03/04/2022
📌📌📍📍 #রোজা রাখা অবস্থায় চিকিৎসা সংক্রান্ত কী কী করা যাবে আবার কী কী করা যাবে না তা নিয়ে নানা সংশয় ও বিভ্রান্তি রয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিচে দেয়া হল।। 📍📍📌📌
➡️১. রোজা অবস্থায় ইনহেলার, নাকের স্প্রে ব্যবহার করা যাবে।
➡️২. রোজা অবস্থায় চোখ ও কানের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে।নাকের ড্রপের ব্যপারে বিতর্ক আছে তবে গলায় না গেলে সমস্যা নেই।
➡️৩. হার্টের এনজাইনার সমস্যার জন্যে বুকে ব্যথা উঠলে ব্যবহৃত নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট বা স্প্রে জিহবার নিচে ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না।
➡️৪. রোজা রেখে শিরাপথে স্যালাইন বা গ্লুকোজ জাতীয় কোনো তরল গ্রহণ করা যাবে না, তবে খাদ্য-উপাদান ছাড়া কোনো ওষুধ ত্বক, মাংসপেশি বা হাড়ের জোড়ায় ইনজেকশান হিসেবে প্রয়োগ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
➡️৫. রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষার জন্যে রক্ত দিতে বাধা নেই। ডায়বেটিস রোগীদের রোজা অবস্হায় রক্তের সুগার পরিমাপ করার পরামর্শ দেয়া হয়, এতে রোজা নষ্ট হবে না।
➡️৬. চিকিৎসার প্রয়োজনে রোজা রেখে অক্সিজেন কিংবা চেতনা নাশক গ্যাস গ্রহণে রোজা নষ্ট হবে না।
➡️৭. চিকিৎসার প্রয়োজনে ক্রিম, অয়েনমেণ্ট, ব্যাণ্ডেজ, প্লাস্টার ইত্যাদি ব্যবহার করলে এবং এসব উপাদান ত্বকের গভীরে প্রবেশ করলেও রোজার কোনো সমস্যা হবে না।
➡️৮. রোজা রেখে দাঁত তোলা যাবে। দাঁতের ফিলিং করা যাবে এবং ড্রিল ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া দাঁত পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত কিছু গিলে ফেললে রোজা নষ্ট হবে না।
➡️৯. রক্তদানে রোজা নষ্ট হবে না, যদিও ইফতারের পর রক্তদানে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু রক্ত গ্রহনে রোজা নষ্ট হবে।
➡️১০. চিকিৎসার জন্যে যোনিপথে ট্যাবলেট কিংবা পায়ুপথে সাপোজিটোরি ব্যবহার করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
➡️১১. রোজা রাখা অবস্থায় না গিলে মাউথওয়াশ, মুখের স্প্রে ব্যবহার করা যাবে এবং গড়গড়া করা যাবে।
➡️১২. রোজা রাখা অবস্থায় কিডনি ডায়ালাইসিস করা যাবে না, বাস্তবে ডায়ালাইসিস লাগে এমন কিডনি রোগিদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
➡️১৩. রোজা রেখে জরায়ু পরীক্ষার জন্যে হিস্টেরোস্কপি এবং আই.ইউ.সি.ডি ব্যবহার করা যাবে।
➡️১৪. হার্ট কিংবা অন্য কোনো অঙ্গের এনজিওগ্রাফি করার জন্যে কোনো রোগ নির্ণয়কারক দ্রবণ শরীরে প্রবেশ করানো হলে রোজার ক্ষতি হবে না।
১৫. কোনো অঙ্গের আভ্যন্তরীণ চিত্রধারণের জন্যে সেই ➡️অঙ্গের প্রবেশপথে কোনো ক্যাথেটার বা নালীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তরল রঞ্জক প্রবেশ করালে রোজা নষ্ট হবে না।
➡️১৬. রোগ নির্ণয়ের জন্যে এণ্ডোস্কোপি বা গ্যাস্ট্রোস্কোপি করলেও রোজা নষ্ট হয় না। তবে এণ্ডোস্কোপি বা গ্যাস্ট্রোস্কোপি করার সময় ভেতরে তরল কিংবা অন্য কোনো কিছু প্রবেশ করানো যাবে না যার খাদ্যগুণ রয়েছে।
সংগৃহীত