23/03/2023
রমজানের খাবার দাবার....
রমজান ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য অত্যন্ত পবিত্র মাস। রমজান মাসে খাদ্যগ্রহণেও সংযমী হওয়া প্রয়োজন। দেহের বেশিরভাগ রোগের সৃষ্টির কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ। পক্ষান্তরে পরিমিত পানাহার ও আত্মসংযমের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সুস্বাস্থ্যের জন্য রোজা রাখ।’প্রতিদিন আমরা সাধারণত সকাল-দুপুর-রাত তিন বেলা খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু রমজান মাসে সন্ধ্যা থেকে ভোর এ সময়ের মধ্যেই ৩ বার খাবার খেয়ে থাকি। তাই রজমান মাসে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সচেতন হতে হয়। একটু পরিকল্পনা মতো খাবার খেলে এ পবিত্র নেয়ামতের মাসকে উপভোগ করা যায় ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে। রমজান মাসে খাবার যতটা পারা যায় অন্য মাসের মতোই স্বাভাবিক ও সাধারণ হওয়া উচিত।রমজান মাসে খাদ্য তালিকায় যথাসম্ভব স্লো-ডাইজেস্টিং খাবার বেশি রাখা উচিত। যেখানে স্লো-ডাইজেস্টিং খাবার সাধারণত ডাইজেস্ট হতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে দ্রুত ডাইজেস্টিং খাবার মাত্র ২ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাইজেস্ট হয়ে যায়। আঁশ বা ফাইবার প্রধান খাবারগুলোই সাধারণত স্লো-ডাইজেস্টিং হয়ে থাকে। যেমন ঢেঁকিছাঁটা চাল, আটা, সবুজ মটরশুঁটি, ছোলা, সবুজ শাক যেমন ডাঁটাশাক, পালংশাক, খোসাসহ ভক্ষণ উপযোগী ফল যেমন পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি এবং শুকনা ফল খোরমা, খেজুর ইত্যাদি তবে খাবার অবশ্যই সুষম হতে হবে অর্থাৎ খাদ্য তালিকায় দানাদার খাবারের সঙ্গে পরিমাণ মতো ফল, শাকসবজি, মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার থাকা আবশ্যক। চলুন জেনে নিই, রমজানের সময় খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত।
✓১. পানি ও শরবত বেশি পান করা : গরমের সময় রোজা রাখা এমনিতেই কষ্টকর। তার পর সারা দিন পানি পান করা হয় না। কম পানি পান করলে শরীরের অঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজকরতে পারে না, হজমেও সমস্যা হয়। তাই রোজা ভাঙার পরদেহে পানির চাহিদা মেটাতে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
✓২. কোমল পানীয় বাদ দিয়ে ডাবের পানি পান : ডাবের পানিতে আছে বেশকিছু খনিজ পদার্থ, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকার। ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরিন ইত্যাদির লবণ। ডাবের পানির সঙ্গে লবণের অভাব পূরণ করতে খাবার স্যালাইনও পান করতে পারেন। কোমল পানীয় এসিডিটি, বুকজ্বালা, আলসার, কিডনি ও লিভারের ওপরে চাপ দেয়া থেকে শুরু করে আরও বেশকিছু ক্ষতিকর কাজ করে।
✓৩. ভাজাপোড়া না খাওয়া : সারা দিন রোজা রাখার ফলে হজম শক্তি এমনিতেই দুর্বল থাকে। এ সময় তেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে ঝামেলা হওয়ায় স্বাভাবিক। এতে বদহজম ও এসিডিটির সুযোগ বাড়ায়। বাইরের কেনা খাবারআরও বিপজ্জনক।
✓৪. আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে : আঁশযুক্ত খাবারপেটে থাকে অনেকক্ষণ, হজম হতে দেরি হয়। তাই ক্ষুধা লাগে কম। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতেও এগুলো সাহায্য করে। সাহরির সময় আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। তাছাড়া রমজানে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়েন। তাদের জন্য আঁশযুক্ত খাবার খুব দরকার। বেশি করে পানি পান, মাঝে মাঝে ইসবগুলের ভুসি খেলে ডাক্তারের কাছে আর দৌড়াতে হবে না।
✓৫. একবারে বেশি করে খাবার খাবেন না : ইফতারির সময় আজানের শব্দ শুনেই হাপুস-হুপুস করে খাবেন না। সময়নিয়ে অল্প করে খেতে হবে। সারা দিন খালি পেটে থাকার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম থাকে। ইফতারির সময় দ্রুত খাবার খেতে থাকলে হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাবারের কারণে রক্তে নিঃসৃত ইনসুলিনের কারণে রক্তে থাকা অবশিষ্ট গ্লুকোজও শেষ হয়ে যায়। ফলে আমরা খুব ক্লান্তিবোধ করি।
✓৬. ইফতারিতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া : সারা দিন রোজা রাখার পর শরীর অল্প সময়ে শক্তি খোঁজে। ইফতারিতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব দ্রুত শরীরে শক্তি জোগায়। খেজুরের গ্লুকোজ খুব দ্রুত শরীরে শোষিত হয়। অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন জিলাপি খুব কম সময়ের মাঝে শক্তি দেয়।
✓৭. ইফতারিতে বেশি করে ফল খাওয়া : মিষ্টি ফলে রয়েছে ফ্রুক্টোজ, যা শক্তি দেয়। রয়েছে বিভিন্ন খনিজ, যা দেহের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। ফল খেলে শরীরে যাচ্ছে ভিটামিন, শক্তি, খনিজ পদার্থ, আঁশবার-ফাইবার ইত্যাদি। পেঁপে, কলা, আম যে ফলই খান না কেন সবই কোষ্ঠবদ্ধতা সারাতে খুব ভালো কাজ করে। তাই সাধ্যের মধ্যে বেশি করে ফল খাবেন।
✓৮. খেতে পারেন দই-চিঁড়া : ইফতারির পর অনেকেই দই-চিঁড়া খেয়ে থাকেন। পেট রাখে ঠান্ডা, দ্রুত সহজে হজম হয়। চিঁড়ায় রয়েছে এসিডিটি কমানোর ক্ষমতা, দই খুব সহজেই পরিপাক হয়।
✓৯. হালিম : হালিম খুব ভালো একটি খাবার, যা আমিষের চাহিদা মেটায়। তবে নানা ধরনের ডাল দিয়ে রান্না হয়এবং মশলার ব্যবহার বেশি হয় বিদায় সেটা হজমে ঝামেলা করতে পারে। বুঝেশুনে খেতে পারেন।
✓১০. ছোলা-মুড়ি : ছোলা-মুড়ি খাবেন না কেন?
অবশ্যই খাবেন। তবে ছোলায় বেশি মশলার ব্যবহার একে গুরুপাককরে দিতে পারে। মুড়িতে কোনো আপত্তি নেই, এটা বুকজ্বালা, এসিডিটি কমায়।
চর্ম,যৌন,এলার্জি; পাইলস, হাঁপানি ও টিউমার রোগীদের জন্য সুখবর...
ডাঃ মোঃ ইউসুফ আলী,
হ্যানিম্যান হোমিও হল
জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট পঞ্চগড় এ নিয়মিত রোগী দেখিতেছেন।
01722-159447
শুধুমাত্র মহিলা রোগীদের এলার্জি, চর্মরোগ, পাইলস; টিউমার, বাত-ব্যথা, হাঁপানি / শ্বাসকষ্ট; সাদা স্রাব, বন্ধ্যাত্ব, স্তন টিউমার; জরায়ু সংক্রান্ত ব্যাধিসহ যাবতীয় স্ত্রী রোগীর চিকিৎসা করিতেছেন।
ডাঃ ওয়ালিমা বেগম
হ্যানিম্যান হোমিও হল,
জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, পঞ্চগড়।
সিরিয়াল: 01717-024315