24/07/2023
আসসালামু আলাইকুম। Tohfa Bashar
আমি সবসময় বলে এসেছি বাচ্চার ০৬ মাসে ওজন হবে বাচ্চার জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুণ। আপনি আমাদের কে আপনার বাচ্চার জন্মের সময়ের ওজন জানিয়েছেন। আপনার বাবুর ওজন ঠিক আছে মাশাআল্লাহ্।
বাড়তি খাবার শুরুর দিকে আপনি ভাতের মাড়, ভাত চটকে, ওটস, বিভিন্ন ফলের পিউরি মানে ফল সিদ্ধ করে চটকে দিতে পারেন যেমন পেয়ারা, কলা,আপেল ( লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন আগে থেকেবা খোসা ছুলে দিবেন)ইত্যাদি। এত ছোট বাবু কে আম টা এবার দিবেন না পেট খারাপ হতে পারে অল্প খাইয়ে দেখবেন যে ওর সহ্য হয় কিনা। সবার সব খাওয়ার সহ্য হবেনা আবার অনেকে অনেক কিছু খেতে পারবে। নিজের বাচ্চাকে অন্য বাচ্চার সাথে তুলনা করবেন না। মনে রাখবেন প্রতিটি শিশুই আলাদা। আমরা সবাই একেক রকম কেউ এক রকম নই। প্রতিটি খাবার দিয়ে চেক করবেন যে বাবুর পেট এ সহ্য হচ্ছে কিনা বা এলার্জির সমস্যা হচ্ছে কিনা। একটি নতুন খাওয়ার দিবেন দিয়ে ৩ দিন পর্যন্ত দেখবেন কোনো এলার্জির সমস্যা হয় কিনা কিন্তু এর মধ্যে আপনি অন্য নতুন খাবার খাইয়ে দিলে বুঝতে পারবেন না যে কোন খাবার টা থেকে সমস্যা হলো কোন খাওয়ার টি বন্ধ করলে সমাধান হবে। এভাবে ধীরে ধীরে এগোবেন ৭ মাস থেকে আস্তে আস্তে মাছ, মুরগী এগুলোতে যাবেন। ডিমে অনেক বাচ্চার সমস্যা হয় ডিম ভালো মতন সিদ্ধ করে যেন একটুও কাঁচা না থাকে। ৭ মাস থেকে সামান্য পানিতে কুসুম মিলিয়ে অল্প দিয়ে দেখবেন সহ্য হয় কিনা পেট এ। সহ্য না হলে বাদ আরোও সময় পরে আরেকটু বড় হলে চেষ্টা করবেন।সাদা অংশ ১ বছর পর থেকে। বাচ্চার খাওয়ার এ কোনো লবণ চিনি মেশানো যাবেনা। খাবার মিষ্টি করতে চাইলে খেজুর দিতে পারেন। খাবার পেস্ট এর মত নরম করবেন যেন ওর গলায় আটকে না যায় অনেক ছোট বাবু। ৮ মাস থেকে আস্তে আস্তে শক্তের দিকে যাবেন। গরুর দুধ ২ বছর পর থেকে।নিয়মিত অল্প অল্প করে পানি খাওয়া র অভ্যাস করবেন। কোনো ধরনের বাইরের খাওয়ার দিবেন না।আরও প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
ধন্যবাদ।