূপ বুঝে এর উপসর্গগুলোকে কমিয়ে রাখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ওষুধ বা মনোচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। নিজের খাদ্যভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে ও রোগটার স্বরূপ বুঝে এর উপসর্গগুলোকে কমিয়ে রাখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ওষুধ বা মনোচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
আইবিএস নিরাময়ে খাবার-দাবার:একই রকম খাদ্যতালিকা সব আইবিএস রোগীর জন্য কাজের এমন না।
পিপারমিন্ট চা: এই চা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং এনার্জি বাড়ায়।পাচন শক্তি বাড়াতে এবং ব্যাথা উপশমকারী। যখন খাবার ঠিক করে হজম হয়না তখন পিপারমেন্ট চা খেতে পারেন৷ এই চা ক্লান্তি দূর করে। মাটচা চা(Matcha Tea): মেটাবলিজম শক্তি বৃদ্ধি করে,ক্যালোরি কমায়।কোলেস্ট্রল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে।
দাড়ুচিনি চা: ওজন কমাতে এবং শরীরে ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আঁশ বা তন্তু (Fibre)-আমাদের খাবারে দুধরনের আঁশ থাকে এক ধরনের আঁশ দ্রাব্য ,শরীর যেগুলো হজম করে, আরেক ধরনের অদ্রাব্য শরীর যাকে হজম করতে পারে না। দ্রাব্য আঁশ আছে কলা, আপেল,গাজর, আলু ও মাটির নিচের তরকারিতে। অদ্রাব্য আঁশ আছে ভূষিশুদ্ধ আটার রুটিতে, ভূষি, শস্যদানা ও বাদামে।ডায়রিয়া-প্রধান আইবিএস-এ অদ্রাব্য আঁশের পরিমাণ খাদ্যে কমালে লাভ হয়। ফল ও তরকারির খোসাও না খাওয়া উচিত।কোষ্ঠকাঠিন্য-প্রধান আইবিএস-এ খাবারে দ্রাব্য আঁশের পরিমাণ বাড়ানো উচিত এবং পানি পানের পরিমাণ বাড়ানো উচিত।আইবিএস রোগীদের যা করা উচিত :সময়মত খাবার খাওয়া, সময় নিয়ে চিবিয়ে খাওয়া,কোন খাবার বাদ না দেওয়া, দুটো খাবারের মধ্যে যেন বড় সময়ের অন্তর না থাকে,দিনে অন্তত ৮কাপ পানি ও চা-কফি বাদে অন্য তরল খেতে হবে,চা-কফি দিনে ৩ কাপের বেশি নয়,এ্যালকোহল ও ঠান্ডা পানীয়ের পরিমাণ কমাতে হবে,অদ্রাব্য আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে,কাঁচা ফল বেশি খাওয়া যাবে না,ডায়রিয়া থাকলে সরবিটল (যা চিনি ছাড়া মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয়, চুইং গাম ইত্যাদি মিষ্টি করতে ব্যবহার করা হয়) এড়িয়ে যেতে হবে, ইত্যাদি।
আইবিএস-এ ব্যায়াম:দেখা যায় শারীরিক ব্যায়ামে অধিকাংশ আইবিএস রোগীর লাভ হয়। দিনে আধ ঘন্টা, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যায়াম করা দরকার। ব্যায়াম এমনটা হবে যাতে ব্যায়াম করে শ্বাসগতি ও নাড়ীর গতি বাড়ে। জোরে হাঁটা বা চড়াই চড়া এমন ব্যায়ামের উদাহরণ।

সংগ্রহীত

13/02/2019

১) ত্রিফলা চূর্ন
পৃথিবীতে বিস্ময়কর ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন ভেষজ উপাদানসমূহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ফল যা সবার কাছে সুপরিচিত ভেষজ-আমলকী, হরীতরকী ও বহেড়া। এই তিনটি ফলকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একত্রে ত্রিফলা বলে। ইউনানী পরিভাষায় একে বলা হয় ত্রিফল।

রোগ প্রতিরোধ, বলবৃদ্ধি, অকালবার্ধক্য রোধ, দেহের টক্সিন/ বিষাক্ত বস্তু নিঃসরন, রেচক – মোট কথা শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য যা লাগে সব আছে ” ত্রিফলা তে”। এ জন্যই বলা হয় – ” সকল রোগের এক বিধান, দিনে দুবেলা ত্রিফলা খান ”


২) অশ্বগন্ধা চূর্ন
অশ্বগন্ধা/উইন্টারচেরী ( Winter cherry) একটি ঔষধি ভেষজ/হার্বস যা সাধারন দূর্বলতা, যৌন দুর্বলতা, মানসিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, অবসাদ, শিশু অপুষ্টি, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, পীড়ন, কোষকলার ঘাটতি, স্নায়বিক অবসাদ, গ্রন্থিস্ফীতি, অনিদ্রা, দুগ্ধস্বল্পতা, শুক্রস্বল্পতায় কার্যকর ।

৩) শিমুল মূল চূর্ন
শিমুল/Cotton Tree মূলের পাউডার একটি ঔষধি ভেষজ/হার্বস যা যৌনশক্তি বর্ধক, বীর্যসৃষ্টি কারক, দেহ মোটা ও তাজা করে, যৌবন ধরে রাখে । দ্রত বীর্যপাত রোধ করে, মহিলাদের শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, পাতলা পায়খানা, আমাশয়, শুক্রতারল্য, স্নায়বিক দূর্বলতা এবং দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে অত্যান্ত উপকারী।

৪) শতমূল চূর্ন
শতমূল ( Asparagus) এমন একটি ভেষজ/হার্বস যা সাধারন বলকারক, যৌন শক্তি বর্ধক, শুক্র গাঢ় কারক, শুক্র সৃষ্টি কারক, পুষ্টি কারক এবং দুগ্ধ বর্ধক । শুক্র মেহ, স্নায়বিক দূর্বলতা, মূত্র কৃচ্ছতা, মানসিক দুর্বলতা এবং যৌন দুর্বলতায় বিশেষ উপকারী ।

৫) তেতুল বীজ চূর্ন
তেঁতুল বীজ বলকারক, শরীরের দূর্বলতা দূর করে, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, বীর্যের উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে। মহিলাদের জরায়ুর শক্তিবর্ধন করে ।

৬) জাম বীজ চূর্ন
জাম/সিযিজিয়াম (Jambolan/Syzygium) ডায়েবেটিস, মধুমেহ, বহুমূত্র, ধাতু দুর্বলতা দূর করে, রুচকারক । প্রদাহ নাশক, কোষ্ঠবদ্ধতা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও প্যানক্রিয়াসের গোলযোগে ব্যবহার করা হয়। দাঁতের গোরা ও মাড়ির শক্তি বৃদ্ধি করে।

৭) বেল চূর্ন
বেল (Wood apple) একটি ঔষধি ফল যা পাকস্থলী ও লিভারের শক্তি বৃদ্ধি করে । হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, কোষ্টকাঠিন্য, আমাশয়, ডায়রিয়া, IBS, অন্ত্রের আলসার ও ক্ষত নিরাময়ে কার্যকর ।

8) অর্জুন ছাল চূর্ন
অর্জুন (Arjuna myrobalan) একটি ঔষধি ভেষজ/ হার্বস যা, বলকারক, হৃদরোগ, হৃদপিণ্ডের শক্তিবর্ধক, যৌন অনীহা/যৌন ইচ্ছার অভাব, কোলেস্ট্রল, উচ্চরক্তচাপ, হাঁপানি, জ্বর, প্রদাহ বা ফোলা, রক্ত আমাশয় ও ক্যালসিয়ামের পরিপূরক ( ক্যালসিয়াম থাকে ২৩% ), ক্ষত ও ঘা, বদহজম, ক্ষয় কাশ, শুক্রমেহ, শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর, মূত্রবৃদ্ধিকারক,ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়
৯) মেথি চূর্ন
মেথি (Fenugreek) একটি ঔষধি মশলা যা যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, ডায়েবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তের কোলেস্ট্রল কমাতে, আমাশয়, বাত, অর্শ, প্রসব পরবর্তী সমস্যায়, হাইপার এসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস এ কার্যকর ।
প্রসব পরবর্তি ব্যাথা, ব্যাথাযুক্ত মাসিক, স্ত্রী জননাঙ্গের অন্যান্য সমস্যায় কার্যকর। মেথি ত্বকের লাবন্য ফিরিয়ে আনতে ও উজ্জলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী।

১০) সোনাপাতা চূর্ন
রাসুল সাঃ বলেছেন – অবশ্যই তোমাদের সোনা/সিনা (Sanna) ও শুলফা ব্যবহার করা উচিত । এ দুটোতে সাম ছাড়া সকল রোগের নিরাময় রয়েছে। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! সাম কি? তিনি বললেন “মৃত্যু” । ইবনে মাজাহ, চিকিৎসা অধ্যায়, হাদিস নাম্বারঃ ৩৪৫৭ ,।

রাসুল সাঃ বলেন, এমন কোনো প্রতিষেধক যদি থাকতো, যা মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে পারতো, তাহলে তা হতো সিনা/ সোনা পাতা ( আত-তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩১ )

সোনা পাতা কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। পায়ু পথের সমস্যা দূর করতে, অর্শের সমস্যায়, অপারেশনের পূর্বে ও পরে পেট পরিষ্কার রাখতে সোনাপাতা ব্যবহার করা হয়।

ক্ষুধা কমায়, যকৃত বিকৃতি, প্লীহা বিকৃতি, বদহজম, ম্যালেরিয়া তকের বিভিন্ন সমর্সা জন্ডিস এবং এনিমিয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, রেচক, ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
১১) কালোমেঘ চূর্ন
কালোমেঘ (Creat) রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক, রেচক ও কৃমিনাশক। জ্বর, পেটের রোগ, অজীর্ণ, রক্ত আমাশয় ও গা-পাঁচড়ার চিকৎসায় কার্যকরী। এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । অগ্নিমান্দ্য, উদরাময়, রক্ত আমাশয়ে, ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক, হেপাটাইটিস বি ( HBs Ag + ) রোগের জন্য উপকারী । কালোমেঘ নির্যাসের পানিতে দ্রবণীয় অংশ ফ্ল্যাভনয়েডের শিগেলা ডিসেন্টেরিকে প্রতিহত করার ক্ষমতা অনেক বেশী।

11/01/2019

Asthma (হাঁপানি) চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি :-

হাঁপানি হলো কিছুদিন পরপর বারে বারে আসা তীব্র শ্বাসকষ্টের নাম যাতে শ্বাসনালী চিকন হওয়ার কারণে শ্বাস নেওয়ার অথবা ছাড়ার সময় হিস হিস শব্দ হয় । হাঁপানির সাথে কখনও কখনও কাশি থাকে এবং আঠালো কফ উঠে। হাঁপানির আক্রমণ যখন তীব্র হয়, তখন লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর যখন হাঁপানির আক্রমণ চলে যায়, তখন হাঁপানির কারণ অনুযায়ী মূল ঔষধ খেয়ে তাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে। হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে নিরাময় করা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অসম্ভব হলেও একজন সুদক্ষ হোমিও চিকিৎসকের পক্ষে অসম্ভব নয়। হাঁপানির নাম (bronchial asthma, allergic asthma, Infantile asthma, exercise- induced asthma, Bronchitis) যা-ই হোক না কেন, ঔষধ খেতে হবে লক্ষণ অনুসারে। হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে সারানোর ক্ষমতা পৃথিবীতে একমাত্র হোমিও ঔষধেরই আছে। হ্যাঁ, ঔষধ বা অন্য যে-সব জিনিস বা খাবারের কারণে হাঁপানি বেড়ে যায়, সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। যেমন - বেশী পরিশ্রম, আবেগপ্রবন / উত্তেজিত হওয়া, নির্দিষ্ট কোন একটি ঔষধ (যেমন- বাতের ঔষধ), বিড়াল-কুকুরের পশম, ফুলের রেণু, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, কচুঁ শাক, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি।

হোমিওপ্যথিতে ৩২৮ টি দারুণ কার্যকর ঔষধ আছে। প্রথমত হাঁপানির সাথে যদি কাশি থাকে, তবে “কাশি” র লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে সেটি নিরাময় করুন। তারপর হাঁপানির তীব্রতা কমে আসলে স্থায়ীভাবে সারানোর জন্য ৩২৮ টি ঔষধের মধ্য থেকে প্রায়ই নীচের ঔষধগুলো খাওয়ানো লাগতে পারে।

Arsenicum Iodatum : শীতকাতর রোগী কিন্তু গরমে হাঁপানীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, লক্ষণে আর্সেনিকাম আয়োডেটাম খেতে হবে ।

Causticum : হাঁপানী রোগী একমাত্র দাড়িয়ে থাকলে আরাম পায়, লক্ষণে কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Psorinum : শুয়ে থাকলে এবং দুই হাত ছড়িয়ে রাখলে হাঁপানীর কষ্ট কমে এবং হাত বুকের কাছে আনলে কষ্ট বৃদ্ধি পায়, লক্ষণে সোরিনাম খেতে হবে।

Pothos Foetida : ধুলোবালির কারণে যদি হাঁপানীর ‍আক্রমণ হয় অথবা হাঁপানীর উৎপাত বৃদ্ধি পায়, তবে চোখ বুজে পোথোজ খেতে পারেন।

Aconitum napellus :- হঠাৎ হাঁপানীর আক্রমণের অল্পক্ষণের মধ্যেই যখন সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তখন খাওয়াতে পারলে একোনাইট কাজ করবে যাদুর মতো। হাঁপানীর আক্রমণ এত মারাত্মক হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে শংকিত হয়ে পড়ে।

Kali Carbonicum – ক্যালি কারব-এর প্রধান লক্ষণ হলো হাঁপানীর আক্রমণ ভোর ৩টা থেকে ৫টার সময় বৃদ্ধি পায়, রোগী চেয়ারে বসে দোল খেলে হাঁপানীর কষ্ট কমে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।

Aspidosperma : সাধারণত শ্বাসকষ্টের সময় যদি মুখ লাল হয়ে যায় অথবা নীল হয়ে যায়, তবে তাতে এসপিডসপারমা উপকারী। আবার শ্বাসকষ্ট যদি কোন হৃদরোগের কারণে হয় (যেমন- হৃদপিন্ড বড় হয়ে যাওয়া, হৃদপিন্ডে চর্বি জমা, হার্টের ভাল্বের সমস্যা), তবে তাতেও ইহা প্রয়োগ করতে পারেন।

Bacillinum : অতীতে যাদের যক্ষ্মা হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-ভাই-বোন বা স্বামী-স্ত্রীর যক্ষ্মা বা হাঁপানি ছিল, তাদেরকে বেসিলিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। বেসিলিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ঘনঘন সর্দি লাগা, ভীষণ ক্ষুধা, প্রচুর খায় কিন্তু তারপরও দিনদিন শুকিয়ে যায়, ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করে, খোলা বাতাসের জন্য পাগল, এক জায়গায় বেশী ক্ষণ থাকতে - এক কাজ বেশী ক্ষণ করতে ভালো লাগে না, রাতের বেলা হাঁপানি বেড়ে যায়।

Medorrhinum : অতীতে যাদের গনোরিয়া (Gonorrhoea) হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর গনোরিয়া ছিল, তাদেরকে মেডোরিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। মেডোরিনামের প্রধান লক্ষণ হলো পেট নীচের দিকে এবং পিঠ উপরের দিকে দিয়ে শুইলে (নামাযের সেজদার পজিশনে) এবং জিহ্বা বের করে রাখলে হাঁপানি কমে এবং এরা গরম সহ্য করতে পারে না।

Syphilinum : অতীতে যাদের সিফিলিস হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর সিফিলিস ছিল, তাদেরকে সিফিলিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। সিফিলিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রাতের বেলা সকল রোগ বৃদ্ধি পায়, বাতের সমস্যা লেগেই থাকে, দাঁত দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়, মদ বা অন্যান্য মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি, স্মরণশক্তি দুর্বল, বেশী বেশী হাত ধোয়ার অভ্যাস, দুরারোগ্য কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদি।

Natrum Sulphuricum : যে-সব হাঁপানি ভিজা আবহাওয়ার সময় অথবা বর্ষাকালে বেড়ে যায়, তাতে নেট্রাম সালফ প্রযোজ্য। এটি ৩০ শক্তি থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে খাওয়া উচিত।

Magnasium Sulphuricum : যে-সব শিশু বা যুবক-যুবতী নিজেদেরকে পরিত্যক্ত -অপ্রয়োজনীয় -অনাকাঙ্খিত (rejected / deserted) মনে করে, তাদের যে-কোন রোগে ম্যাগ সালফ প্রয়োগ করতে হবে। যেমন - ইয়াতীম (orphan) শিশু, যেই শিশুকে তার মাতা গর্ভপাত (‍abortion attempted) করতে চেয়েছিলেন, ধর্ষিতা যুবতী (r***d) ইত্যাদি ইত্যাদি।

Thuja occidentalis : টিকা (vaccines) হলো হাঁপানি হওয়ার একটি সবচেয়ে বড় কারণ। যেমন- বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি ইত্যাদি। টিকা নেওয়ার কারণে হাঁপানি হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সুতরাং যে-সব হাঁপানি রোগী অতীতে এসব অথবা অন্য কোন টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা থুজা খাওয়াতে হবে। যারা শীত সহ্য করতে পারে না এবং উপর থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের ক্ষেত্রে থুজা প্রযোজ্য। বদ্ধমুল ধারনা (fixed ideas) লক্ষণ থাকলে থুজা প্রয়োগ করতে হবে। যেমন - একজন রোগী দুয়েক চাপ ইনহেলার নিলে উপকার পায়, এমনকি ইনহেলারের ভেতরে কোন ঔষধ না থাকলেও উপকার হয়।

এছাড়াও একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত লক্ষন সদৃশে ৩২৮ টির ঔষধের বাকী ঔষধ গুলোর মধ্যে থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সবচেয়ে সঠিক ও উপযুক্ত ঔষধ ব্যবহারে যত কঠিন প্রকারেরের হাঁপানীই হোক না কেন তা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ইনশা আল্লাহ।
সেবা নিন, সুস্থ থাকুন। জনস্বার্থে Postটি Share করুন।

প্রশান্তি হোমিওকেয়ার এন্ড রিচার্স সেন্টার.
৩৪/১, বাবর রোড, জহুরীমহল্লা, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।
☎ 01867063488 অথবা ☎ 01720162665

11/12/2018

~~~~ #জানার_কোন_শেষ_নেই~~~~~

মেডিকেলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পূর্ণরূপ।টেস্ট গুলোর নাম ও পূর্ণাঙ্গরূপ সবারই জানা দরকার। দয়া করে সাবাই শেয়ার করুন।
====================
CBC: :complete blood count
CP: :complete picture of blood
CXR: : X-ray chest (PA view)
BT : : bleeding time
CT : : clotting time
LFT : liver function test
AST : :aspartate aminotransferase @(sgot)
ALT : :alanie aminotransferase@ (sgpt)
SGOT : : serum glutamic oxaloacetic transaminase
SGPT : : serum glutamic pyruvic transaminase
ALP : : alkaline phosphatase
ALT : alanine aminotransferase
GGT: :gamma glutamyl transpeptidase
GGT: : gamma glutamile transpeptidase
GTT: : glucose tolerance test
LDH: : lactae dehydrogenase
PT: : prothrombing time
INR: : international normalized ratio/rate
CCK: :cholecystokinin
AF : : atrial fibrillation
AIDS : acquired immunodeficiency syndrome.
AKA : alcoholic ketoacidosis
ALL : acute lymphoblastic leukaemia
AMI : acute myocardial infarction
ARF : acute renal failure
HTN : : high/ blood pressure, tension
CABG: coronary artery bypass graft
CAH: congenital adrenal hyperplasia
CCF: congestive cardiac failure
CF: cystic fibrosis
CHD: coronary heart disease
CNS: central nervous system
COPD: chronic obstructive pulmonary disease
CPAP: continuous positive airways pressure
CRF: chronic renal failure
CSF: cerebrospinal fluid
CT: computer mography
CVA: cerebrovascular accident (stroke)
CVD: cardiovascular disease
DKA: diabetic ketoacidosis
DU: duodenal ulcer
DVT: deep vein thrombosis
ECG: electrocardiography/ or cardiogram
EEG: electroencephalogram
ESR: erythrocyte sedimentation rate
ESRD: end-stage renal disease
FPG: fasting plasma glucose
GIT: gastrointestinal tract
GU: gastric ulcer
GvHD: graft versus host disease
HAV: hepatitis A virus
HBV: hepatitis B virus
Hcg: human chorionic gonadotrophin @ PT : :pregnancy test (by urine)
HAV : : hepatitis A virus
HBV @ HBs Ag hepatitise B antigen
HCV hepatitis: C virus
HIV: human immunodeficiency virus
HNA: heparin neutralising activity
ICH: intracranial haemorrhage
IDA: iron deficiency anaemia
IDDM: insulin dependent (type 1) diabetes mellitus
IFG: impaired fasting glucose
IGT : impaired glucose tolerance
IHD: ischaemic heart disease
Ig: immunoglobulin
IM: intramuscular
INR: international normalized ratio
ITU: intensive therapy unit
IV: intravenous
IVU: intravenous urogram
K: : potassium
KUB: kidney, ureter, bladder (x-ray)/ U-S
LBBB: left bundle branch block
LCM: left costal margin
LFTs: liver function tests
LIF: left iliac fossa
LUQ: left upper quadrant
LVF: left ventricular failure
LVH: left ventricular hypertrophy
MC&S: microscopy, culture & sensitivity
MCH: mean cell haemoglobin
MI: myocardial infarction
Min: minutes
MPD: myeloproliferative disease
MRI : magnetic resonance imaging
MS : multiple sclerosis or mass spectroscopy
Na: : sodium
Ca : : calcium
NaCl: sodium chloride
OA : osteo arthritis
RA : : rheumatoid arthritis
OCP: oral contraceptive pill
PACWP; pulmonary artery capillary wedge pressure
PAD: peripheral arterial disease
PaO2: partial pressure of O2 in arterial blood
PB: peripheral blood
PBC : primary biliary cirrhosis
PCI: percutaneous coronary intervention
PCL: plasma cell leukaemia
PE: pulmonary embolism
PR: per re**um
PV : : per va**na
PV: plasma volume
RAS: renal angiotensin system or renal artery stenosis
RBBB: right bundle branch block
RBCs: red blood cells
RCC: red blood cell count
Rh: Rhesus (monkey)
RIF: right iliac fossa
RUQ: right upper quadrant
SC: subcutaneous
SDH: subdural haemorrhage
SOB: shortness of breath
SM: smooth muscle
SVC : superior vena cava
SVCO: superior vena caval obstruction
SXR: skull x-ray
T°: temperature
t1/2: half-life
T4: thyroxine
TA: temporal arteritis
TB: tuberculosis
TFT: thyroid function test
TIAs: transient ischaemic attacks
TPO: thyroid peroxidase
TRAB: thyrotropin receptor antibodies
TSH : thyroid-stimulating hormone
TT: thrombin time
u/U: units
UC: ulcerative colitis
U&E: urea and electrolytes
UCE: : urea creatinine & electrolytes
URTI: upper respiratory tract infection
UTI: urinary tract infection
USS: ultrasound scan
VIII: C factor VIII clotting activity
VIP: vasoactive intestinal peptide
Vit K: vitamin K
VSD: ventricular septal defect
WBC: :white blood cell
TLC : : total leukocytes count

যৌন রোগের ঔষধ,পথ্য⚔        ⚔          ⚔         ⚔⚔        ⚔          ⚔         ⚔,ঔষধের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিয়ে আল...
07/12/2018

যৌন রোগের ঔষধ,পথ্য
⚔ ⚔ ⚔ ⚔
⚔ ⚔ ⚔ ⚔,
ঔষধের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হবে আর পথ্য সার্বজনীন।

পুরুষের দুর্বলতা বলতে যৌন অক্ষমতা বা যৌন আচরণে অতৃপ্তি, যৌন অসন্তোষ ইত্যাদি বোঝানো হয়ে থাকে। মূলত যৌন আচরণের যে দিকটি পুরুষের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর তা হলো পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এটিকে আমরা অনেক সময় ইরেকটাইল ডিসফাংশন বলে থাকি। অবশ্য মেডিকেল টার্ম হিসেবে একে ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতাও বলা হয়ে থাকে। একজন পুরুষ যখন যৌন সঙ্গম বা যৌনমিলনের জন্য মনোশারীরিকভাবে প্রস্ততি লাভ করে তখন যদি তার লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ সঙ্গমের জন্য উপযুক্তভাবে উত্থিন না হয় তবে তা তার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

সন্তোষজনকভাবে সেক্স করার জন্য ইরেকশন বা লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান একটি বাধ্যতামূলক আচরণ। এর ফলশ্রুতিতে পুরুষের যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছার যেমন ঘাটতি দেখা যায় তেমনি চরমপুলক অনুভূতি লাভও তার ভাগ্যে জোটে না। যে পুরুষ এর ভুক্তভোগী তিনিই কেবল জানেন এর কেমন মর্মপীড়া। অথচ মেডিকেল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে পুরুষত্বহীনতার অনেক আধুনিক কার্যকারী চিকিৎসা রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে,ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যা যে কোনো বয়সের পুরুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। হঠাৎ করে দুই একবার লিঙ্গ উত্থিন না হওয়া কোনো বড় সমস্যা নয় এটি আপনাআপনি দূর হয়ে যায়।

⚔ ⚔ ⚔ ⚔
⚔ ⚔ ⚔ ⚔
পথ্য:-পথ্যের কোন বিকল্প নেই।ঔষধ চলাকালীন পথ্যের গড়মিল হল ঔষধের মূল কাজ ব্যাহত হয়।
১. যাদের অনেক যৌন সঙ্গী আছে তাদের সাথে সঙ্গম এড়িয়ে চলুন ।
২. সব সময় সাবান ও পানি, বিশেষ করে যৌন সঙ্গমের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন।
৩. রোগীর যৌন সঙ্গীর চিকিৎসা নিশ্চিত করুন, যাতে এই রোগ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়।
৪. কনডম ব্যবহার করুন।

কেউ যদি মনে করে তার যৌন রোগ আছে তাহলে দ্রুতচিকিৎসা করানো উচিত। শুরুতে যৌন রোগের চিকিৎসা করা সহজ, পরে চিকিৎসা করা কঠিন।

যথাযথ ও তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না হলে কি ঘটতে পারে জানেন?
সংক্রমণের চিকিৎসা যদি তাড়াতাড়ি না হয়, তাহলে তা যৌনাঙ্গের বাহির থেকে যৌনাঙ্গের ভিতর প্রবেশ করবে। মহিলাদের বেলায় এটা জরায়ু টিউব ও ডিম্ব কোষ এবং পুরুষের বেলায় অন্ডকোষ আক্রমণ করবে। এটা প্রথম দিকে সাংঘাতিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে মহিলা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে অথবা পুনঃ পুনঃ গর্ভ নষ্ট হতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা প্রসব করতে পারে।

পুরুষেরা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিরার অন্যান্য যৌন সঙ্গীর মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়বে। গর্ভবতী মহিলার যৌন রোগের চিকিৎসা না হলে, বাচ্চা যৌনরোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে।
⚔ ⚔ ⚔ ⚔
⚔ ⚔ ⚔ ⚔
চিকিৎসা:-
ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিত এবং পরিমিত শারীরিক শ্রম বজায় রাখতে হবে। উচ্চতা অনুসারে কাঙ্খিত দৈহিক ওজন অবশ্যই ঠিক থাকতে হবে। পুরুষকে তার নিজের ও তার সঙ্গীর সাথে মধুরতর সম্পর্ক সৃষ্টি ও বজায় রাখতে হবে। যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্কতা প্রতিটি সুস্থ-স্বাভাবিক পুরুষ-নারীর জন্য জরুরি। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যেও যৌনতার প্রয়োজন। এটি জীবনের একটি অন্যতম নিয়ামক। পুরুষ-নারীর জন্যে যৌন-স্বাস্থ্যের সুস্থতা অবশ্যই জরুরি এবং প্রয়োজনীয়। ডাক্তারের কাছে বা বিশেষজ্ঞের কাছে আপনার যেকোনো প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা, যেগুলো আপনার যৌনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত সে ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে পরামর্শ নিন। যৌন সমস্যা সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণ করুন। এতে আপনার যৌনতা সম্পর্কিত অজ্ঞতা কেটে যাবে। যৌনজীবনে সুখী হতে চাইলে যৌন স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার বিকল্প নেই।

Selenium: যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Sabal serrulata: সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Conium: স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।

Calcarea Carbonica: ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum: যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica: নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Titanium: সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।

Phosphoricum Acidum: সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।

Kali Bromatum: বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি। বায়োকেমিক

Natrum Mur: স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।

Kali Phos: অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা,কাজ কর্মে অনিচ্ছা,জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।

Silicea: স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুন,অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য।

Agnus Castus: সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Caladium seguinum: যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana: ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus: ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Staphisagria: পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Salix nigra: মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

মেডিকেল টার্মে সাধারনত এই ঔষধগুলিই বিভিন্ন সিম্পটম মিলিয়ে ব্যবহার করা হয় তবে হক কথা হল নিরাপদ যৌন মিলন ব্যতিরেকে সব চিকিৎসায় অকার্যকর।
🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿🍎🌿
সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
⛳আপনারা যদি মনে করেন লেখাগুলো আপনার জন্য উপকারি তাহলে আরেক ভাইয়ের জন্যও হয়তো উপকারি হবে , আপনি কষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করলে অন্য ভাইও লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই শেয়ার করুন এবং পেজে লাইক বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আর এ জন্য ইনভাইট অপসানে গিয়ে বন্ধুদেরকে পেজ লাইকের ইনভাইট পাঠান।মনে রাখবেন জানার কোন শেষ নেই।

📗হোমিওপ্যাথিক টিপস
🌿জার্মান হোমিও কেয়ার
☎হেল্পলাইন 🏪01955507911

Address

Nawabganj
6321

Telephone

+880 1714-945049

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হোমিওপ্যাথি টিপস্ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category